সবটাই তুমিময় পর্ব ১৭ || লেখনিতে – মিথিলা মাশরেকা

সবটাই তুমিময় পর্ব ১৭
লেখনিতে – মিথিলা মাশরেকা

অঙ্কুরের শেষ কথায় বড়বড় চোখ করে তাকালাম আমি।উনি তার মাথার নিচে একহাত দিয়ে কিছুটা উচু হয়ে শুয়ে পরলেন।তারপর আরেকহাতে চশমা খুলে দিলেন আমার।আস্তেধীরে এগোচ্ছিলেন তার মুখ।শ্বাস গভীর হতে লাগলো।বিছানার চাদর খামচে ধরেছি।হুট করেই আমার চোখে ঠোট স্পর্শ করালেন উনি।ঘটনার আকস্মিকতায় চোখ একবার বন্ধ করে নিয়ে আবারো অবাক চোখে তাকালাম।উনি দ্বিতীয়বারের মতো চোখে ঠোট ছুইয়েছেন।চোখ বন্ধ করে আবারো খুললাম।অঙ্কুর বাকা হেসে বললেন,

-ভালোয় ভালোয় বলেছিলাম ঘুমোতে,শুনলে না তুমি অদ্রি!এবার আদরে আদরে ঘুম পারাবো!
আরো বড়বড় চোখ করে তাকালাম।অঙ্কুর একাধারে চোখে ঠোট ছোয়াচ্ছেন আমার।বারবার বন্ধ করে নিয়ে আবারো খুলছি।উনি একটু থেমে ঠোট টিপে হেসে বললেন,
-যতক্ষন অবদি ঘুমোনো বাদ দিয়ে এভাবে তাকাবে,ততক্ষন অবদি এভাবেই আদর করবো।চয়েজ ইজ ইউরস্!
কথা শেষ করেই উনি আবারো চুমো দিতে লাগলেন আমার চোখে।তার গায়ের এক নেশালো ঘ্রানে এমনিতেই দম আটকে আসছিলো আমার।তার উপর এমন ব্যবহার!কয়েকবার তাকিয়ে শেষমেষ চোখ বন্ধ করে বলেই দিলাম,

-থামুন আপনি!আ্ আমি ঘুমোচ্ছি!
-লক্ষ্মী বউ!
উনি থামলেন।উল্টোপাশ ফিরে শুতে যাচ্ছিলাম।অঙ্কুর আমার একহাত বিছানায় চেপে ধরে বললেন,
-দিস সাইড ম্যাডাম!
দুই হাত মাথার নিচে দিয়ে চোখ বন্ধ করে কাচুমাচু হয়ে শুয়ে রইলাম।সারাটাদিন কান্নাকাটির ফলস্বরুপ ঘুমিয়ে যেতে খুব একটা বেশি সময় লাগেনি হয়তো।
সকালে ঘুম ভাঙার পর চোখ মেলতেই অঙ্কুরের হাসিমুখ।একটু অগোছালো লাগছে তাকে,তবে ঠোটের মুচকি হাসিটা সবটা উপেক্ষা করে দিয়েছে।ঠিকমতো তাকাতেই অবাক আমি।আগের রাতে যেভাবে হাতের উপর মাথা রেখে শুয়ে ছিলেন উনি,এখনো সেভাবেই শুয়ে।খালি গায়ে।গলা অবদি চাদর টেনে দিলাম।উনি হাসিটা প্রসারিত করে বললেন,
-গুড মর্নিং!

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

-এখনো আমাকে খালি গায়ে দেখে হেজিটেশন হচ্ছে?আমি কিন্তু সহজে টিশার্ট পরছি না।
বিছানায় চশমা হাতড়াতে লাগলাম।অঙ্কুর কোথথেকে চশমা এনে আমার চোখে পরিয়ে দিয়ে বললেন,
-চশমা দিয়ে দেখবে?
আমি অন্যদিক তাকালাম।উনি বললেন,
-চশমা ছাড়া,উম্….ভালো লাগবে মা তোমাকে।খবরদার কখনো লেন্স ইউজ করবে না!এভাবেই চাশমিশ হয়েই থেকো!
শুয়ে থেকেই চশমা আরেকটু ঠেলে দিলাম চোখে।অঙ্কুর আচমকাই আমার কপালে পরে থাকা বেবি হেয়ারগুলো সরিয়ে দিয়ে বললেন,
-ঘুমন্ত অবস্থায় একদম নিস্পাপ লাগছিলো তোমাকে।কে বলবে,এই সেই সাহসী অদ্রি!বাচ্চাদের মতো কাচুমাচু হয়ে ঘুমাও!অসম্ভব মায়াবী লাগে দেখতে তোমাকে তখন!ট্রাস্ট মি,সারারাত দেখেও মন ভরেনি!
আমার চাওনিতে বিস্ময় দেখে উনি একটু শব্দ করে হেসে দিয়ে বললেন,
-মজা করছিলাম।সারারাত জেগে জেগে তোমাকে দেখবো,এতোটা রোমান্টিক আমি নই!সকালে আগে ঘুম ভেঙে গিয়েছিলো,তাই….

-এভাবেই চাদর জরিয়ে শুয়ে থাকবে?ফ্রেশ হবে না?অবশ্য বারবার অবাক হয়ে যাই তোমাকে দেখে অদ্রি!এতো ভারি লেহেঙ্গাটা পরেও বেশ ঘুম ঘুমিয়েছো তুমি রাতে!
গায়ে চাদর জরিয়েই আস্তেধীরে নেমে আসলাম বিছানা ছেড়ে।অঙ্কুর মাথার নিচে দুইহাত দিয়ে চিত হয়ে শুয়ে আড়মোড়া ভেঙে বললেন,
-এই?তুমি না কাল রাতে ওই কি যেনো,নিজেকে সমর্পন করতে এসেছিলে আমার কাছে।বলছিলে না,ইউ আর অল মাইন,এন্ড সো অন?
ভ্রুকুচকে তাকালাম আমি।অঙ্কুর একটা টেডিস্মাইল দিয়ে বললেন,
-মানে রাতে ওই বিহেভ করে,এখন লজ্জা পাচ্ছো?
চাদর খামচে ধরে শক্ত হয়ে দাড়িয়ে রইলাম।উনি বললেন,

-তোমার কাজগুলো তোমার মতোই।উল্টো!যাই হোক,তোমার দরকারী সবকিছুই কাবার্ডে আছে।নিয়ে নিও।আর আমি এখন ঘুমোবো।কোনো রকমের ডিস্টার্ব চাইনা আমার।যেকোনো দরকারে নায়েব কাকাকে ডেকে নিও।গুড ডে!
অঙ্কুর উপুর হয়ে শুয়ে পরলেন।কিছুক্ষনের জন্য থেমে ছিলাম ওই উন্মক্ত ফর্সা পিঠের দিকে।এখন কখনকার ঘুম?তাতে কার কি?চুপচাপ গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।চল অদ্রি,আদর্শ বউয়ের জীবন শুরু কর!সংসার নামক সংগ্রাম না,সংগ্রাম নামের সংসার শুরু হলো তোর।মেঝেতে ছড়িয়ে থাকা ফুলগুলো গুছিয়ে তুলে বেরিয়ে আসলাম রুম থেকে।নিচে নেমে কিচেনের দিকে পা বাড়াতেই নায়েব কাকা বললো,

-আহানিতা মা?তুমি ভেতরে আসিও না।ওইহানেই থাকো!কিছু লাগলে আমারে কও,আমি বানায়া দিতাছি!
-কেনো?আমি ভেতরে গেলে কি সমস্যা?
-অঙ্কুর বাবায় তো ওইদিনই কইছে,তোমারে আগুনের ধারেকাছে না আসতে দিতে।অজ্ঞান হয়া যাও যে তুমি!এই বাসায় কাম করার লোকের অভাব নাই!অভাব তো আছিলো একটা লক্ষ্মীর!আফরা আপা যহন আছিলো,কোনো কামে এতোখানিও হেরফের হইতো না।অহন তুমি আইছো,সব ঠিকমতোই হইবো,দেইখো!
মনিমার নাম শুনেই কলিজা মোচড় দিয়ে উঠলো আমার।বুক ভারী হয়ে আসতে লাগলো।কোনোমতে চোখের জলকে আটকে দিয়ে বললাম,

-মনিমা,মানে আফরা খানমকে আনার কথা বলোনি তুমি অঙ্কুরকে নায়েব কাকা?
-হে কি বাইচা আছে?আমরা তো জানি হে….
-ত্ তুমি কাজ করো কাকা!
আর শুনতে পারছিলাম না।সবাই জানে মনিমা আর নেই।অঙ্কুরই হয়তো জানিয়েছেন ওদের,তার মা মৃত!দৌড়ে চলে আসছিলাম।সিড়িতে পা রাখতেই,
-আন্নু?

আস্থার গলা!দরজায় তাকিয়ে দেখি সত্যিই ও এসেছে।পিছনে চারজন গার্ডস্ ওকে থামানোর চেষ্টায় আছে।তাড়াতাড়ি নেমে এসে ওদেরকে থামতে বললাম।আস্থা সোজা মার লাগালো আমার কাধে।বললো,
-কিবে?সেলিব্রেটিকে বিয়ে করে আমাকে গুলে খেয়েছিস?শশুড়বাড়ি বরের কাছে আসার আগে একবারও মনে পরলো না আমার কথা?দুইদিন হলো একবারও ফোন করিস নি আমাকে!জানিস পরশু কি হয়েছে?তা জানবি কিভাবে!তোরা তো তোদের দুনিয়ায়!তান্নুর মাথায় ব্যান্ডেজ পরেছে,আর তুই এএসএ’র সাথে চলে এলি!আমি তোহ্…..
ওকে টেনে এনে সোফায় বসালাম।ও বকবক করছেই।পানির গ্লাস এগিয়ে দিয়ে বললাম,

-আস্থা?একটু দম নে!শুনছি আমি!
-ও হ্যাঁ।জাস্ট আ মিনিট!
ঢকঢক করে পানি পুরোটা শেষ করলো ও।আবারো বলতে লাগলো,
-হ্যাঁ,তো কোথায় ছিলাম আমি?ওহ্!তোর বিয়ের প্লান নিয়ে।শোন আন্নু….
-তুই এতো সকালসকাল এ বাসায়?
মুহুর্তেই কাদোকাদো চোখমুখ বানিয়ে ফেললো ও।ন্যাকিস্বরে বললো,
-এ্যাঁআআআ!বেস্টু আমার পর হয়ে গেছেএএএএ!
-আস্থা থাম।এমন কেনো করছিস তুই?
-আহানিতা?

রোহান ভাইয়ার গলা।মাথা তুলে তাকিয়ে দেখি হাতে একটা বড়সড় ফুলের তোড়া নিয়ে দাড়িয়ে উনি।ওতে সরি লেখা।আস্থা একদম জ্বলন্ত উল্কাপিন্ডের মতো খিচে উঠে দাড়িয়ে বললো,
-এইযে মিস্টার?লজ্জা করে না?একটা মেয়েকে এতো বাজেভাবে অপমান করে তাকেই এভাবে ফলো করতে।আপনি কি ভেবেছেন,ওতোসব কান্ড করে,এই ফুলের বুকে দিয়ে আমাকে সরি বলবেন আর আমি আপনার সরি মেনে নেবো?
-দেখুন আমি আপনাকে….
-আমাকে কি?হ্যাঁ?আমাকে কি?আপনার অপমান ভুলিনি আমি।একটা মেয়েকে বাড়ি বয়ে গিয়ে অপমান করে এসেছেন,এখন একদম ভালোমানুষির নাটক করতে আসবেন না!কি দোষ ছিলো আমার?আপনারা মেয়ে দেখতে যাবেন বলে আপনারাই সামনাসামনি মত দিতে পারবেন?আমাদের মেয়েদের কোনো অধিকার নেই!
আস্থার হাত ঝাকিয়ে বললাম,

-কিসব বলছিস তুই আস্থা?থাম!উনি….
আস্থা ঝারা মেরে হাত ছাড়িয়ে নিলো আমার।বললো,
-তুই থাম!আর এইযে মিস্টার?বিয়ে করার জন্য আমি উতলা হয়নি।আস্থার মুডসুয়িং সামলাতে না পারার নয়জনের রেকর্ড আছে।আমাকে ধরেবেধে আপনাদের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো।আপনাকে প্রথম দেখাতেই ভালো লেগেছিলো।” মালটা জোশ আছে ” ছোটবোনকে কথাটা ধীরে বলতে গিয়ে সবার সামনে জোরে বলে দিয়েছি।আর আপনি কি করলেন?এই তিনটে শব্দের জন্য দুই পরিবারের সামনে একগাদা কথা শুনিয়ে অপমান করে আসলেন আমাকে?আমি ইরেসইন্সিবল মেয়ে?আমার ম্যানারস্ নেই?শুনুন মিস্টার রোহান!আমি!এই আস্থা!অভিশাপ দিচ্ছি আপনাকে,আপনার কপালে পৃথিবীর সবচেয়ে ম্যানারলেস মেয়েটাই নাচছে!মিলিয়ে নেবেন!আপনি তো….

-স্টপ ইট!এনাফ অফ ইউর ননসেন্স!
তুড়ি বাজিয়ে বাজিয়ে কথাগুলো বলছিলো আস্থা।রোহান ভাইয়ার ধমকে চুপসে আমার পেছনে গিয়ে দাড়ালো ও।রোহান ভাইয়া ফুলটা আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন,
-সরি আহানিতা।বিয়ের আগের সবটার জন্য।
তার ধমকে আমিও‌ খানিকটা চমকে উঠেছিলাম।ফুলটা কোনোমতে হাতে নিলাম।একটু হাসার চেষ্টা করে বললাম,
-ইটস্ ওকে ভাইয়া।সবটাই তো আমার কপাল।
আস্থা বিরবিরিয়ে বললো,
-এ তোকে সরি বলতে এসেছে?তাই ভাবি,এতো সহজে রাবন সন্ন্যাস নিলো কেনো?তা এই লঙ্কাপতি এখানে কেনো?
আস্থাকে আস্তে করে বললাম,

-আস্থা,উনি অঙ্কুরের ফ্রেন্ড।একটু রহম কর?চুপ থাক?বাকিটা পরে শুনছি আর বলছি?
কোনো কথার আগেই তানহা আসলো।ও এসে জরিয়ে ধরলো আমাকে বললো,
-কেমন আছিস আন্নু?
-ভালো।তুই?
-তোর সবটা জেনে কেমন থাকবো?
আস্থা বললো,
-কি বিরবির করছিস তোরা?
-তুই আগেআগে চলে আসলি কেনো আমাকে ছেড়েই?
তানহার এই এক কথাতেই চুপ করলো আস্থা।তানহাকে বললাম,
-তান্নু?মনিমা?

-না তোর বিদায়ে কেদেছে,না তুই চলে আসার পর।আমি বাসায় যাই নি।মনিমার কাছেই ছিলাম।ভালো আছে।তোরা ভালো আছিস ভেবে সে বেশিই ভালো আছে।আর তিহানকে কাল রাতের পর দুবার ফোন করেছিলাম।রিসিভ করে‌ নি।
চুপ রইলাম।আস্থা রোহান ভাইয়ার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বললো,
-অঙ্কুর ভাইয়া কোথায়?
রোহান ভাইয়াও ওরদিক তাকিয়েই বললো,
-অঙ্কুর কোথায় আহানিতা?
-উনি রুমেই।আ্ আপনারা বসুন,আমি ডেকে দিচ্ছি।
ওরা সোফায় বসলো।আমি চলে আসলাম।রুমে ঢুকে দেখি অঙ্কুর উঠে পরেছেন।আয়নার সামনে দাড়িয়ে নীল টিশার্ট আর ট্রাউজার পরে ভেজা চুল নাড়ছেন উনি।এগিয়ে গিয়ে বললাম,
-তানহারা এসেছে।

উনি থেমে গেলেন।আয়নার ভেতরে আমার দিক তাকিয়ে আবারো চুল উল্টিয়ে বললেন,
-আসবেই তো,বান্ধবীর শশুড়বাড়ি।দে আর অলওয়েজ ওয়েলকাম!
তাকিয়ে রইলাম তারদিকে কিছুক্ষন।উনি ব্যস্তই।চলে আসছিলাম,কিন্তু হাতে টান পরলো আমার।পেছন ফেরার আগেই অঙ্কুর একটানে তার সাথে আটকে নিলেন আমাকে।তার বুকে পিঠ ঠেকে গেছে।আমার দুহাতের আঙুলের ভাজে আঙুল গলিয়ে দিয়েছেন উনি।হঠাৎই এক অদ্ভুত শিহরন শুরু হয়ে গেলো শরীর,মন জুরে।উনি আমার ঘাড়ে নাক ডুবিয়ে‌ নেশালো কন্ঠে বললেন,
-তোমার কাছে এই অনুভূতিগুলোর কি নাম অদ্রি?
চোখ বন্ধ করে নিলাম।কি নাম দেবো?শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে অচেনা শিহরন,অজানা উপলব্ধি তাদেরকে কি নাম দেবো?যেখানে ভালোবাসার কোনো স্থান হতে দেবো না আমি।কি নাম দেবো তবে এদের?অঙ্কুর ওভাবে থেকেই বললেন,

সবটাই তুমিময় পর্ব ১৬

-নিজেকে একটু সামলাও অদ্রি।নইলে যে আমার মতো তোমাকেও এক তান্ডবের মুখোমুখি হতে হবে।যখন তো‌মার কাছে এই অনুভূতিগুলোর নাম থাকবে না,আমার মতো উত্তর খুজে পাবে না,সবকিছু এলোমেলো লাগবে,তখন বাধ্য হয়ে আমার মতো এগুলোকে সর্বনাশা বলে বিকৃত নামে ডাকতে শুরু করবে তুমি।তারচেয়ে এখনই বলো অদ্রি?এই অনুভুতির কোনো নাম জানা আছে তোমার?কোনো কারন?
-হয়তো আমাদের এক করা এই পবিত্র সম্পর্কের টান।

চোখ বন্ধ করে কথাটা বলে নিজেই চমকে উঠলাম।অজান্তে কি বলে ফেলেছি আমি?অঙ্কুর তারদিক ফেরালেন আমাকে।তার ঠোটে তৃপ্তির হাসি।আমার দুগাল ধরে কপালে আলতোভাবে ঠোট ছুইয়ে দিয়ে বেরিয়ে গেলেন।দম মেরে দাড়িয়ে রইলা‌ম।উত্তরটা কেনো,কিভাবে বেরিয়ে গেছে মুখ দিয়ে,নিজেও জানি না।কিন্তু ওই তৃপ্তির হাসি মনকে শীতল করে দিয়েছে।গালে তার স্পর্শ যেনো কোনো এক অজানা রঙে রাঙিয়ে দিয়েছে আমায়।যখন আমার চুলে নাক ডুবিয়ে ছিলেন উনি,তার উষ্ণ নিশ্বাস চারপাশে এক মোহনীয়তা তৈরী করে দিয়েছিলো,এখনো অনুভব করতে পারছি আমি তা।কিছুটা কেপে উঠলাম।তবে কি কোনোভাবে,এরাই সেই সর্বনাশা অনুভুতি???

সবটাই তুমিময় পর্ব ১৮