মন তুমি ছুঁয়ে দেখো না পর্ব ৩৩

মন তুমি ছুঁয়ে দেখো না পর্ব ৩৩
সাদিয়া জাহান উম্মি

চারদিকে নিস্তব্ধতা বিদ্যমান।সেই নিস্তব্ধতা কাটলো মারিয়ার ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দে।মারিয়া নিজের বাবার দিকে তাকাতে পারছে না।ও নিজের বাবাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছে।এতোটাই কষ্ট দিয়েছে যে ওর জন্যে আজ ওর বাবার চোখে পানি। যে বাবাকে মারিয়া ওর বোঝার বয়সের পর থেকে কখনই কাঁদতে দেখে নি।কি বলবে মারিয়া তাকে?

ঠিক কি দিয়ে কি বোঝাবে?মারিয়া তো জানতো ওর বাবা ওকে ঠিক কতোটা ভালোবাসে।কখনও উচ্চ শব্দে একটা ধমকও কোনোদিন দেয়নি।ওর মা ওকে যেদিন বকা দিত।তা জানতে পারলে ওর বাবা ওর মাকে ধমকে ধামকে রাখত না।ঠিক এই কারনেই কি সে কেন তার মেয়েকে বকা দিলো।আর মারিয়া কিনা তাকে তার মনের কথাগুলো বলতে পারেনি।একবার বাবাকে বিশ্বাস করে মুখ ফুটে মনের কথা বলতে পারেনি।মারিয়া ফোঁপাতে ফোঁপাতে ঢেকে উঠল,’ বাবা! বাবা!’

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

মারিয়ার বাবা ভেজা কণ্ঠে বলেন,’ ডাকিস না আমায় বাবা।আমার মনে হচ্ছে এই বাবা ডাকের যোগ্য বোধহয় আমি হতে পারেনি।নাহলে নিজের মেয়ের মনের কথা।কেন আমায় অন্য একজনের থেকে শুনতে হবে?’
মারিয়া ধুকরে কেঁদে উঠে বলে,’ নাহ বাবা।এভাবে বলো না।তুমি এইভাবে বললে আমি বেঁচে থাকতেই মরে যাবো বাবা।তুমি আমার বাবা।

আমার জীবনে সবথেকে বেশি আপন মানুষটা তো তুমিই।সেই তুমি আমায় এভাবে বললে আমি কিভাবে ঠিক থাকবো বাবা।আমি তো তোমার মেয়ে বাবা।আমায় ক্ষমা করে দেও বাবা।আমি বুঝতে পারিনি।তুমি এতোটা কষ্ট পাবে।আমি ভয় পেতাম তোমায় নীলের কথা বলতে।তুমি কষ্ট পাবে এটা ভেবে।আর তুমি তো জানো তোমার মেয়ে আর সব মানতে পারে।কিন্তু তার বাবাকে কখনও কষ্ট দিতে পারে না।কিন্তু দেখো শতো চেষ্টা করেও।হয়তো মনের অজান্তেই কিন্তু তোমায় কষ্ট দিয়ে ফেললাম।আ’ইম সরি বাবা।’

মারিয়া দু হাতে মুখ ঢেকে ফেলল।তার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।মারিয়ার বাবা আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না।মেয়েটা তার বড়ো আদরের।আর সেই আদরের মেয়েকে এইভাবে তিনি মারলেন। উনার ভীতরটা হুঁ হুঁ করে উঠল।তিনি দ্রুত গিয়ে মেয়েকে বুকে জড়িয়ে নিলেন।মারিয়া বাবার সান্নিধ্য পেয়ে যেন নিজেকে আরও গুটিয়ে নিলো ওর বাবার বুকে।কাঁদতে কাঁদতে বলছে,’ আই’ম সরি বাবা।আই’ম সরি।রেয়েলি ভেরি সরি।’

‘হুঁশ! কাঁদে না আর।তুই তো আমার কলিজা।আমার সোনা মা।বাবাকে ক্ষমা করে দিস।বাবা তোকে এইভাবে জোড়ে মেরে ফেলেছি।’
‘ উঁহু বাবা।ক্ষমা কেন চাইছ?আমি তোমার সন্তান আর বাবা-মা তাদের সন্তানদের শাষণ করতেই পারে।’
বাবা মেয়ে নিজেদের মান অভিমান মেটাতে ব্যস্ত।আর তাদের দেখে সবাই মুগ্ধ।সত্যি বাবা মেয়ের মতো মধুর সম্পর্ক আর হয় না।

এভাবে কিছুক্ষণ সময় কাটল।মারিয়ার কান্না থেমে আসতেই মারিয়া সরে আসল বাবার বুক থেকে।মারিয়া বাবাকে মেয়েকে নিজের সাথে আগলে নিয়েই এগিয়ে যায় নীলের দিকে।নীল উনাকে দেখেই কাচুমাচু হয়ে দাঁড়ালো।মারিয়ার বাবা গম্ভীর মুখে হঠাৎই হেসে উঠলেন।নীলের মাথায় আদুরে হাত বুলিয়ে দিলেন।নীল অবাক হয়ে তাকালো উনার দিকে।তিনি হেসে সুধান,’ আগামী শুক্রবার তোমার ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে এসো।আর বাদ বাকি যা বলার তাদের সামনেই নাহয় বলব।’

নীল ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে বোকার মতো প্রশ্ন করল,’ তার মানে কি আংকেল আপনি আমার শশুড় আব্বা হতে রাজি?’
নীলের এহেন কান্ডে সবাই উচ্চস্বরে হেসে উঠে।নীল থতমত খেয়ে গেল।সে একটু আগে কি বলেছে তা বুঝতে পেরেই লজ্জা পেলো।ইহান নীলের পিঠে চাপড় মেরে হেসে বলে,’ হ্যা রে রাম ছাগল সে রাজি। এইবার তোর শশুড় আব্বাকে সালাম কর জলদি।’

‘ হ..হ্যা করছি।’
নীল উবু হয়ে উনাকে সালাম করতে নিতেই তিনি নীলকে ধরে থামালেন।তারপর নীলকে বুকে জড়িয়ে নিলেন।নীল ও মুচঁকি হেসে উনাকে জড়িয়ে ধরলেন।তারপর সরে আসল দুজনে।
রুদ্রিক এইবার গম্ভীর স্বরে বলে,’ তো আমাদের এখন যেতে হবে আংকেল।ইম্পোর্ট্যান্ট ক্লাস আছে আমাদের।আসলে সামনেই ইয়ার ফাইনাল এক্সাম তো তাই।’

মারিয়ার বাবা বলেন,’ হ্যা তা জানি। তাই আমিও আর তোমাদের আটকাবো না।তবে সময় করে সবাই মিলে এসে বেড়িয়ে যেও আমার বাড়ি থেকে।এটা নিজেদের বাড়ির মতোই মনে করবে।’
তারপর মারিয়ার দিকে ফিরে বলেন,’ তবে যা।আর হ্যা সাবধানে যাবি।পৌছে আমায় ফোন করিস।’
‘ আচ্ছা বাবা।’

নীল এগিয়ে এসে মারিয়ার হাত আকঁড়ে ধরল ওর হাতের মুঠোয়। মারিয়া অবাক হয়ে গেল নীলের কান্ডে।বাবার সামনে এসব কি করছে নীল।সে হাত মোচড়ামুচড়ি শুরু করে দিলো।কিন্তু নীল সেদিকে পাত্তা না দিয়ে বলে,’ আপনার মেয়েটাকে যেহেতু আমায় দিয়ে দিয়েছেন আংকেল।তবে ওয়াদা করলাম।এইযে হাতটা ধরেছি।মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।ওকে নিজের সবটা দিয়ে আগলে রাখব।কখনও কষ্ট পেতো না দিবো না।এটা প্রমিস করলাম আমি আপনার কাছে।’
মারিয়ার বাবা মুগ্ধ হলেন নীলের কথায়।তিনি বলেন,’ তোমরা সুখে থাকলেই আমি সুখি।আর একজন মেয়ের বাবা এর থেকে আর বেশি কিছু চায় না।’

‘ তবে আসি আংকেল।’
‘ এসো।আর সাবধানে যাবে সবাই।’
মারিয়ার বাবা আর মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সবাই আবার ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা হলো।একজোড়ার সিটিং তো হয়ে গেল।এখন সিয়া আর অনিকের জন্যে টেনশন হচ্ছে ওদের।সিয়া না জানি কি বলবে অনিককে।সবাই বাইকের স্পীড বাড়িয়ে দিলো।যতো দ্রুত সম্ভব ভার্সিটি পৌছাতে হবে।

অনিক সিয়া মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে।সিয়া আজ একটা কালো রঙের কামিজ পরেছে। খোলা চুল,মুখে নেই কোনো ভারি প্রসাধনীর ছোঁয়া।মেয়েটাকে এতেই যেন মায়াবী লাগছে ভীষণ।অনিক চোখ ফেরাতে পারছে না সিয়ার উপর থেকে।প্রকৃতির নির্মল বাতাস এসে ক্ষণে ক্ষণে সিয়ার খোলা চুলগুলো উড়িয়ে দিচ্ছে।অনিক মুগ্ধ হয়ে তা দেখছে।আগেরকার সময় হলে অনিকের এই মুগ্ধ দৃষ্টি দেখে লজ্জায় লাল হয়ে যেতো সিয়া।

তবে আজ তার ছিঁটেফোটাও ওর মধ্যে নেই।অনিকের জন্যে যেই ভালোবাসা ওর মনে ছিলো।তা অনিকের কাছ থেকে শতো অপমান,লাঞ্চনা পেতে পেতে চাপা পড়ে গিয়েছে।আর সিয়া সেই ভালোবাসাকে আর কখনও বাহিরে প্রকাশ করতেও চায় না।হ্যা, তার কষ্ট হয় অনেক নিজেকে সামলাতে।কিন্তু সে সামলে নিতে পারবে।যেমনটা এতোদিন যাবত করে এসেছে।সিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,’ দেখেন আমি আপনাকে এখন যা বলব তা মন দিয়ে শুনবেন।বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করবেন আশা করি।’

অনিক সরল গলায় বলল,’ আমার মন তোর কাছেই।তুই শুধু বলতে থাক।’
অনিকের এসব কথায় সিয়ার এখন ভালোলাগে না।বিরঞ্চ সে বিরক্তবোধ করে।এতোদিন তো তাকে দিব্যি সে অপমান করে বসতো।আর হঠাৎই অনিকের এহেন ভালোবাসা তার সহ্য হয় না।সিয়া নিজেকে সামলে নিলো।ধীরে স্বরে বলল,’আপনি আমাকে সত্যিই ভালোবাসেন কিনা জানিনা আমি অনিক।কিন্তু বিশ্বাস করুন। আমি যদি আগের সিয়া হতাম আপনার এইসব কথায় আমি অনেক খুশি হতাম।আমার থেকে হয়তো সুখী কেউই হতো না।কিন্তু এখন আমি আপনার এসব কথায় আমার বিন্দুমাত্র কিছু যায় আসে না।বরঞ্চ বিরক্ত লাগে।’

অনিক অবাক হয়ে গেল সিয়ার কথায়।সে ভাবতে পারেনি সিয়া এমন একটা কথা বলে ফেলবে এইভাবে নির্দ্বিধায়।অনিক কণ্ঠে অবাকের রেশ বিদ্যমান।
‘ সিয়া তুই কি বলছিস এসব?’
সিয়া শক্ত কণ্ঠে বলে,’ যা বলছি ঠিক বলছি।কেন কষ্ট হচ্ছে আপনার?হুম,আমারও হয়েছিলো সেদিন।যেদিন সবার সামনে আপনি আমাকে বাজেভাবে অপমান করে আমার সাথে ব্রেকাপ করে নিয়েছিলেন।’

অনিক শুকনো ঢোক গিলল।বুকের বাপাশটায় ব্যথা হচ্ছে সিয়ার এসব কথা শুনে।অনিক জিহবা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে বলে,’ সিয়া দেখ।আমি মানছি আমার ভুল হয়েছে।আমি তার জন্যে তোর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।প্লিজ এইভাবে বলিস না।তুই এখন থেকে যা বলবি আমি তাই করব।তবুও আমাকে এসব বলে কষ্ট দিস না।আমি সহ্য করতে পারি নাহ। ‘
সিয়া হাসল।তার হাসিতে তাচ্ছিল্যতা বিদ্যমান।সিয়া বলে,’ আমি তো কোনো একসময় সহ্য করেছিলাম।এর থেকেও বেশি কঠিন সব কথা বলেছিলেন আপনি আমায়।তবে আজ কেন আমার সামান্য কথায় আপনার এতো কষ্ট হচ্ছে?আমি তো দিব্যি আপনার সেই অপমান সহ্য করে এই পর্যন্ত এসেছি। আপনি পারবেন না কেন?’

অনিক অসহায় গলায় বলে,’ সিয়া তুই তো আমার ভালোবাসিস।’
সিয়া চিৎকার করে উঠে,’ হ্যা ভালোবাসি আপনাকে।অনেক ভালোবাসি।তবে সেই ভালোবাসাকে আমি মাটিচাপা দিয়ে রেখেছি। আর তা আর কখনই আমি প্রকাশ করতে চাই না।

অনেক সহ্য করেছি।আর পারব না আমি।বড্ড ক্লান্ত আমি অনিক।তোমাকে ভালোবেসে আমি কষ্ট ছাড়া কিছুই পায়নি।এতোই যদি আমাকে ভালোবাসেন তবে কেন সেদিন আমাকে রেখে অন্য মেয়ের কাছে গিয়েছিলেন?কেন সেই মেয়ের কথায় আমাকে পুরো ভার্সিটির মানুষদের সামনে অপনান করেছিলেন।’
অনিক বোঝাতে চেষ্টা করল,’ দেখ সিয়া মানুষ মাত্রই তো ভুল।আর তাছাড়া তো তুই জানতি আমি এমনই।তা জেনেই তো আমায় ভালোবেসেছিস।’

সিয়া উচ্চস্বরে হেসে উঠে।হাসি থামিয়ে বলে,’ সেটাই তো আমার জীবনের সবথেকে বড়ো ভুল।আমি তোমার মতো একটা মানুষকে ভালোবেসেছি।আমি মনে করেছি আমার ভালোবাসা দিয়ে আমি তোমাকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে পারব।কিন্তু আমি ব্যর্থ।এই জন্যে আমি দুঃখিত।আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।কিন্তু অনেক হয়েছে আমি আবার সেই কষ্ট সহ্য করতে চাই না।

আমার বাবা মা অনেক আশা নিয়ে আছেন আমায় নিয়ে।আমি তাদের আশা পূরণ করতে চাই।পড়ালেখা করে ভালো একটা পজিশনে যেতে চাই।যা আবারও আপনার কাছে ফিরলে সম্ভব হবে না।তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি।আজ থেকে আপনার আর আমার মাঝে কিছু নেই।কিছু নেই মানে নেই।আপনি আমাকে ভুলে যান। দয়া করে আমার পিছনে আর পরে থাকবেন না।আমি দোয়া করব আপনি আমার থেকে বেটার কাউকে পেয়ে যাবেন।তবুও আমায় রেহাই দিন।আর কখনও এই ভালোবাসার দাবি নিয়ে আমার কাছে আসবেন না।’

এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলে সিয়া হাটা ধরল। ও চলে যাচ্ছে।তার সহ্য হচ্ছে না অনিককে।পুরনো আঘাতটা আবারও তড়তাজা হয়ে গিয়েছে।সিয়ার চোখজোড়া লাল হয়ে গিয়েছে।কান্না না করতে পারার কারনে।কিন্তু সিয়া কান্না করতে চায় না।কাঁদতে চায় না সে অনিকের কারনে।অনেক তো কেঁদেছে।সে আর ক্ষয় করতে চায় না তার চোখের মূল্যবান জলগুলো।সিয়া চলে গেল।আর অনিক স্তব্ধ হয়ে দেখে গেলো শুধু সিয়াকে।

তার সিয়া তো এতো পাষাণ ছিলো।তবে এ কোন সিয়াকে সে দেখছে।এই সিয়া এতো শক্ত কণ্ঠে তাকে এতোগুলো কথা শুনিয়ে গেলো।অনিকের সহ্য হচ্ছে না।আজ মনে প্রাণে তার শূন্যতা বিরাজ করছে।তার ভালোবাসার মানুষটিকে হারিয়ে ফেলছে সে।বিষাদতায় ছেঁয়ে যাচ্ছে হৃদয়।অনিক সহ্য করতে পারল না।

দপ করে বসে পরল মাটির উপর।এইভাবে কতোক্ষণ রইলো জানে না সে।হঠাৎ কাঁধে কারো হাতের ছোঁয়া পেতেই ধ্যান ফিরে অনিকের।অশ্রুঘেরা চোখজোড়া নিয়ে পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখে রুদ্রিক দাঁড়িয়ে আছে।পিছনে নীল,সাফাত আর ইহান।মারিয়াকে রুদ্রিক সিয়ার কাছে পাঠিয়েছে।সে জানে সিয়াও ভেঙে পরেছে।রুদ্রিক আর ইহান অনিককে ধরে দাঁড় করালো।অনিক উঠে দাঁড়াতেই সে রুদ্রিককে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেঁদে উঠল।রুদ্রিক অনিকের কাঁধে হাত রাখল।অনিক কাঁদতে কাঁদতে বলে,’ ও আর আমার কাছে ফিরবে না রুদ্রিক।ফিরবে না।আমায় আজ চিরতরে নিঃশেষ করে দিয়ে গেলো ও।আমি সহ্য করতে পারছি না দোস্ত।আমি কি করব বল?ঠিক কি করলে ও আমার কাছে ফিরে আসবে?’

রুদ্রিক দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।সেদিকে তাকিয়ে নিষ্প্রভ কণ্ঠে বলল,’ তুই চেষ্টা করতে থাক।চেষ্টা করতে তো মানা নেই।তবে যেদিন মনে করবি।না আর যতো কিছুই তুই করিস না কেন?সিয়া তোর কাছে ফিরবে না।তবে সেদিন বুঝে নিবি সিয়া আর কোনোদিন হবে না।

আর দোস্ত আর যাই হোক।ভালোবাসা কখনও জোড় করে হয় না।ভালোবাসা তো হয় মন থেকে।আর সিয়াও তোকে ভালোবেসেছিলো।আর তুই নিজ হাতে সিয়ার সেই ভালোবাসাকে মেরে ফেলেছিলি।তার পরিবর্তে সিয়া তো তোকে কিছুই করিনি। তুই যেই কষ্ট দিয়েছিলি ওকে।’
অনিক কিছুই বলল না।সে চুপচাপ রুদ্রিককে জড়িয়ে ধরে রইলো।কি আর বলবে। বলার তো কোনো ভাষাই সে পাচ্ছে না।শুধু সহ্য করা ছাড়া।আর অনিক তাই করছে।

মন তুমি ছুঁয়ে দেখো না পর্ব ৩১+৩২

ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। কেমন হয়েছে জানাবেন।এমনটা নয় যে প্রতি পর্বেই আমি সবাইকে আনত পারব।গল্পের প্রতিটি চরিত্রই গুরুত্বপূর্ণ। আর গল্পের শুরুর আগেই আমি বলেছি।গল্পটা হয়তো অনেক বড়ো হতে পারে। কারন এই গল্পে একাধিক জুটি।সেই সাথে বন্ধুত্বকেও গুরুত্বপূর্ণ দেওয়া হবে।তাই ধৈর্য ধরে সাথে থাকুন।

মন তুমি ছুঁয়ে দেখো না পর্ব ৩৪