সবটাই তুমিময় পর্ব ৩৬ || লেখনিতে – মিথিলা মাশরেকা

সবটাই তুমিময় পর্ব ৩৬
লেখনিতে – মিথিলা মাশরেকা

সাদা মেঘের ভেলা নীল আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে।শরতের এ স্নিগ্ধতা মনপ্রান জুরিয়ে দেয়।দরজার সামনে সিড়িতে বসে মুক্ত আকাশের ওই সাদা পেজা তুলোর মতো উড়তে থাকা মেঘ দেখে দেখে চরম স্বস্তিতে মন ভরিয়ে তুলছি।বাসার ভেতরে অনেকগুলো কন্ঠস্বর।গ্রাম থেকে চাচ্চু,চাচীআম্মা,চাচাতো বোন আসফি এসেছে।নানীমা,একমাত্র মামা,মামীমা,তাদের দুটো জমজ ছেলে শাকিল,শিহাব ভাইয়া,খালামনি,তার মেয়ে তনিমা আপু,ওরাও এসেছে।আজ বাদে কাল বিয়ে।সবে শপিং করে ফিরলো সবাই।ওগুলোই দেখছে সবাই মিলে।

এতোক্ষন ওখানে বসেই দেখছিলাম সবটা।আমার দাদুবাড়ি,নানুবাড়ির সংস্কৃতির মধ্যে যে অনেকটাই তফাৎ,তা বুঝতে খুব একটা কষ্ট হলো না।প্রায় জিনিসেই নানু,দাদীমার মাঝে তর্ক।পরপরই আদুরে গলায় বেয়াইন ঠিকই করেছেন বলে মিটিয়ে নিচ্ছে ওরাই।এই অনাথ মেয়েটার এখন কতো স্বজন!মনিমা আর আমার এই ছোট্ট পৃথিবী,এখন ভরপুর।আত্মীয়স্বজনে।দুফোটা আনন্দঅশ্রু বেরিয়ে এলো।সবটাই অঙ্কুরের জন্য।হাতের দিকে তাকালাম।আংটিটা।এরমধ্যে ফোন বাজতেই স্ক্রিনে অঙ্কুরের নাম্বার।মুচকি রিসিভ করলাম কলটা।উনি বললেন,

-কি করছিলে?
-তেমন কিছু না।
-আমি বলবো?
-আপনি কি বলবেন?
-তুমি কি করছিলে।
-আপনি জানেন?আমি কি করছিলাম?
-কোনো সন্দেহ?
-বেশ!বলুন।
-হাতের আংটিটা দেখে মুচকি মুচকি হাসছিলে।
বিস্মিত হলাম।উকিঝুকি দিয়ে চারপাশটা দেখে নিলাম।নাহ্!কেউ নেই কোথাও।উনি বললেন,
-ডোন্ট প্যানিক।যাইনি ওখানে।ফিল করতে পারছিলাম,তুমি আমাকেই মিস করছো।তাইতো কল করলাম।আর আপাতত আমার নিদর্শন বলতে ওই আংটিটাই আছে তোমার কাছে।তাই বলে দিলাম।
মুচকি হাসলাম।উনি বললেন,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

-ভালোবাসি অদ্রি।
এই দুটো শব্দ!এরা যথেষ্ট,আমার ধ্যানজ্ঞান কেড়ে নেওয়ার জন্য।কাপাকাপা কন্ঠে কিছু বলতে যাওয়ার আগেই কেউ পানি ছুড়ে মারলো।কোনোমতে ফোনটা বাচিয়ে সাইডে রাখলাম।ঠিকমতো তাকিয়ে দেখি ওয়াটার বল হাতে আস্থা দাড়িয়ে।পাশে তানহা,তনিমাপুও আছে।এরা বাকিসবের সাথে শপিংয়ে বেরোলেও,এতোক্ষনে ফিরছে।উঠে দাড়িয়ে কোমড়ে হাত রেখে বললাম,
-এটা কি হলো?
সাথেসাথে তানহা আর তনিমাপু ওয়াটার বল ছুড়ে মারলো।পেছন থেকে আসফি আমার মোবাইলটা কানে নিয়ে বলতে লাগলো,

-আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া,আমি আপনার শ্যালিকা উরফ্ আপনাদের প্রেমকাবাবের হাড্ডি।বউয়ের সাথে পরে প্রেম করিয়েন।এখন সে বিজি আছে।আল্লাহ হাফেজ!
কল কেটে ফোন নিয়ে ভোঁ দৌড় লাগালো ও।বাসার ভেতরে ঢুকে দরজা লক করে দিয়েছে।ইতিমধ্যে তানহা,আস্থা,তনিমাপু ওয়াটার বল ছুড়াছুড়ি শুরু করেছে।আস্থা বললো,
-আন্নু?স্পেশালি তোর বিয়ের জন্য ওয়াটার বল কিনেছি।সবগুলো তোর উপর ফাটবে আজ ইয়ার!
-তাই না?
ওড়না বেধে একহাতে রঙ আরেকহাতে ওয়াটার বল নিয়ে ছুটলাম ওর পিছনে।দৌড়ে ছাদে চলে এসেছে তিনজনই।আমিও আসলাম ওদের পিছু পিছু।ছাদে এসে হা হয়ে গেলাম একপ্রকার।একপাশে ওয়াটার বল,অনেক রঙের আবির,আবির গোলানো পানি!মাথায় হাত দিয়ে বললাম,

-এসব কি করেছিস তোরা?
-বেস্টুর বিয়ে উপলক্ষে!
-এগুলো দাদু দেখলে তোর খবর আছে আস্থা!
-কি দেখলে কার খবর আছে?
দাদুসহ বাসার সবাই ছাদে এসেছে।আস্থা,তানহা,তনিমাপু সিরিয়ালে‌ দাড়িয়ে ঢেকে দিয়েছে ওগুলো।তিহান কিছু মরিচবাতি নিয়ে এসে ছাদে রেখে বললো,
-দাদু?শাকিল ভাইয়া,শিহাব ভাইয়া,কাকু,মামু ওরা ডেকোরেটরকে বুঝাতে পারছে না।আপনি একটু যাবেন প্লিজ?
তৃপ্তি নিয়ে তাকিয়ে রইলাম ওরদিকে।যদিও ও তাকায়নি একবারও।তানহার দিকে তাকতেই মৃদ্য হাসলো ও।লাজুকতা,সফলতার সংমিশ্রনের হাসি।চাচীআম্মা বললো,

-হ্ হ্যাঁ বাবা,যান না।যান আপনি?আমরা আহানিতাকে এখানে বসে মেহেদী দিয়ে দেই।
আস্থা দাত কেলিয়ে বললো,
-যাও না দাদু?যাও?নিজের রায়বাহাদুর উপাধীটা কোথাও তো কাজে লাগিয়ে আসো?
সবাই বড়বড় করে তাকালো ওর দিকে।ও ফোকলা হেসে বললো,
-আ’ম জোওওকিং!
দাদু কিছু না বলে তিহানের সাথে চলে গেলো।শ্বাস নিলো সবাই।বুঝলাম এটা তানহা ইচ্ছে করেই তিহানকে দিয়ে করালো।তিহান দাদুকে সিড়ি অবদি দিয়ে মিউসিক সিস্টেমে “কিউটিপাই” গান চালু করে দিয়ে গেলো।আর তানহা বসে গেলো আমার হাতে মেহেদী দিতে।আর বাকিসব ওয়াটার বল,আবির,স্প্রে গানে রঙিন পানি নিয়ে মেতেছে।সবার সাথে দেখলাম চাচীআম্মা,আসফি,দাদীমাও বেশ মজাই করছে।মুগ্ধ চোখে সবার আনন্দটা দেখছিলাম।আমার পরিবারের আনন্দ!

রাতে ডিনার শেষে সবাই যার যার মতো ঘুমোতে চলে গেছে।ড্রয়িংয়ে মেঝেতে বিছানা করা,মনিমার ঘরে বেড,মেঝেতেও ঘুমিয়েছে সবাই।এদিকে আমার রুমে আমি,আস্থা,তানহা,তনিমাপু আর আসফি।তানহা,আমি আর তনিমাপু মিলে ঘুমোনোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম,এরমধ্যে আস্থা,আসফি রুমে ঢুকলো।আসফি বললো,
-এটা কি হলো বলোতো আহানিতাপু?কাল তোমার বিয়ে,আর আজ দাদু হলুদ সন্ধ্যা করতে দিলো না?
আস্থা ভেঙচিয়ে বললো,
-হ্যাঁ হ্যাঁ,নাতনি তো শুধু তারই আছে!বিয়ে তো শুধু তার নাতনিরই হবে পৃথিবীতে!কাল বিয়ে,আজ নাকি হলুদসন্ধ্যা করলে তার নাতনি অসুস্থ্য হয়ে যেতো!টায়ার্ড হয়ে যেতো!যত্তোসব আদিক্ষেতা!হুহ!
তানহা বললো,

-ছাড় আস্থা!যা হয়নি,হয়নি!ওসব নিয়ে আর ঝামেলা করিস না!তাছাড়া বলেছে তো,কাল গোসলের আগে হলুদ ছোয়াতে।তখনই করে নিস তোদের হালদি সেরিমনি!
তনিমাপু বললো,
-দাদু তো গ্রামের মানুষ,তোমরা তো শহুরে।সে এসব বললো,আর তোমরাও মেনে নিলে?এটা তো তোমাদের দোষ!
-মানি নি তো!উই হ্যাভ প্রক্সি প্লান!
বড়বড় চোখে তাকালাম ওর দিকে।ও চুড়েলের মতো হাসছে।কপাল কুচকে বললাম,
-ক্ কি করবি কি তুই আস্থা?
ও ওভাবেই হাসছে।তীক্ষ্ম চোখে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করছিলাম ওকে।এরমধ্যে আসফি বলে উঠলো,
-ট্যান ট্যানাআআআআন!

ওরদিকে তাকিয়ে হা হয়ে গেলো আমার মুখ।ওর দুহাতে ওয়াইনের বোতল।একটা আরেকটায় ঠেকিয়ে ঠেকিয়ে ঠুসঠাস সুর তুলেছে।তনিমাপু বিছানা থেকে উৎসুকভাবে বললো,
-উয়াওওও!গার্লস্ পার্টি!
-কিহ্?কোনো পার্টিফার্টি নেই তনিমাপু!এইসব দাদু জানলে কাল আমার সাথে তোমরাও বাসাছাড়া হবে!এই আসফি?দাও ওগুলো!
আমি আসফির দিকে এগোচ্ছিলাম।তনিমাপু বিছানা ছেড়ে উঠে এসে সরিয়ে দিলো আমাকে।বললো,
-আবে বিয়ের কনে,কনের মতো থাকো বুঝলে?
তারপর আসফির গাল টিপে দিয়ে বললো,
-কিরে?সাইজে তো ছোটাসা!দিমাগ তো ঠাই কিলো কা দেখছি!সেই একটা কাজ করেছিস!
আসফি আরো ভাব নিয়ে দাড়ালো।আস্থা এসে বললো,

-ইহ!ওকে কেনো বলছো?এসব দেখেছে কোনোদিন ওর দাদুর আমলে ওই গ্রামে?এই আসফি?এটা তো আমার প্লান!আমিই তো শপিংয়ের মাঝে লুকিয়ে টুকুস করে জিনিসটা এনেছিলাম।তুমি কেনো ক্রেডিট নিচ্ছো?
-আরে ক্রেডিট ডেবিটের হিসাব ছাড়!যা মনিমার রুম থেকে মিনিগ্লাসগুলো নিয়ে আয়!
তানহার কথায় বিস্ফোরিতো চোখে ওরদিকে তাকালাম।ও একটা ফোকলা হাসি দিলো।আজ আবারো প্রমান হয়ে গেলো,যে যতই সভ্য সাজুক,এই বিষয়ে সব এক মৌচাকের মৌমাছি।এ মধু কেউই হাতছাড়া করবে না।আস্থা বললো,
-তনিমাপু?তুমি যাও!ও ঘরে দাদু দাদীমা ঘুমায়।আমার ভয় করে।আমি বাকিসব সাইডফুডস্ আনছি!
দুজনেই বেরিয়ে গেলো।ক্যাবলাকান্তের মতো সবটা দেখছি শুধু।একটুপরই এসে রুমে ঢুকলো।সবকিছুই এনেছে।তানহা বললো,

-লাগা লাগা!দরজা লাগা আস্থা!
ওগুলো রেখে আস্থা সবে দরজা লাগাতে যাবে,মামীমা,চাচীআম্মা,খালামনি তিনজনই দরজায় এসে দাড়ালো।আমার দম আটকে গেছে।এবার এই চারজনই উদুম ক্যালানি খাবে এই মা পার্টির হাতে।বের করে দেবে ওদের গার্লস্ পার্টি!হুরমুড়িয়ে চাদর মাথায় দিয়ে শুয়ে পরলাম।আওয়াজ আসলো,
-শুয়ে পরলে কেনো আহানিতা?আমরাও তো আসলাম পার্টি করতে!
মামীমার কথায় লাফিয়ে উঠে বসলাম আমি।ওরা তিনজনই রুমে ঢুকেছে।হাসিমুখে এসে বিছানায় বসলো তিনজনই।আমরা রীতিমতো শকে আছি।তনিমাপু বললো,
-ইয়ে,আম্মু?ত্ তোমরা এখানে কেনো?
খালামনি একটুকরো লেবু মুখে পুরে বললো,

-আস্থা কিচেনে গিয়ে এইসব খুজতে তান্ডব শুরু করে দিয়েছিলো।ঘুম ভেঙে গেলো।তাই ভাবলাম,বাসায় আমরাও তো মেয়েই,তোদের পার্টিতে জয়েন করি।যাইহোক,ওসব বাদ!এখন শুরু কর তোরা!
সবাই আরো উত্তেজিত হয়ে গেছে।আমি কিঞ্চিত জোর করে হাসি ফুটালাম মুখে।বিষয়টা হজম হচ্ছিলো না।দরজা লাগিয়ে আস্থা আমাকে চোখ মেরে বললো,
-আন্নু বেব?কাল তেরি শাদী হ্যায়!আজ?আজাদি হ্যায়!
তানহা উঠে গিয়ে গ্লাসে ওয়াইন ঢালতে ঢালতে বললো,
-লেটস্ পার্টি গার্লস্!!!

মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়লাম আমি।আসফি অডিও স্পিকারে গান ছেড়েছে।ওরা ড্রিংক করছে,গানের তালে দুলছে,নাচছে,মামী,চাচীআম্মাদেরও নাচাচ্ছে,তারাও নাচছে।মাথার উপর বালিশ নিয়ে বসে বসে দেখছি শুধু।এই শব্দ যদি একফোটাও রুমের বাইরে যেতো,বাসার বাকিসব এসে এদের কি অবস্থা করতো তা ভাবতেই কাশি উঠে যাচ্ছে আমার।এবার আস্থা আমাকে টেনে তুলে দাড় করালো।একগ্লাস এগিয়ে দিয়ে বললো,
-আজ তুই না খেলে খবর আছে তোর!সবাইকে বলে দেবো,অঙ্কুর ভাইয়ার সাথে অনেক আগেই বিয়ে হয়ে গেছে তোর!
হুশে নেই ও!একসেকেন্ড দেরি না করে গ্লাসটা ছিনিয়ে নিয়ে পুরোটা শেষ করে দিলাম।গান চলছেই।ধপ করে বিছানায় বসে পরলাম।মাথা ঝাড়া মারলাম বেশ কয়েকবার।নাহ্!খুব বেশি চড়ে নি!তানহা বললো,

-তুই পাগল আন্নু?ইটস্ জাস্ট ফর এন্জয়মেন্ট!মাতাল হবি না!চিল!
এবার বিষয়টা মজাই লাগলো।তনিমাপু বেশ ছেলেছেলে ভাব ধরে গাইছে,
-পাড়াতে মাঝরাতে পরেছে হুড়োহুড়ি….
কলির পুরোটা গাইলো ও।আমি আরেকগ্লাস শেষ করে আস্থাকে বললাম,
-দেখ আস্থা?তনিমাপুকে এক্সাক্টলি রোহান ভাইয়ার মতো লাগছে না?
ও হা করে মুগ্ধচোখে তাকিয়ে রইলো তনিমাপুর দিকে।যেনো সত্যিই তাই ঘটছে ওর চোখে।আমি আর তানহা হেসে দিলাম।আস্থা চোখ টিপে উঠে গিয়ে সোজা তনিমাপুর ওড়না ধরে গাইলো,

সবটাই তুমিময় পর্ব ৩৫

-তুমি দেখিয়াও দেখলা না,
তুমি শুনিয়াও শুনলা না,
তুমি জ্বালায়া গেলা মনের আগুন
নিভায়া গেলা না!
হাসতে হাসতে বিছানায় গড়াগড়ি দিচ্ছি আমরা।মা জননীরাও হাসছে।কিন্তু দরজায় নক হওয়ার শব্দ আসতেই পিনপতন নিরবতা।এখন কে আসবে?কোনোভাবে সাউন্ড বাইরে যায়নি তো?ড্রিংকয়ের পুরো ট্রে টা খাটের নিচে ঢুকিয়ে সবাই ধুপধাপ শুয়ে পরলাম।খালামনি এগিয়ে গিয়ে আস্তেকরে দরজা খুলে দিয়ে বিস্ময়ে বললো,
-মা তুমি?
আবারো উঠে বসলাম সবগুলো।নানীমা?পেছন থেকে দাদীমা বলে উঠলো,
-আমিও আছি।
এবার সবগুলোর গলাই‌ শুকিয়ে গেছে।দাদীমা,নানীমা রুমে ঢুকে গম্ভীরভাবে তাকিয়ে রইলো সবার দিকে।তারপর বিছানার নিচ থেকে ট্রে বের করে দুটো গ্লাসে ঢেলে দুজনের গ্লাস ঠেকিয়ে বললো,

-চিয়ারস্!
তারপর আস্থাকে অডিও স্পিকারের কাছে টেনে নিয়ে গিয়ে ওটা দেখিয়ে বললো,
-মিউজিক!
ব্যস!আর কোনো কথাই নেই!গান ছেড়ে আবারো সবাই মজা করতে লাগলো।দাদীমা ঠেলে তুলে দিলো আমাকেও।”তুনে মারি এন্ট্রিয়ান” গানটা বাজছিলো।আস্থা,তনিমাপু ছেলেদের স্টাইলে নাচছে,আমি আর তানহা মিলে মেয়েলি ভাব নিয়ে ইগ্নোর করছি ওদের।গানের শেষ পর্যায়ে আস্থা আমাকে উল্টোদিকে জরিয়ে ধরে গালেই চুমো দিয়েছে।সঙ্গেসঙ্গে কেউ একজন চেচিয়ে বলে উঠলো,
-আস্থাআআআআ!খবরদার যদি আমার বউকে কিস করেছো তো!

সবটাই তুমিময় পর্ব ৩৭