স্পর্শানুভূতি পর্ব ৩৪

স্পর্শানুভূতি পর্ব ৩৪
writer:Nurzahan akter (allo)

এভাবে কেটে যায় ১টা মাস….
তারপর একদিন সকালে…
রাসেলের লোক রাসেলকে জানায় রাবেয়া খালাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।আর এটা মে বি মুহিতের কাজ…. রাসেল মনে মনে ভাবে এটা মুহিত কাজ ছাড়া আর কেউ করতে পারে না।রাসেল মুহিতকে ফোন দেয় বাট কল রিসিভ করছে না।রাসেলের মাথা হ্যাং হয়ে যাচ্ছে! মিষ্টু রুমে এসে দেখে রাসেলে ঘুম থেকে উঠে দুইহাত দিয়ে মুখ ঢেকে বসে আছে।মিষ্টু রাসেলের সামনে বসতেই রাসেল মিষ্টুকে জড়িয়ে ধরে।হুট করে এমন করাতে মিষ্টু চমকে উঠে বাট নিজেকে সামলে নেয়।মিষ্টু রাসেলকে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে?

মিষ্টুঃকি হয়েছে!সকাল বেলা মুখটা এমন করে রাখছেন কেন?
রাসেলঃমুহিতের কাছে কি আমি এতটা খারাপ হয়ে গেছি !এতবার ফোন দিলাম একবারও ফোনটা ধরলো না।
মিষ্টুঃতা এত সকালে বেলা ভাইয়াকে ফোন দিলেন কেন?
রাসেলঃ মিষ্টু রাবেয়া খালাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না(মুখ গোমরা করে)
মিষ্টুঃউনাকে খুজে না পেলে আপনার কি?ভালোই তো হয়েছে নিখোঁজ হয়ে..
রাসেলঃউনাকে খুজে না পেলে আমরা নির্দোষ সেটা মুহিতের কাছে প্রমান করবো কি করে?আর কতদিন আমরা এই অপবাদটা ঘাড়ে নিয়ে ঘুরবো!আমি যে নিজেই নিজের কাছে ছোট হয়ে গেছি! জানো শুধু এই কারনে আমি শান্তি পায় না এক মূহুর্তের জন্যও..
মিষ্টুঃওহহ্ তাও ঠিক!আচ্ছা আপাতত এসব বাদ দেন আর চলুন আর এখন ব্রেক ফাস্ট করে নিবেন।অফিসে যেতে হবে তো নাকি..

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

রাসেল উঠে ফ্রেশ হয়ে একেবারে রেডি হয়ে রুম থেকে বের হতে যাবে! তখন মিষ্টু রাসেলের হাত ধরে।রাসেল ঘুরে তাকিয়ে দেখে মিষ্টু ওর দিকে হাত ধরে আছে!রাসেল মিষ্টুর সামনে এসে দাড়াতেই মিষ্টু বেডের উপর থেকে টাই হাতে নিয়ে রাসেলের পায়ের উপর উঠে দাড়ায়!রাসেল মিষ্টুর কোমরে হাত রাখতে গিয়েইও রাখে না যদি মিষ্টু রাগ করে এটা ভেবে।রাসেল মিষ্টু এমন কাজে হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে! বাট মিষ্টু রাসেলের পায়ের উপর উঠে খুব মনোযোগ দিয়ে টাই টা বাঁধছে। তারপর মিষ্টু নেমে গেলে রাসেল মিষ্টুকে ওর পায়ের উপর থেকে নামতে দেয় না।রাসেল এবার কোনকিছু না ভেবে মিষ্টুর কোমর জড়িয়ে ধরে..

মিষ্টু ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞাসা করে কি? রাসেল মুচকি হেসে মিষ্টুর কপালে আদর দিয়ে দেয়।মিষ্টু কিছু বলতে যাবে তার আগেই রাসেল মিষ্টুর ঠোঁট আঙ্গুল দিয়ে বলে…
রাসেলঃতুমি তো বলো যে,কাউকে কোন কাজ করে দিলে তার বিনিময়ে তোমাকে নাকি উপহার দিতে হয়।তাই আমাকে এত ভালবেসে টাই টা বেধে দিলে এজন্য এই ভালবেসে এই আদরটা দিয়ে পরিশোধ করে দিলাম।
মিষ্টু কিছু বলতে যাবে তার আগেই রাসেল দুইহাত দিয়ে নিজের সামনে চুল ধরে রাখছে!যাতে মিষ্টু এখন ওর চুল ধরে না টানতে পারে এজন্য। মিষ্টু আর কিছু না বলে হাসতে হাসতে চলে গেল!রাসেল মুচকি হেসে নিচে চলে গেল…তারপর সবাই খেয়ে নিলো বাবা আর রাসেল অফিসে চলে গেল।মিষ্টু ওর রুমে গিয়ে মিতুকে ভিডিও কল দিলো…

মিষ্টুঃমিতু জানু!আমাকে রাবেয়া ডালিংয়ের কি খবর বলো তো? হা হা হা
মিতুঃকালকে তোর কথা মত টিকটিকি থেরাপি দিসি !হা হা হা
মিষ্টুঃএত কম আদর যত্ন কেন করছিস তুই?আমাদের মেহমান বলে কথা। আর উনাকে আরো আদর যত্ন বেশি করে করা উজিত মিতু বেবি!
মিতুঃ এই নে তোর ডালিংয়ের সাথে কথা বল।

মিতু রাবেয়া খালার সামনে ফোন ধরতেই মিষ্টুকে দেখে রাবেয়া খালা! আর কিছু বলার জন্য ছটফট করতে থাকে!রাবেয়া খালার হাত-পা বাধা আর মুখটাও বাধা এজন্য উনি কথা বলতে পারছে না!মিষ্টু মিতুকে উনার মুখ থেকে কাপড় সরিয়ে ফেলতে বলবো। আর তখন রাবেয়া খালা বলতে থাকে…

রাবেয়া খালাঃ মিষ্টু তুই কিন্তু ভুল করছিস আমাকে তুলে এনে!তোকে এর জন্য মাসুল দিতে হবে।তুই জানিস না তুই কার সাথে লাগতে এসেছিস?
মিষ্টুঃহাহা হা তাই নাকি!তা তুই কোন হরিদাস পাল রে যে আমি তোকে ভয় পাবো।তুই যেমন আমাদের ফাসিয়েছিস এবার দেখ তোকে কেমন করে ফাসায় আমি!তুই বরং জানিস না তুই কার সাথে লাগতে এসেছিস রাবেয়া!ডায়নী তোর এমন অবস্থা করবো তুই কল্পনাও করতে পারবি না।
রাবেয়া খালাঃ তুই তখন ওই ছ্যাড়ার সাথে টেনটপ পড়ে মাখামাখি করছিস আর এখন আমার দোষ দিচ্ছিস।তোর এতই যখন মাখামাখি করা শখ তখন আমাকে বলতি! আমার ছেলে তো ছিলো তোকে মজা দেওয়ার জন্য! শুধু শুধু তোর জন্য ওই ছেলেটাকে ফাসতে হলো।তবে মজা তাহলে দুজনেই নিয়েছিস তাই না। হা হা হা
মিষ্টুঃমিতু আজকে তুই কি খেয়েছিস রে সকালে?
মিতুঃমানে! হুট করে এমন কথা জিজ্ঞাসা করছিস যে,মিষ্টু তুই ঠিক আছিস (অবাক হয়ে)
মিষ্টুঃহুমম আমি একদম ঠিক আছি!আর আমি যা বলছি তার উওর দে..
মিতুঃগরুর মাংস ভুণা আর খিচুড়ি! কেন তোর কি খেতে ইচ্ছে করছে?
মিষ্টুঃযা খেয়েছিস শরীরে তো শক্তি আসার কথা তাই না!তাহলে এখন একটা কাজ করে দেখা তো..আর প্রমান দে তোর শরীর শক্তি আছে…
মিতুঃকি কাজ রে?একবার বলে দেখ।তোর জন্য আমি সব করতে পারি জানু।
মিষ্টুঃতোর শরীরে সর্ব শক্তি দিয়ে ওই ডায়নীটাকে থাপ্পড় মার।থাপ্পড় টাতে যেন মাখিমাখি ব্যাপার টা থাকে..
মিতুঃঠাসসসসসসস্! ঠাসসসসসসসসসস্।ওকে ডান
রাবেয়া খালাঃআ আ আ আ! মা আআআা। মিষ্টু এটা ঠিক করলি না আমার গায়ে হাত তুলে..
মিষ্টুঃতোর ছেলেকে দিয়ে তুই ব্যবসা করা! আর মা হয়ে ছেলেকে নিয়ে এসব বলিস তোর লজ্জা করে না।তুই তো মা হয়ে !ওফ সরি সরি একজন মা হলে আরেক জন মায়ের মেয়েকে বিপদে ফেলতে পারতি না।তুই একজন মানুষ রুপী জানোয়ার!(রেগে রেগে)
রাবেয়া খালাঃ….. মিষ্টু ছেড়ে দে আমাকে বলছি..

মিষ্টুঃ ছিঃ!ডালিং ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে আমাকে লজ্জা দিস না। এসব বলতে নেয় কেমন।আর ওহ হ্যা
তোর ছেলেকে দিয়ে আমাকে মজা দেওয়ার কথা বললি না! আমিও দেখি তোর ছেলে কেমন মজা দেয়। তবে তোকে এতোদিন ছাড় দিয়েছি তুই আমার মায়ের মত তাই!তুই আজকে যেসব ভাষা ব্যবহার করে কথা বললি তারপরে তোকে ছাড় দেওয়ার কোন কথায় আসে না।আজকে তুই আমার রক্ত গরম করে দিয়েছিস।এবার খেলা হপ্পে বেবি! জাস্ট ওয়েট এন্ড সি……হা হা হা
মিতুঃআমাকেও টাকার লোভ দেখিয়েছে!আর বলছে ছেড়ে দিলে উনার ছেলের বউ করবে।হা হা হা
মিষ্টঃওহহহ্ রিয়েলি!এই ডায়নীর খুব অহংকার ওর ছেলেকে নিয়ে তাই না।ওর ছেলেকে এখানে এনে ইয়ের ভেতর ভেমরুল ঢুকিয়ে থেরাপি দিলে কেমন হয় বল তো মিতু….ওনার ছেলের পুরুষ্যত্ব নিয়ে উনার এত অহংকার বলে কথা। আর এর থেকে ভালো কিছু থেরাপি আমার মাথায় তো আসছে না।?
মিতুঃ হা হা হা দারুন হবে জানু।এটা করলে ছেলেকে নিয়ে মায়ের এত অহংকারও থাকবে না। মা হয়ে ছেলের…. নিয়ে কথা বলছিস। ছিঃ! ওটা তো নিজের ছেলে আমার তো ডাউট হচ্ছে.. (রাবেয়াকে আরেকটা থাপ্পড় মেরে)
মিষ্টুঃআমাকে মজা দিবে বলছে!এবার দেখি ওই আবিদ গাধাটা কেমন ভেমরুলে মজা নিতে পারে। মিতু ব্যবসথা কর!আমি শান্তি পাচ্ছি না এই ডায়নীর ছেলেকে ভেমরুল থেরাপি না দেওয়া পযন্ত।
রাবেয়া খালাঃনা না এমন করিস না! আমি আর কিছু বলবো না তাও আমার ছেলেকে ছেড়ে দে।আর এমন কাজও করবো না প্লিজ আমাকে ছেড়ে দে..
মিষ্টুঃ আমার ভাইয়ার আর আম্মু চোখের পানির দাম দে! তাহলে তোকে ছেড়ে দিবো।আর রাসেলের মত একটা ছেলের লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যাওয়া সেই সন্মানের দাম দে তাহলে আমি তোর ছেলেকে ছেড়ে দিবো।পারবি তো বল পারবি… (রেগে গিয়ে)
রাবেয়া খালাঃ মিষ্টু তুই জানিস না আমার ছেলে মেয়ে যদি জানে আমি এখানে!আর যদি ওরা জানে আমাকে তুই এখানে বন্দী করে রাখছি। তাহলে ওরা তোকে বাঁচিয়ে রাখবে না।
মিষ্টুঃডায়নী কালকে তোর ছেলেকে তুলে আনবো!দেখি সে কেমন মজা দেয়!কালকে তুই মা হয়ে দেখবি তোর ছেলের করুন আত্মনাদ!আর ফটফট করবি যেমন আমার মা করেছিলো আমাকে ভুল বুঝে..
মিতুঃএটাই ঠিক হবে!এরা তো মানুষ না কারন মানুষের বিবেক বলে কিছু থাকে।এদের তো বিবেকের ব ও নাই…
মিষ্টুঃমিতু তাহলে কালকে যত লোক লাগে ভাড়া করে ওই জানোয়ার টাকে ধরে আনার ব্যবসথা কর।কালকে কথা হবে মিতু জানু..
মিতুঃওকে বেবি…সাবধানে থাকিস রাসেল ভাই যেন না জানে?
মিষ্টুঃনা জানবে না!মিতু আমার একাউন্টে থেকে টাকা তুল আর…………। আর নিজেও খাওয়া -দাওয়া করিস আর সাবধানে থাকিস।বাই
মিতুঃহুমম বাই

মিতু আবার রাবেয়ার মুখ বেধে দিয়ে চলে রুমে তারা আটকে চলে যায়। মিষ্টু বেডে বসে বসে ভাবছে যে, রাবেয়া যে কতটা খারাপ মাইন্ডের মহিলা সেটা ওর বলা ভাষাতেই তা প্রমান হয়।মিষ্টু উঠে চোখ মুখে পানি দিয়ে নিচে চলে যায়!রোজ এখন আগের মত মিষ্টুকে কথা শোনায় না বাট সুযোগ পেলে ব্যাথা দিতে ছাড়ে না।মিষ্টু নিচে গিয়ে দেখে রোজ কফি বানাচ্ছে! মিষ্টুকে দেখে রোজ বললো..

রোজঃতুমি কফিটা মগে ঢালো আর আমি এই চিপস গুলো ভাজি কেমন।
মিষ্টুঃওকে

মিষ্টু কফির মগে কফি ঢালতেই রোজ ইচ্ছে করেই মিষ্টুকে ধাক্কা দেয় আর কফি গিয়ে মিষ্টুর হাতে পড়ে।মিষ্টু ও মা করে উঠে তখন রোজ দেখি দেখি করে মিষ্টুর হাতের ফোসা পোড়া জায়গাটাই চেপে ধরে! মিষ্টু আর সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে কেঁদে উঠে!কেউ বাসায় নেই সার্ভেন্টরাও বাগানে আছে।মিষ্টু কাঁদতে কাদতে ওর রুমে চলে গেল আর ওয়াশরুমে ঢুকে বালতির ভেতর হাত ঢুবিয়ে রাখলো।আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাদতে লাগলো।ঠিকই তখন রাসেলে মিষ্টুকে ফোন দেয়…

রাসেলঃ হ্যালো মিষ্টু!
মিষ্টুঃহুম বলুন! (কান্না চেপে রেখে)
রাসেলঃ না কিছু না রাখছি..এমনিতেই ফোন দিলাম।রাখছি..
মিষ্টুঃহুমম।

রাসেল কল কেটে অফিস থেকে বেরিয়ে পড়লো কারন মিষ্টু যে কাঁদছে রাসেল বুঝে গেছে!রাসেল খুব দ্রুত ড্রাইভ করে বাসায় আসে!রাসেলের গাড়ির শব্দ শুনে মিষ্টু চোখ মুখে পানি দিয়ে নিজের নরমাল করার চেষ্টা করছে!রাসেল দ্রুত পায়ে রুমে ঢুকে দেখে মিষ্টু বেডে বসে আছে পেছনে হাত দিয়ে।রাসেল মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে বলছে..

রাসেলঃ কি হয়েছে?তুমি কাঁদছো কেন?
মিষ্টুঃকি হবে? কিছু হয় নি…আর আমি কাঁদবো কেন শুধু শুধু! হা হা হা
রাসেলঃ মিথ্যা তো বললে বাট আমি বিশ্বাস করলাম না। এবার সত্যিটা বলো! যদি না বলো আমি খুঁজে বের করবো যদি দেখি অন্য কিছু আজকে বাসায় ঝড় তুলবো..(রেগে চিৎকার করে)
মিষ্টুঃ তেমন কিছু না
রাসেলঃ ওকে আমি খুঁজে নিচিছ.. (রুম থেকে বের হতে যাবে তখনই)
মিষ্টুঃ হাতে কফি পড়ছে!
রাসেলঃ কই দেখি!ইসস ফোসা পড়ে গেছে তো।সাবধানে কাজ করতে পারো না।দাড়াও স্যাভলান ক্রিম টা আনি।তোমাকে নিয়ে আমি আর পারি না..
মিষ্টুঃহুমম (ঝরঝর করে পানি পড়ছে মিষ্টুর চোখ দিয়ে!কারন হাত খুব জলছে)

স্পর্শানুভূতি পর্ব ৩৩

রাসেল মিষ্টুর হাতে ফু দিচ্ছে আর আলতো করে ক্রিম লাগিয়ে দিচ্ছে। রাসেল এবার ক্রিমটা লাগিয়ে ফু দিচ্ছে!ফু দিতে দিতে রাসেল মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করে কি করে এমনটা হলো।মিষ্টু কিছু বলতে যাবো! তার আগেই রাসেল রাগী চোখে তাকায়।মিষ্টু সাথে সাথে চুপ হয়ে যায়। মিষ্টু বুঝে গেছে এখন মিথ্যা বললে হিতে বিপরীত হবে!মিষ্টু এবার সত্যিটা বলে দেয় যে, রোজ ওকে ইচ্ছে করে ধাক্কা দিসে। রাসেল বেডে থেকে উঠে রুম থেকে হতেই মিষ্টুকে রাসেলকে আটকানোর চেষ্টা করে! বাট রাসেল মিষ্টুকে রুমে ঢুকিয়ে দরজা বাইরে থেকে লক করে দেয়।মিষ্টু বার বার রাসেলকে নিষেধ করছে রোজকে কিছু না বলতে! আর দরজা খুলে দিতে বলছে বাট রাসেল মিষ্টুর কথায় কান দেয় না।

রাসেল চিৎকার করে রোজকে ডাকছে!রোজ তখন টিভি দেখছিলো।রাসেলের চিৎকারে ওর বাবা-মা সাথে সার্ভেন্ট রা বেরিয়ে আসে।রাসেলকে কেউ এর আগে এত উচ্চ কন্ঠে কথা বলতে দেখে নি। রাসেল গিয়ে রোজের সামনে দাঁড়ায়! রোজ তখন রাসেলকে বলে…

রোজঃবউয়ের হয়ে সাফার গাইবে না তো এখন।আর এসব শুনে আপাতত মুড নষ্ট করতে চাই না আমি।আম,, ম
রাসেলঃঠাস্ ঠাস্! ঠাস্। কি বললি তুই?আমি আমার বউয়ের সাফার গায়।(চিৎকার করে)

স্পর্শানুভূতি পর্ব ৩৫