হৃদমাঝারে তুমি পর্ব ৮+৯

হৃদমাঝারে তুমি পর্ব ৮+৯
সাইয়ারা মম

হাসপাতালে বেডে শুয়ে আছে তুলি আর তার পাশে বসে আছে তুলির মা ও খালা।তুলির মা আপেল কাটতে কাটতে বলতে লাগল
-তুই কিসের ভিত্তিতে এমন একটা ডিসিশন নিলি?
তুলি চোখ বন্ধ করে এক হাত কপালে দিয়ে রেখেছিল।মায়ের কথা শুনে হাতটা সরিয়ে উঠে বসতে চাইল।কিন্তু পারল না,পরে যেতে চাইল।তুলির মা আপেল কাটা রেখে মেয়েকে ধরলেন। অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করলেন

-শরীর দুর্বল লাগছে?
-হুম
-ডাক্তার ডাকব
-ডাকো
-বড় আপা ডাক্তার বা নার্স ডেকে আনো তো
খালা তাড়াহুড়ো করে ডাকতে চলে গেলেন।তুলি তখন মায়ের হাতটা ছাড়িয়ে একটা আপেল নিল তারপর বেডে হেলান দিয়ে আপেলটা খেতে লাগল। ওর মা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল।তাকে এরকম তাকিয়ে থাকতে দেখে তুলি বলল

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

-এরকম ভাবে তাকিয়ে আছো কেন?
-তুই না দূর্বল?
-হুম দূর্বল তো ,,,,,,আপেল খেতে খেতে জবাব দিল।
-তুলি সত্যি কথা বলতো তুই কি করেছিস? আর কি করবি?আমার তো তোর মতিগতি ভালো লাগছে না।
তুলি একটা রহস্যময়ী হাসি দিল।তারপর বলতে লাগল

-মা তুমি আমার জায়গায় হলে কি করতে?আত্মহত্যা করতে চাইতে?
-না
-তাহলে তোমার মেয়ে হয়ে আমি কীভাবে এই কাজ করি?
-তুলি আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।তুই একটু আমাকে গুছিয়ে বলতো কি হয়েছে?
তুলি আস্তে আস্তে বলতে শুরু করল-

যখন নীলু তত্ত্বগুলো ওদের বাড়িতে দিয়ে যায় তখন তুলির খুব রাগ লাগে।অনেকেই বলতে থাকে যে তুলি মিহুর রূপ গুণের কাছে কিছুই না।এসব তুলি শুনতে না পেরে রুমে গিয়ে দরজা আটকিয়ে রাখে।তারপর ও ভাবতে থাকে কীভাবে কি করলে মিহুকে সবার সামনে দোষী বানানো যায়।সারারাত ধরে প্লান করার পরে সকাল বেলা ঘটনাটা ঘটালো।

-তাহলে যে তোর হাত থেকে রক্ত পড়ল।সেটা কী থেকে কী হলো?তুই কি সত্যিকারেই হাত কেটেছিলি
-মা রিলাক্স, ও সব কিছুই না।যাস্ট হাতে একটু কয়েকটা জিনিস লাগাতে হয়েছে।
-যদি ক্ষতি হয়ে যেত
-কিচ্ছু হবে না।তবে শুনো এই ব্যাপারে যেন আর কেউ না জানে। এমন কি খালাও যেন না।ওনার পেটে কোনো কথাই থাকবে না।তার সামনে এমন অভিনয় করবে যে তুমি কিছুই জানো না আর আমি সত্যিই অসুস্থ
খালার আসার শব্দ পেয়ে তুলি বেডে শুয়ে পড়ল। ওর মা আবার ওর পাশে বসে আপেল কাটতে লাগলো।তার গর্ব হচ্ছে মেয়েকে নিয়ে।তিনি তুলির মাঝে ঠিক পঁচিশ বছর আগের তার নিজের সত্তাকে খুঁজে পাচ্ছেন।
খালা নার্সকে তাড়া দিয়ে বলে

-নার্স এদিকে আন তারাতারি।দেইক্কা যান তুলি কেমন যেন করে।এতো আস্তে আডেন কেয়া।
খালা নার্সকে এতো তাড়া দিলেও নার্স ধরী সুস্থে হেটে তুলির কেবিনের দিকে আসল।কেবিনে ঢুকেই সবাইকে বের হতে বলল।তারপর রুম আটকিয়ে অনেকক্ষণ বসল।পরে বাইরে চলে গেল।খালার নার্স এর দিকে তাকিয়ে তুলির মাকে বলল
– এ শোন।নার্সটারে দেকছো?
-হুম দেখেছি তো কি হয়েছে?

-কি সুন্দর আর কত লম্ফা(লম্বা)।মাইয়া হিসাবে এক্কারে পাউরুটি?
-আপা তুমি এসব কি বলো?নার্স পাউরুটি হতে যাবে কেন?তুমি ঠিক করে কথা বলোতো।
-আর পাউরুটি বুজো নাই।ঐ যে সব এক্কেবারে ঠিকঠাক থাহে হেইয়ারে পাউরুটিই তো কয়
-আপা সেটা পাউরুটি না পারফেক্ট।
-আইচ্ছা হেয়া যাই হোউক।মাইয়্যা ডাকে কিন্তু আমাগো মাহিনের সাথে একদম মানাবে।
-আপা তোমার মাথা ঠিক আছে?আমরা এইজায়গা এসেছি তুলির ট্রিটমেন্টের জন্য আর সেইখানে তুমি মেয়ে খুঁজতে আছো?

বলে তিনি তুলির কাছে চলে গেলেন।খালা বলতে লাগল-খারাফ কি কইলাম।নার্স যদি গরের বৌ অয় তাইলে তো বালো।কুনো ডাক্তার দেখান লাগবো না
নীলু খুব হাসিখুশি হয়ে তার ভাইদের বিয়ে নিয়ে মেতে আছে।এখন সবে মাত্র বিকেল হলো।সব ভাইবোন মিলে আড্ডা দিচ্ছিল। আরফানকেও এই আড্ডায় যোগ দিতে বলেছিল কিন্তু আরফান না করেছে নীলুও তাই জোড় করে নাই।তবে নেহালকে নিয়ে সবাই বসেছে।এখন ট্রুথ এন্ড ডেয়ার খেলা হবে।

বোতল প্রথমে ঘুরে পড়ল নীলুর খালাতো বোন রেখার দিকে।রেখা প্রথমে ট্রুথ নিল।প্রশ্ন করল পিয়াস
-রেখা বলো তোমার জীবনে সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট জিনিস কি?এবং সাথে এর কারণ ও বলতে হবে
-আমার জীবনে সব থেকে বেশি ইম্পর্টেন্ট হলো আমার মা বাবা এবং এর কারণ হলো তারা আমার জন্ম দাতা
এবার বোতল ঘুরানো হলো।বোতল ঘুরে পড়ল নীলুর দিকে।নীলু ও ট্রুথ নিল। এবার ও পিয়াস প্রশ্ন করল

-নীলু তুই একটু বলতো তুই এমন কী জিনিস লুকিয়ে রেখেছো?যেটা কেউ জানে না এমন কি আরফান ভাইও না।
-আমি বলতে পারি তবে এরপর আর কোনো প্রশ্ন করা যাবে না।সবাই সহমত হলে বলব
-হ্যাঁ সবাই সহমত।তুই বল।পিয়াস নীলুকে বলল।উত্তরে নীলু বলল
-আমাকে সবাই যেমন ভাবে আসলে আমি তেমন না কিন্তু আমি যেরকম সেটা অনেকেই ভাবতে পারবে না।
-না না নীলু,এমনটা হবে না।এসব আধ্যাত্মিক কথা বার্তা চলবে না
-পিয়াস ভাই তুমি কিন্তু আমার শর্ত মেনেছিলে
-আচ্ছা বাদ দে পিয়াস।বোতলটা এবার ঘুরা।

নেহালের কথায় সবাই মাথা নাড়ালো।এবার গিয়ে বোতল পড়ল নেহালে সামনে।নেহাল জানে তার ভাইবোন কেমন।তাই সে ফোন করার বাহানা দিয়ে চলে যেতে চাইল।কিন্তু পিয়াস বলে উঠল
-ভাই পিহু ভাবিকে বলে দেব যে তুই এত ভীতু।সামান্য খেলার ভয়ে মিথ্যা বল
-কে মিথ্যা বলল রে।কই কি জিজ্ঞেস করবি কর।নেহাল বলল।পিয়াস দাঁত বের করে বলল
-ভাই ট্রুথ না ডেয়ার?
-ডেয়ার

-তাহলে তোকে এখনি ভাবিকে ফোন দিতে হবে
-হুম দিলাম। এতো সিম্পল কাজ।
-শুধু দিলেই হবে না।আমরা যা বলব তা বলে হবে।
-কি বলতে হবে
-আগে ফোন দে
দুইবার ফোন দেওয়ার পরে পিহু ফোন ধরল।
-হ্যাঁ বলো
পিয়াস নেহালকে বলতে বলল

-বল হাট্টিমাটিম টিম
তারা মাঠে পারে ডিম
তাদের খাড়া দুটো সিং
তারা হাট্টিমাটিম টিম
নেহাল চোখ রাঙালো কিন্তু এখানে সবাই থাকায় নেহালের চোখ রাঙানিতে ভয় পেল না।তারপর বলতে বলল
-আয় বৃষ্টি ঝেপে
ধান দেবো মেপে
যা বৃষ্টি দূরে যা
লেবুর পাতায় গরম চা
পিহু নেহালকে বলল

-তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে।ছড়া শুনানোর জন্য ফোন দিয়েছো।
পিয়াস নেহালের থেকে ফোনটা নিয়ে বলল
-ভাবি নেহাল তো বলেছে আপনি নাকি ছড়া পারেন না তাই আপনাকে ছড়া শুনাচ্ছে।যাতে আপনাদের বাচ্চারা ছড়া বলতে পারে।
বলে ফোন কেটে দিল।নেহাল কতক্ষণ পিয়াসকে ধমকি দিয়ে টিয়ে বসল। এবার বোতল ঘুরে পড়ল পিয়াস এর দিকে।নেহাল ক্রুর হাসি হেসে বলল

-এবার কে বাঁচাবে বাছা তোমায়?বল ট্রুথ না ডেয়ার?
-ট্রুথ
-কিরে পিয়াস এতক্ষণ আমাকে বলে নিজে ট্রুথ নিলি।কোনো সাহস নাই তাই না।
-ঠিক আছে ডেয়ার।

অনেক ভাব দেখিয়ে বলল কথাটি।কিন্তু মনে মনে ভয়ে কাবু কারণ এতক্ষণ সবার ব্যান্ড বাজিয়ে নিজের পালা।
-তুই এখন আরফান ভাইকে দিয়ে মিহুকে ফোন দেওয়াবি এবং কথা বলাবি।আর সেটা আজ রাতের মধ্যে।
-না ভাই আমার এত বড় ক্ষতি করিস না।তোদের তো হবু বউ আছে।আমিতো তাহলে মরার আগে কে আমার বউ তাও জানতে পারব না।নীলু কিছু বল
-ভাই এটা ডেয়ার তো ডেয়ার। আমি কিছু করতে পারবনা।তুমি হয় পূরণ কর না হয় মেনে নাও তুমি লুজার। আর মেনে নিলে সেটা ভিডিও করা হবে।
পিয়াস মনে মনে নিজেকে শান্তনা দিল। একদিন না একদিন তো মরতেই হবে।মরার আগে হলেও ডেয়ার পূরণ করে যাব।

কবির সাহেব ব্যতিব্যস্ত হয়ে এদিক ওদিকে তদারকি করছেন। একটু পরেই সন্ধ্যা হবে তারপর রাত পেরিয়ে ভোর হলেই তার আদরের কন্যার বিয়ে।বাবার এইসব দৌড়াদৌড়ি পিহু দেওয়ালের এক কর্ণারে বসে দেখতে লাগল।মা মারা যাবার পর থেকে বাবাই ছিল তার সব।হাসি,কান্না,রাগ,দুঃখ সব সময় বাবাকেই পাশে পেয়েছে।যতই ওর বাবা মিহুর ক্ষেত্রে ভুল করুক না কেন পিহুকে সব সময় আগলে রেখেছে।

পিহুর একটা ঘটনা মনে পড়ল এইতো সে যখন ক্লাস থ্রীতে পড়ে।তখন রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে এক বুড়িকে দেখতে পায় যে কুঁজো হয়ে হাটছিল।তাকে দেখে তার মত অভিনয় করে কুঁজো হয়ে হাটছিল।বুড়ি তা দেখে ওকে লাঠি নিয়ে দৌড়ানি দেয়।কিন্তু বুড়ি কি আর ওর সঙ্গে পারে?ও সেদিন খিল খিল করে হেসে দৌড়ে ওর বাবার কাছে গিয়েছিল।কিন্তু তার আগেই ঠাস করে ড্রেনে পড়ে যায়।ড্রেন থেকে ওঠানোর পরে আকাশ বাতাস কাপিয়ে কেঁদে ছিল।তখন ওর বাবা ওকে সেই অবস্থায় কোলে নিয়ে কান্না থামাচ্ছিল।তার গায়ে যে দুর্গন্ধ লেগে যাচ্ছিল সেদিকে খেয়াল না করে পিহুকে থামাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল।

এসব স্মৃতি মনে করে ওর চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ে।কবির সাহেব মেয়ের দিকে তাকিয়ে থমকে যান।তার মেয়েটা কাঁদছে।তিনি মেয়ের কাছে গিয়ে চোখের পানি মুছে দেন।পিহু বাবাকে জড়িয়ে ধরে।ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে।কবির সাহেব ও মেয়েকে জড়িয়ে ধরলেন।

-বাবা আমাকে কে দেখে রাখবে বাবা।বাবা আমাকে কে ড্রেন থেকে তুলবে?কে আমাকে চকলেট এনে দেবে।
-কাদিস না মা।সব মেয়েদেরই তো একবার অন্যের বাড়ি যেতে হবে।সেটাই তোর আসল বাড়ি।তুই সেই বাড়ির রাণী।
-বাবা আমার লাগবে না অন্যের বাড়ির রাণী হওয়া।আমি তোমার রাজ্যের কৃতদাস হয়েও থাকতে চাই।বাবা আমি থাকতে পারব না তোমাকে ছাড়া।তুমি কীভাবে থাকবে আমাকে ছেড়ে?তুমি একা হয়ে যাবে তো।
-মা আমি একা থাকবো কে বলেছে?মাহিন আছে তুলি আছে তোর দাদু আছে তোর চাচী আছে তোর ফুফু আছে বিদিশা আছে আরো কত মানুষ আছে
বলে তিনিও কেদে দিলেন।বাবা মেয়ের এমন দৃশ্য দেখে উপস্থিত সকলের চোখেই পানি এসে গেলো।পিহুর ফুফু এগিয়ে এসে বললেন

-ছোটভাই তুমি এভাবে কান্না করলে পিহু কি নিজেকে থামাতে পারবে?আর মেয়ে কী এখনই বিদায় হয়ে যাচ্ছে নাকি?এখনো কত সময় বাকি আছে।বিদিশা পিহু ঘরে নিয়ে যা।আর ছোটভাই তুমি কাজ ফেলে চলে আসলে কেন।কালকে তোমার মেয়ের বিয়ে আর তুমি এখানে?যাও গিয়ে দেখো সব ঠিক আছে কিনা
বিদিশার সাথে পিহু চলে গেল।তখন দাদুর ঘরের দরজার পাশ থেকে কেউ সরে গেল।পিহু দেখেও ওপরে চলে গেল।মিহু এতক্ষণ দাদুর ঘরের দরজার আড়ালে বসে সব দেখছিল।পিহুর কত স্বস্তি আছে ও বাবার সাথে ওর দুঃখকে ভাগ করে নিয়েছে।ও তো বাবাকে ধরে কাদতে পেরেছে কিন্তু মিহু?ও কাকে ধরে কাঁদবে? দাদু ও তো নেই যে তার কাছে কিছু বলবে।মিহু ওর মায়ের বানানো রেখে যাওয়া একটা ডায়েরী ধরে কাঁদছে।এই একটা জিনিস শুধু ওর কাছে আছে।ডায়েরীটিতে ও কিছুই লিখে না।লিখলেই শেষ হয়ে যাবে।তাই সব সময় রেখে দেয়।ডায়েরীটিতে প্রথম পৃষ্ঠায় একটি ছন্দ লেখা

“যখন আমি থাকব না,থাকবে তখন তুমি
তোমার জন্য রেখে গেলাম আমার অজস্র স্মৃতি
আমার জন্য কাঁদবে তুমি যখনই
ভেসে উঠবে আমার সেই হাজারো স্মৃতি তখনই ”

-তুমি কি করে জানতে আমি তোমার স্মৃতিতে কাদবো?মা আজ আমার পাশে কেউ নাই।আমি জানি আল্লাহ যা করেন সব আমার ভালোর জন্যই করেন।কিন্তু মা আজকের দিনটায় আমার পাশে কেউ নাই মা।আমি কি করব মা?
আজকে মিহুর অবাধ্য মন বার বার তার বাবার কাছে যেতে চায়।বলতে চায় বাবা আমিও তোমার মেয়ে।আমাকেও জড়িয়ে ধরে বলতে দাও তোমাকে কত ভালোবাসি।পিহুর তো তুমি আছো আমার তো কেউ নেই।আমি কি করে বেচে থাকব।
পিহুকে ঘরে পৌছে দেবার পরে বিদিশাকে বলল

-বিদিশা মিহুর ঘরে যা
-কেন
-গিয়ে দেখ পরে জিজ্ঞেস করিস
বিদিশা মিহুর ঘরে যাবার পরে দেখলো মিহু প্রায় অবচেতন হয়ে আছে।ও দৌড়ে গিয়ে মিহুকে ধরল
-মিহু আপু এই আপু
মিহুর হুস নেই। কাঁদতে কাঁদতে হিচকি উঠে গেছে।এখনো বিরবির করে বলতে থাকে

-বাবা আমি কি দোষ করলাম? আমি কেন তোমার আদর পাব না?মা মারা না গেলে কি তুমি আমায় ভালোবাসতে?
বিদিশার খারাপ লাগে মিহুর এই কথা গুলো শুনতে।ও বুঝে না ওর মামা এক মেয়েকে এত ভালোবাসলেও আরেক মেয়েকে এত অপছন্দ করে কীভাবে?ও মিহুর চেহার ভিজে রুমাল দিয়ে মুছিয়ে দিয়ে ওকো ভালোভাবে শুয়ে দিল।তারপর গায়ে কাঁথা টেনে দিয়ে চলে গেল।
বিদিশা যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মাহিন ঢুকল ওর ঘরে।মিহুর চেহারার দিকে তাকিয়ে ওর বুকটা ধ্বক করে উঠলো।আস্তে করে মিহুর হাত ধরে বলতে লাগল

হৃদমাঝারে তুমি পর্ব ৭ 

-আমার মাফ করে দে।আমি তখন তোকে ওভাবে কষ্ট দিতে চাইনি।আসলে তুলি আমার নিজের বোন তত তাই একটু খারাপ লেগেছে।কিন্তু বিশ্বাস কর এই জন্য আমি তোকে একটুও খারাপ ভাবি না।আমি আরো চাই তোর বিয়ে যেন আরফানের সাথেই হয়। আমি চাই তুই একটু সুখে থাক।ছোট থেকেই তুই একা বড় হয়ে আসছিস। আরফান একটা খুব ভালো ছেলে।ও তোকে অনেক সুখে রাখবে।
-আর তুমি?

হৃদমাঝারে তুমি পর্ব ১০