হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ শেষ পর্ব 

হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ শেষ পর্ব 
সাদিয়া জাহান উম্মি

চারদিকে লাইটিংয়ের কারনে ঝলমল করছে।খুব সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে সাখাওয়াত ভিলা।হবেই বা না কেন?সাখাওয়াত বাড়ির ছেলে মেয়ের দুজনের একসাথে বিয়ে হয়েছে আজ। দুপুরে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে ইফতি আর আলিফার।আর রাতে ফাহিম এবং নূরের।কারন একসাথে তো আর দুটো বিয়ে দেওয়া যায় না।যেহেতু একই বাড়ির ছেলে মেয়ে।মেয়ে বিদায় দিয়ে বিধ্বস্ত মন মানুষিকতা নিয়ে তো আর নতুন বঁধুকে বরণ করা যায় নাহ।

তাই আলিফা আর ইফতির বিয়ে দুপুরে হয়েছে।এবং রাতে নূর আর ফাহিমের।একটু আগেই নূর আর ফাহিমের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।বাড়ির একমাত্র মেয়েকে বিদায় দিয়ে সবাই ভেঙে পরেছে।প্রচুর কান্নাকাটি করে এখন সবাই যার যার রুমে বিশ্রাম নিচ্ছে।আরাবী ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়্র বের হয়ে আসল।প্রচুর ক্লান্ত লাগছে।এমনিতে তো কোন কাজ ওকে করতে দেয় নেই কেউ।তবুও টুকাটুকি একটু তো করতেই হয়।একেবারে হাত গুটিয়ে থাকতে ভালো লাগছিল না ওর।আবার এতো এতো মেহমান।তাদের চিল্লাপাল্লায় আরাবী অস্থির।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

সারদিনেও একটু ঘুমোতে পারিনি ও।জায়ান অবশ্য বার বার বলেছে ওকে বিশ্রাম নেওয়ার জন্যে।দম ফেলবার সময়টুকু পায়নি ছেলেটা।একমাত্র ভাই আবার বোনের বিয়ে একসাথে।বাড়ির বড়ো ছেলে ও।দায়িত্বটাও ওর বেশি।তবুও আরাবীর যত্ন নিতে বিন্দুমাত্র পিছুপা হয়নি।কিছুক্ষণ পর পর নিজে এসে নয়তো কাউকে দিয়ে এটা সেটা খাবার পাঠিয়েছে।জায়ানের কথা ভাবতেই ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠল আরাবীর।আবার রুমের চারদিকে চোখ বোলালো। নাহ,লোকটা এখানে নেই।গেলো কোথায়?নূরের বিদায়ের পর থেকে আর লোকটাকে দেখে নাই আরাবী।

বারান্দায় গিয়ে দেখল।সেখানেও জায়ান নেই।পরক্ষণে জায়ান কোথায় থাকতে পারে সেটা মাথায় আসতেই আরাবী আলগোছে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়।সিড়ি বেয়ে ধীর পায়ে নিচে নেমে আসে।তারপর বাড়ির দরজাটা খোলা দেখেই শতভাগ নিশ্চিত হয়ে যায় জায়ান ওর ধারণাকৃত জায়গাতেই আছে।আরাবী জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিলো।এইটুকুতে যেন হাপিয়ে উঠেছে।হাটতে অনেক কষ্ট হয় ওর।পা জোড়ায় পানি এসেছে।ফলে পা দুটো ফুলে ঢোল হয়ে আছে।সাত মাসের উঁচু পেটটা নিয়ে একপা দুপা করে আগাতেই বাগানে রাখা বেতের সোফা সেটের উপর কাঙিত ব্যাক্তিটাকে বসে থাকতে দেখে সস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।

এদিকে মাথা নিচু করে বসে আছে জায়ান।আজ কলিজার টুকরো একমাত্র বোনটাকে বিদায় করে দিয়েছে।পাঠিয়ে দিয়েছে পরের ঘরে।যেটা আজ থেকে ওর আসল ঠিকানা হবে।আর কোনোদিন চাইলেই কারনে অকারনে বোনটার কাছে ছুটে যেতে পারবে নাহ।বোনটা কিভাবে কাঁদছিলো ওর বুকে আছড়ে পরে।বার বার বলছিল ‘ ভাইয়া আমি যাবো নাহ।যাবো না আমি ভাইয়া।’ কিন্তু জায়ানের যে কিছুই করার ছিলো নাহ।এটাই যে নিয়ম।মেয়েরা বড় হলে তাদের বিয়ে দিয়ে পর করে দিতে হয়।অন্যের বাড়ির সদস্য হয়ে যায় তখন তারা।যখন জায়ান এসব ভাবতে ব্যস্ত।তখন হঠাৎ কারো উপস্থিতি টের পায় জায়ান।আর এটা যে আরাবী তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই জায়ানের।

জায়ান চোখ বন্ধ করে জোড়ে শ্বাস ফেললো। মেয়েটা হয়তো ওকে খুজতে খুজতে এখানে চলে এসেছে।এরই মাঝে আরাবী এসে পাশে বসে জায়ানের।তারপর আলতো করে জায়ানের কাধে হাত রাখে।ধীর আওয়াজে বলে,’ আমি জানি আপনার কষ্ট হচ্ছে।কষ্ট আমারও হচ্ছে জায়ান।আপনি অফিসে গেলে নূরই তো ছিলো যার সাথে আমি আমার একলা সময়টা হাসি ঠাড্ডায় মেতে উঠে কাটিয়েছি।কিন্তু কি করার বলুন?এটাই যে ভাগ্য।সব মেয়েদেরই নিজের নিজের বাড়ি ছেড়ে পরের বাড়ি যেতে হয়।আর একসময় সে পরের বাড়িটাই নিজের বাড়ি হয়ে যায়।

আমিও তো এসেছি জায়ান।আমারও কষ্ট হয়েছিলো।কিন্তু দেখুন আজ আর সেই কষ্ট নেই আমার মাঝে।যখন এই বাড়িতে আপনার হাত ধরে এসেছিলাম তখন মনে হচ্ছিলো দম বন্ধ হয়ে যাবে আমার।বার বার ভাবছিলাম আব্বু আম্মুকে ছাড়া কিভাবে থাকবো আমি।কিন্তু আপনার ভালোবাসা, এই পরিবারের এতো এতো ভালোবাসায় আমি আস্তে আস্তে এই বাড়ি আর এই পরিবারকেই আপন করে নিতে শুরু করলাম।আর দেখুব এখন এই বাড়ি ছাড়া আমার অন্য কোথায় মন বসে নাহ।যেই বাবার বাড়িতে আমি ছোটো থেকে বড়ো হয়েছি।সেখানে গেলেও একদিনের বেশি মন টিকে নাহ আমার।তো চিন্তা করবেন নাহ।নূরও নিজেকে সামলে নিবে আস্তে আস্তে।’

জায়ান নম্র দৃষ্টিতে তাকায় আরাবীর দিকে।তারপর জড়িয়ে ধরে আরাবীকে শক্ত করে।আরাবীও দুহাতে আঁকড়ে ধরে জায়ানকে।এইভাবেই কেটে যায় কিছু সময়।এর মধ্যেই হঠাৎ আরাবী শব্দ করে আর্তনাদ করে উঠে।ভয় পেয়ে যায় জায়ান।তড়িঘড়ি আরাবীকে ছেড়ে দিয়ে আরাবীর গালে হাত রাখে।আরাবীর ব্যথাতুর মুখশ্রী দেখে ব্যাকুল হয়ে বলে,’ কি হয়েছে আরাবী?আমি ব্যথা দিয়েছি তোমায়?আচ্ছা সরি হ্যা।আসলে আমার খেয়াল ছিলো নাহ।’

আরাবী ব্যথার মাঝেই হেসে ফেলে।ওকে হাসতে দেখে জায়ান অবাক কণ্ঠে বলে,’ কি হয়েছে?হাসছ কেন?’
আরাবী হাসি মুখেই জবাব দেয়,’ হাসছি কারন আপনার বাচ্চা আমার পেটে ফুটবল খেলছে।এইজন্যেই আমি ব্যথা পেয়েছি।সেখানে আপনি বলেন কিনা আপনি আমায় ব্যথা দিয়েছেন।’
জায়ান সস্তির নিশ্বাস ফেলল।বেচারা ঘাবড়ে গিয়েছিলো অনেক।জায়ান আরাবীর পেটে হাত রাখল।স্নেহপূর্ণ কণ্ঠে বলে,’ আপনার না বলো আমাদের বাচ্চা।আমাদের সোনা বাচ্চা।একদম লক্ষীটি হয়ে থাকো মায়ের পেটে কেমন?মা ব্যথা পায় তো।আর তোমার মা ব্যথা পেলে তো তোমার বাবাও কষ্ট পায়।তাই তোমার মা’কে আর ব্যথা দিও নাহ।’

আরাবী মুগ্ধ চোখে জায়ানকে দেখছে।প্রতিদিন লোকটা এইভাবে কথা বলে ওদের অনাগত সন্তানের সাথে।মধ্যরাতে আরাবীর মাঝে মাঝে ঘুম ভেঙে গেলে ও দেখতে পায় জায়ান ওর পেটে কান লাগিয়ে ফিসফিস করে কথা বলছে।আরও কতোশতো পাগলামি তার।আরাবী চোখ জুড়িয়ে যায় সেই দৃশ্য দেখলে।আরাবী মু্ঁচকি হেসে বলে,’ ঘরে চলুন রাত হয়েছে।’
আরাবীর কথায় যেন জায়ানের হুশ ফিরলো।আসলেই অনেক রাত হয়ে গিয়েছে।ওর তো খেয়ালও ছিলো নাহ।জায়ান উঠে দাঁড়ালো।হাত বাড়িয়ে দিলো আরাবীর দিকে।ভরসা যোগ্য ওই হাতটা শক্ত করে ধরল আরাবী।উঠে দাঁড়াতে গিয়ে পায়ে অনুভব করে।ফলে হালকা গোঙায় ও।জায়ান তা দেখে চিন্তিত কণ্ঠে বলে,’ কি হয়েছে?’

আরাবী ব্যথাতুর কণ্ঠে বলে,’ পায়ে পানি নেমেছে।বসা থেকে দাঁড়াতে গেলে ব্যথা লাগে।’
‘ কাল তোমাকে নিয়ে রোজির আন্টির কাছে যাবো।এই মাসে তো এখনও চেক-আপ করালাম নাহ।দেখি এসো কোলে নেই।হাটা লাগবে নাহ তোমার।’
জায়ান আরাবীর দিকে হাত বাড়াতে নিলেই আরাবী জায়ানের হাত ধরে থামিয়ে দেয়।বলে,’ আমি ঠিক আছি।আমার ওজন এখন কতো আপনি জানেন?শুধু শুধু কষ্ট করবেন কেন?এইটুকুই তো পথ।আমি হেটে যেতে পারব।আপনি শুধু আমার হাতটা ধরে একটু সাহায্য করুন।’

জায়ান চোখ ছোটো ছোটো করে আরাবীর দিকে তাকিয়ে বলে,’ সাম হাও তুমি কি বলতে চাইছো আমি তোমাকে আমাদের বাচ্চাসহ কোলে নিতে পারব নাহ?’
জায়ানের কথায় আরাবী অবাক হয়ে বলে,’ আমি এটা কখন বললাম।আমি তো জাস্ট এটা বললাম যে।আমি তো এখন ঠিক আছি।এইটুকু পথ হেটেই যেতে পারব।’
‘ ওই একই হলো।’
‘ আরেহ কি মুশকিল।আচ্ছা নিন তুলুন আমায় কোলে।’

জায়ানের ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠল।এক ঝটকায় আরাবীকে পাজাকোলে তুলে ফেলে।আরাবী দুহাতে জায়ানের গলা জড়িয়ে ধরে বলে,’ কি?ওজন লাগছে না কতো?’
‘ ধুর বোকা মেয়ে।এইটুকু ওজনে জায়ান সাখাওয়াতের কিছু হয় নাহ।’
‘ তাই নাকি?’

‘ ইয়াপ।আফটার ওল বাবা হতে যাচ্ছি।মেয়ের মাকে এতোদিন কোলে নিয়েছি।এখন থেকে মেয়ের মা আর মেয়ে দুজনকে একসাথে কোলে তুলবো।এইজন্যে ব্যায়াম ট্যায়াম করে আরও শক্তি বাড়িয়েছি।’
‘ মেয়ে না হয়ে তো ছেলেও হতে পারে।আপনি জানলেন কিভাবে?’
‘ আমি জানি।এখন আর কথা না।রুমে যাবো।’
‘ হুম।’

রুমে গিয়ে জায়ান আরাবীকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে নিজেও ফ্রেস হয়ে এসে আরাবীর পাশে শুয়ে পরল।জায়ান পাশে এসেই শুতেই আরাবী শুরশুর করে জায়ানের সান্নিধ্যে চলে গেল।জায়ান ও পরম ভালোবাসায় প্রিয়তমাকে বুকে আগলে নিলো।আরাবী ওর হরিণী চোখদুটো মেলে ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে আছে জায়ানের দিকে।তা দেখে জায়ান হেসে বলে,’ কি দেখছ ওমন করে?’
‘ আপনি না অনেক সুন্দর।অনেক অনেক সুন্দর।তাই আপনার দিকে তাকিয়ে থাকি।যাতে আমাদের বাচ্চাটা আপনার মতো সুন্দর হয়।’

জায়ান আরাবীর গালে হাত রাখল।আস্তে আস্তে স্লাইড করতে লাগল আরাবীর গালে।জায়ানের হঠাৎ এমন স্পর্শে কেঁপে উঠে আরাবী।জায়ান আরাবীর চোখে চোখ রেখে নেশাক্ত কণ্ঠে বলে,’ তুমি আমার কথা বাদ দেও।তুমি যে কতো সুন্দর তা তুমি জানো?এইযে আমাদের সন্তান তোমার গর্ভে আসার পর থেকে তোমার সৌন্দর্য বেড়ে দ্বিগুন হয়েছে।তোমায় যে ঠিক কতোটা সুন্দর লাগে আমি তোমায় বলে বোঝাতে পারব নাহ আরাবী। তোমার কাছে আসা থেকে তোমাকে একটুখানি আদর করা থেকে নিজেকে যে কিভাবে আমি নিয়ন্ত্রণ করি তা বলে বোঝাতে পারব নাহ।’

‘ আমি কি মানা করি আপনাকে?’
‘ সেটা করো না ঠিক আছে তবে।’
‘ তবে কি…?’
‘ আমাদের সন্তানের জন্যে এটা ঠিক নাহ।’
আরাবী চুপ করে রইলো কিয়ৎক্ষণ।তারপর হুট করে বলে উঠে,’ একটা চুমু খাবেন আমার ঠোঁটে?’

জায়ান চমকে তাকায় আরাবীর দিকে।আরাবী লজ্জায় দৃষ্টি সরিয়ে ফেলে।জায়ান মায়াময় চাহনিতে আরাবীর লজ্জা রাঙা মুখশ্রী দেখে।এরপর আরাবীকে বালিশে শুইয়ে দেয়।জায়ান নিজের মুখ এগিয়ে আনতেই আরাবী চোখ বন্ধ করে নেয়।জায়ান ওষ্ঠ ছোঁয়ায় আরাবীর কপালে।আরাবী চোখ বন্ধ অবস্থাতেই জায়ানের গলা জড়িয়ে ধরে। জায়ান সরে আসতেই আরাবী নিভু নিভু চোখে তাকায় জায়ানের দিকে।জায়ানের চোখে তাকাতে পারে নাহ আরাবী।লজ্জায় চোখ সরিয়ে নেয়।তারপর নিজেই মাথা উঁচিয়ে জায়ানের অধরে অধর ছুঁইয়ে দেয়।

পরম ভালোবাসায় চুমু খাচ্ছে আরাবী।জায়ান আর নিজেও সায় দেয় প্রিয়তমার ভালোবাসায়।আরাবীকে ভালোভাবে খুব সাবধানে আগলে নিয়ে চুমু খাচ্ছে সে।দীর্ঘ চুম্বনের পর সরে আসে দুজন।জায়ান সোজা হয়ে বালিশে শুতেই আরাবী জায়ানের বুকে মুখ গুজে দেয় লজ্জায়।জায়ানকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে।ফিসফিস করে বলে,’ আপনি আমার জীবনে না আসলে এতো ভালোবাসা আমি কোনোদিন পেতাম নাহ।আজ আপনার কারনে আমি এতো সুখী।আপনার কারনে আমি নিজের অস্তিত্বকে চিনতে পেরেছি।আমি আপনার ভালোবাসা পেয়ে আপনার স্ত্রী হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করি।ভালোবাসি জায়ান।অনেক ভালোবাসি।হয়তো আপনার মতো নাহ।তবুও ভালোবাসি।’

জায়ান আরাবীর কপালে চুমু খেল।ধীর আওয়াজে বলল,’ তোমাকে যে আমি ঠিক কতোটা ভালোবাসি তা বলে বোঝাতে পারবো না আরাবী।তোমার ঠোঁটের হাসি যেমন আমায় এক আকাশসমান সুখ দেয়।তোমার চোখের জল ঠিক ততোটাই ক্ষ’তবিক্ষ’ত করে দেয় আমার বুকের বা পাশটা।তুমি আমার অনেক সাধনার আরাবী।অনেক ভালোবাসি তোমায়।তোমায় যেদিন প্রথম দেখেছিলাম তখন আমার বুকে বর্ষণ নেমেছিলো।প্রেমের বর্ষণে।আর আমার হৃদয়ের গভীরে ভালোবাসার এক ফুল ফুটেছিলো।যার নাম কাঠগোলাপ।আর কাঠগোলাপ মানে তুমি।আমার কাঠগোলাপ।আমার তীব্র প্রেমের বর্ষণে সিক্ত হওয়া শুভ্র স্নিগ্ধ এক কাঠগোলাপ তুমি।তুমি হলে আমার #হৃদয়াসিক্ত_কাঠগোলাপ!’

সমাপ্ত

অবশেষে শেষ হয়ে গেল গল্পটা।আমার লিখা প্রিয় একটা গল্প।আর জায়ান আরাবী জুটিটাও অনেক প্রিয় আমার।অন্তিম পর্ব পড়ে সবার মনের অনুভূতিগুলো ব্যক্ত করে যাবেন।ইনশাআল্লাহ খুব দ্রতই আবার নতুন গল্প নিয়ে ফিরে আসব।ততোদিন আমার পাঠক’রা ভালো থাকবেন।আসসালামু আলাইকুম।

হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ৫২