মন পাথরে হঠাৎ ঝড় সিজন ২ পর্ব ২৫

মন পাথরে হঠাৎ ঝড় সিজন ২ পর্ব ২৫
Tahrim Muntahana

নতুন ভোরের সূচনা হয়েছে‌। সূর্যের আগমনের সাথে সাথেই ব্যস্ততা শুরু। শা শা করে গাড়ি ছুটে যাচ্ছে ব্যস্ত রাস্তায়। শব্দটাই কানে বার বার বাজছে আদরের। বালিশ দিয়ে কান ঢেকে আবার ঘুমিয়ে পড়ে। আজ একটু বেশীই ঘুম পাচ্ছে তার। হঠাৎ বাইরের চেঁচামেচি কানে আসতেই হুড়মুড় করে উঠে বসে সে। মাথাটা ভার হয়ে আছে। ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ে ফ্রেস হতে। আজ অবসরের সময় নেই। সারাটা দিন ব্যস্ত থাকতে হবে।

একদম গোসল নিয়েই বের হয়। বেলকনিতে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। মুক্ত বাতাস গায়ে মেখে বিড়বিড় করে অভিযোগ করতে থাকে।‌ দৃষ্টি তার শূণ্যে‌। এতশত অভিযোগ-আকুতি যদি কোনো‌ মানুষ শুনতো হয়তো নিজের না পাওয়ার জন্য আর কখনো আফসোস করতো না। যথারীতি রেডি হয়ে নিচে নেমে আসে আদর। সবাই বেশ অবাক হয় আদর কে দেখে। শুভ্র শাড়িতে কতটা স্নিগ্ধ লাগছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

চুল গুলো খোপা না করে ছেড়ে দিলে হয়তো আরো বেশী ভালো লাগতো। আদর সবার দিকে বিরক্ত দৃষ্টি ফেলে ডাইনিং টেবিলে বসে পড়ে। খেতে ইচ্ছে করছে না; তবে সে চায়না না খেয়ে থেকে অসুস্থ হতে। পাছে না কম্পিটিশন‌ বানচাল হয়ে যায়। আদর কে বসতে দেখেই সুবাহ দৌড়ে রান্না ঘরে চলে যায়। দুটো ডিম পোজ এনে সামনে রাখে। ছলছল করে উঠে আদরের চোখ। ডিম পোজ হৃদের প্রিয় ছিলো। খায় না! পাশে রাখা রুটির প্লেট থেকে দুটো রুটি রোল করে খেতে থাকে। খাওয়া বাদ দিয়ে সবাই আদর কেই দেখছে। হৃদযা আদরের পাশে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ খুঁতিয়ে দেখে। হাসি মুখে বলে উঠে,

চুল টা ছেড়ে রাখ না আদু বেশী সুন্দর লাগবে।
প্রতিযোগিতায় নামটা আমি দিই নি।
আদরের উত্তরে হৃদযার মুখটা চুপসে যায়। মুখ মলিন করে আবার নিজের চেয়ারে বসে। আদর মলিন‌ হেসে বলে উঠে,

এ‌ই সুন্দরের কোনো মূল্য‌ নেই! যার একটা কমপ্লিমেন্টের জন্য‌ অধির আগ্রহে অপেক্ষা করতাম সে তো নেই। যার জন্য এত সাজ সে তো কিছু বলে না! লাভ নেই!
কথাগুলো বলেই ঢকঢক করে পানি খেয়ে বেরিয়ে যায় বাড়ি থেকে। পান্চু আগেই খেয়ে নিয়েছিলো।সে জানে যখন তখন আদর চলে আসতে পারে। সবার মন খারাপ হলেও পিয়াস হাসে। সবার অগোচরেই হাসে! তাগাদা দেয় তাড়াতাড়ি করার। সময় যে বেশী নেই!

বিকেল পেরিয়ে যাচ্ছে। সেন্টারের ভেতরকার সাজ চোখ ধাঁধানো। এত এত লাইটিং রাত না দিন বোঝার উপায় নেই। চৌধুরী বাড়ির সবাই বসে আছে স্ট্রেজের ঠিক সামনের প্রথম সারিতে। মেকাপ রুমে রয়েছে আদর। ভালো করে সবকিছু শিখে নিচ্ছে। আদরের তেমন‌ কষ্ট হয়নি; পিয়াস ই সব করে নিয়েছে। আদর বসে বসে নিজের বক্তব্য টা দেখে নিচ্ছে।

যখন ওদের মডেল রা রেম্প‌ওয়ার্ক করবে তখন তার ই কাপড়, ডিজাইন সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। এ‌ই কাজ টা কতটা কঠিন আদর বুঝতে পারছে ভালো করে। তবে নার্ভাসনেস দেখাচ্ছে না কাউকেই। প্রতিযোগি প্রতিষ্ঠান অনেক‌। এ‌ই প্রতিযোগিতায় জিতলে ডিলের অভাব থাকবে না; হারলে অনেক গুলো টাকা লস হয়ে যাবে। যদিও আদর লাভ-লসের হিসেব করছে না; তার কাছে হৃদানের স্বপ্ন‌ই মুখ্যম।

সময় হয়ে গেছে। পিয়াস অনেক সাহস দিয়েছে আদর কে‌। ডাক পড়েছে আদরদের। জোরে দম নিলো আদর। সবকিছু কেমন‌ গুলিয়ে যাচ্ছে। লাস্ট এনাউন্স হতেই একে একে মডেল যাওয়া শুরু করলো। মঞ্চের এক কোণে দাঁড়িয়ে নিজের মতো বর্ণনা দিয়ে যাচ্ছে আদর। চোখের পানিতে গাল ভিজে যাচ্ছে। খুব করে কাউকে পাশে চাইছে সে। মনে হচ্ছে পড়ে যাবে।

এমন‌‌ সময় খুব শক্ত করে কেউ একজন তার হাত ধরলো। থেমে গেল‌‌ আদর। পাশেই বড়‌আব্বুকে দেখে হাসি ফুটলো আদরের মুখে। এতটুকু ভরসায় আদরের সাহস যেন দ্বিগুন বেড়ে গেল। ফিশিনিং টাচ দিয়ে মেকাপ রুমে চলে গেল‌ সে। রাজীব আহমেদ ও মেয়ের পেছনে ছুটলো। ভেঙে পড়বে আদর সে জানে। একে একে সব প্রতিযোগির পারফরম্যান্স শেষ হতেই বিশ মিনিটের বিরতি দেওয়া হলো। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য‌ কিছুটা সময় লাগবেই।

অবশেষে এলো সেই সময়। সবার মাঝেই চিন্তা বিরাজমান। প্রত্যেক প্রতিযোগি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেই প্রিয় মুখ হয়ে একজন করে দাঁড়িয়ে আছে মঞ্চে। হৃদানের প্রতিষ্ঠান হতে পিয়াস গিয়েছে। সবার ই পারফরম্যান্স কম বেশী ভালো হয়েছে। তাই বলা যাচ্ছে না কে নিবে সেরার সেরোপা। ডাক পড়লো আদরের। হ‌ইচ‌ই করে উঠলো প্রত্যেকটা মানুষ। আদরের চোখ চিকচিক করছে। সে খুশি হতে পারছে না। তার খুশি হ‌ওয়ার কারণ আছে বলে তার মনে হয়‌‌ না। সব খুশিই হৃদানের সাথে মরে গেছে।

আস্তে আস্তে পা ফেলে মঞ্চে উঠলো সে। তাকে কিছু বলার জন্য অনুরোধ করলেও সে সম্পূর্ণ নাকচ করে দিলো। অনেকের কাছে ব্যাপারটা দৃষ্টিকটু লেগেছে আবার অনেকেই আদরের সিচুয়েশন বুঝেছে। নিজেদের মতোই তারা কথা বলতে লাগলো।

অন্যদিকে দর্শক সারির সবার‌ পেছনে দাঁড়িয়ে আছে এক লোক। যার দৃষ্টি আদরেই নিবদ্ধ‌। চোখের কোণে চিকচিক করছে জলরাশি। চোখে মুখে বেদনার ছাপ তবে ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসি লেগে আছে। কেউ দেখতে পারছে না সেই হাসি, মাস্কের আড়ালেই রয়ে গেল। আদর প্রচন্ড রকমের ছটফট করছে। অস্থির‌ লাগছে তার। এ‌ই ভিড়ভাট্টা তার জন্য‌ নয়‌। পান্চু পরিস্থিতি বুঝে ইরফর্ম করতেই পুরষ্কার তুলে‌ দেওয়ার জন্য নাবিল চৌধুরী কে ডাকলেন।

নাবিল চৌধুরী হাসি মুখে মঞ্চে উঠলেন। দর্শকবৃন্দ‌ থেকে অনবরত হৃদান হৃদান বলে চিৎকার শোনা যাচ্ছে। আদর একপলক সেদিকে তাকালো। দৃষ্টি তার‌ সেখানেই থেমে গেল‌; থরথর করে কেঁপে উঠলো সে। অক্ষিকোটরে জমে থাকা জলগুলো পড়তে লাগলো গাল‌ বেয়ে।‌ কেউ মনে হচ্ছে তার গলা‌ চেপে ধরেছে, কথা বের হচ্ছে না‌। কাঙ্খিত মানুষ টি চলে যাওয়ার জন্য ঘুরতেই আদর ঠিক রাখতে পারে না। চিৎকার করে বলে উঠে,

হৃদ, হৃদ যাবেন না হৃদ। আমার কসম হৃদ। যাবেন না। মরে যাবো। আমাকে ফেলে যাবেন না হৃদ!
মুহূর্তেই স্তব্দ হয়ে যায় পরিবেশ। চৌধুরী পরিবার চমকে উঠে। পিয়াস হাসিমুখে দেখছে। অন্যদিকে মাস্ক পড়া লোকটি দাঁড়িয়ে যায়। হাত পা তার কাঁপছে। মন‌ চাচ্ছে এক ছুটে বেরিয়ে যেতে পারলে। তবে এ‌ই ডাক উপেক্ষা করার মতো শক্তি যে তার নেই। তবে ঘুরে না সামনের দিক, হয়তো সাহস হয় নি সবার চোখে চোখ মেলানোর। আদর ততক্ষণে দৌড়ানো শুরু করেছে। ভাজ করা আচলের কিছু অংশ মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। পড়তে গিয়েও বারবার নিজেকে বাঁচিয়ে নিচ্ছে সে। জীবনের একমাত্র লক্ষ্য‌ই যেন মানুষটির কাছে পৌছানো!

অনেক মানুষ ই আদর কে পাগল ভেবে আফসোস করছে। মরা মানুষ জীবিত থাকে কেমন‌ করে? আদর দৌড়ে এসেই পেছন কে জাপটে ধরে মানুষটিকে। তাল সামলাতে না পেরে উবু হয়ে পড়ে যায় মাটিতে। ব্যাথা পেলেও টু শব্দ টুকুও করে না। চিৎকার করে কাঁদছে আদর। সময় পেরিয়ে দশমিনিট অতিবাহিত হয়ে যায় তবুও কান্না থামে না তার। ওভাবেই পড়ে থাকে মাটিতে‌। রিপোর্টার রাও নতুন খবর প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আত‌ইয়াব নিজেকে স্বাভাবিক করে বোনকে ধরতে যায়। আদর আরো শক্ত করে আকড়ে ধরে। কিছুতেই ছাড়বে না সে। ছেড়ে দিলেই চলে যাবে তার হৃদ!

কিন্তু ওভাবে কতক্ষণ পড়ে থাকা যায়? পেটে আর বুকে বেশ ব্যাথা পেয়ে হৃদান। না পেরে আদরের হাত আকড়ে ধরে নিজে ঘুরে শুয়ে আদর কে বুকের উপর ফেল দেয়। নিজেও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। চোখ বুজে নেয় সে। কতটা দিন পর প্রেয়সী কে ছুঁতে পেরেছে! মৃহান নিজেও দৌড়ে এসে মুখের মাস্ক খুলে দেয়। আতকে উঠে সবাই ই। কি করে সম্ভব? মৃত মানুষ এখানে কিভাবে! এতক্ষণ যারা আদর কে পাগল ভেবে আফসোস করছিলো তাদের মাথায় হাত চলে যায়। এতটা প্রেম!

হৃদান আদর কে ছাড়াতে নিলেই আদর আরো শক্ত করে চেপে ধরে। বিচলিত কন্ঠে বলে উঠে,
ছাড়বো না আমি। ছেড়ে দিলেই চলে যাবেন আপনি‌। কোথাও যেতে দিবো না। কিছুতেই ছাড়বো না!
আদু, পাখি। এ‌ই পাখি! কোথাও যাবো না তোমাকে ছেড়ে। উঠতে দাও আগে। পরে কথা বলি।
নাছোড়বান্দা আদর কথাগুলো শুনেছে কিনা বুঝা গেল না। ওভাবেই লেপ্টে র‌ইলো বুকে। না পেরে হৃদান হতাশ‌ নিঃশ্বাস ফেললো। বুদ্ধি করে বলে উঠলো,

এ‌ই পাগলি উঠ না। দেখ আদর, আমি তোমার সাথেই আছি; উঠে কথা বলো! ব্যাথা পাচ্ছি আমি!
আদরের হাত আলগা হয়ে এলো। ব্যাথা পাওয়ার কথা শুনেই ছেড়ে দিয়েছে সে। আদর কে ছেড়ে দিতে দেখেই আত‌ইয়াব নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়‌। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঢলে পড়ে আত‌ইয়াবের বুকে। নিভু নিভু চোখে বিড়বিড় করতে থাকে,

আমাকে ছেড়ে যাবেন না হৃদ। আমি মরে যাবো হৃদ। হৃদ, হৃদ যাবেন না। সেদিন ও চলে গিয়েছিলেন আপনি। আজ গেলে আমি নিজেকে শেষ করে ফেলবো। আপনার সাথে নিয়ে যান আমাকে। একা থাকতে আমার কষ্ট হয় হৃদ।
চোখ ভিজে আসে সবার। হৃদান‌ সবার দিকেই একপলক তাকায়। চারপাশ ঘুরে বিশ্বস্ত দুজনকে এক কোণায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ডেকে উঠে,

ও‌ই টাকলা‌-মটু ওদিকে কি? এখানে আসো!
পান্চু-বাহাদুর দূরে দাঁড়িয়েই চোখের‌ পানি
ফেলছিলো। বিশ্বাস ই করতে পারছে না তাদের প্রাণপ্রিয় বস তাদের সামনে। ডাক‌ কে আর উপেক্ষা করতে পারে না, এক‌ ছুটে দুজন এসেই জড়িয়ে ধরে। এখন যেন বিশ্বাস হচ্ছে। হৃদান নিজেও কাঁদছে। তবে ব্যাপারটা বেশী ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছে বলে মুচকি হেসে বলে উঠে,

কিরে আমাকে চ্যাপ্টা বানাবি তোরা? মটু ছাড় আমাকে। বিয়ে করছি এখনো বাসর করতে পারিনি তার আগেই চ্যাপ্টা দিয়ে মেরে ফেলবি নাকি?
দুজন আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ছেড়ে দেয়। পরিবেশ খানিকটা স্বাভাবিক হতেই হৃদান বাবার কাছে চলে যায়। নাবিল চৌধুরী থম মেরে বসে আছে। পায়ের কাছে বসে পড়ে হৃদান,
বাবা! এসে গেছি তো, এবার অন্তত আর কেঁদো না।

নাবিল চৌধুরী চোখে জল নিয়ে আদুরে ভঙ্গিমায় মুখে হাত বুলিয়ে দেয়। বাবার চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে বোনের কাছে চলে যায় সে। সুবাহ কে জড়িয়ে ধরে কেঁদে চলছে এখনো। হৃদান গিয়ে এক হাতে জড়িয়ে ধরে বলে উঠে,
যে বয়সে ফুফু ডাক শুনবে সে বয়সে মা হতে চললে! হাই আফসোস আমাদের!

ডুকরে কেঁদে দিয়েও হেসে উঠে হৃদযা। হৃদান‌‌ রামিয়া-সুবাহ’র মাথাতেও আদুরে হাত রাখে। মৃহানের‌ কাছে এগিয়ে যায়।‌‌ পেছন ঘুরে দাঁড়িয়ে আছে। হৃদান‌ হেসে জড়িয়ে ধরে। মৃহান আর অভিমান‌ করে থাকতে পারে না। জড়িয়ে ধরে। ললাটে ঠোঁটের স্পর্শ দিয়ে হেসে উঠে। আজ আর কাঁদবে না। কতটা খুশির দিন। হৃদান রাজীব চৌধুরী কে দেখে ভ্রু নাচিয়ে বলে উঠে,

কি শশুড়! দেখলে তো আমি ছাড়া মেয়ের কি হাল? মৃত্যর সাথে লড়াই করে শুধু মাত্র বাসর করবো বলে এসেছি। আরেকটা কারণ ও আছে, বড়‌আব্বুকে সিঙ্গেল রেখে নিজের ত্রিঙ্গেল হ‌ওয়ার কোনো‌ ইচ্ছা নেই তাই তোমাকে বিয়ে করাবো। তোমার উচিত আমাকে নিয়ে গর্ব করা।

রাজীব আহমেদ কটমট চোখে তাকিয়ে থেকে মেয়ের পাশে বসলেন। আত‌ইয়াব আদরকে কোলে নিয়ে বসে আছে । পরিস্থিতি আগের মতো গুমোট নেই। তা দেখে হৃদান স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেললো। আত‌ইয়াবের পাশে দাঁড়াতেই আত‌ইয়াব মুখ ফিরিয়ে নিলো। প্রচন্ড রেগে আছে সে। হৃদান মুচকি হেসে বলল,

ডক্টরের লজ্জা নেই লজ্জা নেই! আমার বোনটা এখনো ছোট। আপনার আর সহ্য হলো‌ না, না? নির্লজ্জ পুরুষ। বড় ভাই এখনো বাসর করতে পারেনি, ছোট বোন‌কে পোয়াতি বানিয়ে দিয়েছে।
আত‌ইয়াব রেগে পা টা নাড়াতে নিলেই হৃদান‌ কেশে উঠে। রাফিন-সাফিন‌কে কিছু একটা ইশারা দিয়ে রিপোর্টার দের‌ সামনে গিয়ে বলে উঠে,

মন পাথরে হঠাৎ ঝড় সিজন ২ পর্ব ২৪

আপনারা কাল চৌধুরী বাড়িতে চলে আসবেন। সব কাল জানানো হবে‌। এখন আমরা একটু প্রাইভেট টাইম চাইছি।
কথাটা বলেই আদর কে কোলে উঠিয়ে নিয়ে হাটা ধরে। আদরের বদল পিয়াস পুরুষ্কার গ্রহণ করে নিজেও চৌধুরী বাড়ির দিকে র‌ওনা হয়। একরাশ খুশি, প্রশ্ন‌ মনের‌ মধ্যে‌ নিয়ে গাড়ি করে ছুটতে থাকে তারা। হৃদান কে ফিরে পেয়ে সব যেন সতেজ হয়ে গেছে‌। আগের উৎফুল্ল ভাবটা ফিরে এসেছে।

মন পাথরে হঠাৎ ঝড় সিজন ২ পর্ব ২৬