হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ৫১

হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ৫১
সাদিয়া জাহান উম্মি

কথায় আছে না দুঃখের পর সুখ আসে।তেমনটাই ঘটেছে সাখাওয়াত ভিলাতে।এতো দুঃখজনক ঘটনা জানার পর আরাবী মা হবে এই খুশির খবরটা যেন সেই দুঃখটুকুকে ছায়ার মতো ঢেকে দিয়েছে।সবার চোখে মুখে আনন্দ উপচে পরছে।নূর খুশিতে চিৎকার করে লাফাতে লাফাতে বলে,’ আমি ফুপি হবো।আমি ফুপি হবো।উফ,উফ,এতো খুশি লাগতেছে।’

ফাহিম সবার দিকে তাকাল।কেউ এদিকে তাকিয়ে নেই।এই সুযোগে ফাহিম নূরের কানে ফিসফিস করে বলে,’ মামিও কিন্তু হচ্ছো সেই সাথে।ভুলে গেলে?’
নূর লাফানো থামিয়ে দিল ফাহিমের কথা শুনে।তারপর ফাহিমের দিকে তাকিয়ে ভেংচি কেটে মুখ অন্যদিকে ফিরিয়ে নিল।আলিফা বত্রিশ পাটি দাঁত বের করে হাসছে।যাক ওর কথাটাই ঠিক হলো। ইফতি আলিফার সেই মনো মুগ্ধকর হাসি দেখে নিজেও হাসে।সাথি বেগম,মিলি বেগম, লিপি বেগম তিনজন মিলে কোলাকুলি করে নিলেন।নিহান সাহেব,মিহান সাহেব আর জিহাদ সাহেবের ক্ষেত্রেও একই।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

 

‘ দাদি হবো।’ সাথি বেগম বললেন।তা শুনে
মিলি বেগম হেসে বলেন,আমিও তো দাদি হচ্ছি ভাবি।’
‘ হ্যা রে।’
‘ আমি নানু হবো।’ লিপি বলেন।
‘ আমি দাদা।মিহান তুইও।আর জিহাদ সাহেব আপনি নানা হবেন।’ বললেন নিহান সাহেব।হাসি যেন সরছেই না তার অধর থেকে।
ফাহিম আর ইফতি কোলাকুলি করল।ফাহিম বলে,’ মামা হচ্ছি।’
‘ আমি চাচ্ছু।’

নূর আর আলিফার ক্ষেত্রেও এক।তারাও আনন্দ প্রকাশ করছে।ডা.রোজি সবাইকে এতো আনন্দিত দেখে তিনি হাসি মুখে বলেন,’ তা এতো খুশির একটা সংবাদ জানালাম আপনাদের।মিষ্টি খাওয়াবেন নাহ?’
সাথি বেগম দ্রুত মাথা নারেন,’ হ্যা হ্যা এইতো আমি যাচ্ছি।নিজ হাতে বানাবো মিষ্টি।চল মিলি।’
‘ আমিও আসি ভাবি।’ লিপি বেগম বলে উঠেন।সাথি বেগম আর না করলেন নাহ।হেসে মাথা দুলিয়ে সম্মতি দিলেন।তারা তিনজন মিলে চলে গেলেন রান্নাঘরে।ডা.রোজি তাকালেন জায়ানের দিকে।তারপর মুঁচকি হেসে বলে উঠেন,’ সবাই নিচে যাই আমরা।আপাততো আরাবীকে বিশ্রাম নিতে দেই।ওর শরীর অনেক দূর্বল।’

‘ হ্যা হ্যা অবশ্যই।আসুন আন্টি। আপনার ব্যাগটা আমায় দিন।’ কথাগুলো বলে ইফতি ডা.রোজির ব্যাগটা নিয়ে নিচে চলে যাওয়ার জন্যে পা বাড়াল।আলিফাকেও ইশারা করল আসার জন্যে।তাই আলিফাও ইফতির পিছু পিছু যাচ্ছে।এরপর একে একে সবাই চলে গেল।সবাই চলে যেতেই ডা.রোজি উঠে দাঁড়ালেন।জায়ানের কাছে গিয়ে ওর কাধে হাত রাখলেন।জায়ান কেমন স্তব্ধ হয়ে বসে আছে।কোন নড়চড় নেই ওর মাঝে।ডা.রোজি ধীর আওয়াজে বলতে লাগলেন,’
বাবা হচ্ছো জায়ান।

এখন থেকে আরাবীর প্রতি আরোও যন্তশীল হতে হবে তোমাকে।ওর খেয়াল রাখবে ভালোভাবে।এই সময়ে তোমার সাপোর্টই ওর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।আর যেই পরিস্থিতিতে দিয়ে আজ ও গিয়েছে।তাতে ও অনেক কষ্ট পেয়েছে,মানুষিক আঘাত পেয়েছে।ওকে তোমাকেই সামলাতে হবে।একমাত্র তুমিই পারবে আরাবী আর তোমাদের সন্তানকে সুস্থভাবে পৃথিবীতে আনতে।তোমার হাতেই সবকিছু।আর বাদ বাকি যা হবে বাকিটা উপর-ওয়ালার ইচ্ছা।আসি তাহলে জায়ান।ওর পাশেই থেকো।জ্ঞান ফিরলে কিছু ফল খাইয়ে দিও।আর হ্যা ফলটা গ্লিসারিন যুক্ত পানিতে দশ মিনিট ভিজিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে তারপরেই ওকে খাওয়াবে।’

ডা.রোজি জায়ানের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। জায়ান ডা.রোজিকে যেতে দেখেই তাকাল আরাবীর দিকে।তারপর আবার আরাবীর পেটের দিকে তাকাল।ওর সারা শরীর কাঁপছে।জায়ান অনেক কষ্টে ওর কাঁপা হাতজোড়া নাড়িয়ে আরাবীর শাড়ির আঁচল সরিয়ে দিল।তারপর আরাবীর ফর্সা উদরে কাঁপা হাতটা রাখতে ওর শরীরটা ঝংকার দিয়ে উঠল।অদ্ভুত শিহরণে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে জায়ানের।এ কেমন অনুভুতি? বাবা হবার অনুভুতি কি সত্যিই এতো সুখের?জায়ান চোখ বন্ধ করল।

ওর চোখের কার্ণিশ বেয়ে গড়িয়ে পরল একফোটা তপ্তজল।জায়ান দুহাতে মুখ ঢেকে নিল।কিয়ৎক্ষণ এইভাবেই রইল।তারপর হুট করে আরাবীর পাশে শুয়ে পরল।তারপর দু হাতে আরাবীকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।এলোপাথাড়ি আরাবীর মুখশ্রী জুড়ে অধরজোড়ার উষ্ণ স্পর্শে ভড়িয়ে দিলো।এরপর আরাবীর ঘারে মুখ গুজে দিলো জায়ান।বিরবির করে বলতে লাগল,’ থ্যাংকিউ আরাবী।থ্যাংকিউ সো মাচ।আমায় এতো বড় একটা উপহার দেওয়ার জন্যে।ভালোবাসি আরাবী।তোমাকে অনেক ভালোবাসি।আমার হৃদয়ের বাগানে একমাত্র ফুল হলে তুমি। আমার কাঠগোলাপ।তোমাকে আমি আমার এই বুকে আজীবন আগলে রাখব।’

একটু থেমে আবারও বলে জায়ান,’ তুমি আমার শুরু, তুমি আমার শেষ,
তুমি আমার ভালোবাসার সুখের যত রেশ।’

শামিম সাহেব নিজের জন্যে বরাদ্ধ করা রুমের ফ্লোরে হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে আছেন।জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিচ্ছেন তিনি।তার পাপের ফল যে তিনি এভাবে ভোগ করবেন কোনোদিন ভাবতে পারেননি তিনি।লোভে পরে অন্ধ হয়ে গিয়েছিল সে।দিনের পর দিন ভালোবাসার প্রিয়তমা স্ত্রীকে ঠকিয়ে গিয়েছে।আরেকজনকে ভালো না বেসেও মিথ্যে ভালোবাসার অভিনয় করে গিয়েছে।

প্রতিটি মুহূর্তে তার বিশ্বাস তার ভরশা নিয়ে ছেলেখেলা করেছে।শেষ মেষ নিজের সন্তান নিজের অংশকেও মৃ’ত্যুর মুখে ফেলে দিয়েছিল।একবারও তার বুক কাঁপেনি এমন জঘ’ন্য কাজ করে।মানুষ অপরাধ করে কোনোদিন অপরাধ স্বিকার করে না।যতোক্ষন পর্যন্ত না তার প্রায়েশ্চিত্ত বোধ হয়।অনুশোচনা না হলে কেউ-ই তা অপরাধ এতো সহজে মেনে নেয় না।তিনি স্বিকার করেছেন।স্ব-ইচ্ছাতেই স্বিকার করে নিয়েছেন নিজের অপরাধ।কারন তিনি অপরাধবোধে ভুগছেন।তিলে তিলে মর’ছেন অপরাধবোধে।

তাও আজ থেকে না বিগত বিশটা বছর ধরে।আর আজ থেকে এই অপরাধবোধের মাত্রা আরোও বেড়ে গিয়েছে।যখন থেকে জেনেছে আরাবীই তার সেই সন্তান।যেই সন্তানের অস্তিত্বই তিনি পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।তার সেই ফেলে দেওয়া সন্তানকেই অন্য একজন সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছেন।এতোটা বছর বাবা মায়ের আদর,স্নেহ দিয়ে বড় করেছেন।এতো ভালো একটা পরিবার দেখে বিয়েও দিয়েছেন।আর তিনি কি করলেন?জন্মদাতা পিতা হয়ে কিছুই করতে পারলেন নাহ।

কিছুই না।তার দু দুটো মেয়ের চোখে আজ তিনি ঘৃ’নার পাত্র।অবশ্য সে তো ঘৃৃনারই যোগ্য।কারও ভালোবাসা তিনি ডিজার্ব করেন না।তার সবচেয়ে আদরের মেয়ে তার কলিজার টুকরো তাকে আজ ভালোবাসি বাবা বলার বদলে ঘৃ’না করি বাবা বলে গিয়েছে।আর আরেক সোনার টুকরো মেয়ের মুখে তো এখনও বাবা ডাকটাও শুনতে পাননি তিনি।আর কোনোদিন শুনতেও পারবেন নাহ।এটা তো আশা করাও তার জন্যে অপরাধ।এইসব ভাবছেন শামিম আর জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিচ্ছেন।সে নিশ্বাস নিতে পারছে না।

মনে হচ্ছে তার বুকে কেউ বিশাল ওজনের পাথর চাপা দিয়ে রেখেছে।এই ওজন তিনি নিতে পারছেন নাহ।তার বুকে ব্যথা করছে প্রচন্ড ব্যথা।অশহনীয় ব্যথা।তিনি মুক্তি চান এই ব্যথা থেকে।এই যন্ত্রনা থেকে।তিনি দুহাতে বুকের বাঁম পাশটা খামছে ধরলেন।যন্ত্রণা হচ্ছে এখানটায়।এতো মানুষের ঘৃনা নিয়ে তিনি বাঁচতে পারবেন না।তিনি বেঁচে থাকতেও চাননাহ।তিনি ঘুমোতে চান।

শান্তির ঘুম।চিরনিদ্রায় যেতে চান।যেই নিদ্রা কোনোদিন ভঙ্গ হবে না।যেই নিদ্রা থেকে কেউ তাকে জাগাতে পারবে না।শামিম সাহেবের বুকের ব্যথাটা আরও বাড়তে লাগল।তীব্র ব্যথায় তিনি কুকিয়ে উঠলেন।শরীর মুচড়ে উঠল।সহ্য করতে না পেরে তিনি একহাত দিয়ে ফ্লোরে থা’প্পড় মারতে লাগলেন ক্রমাগত।এতো যন্ত্রণার মাঝেও তার অধর জুড়ে হাসি। কারন সে যে জানে তার সময় এসে পরেছে চিরনিদ্রায় যাওয়ার।

আস্তে আস্তে শামিম সাহেবের নিশ্বাস কমে যেতে লাগল।চোখজোড়া বন্ধ হয়ে গেলো তার।তিনি গভীর শ্বাস নিয়ে ধীর স্বরে বলে উঠলেন,’ আ..আমায় ক্ষমা করো ইরা।আ..মাকে ক্ষমা করো মিথিলা।আমাকে তোমরা ক্ষমা করিও আহানা,আরাবী।ক্ষ…মা.. ক..রে দিও।’
এই কথাগুলো বলে শেষ করতেই তার নিশ্বাস থেমে গেল।তার দেহের প্রাণপাখি সবার চোখের আড়ালে পারি জমালো অন্য এক জগতে।শুধু পরে রইল নিষ্প্রাণ এক দেহ।

ঘুমের ঘোরে নিজের দেহের ওপর কারো অস্তিত্ব অনুভব করতে পেরে। পিটপিট করে নয়নজোড়া মেলে তাকাল আরাবী।জোড়ে জোড়ে কয়েকটা শ্বাস নিলো।শক্তপোক্ত লম্বাটে দেহটা দেখেই বুঝার বাকি নেই লোকটা তার স্বামি তার জায়ান।আরাবীর ঠোঁটের কোণ ঘেঁষে হাসি ফুটে উঠল।দূর্বল হাতজোড়া রাখল জায়ানের চুলের ভাজে।আলতোভাবে জায়ানের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল।লোকটা কিভাবে তাকে ঝাপ্টে ধরে ঘুমোচ্ছে।যেন সে কোথাও পালিয়ে যাবে আর জায়ান তাই ওকে নিজের সাথে ধরে বেধে রেখে দিয়েছে।

হঠাৎ করে কিছুক্ষণ আগের ঘটনাগুলো মনে পরতেই আরাবীর ঠোঁটের হাসি উধাও হয়ে যায়।নিজের জীবনের তিক্ত কিছু সত্য আজ ও জেনে গিয়েছে।ওর মা…ওর মা আর বেঁচে নেই।আর..আর শামিম?শামিম সাহেবই কিনা ওর জন্মদাতা পিতা।এতো ভালো মানুষটা যে এতোটা জঘ’ন্য, এতোটা খারাপ হতে পারে কোনোদিন ভাবতেও পারিনি আরাবী।বিগত কয়েকটাদিনে এই লোকটার ভালো মানুষী দেখে মনে অনেক শ্রদ্ধা জমেছিল ওর মনে।

আজ সেই শ্রাদ্ধার পাহার একনিমিষেই চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়েছে।কিভাবে পারলো সে এমনটা করতে?কিভাবে ঠকালো তার মা’কে।কিভাবে পারলো নিজেরই ঔরসজাত সন্তানকে মে’রে ফেলার পরিকল্পনা করতে।না চাইতেও আরাবী আর নিজের কষ্টটুক লুকিয়ে রাখতে পারলো না।দুহাতে জায়ানের পিঠ খামছে ধরে নিশব্দে কেঁদে উঠল।

এদিকে জায়ান বক্ষস্থলের মাঝে নরম তুলতুলে দেহের কাঁপতে থাকা অনুভব করতে পেরেই ধরফরিয়ে উঠে বসল জায়ান।জায়ান আরাবীর উপর থেকে উঠতেই আরাবী দুহাতে মুখ ঢেকে অন্য দিকে ফিরে গেল।জায়ান ব্যাথিত নয়নে আরাবীর দিকে তাকিয়ে থাকল। তারপর দুহাতে জোড় করে টেনে আরাবীকে বুকে আগলে নিল।ব্যাকুল কণ্ঠে বলতে লাগল,’ কেঁদো না আরাবী।কাঁদে না তো।তুমি কাঁদলে আমার কষ্ট হয়।কেন বুঝো না। ‘

আরাবী দুহাতে জায়ানের গলা জড়িয়ে ধরল।জায়ানের বুকের মাঝে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করতে লাগলো যতোটা পারা যায়। আরাবী কাঁদতে কাঁদতে বলে,’ আমার ভাগ্যটাই এতো খারাপ কেন জায়ান?আমার সাথেই কেন এমন হয়।’
জায়ান অপরাধিস্বরে বলে,’ আমি সরি আরাবী।আমার জন্যেই তুমি এতো কষ্ট পেয়েছ।আমি যদি অতীত টেনে এনে তোমার সামনে দাঁড় না করাতাম তুমি এতো কষ্ট পেতে নাহ।’

‘ আপনার কোন দোষ নেই জায়ান।আপনিই তো আমাকে আমার আসল আমির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।আমার বাবা মায়ের পরিচয়পত্র এনে দিয়েছেন।আমি নিজেই তো আপনার কাছে আবদার করেছিলাম এটার জন্যে।আপনি আমার জন্যে কি তা আমি নিজেও বলে বুঝাতে পারবো নাহ।আপনার আগমনে আমার জীবন যেন নতুন রং খুঁজে পেয়েছে। সে রঙের মহিমায় আমি সব সময় উচ্ছ্বসিত থাকি। সে রং আমাকে সব সময় অনুপ্রেরণা যোগায়, আত্মবিশ্বাস দেয়।’

আরাবীর নাক মুখ লাল হয়ে গিয়েছে।জায়ান কিছুতেই আরাবীর কান্না থামাতে পারছে না।জায়ান এইবার না পেরে আরাবীর দু গাল শক্ত করে ধরল।আরাবীর চোখের দিকে প্রগাঢ় দৃষ্টি নিক্ষেপ করে গাঢ় স্বরে বলে,’ এতো কাঁদো কেন?এতো কাঁদলে হবে?এখন তো তুমি একা নও।তোমার মাঝেও একজন আছে।তুমি কষ্ট পেলে তো তারও কষ্ট হবে।’
আরাবী নাক টেনে কান্না থামানোর চেষ্টা করল।ফ্যালফ্যাল করে জায়ানের দিকে তাকিয়ে জায়ানের কথাটা বোঝার চেষ্টা করল।বিষয়টা বুঝতে পেরেই চোখ বড় বড় করে তাকাল।তবে কি জায়ান জেনে গিয়েছে? কিন্তু কিভাবে জানল?আরাবী কাঁপা গলায় বলে,’ আপনি…মানে… আমি…!’

হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ৫০

‘ হ্যা আরাবী আমাদের সন্তান আসতে চলেছে।তুমি মা আর আমি বাবা হবো আরাবী।আমাদের পুচকে একটা বেবি হবে।যার ছোটো ছোটো হাত পা হবে।মায়াবী,আদুরে মুখশ্রী হবে।আমাকে বাবা আর তোমাকে মা বলে ডাকবে আরাবী।তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আরাবী আমাকে এই সুখের সাথে পরিচয় করার জন্যে।ভালোবাসি আরাবী।ভালোবাসি আমার কাঠগোলাপ।’

হৃদয়াসিক্ত কাঠগোলাপ পর্ব ৫২