সবটাই তুমিময় পর্ব ১৯ || লেখনিতে – মিথিলা মাশরেকা

সবটাই তুমিময় পর্ব ১৯
লেখনিতে – মিথিলা মাশরেকা

ফাইলদুটো সেগুলো নয় যেগুলো আমি খুজছিলাম।ফাইলটা তো পাইনি,তবে অঙ্কুরের সন্দেহের চোখে এখন আমি।রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে আমার।এতোটা রাগ আমার কোনোদিনও ছিলো না।তবে আজ কেনো?এ নিয়েও নিজের উপর রাগ হচ্ছে।ফাইলটা বিছানায় ছুড়ে মাথা চেপে ধরে বসে পরলাম।

তখন ওসব কথা বলে কিছুক্ষন শান্ত দৃষ্টিতে আমার আর ফাইলটার দিকে তাকিয়ে রইলেন অঙ্কুর।তারপর তোয়ালে নিয়ে সোজা ওয়াশরুমে ঢুকে গেলেন।কিছুটা সময় আটকে ছিলাম আমিও।এর ব্যবহারগুলো এমন অদ্ভুত কেনো?পরপরই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেললাম।তার বিষয়ে ভাবার কোনো দরকার নেই আমার!দরকার নেই,তবুও কেনো ভাবি আমি?এ নিয়েও রাগ হচ্ছে প্রচন্ড!এরমধ্যে ওয়াশরুমের দরজা খোলার আওয়াজ।চোখ তুলে তাকিয়েও আবারো চোখ নামিয়ে নিতে হলো।গোসল সেরে,খালি গায়ে ট্রাউজার পরে বেরিয়েছেন অঙ্কুর।দিনে দুবার গোসলের মানে হয় কোনো?উনি বিছানায় তোয়ালেটা ছুড়ে মেরে একদম সামনে এসে দাড়ালেন আমার।বললেন,

-পেয়েছো অদ্রি?কাঙ্ক্ষিত সেই ফাইল?
-কিছু জিজ্ঞাসা করেছি তোমাকে!
-আমার প্রশ্নের উত্তর না পাওয়াটা আমি সহ্য করতে পারি না অদ্রি।বলো,যা খুজছিলে,পেয়েছো?
চুপ করেই রইলাম।অঙ্কুর একহাত ধরে হেচকা টানে আমাকে দাড় করালেন।বড়বড় চোখ করে তাকালাম।উনি আরেকটানে কাবার্ডের সাথে আটকে ধরলেন আমাকে।দাতে দাত চেপে বললেন,
-নিজেকে‌ কি মনে করো তুমি?খুব চালাক?
-কতোটা চেনো তুমি নিজেকে অদ্রি?বলো?কতটা চেনো?
-তুমি কি অদ্রি?তোমার নিজের এই পরিবর্তনগুলো চোখে পরছে না?ঠিক কিভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে চাইছো তুমি?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

এতোক্ষন অবাক চোখে তারদিক তাকিয়ে থাকলেও এবার মাথা নিচু করে নিলাম।অঙ্কুর বললেন,
-আমি বলবো তুমি কি চাও?
আবারো বিস্ময়ে তাকালাম তারদিকে।উনি আমার দু হাত মুড়িয়ে পেছনে কোমড়ে আটকে ধরলেন।মাঝখানের দুরুত্বটা লুপ্তপ্রায়।তার কপালের সামনের ভেজা চুলের দুফোটা পানি গলায় এসে পরলো আমার।কেপে উঠলাম খানিকটা।অঙ্কুর একদম আমার চোখে চোখ রেখে জোর গলায় বললেন,

-দেন লিসেন!তুমি চাইছো এই বাইরের তোমাকে এক অন্য তুমি হিসেবে দেখাতে অদ্রি।যে তুমি,তুমি মনে করছো তুমি নও!কিন্তু ভেতর থেকে,তুমি সেই তুমিই!ভেতরটাকে জোর করছো আমার ওপোনেন্ট হিসেবে মানাতে।যেখানে তোমার ভেতরটা বলেছে,তুমি আমার ওপোনেন্ট নও,জীবনসঙ্গী!সেটা বলার কারন এই সম্পর্কের জোরই হোক,বা অন্যকিছু।তোমার ভেতরটা হার মেনেছে,বাইরেরটাও সেটা দেখাতে চাইছে।কিন্তু তুমি?তুমি তা স্বীকার করতে নারাজ!এখন এমন হয়েছে যে,এই এতোগুলো ক্যারেক্টার তুমি সামাল দিতে পারছো না।এজন্যই পদে পদে ভুল হচ্ছে তোমার।আর এজন্যই এতো রাগ হচ্ছে তোমার নিজের উপর।অ্যাম আই রাইট?
নির্বাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম তারদিক।

সত্যিই কি তাই নয়?যে অদ্রি সত্যির জন্য লড়াই করে,সে কি করে নাটক সাজাবে?কি করে কাউকে ঠকাবে?কিন্তু এই কথাগুলো একবারও আমার নিজে থেকে মনে হলো না কেনো?অঙ্কুর কিভাবে বলছেন?এটাই কি প্রমান করে দেয় না,সে আমার চেয়েও আমাকে ভালোভাবে চিনতে শুরু করেছে।তবে তো আমার এ বাসায় আসার উদ্দেশ্যও জেনে গেছেন উনি!অঙ্কুর শান্ত গলায় বললেন,

-রাগ মানুষের ভুলের কারন অদ্রি।নিজেকে দিয়ে তার প্রমান পেয়েছি আমি।একে কন্ট্রোল করতে শেখো।নইলে পস্তাবে।আমি চাই না আমার মতো আত্মগ্লানিতে কষ্ট পাও তুমি।পারবো না তোমাকে কষ্ট পেতে দেখতে।
তার একটা একটা কথায় শুধু অবাক হচ্ছি।উনি ছেড়ে দিলেন আমার হাত।দুগাল ধরে কপালে কপাল ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে বলে উঠলেন,

-ভয় হয় অদ্রি।বড্ড ভয় হয়।হারানোর যন্ত্রনা যে বড়ই কষ্টের।বেচে থেকেও মরে যেতে হয়।অনেক সয়েছি জীবনে।আর সহ্য করার ক্ষমতা আমার নেই অদ্রি।নেই সে ক্ষমতা!
আমাকে ছেড়ে দিয়ে টলোমলো চোখ নিয়ে তাড়াতাড়ি ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন উনি।বুক ভারী হয়ে আসলো আমার।সত্যিই তো,অনেক সয়েছেন উনি।মা বাবা থেকেও নেই তার।জীবনে যেটুকো সম্মান পেয়েছেন,সবটাই নিজের বদৌলতে।
কিন্তু এখন আমার জন্য তার সে ক্যারিয়ারটাও নষ্ট হবে।উনি জানেন সবটা!তবুও কেনো রেখেছেন আমাকে এ বাসায়?একছাদের তলায় থেকে স্বামী স্ত্রী সম্পর্কের নামে এ কোন নিরব যুদ্ধে জড়ালাম আমি নিজেকে?এর পরিনতি কি?

রাত নেমে এসেছে।মেঝেতে বসে,বই বুকে গুজে জানালা দিয়ে একধ্যানে তারাভর্তি আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি।এটা অঙ্কুরের ঘরের পাশের ঘর।আপাতত সময় কাটানো বলতে এই একটা কাজই আছে।ওনার সাথে তারপর আর কথা হয়নি।এ ঘর থেকে বেরোই নি আমি।অঙ্কুরও কিছুই বলেননি।অনিচ্ছা সত্ত্বেও যেটা বারবার ভাবাচ্ছে আমাকে।চোখ বন্ধ করে দেয়ালে মাথা ঠেকালাম।বেশ অনেকটা সময় পর মাথায় কারো স্পর্শ।চোখ বন্ধ রেখেই বলে উঠছিলাম,

-মনি….
হুশ ফিরলো আমার।চোখ খুলে উঠে পাশ ফিরতেই দেখি অঙ্কুর এক হাটু গেরে বসে।কপাল কুচকে তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষন।উনি নিচদিক তাকিয়ে নখ দেখতে দেখতে মুচকি হেসে বললেন,
-মনিমাকে মিস করছো?
-আপনি জানতেন আমি ওই ফাইলগুলো খুজছিলাম!
অঙ্কুর আরেকটু আরাম করে মেঝেতে বসলেন।দুহাত হাটুর উপর রেখে স্বভাবিক গলায় বললেন,
-হ্যাঁ।এতে এতো অবাক হওয়ার কি আছে?
-আপনি জানেন আমি এ বাসায় কেনো….
আমাকে শেষ করতে না দিয়ে আচমকাই উনি আমার কোলে মাথা ‌রেখে শুয়ে পরলেন।তার এ হেন কাজে থমকে গেলাম আমি।অঙ্কুর আমার হাতের বইটা কেড়ে নিয়ে ওটাতে কিছু পড়ায় মনোযোগ রেখে বললেন,
-হেডেক হচ্ছে বউ,মাথায় হাত বুলিয়ে দাও তো!

-কি হলো?সেদিনের মতো কফি বানাতে‌ বলি নি তো!আবার আজকে কোনো শাস্তিও দিচ্ছি না,ওর্ডারও করছি না!তুমি তো বউ হও আমার।জাস্ট মাথায় হাত বুলিয়ে বিলি কেটে দাও।নাকি সেটাও পারো না তুমি অদ্রি?লিসেন,আমার বউ হলে এটা তোমাকে পারতেই হবে।কোনো অযুহাত চলবে না!
মুখ ফিরিয়ে নিলাম।অঙ্কুর আমার হাত টেনে নিয়ে তার মাথায় রাখলেন।বললেন,

-শোনো অদ্রি,আমি জানি কেনো এ বাসায়,আমার লাইফে এতো ইজিলি এসেছো তুমি,মানে আসতে রাজি হয়েছো তুমি।যতই বাধ্য করে থাকি না কেনো তোমাকে,কোথাও না কোথাও,তুমি চেয়েছিলে এ বাসায় আসতে,তাই এসেছো।নইলে,তোমাকে আনা….আমি তো ভেবেই রেখেছিলাম,জবরদস্তি করতে হতো তোমাকে।কিন্তু আমাকে ভুল প্রমান করে দিয়ে স্বাভাবিকভাবেই‌ চলে আসলে তুমি।সো,ইয়াপ!আমি জানি কেনো এসেছো তুমি!কি চাই তোমার!
-তাহলে আপনি কি চান?

অঙ্কুর আটকে গেলেন।আমার দিক তাকিয়ে ঠোট টিপে হাসলেন আবারো।তার এই হাসিটা দেখলে খুব রাগ হয় আমার।উনি উঠে দাড়িয়ে টি শার্টটা ঝাড়তে লাগলেন।আমিও উঠে দাড়ালাম।বললাম,
-সবটা জেনেও আমাকে এখানে রেখেছেন।আপনি জানেন,প্রদীপ সরকারের সাথে আপনার জড়িত থাকার ঘটনার প্রমান হাতিয়ে,তা পাব্লিক করে আপনার ক্যারিয়ার আমি নষ্ট করতে পিছপা হবো না।তবুও আপনার এই অদ্ভুত ব্যবহার।এসবের কারন কি অঙ্কুর?যদি বেবি চাই আপনার,তবে নিজের অধিকারই বা কেনো খাটাচ্ছেন না?উত্তর দিন আমাকে!
উনি আমার দিক অনেকটা ঝুকে বললেন,

-ওয়াহ্!রিপোর্টার ম্যাডাম নিজের ক্যারেক্টারে ঢুকে গেছেন দেখছি!আমার কি করা উচিত?উমমমমম্!বলবো?
-জবাবটাই তো চাইছি!
অঙ্কুর আমার চোখের চশমাটা খুলে নিলেন।গেন্জির বুকের দিকটায় ওটা খুব যত্মসহকারে মুছে আবারো চোখে পরিয়ে দিলেন।তারপর ওভাবেই ঝুকে দাড়িয়ে তার দুহাত পেছনে দিয়ে,মুচকি হেসে বললেন,
-বলবো।সময় আসলে সবটা বলবো।বিশ্বাস করো অদ্রি,তোমার ওই দু চোখের ঘৃনা,ঠিক এভাবেই মুছে দেবো সেদিন।তার বদৌলতে,নেশা একে দেবো।এক চরম নেশা।যে নেশা আমাকে,এই এএসএ’কে আসক্ত করেছে।যে নেশায় পুরোপুরিভাবে ডুববো বলে আস্তেআস্তে মরিয়া হয়ে উঠছি আমি।যে নেশা আমার নিজস্বতাকে কেড়ে নিয়েছে।যে নেশা আমাকে বাধ্য করেছে,তোমাতে হারাতে।যে নেশা নিশ্চিত করেছে….আমার *সবটাই তুমিময়*

-এসব কথা বলে ঠিক কি প্রমান করতে চাইছেন আপনি?
-কিছুনা।তবে হ্যাঁ,আমি একটু ফ্রিতে সাজেশন দেই?তুমি যেসব প্রমান চাও,মানে ওই ফাইলগুলো,ওগুলো এ বাসাতেই আছে।আর নেক্সট উইক আমার পরবর্তী ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ।সো,তোমার হাতে কিন্তু সময় খুবই কম।যদি সত্যিই চাও আমাকে এক্সপোজ করতে,এই এক সপ্তাহের মধ্যে ফাইলগুলো খুজে সবটা টপাটপ পাব্লিক করে ফেলো তো!আমিও তো দেখি,আমার বউয়ের,আমাকেই সবার সামনে খারাপ প্রমান করার সাহস কতোটা?
মুচকি হেসে বললাম,

-অদ্রি কোনোদিনও সত্যের সাথে আপোষ করেনি অঙ্কুর।করবেও না।সবটা যখন জানেনই,তবে এটাও জেনে রাখুন,পরের ম্যাচে মাঠে নামার আগেই আপনার হাজার হাজার সমর্থকদের সামনে আপনারই মুখোশ টেনে খুলে দেবো আমি।এতোগুলো মানুষকে ঠকানোর শাস্তি আপনি পাবেন।
অঙ্কুরের মুখে বিশ্বজয়ের হাসি।বুকে হাত গুজে হাসিটা প্রসারিত করে বললেন,
-দ্যাটস্ লাইক মাই লেডি!সো?বিষয়টা কি দাড়ালো?বিয়ের পরদিনই বউ তার বরকে বলছে,তাকে শাস্তির ব্যবস্থা করবে।ইটস্ ইন্টারেস্টিং!ভেরি মাচ ইন্টারেস্টিং!

উচ্ছলতা থামিয়ে উনি আরো একপা এগোলেন আমার দিকে।বললেন,
-শোনো অদ্রি,তুমি ঠিক কতোদুর কি করবে তা আমি জানি না।আমার বিশ্বাস তুমি হার মানবে না।তবে হ্যাঁ,আমার বিশ্বাস এটাও,তুমি পারবে না।পারবে না আমার বিরুদ্ধে আমি ছাড়া আর অন্যকারো কাছে একবর্ন বলতে।মিডিয়া তো অনেকদুর!আর তুমি তো জানোই,আমার বিশ্বাস কোনোদিনও হারে নি।এবারও হারবে না।দেখে নিও!
-আপনার এই অদ্ভুত বিশ্বাসের কারন?

-তোমার হৃদয়ের ওই অদ্ভুত অনুভূতিগুলোকে জিজ্ঞাসা করো।আমি তো পাইনি উত্তর।দেখো?তুমি পাও কি না!
উনি বাকা হাসলেন।হাত মুঠো করে অন্যদিক ফিরলাম আমি।অঙ্কুর আমার হাত ধরে হাটা লাগিয়ে বললেন,
-অনেক বলেছি,শুনেছো।বলেছো,শুনেছি।এখন ডিনার করবে চলো।মানে নিজে অসুস্থ্য থেকে অবশ্যই আমার মুখোশটুখোশ টানাটুনার জোর পাবে না তাইনা?তাই চলো,খেয়ে নেবে।
কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ তাই করলাম।ডিনার শেষে সোজা চলে আসলাম ওই রুমেই।অঙ্কুরের রুমে যাই নি।যদিও এ রুমেও অবাধ চলাফেরা অঙ্কুরের।তবুও সবটা ভুলে গুটিশুটি মেরে বিছানায় শুয়ে পরলাম।হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো।মনিমা ফোন করেছে।নিজেকে স্বাভাবিক করে কলটা রিসিভ করলাম।মনিমা বললো,

সবটাই তুমিময় পর্ব ১৮

-কেমন আছিস আন্নু?
-ভালো মনিমা।তুমি?
-হ্যাঁ,বেশ ভালো।ক্ কি করছিস?
-সবে শুয়েছি।তুমি ডিনার করেছো?ওষুধগুলো?
-হ্যাঁ,হ্যাঁ।খেয়েছি।
ওপাশ থেকে‌ দীর্ঘশ্বাস শুনতে পেলাম।অনেকটা সময় চুপ থেকে মনিমা বললো,
-আন্নু?নায়েব ভাই?কেমন আছে সে?
-ভালো আছে মনিমা।
-আর অ্…..
বলতে গিয়েও থেমে গেলো সে।বললাম,
-কিছু বলবে মনিমা?
-অঙ্কুর কেমন আছে রে?
চুপ করে গেলাম।কেমন আছে সে?জানি আমি?জানার চেষ্টা করেছি কখনো?
-আন্নু?
-হুম?হ্যাঁ,হ্যাঁ মনিমা।ভালো আছেন উনি।ভালো আছেন।

-জানিস আন্নু?কতো শান্তি লাগছে আমার।আমি তোদের কাছে থাকি বা নাই থাকি,জানতে পারছি তোরা ভালো আছিস,এতেই অসম্ভব ভালো লাগছে।এভাবেই ভালো থাক দুজনে।দোয়া করি।রাখছি হুম?ঘুমিয়ে পর।
হুম বলে ফোনটা কাটলাম।চোখ দিয়ে পানি পরলো।আজ তোমার ছেলেটা এতো খারাপ কাজে নিজেকে না জড়ালে যে করেই হোক,তোমাদের এক করে দিতাম আমি মনিমা।কিন্তু এই মানুষটার সব খারাপ কাজ যখন দুদিন পর তুমি জানবে,আমার মতো ঘৃনা করতে শুরু করবে তাকে।তখন যে আরো কষ্ট হবে তোমার।তারচেয়ে বরং এভাবেই দুরে থেকে শক্ত করো নিজেকে।কিন্তু আমি নিজেই কেনো দুর্বল হয়ে যাই?এতোকিছুর পরেও কেনো অঙ্কুরের বিপরীতে ভাবতে পারি না?কেনো তার বিশ্বাসের উপর ভয় করতে শুরু করেছে আমার?কেনো?

সবটাই তুমিময় পর্ব ২০