মহাপ্রস্থান পর্ব ৮

মহাপ্রস্থান পর্ব ৮
মুন্নি আক্তার প্রিয়া

গাছপালার ফাঁকফোকর দিয়ে এক চিলতে রোদ্দুর এসে পড়ে আরশানের মুখমণ্ডলে। ঘুমের রেশ কেটে যায়। কিঞ্চিৎ হকচকিয়েও যায় সে। পৃথুলাকে নিজের বুকে দেখে আরও কিছুটা ঘাবড়ে যায়। চোখ বন্ধ করে নিজেকে ধাতস্থ করতেই গতকাল সন্ধ্যার মুহূর্তের কথা মনে পড়ে যায়।

কত রাত অব্দি শ-ত্রু পক্ষ এই জঙ্গলেই ঘোরাফেরা করেছে তার জানা নেই। রিস্ক নিতে চায়নি বলে এখান থেকে বেরও হয়নি। অপেক্ষা করতে গিয়ে কখন সে নিজেই ঘুমিয়ে পড়েছে তা সে জানে না। পৃথুলাকে মাটির সাথে হেলান দিয়ে বসিয়ে সে ঝোপের মধ্য থেকে মাথা কিঞ্চিৎ উঁচু করে জঙ্গলে চোখ বুলাল, যতদূর দৃষ্টি যায়। চতুর্দিক কেমন খাঁখাঁ করছে। জনমানবের চিহ্ন নেই কোথাও।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

সে পূণরায় নিজের স্থানে বসল। পৃথুলার গালে হালকা চাপড় দিয়ে বার দুয়েক ডেকেও ব্যর্থ হলো। সারা রাত ধরে মেয়েটা সেন্সলেস। চিন্তার পারদ হুহু করে বাড়ছিল। সে হাত ঘড়িতে সময় দেখে নিল। ৬:৫০ মিনিট। পকেট থেকে ফোন বের করে দেখল নেটওয়ার্ক মাত্র এক দাগ। তবুও সে কিছুটা ভরসা পেল। অন্তত কল তো যাবে। সে শিমুলের নাম্বারে ডায়াল করল। ভাগ্য খারাপ। প্রথমবার কল গেল না। দ্বিতীয়বার একবার রিং হয়েই কেটে গেল। তৃতীয়বারে কল ঢুকল। ওপাশ থেকে শিমুল ঘুম জড়ানো কণ্ঠে বলল,

“আসসালামু আলাইকুম স্যার।”
আরশান তড়িঘড়ি করে বলল,
“ওয়া আলাইকুমুস-সালাম। আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনো শিমুল।”
“আপনার কথা ক্লিয়ারলি বুঝতে পারছি না স্যার। কেটে কেটে আসছে কথা।”
আরশান নিজ স্থান ছেড়ে বাইরে বের হলো। এরপূর্বেই তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে জঙ্গলে দৃষ্টি বুলিয়ে নিয়েছে। শিমুলের উদ্দেশ্যে বলল,

“হ্যালো? শিমুল? শুনতে পাচ্ছ?”
“জি, স্যার। বলেন।”
“আমি এবং পৃথুলা বিপদে পড়েছি। যেভাবেই হোক তুমি এখনই চলে আসো।”
শিমুল উৎকণ্ঠা নিয়ে জানতে চাইল,
“কী হয়েছে স্যার? কোথায় আছেন?”
“কোথায় আছি জানিনা। আমি লাইভ লোকেশন অন করছি। তুমি যত দ্রুত সম্ভব চলে আসো।”
“ওকে, ওকে স্যার।”

৯:৪৫ মিনিট
পৃথুলার জ্ঞান ফিরেছে। তার শিয়রে বসে আছে শিমুল। বিছানার পাশে রাখা চেয়ারটিতে কপালে হাত দিয়ে বসে আছে আরশান। পৃথুলাকে চোখ মেলে তাকাতে দেখে শিমুল আনন্দিত হয়ে বলল,
“থ্যাংকস গড! অবশেষে আপনার জ্ঞান ফিরল তাহলে।”
পৃথুলা ঘাড় ঘুরিয়ে নির্নিমেষ দৃষ্টিতে আরশানের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আরশান সেই দৃষ্টি উপেক্ষা করে শিমুলকে বলল,
“উনার খাবার দিয়ে যাও। আমি রুমে যাচ্ছি।”

শিমুলও আরশানের সঙ্গে রুম থেকে বেরিয়ে এলো। খাবার নিয়ে ফের যখন রুমে এলো তখন দেখতে পেল পৃথুলা জানালার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে আছে। শিমুল খাবারগুলো টি-টেবিলের ওপর রেখে বলল,
“ম্যাম, আপনার খাবার। নাস্তা খেয়ে স্যালাইন খেয়ে নিয়েন। ক্লান্তি দূর হবে।”
শিমুল চলেই যাচ্ছিল। পৃথুলা তখন পিছু ডেকে বসল।

“দাঁড়ান।”
দরজা অব্দি গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল শিমুল। জিজ্ঞেস করল,
“কিছু লাগবে?”
“উনি কোথায়?!
“কে? স্যার?”
“হ্যাঁ।”
“তার রুমে।”
“তাকে ডাকুন। কথা আছে আমার তার সাথে।”

“স্যার সম্ভবত এখন ফ্রেশ হচ্ছে। আপনি খেয়ে নিন। আমি স্যারকে বলছি আসতে।”
“আমি আগে তার সাথে কথা বলব।সেটা এখন মানে এখনই। সে যদি আসতে না পারে তাহলে আমি যাচ্ছিই তার রুমে।”
পৃথুলার জেদের কাছে পরাস্ত হয়ে শিমুল বলল,
“আপনি রেস্ট নিন। আমি স্যারকে ডেকে আনছি।”

পৃথুলা একটা কাঁটাচামচ নিয়ে বসে রইল চুপচাপ। মিনিট পাঁচেক পর শিমুল এবং আরশান রুমে এলো। পৃথুলা ওদেরকে দেখে বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেল। আরশান তাকিয়ে রইছে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে। পৃথুলার দৃষ্টি ভাসা, ভাসা। গতকালকের কথা সে এখনো ভুলতে পারছে না। কাঁপান্বিত কণ্ঠে সে জিজ্ঞেস করে,
“কে আপনি? আপনার আসল পরিচয় কী? কেন ওরা আমাদের পিছু নিয়েছিল?”
আরশান শীতল দৃষ্টিতে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে রইল পৃথু্লার দিকে।

“আমি চিনিনা ওদের।” আরশানের শান্তশিষ্ট জবাব।
“মিথ্যা বলবেন না একদম। যদি না-ই চেনেন তাহলে ওদেরকে দেখে কেন পালাচ্ছিলেন?”
“কারণ এর আগেও ওরা আমার ওপর আ-ক্র-ম-ণ করেছিল। পালানোর সবচেয়ে বড়ো কারণটাই ছিলেন আপনি। আমি চাইনি, আপনার কোনো ক্ষতি হোক। এসব নিয়ে আপনি শুধু শুধু টেনশন করছেন।”
“শুধু, শুধু? আমি আর এসব নিতে পারছি না। কেন আমাকে এভাবে আটকে রেখেছেন? যেতে দিন আমাকে। আমি এই গোলকধাঁধায় আর থাকতে পারব না।”

“সময় হলে ছেড়ে দেবো আগেও বলেছি। এখনো বলছি।”
“আমি আর কোনো সময়ের অপেক্ষা করতে পারব না। অতিষ্ঠ হয়ে গেছি আমি। আমাকে আমার বাড়িতে দিয়ে আসেন।”
“আমার যা বলার একবারই বলে দিয়েছি। ভীষণ টায়ার্ড আমি। পরে কথা বলব।”
আরশান চলে যাওয়ার জন্য দু’কদম পা বাড়াতেই পৃথুলা কাঁটাচামচ দিয়ে নিজের হাতে আ’ঘা’ত করে। যন্ত্রণায় মৃদু আর্তনাদ করে ওঠে সে। এমন আকস্মিক কান্ডে শিমুল নিজেও হকচকিয়ে যায়। বিস্মিতস্বরে বলে,

“এটা কী করলেন আপনি!”
পৃথুলা দাঁতে দাঁত পিষে বলে,
“আমাকে বাসায় যেতে দিন।”
আরশান ফিরে তাকাল পৃথুলার দিকে। রাগে তার মাথায় র-ক্ত যেন টগবগ করছিল। রাগ সংবরণ করতে না পারে সে উত্তেজিত হয়ে পৃথুলাকে থা-প্প-ড় দেওয়ার জন্য হাত উঠিয়েও আবার নিজেকে সংবরণ করে নেয়। রাগে, জিদ্দে সে কোনো কথা বলার ভাষাই হারিয়ে ফেলেছে। পৃথুলার সামনে থাকলে আর কতক্ষণ জেদ ধরে রাখতে পারবে সে জানে না। তাই রুম থেকে বেরিয়ে গেল। শিমুল তৎক্ষণাৎ গিয়ে ফাস্টএইড বক্স নিয়ে এলো।

“দেখি হাতটা দিন। ব্যান্ডেজ করে দেই।” বলল শিমুল।
পৃথুলা তার রাগ বজায় রেখেই বলল,
“না।”

শিমুল তার বারণ শুনল না। জোর করে হাত ধরে চেয়ারে বসাল। তুলা দিয়ে র-ক্ত পরিষ্কার করতে করতে বলল,
“জেদ থাকা ভালো। তবে এতটাও নয়। কেন এমন আচরণ করছেন বলুন তো? আপনি আমার ছোটো বোনের মতো। আপনাকে আমি কোনো মিথ্যা কথা বলব না। যখন আমি আপনাকে আর স্যারকে জঙ্গল থেকে আনতে গেলাম তখন স্যারকে কতটা করুণ দেখাচ্ছিল জানেন?

সে আপনাকে নিয়ে ভীষণ চিন্তিত ছিল। বারবার আমায় বলছিল, আপনার কিছু হবে না তো! সেই গভীর জঙ্গল থেকে রাস্তা অব্দি স্যার আপনাকে কোলে করে নিয়ে এসেছিল। গাড়িতেও আপনাকে সে একা ছাড়েনি। আমি স্যারের সঙ্গে থাকি পাঁচ বছর ধরে। কখনো তাকে এতটা উদাস, চিন্তিত হতে দেখিনি যতটা আজ দেখেছি। এর কারণটা কি জানেন? আপনি! আপনাকে নিয়ে সে ভয় পাচ্ছিল। আর আপনি তাকে এভাবে এতগুলো কথা শোনালেন। নিজের হাত কা-ট-লে-ন। স্যারের এসব পাগলামি পছন্দ নয়। দয়া করে আর এরকমটা করবেন না।”

পৃথুলা স্তব্ধ। শিমুল তার হাত ব্যান্ডেজ করে উঠে দাঁড়াল। চলে যাওয়ার পূর্বে বলল,
“একজন ভাই হয়ে অনুরোধ করছি, খাবারটা খেয়ে নিন প্লিজ! খাবেন তো?”
পৃথুলা স্মিত হাসল। এর অর্থ সে খাবে। প্রত্যুত্তরে শিমুলও সৌজন্যমূলক হাসি দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। পৃথুলার আরশানের জন্য ভীষণ খারাপ লাগছিল। মানুষটা তাকে নিয়ে এত ভাবে। আর সে কিনা এতগুলো কথা শুনিয়ে দিল! একটা সূক্ষ্ম অপরাধবোধ তার অন্তঃকোণে চিনচিনে ব্যথার প্রশমন ঘটাচ্ছিল।

সারাদিন তার সময় কাটল রুমে শুয়ে-বসে। এমনিতে সে প্রতিদিন ড্রয়িংরুমে যায়। তবে আজ যায়নি। আরশানকেও আর দেখেনি। এখানে সে থাকে বেশিদিনও হয়নি। তাও আবার তাকে কি-ড-ন্যা-প করে আটকে রাখা হয়েছে। অবশ্য এখন আর পৃথুলার সেরকমটা মনে হয় না। সে তো দিব্যি মুক্ত। নিজের মতো খাচ্ছে-দাচ্ছে, ঘুমাচ্ছে। শুধু ফোনটাই নেই তার কাছে। এই বাংলো বাড়িটা তার নিজের বাড়ি হয়ে গেছে প্রায়। প্রতিটা আনাচ-কানাচে তার পরিচিত। রুমের ভেতর থাকতে থাকতে দম আটকে আসছিল। উঁকি দিয়ে দেখে শিমুল এবং আরশান এখন ড্রয়িংরুমে। সেও সেখানে এলো। তবে মুখখানা গম্ভীর। বলা বাহুল্য, পুরোটাই তার নাটক। তাকে দেখে শিমুল বলল,

“আপনি এসেছেন! আমি এখনই যেতাম আপনার কাছে।”
পৃথুলা আরশানের দিকে তাকিয়ে দেখল আরশান একদম নির্বিকার। তার দৃষ্টি ল্যাপটপের স্ক্রিনে। তাই পৃথুলা গম্ভীরসুরে বলল,
“কেন?”
“বার্গার দিতে। এই নিন।” একটা বার্গার শিমুল পৃথুলার দিকে এগিয়ে এলো।
পৃথুলা বার্গার নিয়ে সোফায় আধশোয়া হয়ে বসল। সে বার্গার খেতে খেতে গান গাইছে,

“আমি বঁধু সেজে থাকব
তুমি পালকি নিয়ে এসো,
শুভদৃষ্টির বিনিময়ে
তুমি মিষ্টি নিয়ে এসো।”
শিমুল আরশানের সঙ্গে ল্যাপটপে কোনো একটা কাজের ছক দেখছিল। পৃথুলার ভুলভাল গানের লিরিক্স শুনে কিছুটা হলেও কাজে ব্যাঘাত ঘটে। সে গলা ঝেড়ে কেশে বলে,

“মিষ্টি নিয়ে এসো নয়, মিষ্টি করে হেসো হবে।”
পৃথুলা খেঁকিয়ে উঠে। সোজা হয়ে বসে বলে,
“মিষ্টি করে হাসলে আমার লাভ কী? মিষ্টি নিয়ে এলেই না আমার লাভ। আমার মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করছে।”
“এখন?”
“হ্যাঁ। এখনই।”
আরশান ল্যাপটপের স্ক্রিনেই চোখ রেখে বলল,

“কাল সকালে এনে দেবো।”
“কিন্তু আমার এখন খেতে মনে চেয়েছে।”
“এক রাত অপেক্ষা করা কঠিন কোনো ব্যাপার নয়।”
“কঠিন নয় মানে কী? মানুষের জীবনের এক সেকেন্ডেরই তো ভরসা নেই।”
আরশান এবার চোখ তুলে চাইল। বলল,
“এর মানে আপনি বলতে চাইছেন, আজ রাতেই আপনি ম-রে যেতে পারেন?”
পৃথুলা কাঁধ নাচিয়ে বলল,

“ম-র-তে-ও পারি। বিশ্বাস কী?”
আরশান হাত ঘড়িতে সময় দেখল। রাত আটটা বাজে। খুব একটা রাত না হলেও এই জঙ্গলে এখন অনেক রাত-ই। সে শিমুলের উদ্দেশ্যে বলল,
“তুমি থাকো। আমি যাচ্ছি।”
শিমুল অবাক হলো। বিস্ময়াভিভূত হয়ে বলল,
“এই সময়ে আপনি বাইরে যাবেন?”
“হ্যাঁ। আমি চাই না কেউ রাতে আফসোস নিয়ে ম-রু-ক।”
“আপনি কী বলতে চাইছেন? আমি কি ইচ্ছে করে ম-র-ব বলেছি নাকি? বলেছি যে, ম-র-তে-ও তো পারি।” রুদ্ধশ্বাসে বলল পৃথুলা।

শিমুল আরশানকে বাঁধা দিয়ে বলল,
“আমি যাচ্ছি স্যার। আপনি এখানে থাকুন।”
পৃথুলা গম্ভীর হয়ে বলল,
“আপনার তো জ্বর! আপনার যেতে হবে না। আর আপনার স্যারকেও বলে দিন, এই সময়ে বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। পৃথুলা একটু মাথা খারাপ স্বভাবের হতে পারে কিন্তু মোটেও দয়ামায়াহীন নয়। যথেষ্ট মায়া আছে মনের ভেতর। কাল সকালে এনে দিলেই হবে।”
আরশান শূন্য দৃষ্টিতে একবার তাকিয়ে নিজের রুমের দিকে পা বাড়াল। পৃথুলার দৃষ্টির আড়ালে তার ঠোঁটে প্রস্ফুটিত হলো মুচকি হাসি।

বিঃদ্রঃ পর্ব ছোটো হয় বলে আপনারা অভিযোগ করেন। কিন্তু আপনারা কি জানেন, এই ছোটো পর্ব লিখতেই আমাকে কত কষ্ট করতে হয়? সারাদিন অফিস, রোজা করে কার লেখার মতো এনার্জি বা মানসিকতা থাকেন বলেন তো? তবুও আমি চেষ্টা করি লেখার। ২/৩/৪দিন এমনকি এক সপ্তাহ্ও অনেক সময় পার হয়ে যায় গল্প দিতে। এই গ্যাপটা কিন্তু ইচ্ছে করে দেই না। সময়ের স্বল্পতায় গ্যাপ পড়ে যায়।

ব্যস্ত সময় কাটিয়েও আমি লেখার চেষ্টা করি কারণ আমি লিখতে ভালোবাসি। আমার ভালো থাকার অনেক কারণ এই লেখালেখিতে মিশে আছে। তাই চেয়েও সম্ভব হয়নি দূরে থাকা। ঘুরে-ফিরে আপনাদের কাছেই ফিরে আসি। সারাদিন পরিশ্রম করে লেখার পর গল্প আপলোড করার পর যখন আপনাদের অভিযোগ দেখি,’এতদিন পর গল্প দিলেন, তাও এত ছোটো পর্ব!/ গল্প না দিলেও তো পারতেন/ এত ছোটো পর্ব দিলেন!’

মহাপ্রস্থান পর্ব ৭

এসব মন্তব্য দেখলে সত্যিই খুব মন খারাপ হয়। আমার মনে হয়, আমি আমার যথেষ্টটা হয়তো আপনাদের দিতে পারছি না। ঠিক তখনই ইচ্ছে হয়, এখানেই থেমে যাই। আপনারা যদি উৎসাহ দেওয়ার পরিবর্তে নিরুৎসাহিত করেন তাহলে লিখব কীভাবে বলেন তো? আর কাদের জন্যই বা লিখি? আপনাদের জন্যই তো তাই না? আমার দিকটাও একটু বোঝার চেষ্টা করুন প্লিজ!
অনেক, অনেক ভালোবাসি আপনাদের।]

মহাপ্রস্থান পর্ব ৯