স্পর্শানুভূতি পর্ব ৩৬

স্পর্শানুভূতি পর্ব ৩৬
writer:Nurzahan akter (allo)

মিষ্টু ফোন কেটে দেখে রাসেল অবাক চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে!রাসেল মিষ্টুকে বলে..
রাসেলঃভেমরুল দিয়ে কি করবে তুমি?(অবাক হয়ে)
মিষ্টুঃএকজনের প্যান্টের ভিতর ঢুকিয়ে দিবো তাই..
রাসেলঃwhat???
মিষ্টুঃ ইয়ে মানে না না না!আই মিন আপনি যা ভাবছেন তা না (জিহবায় কামড় দিয়ে?)
রাসেলঃআমি আবার কি ভাববো?আর আমি যে কিছু ভাবছি সেটা তুমি জানলে কি করে জানলে??
মিষ্টুঃআপনি ভাবছেন আপনার ইয়ে তে ভেমরুল ঢুকিয়ে দিবো কি না??
রাসেলঃ মিষ্টু!!!!!!!!!!!
মিষ্টুঃএত চেঁচানো কি আছে শুনি?আমার নাম মিষ্টু আমার মনে আছে তো!আপনাকে চেচিয়ে সেটা বলতে হবে না।বাবা রে বা বা কানের পোকা বের করে দিলো..
রাসেলঃএত অগ্রিম ভাবতে তোমাকে কে বলে শুনি?
মিষ্টুঃআমরা ডিজিটাল যুগের ছালপাল এজন্য আমরা অগ্রিম ভেবে থাকি! আর অন্যদের বোঝায় আমাদের ব্রেন 9জি স্পিডে চলে।
রাসেলঃকথায় তো তোমার সাথে পারা যাবে না!বাট ভেমরুল নিয়ে কোন দুষ্টুমি না! এটা কামড়ে দিলে অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে…
মিষ্টুঃআরে বাবা আমাদের কলেজে ভেমরুল নিয়ে রিচার্জ করে কি জানি দেখবে!আর সেখানে আমাদের সবাইকে ভেমরুল নিয়ে যেতে হবে।তাই মিতুকে ভেমরুল ম্যানেজ করে রাখতে বলছি..
রাসেলঃওকে বাট খুব সাবধান! এসব নিয়ে একদম দুষ্টুমি করবে না।মনে থাকে যেন..
মিষ্টুঃওকে ওকে (উপদেশের জলজ্যান্ত প্লেন একটা)

রাসেলের কাঁধে মাথা রেখে মিষ্টু বকবক করছে আর রাসেল চুপ করে শুনছে!মিষ্টু নিজেও ঘুমাচ্ছে না আর রাসেলকেও ঘুমাতে দিচ্ছে না!রাসেল যদিও একটু চোখ টা বন্ধ করে মিষ্টু তখন আঙ্গুল দিয়ে খোঁচা মেরে মেরে রাসেলকে ডাকছে।বেচারা রাসেল পড়ছে মাইনকার চিপায় না না মিষ্টুর চিপায়?! একটা স্টেশনে ১০মিঃ এর জন্য ট্রেন থামে তখন রাসেল মিষ্টুকে নিয়ে নামে!আর একটা দোকানে থেকে দুজনের জন্য ওয়ান টাইম কাপে চা নেয় আর দুজন খাওয়া শুরু করে!রাসেল ওর কাপে দুই বার চুমুক দিতেই মিষ্টু রাসেলকে ওর কাপটা দেয় আর রাসেলটা নিয়ে নেয়।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

রাসেল মুচকি হাসে বাট কিছু বলে না!কারন গত এই একমাসে মিষ্টু যে গ্লাসে পানি খেয়েছে রাসেলকেও সেই গ্লাসের সেইম জায়গায় মুখ লাগিয়ে পানি খেতে হয়েছে।মিষ্টু এই অত্যাচার গুলো রাসেলের খুব ভালো লাগে বাট মুখে কিছু বলে না শুধু মুচকি হাসে। রাসেল চা খেয়ে মিষ্টুর হাত ধরে একটা দোকানে নিয়ে গেল তারপর মিষ্টু কি কি খাবে সেগুলো এই দোকান থেকে নিতে বলে!মিষ্টু দোকানদারকে সেই জিনিস গুলো দেখাচ্ছে আর দোকানদার সেই গুলো প্যাক করছে…অনেক গুলো খাবার নিয়ে ওরা আবার ট্রেনে উঠে বসে।

মিষ্টু কাঠবিড়ালির কুটকুট করে খাবার গুলো খেতে থাকে!আর রাসেলের সাথে বকবক করছে। রাসেল মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে আছে!মিষ্টু রাসেলের দিকে তাকায় দেখে রাসেল ওর দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে।মিষ্টু রাসেলকে বলে..
মিষ্টুঃআমি জানি আমি অনেক সুন্দর হয়ে গেছি!তাই বলে এভাবে তাকিয়ে থাকবেন..এভাবে তাকালে নজর লাগবে তো..
রাসেলঃতাই নাকি!তুমি সুন্দর হয়ে গেছো সেটা তোমাকে কে বলছে শুনি ?
মিষ্টুঃকেন আপনি জানেন না? যে বিয়ের পর মেয়েরা দেখতে অনেক সুন্দর হয়ে যায় ।
রাসেলঃহুমম জানি তো!বাট কেন সুন্দর হয় তুমি কি জানো?(দুষ্টু হাসি দিয়ে)
মিষ্টুঃহুমম জানি তো!এটা তো সবাই জানে(খেতে খেতে)
রাসেলঃতা তুমি কি জানো? (দুষ্টু হেসে)
মিষ্টুঃআরে বোকা বিয়ের পর বরদের ভালবাসা আর আদর পে…..না না না আমি জানি না( জিহ্বাতে কামড় দিয়ে)
রাসেলঃহুম হুম বলো!, পুরো কথা শেষ করো।(দুষ্টু হেসে)
মিষ্টুঃআপনি এত ফাজিল কেন?লজ্জা শরমের মাথা খেয়েছেন।
রাসেলঃবউয়ের কাছে লজ্জা কিসের?আর আমার জানা মতে,আর তোমার কথা অনুয়ায়ী আমি তো তোমাকে আদর দেয় নি তাহলে তুমি সুন্দর হচ্ছে কেন?(ভ্রু নাচিয়ে)
মিষ্টুঃআপনি প্লিজ চুপ করুন!আমি এমনি বলছি কথাটা..
রাসেলঃ হা হা হা! আচ্ছা তুমি আমাকে এই আপনি বলাটা এবার ছাড়ো তো!তুমি ডাকটাই বেস্ট লাগে আমার কাছে! তুমি চাইলে আমার নাম ধরেও ডাকতে পারো।আর তুমি অনেক শুকিয়ে গেছো আর এটাই সত্যি..আর এতকিছুর পর শুকিয়ে যাওয়াটাই অস্বাভাবিক কিছু না…(মন খারাপ করে)
মিষ্টুঃথাক এসব কথা।আর হ্যা এতদিন তো আপনাকে আপনি বলতাম কারন আপনার বাসায় সবাই যাতে কেউ ডাউট না করে তাই তখন তুমি বলছি। বাট এখন থেকে আপনি বলবো..
রাসেলঃনা এবার থেকে তুমিই বলবে!আর কোন লুকোচুরি না মিষ্টু।আমরা আর অন্য কারোর জন্য না ! এবার থেকে দুজন দুজনকে কথা শুধু ভাববো..
মিষ্টুঃহুমম!

তারপর সাড়ে ৪ ঘন্টা পর ওরা রাজশাহী পৌঁছালো!রাসেল মিষ্টুকে নিয়ে ট্রেন থেকে নামলো!তখন রাত ১০ঃ৩০ টা বাজে!মিষ্টুর তো খুশি ধরে না কারন নিজের টাউনে আবার ফিরে এসেছে বলে কথা।মিষ্টুর হাত ধরে রাসেল স্টেশন থেকে বের হয়ে একটা অটো নিলো তারপর একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে রাতের খাবারও নিয়ে নিলো!তারপর ওরা একবারে রাসেলের ফ্ল্যাটে চলে গেল।মিষ্টু রুমে ঢুকেই ঠাস করে বিছানায় শুয়ে পড়লো রাসেল মিষ্টুকে তুলে ফ্রেশ হয়ে নিতে বলো।তারপর ওরা ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নিলো..

মিষ্টু বেডে শুয়ে শুয়ে ফোন টিপছিলো!রাসেল এসে মিষ্টুকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো।মিষ্টু কিছু বললো না দেখে রাসেল মিষ্টুর গলায় মুখ গুজে থাকলো!মিষ্টুও এবারো কিছু বললো না! কারন ওরা দুজনেই মন থেকে চাই ওদের রিলেশন টা এবার স্বাভাবিক হোক!কারন দুজন দুজনকে যে অনেক ভালবাসে সেটা ওদের কারোই অজানা নেই।আর বড় কথা মিষ্টুও চাচ্ছে না রাসেলকে দুরে সরিয়ে রেখে ওদের পবিএ সম্পর্কটার মাঝে দুরুত্ব সৃষ্টি করতে।কারন দুরুত্ব জিনিসটা যে কোন সম্পর্ককে নষ্ট করে দেয়।তাই আর দুরুত্ব বাড়ানোর মত বোকামিটা মিষ্টুও করতে চাই না..আর মিষ্টুও জানে রাসেল নিদোর্ষ তাহলে অযথা কেন রাসেলকে দুরে সরিয়ে কষ্ট দিবে…রাসেল হুট করে মুখ তুলে মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে বলে..
রাসেলঃ মিষ্টু তোমার কাছে আমার কিছু চাওয়ার আছে!আশা করি ফিরিয়ে দিবে না আমাকে..
মিষ্টুঃহুমম শুনি কি চাই তোমার?
রাসেলঃআমি সারাটা জীবন তোমার গলাতে মুখ গুজে ঘুমানো অধিকার টা চাই!ব্যস্ আপাতত এতটুকুই আমার চাওয়া..(ভয়ে ভয়ে কথাটা বললো)
মিষ্টুঃ আমি তোমার কে হই শুনি?
রাসেলঃ আমার কলিজা! আমার বউ! আমার ভাল থাকার পাসওয়ার্ড। (শক্ত করে জড়িয়ে ধরে)
মিষ্টুঃতাহলে পারমিশন চাইছো কেন?
রাসেলঃ মিষ্টু তুমি আর পাঁচজানের চেয়ে একটু আলাদা জানো?তুমি যা বলো সরাসরি বলো আর তুমি যে ভনিতা করো না এটাই আমার খুব ভালো লাগে।আর আমি খুব খুশি যে তুমি আমাকে মেনে নিয়েছো.. (জড়িয়ে ধরে)
মিষ্টুঃহুমম!মেনে নিয়েছে কারন আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে।আর আমিও চাই আর পাঁচটা হাজবেন্ড -ওয়াইফ এর ভালো থাকতে।আর সত্য কথা তোমার উপরে আমার কোন অভিযোগ নেই!
রাসেলঃহুমম!ধন্যবাদ আমাকে বিশ্বাস করার জন্য

পরেরদিন সকালে..
রাসেল ঘুম থেকে উঠে ব্রেক ফাস্ট রেডি করে আর দুজনের জন্য কফি করে !তারপর রুমে গিয়ে মিষ্টুর কপালে আদর দিয়ে মিষ্টুকে ঘুম থেকে টেনে তোলে। মিষ্টু রাসেলের বুকের সাথে হেলান দিয়ে বসে বসে ঘুমাচ্ছে… রাসেল মিষ্টুর নাক টেনে বলে..
রাসেলঃএই দুষ্টু মেয়ে ওঠো না!
মিষ্টুঃউহুম না!এখন না
রাসেলঃতাহলে কখন শুনি!আমাকে একটু বের হতে হবে তো।উঠো রে (দুই হাত দিয়ে মিষ্টুকে জড়িয়ে ধরে)
মিষ্টুঃআগে আমি তোমার ভয়েজ খাবো তারপর উঠবো!তোমাকে আমার খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করে।তুমি এত কিউট কেন?(ঘুম ঘুম কন্ঠে)
রাসেলঃহা হা হা তাই বুঝি!আমি তো তোমাকে খেতে মানা করি নি! আমিও তো চাই তুমি আমাকে পুরোটাই খেয়ে ফেলো।হা হা হা
মিষ্টুঃহুমম! আমি এখন খাবো তোমাকে!আজকে তোমাকে সত্যি সত্যি খেয়ে ফেলবো।

মিষ্টি ঘুমের ঘোরেই উল্টো ঘুরে রাসেলের গলায় ঠোঁট বসায় আর লিক করে!মিষ্টুর ঠোঁট বসানোর সাথে সাথে রাসেল চোখ বন্ধ করে ফেলে। রাসেল নড়াচড়ার শক্তি হারিয়ে ফেলছে কারন ওর শরীরে একটা অন্য রকম অনুভুতির সৃষ্টি হয়েছে!মিষ্টু রাসেলের গলাতে লিক করে আর একটা সময় মিষ্টুর হুশ আসে ও কি করছে?মিষ্টু এক ঝটকাতে সরে যায়! মিষ্টু একবার তাকিয়ে দেখে রাসেল চোখ বন্ধ করে আছে!মিষ্টু উঠে একদৌড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়…

রাসেল চোখ খুলে দেখে মিষ্টু নেই!রাসেল মনে মনে ভাবতে থাকে..
রাসেলঃ মিষ্টু তোমার এই এই আবদার গুলো এই অত্যাচার গুলো আমার খুব ভালো লাগে!মিষ্টু তোমার মত বউ পাওয়া আমার মত প্রতিটা ছেলের সপ্ন! আমরা প্রতিটা ছেলে চাই আমাদের বউ আমাদেরকে শাষণ করুন,বকা দিক,রোমান্টিক অত্যাচার করুক আমাদের উপর,আর তোমার অদ্ভুত আবদার গুলোও মত আবদার করুক। তবে আমি ভাগ্যবান মিষ্টু তোমার বউ পেয়ে!মিষ্টু আজকে একটা অন্যরকম একটা অনুভূতির প্রকাশ ঘটালে তবে এর জন্য আমি তুমি এখন নিজেই লজ্জায় লাল হয়ে যাবে…হা হা হা

তারপর দুজন ব্রেকফাস্ট করে নেয়!মিষ্টু রাসেলের দিকে আর তাকায় নি।রাসেলও আর মিষ্টুকে লজ্জায় ফেলতে চায় নি!রাসেল কাজ আছে বলে বাইরে যাবে বললে তখন মিষ্টুও রাসেলকে বলে মিতুর সাথে দেখা করতে কলেজে যাবে।রাসেল আর মিষ্টু একসাথে বের হয় আর রাসেল মিষ্টুকে কলেজে রেখে আসে! আর রাসেল ওর কাজে চলে যায়।কলেজে ঢুকতেই মিতুর সাথে মিষ্টু দেখা হয়! তারপর একসাথে ওরা দুজন রাবেয়ার সাথে দেখা করতে চাই।

মিতু আর মিষ্টু গিয়ে দেখে! মা, ছেলে দুজনকেই বেঁধে রাখা হয়েছে চেয়ারের সাথে!মিষ্টু গিয়ে আবিদের মুখ খুলে দেয় আর গাল টেনে বলে..
মিষ্টুঃওলে আমার বাবুটা লে!আজকে তোমাকে এত এত আদর দিবো।
আবিদঃ এসবের মানে কি মিষ্টু?(রেগে গিয়ে)
মিষ্টুঃএর মানে তোকে বোঝাতে পারবো না!শুধু দেখে যা তোদের সাথে কি হয়?
মিতুঃ মিষ্টু আসলে হয়েছে কি, আমি না ভেমরুল খুজে পাই নি।আমি অনেক খুঁজেছি..বাট…
মিষ্টুঃতারমানে আজকেও থেরাপি দেওয়া যাবে না।না এটা তো হতেই পারে না।আজকে ওদের আমি কিছুতেই ছাড় দিবো না..
মিতুঃ না না ভেমরুল পাই নি বাট জামরুল গাছে থাকে না লাল লাল পিঁপড়া গুলো পেয়েছি।আপাতত এই গুলো দিয়ে কাজ চালা ভেমরুল খোঁজার কাজ চলছে..
আবিদঃ মিষ্টু!!! একবার হাতের বাঁধন খুলে দে তারপর দেখ তোকে কি করি আমি?(রেগে চিৎকার করে)
মিষ্টুঃকি করবি রে? এই তুই আমাকে কি করবি শুনি?(আবিদের কলার চেপে ধরে)
আবিদঃ রাসেল সেদিন তোকে হাতের কাছে পেয়েও যে কাজ না ছেড়ে দিয়েছে আজকে আমি তা সম্পূর্ন করবো।কথা দিচ্ছি তোকে আদরে আদরে ভরিয়ে দিবো..শুধু একটা বার আমার হাতের বাঁধন টা খুলে দে..

মিষ্টু মিতুর দিকে একবার তাকালো! তারপর মিষ্টু ইশারায় আবিদের মুখ আবার কাপড়ে দিয়ে বেধে দিতে বললো।তারপর মিষ্টু ওর চুল গুলোকে বেধে নিলো টাইট করে তারপর একটা হকিস্টিক দিয়ে দুজনকেই পিটানো শুরু করলো!ওদের মুখ বেঁধে থাকার কারনে ওদের চিৎকারে বাইরে গেল না।মিষ্টু মারছে আর চিৎকার করে বলছে..

মিষ্টুঃএই তোদের মত ছেলে পুরুষত্ব নিয়েই তোদের এত অহংকার তাই না! তোরা কি মনে করিস আমরা মেয়েরা তোদের হাতের খেলনা। তোরা যা বলবি আমরা শুধু মেনে নিবো!তোদের লজ্জা করে এসব কথা বলতে তোদের বিবেকে বাঁধে না এসব মুখ দিয়ে উচ্চারণ করতে!আজ আমিও দেখবো তোর এই অহংকার কি রে থাকে! (মারতে মারতে)

মিষ্টু এবার রাবেয়ার কাছে গিয়ে!ওকে মারা শুরু করলো!এতদিন দুরে ছিলো তাই সুযোগ হয়নি বাট আজকে থেকে আর ওদের ছাড় দেওয়া যাবে না।কারন কুকুরকে মুগুড় না চেনালে কুকুরাটা কথা শুনবে না।

মিষ্টুঃআর তুই ছেলের পুরুষত্ব নিয়েও অহংকার করছিস তাই না!তোরা মানুষ না তোরা এক একটা জানোয়ার তোরা মরতে পারিস না তোদের মত কীটের মৃত্যু হয় না কেন?আজকে তোদের জন্য আমি আমার পরিবার থেকে দুরে আমি আমার মায়ের ভালবাসা পায় না।আজকে তোদের জন্য বন্ধুর থেকে বন্ধু দুরে, ভাইয়ের থেকে বোন দুরে,মায়ের থেকে মেয়ে দুরে সরে গেছে।
(মিষ্টু ওর শরীরের সর্ব শক্তি দিয়ে দুজনকেই সমান তালে মারছে আর কথা গুলো বলছে)

ওদের মারতে মারতে মিষ্টু হাপিয়ে গেছে!আর ওরা মার খেয়ে কাতরাচ্ছে। মিষ্টু এবার নিচে বসে পড়লো আর ঢকঢক করে পানি খেলো।তারপর উঠে সত্যি সত্যি ওদের গায়ে লাল পিঁপড়া দিয়ে দিলো আর ওরা ছটছট করতে শুরু করলো।

স্পর্শানুভূতি পর্ব ৩৫

মিষ্টুও ওদের দিকে তাকিয়ে বললো..
মিষ্টুঃআজকে তোদের জন্য আমি কাঁদতে ভুলে গেছি!আজকে তোদের জন্য আমার সবাই থেকেও কেউ নেই।আমি তোদের এত সহজে ছেড়ে দিবো না! তোদের এত কষ্ট দিবো যে, আমার সাথে যে অন্যায় তোরা করছিস!আর কারো সাথে এমন অন্যায় করতে তোরা না পারিস। আজকে তোরা তোদের কাজের জন্য আমাকে এত নিষ্ঠুর হতে বাধ্য করেছিস।(ওদের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে)

মিতু মিষ্টুকে টেনে তুলে আর জড়িয়ে ধরে!কারন মিতু জানে মিষ্টু এভাবে ওদের কষ্ট দিয়ে নিজেও কষ্ট পায়।মিষ্টু চোখ মুছে আর ওদের দিকে তাকিয়ে বলে..
মিষ্টুঃগেম তো কেবল শুরু হলো! এবার তোরা ভাবতেও পারবি না তোদের সাথে ঠিক কি কি ঘটতে চলছে??

ওদিকে মুহিত আর রাসেল এরা হন্য হয়ে রাবেয়া খালাতে খুঁজে যাচ্ছে! কিন্তু ওরা কেউ খুঁজে পাই না…ওদের কল্পনাতে আসে নি মিষ্টু এমন কিছু করবে বা করতে পারে।

স্পর্শানুভূতি পর্ব ৩৭