প্রেমের সাতকাহন পর্ব ১১ || সুমাইয়া জাহান

প্রেমের সাতকাহন পর্ব ১১
সুমাইয়া জাহান

কেটে গেলো বেশকিছু দিন।এ কয়দিনে আমি এ বাড়ির মায়ায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছি।এবাড়ির প্রতিটা কোনায় কোনায় কেমন যেন একটা আপনজনদের ছোঁয়া অনুভব করি। কিন্তু কেন তা আমি জানি না!শুনেছি মেয়েদের নাকি বিয়ের পর স্বামীর বাড়িই সবথেকে আপন হয় তাই হয়তো আমি এমন কিছু অনুভব করি।দিনেদিনে আমি নীরের প্রতিও দুর্বল হয়ে পরছি।ওর সাথে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করা।সারাক্ষন একে অন্যের পিছনে লাগা!এসবের মধ্যেও আমার কেয়ারিং করতে ভুল হয় না নীরের।ও একসাথে ভার্সিটি অফিস সমলাতে গিয়ে মাঝে মাঝে হাঁপিয়ে ওঠে তবুও মুখে হাসি রেখে সব কিছু করছে।মামনীকে দেখলে কেমন যেন একটা মা মা অনুভুতি হয়।যদিও জানিনা মা-রা কেমন হয়!তবুও দেখলেই মনে হয় মায়ের সঙ্গেই আছি।জানিনা আমার মা কেমন ছিলেন মায়ের ভালোবাসা গুলো কেমন হয়?তাই হয়তো আল্লাহ আমার জন্য এমন একজন মা পাঠিয়েছেন। নীরের সাথে আমার যদি সেদিন বিয়ে না হতো তাহলে হয়তো এমন একজন পেতামই না।কথায় আছে না আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।

ভাইয়ুর সাথেও এখন আমার সম্পর্ক টা আগের মতো হয়ে গেছে।শুধু বাবার সাথেই সম্পর্ক টা এখনো স্বাভাবিক হয়ে উঠলো না।সেইদিন বাবা এসেছিলো চৌধুরী বাড়ীতে আমার সাথে নাকি সব সম্পর্ক ভাঙ্গতে।কিন্তু কেন বাবা এমনটা করছে আমি বুঝতে পারছি না?আমি তো বাবার রাজকন্যা ছিলাম।বাবা সবার সাথে গম্ভীর মুখে রেগে রেগে কথা বললেও আমার সাথে কখনো বলতো না।যে বাবা আমার সাথে কোনোদিন একটা রেগে কথা বলেনি সেই বাবা আমাকে বিয়ের ভরা আসরে সবার সামনে সেদিন থাপ্পড় মেরেছিলো?আমার কাছে সব কিছু কেমন যেন গোলোক ধাঁধার মতো লাগছে।
সেই প্রথম থেকেই বাবা নীরকে পছন্দ করতো না।কিন্তু কেন করতো জানি না।শুধুমাত্র নীরের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে বলে এমন টা করছে বাবা?নাকি নীরের জায়গায় অন্য কেউ হলেও এমন করতো?ইদানীং সবাইকেই কেমন যেন অদ্ভুত লাগছে।আমার বারবার শুধু মনে হচ্ছে আমাকে ঘিরে কিছু একটা হচ্ছে!আর কিছু ভাবতে পারলাম না তার আগেই গাড়ি ব্রেক মারলো নীর।আমি ওর দিকে প্রশ্নাত্মক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম। ও আমার মাথায় একটা চাটি মেরে বললো,

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

—- কোন জগতে থাকিস তুই? তাকিয়ে দেখ আমরা ভার্সিটির সামনে এসে পরেছি।
নীরের কথায় আমার ঘোর কাটলো আমার।চারিদিকে তাকিয়ে দেখি সত্যি ভার্সিটি চলে এসেছি।এতোক্ষণ ভাবনায় এতো ডুবে ছিলাম যে খেয়ালই করিনি কখন ভার্সিটির সামনে এসে পরেছি।আমি গাড়ি থেকে নামতে নিলেই নীর বলে উঠলো,
—- ভালোভাবে থাকবি!আমি নেই বলে যা খুশি তাই করবি না কিন্তু! আর সাবধানে বাড়ি যাবি।পথে কোথাও থামবি না।কেউ ডাকলেও তার কাছে যাবি না।পরিচিত কেউ হলেও না।আমার কথার হেরফের যেন না হয়।রিমি ভাবির সঙ্গেই বাড়ি যাবি।আর বাড়িতে পৌঁছেই আমাকে একটা ফোন দিবি কিন্তু! না দিলে কিন্তু খবর আছে তোর!
আমি ফোঁস করে একটা শ্বাস সারলাম।এই একসপ্তাহ ধরে নীর আমাকে ভার্সিটির সামনে নামিয়ে দিয়ে যায়। আর যাওয়ার সময় এইসব বাচ্চাদের মতো কিছু উপদেশ দিয়ে যায়।ওর কথা শুনে এখন নিজেকে ক্লাস টুতে পড়া কোনো বাচ্চা মনে হচ্ছে।চোখ দুটো ছোটো ছোটো করে ওর দিকে তাকিয়ে বললাম,
—- আমাকে কোন দিক থেকে ক্লাস টুতে পড়া বাচ্চা মনে হয় তোর?আমি কি একা চলতে পারিনা না-কি?
নীর মনে মনে বললো,

—- কি করে বোঝাবো তোকে?তোকে যে ওরা এখন গুটি বানানোর চেষ্টা করবে!যেমন করে এতো বছর ধরে বানিয়েছে ক……যাইহোক এখন তোকে খুব সাবধানে থাকতে হবে। যদিও আমার লোকেরা সবসময়ই তোর পাহারায় আছে তবুও ওই শয়তানদের বিশ্বাস নেই। ওরা যা খুশি তাই করতে পারে।যেভাবে আমাদের সবার জীবন থেকে এতোগুলা বছর কেরে নিয়েছে।সেভাবে যদি তোকেও কেরে নেই তাহলো তো আমার আর বেঁচে থাকার কোনো কারণই থাকবে না।এখতো আমার সব কিছুই তোকে ঘিরে। শুধু একটাই ভয় আমাকে কখনো ভুল বুঝিস না।তোকে যে আমি কিছুতেই ওই কালো অতীতের সাথে জড়াতে চাই না।আমি চাইনা সেই অতীত যেনে তুই কষ্ট পাস।তোকে বড্ড ভালোবাসি আমি। তাই তো তোর থেকে লুকিয়ে রেখেছি সেই ভয়ংকর কালো অতীত। জানতে দেইনি আমাদের পরিচয়। সব কিছু তোর কাছে ধোঁয়াসা রেখেছি।
নীর অনেকক্ষন ধরে কিছু একটা ভেবেই চলেছে।তাই ওকে একটা হালকা ধাক্কা দিয়ে ভ্রু কুঁচকে বললাম,

—- ওই কোন ভাবনার দেশে পারি দিলি?
নীরের ধ্যান ভাঙ্গতেই একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে মুখে একটা কৃত্রিম হাসি এনে বললো,
—- আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। তাড়াতাড়ি নাম তো গাড়ি থেকে আমি যেতে হবে।
—- হুম নামছি!
কিছু একটা ভেবে আবার বললাম,
—- তুই আবার ভার্সিটি আসবি কবে থেকে?
—- আসবো খুব তাড়াতাড়িই সব কাজ কমপ্লিট করে আসবো।আর সেদিন আর বেশি দেরি নেই। (একটা পৈশাচিক হাসি দিয়ে) আপাতত কয়েকদিন একাই ক্লাস কর!মনে হচ্ছে আমাকে খুব মিস করছিস এই কয়দিন!
শেষের কথাটা বাঁকা হেসে বললো নীর।ওর কথায় একদম চুপসে গেলাম।যখনই কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথা জিজ্ঞেস করি তখন এইসব বলে আমাকে দমিয়ে দেয়।একদম বজ্জাতের হাড্ডি একটা! একটা শ্বাস ফেলে তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নেমে গেলাম।আমাকে নেমে যেতে দেখে আমাকে লজ্জায় ফেলার৷ জন্য নীর আবারও বললো,

—- কি করে বললি না নাতো আমায় কতোটা মিস করিস?
আমি আর ওর কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ভার্সিটির ভেতরে চলে গেলাম।এখানে থাকলে নির্ঘাত এইধরনের আরো কিছু লজ্জা জনক কিছু বলে আমাকে লজ্জায় ফেলবে।তাই আগে থেকেই কেটে পরা ভালো।কিন্তু আমি এই সামান্য কথায় এতো কেন লজ্জা পাচ্ছি? এটা তো খুব সামান্য একটা কথা?তবে?সে যাইহোক আমি এখন কিছুতেই নীরের এমন কথা শুনতে রাজি না তাই এখান থেকে মানে মানে কেটে পরাই ভালো।
নীর তূবার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে আবারও গাড়ি ঘুরিয়ে নিজ গন্তব্যেের দিকে রওনা হলো।আজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ আছে ওর!অনেক রহস্যের জট খুলবে আজ।আজ যদি কাজটায় সফল হতে পারে তাহলে সব অনেক প্রমাণ পেয়ে যাবে।এসব ভাবতে ভাবতেই একটা পৈশাচিক হাসি ফুটে উঠলো নীরের মুখে।

অনেক গুলো লোক মাথা নিচু করে তাদের বসের সামনে অনেকক্ষণ ধরে দাড়িয়ে আছে।প্রত্যেকেরই ভয়ে গলা শুকিয়ে আসছে।কারো মুখেই কোনো কথা নেই।তাদের বস যে আজ ভয়ংকর রেগে আছে।কিছুক্ষণ বসে বসে রাগে গজগজ করতে করতে এবার চোখ দুটো বুঁজে নিলো।আর খুব শান্ত গলায় বললো,
—- তোদের সবাই কে খুব সামান্য একটা কাজ দিয়েছি।একটা মেয়েকে ধরে আনার।আর তোরা এতজন মিলেয়ে মেয়েটাকে এতোদিন ধরে মেয়েটাকে তো ধরে আনা দুরের ব্যাপার মেয়েটার আসে পাসেও ঘেষতে পারলি না!
বসের এমন শান্তর গলার কথা শুনে একটা লোকভাবলো হয়তো বস একটু শান্ত হয়েছে তাই সাহস নিয়ে সামনে এসে বললো,

—- বস আমরা অনেক চেষ্টা করেছি মেয়েটাকে ধরে আনার কিন্তু মেয়েটার আসেপাশে কড়া সিকোরিটি গার্ড দিয়ে ঘেড়া থাকে সব সময়।তাই ওর ধারে কাছেও আমরা পৌঁছাতে পারিনা।কিন্তু বস চিন্তা করবেন আর একটু সময় দেন আমরা ঠিক মেয়েটাকে ধরে এনে আপনার পায়ে ফেলবো।
এইবার সেই বস লোকটা উঠেই দাড়িয়ে সামনের চেয়ারটাকে এক লাথি মেরে চিৎকার করে বললো,
—- সময় সময় সময়!এই একটু সময় করতে করতে কতোগুলো দিন পার করে দিয়েছিস তোরা কোনো ধারণা আছে তোদের!ওইদিকে নীর চৌধুরী আমার বিরুদ্ধে প্রায় সব প্রমান জোগাড় করে ফেলছে।আর তোরা আমার থেকে শুধু সময়ই চেয়ে যাবি।তোদের এই সময় কি আমি পুরোপুরি শেষ হওয়ার পর শেষ হবে?
চিৎকার দিয়ে কথাগুলো বলেই আবারও রাগে গজগজ করতে লাগলো।কিছুক্ষণ পর কিছু একটা ভেবে ঘাড়টা একটু ঘুরিয়ে পৈশাচিক হাসি দিয়ে বললো,

—- নীর চৌধুরী তোর বাবার মতো তোরও সময় ফুরিয়ে আসছে!খুব তাড়াতাড়িই তুইও তোর বাবার কাছে চলে যাবি।
??
ভার্সিটির সব ক্লাস শেষ হতেই আমি জেদ ধরলাম আজ আমি হেঁটে হেঁটেই বাড়ি যাবো।কিন্তু রিমি কিছুতেই রাজি হচ্ছে না।ওর এককথায় আমাকে নাকি এখন খুব সতর্ক থাকতে হবে।আমার নাকি অনেক বিপদ আসে পাশে ইত্যাদি ইত্যাদি আরো কতো কি! এসব ভাইয়ু নাকি ওকে বলেছে ওকে।তাই ও আমাকে কড়া পাহারায় রাখছে এই কয়টা দিন। আমাকে একমিনিটের জন্য একা কোথায় যেতে দিচ্ছে না।কি আজব ব্যাপার!কিন্তু আজ আমাকে কিছুতেই আমার এসব বলে আটকাতে পারবে না।আজ আমি হেঁটে যাবো মানে যাবোই হুম!

—- তূবা তুই আমার কথা কেন শুনছিস না!তোর বিপদ আছে বলেই তো তোর ভাইয়ু আমাকে সাবধানে তোকে বাড়ি পৌঁছে দিতে বলেছে।একটু বোঝার চেষ্টা কর প্লীজ!
—- এমন ভাবে বলছিস যেন আমি রাজনীতির বড়ো কোনো নেতা হয়ই যে আমার চারিপাশে শত্রুরা ঘুরে বেড়াচ্ছে আমাকে মারার জন্য!ভাইয়ু আমাকে নিয়ে একটু বেশিই চিন্তা করে তাই এসব বলেছে।তুই এতো চিন্তা করিস না তো!উমম…..বেশি না ওই সামনের ফুচকার দোকানটা পর্যন্ত হেঁটে যাবো।কম পক্ষে এটুকু মান জা মেরি ভাবিজী!
শেষের কথাটা একদম বাচ্চাদের মতো ঠোঁট উল্টে বললাম।রিমি এবার হাল ছেড়ে দিয়ে ফুস করে একটা শ্বাস ফেলে মুখ ফুলিয়ে বললো,
—- শুধু ফুচকার দোকান পর্যন্তই কিন্তু! এর থেকে বেশি যেন না হয়!
ওর এই ছোট্ট একটা কথাই যেন আমার কাছে আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো আনন্দের। আমি খুশিতে লাফাতে লাফাতে রিমিকে জড়িয়ে ধরে বললো,
—- ওককে ভাবিজী আপকা হুকুম চির ধার্য।

আমার এমন উল্টো পাল্টা হিন্দি শুনে রিমি ফিক করে হেঁসে দিলো।তারপর আমরা ভার্সিটি থেকে বেড়িয়ে গেলাম।কিছুক্ষণ হাঁটতেই ফুচকা দোকানের সামনে চলে এলাম।ফুচকার দোকানে আসার সাথে সাথেই আমার আগে রিমিই ঝাপিয়ে পরলো ফুচকার উপর।মনে হচ্ছে যেন আমি না ওই আমাকে এখানে জোর করে নিয়ে এসেছে।যদিও ওর এমন কান্ডে ভিষণ হাসি পাচ্ছে তবুও ঠোঁট কামড়ে হাসি আঁটকে কোমরের হাত দিয়ে চোখ ছোটো ছোটো করে বললাম,
—- কে যেন একটু আগে এখানে না আসার জন্য এতোক্ষণ ধরে আমাকে জ্ঞান দিচ্ছিল?
—- তখন তো আর ফুচকা গুলো চোখের সামনে ছিলো না।এখন চোখের সামনে এততো গুলো ফুচকা দেখে নিজেকে আর আটকে রাখতে পারলাম না।তুই বা এতো কথা বলছিস কেন নিজে এসে চুপচাপ খেতে থাক তো।কাকুর ফুচকা গুলো কিন্তু খেতে খুব টেষ্ট! না খেলে মিস করবি।
ফুচকা খেতে খেতেই বললো রিমি।আমি আর কিছু না বলে ফুচকার উপর ঝাপিয়ে পরলাম।সত্যি ফুচকা গুলো দারুণ হয়েছে।

প্রেমের সাতকাহন পর্ব ১০

—- এক্সকিউজ মি!একটু শুনবে?
আমরা ফুচকা খেতে ব্যস্ত ঠিক তখনই পিছন থেকে পুরুষালী কন্ঠে একজন বলে উঠলো। পিছন থেকে ফিরতেই আমি অবাক চোখে লোকটার দিকে তাকিয়ে রইলাম।কারণ লোকটা হলো আমার সেই না হওয়া গোমড়া মুখো বর।যার সাথে সেইদিন একটুর জন্য আমার বিয়ে হয়ে যায়নি। আমি অবাক চোখে লোকটার দিকে তাকিয়ে আছি।লোক আমার থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে আবারও বললো,
—- হাই আমি রাতুল। আমাকে নিশ্চয়ই চিন্তে পারছো!
আমি বিরবির করে বললাম,
—- তোকে চিনবো না আবার?ব্যাটা গোমড়া মুখো কোথাকার! একটুর জন্য সেইদিন বেঁচে গেছিলাম।কিন্তু এই গোমড়া মুখো আবার কথাও বলতে পারে নাকি?আমি তো ভেবেছিলাম এ বোবা।
রাতুল আমাকে বিরবির করতে দেখে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,
—- মিস তূবা কিছু বললে?
—- না না কিছু না।আর মিস না আমি এখন মিসেস তূবা চৌধুরী। আপনি বোধহয় ভুলে গেছেন মিস্টার রাতুল!
—- ও হ্যা আমি তো ভুলেই গেছিলাম তোমার সাথে তো নীর চৌধুরী বিয়ে হয়ে গেছে।আসলে আমার তোমার সাথে কিছু কথা ছিলো।
—- হ্যা বলুন।

—- না মানে কথাগুলো তোমার সাথে আমি একটু একা বলতে চাইছি।কথাগুলো খুবই ইমপোর্টেন্স। আজকে না বললে হয়তো আর কখনো বলা হবে না।বেশি না জাস্ট পাঁচ মিনিট নেবো।ওই সামনের রেস্টুরেন্টেটায় যেতে পারি আমরা। ওখানে গিয়েই বলবো। প্লীজ না বলো না।
আমি কিছুক্ষণ ভেবে বললাম,
—- ওকে চলুন!
রিমি এতোক্ষণ ফুচকা খাওয়ায় এতোটাই মগ্ন ছিলো যে ওর পাশে এতো কিছু ঘটে গেলো ও বুঝতেই পারেনি।
??
আমি আর রাতুল রেস্টুরেন্টে বসে আছি একে অপরের মুখো মুখি।কিন্তু রাতুল কিছুই বলছে না।আমি বিরক্ত হয়ে বললাম,
—- রাতুল আপনি কি আদো কিছু বলবেন?
—- হ্যাঁ হ্যাঁ বলার জন্যই তো ডেকে আনলাম। আসলে কথাটা তোমার মায়ের সম্পর্কে!

প্রেমের সাতকাহন পর্ব ১২