স্রোতস্বিনী পর্ব ১৮

স্রোতস্বিনী পর্ব ১৮
মুগ্ধতা রাহমান মেধা

পূব আকাশে সূর্য উঠেছে।একটা নতুন সুন্দর দিনের ঘোষণা জানাচ্ছে।কিন্তু স্রোতের দিনটা খারাপ যাবে কারণ তার মন খারাপ।সারারাত ঘুম হয় নি তার।পড়তেও পারে নি।মন খারাপ থাকলে সে পড়তে পারে না।একটু পরপর মেহরাদকে কল করেছে কিন্তু ফলাফল একই,ফোন অফ।নিজেকেই নিজে হাজারটা গা লি দিয়েছে।কেনো মজা করতে গেলো সে?আবার,নিজেই নিজেকে বলছে,”আমি কি জানতাম নাকি এতো রেগে যাবে?”।

কোনো এককালে কোনো এক মহাপুরুষ বলেছিলেন,”পুরুষ তার শখের নারীকে অন্য কারো সাথে সহ্য করতে পারে না।” স্রোতের কাছে এখন কথাটা সত্যিই মনে হচ্ছে।নিজের করা ভুলে নিজেই অনুতপ্ত সে।এসব ভাবতে ভাবতেই কলেজ চলে যায় সে।কলেজের ব্রেক টাইমেও অনেকবার কল করেছে মেহরাদকে।রিং হলেও মেহরাদ রিসিভ করে নি।সে ভেবে নিয়েছে যদি সন্ধ্যার মধ্যে কথা না হয় তাহলে এক অদ্ভুত কাজ করবে।
হলোও তাই সন্ধ্যার মধ্যে কথা হয় নি।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

স্রোত বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে বনলতা বেগমের রুমে নক্ করে,
“আন্টি আসবো?”
“না আসবে না।কতদিন বলেছি আন্টি না ডাকতে?যতদিন না মা ডাকার অভ্যাস করছো ততদিন আসবে না।” মেকি রাগ দেখিয়ে বলে বনলতা বেগম।
“ওপপপপস্ স্যরি আম্মু। টেনশনে সব গুলিয়ে যাচ্ছে।আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে যাবে।” বলতে বলতে রুমে প্রবেশ করে বনলতা বেগমকে জড়িয়ে ধরে।

“কি হয়েছে?টেনশন কিসের?”মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে জিজ্ঞাসা করে।
স্রোত উশখুশ করছে। তাও আমতা আমতা করে জিজ্ঞাসা করে,
“তেমন কিছু না।একটা কথা বলি?রাগ করবে?”
“রাগ করার মতো হলে অবশ্যই করবো,বলো।”

“মান্ধবী কল দিয়েছিলো।শপিং এ যাবে।আমাকেও সাথে যেতে বলেছে।যাই আমি?কয়েকদিন থেকেও আসলাম ঐ বাড়িতে?”অনুনয় করে বলে স্রোত।উত্তরের অপেক্ষায় বনলতা বেগমের দিকে তাকিয়ে আছে সে।
” এর জন্য এভাবে বলার কি আছে?পা গল মেয়ে,যাও।তবে বেশিরাত করো না।আর তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরে আসবে।”আদুরে সুরে বলে বনলতা বেগম।
“থ্যাংক ইউ আম্মু।” গলা জড়িয়ে বলে রুমে চলে যায় স্রোত।
বনলতা বেগম মেয়ের কান্ডে হাসছেন…

ব্যাগ গুছিয়ে স্রোত রওয়ানা হয় বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে।সেখান থেকে বোনকে নিয়ে এক জায়গায় যাবে।বাড়ির সামনে এসে দেখে মান্ধবী দাঁড়িয়ে আছে। মান্ধবী গাড়িতে উঠে চিন্তিত হয়ে জিজ্ঞাসা করে,
“তুই সিউর তো তুই পারবি?”
“পারবো।আমি কি বাচ্চা নাকি?”
“রাত তো।কোনো বিপদ হলে!”
“আমি ক্যারাটে জানি, ভুলে গেছিস?”
“ধ্যাত আপু,তুই ও না।শোন না,আমাকেও সাথে নিয়া যা। ”
“একদম না।”

তারপর আর কথা হলো না দু’বোনের মাঝে।প্রায় দুই ঘন্টা পরে তারা এসে পৌছায়। মান্ধবী বোনকে বিদায় দিয়ে চলে যায়।যাওয়ার সময় বোনকে জড়িয়ে ধরে “বেস্ট অব লাক” বলতে ভুলে না।স্রোতেরও একটু একটু ভয় লাগছে তবে ব্যাপার না।

মান্ধবী বাড়ি ফেরার জন্য বাসের অপেক্ষা করছে।আসার সময় ক্যাব বুক করলেও সে একা একা ক্যাব বা সিএনজি তে যাবে না।বোন নিষেধ করেছিলো আসতে,তবে সে জোড় করেই এসেছে।বাস আসায় সে বাসে উঠে পড়ে।দু’টো ফাঁকা সিট পেয়ে জানালার পাশে বসে যায় সে।বাসে ভীড় না থাকলেও অনেক মানুষই রয়েছে।ফলস্বরূপ ভয় পাচ্ছে না সে।সে জানালা দিয়ে ব্যস্ত স্টেশন দেখতে ব্যস্ত।সে টের পায় কেউ একজন তার পাশে বসেছে।কিন্তু সে তা আমলে নেয় না।বাসে কত মানুষই উঠে।পাশের ব্যক্তিও প্রথম প্রথম চুপ থাকে।কিছুক্ষণ বাদে বাস চলতে শুরু করে।মান্ধবীর ভেতরে উৎফুল্লতা।এক মাসের মধ্যে বোনের মধ্যে এতোটা পরিবর্তন সত্যিই আনন্দের।তার বোন আগের মতো হাসি-খুশি হয়ে যাচ্ছে।পাশের ব্যক্তি তখন জিজ্ঞাসা করে,

“কোথায় গিয়েছিলে?”
পরিচিত কন্ঠের আওয়াজ পেয়ে মান্ধবী ঘুরে তাকালে যেনো শক্ খায়।বিস্ময় নিয়ে চেয়ে আছে পাশের ব্যক্তির দিকে।ব্যক্তিকে দেখে মনে হচ্ছে ট্যুরে গিয়েছিলো।সবে মাত্রই ফিরলো।পাশের ব্যক্তিটি আর কেউ নয়, রায়হান। মান্ধবীর সাড়াশব্দ না পেয়ে পুনরায় জিজ্ঞাসা করলো,

“উত্তর দিলে না যে?কোথায় গিয়েছিলে?”
মান্ধবী বিস্ময় কাটিয়ে স্বাভাবিকভাবে বলে,
“আপনাকে কেনো বলতে যাবো?”
“কেনো বলবে না?”
“আপনি কি আমার গার্ডিয়ান?”
“হতে কতক্ষণ? ”
“জীবনেও না।” তাচ্ছিল্যের সাথে বলে মান্ধবী।

রায়হান একটু কষ্ট পেলেও পাত্তা দেয় না।সব তারই কর্মফল।নিজেকে সামলে মলিন কন্ঠে বলে,
“জীবনে কতকিছুই হয় যা আমরা আগে আগে ধারণাও করতে পারি না।”
“যেই জিনিস একবার চেয়ে পাইনি,ঐজিনিস আর কখনোই চাইবো না।” শক্ত গলায় বলে মান্ধবী।
“দেখা যাক সুইটহার্ট।” দুষ্টুমি করে বলে রায়হান।

“সুইটহার্ট” সম্বোধন শুনে মান্ধবীর হার্ট ফেইল হওয়ার উপক্রম। চোখেগুলা যেনো বেড়িয়ে আসবে।তবে তার রাগ লাগছে,অনেক রাগ লাগছে।সে আর কিছু না বলে জানালার বাহিরে দৃষ্টি ফেলে।
একটুপর রায়হান আবার বলে,
“এই তোমার ঝাড়ুর মতো চুলগুলা ঠিক করো।আমার চোখে মুখে আঁচড়ে পড়ছে।একবছর আগে মানবী বিরক্ত করতো এখন তার ঝাড়ুর মতো চুলগুলো বিরক্ত করছে।”

মান্ধবী চোখ কটমট করে তাকিয়ে রাগান্বিত স্বরে বলে,
“আমার স্ট্রেইট করা চুলগুলোকে কোন সাহসে ঝাড়ু বললেন?”
“দেখতে তো এমনই।শুধু বিরক্ত করছে।”
মান্ধবী খেয়াল করলো তার চুল গুলো ছেড়ে রাখা বলে বাতাসের জন্য রায়হানের মুখে পড়ছে।তাই সে চুলগুলোকে খোঁপা করে রায়হানকে উদ্দেশ্য করে “স্যরি” বলে বাহিরে মনোযোগ দেয়।রায়হানকে দেখলেই তার পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে।প্রচন্ড রাগ লাগে, ইচ্ছে করে সবকিছু তচনচ করে দিতে।

রায়হান ভেবেছিলো মান্ধবীকে একটু বিরক্ত করবে,কিন্তু মান্ধবী পুরো ভাবনায় এক বালতি জল ঢেলে দিলো।সে আবার কিছু বলতে যাবে তখনই মান্ধবী বলে,
“আর একটা কথা বললে আমি চলন্ত বাস থামিয়ে নেমে যাবো।”
রায়হান আর কিছু বলে না।সে বুঝে যায় মান্ধবী এখনো আগের রাগ পুষিয়ে রেখেছে। মান্ধবীকে মানাতে তার অনেক কাঠখড় পো ড়াতে হবে।

বাস নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছালে মান্ধবী নেমে যায়।তার পেছন পেছন রায়হানও নেমে যায়।মান্ধবী বাসায় যাওয়ার জন্য রিকশা খুঁজতে থাকে।অনেকটা রাত হয়ে যাওয়ায় রাস্তায় রিকশা নেই বললেই চলে।একটা রিকশা পেয়ে মান্ধবী উঠে পড়ে।সাথে সাথে রায়হানও উঠে পড়ে।রিকশা চলতে শুরু করে।মান্ধবী রেগে গিয়ে বলে,
“আপনি এই রিকশায় উঠলেন কেনো?নামুন।”

“রিকশা কি তোমার বাপের? রিকশা এই মামার।উনার যাকে ইচ্ছা তাকে উঠাবেন,তাইনা মামা?”
রিকশাওয়ালা মামাও হেঁসে “হ্যাঁ হ্যাঁ” বলেন।
মান্ধবী এবার রিকশাওয়ালা মামাকে রিকশা থামাতে বলে, সে নেমে যাবে।
রায়হান একটু এগিয়ে রিকশাওয়ালা মামাকে আস্তে আস্তে বলে,
“মামা,বউ রাগ করেছে।আপনি রিকশা থামাইয়েন না।”

রিকশাওয়ালা মামা হাসছে।মান্ধবী রায়হানের কথাটা শুনতে পেয়েছে।সে অবাক,হতবাক,তাকে “বউ” বলে পরিচয় দিলো?কি বলবে বুঝে উঠতে না পেরে চুপ করে রইলো।
রায়হান মান্ধবীকে উদ্দেশ্য করে বললো,
“এতো রাগ ভালো না মান্ধবী।”

“এটা আপনার এক বছর আগে মাথায় রাখা উচিত ছিলো।” তাচ্ছিল্যের সাথে বলে মান্ধবী।
রায়হান মাথা নত করে ফেলে,কিছু বলে না।
একসময় মান্ধবীর বাড়ি চলে আসলে সে নেমে যায়।
রায়হান মান্ধবীকে উদ্দেশ্য করে অন্যদিকে তাকিয়ে বলে,
“নিজের সম্পত্তিকে পাহাড়া দেওয়া আমার হবু স্বামীগত অধিকার,বুঝলেন মামা!”
মান্ধবী কথাটা শুনতে পেলেও পিছু ফিরে তাকায় না।বাড়ির ভেতরে চলে গেলে রায়হান দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের বাড়ির দিকে রওয়ানা হয়।

মেহরাদ ঐদিন সকালে অফিসে এসেই পাঁচদিনের ছুটির দরখাস্ত করেছে।গ্রহন হলেই সে রাজধানীতে যাবে।মেহরাদের রাগ মাত্রাতিরিক্ত।সবসময় ভালো থাকে,তাই বুঝা যায় না। হাইপার হলেই চলে।সেখানে তার ভালোবাসার মানুষ নাকি অন্য এক ছেলেকে ফিল করে,হ্যালুসিনেট করে।সে তো পারে নি ঐদিন রাতেই চলে যেতে।ইচ্ছে করেই স্রোতের কল রিসিভ করে নি সে,বাসায় গিয়ে মজা বুঝাবে।বর্তমানে সে তার জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষে কিছু পুরনো ফাইল দেখছিলো।তখনই একজন গার্ড এসে তাকে জানায়,
“স্যার একজন মেয়ে এসেছে।আপনার সাথে দেখা করতে চায়।”

মেহরাদ অবাক হয়।গম্ভীর কন্ঠে জিজ্ঞাসা করে,
“কোথায় তিনি?”
“ওয়েটিং রুমে। আপনি যাবেন নাকি এখানে পাঠিয়ে দিবো?”
“এখানেই পাঠিয়ে দাও। হাতে অনেক কাজ।” একটু ভেবে বলে মেহরাদ।
“জ্বি স্যার।” বলে চলে যায় গার্ড।
মিনিট পাঁচেক পরে,দরজায় আবার নক্ হলে মেহরাদ ভাবে গার্ড আবার এসেছে।সে ফাইলে নজর রেখেই গম্ভীর কন্ঠে বলে,

“কাম ইন।”
তখনই একটা মেয়ে হাতে ট্টলি ব্যাগ নিয়ে ধীর পায়ে হেঁটে মেহরাদের টেবিলের সামনে এসে দাঁড়ায়।মেহরাদ মাথা তুলে রমনীকে দেখে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়।তার চোখগুলো বেরিয়ে আসার উপক্রম ।সে বুঝতে পারছে না সে কি সত্যি দেখছে নাকি কল্পনা করছে।অস্ফুটস্বরে বলে উঠে,
“স্রোতস্বিনী।”

স্রোত অধর প্রসারিত করে মেহরাদের দিকে এগিয়ে যায়।এক হাত দুরত্ব বজায় রেখে দাড়ায়। অধর প্রসারিত করেই জিজ্ঞাসা করে,
“ভয় পেয়েছেন নাকি সারপ্রাইজড্ হয়েছেন মেজর মেহরাদ সাদাফ?”
“দুটোই।কিন্তু তুমি এখানে?কিভাবে?কল্পনা করছি কি?” থেমে থেমে জিজ্ঞাসা করে মেহরাদ।স্রোত এখানে আসবে এটা তার কল্পনাতীত ছিলো।
স্রোত চমৎকার হেঁসে দুষ্টুমির স্বরে বলে,

“আপনাকে বলেছিলাম না একটা ছেলে আমাকে প্রপোজ করেছে? আমি তাকে ফিল করি,হ্যালুসিনেট করি?সে তো এখানেই থাকে,চট্টগ্রামে।তার সাথে দেখা করতেই তো এখানে এসেছি।প্রপোজাল এস্সেপ্ট করা যায় কিনা ভাবছি।”
স্রোতকে দেখে মেহরাদ যতটা অবাক হয়েছিলো,খুশি হয়েছিলো এক মুহুর্তে সব রাগে পরিণত হয়ে গেলো।চেহারার রং পাল্টে গেলো। রাগে কপালের রগগুলা ফুলে উঠেছে।তাও নিজেকে শান্ত করার বৃথা চেষ্টা করে বলে,
“আমাকে রাগিয়ো না স্রোত।”

“আমি সত্যি কথা বলছি।আমি তাকে সর্বত্র অনুভব করি।” ভাব নিয়ে বলে স্রোত।
এবার আর মেহরাদ নিজের রাগ দমন করতে পারলো না।এক হাত দিয়ে স্রোতের গাল চেপে ধরে আরেক হাত দিয়ে স্রোতের ডান হাত চেপে ধরে দাঁত কিড়মিড়িয়ে বলে,

“ইচ্ছে করছে দাঁত গুলো একটা একটা করে খুলে ফেলি।শুনে রাখো, পা গুলো ভেঙ্গে ঘরে বসিয়ে রাখবো।নাহয় খু ন করে মৃত দেহ সংরক্ষণ করে তার সাথে সংসার করবো।অন্য কারোর কথা মাথায়ও আনবে না।”
বলে স্রোতকে ছেড়ে দিয়ে পেছন ফিরে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে থাকে।
স্রোত বুঝলো আর রাগানো ঠিক হবে না।সে মেহরাদকে জোর করে নিজের দিকে ঘুরালো।কিন্তু মেহরাদ অন্য দিকে তাকিয়ে আছে,স্রোতের দিকে তাকাচ্ছে না।স্রোত নিজের দুহাতের আজলে মেহরাদের মুখটা নিয়ে নিজের দিকে ফেরাতে ফেরাতে বলে,

“তাকান আমার দিকে।”
মেহরাদ চুপ।
“তাকান না। ”
মেহরাদ এবার স্রোতের চোখে চোখ মেলালো।কিন্তু কিছুই বললো না।চোখে লাল হয়ে আছে।
“ঘটে কি নিয়ে ডিফেন্সে জব করছেন?হুহ?”
“মানে?” হতভম্ব হয়ে জিজ্ঞাসা করে মেহরাদ।
“মানে নিজেকে নিয়ে নিজেই জেলাস ফিল করছেন মেজর সাহেব।”
“আর ইউ সিরিয়াস? ”

“ইয়েস আই অ্যাম।আমি যাকে ফিল করি,হ্যালুসিনেট করি সে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।সে দুইদিন আমার ফোন রিসিভ করছিলো না তাই আমি এখানে চলে এসেছি।” বলে মেহরাদকে ছেড়ে দিয়ে পেছনে ঘুরে দাঁড়ায়।
ব্যাপারটা বুঝতে একটু সময় লাগে মেহরাদের।যখনই বুঝতে পারে তখনই এক হেঁচকা টানে স্রোতকে নিজের কাছে নিয়ে আসে।টান সামলাতে না পেরে স্রোত মেহরাদের বুকে গিয়ে পড়ে।মেহরাদ স্রোতের কোমড়ে হাত রেখে ওর কপালে কপাল ঠেকায়।আবেশে দু’জনের চোখই বন্ধ। মেহরাদ নরম স্বরে বলে,

স্রোতস্বিনী পর্ব ১৭

“কলিজা ফেঁটে যাচ্ছিলো স্রোত।বুকটা চিনচিনে ব্যাথা করছিলো।আত্মায় যেনো পানি আসলো এখন।আর এমন মজা করো না প্লিজ।আমি সইতে পারি না।”

স্রোতস্বিনী পর্ব ১৯

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here