সবটাই তুমিময় পর্ব ১৮ || লেখনিতে – মিথিলা মাশরেকা

সবটাই তুমিময় পর্ব ১৮
লেখনিতে – মিথিলা মাশরেকা

সেভেন আপের খালি কাচের বোতল হাতে পা ঝুলিয়ে দেবদাসের মতো সটান হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে আস্থা।তানহা ওকে এতোটুকো পাত্তা না দিয়ে হেটে হেটে অঙ্কুরের পুরো ঘরটা দেখছে।বুকে হাত গুজে দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে আস্থার দিকে তাকিয়ে আমি।ব্রেকফাস্ট শেষে রোহান ভাইয়া নিচে ড্রয়িংয়ে বসে অঙ্কুরের সাথে কথা বলছিলেন।অঙ্কুর আমাকে বললেন আস্থা তানহাকে বাসা ঘুরিয়ে দেখাতে।রুমেই রয়েছি আমরা।এতোক্ষন আস্থা রোহান ভাইয়ার ওকে দেখতে যাওয়ার কাহিনী শুনাচ্ছিলো।বলা শেষে একটা জোরে শ্বাস ফেলে বললো,
-তো বেহনো?কেমন লাগলো আমার জীবনের সবচেয়ে বড় জোকস্?
-আস্থা প্লিজ!ডোন্ট টেল মি রোহান‌ ভাইয়া তোকে দেখতে যান নি,এসব কিছুই হয়নি,এন্ড ইউ আর জোকিং!
আমার কথায় ও উঠে বসলো।বললো,

-সবই হয়েছে আন্নু!জোক তো বললাম এ কারনে,জীবনে প্রথমবার নিজে থেকে কাউকে আগে,সিরিয়াসলি ভালো বললাম,আর সেই লোকটাই‌ অপমান করে বিয়েটা ভেঙে দিলো!আমার লাইফই তো এখন জোকস্ হয়ে গেছে ইয়ার!
-তো দোষটা তো তোরই তাইনা?
-যাই হোক,বলছি যে,অঙ্কুর ভাইয়াকে দিয়ে কোনোভাবে ম্যানেজ করা যায় না ওই লোকটাকে?খুব মনে ধরেছে রে রাউডিটাকে!তুই একটু বলবি….
-আমি পারবো না!
আস্থা গাল ফুলালো।তারপরই আবারো দুষ্টু হেসে আমার দিক এগিয়ে এসে বললো,
-আচ্ছা,বেশ।না পারলি!তবে এই ঘরটা সাজানো কিন্তু সেই হইছে!এটা বল,তোদের ফার্স্টনাইট কেমন ছিলো?আ-হা-রে!মেয়েটার চোখ বসে গেছে।অঙ্কুর ভাইয়া তোকে একদমই ঘুমোতে দেননি মনে হচ্ছে।ঘুমোতে দেয়নি,তাইনা?
ঘাড় বাকালো‌ ও।বললাম,

-এসব কথা থাক আস্থা,ভালো লাগছে না আমার!
-কেনো ভালো লাগবে না বেব?আমারও তো বিয়ে হবে,আমিও তো বউ হবো,আমারও তো বর হবে,ফার্স্টনাইট হবে।আর তুইতো আমার বেস্টু!তাই এই একটু আধটু আইডিয়া দেওয়া তোর দায়িত্ব না বল?
আমি অন্যদিক ফিরলাম।আস্থা আবারো সামনে দাড়িয়ে বললো,
-বল না আন্নু?অঙ্কুর ভাইয়া খুব রোমান্টিক?তোকে কি….
-আস্থা থাম!অনেক বেশি বলছিস তুই!
তানহা এতোক্ষনে মুখ‌ খুললো।ওকে ভেঙচিয়ে আস্থা বললো,
-তুই থাম!তিহান ফোন রিসিভ করে নি,তোর সে টেনশন নিয়েই তুই থাক!আরেহ্,জানিস তো,ওর ফ্যামিলি নিয়ে কতোটা সেন্সিটিভ ও।আন্নুর বিয়ে হয়ে গেছে শুনে উল্টাপাল্টা কিছু করবে না।তারপরও কেনো এমন করছিস?ওই গর্দভের তো এটাই প্রাপ্য!তোকে রিজেক্ট করার ফল এটা!বুঝছিস না?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

-আস্থা প্লিজ!বুঝলাম আমাকে খুব ভালোবাসিস তুই,কিন্তু তা বলে তিহানকে কেনো সবসময় অপমান করিস?
-করবো।হাজারবার করবো!ও কেনো তোকে অপমান করে?কেনো কষ্ট দেয় তোকে?কেনো?
-কারো ফিলিংসেসের উপর কেউ জোর খাটাতে পারে না আস্থা!এটা নিতান্তই ওর ব্যাপার।এখন প্লিজ,স্টপ দিস টপিক!
আস্থা থামলো।আবারো অপরাধবোধ শুরু আমার।আস্থা এগিয়ে এসে আমার কাধে হাত রেখে বললো,
-আন্নু?চুপ কেনো তুই?
-আমার কোনোদিনও কি কিছু বলার ছিলো আস্থা?আমার জন্যই হয়তো….
-ধুরু!বাদ দে!ওই ব্যাটা গর্দভের জন্য আমরা কেনো মুড খারাপ করবো বলতো?

-আন্নু?একটা কথা বল তো?তুই কি কোনোভাবে খুশি নস এই বিয়েটা নিয়ে?
একটু অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম।ওকে সবটা বলাটা ঠিক হবে না।তানহা কিছু বলতে যাবে,তখনই ওর ফোন বেজে উঠলো।নাম্বারটা দেখে ও অবাক হয়ে বললো,
-তিহান?
আমি আর আস্থাও অবাক।তিহান ওকে ফোন করে না বললেই চলে।তানহা একটু থেমে থেকে রিসিভ করলো কলটা।হ্যালো বলার পর শুধু ওপাশের কথাগুলো শুনতে লাগলো।কথাগুলো শুনে চোখ ভরে উঠলো ওর।তবে ঠোটে হাসিটাও আছে।আমি আসছি বলে কলটা কেটে অসম্ভব খুশি নিয়ে জাপটে জরিয়ে ধরলো আমাকে।বললো,
-আন্নু,তিহান…তিহান চাকরিটা করবে বলেছে আন্নু!ও চাকরিটা করবে!আমি….আমি পাপার অফিসে যাচ্ছি।পরে কথা হবে হুম?আসছি!

কথা শেষ করেই একছুটে বেরিয়ে গেলো ও।টুপ করে চোখ বেয়ে পানি পরলো আমারও।খুশির কান্না।তানহার খুশিটা দেখে খুশির কান্না।আস্থা একটা জোরে শ্বাস ফেলে বললো,
-যাক।এভাবেই যেনো গর্দভটার হুশ ফেরে!
একটু থেমে আবার মাথায় হাত দিয়ে তীব্র আফসোস নিয়ে বললো,
-এইরে,হুশ ফিরলেও তো প্রবলেম!ও গর্দভ না থাকলে তান্নু গাধীর সাথে তো ওকে মানাবে না,তখন কি হবে?
ওরদিক সরু চোখে তাকাতেই ফোকলা হেসে দিয়ে বললো,
-আ’ম জোওওওকিং!
হেসে দিলাম।এগিয়ে গিয়ে জরিয়ে ধরলাম ওকে।অনেকটা খুশি লাগছে আজ।বেশ অনেকটা সময় পর আস্থাও চলে যাচ্ছিলো।নিচে নামতেই অঙ্কুর রোহান ভাইয়াকে বললেন আস্থাকে ড্রপ করে দিতে।আস্থার চোখমুখ তো খুশিতে চকচক করছিলো।আশ্চর্যজনক ভাবে রোহান ভাইয়াও কিছু না বলে চুপচাপ ওকে নিয়েই বেরিয়ে গেলেন।

বিকেলের দিকে বাসার সামনের দিকের ব্যালকনিতে দাড়িয়ে ছিলাম।এখান থেকে বাগানের খোলামেলা দিকটা দেখা যায়।গেইটের ওপাশে বড় একটা কদমগাছে থোকা থোকা কদম ঝুলছে।এপাশ থেকে গেইটের উপরদিকটায় জুড়ে লেগে থাকা ফুলগাছটায় গোলাপি ফুল দেখা যাচ্ছে।টুপটাপ ঝড়ছে ওগুলোর পাপড়ি।সেগুলোর ভীড়ে বাসার ভেতরের রাস্তাটায় হঠাৎই একটা কদম এসে পরলো।দাড়োয়ান মামা উঠে গিয়ে কদমটা পা দিয়ে ঠেলে একপাশে সরিয়ে দিয়ে আবারো নিজের জায়গায় এসে বসলেন।

একধ্যানে তাকিয়ে রইলাম কদমটার দিকে।কি দোষ ছিলো ওর?ওকে কেনো সরিয়ে দেওয়া হলো?অনধিকার চর্চা দেখিয়ে অন্যের জায়গায় চলে এসেছিলো বলে?নাকি কোনোভাবে অন্যের সুষ্ঠুভাবে চলার পথে বাধা হয়ে উঠতো বলে?দুহাতে রেলিং আরো শক্ত করে আকড়ে ধরলাম।হাতদুটোর পাশে আরো দুটো হাত এসে কারো বাহুডোরে আবদ্ধ করে দিলো আমাকে।যদিও আমার শরীরে কোনো স্পর্শ নেই তার,তবে ব্যক্তিটির উষ্ণ নিশ্বাস জানান দিলো,সে অঙ্কুর।উনি বললেন,

-কাউকে কোনো বাধনে আটকে দেওয়ার বা মুক্ত করার দুটো কারন থাকে অদ্রি।এক,জেনে বা অজান্তেই তার উপস্থিতি তোমার জন্য প্লাস পয়েন্ট বা তোমার স্বার্থের অন্তরায়।দুই,সে জায়গাটা তারই,বা সে জায়গাটা তার নয়।আর এই দুটো ক্ষেত্রের মধ্যে তফাৎটা কিন্তু একদম কিঞ্চিত।এখন যদি তুমি আমার মতো স্বার্থপর হও,তুমি অবশ্যই প্রথম দিকটা বিবেচনা করে কাজ করবে।আর যদি তুমি দ্বিতীয় দিকটা ভাবো,তবে আপাতদৃষ্টিতে সেটা কিন্তু ওই মানুষটার কথাই ভাবা হয়।কিন্তু ওই যে,সব কথার শেষে একটা কথা রয়েই যায়,আমাদের দৃষ্টিসীমা যে অবদি সীমাবদ্ধ,তার বাইরেও পৃথিবী আছে।আর সেটাকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যায় না অদ্রি।যা আছে,তা আছেই।সেটা যতই অদ্ভুত,রহস্যময় হোক না কেনো,তা আছে!

এতোগুলো কথার ভীড়ে মুল কথাগুলোই হারিয়ে ফেলেছি আমি।মনে হলো আমার প্রশ্নের উত্তর এখানেই ছিলো,কিন্তু ধরতে পারলাম না।নিজের উপর রাগ হতে শুরু হলো।অঙ্কুরের নিশ্বাসে কিছু চুল উড়ে উঠলো আমার।উনি বললেন,
-বিকেল গরিয়েছে অদ্রি।এই রোদে এখানে কি করছো?
-এমনি।
-ও।তা তোমাকে প্রথমবার যে ঘরে রেখেছিলাম,ঘরটাতে গিয়েছিলে?
-না।
-একটু যাও!শত হোক,ওখান থেকেই তো তোমার অনুভূতিগুলোর শুরু।হয়তো সেখানেই এগুলোকে হ্যান্ডেল করার সাহস তৈরী হবে তোমার!

ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালাম তারদিক।উনি ঠোট টিপে হাসছেন।জোরে শ্বাস নিলাম একটা।হ্যাঁ,ওখান থেকেই আমার তার প্রতি ঘৃনার শুরু।অঙ্কুর রেলিং ছেড়ে তার হাতের মাঝখান থেকে মুক্ত করলেন আমাকে।আমার একহাত রেলিং থেকে ছাড়িয়ে তারদিক ফেরালেন।তারপর নিজেই দুহাত পেছনে দিয়ে রেলিং ধরে দাড়ালেন।অদ্ভুতভাবে শব্দহীন হাসছেন উনি।যা দেখে কপাল কুচকে আসলো আমার।উনি হাসি থামিয়ে বললেন,
-যাও?আমি কিন্তু দুহাতে আটকে নেই তোমাকে!

ধ্যান ভেঙে চুপচাপ চলে আসলাম ওই রুমটাতে।সবটা সেভাবেই আছে,যেভাবে আমি শেষবার দেখেছিলাম।তবে আস্তেধীরে এগোতেই পরিবর্তন চোখে পরলো আমার।সবটা ঠিক থাকলেও টেবিলের উপরে থাকা বইগুলোতে ভিন্নতা এসেছে।আরেকটু এগোতেই বুঝলাম ওখানে আমার প্রয়োজনীয় সব বইপত্র রাখা।ছুইয়ে দিলাম ওগুলো।তারমানে এগুলো দেখাতেই এ রুমে পাঠিয়েছেন আমাকে অঙ্কুর।উনিই করেছেন সবটা।একটা বই হাতে নিয়ে সেই জানালাটার ধারে এসে দাড়ালাম।

বাইরে তাকাতেই পিছন ফিরলাম সাথেসাথে।নিচে অঙ্কুর চিকন স্লিভস গেন্জি পরে অর্ধখালি গায়ে পাইপ ধরে গাছে পানি দিচ্ছেন।বইটা শক্ত করে বুকে আকড়ে ধরে আড়চোখে আস্তেধীরে আবারো তাকালাম সেদিকে।ঘেমে উঠেছে লোকটা।বিকেলের রোদে কপাল,ফর্সা হাতের পেশি,গলায় থাকা ঘাম চিলচিক করছে।গেন্জির বুকের দিকটাও ভিজে আছে ওনার।একপা এগিয়ে জানালায় হাত রাখলাম।এক লোক এসে অঙ্কুরকে বললেন,
-স্যার,বাকিটুক আমি….

-লাগবে না মইনুল।তুমি তো জানো,এগুলো করতে ভালোবাসি আমি।বিকেলের এ সময় এটুক ওয়ার্কআউট করা শরীরের জন্য ভালো।বাকি গাছগুলোতেও আমিই পানি দেবো।তুমি অন্য কাজে যাও।
কথাটা বলে অঙ্কুর হাতের পিঠে কপাল মুছে হুট করেই জানালার দিকে মাথা তুলে তাকালেন।একপ্রকার হুড়মুড়িয়ে সরে দাড়িয়ে আড়াল করলাম নিজেকে।সে সাথে হুশেও ফিরলাম।এটা কি করছিলাম আমি?সংসার করতে তো এ বাসায় আসি নি আমি!তাড়াতাড়ি বইটা টেবিলে রেখে সোজা চলে আসলাম অঙ্কুরের ঘরে।
দরজা লাগিয়ে দিলাম।তারসাথে নিজেকেও শক্ত করে নিলাম আমি।প্রদীপ সরকার আর অঙ্কুরের ডিলের ফাইলগুলো খুজতে হবে আমাকে।আছে তো এই বাসাতেই!একটা একটা দিন,একটু একটু করে খুজতে থাকবো না হয়!অঙ্কুরের ঘরে বই,ফাইলের অভাব নেই।টেবিলেও আছে,শেলফেও অনেক।আলমারীর উপরেও একগাদা ফাইল।কোনো চান্স নিতে পারবো না।তাই ঠিক করলাম একটা একটা করে সবজায়গায় খুজবো।

প্রথমে টেবিলের ফাইলগুলো দেখলাম।ওগুলোতে নেই।আরো খুজবো নাকি চলে আসবো বুঝছিলাম না।অঙ্কুর ঠিক কখন চলে আসবেন তাও জানি না।তাই সবগুলো ঠিকঠাকমতো গুছিয়ে রাখলাম আবারো।দরজাও খুলে দিয়েছি।বিছানায় বসে রাগটা হালকা করার চেষ্টা করছিলাম।কেনো যেনো অঙ্কুরের ঘরে তার জিনিসপত্র হাতড়ে তার বিরুদ্ধেই প্রমান খোজাটাতে মন সায় দিচ্ছিলো না আমার।রাগটা নিয়ে আবারো আলমারীর দিকে এগোলাম।
আলমারী লক।তবে এর উপরে বেশ কয়েকটা ফাইল।আর দুটো ফাইল আমি যেটা খুজছি,অবিকল সেই ফাইলটার মতো দেখতে বলে মনে হচ্ছে।চোখ চকচক করে উঠলো আমার।পরক্ষনে এটাও মনে হয়েছে,এতো সহজ হবে কি?না হলে না হবে!কিন্তু চেষ্টা আমি করবোই!পা উচু করে,লাফিয়ে ওগুলো ধরার চেষ্টা করলাম।লাভ হয়নি।বেশ উচুতে।ঠোট কামড়ে ধরে টুল আনবো ভেবে যেইনা পিছন ফিরেছি,অঙ্কুর দাড়িয়ে!স্তব্ধ হয়ে গেলাম আমি।উনি হুট করেই দুহাতে কোমড় জরিয়ে ধরে উচু করলেন আমাকে।টাল সামলাতে তার কাধের উপর হাত রাখলাম।বিস্ময় ভয় দুটোই হচ্ছে।উনি শান্তভাবে বললেন,

সবটাই তুমিময় পর্ব ১৭

-নাও ফাইলদুটো!
মাথা নিচু করে নিলাম আমি।উনি আবারো বললেন,
-হাত লেগে যাচ্ছে!তোমাকে ফেলে দেওয়ার আগে তাড়াতাড়ি ফাইলদুটো নাও!
কাপাকাপা হাতে ওগুলো নিলাম।উনি আস্তেধীরে নামাতে লাগলেন আমাকে।তার মুখ বরাবর আসতেই থেমে গেলেন উনি।পুরো চেহারা ঘেমে গেছে তার।সামনের চুলগুলো ঘামে ভিজে আছে।মনে হলো চোখটাও ভরে উঠেছে অঙ্কুরের।হাতের ফাইলটার দিকে তাকালাম আমি।তবে কি এগুলোই সেই ফাইল?আমার হাতে পরেছে বলে অঙ্কুর এমন….তাহলে উনি আটকালেন না কেনো আমাকে?নিজে থেকেই কেনো….অঙ্কুর আস্তে করে আমাকে নামিয়ে দিয়ে বললেন,

-ডু হোয়াটএভার ইউ ওয়ান্ট!আমার সামনে,আমার কাছে,সুস্থ্যভাবে দাড়িয়ে আছো তুমি।ইটস্ এনাফ ফর মি।তবে হ্যাঁ,কোনোভাবে নিজের কোনো ক্ষতি হয় এমন কিছুতে নিজেকে জড়িও না অদ্রি!নিজের ক্ষতি হয়,এমন কোনো কাজ,ডোন্ট ইউ ডেয়ার ইভেন থিংক আবাউট দ্যাট!তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।মাইন্ড ইট!

সবটাই তুমিময় পর্ব ১৯