স্পর্শানুভূতি পর্ব ৩৫

স্পর্শানুভূতি পর্ব ৩৫
writer:Nurzahan akter (allo)

রাসেল চিৎকার করে রোজকে ডাকছে!রোজ তখন টিভি দেখছিলো।রাসেলের চিৎকারে ওর বাবা-মা সহ সার্ভেন্ট রা ও বেরিয়ে আসে।রাসেলকে এর আগে কেউ এত উচ্চ কন্ঠে কথা বলতে দেখে নি। রাসেল গিয়ে রোজের সামনে দাঁড়ায়! রোজ তখন রাসেলকে বলে…
রোজঃবউয়ের হয়ে সাফার গাইবে না তো।আর এসব শুনে আমি আপাতত মুড নষ্ট করে চাই না।আম,, ম
রাসেলঃঠাস্ ঠাস্!ঠাস্ কি বললি তুই?আমি আমার বউয়ের সাফার গায়।(চিৎকার করে)
বাবাঃ রাসেল কি হয়ছে বাবা?ওকে মারছিস কেন?
রাসেলঃজানো বাবা মিষ্টু এখানে আসার পর থেকে রোজ আর আম্মু মিষ্টুর পেছনেই লেগেই আছে!গত পরশুদিন আমি নিজে দেখছি রোজ মিষ্টুকে সিড়িতে পায়ের সাথে পা বেধে ফেলে দিতে চেয়েছিলো আমি না ধরলে কি অবস্থা হতো ভাবতে পারছো?আজকে কফি ঢালার সময় রোজ মিষ্টুকে ইচ্ছে করে ধাক্কা দিসে আর মিষ্টু হাত পুড়ে গেছে গরম কফিতে।এর আগে মিষ্টুর জামাতে বিচুটি পাতা দিয়েছে,রাত জেগে আম্মু মিষ্টুকে দিয়ে পা টেপায়,রোজের মাথা ব্যাথা না করলোও অভিনয় করে থাকে মাথাব্যাথার আর রাত ২/৩টা পযন্ত মিষ্টুকে আটকে রাখে।এসব কি ধরনের ব্যবহার বাবা বলতে পারো?
আম্মুঃদেখ তোর বউ মিথ্যা বলে রোজের নাম দোষ দিচ্ছে! আমরা এসব কখনই করিই নি… শুধু শুধু
রাসেলঃতোমাদের মত এত লেইম মনের মানুষ না আমার বউ!আমি তোমাকে আম্মু ডাকতাম এখন আর ডাকি না কেন জানো?কারন তুমি অত্যন্ত অভদ্র একজন মহিলা!তোমার সাথে কথা বলতে আমার বিবেকে বাধে। আজকে আমিও আর কিছু লুকিয়ে রাখবো না।কারন তুমি আর তোমার মেয়ের মত জঘন্য মানুষকে আমি খুব ঘৃনা করি!তাই তোমাদের কথাও আমি আর ভাববো না।আমি তোমাদের এতটাই ঘৃণা করি যে, তোমাদের সাথে কথা বলা ছেড়ে দিয়েছি।আর বাবা আজকে তোমাকে কিছু দেখানো আছে!এটা দেখো… (চিৎকার করে কথা গুলো বলে আর ফোন এগিয়ে দিয়ে)

রাসেলের বাবা ভিডিওটা দেখে সাথে সাথে রাসেলের আম্মুকে থাপ্পড় মারে!কারন ভিডিওটা ছিলো একজন ভদ্র লোকের সাথে রাসেলের আম্মুর আপওিকর অবস্থার তোলা একটা ভিডিও !আর এটা রাসেলের এক বন্ধু রাসেলকে প্রমাণ সহ পাঠিয়েছে!কারণ এর আগে রাসেলকে এসব বললে রাসেল তখন বিশ্বাস করে ছিলো না! তাই এবার প্রমান সহ দেখিয়ে দিয়েছে যে ওর আম্মু কতটা খারাপ।মিষ্টুও সেদিন উনাকে মানা করেছিলো বাট রাসেলের আম্মু কথা তো শোনেই নি বরং আরো বেশি করে করতো সেই কাজ গুলো।মিষ্টু অনেক বুঝিয়েছে বাট উনি নিজেকে শুধরাতে চাই নি।আর মিষ্টু বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে ভেবেছিলো!যে সবাইকে এটা জানাবে আর একটা সঠিক সমাধানে আসবে! বাট তার আগেই রাসেল জেনে গেছে।সত্যি কথা হলো নোংরামি আর মিথ্যা এই দুটো জিনিস কখনোই চাপা থাকে না। রাসেল আবার জানে না যে,এসব কথা মিষ্টুও জানে! কারন মিষ্টুকে যে যাই বলুক না কেন মিষ্টু সেটা কখনো রাসেলকে বলে না।বাট আজকে রাসেলকে এভাবে রাগতে দেখে ভয়ে সত্যি টা বলে দিসে..

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

রাসেলের বাবা ধপ করে মেঝেতে বসে পড়ে!ছেলে মেয়েদের সামনে এমন একটা অবস্থায় পড়বে সেটা রাসেলের বাবা কল্পনাও করে নি। রাসেল ওর বাবার কাছে গিয়ে বলে!
রাসেলঃবাবা আমি আর এই বাড়িতে থাকতে পারবো না!বিশেষ করে এই দুইটা অমানুষের সাথে।এই যে এই মহিলা উনাকে আম্মু ডাকি আমি! কিন্তু আফসোস এই মহিলা আম্মু শব্দের মানেই জানে না!আমি মনে করতাম সৎ মা কথাটি সৎ বললেও আমদের সমাজ এই সৎ মা মানে খারাপ কিছু বুঝায়!বাট আমি চেয়েছিলাম উনার ছেলে হতে কিন্তু উনি বার বার আমাকে দুরে ঠেলে দিয়েছে। ছোটবেলায় কোলে চড়ার আবদার করেছিলাম বলে আমাকে ধাক্কা দিয়েছিলো আর পড়ে গিয়ে থুতনি কেটে গিয়েছিলো।সেই ক্ষতটা এত গভীর ছিলো যে এখনো সেই দাগটা থেকে গেছে। আর আমি এই দাগটাকে মায়ের ভালবাসা ভেবে গ্রহন করেছিলাম বাবা।জানো বাবা সেইদিন অনেক রক্তও বের হয়েছিলো তাও ওই মহিলা একটাবার আমার কাছে আসে নি!একজন সার্ভেন্ট আমাকে হসপিটালে নিয়ে গিয়েছিলো।কতদিন ওই মহিলার কোলে উঠার জন্য এত আম্মু আম্মু করতাম তাও ওই মহিলার কোনদিনও মন গলে নি বাবা।এত কাঁদতাম তাও ওই মহিলা আমাকে কোনদিন কোলে তুলে নেয় নি বাবা। কোনদিন আদর দিয়ে আমাকে কাছে টেনে নেয় নি.আমি আর এসব সহ্য করতে পারছি না বাবা! আমার যে আর সহ্য করার মত আর শক্তি নেই বাবা।আমি বড্ড ট্রায়াড বাবা!এখন আমি আর সহ্য করতে পারছি না এত অবহেলা… (চিৎকার করে কাঁদছে আর কথা বলে বলছে)

রোজ দাড়িয়ে দাড়িয়ে শুনছে!রাসেলের বাবাও আজকে কাদছে। রাসেল উপরে গিয়ে মিষ্টুর হাত ধরে টেনে নিচে নামিয়ে আনে আর মিষ্টুকে দেখিয়ে বলে।
রাসেলঃএই মেয়েটা যথেষ্ট চেষ্টা করছে তোমাদের মানুষ করার জন্য তবে তোমরা মানুষ হবে না তাই তো।আর সত্যি বলতে অমানুষ দের মানুষ করাও যায় না।তোমাদের বিবেব বলে কিছু নেই মানে কিচছু নেই। তোমরা একটা একটা অমানুষ (সামনে থাকা সেন্টার টেবিল টাকে লাথি মেরে)

মিষ্টু আজ রাসেলের এমন রুপ দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।রাসেল ওর চোখ মুছে তারপর বাবার সামনে হাটু গেছে বসে বলছে..
রাসেলঃআমার বন্ধু যখন আমাকে এই ভিডিও টা দেয় বিশ্বাস করো বাবা! এটা দেখে আমার দম আটকে যাচ্ছিলো বাবা।কোন ছেলে তার মায়ের এই আপওিকর অবস্থা দেখতে পারো বলতে পারো বাবা।আমাকে এই মহিলা জীবনে একটুও ভালবেসে কথা বলে নি বাবা!হ্যা উনি আগ-বাড়িয়ে আমার কথা বলছে যখন উনার টাকা জন্য চেক সাইন করতে হতো তখন।বাবা ওই মহিলা আমাকে এত অবহেলা করার পরেও আমি তোমার কাছে কিছু বলি নি! উনাকে কষ্ট দিয়ে কখনো কথা বলি কারণ উনাকে আম্মু ডাকি এজন্য। আজকে থেকে উনি আমার কেউ না! এই নোংরা মহিলা আমার আম্মু হতেই পারে না।বাবা আমি তো সবার মত সুস্থ একটা পরিবার চেয়েছিলাম তাও কেন পেলাম না বাবা একটা সুস্থ পরিবার। আমি পারবো না আর এই বাড়িতে থাকতে আমার দম আটকে আসছে বাবা…আমি আর কষ্টগুলোকে চাপিয়ে রাখতে পারছি না বাবা।আমি এবার এসব থেকে মুক্তি পেতে চাই বাবা!আমিও সবাই মত একটু ভাল থাকতে চাই বাবা..
(ওর বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে)

মিষ্টু রাসেলের এমন কথাতে নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি!মিষ্টুও কেঁদে দিসে আর ভাবছে একটা ছেলে কতটা নিরুপায় হয়ে গেলে এভাবে কাঁদে।মিষ্টু এবার রাসেলের আম্মুর সামনে গিয়ে বলে..
মিষ্টুঃআপনাকে এতবার করে মানা করলাম তাও আপনি শুনলেন না।আজকে এই পরিস্থিতির জন্য আপনিই দায়ী আর কেউ না!আপনাদের মত কিছু নোংরা মাইন্ডের মানুষের জন্য বার বার কেন আঘাত পাবে আমাদের মত কিছু ছেলে মেয়েরা। আপনাদের জন্য অমানুষ গুলো জন্য বার বার কষ্ট পেতে হয় রাসেলের মত ছেলেদের।কেন বলতে পারেন সেটা কেন করেন আপনারা কেন??আর আপনি না একটা মেয়ে!আপনি না একজন মা তার পরেও এমন কেন আপনি?মেয়েদের মনে নাকি মায়া দয়া বেশি থাকে তাহলে আপনি কেন এত টা খারাপ মনের? আপনার লজ্জা করে না আর আপনার বিবেক বলে কি সত্যি কিছু নেই।এতটা নিকৃষ্ট কি করে হতে পারেন আপনারা।আপনাদের কি মনে মায়া দয়া বলে কিছু নেই… (চিৎকার করে কথা গুলো বললো)

রাসেলের বাবা কি বলবে? উনি বুঝতে পারছে না।রাসেল উঠে দাড়ায় আর মিষ্টুকে বলে ওর দরকারী সবকিছু গুছিয়ে নিতে! রাসেলের বাবাও আর চাইনা রাসেলকে আটকাতে কারন ছেলেটা এবার দুরে গিয়ে এবার একটু শান্তিতে থাকুক এবার এসব থেকে হাফ ছেড়ে বাচুক।রাসেল ওর বাবার দিকে তাকিয়ে বলে..
রাসেলঃ আমাকে মাফ করে দিও বাবা! আমি এখানে থাকলে পাগল হয়ে যাবো। আর আমি এটা চাই না যে আমার ছেলে/মেয়েরা এই রকম নোংরা পরিবেশে বড় হোক। যেখানে অহংকার, টাকা, আর বেহায়াপনা বেশি হয় তবে তুমি চাইলে যেতে পারো। তবে আমাকে আর আটকিও না দোহায় লাগে।

মিষ্টু হাত ধরে টেনে রাসেলকে মিষ্টুকে রুমে নিজে যায় আর ওর দরকারী সব জিনিস গুছিয়ে নেয় আর একটা ট্রলি নিয়ে নিচে নেমে আসে। রাসেল ওর বাবাকে সালাম করে আর জড়িয়ে ধরে! রাসেলের বাবা মিষ্টুর সামনে এসে দাড়াতেই মিষ্টু বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে..
মিষ্টুঃবাবা আমাকে মাফ করে দিও বাবা!আমি তোমার সংসারটাকে সুখ দিয়ে ভরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমার পারলাম না বাবা।আমি অনেক চেষ্টা করেই সংসারে সুখ ফেরাতে পারি নি বাবা!আমাকে তুমি মাফ করে দিও (কাঁদতে কাঁদতে)
বাবাঃ মিষ্টু মা কাঁদিস না!আর তুই কেন মাফ চাইবি বল আর একদম এসব বলবি না।আমি তো জানি আর আমি তো নিজের চোখেও তো দেখছি তুই কতটা চেষ্টা করছিস এই সংসারটা গুজানোর জন্য।তুই আপন ভেবে সংসারটা নিজের মত সামলাতেও চেয়েছিস।একটা কথা সব সময় মনে রাখবি মা একতরফা কোন জিনিসই বেশি দিন টিকে থাকে না!সবার সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিয়েই তৈরী হয় একটা সংসার! কিন্ত এখানে সবাই যার যার নিজের ব্যাপারটা বোঝে… এসব বাদ দে তোরা নতুন করে শুরু কর।(চোখ মুছে)
রাসেলঃ মিষ্টু চলো আমাদের দেরী হয়ে যাচ্ছে।
বাবাঃ মিষ্টু আমার ছেলেটার দিকে খেয়াল রাখিস! ওকে আর কষ্ট পেতে দিস না।জীবনে অনেক কষ্ট সহ্য করছে আমার ছেলেটা…(কাঁদতে কাঁদতে)
মিষ্টুঃহুমম (হুম কাঁদত কাঁদতে)

রাসেল মিষ্টুর হাত ধরে বেরিয়ে গেল ওই বাসায় থেকে।রাসেল মিষ্টুকে নিয়ে রেলস্টেশনে আসে!রাসেল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো বিকাল৪ঃ৩০টা বাজে!রাসেল নিজেকে নরমাল রাখার চেষ্টা করছে!সেটা ওর মুখের তাকিয়ে বোঝা যাচ্ছে। মিষ্টু রাসেলের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে!রাসেল মিষ্টুর দিকে তাকায় বলে..
রাসেলঃ কিছুক্ষন আগের ঘটনা গুলো মন থেকে মুছে ফেলো মিষ্টু!আমার এখন এই পৃথিবীতে বাবা আর তুমি ছাড়া কেউ নেই।আমি তোমাকে নিয়ে ভাল থাকতে চাই আর কিছুক্ষন আগের ঘটনা গুলোকে আমাকে কখনো মনে করিয়ে দিবে না।আমি এবার নিজের ভালটা বুঝে নিতে চাই আর আমি তোমারকে এবার সুখের একটা সংসার গড়তে চাই।অনেক তো হলো…
মিষ্টুঃআমরা এখন কোথায় যাচ্ছি? (কথা ঘুরানোর জন্য)
রাসেলঃ রাজশাহী! কারন ওইখান থেকে শুরু করবো আমার জীবনের নতুন ধাপ…
মিষ্টুঃহুমম! আমি আছি আপনার পাশে আর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আপনার সাথে থাকবো।কথা দিলাম…
রাসেলঃঠাটিয়ে একটা থাপ্পড় মারবো তোমাকে!তোমরা সবাই খুব নিষ্ঠুর জানো তো।যাদের নিয়ে আমি ভাল থাকতে চাই তারাই আমাকে পর করে দেয়! আর আমার থেকে দুরে সরে যাওয়া কথা ভাবে!তুমিও এখন মৃত্যুর কথা বলে আমাকে একা করার কথা ভাবছো..( চোখের পানি আড়াল করে নিয়ে)
মিষ্টুঃ আচ্ছা আমি এসব আর বলবো না।এখন থেকে কথা দিচ্ছি আমরা আমাদের অতীত মনে রাখবো না! অতীত ভেবে আর কষ্ট পাবো না! তবে আমাদের সাথে হওয়া অন্যায় গুলো প্রতিশোধ আমি নিবোই বিশেষ করে রাবেয়ার…আর শাশু মায়ের শাস্তি আল্লাহ দিবে! কারন এই পাপের শাস্তি আল্লাহ ছাড়া কেউ সঠিক শাস্তি উনাকের দিতে পারবে না।(রাসেলের দুই গালে হাত রেখে)

৬ঃ০০ দিকে ট্রেন ছাড়বে!রাসেল ওর আর মিষ্টুর জন্য ট্রেনে টিকিট কেটে ট্রেনে উঠলো! আজকে থেকে ওদের আবার নতুন করে পথচলা শুরু। ইনশাআল্লাহ এবার থেকে ওরাও আর ঠকবে না। রাসেল আর মিষ্টু পাশাপাশি বসে আছে আর ট্রেন চলছে তার আপন গতিতে!মিষ্টু রাসেলের কাঁধে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে!আর বাইরের দিকে তাকিয়ে গাছপালা দেখছে।মিষ্টুর বাইরের দিকে তাকিয়ে এত গভীর চিন্তায় মগ্ন যে মিষ্টুর যে ফোন কল এসেছে! আর ফোনটা যে বেজেই যাচ্ছে সেই কখন থেকে সেদিকে তার কোন খেয়ালই নেই..

রাসেলঃএই যে ম্যম আপনার ফোনটা রিসিভ করুন!কেউ ফোন দিচ্ছে তো..(ধাক্কা মেরে)
মিষ্টুঃউফফ ধাক্কা মারছেন কেন?আজিব তো
রাসেলঃতোমাকে বার বার কে যেন ফোন দিচ্ছে! কারো দরকার মনে হয় ফোনটা পিক করো।
মিষ্টুঃওহহ্!দেখছি..
রাসেলঃহুমম!
(আমাকে নিয়ে তুমি খুব চিন্তিত তাই তো!আমি আমার ভাগ্য মেনে নিয়েছি মিষ্টু! আমাকে নিয়ে তুমি আর ভেবো না।আমি নিজেকে সামলে নিতে পারবো!আমি আর কিছু চাই না আমি তোমাকে চাই! আর তোমাকে নিয়েই ভালো থাকতে চাই।)

স্পর্শানুভূতি পর্ব ৩৪

মিষ্টু ফোন বের করে দেখলো মিতু ফোন করছে!মিষ্টু ফোনটা ধরলো..
মিষ্টুঃহুমম বল মিতু..
মিতুঃ কাজ হয়ে গেছে! এবার কি করবো?
মিষ্টুঃআমি রাজশাহীতে আসছি! কালকে তোর সাথে দেখা করবো কেমন..(আড়চোখে রাসেলের দিকে তাকিয়ে)
মিতুঃভাইয়া আসবে নাকি!সব ঠিক আছে তো মিষ্টু
মিষ্টুঃহুম সব ঠিক আছে! আর রাসেলও সাথে আসছে..
মিতুঃওকে তাহলে দেখা হচ্ছে কালকে
মিষ্টুঃএই শোন! শোন!
মিতুঃহুম বল শুনছি তো.
মিষ্টুঃভেমরুল রেডি রাখিস কেমন!আমি গিয়েই কাজ শুরু করবো।
মিতুঃহা হা হা ওকে
মিষ্টুঃবাই
মিতুঃবাই

মিষ্টু ফোন কেটে দেখে রাসেল অবাক চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে!রাসেল মিষ্টুকে বলে..
রাসেলঃভেমরুল দিয়ে কি করবে তুমি?
মিষ্টুঃএকজনের প্যান্টের ভিতর ঢুকিয়ে দিবো তাই
রাসেলঃwhat???
মিষ্টুঃ ইয়ে মানে না না না!আই মিন আসলে আপনি যা ভাবছেন তা না (জিহবায় কামড় দিয়ে?)

স্পর্শানুভূতি পর্ব ৩৬