এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ১৮ || অনেক কষ্টের গল্প

এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ১৮
তানজিল মীম

“রিয়াদের বুকে মাথা রেখে ওঁকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে তানজু’!!তানজুর এমন কাজে রিয়াদ অবাক’!!কারন ওর যতদূর মনে আছে তানজু ওর অপজিটে ঘুমিয়ে ছিল তাহলে হুট করে এত কাছে কি করে চলে এলো তানজু?তাহলে কি তানজু নিজেই এসেছে.. প্রশ্নগুলো মাথায় এসে আঁটকে যায় রিয়াদের…
“অপলক ভাবে তাকিয়ে আছে রিয়াদ তানজুর মুখের দিকে’!!সূর্যের কিরন এসে পড়ছে তানজুর মুখে যাতে চক চক করছে তানজুর ফেস’,চুলগুলোসব এলেমেলো হয়ে পড়ে আছে এদিক-সেদিক একদমই অগোছালো লাগছে তানজুকে তারপরও রিয়াদের কাছে অসম্ভব ভালো লাগছে তাকে’!!
– ভালোবাসার মানুষ এমনই হয় সে যেভাবেই থাকুক না কেন আপনার কাছে তাকে সেভাবেই ভালো লাগবে’!!❤️?

“যেমনটা এখন রিয়াদের কাছে লাগছে’!!আনমনে মুচকি হাসলো রিয়াদ’!!সত্যি ভাবতে পারছে না সে নিয়তি তাদের কোথায় এনে দাঁড় করালো’!!যেখানে না আছে কোনো সুন্দর সুন্দর ডেলিসিয়াস খাবারের ব্যবস্থা,না আছে কোনো ঠান্ডা এসি সমরিদ্ধ রুমের ব্যবস্থা,না আছে সাদা তুলতুলে নরম বিছানা তবে যেটা আছে সেটা হলো খোলা আকাশের নিচে বসে প্রান খুলে নিশ্বাস নেওয়ার ব্যবস্থা আর “প্রিয় মানুষটি সঙ্গে”!!আর জীবনে ভালো থাকার জন্য এর চেয়ে বেশি কিছু দরকার পড়ে বলে মনে হয় না রিয়াদের কাছে’!!যেটা হয়েছে তার জন্য যেমন খারাপ লাগছে একটু, তেমনি যেটা হচ্ছে তার জন্য একটু ভালো লাগাও কাজ করছে রিয়াদের ভিতর’!!এর আগে কখনো তানজু নিজ থেকে এতোটা কাছে আসে নি তার’!!তবে রিয়াদ বুঝে গেছে হয়তো ঘুমের ঘোরে ভয় পেয়েই তার কাছে এসে শুয়েছে তানজু’!!তবে বিষয়টা মন্দ নয়’!!রিয়াদ তার হাত দিয়ে তানজুর চুলে স্পর্শ করলো সাথে সাথে হাল্কা নড়ে উঠলো তানজু’!!এতে বেশ ঘাবড়ে যায় রিয়াদ’!!তাই চটজলদি নিজের চোখ বন্ধ করে ফেলে রিয়াদ’!!কারন সে বুঝে গেছে তানজু এখন উঠে পড়বে……

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

“হুট করেই ঘুম ভেঙে যায় আমার’!!আশেপাশের পরিবেশের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলাম আমি’!!একপ্রকার ভুলেই গেছিলাম আমি বাসায় নয় কোনো এক অজানা দ্বীপে ঘুমিয়ে আছি..
“ঘুমিয়ে আছি” ভাবতেই আরেক দফা ঘাবড়ে গেলাম আমি’!!কারন কাল রাতে তো ভয়ের কারণে রিয়াদ স্যারের পাশে এসে ঘুমিয়ে ছিলাম হায় রে কোনোভাবে বুঝে গেল নাকি রিয়াদ স্যার’!!হর্ঠাৎই কারো জোরে জোরে হার্টবিট উঠা নামার শব্দ কানে বাজছে আমার’!!আস্তে আস্তে মাথাটা তুললাম আমি’!!সামনেই রিয়াদের স্যারের মুখটা দেখতেই ঘাবড়ে কয়েক-কদম পিছনে চলে গেলাম আমি’!!
——–“হায় রে আমি ঘুমের ঘোরে কখন রিয়াদ স্যারের এত কাছে গেলাম বুঝতেই পারি নি’!!তাড়াতাড়ি উঠে বসলাম আমি’!!যাক বাবা আমিই রিয়াদ স্যারের আগে ঘুম থেকে উঠে পড়েছি না হলে এইভাবে দেখলে কি ভাবতো আমায় ছিঃ ছিঃ.. (মনে মনে)
“আমার ভাবনার মাঝখানে হর্ঠাৎই রিয়াদ স্যার বলে উঠলঃ
———-“ঘুম ভেঙেছে লাউডস্পিকার?”
“আচমকা এমন কথা শুনে ঘাবড়ে বলে উঠলাম আমিঃ
———-“কি হ্যাঁ হুম ভেঙেছে আপনার স্যার…?
———–“আমার ঘুম তো সেই কখন ভেঙে গেছে!
“রিয়াদ স্যারের কথা শুনে চোখ বড় বড় হয়ে গেল’!!হায় রে তার মানে রিয়াদ স্যার আমার আগেই ঘুম থেকে উঠে গেছে’!!তাহলে তো উনি দেখে ফেলেছে আমি ওনায় জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে ছিলাম’!!এখন কি বলি…(মুখে আঙুল দিয়ে)

———-“কি হলো কথা বলছো না কেন?
———-“ইয়ে না মানে স্যার আপনি সব দেখে ফেলেছেন স্যার…
“তানজুর কথা শুনে রিয়াদ অবাক হয়ে বললোঃ
———“কি দেখে ফেলেছি….
———-“না মানে স্যার বিশ্বাস করুন আমি ইচ্ছে করে আপনায় জড়িয়ে ধরি নি ঘুমের ঘোরে জড়িয়ে ধরে ছিলাম সরি স্যার…(ভয়ে ভয়ে)
“তানজুর কথা শুনে রিয়াদ বুঝতে পারলো তানজু কিসের জন্য ভয় পাচ্ছে’!!তানজুকে ভয় পেতে দেখে রিয়াদের বেশ মজাই লাগছে’!!তাই আরেকটু ভয় পাওয়ানোর জন্য বলে উঠল রিয়াদঃ
———“অনেক বড় ভুল করেছো তুমি এখন যদি আমার ফিউচার ওয়াইফ জানতে পারে তখন আমায় বিয়ে করতে চাইবে সে তুমি বল…
———–“এইভাবে কেন বলছেন স্যার আপনার ফিউচার ওয়াইফকে আপনি না বললে কিভাবে জানবে..
———-“যদি তুমি বলে দেও তখন?
———–“আমি কেন বলবো…
———-“বলতেও তো পারো…
———-“বলবো না…
“বলে মাথা নাড়ালাম আমি’!!আর উল্টোদিকে রিয়াদ মুচকি হেঁসে উপর নিচ করে মাথা নাড়ালো…
“হাসলাম দুজনেই!

———-“স্যার এখন আমরা কি করবো….
“কিছুটা হতাশ হয়ে সামনে হাঁটতে হাঁটতে বলে উঠলাম আমি’!!আর আমার কথা শুনে রিয়াদ স্যার বলে উঠলেনঃ
———“সবার আগে যেটা করতে হবে সেটা হলো তোমার এই “স্যার” বলা বন্ধ করতে হবে….
“রিয়াদ স্যারের এমন কথা শুনে অবাক চোখে তাকালাম আমি রিয়াদ স্যারের দিকে’!!তারপর বলে উঠলামঃ
———-“মানে…
———“মানে এটাই লিসেন লাউডস্পিকার বর্তমানে আমরা কোথায় আছি কেউ জানি না তারপর কোথায় যাবো তাও জানি না’!!তারওপর তোমার এই স্যার স্যার বলা একদমই ভালো লাগছে না আমার’!!মনে কর এই মুহূর্তে আমিও তোমার টিচার নই আর তুমিও আমার স্টুডেন্ট নও’!!তাই স্যার বলবে না আর অন্যকিছু বলো…
———-“অন্যকিছু কি বলবো স্যার ভাইয়া বলে ডাকি তাইলে….
“তানজুর কথা শুনে রিয়াদের চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম’!!কিছুটা হতাশ হয়ে বললো রিয়াদঃ
———-“ভাইয়া ছাড়া আর কিছু নেই জগতে….
———-“ভাইয়া ছাড়া আর তো কিছু খুঁজে পাচ্ছি না স্যার!
——-“নাম ধরে ডাকো..
———“এটা কি বললেন স্যার আপনি আমার থেকে নাম ধরে ডাকলে কেমন শুনায় তার চেয়ে ভাইয়া বলেই ডাকি,এমনিতেও আপনি অপূর্ব ভাইয়ার বেস্ট ফ্রেন্ড সেই হিসেবে ভাইয়ার ফেন্ড ভাইয়াই হয় তাই ভাইয়া ইজ পারফেক্ট ”রিয়াদ ভাইয়া”….
“তানজুর কথা শুনে সোজা হয়ে হাঁটা থামিয়ে দাঁড়িয়ে পরলো রিয়াদ’!!

“আচমকা রিয়াদ স্যার দাঁড়িয়ে পরাতে আমি কথা বলতে বলতে রিয়াদ স্যারের সাথে খেলাম ধাক্কা’!!কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে বলে উঠলামঃ
———-“কি হলো রিয়াদ স্যার দাঁড়িয়ে পরলেন কেন?
“রিয়াদ তানজুর দিকে ঘুরে ঝাঝালো কন্ঠে বলে উঠলঃ
———-“কি বললে তুমি….
———-“কি বলছি আমি কিছু বলি নি তো স্যার…
———“সত্যি কিছু বলে নি তুমি
———“বিশ্বাস করুন স্যার আমি কিছু বলি নি…
———“তোমাকে স্যার বলতে বারন করেছি…
———“তাহলে ভাইয়া বলি স্যার…
“কিছুটা বিরক্ত নিয়ে বলে উঠল রিয়াদঃ
——–“স্যার আর ভাইয়া ছাড়া যা ইচ্ছে তাই বলে ডাকো কিন্তু এই দুটো নামে ডাকবে না আমায় গট ইট….(ধমক দিয়ে)
“রিয়াদ স্যারের ধমক শুনে কেঁপে উঠলাম আমি’!!তারপর বলে উঠলামঃ
———-“ভাইয়া আর স্যার ছাড়া তাহলে আপনাকে কি বলে ডাকি স্যার, হ্যাঁ পেয়েছি স্যার…
“রিয়াদ অবাক হয়ে বললোঃ
———“কি পেয়েছো…?’
———-“স্যার আপনাকে “টিউবলাইট” বলে ডাকি ওই নামটা আপনার সাথে খুব যাবে….
———-“কি বললে তুমি (রেগে)

“এই রে খাইছে মুখ ফসকে কি বলে দিলাম আমি’!!রিয়াদের স্যারের দিকে তাকাতেই দেখলাম চোখ লাল হয়ে গেছে তার’!!যা দেখে ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে আমার’!!কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠলাম আমিঃ
———-“সরি স্যার!(মাথা নিচু করে)
“হর্ঠাৎ ফিক করে হেঁসে দিল রিয়াদ স্যার’!!যাতে অবাক চোখে তাকালাম আমি রিয়াদ স্যারের দিকে’!!রিয়াদ স্যার আমার দিকে তাকিয়ে বললোঃ
———“ঠিক আছে যাও এই নামটা চলবে,তবে হ্যাঁ মনে রেখো এই নামটা শুধু আমরা যতদিন এখানে আছি ততদিনের জন্য বরাদ্দ তারপর কিন্তু আর চলবে না ঠিক আছে…..
“আমি খুশি হয়ে বলে উঠলামঃ
——–“ঠিক আছে স্যার…
———“চলো তাহলে যাওয়া যাক ”মিস লাউডস্পিকার”….
———-“হুম চলুন মিস্টার “টিউবলাইট”…..
“হাসলো রিয়াদ স্যার সাথে আমিও…..

“জাহাজের ছাঁদের উপর দাঁড়িয়ে আছে অপূর্ব’!!আর সে সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে যেখান থেকে তার বোন পড়ে গিয়েছিল’!!তার পাশেই আছে রিতু,আরিফা,দিহান আর হৃদয়!!কি বলবে না বলবে কিছুই বুঝতে পারছে না তারা’!!কুটকুটে নীরবতা বিরাজ করছে তাদের ভিতর’!!প্রায় সব স্টুডেন্টরাই যে যার বাড়ি চলে গেছে অনেক আগেই’!!যায় নি শুধু রিতু,দিহান হৃদয় আর আরিফা’!!আর তুলিকে কেউ যেতে দেয় নি’!!অপূর্ব তো অলরেডি বলেই দিয়েছে তানজু রিয়াদ ওদের খুঁজে না পেলে তুলিকে পুলিশে ধরিয়ে দিবে’!!এসব ভাবতে ভাবতে আবারো কেঁদে উঠল অপূর্ব’!!এখনও ডুবুরিরা খুঁজে চলেছে তানজু আর রিয়াদকে’!!কিন্তু কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ওদের’!!অপূর্বকে কাঁদতে দেখে আরিফা বলে উঠলঃ
——–“ভাইয়া এইভাবে ভেঙে পরবেন না,আপনি ভেঙে পরলে কি করে হবে বলুন শান্ত হন ভাইয়া, দেখবেন ঠিক ওদের কোনো না কোনো খবর পাওয়া যাবে….
“আরিফার কথা শুনে অপূর্ব বলে উঠলঃ
———“কি করে শান্ত হবো বল পুরো একদিন হয়ে গেলো বোন আর বন্ধু দুজনই নিখোঁজ’!!কোথাও খবর পাওয়া যাচ্ছে না ওদের’!!আধও বেঁচে আছে কি না তাও…
———-“ওভাবে বলবেন না ভাইয়া কিছু হয় নি ওদের ওরা সেখানে আছে ভালোই আছে,,দেখবেন খুব তাড়াতাড়িই আমরা ওদের খুঁজে পাবো ভাইয়া…
———“তাই যেন হয় আরিফা তাই যেন হয়….
“আকাশের পানে তাকিয়ে রইলো অপূর্ব’!!এমন সময় খাবার হাতে এগিয়ে এলো আফরিন ওদের দিকে’!!কাল থেকে কিছু খায় নি অপূর্ব’!!যতবারই তার জন্য খাবার আনা হয়েছে ততবারই শুধু খিদে নেই বলে এড়িয়ে গেছে অপূর্ব’!!আফরিন অপূর্বের সামনে এসে বললোঃ

——–“খেয়ে নে অপূর্ব….
———“খিদে নেই আমার’!!
———-“কাল থেকে শুধু এই একটা কথাই শুনে যাচ্ছি,আরে এমন করলে কি তানজু আর ভাই ফিরে আসবে প্লিজ খেয়ে নে…
“আফরিনের কথা শুনে আরিফাও বলে উঠলঃ
———-“খেয়ে নিন না ভাইয়া, না খেলে শরীর খারাপ করবে তখন আপনাকে কে দেখবে বলুন আর আপনাকেই তো আঙ্কেল আন্টিকে সামলাতে হবে এমন করবেন না প্লিজ ভাইয়া খেয়ে নিন…
“এঁকে এঁকে সবাই বলে উঠল অপূর্বকে খাওয়ার জন্য’!!শেষমেশ সবার জোরাজোরিতে রাজি হয় অপূর্ব….
“যেটা দেখে হাল্কা হাসে সবাই!!

এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ১৭

———“আর কত হাঁটবো স্যার….
———“তুমি আবার স্যার ডাকছো….
———-“এটাতেই ভালো লাগে স্যার আপনাকে অন্যকিছু মানাচ্ছে না…
———“বিয়ের পরও কি স্যার ডাকবে (বির বির করে)
———“কিছু বললেন স্যার….
———“না কিচ্ছু বলি নি…
“হর্ঠাৎই রিয়াদ স্যার থেমে গেলেন’!!আবারো হুট করে থেমে যাওয়াতে আবারো ধাক্কা লাগলো আমার’!!এই বারে মাথায় একটু ব্যাথা পেয়েছি আমি’!!তাই মাথায় হাত দিয়ে বলে উঠলামঃ
———“উফ স্যার!আপনি কি বলুন তো এই রকম হর্ঠাৎ হর্ঠাৎ থেমে যান কেন উফ ব্যাথা পাইছি…
“কিন্তু রিয়াদ স্যার আমার কথার উওর না দিয়ে বলে উঠলঃ
———“এইটাই উঠতে পারবে….(হাত দিয়ে একটা পাহাড়কে দেখিয়ে)
“রিয়াদ স্যারের কথা শুনে সামনে তাকালাম আমি’!!খুব একটা উঁচু নয় পাহাড়টি তাই বলে উঠলামঃ
———-“হুম পারবো স্যার কিন্তু ওখানে উঠে কি করবো আমরা…
——–“ওখানে কিছু একটা আছে গেলেই দেখতে পাবো আমি তখন দূর থেকে দেখেছিলাম…
———“ওহহ….
———“হুম চলো ফাস্ট…
“বলেই আমার হাত ধরে উপরে উঠতে লাগলেন রিয়াদ স্যার’!!তেমন কোনো ঝামেলা ছাড়াই আমরা উঠে পরলাম ছোট্ট একটা পাহাড়ের চুড়ায়’!!পাহাড়ের পুরোই উঠতেই খুশিতে চোখ জ্বল জ্বল করে উঠল আমার’!!কারন আমাদের সামনেই আছে সিমেন্টের তৈরি একটা ছোট্ট কুঁড়েঘর’!!উফ যাক আজকে রাতে তাহলে ওই খোলা আকাশের নিচে ঘুমাতে হবে না’!!ভাবতেই হাল্কা খুশি খুশি লাগছে আমার’!!আমি আর রিয়াদ স্যার আস্তে আস্তে এগিয়ে গেলাম ছোট্ট কুঁড়েঘরের কাছে’!!কুঁড়েঘরে ঢুকেই বলে উঠলাম আমিঃ

———“স্যার এখানে কারা থাকে…..
“হুট করে তানজুর এমন প্রশ্নে হতাশ রিয়াদ’!!রিয়াদ চট করেই বলে উঠলঃ
———-“এই ধরো তোমার ”বর” আর আমার ”বউ”….
“রিয়াদ স্যারের কথা শুনে আমি চোখ বড় বড় করে বলে উঠলামঃ
———-“কি স্যার….??

এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ১৯