সবটাই তুমিময় পর্ব ২১ || লেখনিতে – মিথিলা মাশরেকা

সবটাই তুমিময় পর্ব ২১
লেখনিতে – মিথিলা মাশরেকা

-বাবা মাকে পালিয়ে,ভালোবেসে বিয়ে করেছিলো বলে দাদু তাকে
ত্যাজ্য করে দিলো?শুধুমাত্র তার পছন্দে তোমাকে বিয়ে করেনি বলে এতোটা রাগ তার মনিমা,যে আমাকেও গ্রহন করলো না সে?

মাথায় হাত বুলাচ্ছিলো মনিমা।তার হাত থেমে গেলো।ভোরের আলো ফোটার আগেই অঙ্কুরের ড্রাইভার এ বাসায় পৌছে দিয়ে গেছে আমাকে।ব্যালকনিতে দাড়িয়ে কফি মগে চুমুক দিতে দিতে নিরবে আমার চলে আসাটা দেখেছেন অঙ্কুর।আমি এখানে আসাতে মনিমা অবাক হলেও,খুশিও হয়েছিলো।তার চোখজোড়া খুজে চলছিলো অঙ্কুরকে।
উনি আসেননি বলাতে উচ্ছাসটা মুহুর্তেই বেরঙ হয়ে গেলেও,হাসিমুখে মনিমা বুকে জরিয়ে নিলো আমাকে।নিজহাতে খাইয়ে দিলো।তারপর হাতে ধরিয়ে দিলো দুটো ফটোফ্রেম।একটাতে মা বাবার বরকনে সাজ,আরেকটাতে আমাকে কোলে রেখে,তিনজনে।ফ্যামিলি ফটো।মনিমার কোলে মাথা রেখে ছবিদুটো বুকে জরিয়ে শুয়েছিলাম।আমার মাথায় হাত বুলাচ্ছিলো মনিমা।প্রশ্নটা শুনে একপ্রকার আটকেই গেলো সে।উঠে বসে আবারো বললাম,

-বলোনা মনিমা?কোথায় থাকে আমার দাদু,দাদীমা?আমার সাথে কেনো এমনটা করছে?আমি কি দোষ করেছি?কোনোদিনও কি মানবে না তারা আমাকে?
মনিমা একটা জোরে শ্বাস ফেলে আমার গালে হাত রেখে বললো,
-ওনারা গ্রামে থাকেন।দুটো ছেলেই শুধু।তোর বড় চাচ্চু লেখাপড়া করেননি।গ্রামেই বাবার জমিজমা দেখাশোনা করেন।তোর দাদুভাই খুব শখ করে শহরে পাঠিয়েছিলো তোর বাবাকে।পড়ালেখা করে তার নাম উজ্জল করবে বলে।হচ্ছিলোও তাই।কিন্তু এই বিয়েটা…আমার উপরও রাগ তার।তোর বাবা মায়ের মৃত্যুসংবাদ শুনেছে তারা।কেদেছেও।আমার এখন মনে হয়,আমি তোর দায়িত্ব নিয়েছিলাম বলেই হয়তো তোকে মানতে চায়না তারা।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

-তোমার কোনো দোষ নেই মনিমা।তুমিতো নতুন জীবন দিয়েছো আমাকে।দাদু,দাদীমা বোঝেনি।কিন্তু আমার নানুবাড়ির লোকজন?ওরা কেমন?
-পরবর্তীতে আর তাদের খবর নেই নি আমি আন্নু।তোকে আকড়ে স্বার্থপরের মতো বাচতে চেয়েছিলাম।
-না মনিমা।তুমি স্বার্থপর নও!নিজেকে এটা বলে আমার গ্লানি বাড়িও না প্লিজ!
মনিমা মৃদ্যু হেসে বললো,

-তোর বাবা মার ফ্লাটে গিয়েছিলাম আমি।ওখান থেকেই তোর মায়ের শাড়ি গয়না পেয়েছিলাম।ওদের বিয়ের ছবি আর তোর সাথের এই ছবি দুইটা।ভেবেছিলাম ওখানেই থেকে যাই তোকে নিয়ে।কিন্তু অঙ্কুরের বাবা সেদিনই ফোন করে জানালো ও বাসাটাও পুড়িয়ে দেবে কেউ।কে,বা কারা জিজ্ঞাসা করেছি।বলেনি।শুধু বলেছিলো নয়বছর এক ছাদের তলায় থেকেছি তোমার সাথে।জেনেশুনে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে চাই না।তাই ওখান থেকে চলে যাও।চলে আসি তোকে নিয়ে।তারপর সত্যিসত্যিই কেউ আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিলো ওই ফ্লাট।

মনিমা চোখ মুছলো।সাথে আমিও।এরমাঝে আস্থা,তানহা হাজির।মনিমা ফোন করেছিলো ওদের।তিহান অফিসে বলে আসবে না বলেছে।ওর চাকরিটা নিয়ে মনিমাও খুশি,তাই জোর করেনি।নিজেকে সামলে উঠে দাড়ালাম।ওরা এসে জরিয়ে ধরলো আমাকে।এক অদ্ভুত খুশির ঝলকানি দুজনের চেহারাতেই।নিমিষেই মনটা তৃপ্তিতে ভরে উঠলো।তানহার খুশির কারন তিহানের চাকরিটাতে জয়েন করা,আর আস্থা খুশি একদিন রোহান ভাইয়ার কাছে লিফট্ পেয়ে।যদিও রোহান ভাইয়া বলেছেন সে নাকি অঙ্কুরের জোরাজুরিতে বাধ্য হয়েছিলেন ওকে ড্রপ করতে,সেটা কানে তোলেনি ও তা বোঝাই যাচ্ছে।সারাদিন আড্ডা দিলাম তিনজনে।আস্থার বাবা এদিক দিয়েই যাচ্ছিলো,ওকে নিয়ে গেছে।তানহাও বেরোবে এখন।ওর গাড়ির কাছে দাড়ালাম দুজনে।তানহা বললো,

-কিছু পেয়েছিস?
-উহুম।
-এভাবে আর কতোদিন চলবে?
-জানিনা।তবে হাতে সময় নেই একদমই।তাছাড়া অনিক আফতাবকেও তার ডেরা থেকে টেনে বের করতে হবে।
তানহার ফোন বেজে উঠলো।রিসিভ করে ওপাশ থেকে কিছু শুনে তানহা বললো,
-ঠিকাছে পাপা।তুমি নতুন কেনো,তবে আপাতত এটা থাকুক।আমি সব ডিটেইলস্ চেক করে দেবো।মাম্মি তো বলেছে এ মাসে আসবে না।ল্যাপটপটাতে ইম্পর্টেন্ট কিছু ডকুমেন্টস্ আছে।ওগুলো চেক না করে….
আটকে গেলো ও।চকচকে চোখে আমিও তাকিয়েছি ওরদিকে।
-পরে কথা বলছি পাপা।
ফোন কাটলো তানহা।আমাকে বললো,
-বুঝেছিস?

মাথা দুলালাম।ও দু হাতের তালু এক করে বললো,
-ব্যস।তাহলে তো হলোই।এএসএ’র পিসিতে কিছু না কিছু তো থাকবেই।ওগুলো একবার হাতে পেলেই….
পরপরই চুপ করে গেলো ও।চিন্তিত স্বরে বললো,
-কিন্তু আন্নু?পাসওয়ার্ড?
একটু থেমে গেলাম আমিও।তানহা বললো,
-এতো সহজে কি এএসএ কাউকে ধরতে দেবে ওটা?তার ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড অবশ্যই এমন কিছু হবে যা কেউ ধারনাও করতে পারবে না।
একটু ভেবে বাকা হাসলাম।তানহা সন্দেহ নিয়ে বললো,
-পারবি?
-পারবো।পারতে তো আমাকে হবেই।তুই আয়।
আবারো জরিয়ে ধরে গাড়ি করে বেরিয়ে গেলো ও।বাসায় ঢুকলাম।কিন্তু রাত কিছুটা গভীর হতেই আরেকটা গাড়ি থামলো আমাদের বাসায়।সাথে অঙ্কুরের ম্যাসেজ,গাড়ি পাঠিয়েছি,চলে এসো।মনিমাকে বিদায় জানিয়ে রাতের আধারে আবারো পাড়ি জমালাম সেই নন্দিত নরকে।

সকাল এগারোটা।অঙ্কুর বিছানায় বসে ল্যাপটপে মগ্ন।সকাল থেকে নিজেকে স্বাভাবিক রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেছি।সফ‌লও ছিলাম।কিন্তু এবার আসল অগ্নিপরীক্ষা শুরু।একটা শুকনো ঢোক গিলে,জোরে শ্বাস নিয়ে শক্ত করলাম নিজেকে।অঙ্কুরের সামনে দাড়িয়ে বললাম,
-একটা হেল্প করবেন?
ল্যাপটপ থেকে চোখ তুলে অঙ্কুর বিস্ফোরিত চোখে তাকালেন আমার দিকে।শান্ত দৃষ্টি স্থির রাখলাম আমি।উনি ল্যাপটপ ছেড়ে এগিয়ে আসলেনচরম বিস্ময় নিয়েই বললেন,
-কি বললে তুমি?
-আ্ আমার আপনার একটা হেল্প চাই।
-মানেহ্?
-আই নিড ইওর হেল্প।

অঙ্কুর দুহাতে বুকের বা পাশ চেপে ধরলেন।তীব্র কষ্ট হচ্ছে তার এমন একটা ভঙিমা করে কি বুঝে আমার চোখ থেকে চশমা খুলে নিলেন।চশমাটা নিজের চোখে এটে দিয়ে বললেন,
-হোয়াট?আমি ঠিক শুনলাম তো?তুমি…আমার কাছে হেল্প চাইছো?আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না নিজের কানকে!অদ্রি?তুমি ঠিক আছো তো?এই নাও,চশমা পরেছি।এবার ঠিক শুনবো।তুমি আরেকবার বলো তো?কি বললে?
-যদি সাহায্য করার হয় করুন,নয়তো এসব কথা বলে শুধুশুধু নিজেকে হ্যাংলা প্রমান করবেন না।
উনি ঠোট টিপে হেসে চশমাটা ফিরিয়ে দিলেন।বুকে হাত গুজে হেসে‌ বললেন,
-কিডিং!বলো কি হেল্প লাগবে?

-আসলে,চুলে একটু লেবুর রস দেবো।নিজে নিজে হ্যান্ডেল করতে পারছি না।ও বাসায় থাকতে মনিমাই দিয়ে দিতো।এখানে আসার পরে তো….
অঙ্কুর বড়বড় চোখে তাকিয়ে থেকে শব্দ করে পেট ধরে হাসতে লাগলেন।চুপচাপ হাসিটা দেখলাম শুধু।কেমন এক শীতল হাওয়া অনুভব করলাম মনপ্রান জুড়ে।অনেকক্ষন পর উনি কোনোমতে হাসি থামিয়ে বললেন,
-লাইক সিরিয়াসলি?অলরাউন্ডার এএসএ এখন তোমার চুলে লেবুর রস দিয়ে দেবে?
উনি আবারো হাসতে লাগলেন।কিছু না বলে চলে আসবো বলে পা বাড়ালাম।পেছন থেকেই চুলে টান পরলো।ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখি অঙ্কুর আমার চুল আঙুলে পেচিয়ে রেখে বাকা হাসছেন।বললাম,
-সাহায্য করবেন না,চুল ধরেছেন কেনো?লাগবে না আপনার হেল্প!ছাড়ুন!
উনি একটান লাগালেন।ব্যথা পেয়েছি,তবে টাল সামলাতে না পেরে তার বুকে পিঠ ঠেকেছে আমার।উনি ফিসফিসিয়ে বললেন,

-একবারও বলেছি?লাগিয়ে দেবো না?রাগ সবসময় নাকের ডগায় এসেই থাকে আপনার তাইনা মিস পর্বতশৃঙ্গ?
অঙ্কুর চুল ছেড়ে আমাকে ড্রেসিংটেবিলের সামনে বসিয়ে দিলেন।খুব যত্ম সহকারে বাটিতে থাকা লেবুর রস নিয়ে চুলে হাত বুলাতে লাগলেন উনি।দেওয়া শেষে আমার কানের কাছে মুখ এনে বললেন,
-এসবের প্রয়োজন হয়না তোমার।এমনিতেও….
কথা শেষ না করে চুলে নাক ছুইয়ে,চোখ বন্ধ করে,জোরে শ্বাস নিয়ে,মুচকি হাসলেন উনি।আয়নায় পুরোটাই দেখলাম।অঙ্কুর ওয়াশরুমের দিকে যাচ্ছিলেন হাত ধোয়ার জন্য।তাড়াতাড়ি উঠে দাড়িয়ে বললাম,

-কোথায় যাচ্ছেন?
উনি ভ্রুকুচকে তাকালেন।মুখে হাসি ফুটিয়ে তারদিক এগোলাম।ওড়নায় তার হাত মুছিয়ে দিতে দিতে বললাম,
-থ্যাংক ইউ।
অঙ্কুর এতো বড়বড় চোখে তাকিয়েছেন যেনো চোখজোড়া বেরিয়ে আসবে তার।অনেকটা সময় পর উনি ফু দিয়ে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে বললেন,
-ইটস্ গেটিং কমপ্লিকেটেড।মানতে পারছি না।
-মানতে বাধ্য করিনি আপনাকে।নিজের কাজ করুন।

এটুক বলেই সরে আসলাম।উনি আবারো কপাল কুচকে তাকিয়ে রইলেন কিছুক্ষন।তারপর মাথা নাড়তে নাড়তে গিয়ে ল্যাপটপ কোলে তুলে বসলেন।আমি গুটিগুটি পায়ে ব্যালকনির থাই গ্লাসের দরজার কাছে গিয়ে দাড়িয়েছি।যেইনা ল্যাপটপে উইন্ডোজ ওপেন হওয়ার শব্দ,আর্তনাত করে উঠলাম।দরজা লাগাতে গিয়ে আঙুল চাপা পরেছে।অঙ্কুর তৎক্ষনাৎ ল্যাপটপ ফেলে ছুটে এসে আঙুল ধরলেন আমার।বেশ খানিকটা কেটে গেছে।উনি আমার আঙুল নিয়ে ব্যস্ত।আর আমি আড়চোখে দেখলাম ল্যাপটপের সুইচ অফ।

-কি করো কি তুমি?সাবধানে কাজ করতে পারো না?কে বলেছে এখন দরজা লাগাতে?
ধমকাতে লাগলেন অঙ্কুর।তারপর আমার হাত ছেড়ে হন্ন হয়ে এদিকওদিক ছুটতে লাগলেন।বুঝলাম ফার্স্ট এইড বক্স খুজছেন উনি।বললাম,

-কাল মাথাব্যথা করছিলো,ওষুধের জন্য ফার্স্ট এইড বক্সটা পুরোটা ধরে ওই রুমে নিয়ে গিয়েছিলাম।আনার কথা মনে নেই।
বিরক্তি নিয়ে আমার দিকে তাকালেন উনি।তারপর বেরিয়ে গেলেন।তাড়াতাড়ি ল্যাপটপটার দিকে এগোলাম।অন করতেই লেখা এগারো ডিজিটের পাসওয়ার্ড।কিবোর্ডের প্রতিটা অক্ষরের উপর লিটমাস পেপার ছড়াতে লাগলাম আমি।লেবুর রস লেগে থাকা হাতে সবেমাত্র এই কিবোর্ড ছুয়ে পাসওয়ার্ড দিয়েছেন উনি।এবার যে যে বর্ন উনি ছুয়েছেন,সে বর্নগুলোর উপর রাখা লিটমাস পেপার কালার চেন্জ করবে।ঘটলোও তাই।একে একে অল্পবিস্তর রঙ বদলাতে লাগলো কিবোর্ডের উপরের লিটমাসের কাগজগুলো।E,Y,U,O,A,L,V,M,আর স্পেস বাটন।আরেকটা কাগজে টপাটপ লিখে নিলাম বর্নগুলো।
গুনে দেখলাম ওখানে নয়টি বাটন ব্যবহার করা হয়েছে।কিন্তু পাসওয়ার্ড এগারো ডিজিটের।তারমানে বাকি দুটোও এগুলোর মধ্যেই।যেকোনো দুটো বর্ন,দুইবার ব্যবহার হয়েছে।একটা শুকনো ঢোক গিললাম।অঙ্কুর আসার আগেই তাড়াতাড়ি সরিয়ে ফেললাম কাগজগুলো।ইচ্ছে করেই ফার্স্ট এইড বক্স এমন জায়গায় রেখেছিলাম যাতে খুজতে সময় লাগে তার।

অঙ্কুর ফার্স্ট এইড বক্স হাতে ভেতরে ঢুকলেন।দরজায় দাড়িয়ে শান্তভাবে চারপাশটা দেখে নিলেন উনি।যদিও ততক্ষনে এদিকের সবটা আগের মতোই করে ফেলেছি,তবুও কেমন যেনো ভয়ভয় করছিলো।উনি এগিয়ে এসে চুপচাপ ওষুধ লাগাতে লাগলেন আমার হাতে।ওষুধ লাগানো শেষে একবার আঙুলে ফু দিয়ে বললেন,
-নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রাভঙ্গ বোঝো অদ্রি?
বিস্ফোরিত চোখে তাকালাম আমি।কোনোভাবে উনি কি কিছু আন্দাজ করেছেন?কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব?অঙ্কুর আমার আঙুলেই দৃষ্টি নিবদ্ধ করে ছিলেন।মাথা তুলে হেসে দিয়ে বললেন,

সবটাই তুমিময় পর্ব ২০

-আরে আরে?এমন করে কেনো রিয়্যাক্ট করছো?তারমানে সত্যিই এমনটাই প্লান তোমার তাইনা?
-মানে?ক্ কি‌সব আবোলতাবোল বলছেন এসব?
-আবোলতাবোল?আমার তো মনে হলো তুমি ইচ্ছে করেই হাতে লাগালে।যাতে আমি বাসার বাইরে না যাই,তোমার সেবায় নিয়োজিত থাকি,বরের এটেনশন পাও।এটসেট্রা,এটসেট্রা!মুলত হাত কাটার বাহানায় আমাকে পাশে চাও তুমি!
শ্বাস নিলাম আমি।অতপর তারদিক চোখ তুলে তাকিয়ে বললাম,
-হাত কাটা কেনো?মৃত্যুমুখেও আপনাকে পাশে চাইনা আমার!
উনি মুচকি হেসে আমার হাতটা ছেড়ে দিয়ে বললেন,

-সেটাতো সময়ই বলবে।
আবারো ল্যাপটপ কোলে নিয়ে বিছানায় বসে গেলেন উনি।বিশ্বজয়ের হাসি ছিলো আমার চেহারায়।আপনার ম্যাচের এখনো চারদিন বাকি অঙ্কুর।আর এ চারদিনে,এই নয়টা বর্নের সবরকমের বিন্যাস আমি বের করে নেবো।ঠিক বের করে নেবো,পাসওয়ার্ডটা কি!যে করেই হোক,আপনার ওই ল্যাপটপ তো আমি খুলবোই!আর একইভাবে আপনার মুখোশও টেনে খুলে দেবো সবার সামনে।জাস্ট ওয়েট,এন্ড ওয়াচ মিস্টার আরিয়ান সার্ফরাজ অঙ্কুর!

সবটাই তুমিময় পর্ব ২২