রংধনুর স্নিগ্ধতা পর্ব ১৫

রংধনুর স্নিগ্ধতা পর্ব ১৫
নবনী নীলা

এমন সুন্দর একটা জায়গা কিন্তু জনমানবহীন, দেখতে বড়ই অদ্ভূত লাগছে।সুন্দর জায়গায় মানুষের হইচই কলরবে ভরে থাকাটাই মানাসই। গাজীপুরের এই রিসোর্টটা এমন জনমানবহীন হওয়ায় খুব বেশি অবাক হয় নি স্নিগ্ধা। আবরার ফাইয়াজ বলে কথা তার জন্যে এইসব তো খুবই সামান্য বিষয়। জনমানবহীন এমন পরিবেশে থাকতে থাকতে স্নিগ্ধা বিরক্ত।

বিশাল এক গাছের চারিপাশে উচুঁ করে চারিদিক রেলিং দিয়ে বানানো বৈঠক খানায় দাড়িয়ে আছে স্নিগ্ধা। সিড়ি বেয়ে উচু জায়গায় উঠে এইবার তার ভালো লাগছে একটু। এখান থেকে পুরো রিসোর্টটা দেখা যাচ্ছে। একপাশে বিশাল এক লেক সেখানে পা দিয়ে চালিত বোট রয়েছে। লেকের পাশে পুকুর পাড়ের মতন সিড়ি রয়েছে বসার জন্যে জায়গা রয়েছে। স্নিগ্ধা যেখানে দাঁড়িয়ে আছে তার পাশে রয়েছে বিশাল মাঠ আর কিছুদুর পর একেকটা কুটির।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আদিল এতক্ষণ অভ্রর সাথে ছিলো। অভ্রর খিদে পেয়েছে তাই সে এখন জিমের সাথে ফুডকোডে।
স্নিগ্ধাকে অনেক্ষন হয়েছে আদিল দেখছে না। এখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে। আদিল খুজতে গিয়ে দেখলো স্নিগ্ধা রেলিং ধরে এক পাশে চুপটি করে দাড়িয়ে আছে। কি হয়েছে মেয়েটার? কেমন অন্যরকম আচরণ করছে! সাড়া রাস্তায় একটাও কথা বলেনি আর এইখানে এসেও চুপচাপ। যদিও এই মেয়ে সবসময় চুপচাপ থাকে তবে আজকে কেমন অন্যরকম লাগছে।

আদিল সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে আসলো। তারপর এগিয়ে যেতেই খেয়াল করলো পড়ন্ত বিকেলে এই হিমশীতল হাওয়ায় স্নিগ্ধার কৃষ্ণ কালো চুলগুলো থেমে থেমে বাতাসের সঙ্গে দুলছে। আর আনমনে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে স্নিগ্ধা।
আদিল বড় গাছটির সঙ্গে পিঠ ঠেকিয়ে কিছুক্ষণ নিশ্চুপে তাকিয়ে রইলো স্নিগ্ধার দিকে। স্নিগ্ধা আদিলের হটাৎ এই আগমন ঠিক টের পায় নি।

শীতল বাতাসের কারণে কেমন ঠান্ডা ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে তার। স্নিগ্ধা দু হাতে দুই বাহু জড়িয়ে ধরলো, ঠান্ডায়। তার কয়েক মুহূর্তপর কেউ যেনো তাকে উষ্ণ ভালোবাসায় জড়িয়ে দিলো। স্নিগ্ধা হকচকিয়ে পাশে তাকালো, আদিল শান্ত দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে। স্নিগ্ধা নিজের গায়ে জড়ানো এই লেদারের জ্যাকেট দেখে বুঝতে পারলো আদিল হয়তো বেশ কিছুক্ষন ধরে এইখানেই ছিলো।

স্নিগ্ধা কিছু একটা বলতে গিয়েও থেমে গেলো। পুনরায় দৃষ্টি সামনে স্থির করতেই আদিল ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো,” কি হয়েছে তোমার? কি এতো ভাবছো?” বলতে বলতে আদিল বুকের কাছে হাত ভাজ করলো।
স্নিগ্ধা মলিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,” ভাবছি তো অনেক কিছুই কিন্তু ভেবে কি লাভ হচ্ছে বলুন? সবকিছু যেনো আরো অস্পষ্ট লাগছে।” গলার স্বর ভারী হয়ে এলো স্নিগ্ধার।

আদিল কিছু একটা আগেই আন্দাজ করে রেখেছে তাই কথার মোড় ঘুরিয়ে বললো,” আমাকে নিয়ে এতো ভাবছো কেনো? ভালোবেসে ফেলেছো আমায়?” বলতে বলতে হাতের ভাজ ছেড়ে দাড়ালো সে।
স্নিগ্ধা ভাবলেশহীন ভাবে বললো,” আপনি অত্যন্ত চালাক প্রকৃতির একজন মানুষ। আপনাকে নিয়ে ভাবতে গেলো আমার মনে কখনো ভালোবাসা জন্মায় না। তখন শুধু রাগ আর ক্ষোভ জন্মায়। কি বলুন তো? আপনাকে আমার পক্ষে ভালোবাসা সম্ভব না।”

এইকথা গুলো যেনো আদিলের মাথায় চড়ে বসলো। চোয়াল শক্ত করে তাকিয়ে রইল স্নিগ্ধার দিকে। তারপর হুট করে স্নিগ্ধার এক হাত ধরে অন্য হাতে কোমড় জড়িয়ে একদম নিজের কাছে নিয়ে এলো। আদিলের হটাৎ এমন আচরণে ভ্যাবাচেকা খেয়ে তাকালো স্নিগ্ধা। এতো রেগে গেছে কেনো আদিল? সে তো মিথ্যে কিছু বলে নি। সত্যিই তো বলেছে, এমন চলতে থাকলে তার পক্ষে এই সম্পর্কটা স্বাভাবিক রাখা সম্বব হবে না। আদিল স্নিগ্ধার চোখে দিকে তাকিয়ে গভীর গলায় প্রশ্ন করলো,” কেনো? আমাকে ভালোবাসা যাবে না কেনো?”

স্নিগ্ধা নিজেকে শান্ত করে বললো,” আমি একটি সাধারণ মেয়ে, মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার জন্ম। অন্য মেয়েরা আপনার আভিজাত্য, আপনার স্টাইল, স্ট্যাটাস দেখে আপনার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়তে পারে। কিন্তু আমি এইভাবে ভালোবাসতে শিখি নি। আমার কাছে মনটাই প্রাধান্য পায়, বাইরের চাকচিক্য নয়। আপনাকে আমি কতটুকুই বা চিনি। যেটুকু চিনেছি সবটাই তো আপনার চতুরতা। আমার প্রতিটা প্রশ্ন আপনি এড়িয়ে গেছেন, কিংবা আমাকে থামিয়ে দিয়েছেন।”

আদিল তপ্ত এক নিশ্বাস ফেলে চোখ বন্ধ করলো। স্নিগ্ধার প্রতিটা কথা তার মনকে অস্থিরতায় ভরিয়ে দিয়েছে। স্নিগ্ধা কি সত্যি তাকে এতো জঘন্য মনে করে? এমনটা সে কখনো ভাবেনি। আদিল ব্যাথাতুর
চোখে বললো,” কি জানতে চাও? বলো। তোমার সব প্রশ্নের উত্তর দিবো আজ।”

স্নিগ্ধা অবাক হয়ে আদিলের দিকে তাকালো। তার বলা কথা গুলো আদিলের উপর এতটা প্রভাব ফেলবে সে বুঝতে পারেনি। সে কি খুব বেশি বলে ফেলেছে? কিন্তু মিথ্যে কিছু তো সে বলেনি।
স্নিগ্ধা অবাক চাওনিতে প্রশ্ন করলো,” সত্যি! বলবেন?”

আদিল আরেকটু কাছে এসে ভারী গলায় বললো,” হুম, বলবো। বলো,কি জানতে চাও?” বলতে বলতে স্নিগ্ধার চোখের দিকে তাকালো। আদিলের সে চাউনিতে স্নিগ্ধা ভরসা খুঁজে পেলো। আজ হয়তো সে তার প্রশ্নের জবাব পাবে। আদিলের এমন চাউনিতে স্নিগ্ধা অনেকটা শান্ত হয়ে গেলো ঠিকই কিন্তু হৃদ কম্পন বেড়ে গেলো।
স্নিগ্ধা একটা ঢোক গিলে বললো,” ফাহাদ রেজওয়ান কে?”

ফাহাদ রেজওয়ান নামটা আদিলের কানে আসতেই আদিল ভ্রু কুঁচকে ফেললো এক মুহূর্তের জন্যে মনে হলো সে হয়তো ভুল শুনেছে। আদিল চোয়াল শক্ত করে জিজ্ঞেস করলো,” কার নাম বললে?”

স্নিগ্ধা হটাৎ আদিলের এই আচরণে থমকে গেলো। তারপর থেমে থেমে বললো,” ফাহা..দ রেজ..ওয়ান।” বলে শেষ না করতেই কোমরের কাছে নখের চাপ অনুভব করে ব্যাথায় চোখ বন্ধ করে ফেললো স্নিগ্ধা তারপর চোখ খুলে আদিলের দিকে তাকাতেই দেখলো নামটা শুনে কেমন হিংস্র হয়ে উঠেছে সে। আদিল খুব জোড়ে তার কোমড় চেপে ধরেছে, ব্যাথায় স্নিগ্ধা নিজেকে ছাড়াতে ব্যাস্ত হয়ে বললো ” কি করছেন কি? আমার ব্যাথা..?” বাকিটা বলার আগেই আদিল স্নিগ্ধাকে একদম নিজের কাছে এনে বিস্ফোরিত কণ্ঠে বললো,” কি করে জানো তুমি এই নাম? তুমি চিনো ওকে? কীভাবে এই নাম জানলে তুমি?”

আদিলের এমন আচরণে কেপে উঠলো স্নিগ্ধা। স্নিগ্ধা চোখ বন্ধ করে ব্যাথাতুর কণ্ঠে বললো,” ছাড়ুন আমায় আমার লাগছে।” কথাটা বলার পর মুহূর্তেই তার কোমরের বাঁধন একটু সহজ হলো। স্নিগ্ধা আস্তে করে চোখ খুলে তাকিয়ে দেখলো, আদিল কঠিন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে। স্নিগ্ধাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আদিল তীক্ষ্ণ গলায় বললো,” চুপ করে আছো কেনো? কিভাবে চিনো ওকে? ফাহাদ রেজওয়ানকে কিভাবে চেনো তুমি? বলো।”

স্নিগ্ধার ভীষন রাগ হলো। এমন আচরণ করছে কেনো আদিল তার সঙ্গে। স্নিগ্ধা কোনো কথা বললো না মুখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে নিজেকে ছাড়াতে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো। কিন্তু কোনো লাভ হলো না আদিল বাঁধন আরো শক্ত করে কঠিন গলায় বললো,” বৃথা চেষ্টা করো না। আমার প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া পর্যন্ত তোমাকে আমি কোথাও যেতে দিবো না।”

স্নিগ্ধা তীক্ষ্ণ চোখে তাকালো তারপর বললো,” ওনাকে যদি আমি চিনতাম তাহলে নিশ্চয়ই আপনাকে প্রশ্ন করতাম না। বলুন, ফাহাদ রেজওয়ান কে? আপনাকে দেখে তো মনে হচ্ছে খুব ভালো করেই চিনেন।”

আদিল স্নিগ্ধার একদম কাছে গিয়ে কঠিন দৃষ্টিতে স্নিগ্ধার দিকে তাকিয়ে বললো,” এই নামটা যেনো আমি দ্বিতীয়বার তোমার মুখে না শুনি।” স্নিগ্ধা ভীষন রেগে গিয়ে বললো,” কেনো? আমায় কি আপনার কথামত…” বাকিটা বলার আগেই আদিল শীতল দৃষ্টিতে তাকালো তারপর স্নিগ্ধার খুব কাছে এসে ঠোঁটের ওপরে আঙ্গুল ছুঁইয়ে স্নিগ্ধাকে চুপ করিয়ে দিলো। তারপর ঠোঁটের চারপাশে আঙ্গুল ছুঁইয়ে দিতেই
স্নিগ্ধা থমকে তাকালো। আদিলের চোখে চোখ পড়তেই চোখ বন্ধ ফেললো সে।

আদিলের এমন আচরণে স্নিগ্ধা সঙ্গে সঙ্গে নিস্তব্ধ হয়ে গেলো। ঘনো ঘনো নিশ্বাস ফেলতে লাগলো। হৃদকম্পন বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেলো। ঠোঁট কাপতে লাগলো তার। স্নিগ্ধা আদিলের শার্টের অংশ খামচে ধরলো। স্নিগ্ধা একেবারে শান্ত আর নিবিড় হয়ে যেতেই আদিল ঠোঁটের উপর থেকে আঙ্গুল সরিয়ে নিচের ঠোঁট ভিজিয়ে শীতল কণ্ঠে বললো,” সময় এলে আমি নিজেই তোমাকে সবটা বলবো। কিন্তু অন্যের কথায় আমাকে ভুল বুঝো না।” স্নিগ্ধা চোখ খুলে তাকালো তারপর আদিলের চোখের দিকে তাকিয়ে ঢোক গিললো।

আদিল আর কোনো কথা না বলে স্নিগ্ধার এক হাত ধরলো তারপর সিড়ি বেয়ে নেমে এলো।
স্নিগ্ধার কথা বলার কোনো উপায় নেই। আদিল তাকে ভয়াবহ লজ্জায় ফেলেছে। যার কারণে কিছুক্ষণ পর পর সে শিউরে উঠছে।

জিম স্নিগ্ধার কল লিস্ট চেক করতে ব্যাস্ত কিন্তু রিসোর্টের নেটওয়ার্ক দুর্বল হওয়ার কারণে ওয়েবসাইড অনেক সময় নিচ্ছে। জিম বেশ বিরক্ত হচ্ছে। আজ রাতেই তাকে সবটা জানতে হবে। তার ধারণা মতে স্নিগ্ধার ফোনেই ফাহাদ কল করেছে। কল করা ছাড়া যোগাযোগের কোনো উপায় নেই স্নিগ্ধার সাথে। ফাহাদ ঠিক কি ফাঁদ পাতার চেষ্টায় আছে সেটাই তাকে বের করতে হবে। কিন্তু এই নেটওয়ার্কের ঝামেলায় সেটা কি আজ সম্ভব হবে?

জিম বিরক্ত হয়ে উঠে দাড়ালো। সঙ্গে সঙ্গে তার ফোন বেজে উঠলো। জিম নিজের ট্রাউজারের পকেট থেকে ফোনটা বের করে দেখলো অচেনা নাম্বার। নিজের কাজেই জিম ফোনে এমন একটা অ্যাপ নামিয়ে রেখেছে যা দিয়ে অচেনা নাম্বার হলেও আসল নাম কয়েক সেকেন্ডেই বের করা যাবে। জিম অ্যাপটা চেক করে ফোনটা রিসিভ করলো সঙ্গে সঙ্গে তার কানে মেয়েলি একটা কণ্ঠ ভেসে এলো। ওপাশ থেকে বললো,” আফনে কি জিম জুবায়ের?”

জিম ভ্রু কুঁচকে বললো,” হুম, কিন্তু আপনার কি দরকার?”
ওপাশ থেকে ফিক করে হাসির আওয়াজ এলো তারপর মেয়েটি বললো,” আমি ফুলবানু , তুমি আমারে চিনসো?”
জিম ঠোঁট চেপে নিজের হাসি থামিয়ে বেশ তাল মিলিয়ে বললো,” বাহ্, আকিকা করে এক দিনে নাম বদলে ফেলেছো? ভেরি গুড। ফুলবানু নামটা তোমাকেই মানায়।”

স্পৃহা দাতে দাত চিপে ভ্রু কুঁচকে ফোনের দিকে তাকালো। আওয়াজ শুনেই চিনে ফেলেছে। রোবটমানব কি সাধে বলি। স্পৃহা গলার স্বর স্বাভাবিক করে বললো,” একদম আজে বাজে কথা বলবেন না।”
জিম পাল্টা জবাবে বললো,” অবশ্যই বলবো। এতো রাতে ফোন দিয়ে ডিস্টার্ব করলে তো আজে বাজে কথা শুনতেই হবে।”

” এই আপনি কোন সেলিব্রিটি যে আপনাকে আমি ডিস্টার্ব করতে যাবো? কি ভাবেন নিজেকে? আমি দরকারে ফোন দিয়েছি।”, গর গর করে বললো স্পৃহা।

জিম ভ্রু কুঁচকে হাতের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল,” রাত একটায় তোমার আমাকে দরকার পড়লো কেনো?”
স্পৃহা একটু চুপ করে গেলো তারপর হাতের নখ কামড়াতে শুরু করলো। কি বলবে এইবার? সে তো এমনেই বিরক্ত করতে কল করেছে। স্নিগ্ধা মুখ থেকে হাত নামিয়ে বললো,” আপুকে আপনি ফুল দিয়েছেন কিনা সেটা জানতেই কল করেছি।”

জিম অবাক হয়ে বললো,” এতো রাতে?”
স্পৃহা বললো,” কারণ এর আগে কথাটা আমার মাথাতে আসে নি তাই।”
জিম বিরক্তি নিয়ে বললো,” তো নিজের বোনকে ফোন করলেই পারতে।”

রংধনুর স্নিগ্ধতা পর্ব ১৪

স্পৃহা রেগে গিয়ে বললো,” আমি কি বেয়াক্কেল নাকি? এতো রাতে ফোন দিয়ে ওদের রোমান্সে ডিস্টার্ব করতে যাবো?”
জিম তীক্ষ্ণ গলায় বলল,” এই তোমার লজ্জা করছে না এইগুলো বলতে?”
স্পৃহা অবাক হয়ে বললো,” লজ্জার কি আছে? নতুন বিয়ে হয়েছে বর বউ এতো রাতে রোমান্স করবে, এইটাই তো স্বাভাবিক। আশ্চর্য! এতে লজ্জার কি আছে?” স্পৃহার কথা শুনে জিম হতভম্ব হয়ে ফোনের দিকে তাকালো।

রংধনুর স্নিগ্ধতা পর্ব ১৬