রংধনুর স্নিগ্ধতা পর্ব ৩৯

রংধনুর স্নিগ্ধতা পর্ব ৩৯
নবনী নীলা

আদিল কিছুটা অন্যমনস্ক হয়ে আছে। অন্যমনস্ক হয়েই সে গাড়ি চালাচ্ছে, একটা চিন্তা তার মাথায় এমনভাবে বসে আছে সে কিছুতেই তা বের করতে পারছে না। ফাহাদ নিশ্চয়ই ডায়রিটা পড়ার পর অভ্র কথা জেনে গেছে। এরপর ফাহাদ যদি আরও হিংস্র হয়ে ওঠে তাহলে? যদি অভ্রকে নিয়ে যেতে চায়? আদিল কোনোভাবেই সেটা হতে দিবেনা। অভ্রর ভবিষ্যৎ নিয়ে হেলাফেলা করার কোন অধিকার নেই কারোর। আদিল মানছে তার বাবা ফাহাদের সাথে অন্যায় করেছিল, কিন্তু সেই ভুলের মাশুল তার বাবাকে এখনো গুনতে হচ্ছে।

কিন্তু একথাও তো কোন ভাবে অস্বীকার করা যায় না যে ফাহাদ এতদিন যা অন্যায় করেছে যেসব হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে সবকিছুই তার নিজের ইচ্ছায় ।তাই পিছনের কথা ভেবে বর্তমানকে ভুলে যাওয়া যায় না।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আদিল মনেপ্রাণে চাইছে হাসপাতালে গিয়ে যেন ফাহাদ কে তার দেখতে না হয়। আদিলের জানামতে কাল রাতে ফাহাদের পালানোর কথা ছিল। ফাহাদ যদি পালিয়ে গিয়ে থাকে তাহলে আদিলের ভয় কিছুটা কমবে। তাই সে সবটা জানা সত্ত্বেও পুলিশ কে কিছুই বলেনি। কিন্তু ফাহাদ যদি পালিয়ে গিয়ে না থাকে তবে তার উদ্দেশ্য একটাই অভ্র কি কেড়ে নেওয়া। সবকিছু যেন আদিল হাসপাতালের দিকে রওনা হয়েছে শুধুমাত্র স্নিগ্ধার অনুরোধে। স্নিগ্ধাকে আর কোন কষ্ট দিবে না আদিল। সে চায়না স্নিগ্ধা তাকে হৃদয়হীন বলে ভাবুক। তাই জীমকে বলে আদিল আগে থেকে সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

হাসপাতালের সামনে সংখ্যাধিক পুলিশ দেখে আদিল ভ্রু কুঁচকে গাড়ি থামালো। স্নিগ্ধা অভ্র কোলে নিয়ে বসে ছিল এত ভিড় দেখে সেও আগ্রহ নিয়ে বাইরে তাকালো। আদিল দেরি না করে সিট বেল্ট খুলে গাড়ি থেকে বের হলো। স্নিগ্ধাও নামতে চাইলো কিন্তু আদিল বলল,” একদম না; তুমি গাড়িতে বসো আমি দেখছি কী হয়েছে।”
স্নিগ্ধা নামে যাওয়ার সাহস পেলো না।সে গাড়িতে বসেই বাইরে কি হচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা করলো। আদিল এগিয়ে যেতেই তাদের পিছনের গাড়ি থেকে জিম নামলো।
হাসপাতালের সামনে যেতেই পুলিশ অফিসার শফিকুল ইসলামের সাথে দেখা হলো আদিলের। বেটে মোটা ও মাথায় টাক পড়া খুবই ভীতু চেহারার লোক অফিসার সাহেব। আদিলকে দেখেই তিনি একটু সতর্ক হলেন। আদিল চিন্তিত মুখের চারপাশে একবার তাকিয়ে অফিসার কে বলল,” কি ব্যাপার! এত অফিসার এখানে কেনো?”

শফিকুল সাহেব একটা ঢোক গিলে আদিলের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়ে বললেন,” খুবই আশ্চর্যজনক ঘটনা বুঝলেন এর আগে এমন কেস দেখি নাই।
সিআইডি ও আসছে ওনারাও কিছু বলতে পারে না।”
অফিসার সাহেব কথা বলতে বলতেই জিম এসে উপস্থিত হলো। আদিল ভীষণ বিরক্ত নিয়ে অফিসার কে বলল,” আপনি নিজেই বুঝতে পারছেন না, তাহলে জনগণকে কিভাবে আপনি সাহায্য করবেন?”

শফিকুল সাহেব সৌজন্যমূলক হাসলেন তারপর বললেন,” ঘটনায় কি সেটা তো আগে শুনেন তারপর বলবেন যে আপনি বুঝছেন কিনা? আপনি যদি বুঝেন ঘটনা শুনে তাহলে আমার একটু বুঝায় দিয়েন ভাই।”
আদিল আর জিম এক অপরের দিকে তাকালো অফিসারকে এখন তাদের দুজনেরই বিরক্তিকর লাগছে। লোকটা কেমন হেলাফেলা করছে বিষয়টাকে নিয়ে।
অফিসার দুলতে দুলতে বললেন,” শোনেন, কালকে মধ্যরাতে হাসপাতালের একজন নার্সের ফোন পাই। আমাদের একজন অফিসার এখানে ছিলেন, তিনি মধ্যরাতে ঘুমিয়ে পড়ছিলেন। তো আমি কল করার পর তখনি ছুটে হাসপাতালে আসি। এসে তো মনে করেন যে পুরা অবাক। হাসপাতালে পিছনের দিকে একটা মাল ভর্তি ট্রাক অনেকক্ষণ যাবৎ নাকি ছিল সন্দেহজনক কয়েকজনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। খবর শুনে আরো অফিসার আনলাম, আমরা যেরকম হুট করে এসে পড়বো ওরা তো বুঝতে পারেনি তারপর নানান কথা বলে পালাবার চেষ্টা করে যাই হোক আমরা ধরলাম তাদেরকে।

তখন কিছুটা সন্দেহ হয় আমরা উপরে আসি।ফাহাদ রেজওয়ানের রুম ভেতর থেকে বন্ধ। অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স এনে হাসপাতালে চারিপাশ ঘেরাও করলাম তৎক্ষণাৎ, যাতে পালাতে না পারে। দরজা ধাক্কাধাক্কি করলাম পরে উপায় না পেয়ে দরজা ভেঙে ফেললাম। দরজা ভাইঙ্গা আমরা নিজেরাই ব্যাক্কল হইয়া গেছি। লোকটা রুমের ভিতরে একটা ডায়রি কোলে নিয়ে আকাশ দেখেন। না মানে আপনারাই বলেন রাতের তিনটা চারটা বাজে এরকম ফাইজলামির কোন মানে আছে? এরপর আমাদের সহকারী অফিসার মনে করলেন যে ডায়রিটাতে কোন সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যেতে পারে। এরপর ডায়েরীটা নিতে গিয়ে কিযে সর্বনাশটা আজ ঘটে গেলো! আগে জানলেতো ডায়েরিতে হাতই দিতাম না। উন্মাদের মতো লোকটা যে কি করলো শুধু ডায়েরিতে হাত দেওয়ার পরপরই ভাঙচুর শুরু করে। তারপর আরো অস্থির হয়ে পরে। ডাক্তার এসে লোকটারে কত কিছু করে শান্ত করার চেষ্টা কিন্তু শত চেষ্টা করেও আমরা হাত থেকে ডায়রিটা নিবার পারলাম না। বলেই অফিসার থামলেন। চুপ করে সামনে তাকালেন। অফিসারের দৃষ্টি লক্ষ্য করে আদিল কঠিন কন্ঠে বলল,” কি দেখছেন আপনি?”

অফিসার হেসে উঠে বললেন,” আপনার ওয়াইফ এসেছেন? ওনাকে একটু জিজ্ঞাসাবাদ করতাম আর কি। গতকাল রাতে তো উনি এসে দেখা করে গেছেন। সিসিটিভিতে তো আমরা অনেকেই দেখেছি দেখা করতে গতকাল।তাই জিজ্ঞাসা করার ছিলো।”
আদির বিরক্তি নিয়ে বললো,” আপনি থামুন। আপনার সিনিয়র অফিসার কোথায় আমি তার সাথে কথা বলতে চাই?”
শফিকুল সাহেব থমথমে মুখ করে সেখান থেকে চলে গেলেন। আদিল দুই হাত কোমরে রেখে ফোস করে নিঃশ্বাস ছাড়লো। জিম এসে বলল,” আপনি কোনো চিন্তা করবেন না আমি কথা বলে পুরো বিষয়টা জেনে আপনাকে জানাচ্ছি।” বলেই জিম এগিয়ে গেলো।

স্নিগ্ধা আর অপেক্ষা করতে পারছে না। গাড়িতে বসে সে স্পস্ট দেখতে পাচ্ছে আদিল বেশ চিন্তিত। স্নিগ্ধা অভ্রকে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়লো। অভ্র এত ভিড় দেখে অনায়াসে চুপ করে গেলো।
স্নিগ্ধাকে প্রশ্ন করলো,” এইখানে পুলিশ কেনো?” পুলিশ জিনিসটার সাথে মাত্র কয়েকদিন আগে অভ্রর পরিচয় হয়েছে। পুলিশ মানেই খুব বড় কোনো ব্যাপার এইটুকু সে বুঝতে পারে।
স্নিগ্ধা অভ্রর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো,” কিছু না। এমনিই, একটু পর ওনারা চলে যাবে।” অভ্র স্নিগ্ধার কাধে মাথা ফেলে আগ্রহ নিয়ে সবাইকে দেখছে।
স্নিগ্ধাকে এগিয়ে আসতে দেখে আদিল বললো,” আমি তোমাকে বারণ করেছি না। কেনো আমার কথা শুনতে চাও না?” স্নিগ্ধা আদিলের কাছে এসে দাড়ালো তারপর ভয়ার্ত গলায় বললো,” কি হয়েছে? এত পুলিশ কেনো?”

আদিল স্নিগ্ধার হাত ধরে তার কাছে নিয়ে এলো তারপর অভ্রর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো,” সবটা জানতে একটু সময় লাগবে।” স্নিগ্ধা অজানা ভয়ে আদিলের হাত আরো শক্ত করে চেপে ধরলো। স্নিগ্ধাকে ভরসা দিতেই আদিল হাতের বাঁধন আরো শক্ত করলো।
কিছুক্ষণের মধ্যেই জিম এগিয়ে এলো।চোখ মুখ বিষণ্ণ তার। জিম এগিয়ে আসতেই আদিল বললো,” কি হলো? জানতে পারলে কিছু?”
জিম হতাশ গলায় বললো,” ফাহাদের মানসিক অবস্থা বেশ খারাপ। কিছুক্ষন আগ পর্যন্ত ভাঙচুর করেছে। ডাক্তাররা তেমন কিছুই বলতে পারছে না। তাই আপাদত ফাহাদের পার্সোনাল ডাক্তারকে আনা হয়েছে। এখন উনি দেখছেন।”
সবকিছু শুনে স্নিগ্ধা বিস্ময় নিয়ে বললো,” হটাৎ এত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠার কারণ?”
আদিল এক পলক স্নিগ্ধার দিকে তাকালো তারপর তাকিয়ে থেকে বললো,” ডায়রি..।”

” একটা ডায়রি ওনাকে এত উত্তেজিত করবে কেনো? কিভাবে সম্ভব?”, স্নিগ্ধার প্রশ্নের মাঝেই সিনিয়র অফিসার আর একজন ডাক্তার ওদের কাছের দিকে এগিয়ে এলো। সিনিয়র অফিসার এগিয়ে এসে আদিলের উদ্দেশ্যে বললো,” আমাকে তুমি ভালোই ঝামেলায় ফেলেছো, বুঝলে?”
আদিল একটু চিন্তিত হয়ে বললো,” অবস্থা কি খুব খারাপ?”
” অবস্থা কেমন? সেটাই তো বুঝতে পারছি না। হুট করে এখন আবার কেমন শান্ত হয়ে গেছে।আবার কখন উৎপাত শুরু করবে কে জানে? যাই হোক।” বলেই পাশে দাড়ানো ডাক্তারের দিকে তাকালো।তারপর বললো,” যা বলার উনি বলবেন।উনি রেজওয়ান সাহেবের পার্সোনাল ডাক্তার।”

সবাই কৌতূহল নিয়ে ডাক্তারের দিকে তাকাতেই তিনি স্নিগ্ধার দিকে তাকালেন। তারপর বললেন,” আপনি কি ওনাকে ডায়রিটা দিয়েছিলেন?”
স্নিগ্ধা হা সূচক মাথা নাড়তেই ডাক্তার বললেন,” কিসের ডায়রি ওটা? কোনোভাবে কি আরোহীর কোনো অস্তিত্ব আছে সেখানে?”
স্নিগ্ধা একটা ঢোক গিলে আবারো হা সূচক মাথা নাড়লো।

ডাক্তার সাহেবের মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেলো। তিনি বললেন,” ফাহাদকে আমি তিন চার বছর ধরে দেখছি। আমার জানা মতে আরোহী মানে ওনার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই ওনার মানসিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এর আগে তো উনার মাকে হারিয়েছেন। সব মিলিয়ে ডিপ্রেসন অঞ্জাইটি এইসবে ভুগতে ভুগতে একটা সময়ে উনি নিজেকে তালা বন্ধ করে রাখতেন। সে বন্ধ ঘরে কয়েকদিন পর্যন্ত থাকতো। এমন ও হয়েছে ওনাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করেছি। রিহ্যাবে আর ওষুধে ভালোই ছিলেন গত বছর ধরে। সমস্যা করছে আপনার এই ডায়রিটা। ওনার ট্রিগারড পয়েন্ট হচ্ছে আরোহী। আমার ধারণা এই কারণে ওনার এই অবস্থা। কিন্তু হটাৎ এত এক্সট্রিম রিয়াকশনের কারণ আমি ধরতে পারছি না।”
সব কথা শোনার পর কেউই কোনো কথা বলতে পারলো না।

অফিসার ডাক্তার সাহেবকে বললেন,” আমাদের সঙ্গে কো অপারেট করার জন্যে ধন্যবাদ ডাক্তার। আপাদত উনি যেহেতু এইমুহুর্তে শান্ত আছেন তাই ট্রিমেন্তের জন্যে আমরা অন্য কোথাও নিয়ে যাবো। আপনার আবার প্রয়োজন পড়তে পারে।”
ডাক্তার সাহেব সব প্রয়োজনে এগিয়ে আসবেন বলে আশ্বস্ত করে চলে গেলেন। সিনিয়র অফিসার আদিলের কাধে স্নেহ সুলভ হাত রেখে বললেন,” চিন্তা করো না, বুঝলে পালাতে পারবে না।” বলেই চলে গেলেন।
সবাই নিশ্চুপ হয়ে দাড়িয়ে রইলো। জীবন কি অদ্ভুত তাই না। কাউকে দেখে বোঝার উপায় নেই মানুষটা ঠিক কতটা কষ্টে আছে। সবাই শুধু ভালো থাকার অভিনয় করে যায় প্রতিনিয়ত।

হঠাৎ নিস্তব্ধতায় পুলিশের জিপের আওয়াজ শোনা গেলো। হাপাতালের গেইট দিয়ে হ্যান্ডকাফ হাতে বের করে নিয়ে আনা হলো ফাহাদকে । নিশ্চুপে সে বের হয়েছে। হ্যান্ডকাফে বন্ধী হাত দুটো দিয়ে বুকের কাছে শক্ত করে আকড়ে ধরে আছে আরোহীর সেই ডায়রিটা। আশেপাশে ভিড় জমা হয়েছে। চারিদিকে কতো কৌতূহল। সবাই বিষ্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে। সাধারণ মানুষের চোখে একটা পাগলকে পুলিশ নিয়ে যাচ্ছে এই দৃশ্য বেশ দুর্লভ।
আদিলের এই প্রথম মনে হচ্ছে সত্যি লোকটার সাথে অন্যায় হয়েছে। কিন্তু এখন তার করার কিছুই নেই। এই ভিড়ের মাঝে তাকেও দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখতে হবে।
স্নিগ্ধা চুপ করে আছে। ডায়রিটা ফাহাদকে দিয়ে কি সে কোনো ভুল করেছে। সে তো শুধু আরোহীর অপূর্ন ইচ্ছেটা পূর্ণ করতে চেয়েছিল। ফাহাদকে পুলিশের জিপে তোলা হলো। তার সঙ্গে দুজন পুলিশ বসে আছে। এতক্ষন ফাহাদ চুপ করে এক মনে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকলেও এবার সে মাথা তুলে ভিড়ের মাঝে তাকালো। মনে হচ্ছে কাকে যেনো খুঁজছে। ভিড়ের মাঝে স্নিগ্ধার দিকে অপলকে তাকিয়ে আছে ফাহাদ।

চারিদিক চুপ হয়ে যাওয়ায় অভ্র মাথা তুললো স্নিগ্ধার কাধ থেকে। তারপর আশেপাশে তাকাতেই পুলিশ জিপে বসে থাকা মানুষটার দিকে তাকালো সে।অভ্রর দিকে তাকিয়ে ফাহাদের চোখ মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল। মলিন হাসিতে একবার নিজের ছেলের দিকে তাকালো সে। উপযুক্ত হাতেই তার ছেলে আছে। ফাহাদ রেজওয়ানের ছেলের পরিচয়ের থেকেও আবার ফাইয়াজের ছেলের পরিচয় অভ্রর জন্যে বেশি মঙ্গলজনক।অভ্রকে কয়েক পলক দেখতেই পুলিশের জিপ ছেড়ে দিল। দেখতে দেখতে দূরত্ব বেড়ে গেলে একসময় অভ্রর চেহারা ঝাপসা হয়ে হটাৎ ভিড়ের মাঝে হারিয়ে গেলো। ফাহাদের মাথার যন্ত্রণা আরো তীব্র আকার ধারণ করতে লাগলো।

রংধনুর স্নিগ্ধতা পর্ব ৩৮

পরবর্তী পর্ব আজকেই দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনাআল্লাহ। আশা করি সবাই সঙ্গে থাকবেন। আমার মোবাইল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় গল্পটা এত অনিয়মিত দিতে হয়েছে। সে জন্যে দুঃখিত।

রংধনুর স্নিগ্ধতা শেষ পর্ব