প্রেমের সাতকাহন পর্ব ১৫ || সুমাইয়া জাহান

প্রেমের সাতকাহন পর্ব ১৫
সুমাইয়া জাহান

রিমি নিজের সিটে বসে বসে অনুষ্ঠান দেখছিলো হঠাৎ একটা চিৎকারে দৌড়ে গেলো সেই আওয়াজের উৎস খুঁজতে। কিন্তুে আওয়াজের উৎস আবিস্কার করতে গিয়ে নিজেই ঘাবড়ে গেলো।কারণ চিৎকার টা ছিলো তূবার!আর তূবা হাত পা সব থরথর করে কাঁপছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে মারাত্মক কিছু একটা হয়েছে।তাই আর কিছু দ্রুত পায়ে হেঁটে তূবার কাছে গেলো।তূবার সামনে গিয়ে তূবার দুই বাহু ঝাঁকিয়ে চরম বিস্ময় নিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
—- কি হয়েছে তূবা!এমন করছিস কেন?আcর চিৎকার কেন করলি?কি হলো বল!
ফোনের ওপাস থেকে যা শুনলাম তাতে আমার পুরো দুনিয়া অন্ধকার হয়ে এলো।একটা চিৎকার দিয়ে থ হয়ে গেলাম।পুরো শরীর থরথর করে কাঁপছে। আমি কথা বলার ভাষাই হারিয়ে ফেলছি।কিছুক্ষন রিমি এসে আমার বাহু ঝাঁকিয়ে উক্ত কথা গুলো বললো।ও কথা গুলো বলেই অধির আগ্রহে আমার মুখ পানে তাকিয়ে আছে উত্তরের জন্য! কিন্তু আমি এতোটাই শকড এর মধ্যে আছি যে ওর দিকে শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলাম।রিমি আমার এমন চাহনি দেখে আবারও আমাকে ঝাঁকিয়ে একটু জোরেই প্রশ্ন করলো,

—- কি হয়েছে বল!!!
এবার জোরে বলাতে আমার হুস ফিরলো। ফোনের কথা গুলো পুনরায় মস্তিষ্কে ডুকাতেই ওর কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম,
—- ল লোক টা বললো ন নীর এ এক্সিডেন্ট করেছে তাও আবার খুব মারাত্মক এক্সিডেন্ট।
কথাটা কোনো রকমে বলেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠলাম।রিমি আমার কথাটা শুনেই চমকে উঠলো।কিছুক্ষণ স্তম্ভিত হয়ে দাড়িয়ে রইলো।তারপর নিজেকে একটু সামলে আমাকে এক হাত দিয়ে ধরে বললো,
—- ক কোথায় হয়েছে এক্সিডেন্ট? আর কে বললো তোকে একথা?
রিমির প্রথম কথাটা মস্তিষ্কে ডুকতেই মনে পরলো আমি তো লোকটাকে জিজ্ঞেসই করিনি কোথায় আছে নীর!তাই চটজলদি চোখের পানি গুলো কোনো রকমে মুছে নিয়ে ফোনটা থেকে ওই নাম্বারে ডায়াল করলাম।আশ্চর্যের ব্যাপার হলো আমার কলটা ঢোকার সাথে সাথেই রিসিভ করলো লোকটা যেন এতোক্ষণ আমার কলের অপেক্ষাই ছিলো।আমি আর ওইদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে চটজলদি লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম,
—- নীর এখন কোথায় আছে? জায়গাটা প্লিজ বলুন!
তারপর লোকটা আমাকে একটা ঠিকানা দেয়।ঠিকানাটা বুঝে নিয়েই সাথে সাথেই তড়িৎ গতিতে পা চালিয়ে ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে পরলাম।পিছন থেকে রিমি অনেকবার করে ডাক দিচ্ছিলো ওকে সাথে নেওয়ার জন্য! কিন্তু আমি আর এক সেকেন্ডও সময় নষ্ট করতে চাইনি তাই ওর কথা বাদ দিয়ে হেঁটে চলেছি।

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

লোকটার ঠিকানা মতো আমি এসেছি কিন্তু এখানে কোনো লোকজনকেও দেখতে পাচ্ছি না।জায়গাটা খুব নির্জন আমার একটু দুরেই একটা বড়ো গোডাউন দেখতে পাচ্ছি। তবে অনেক পুরোনো গোডাউন বলে মনে হচ্ছে।আমি আবার ভুল ঠিকানায় চলে আসলাম না তো!এসব ভেবেই লোকটাকে আবার ফোন দিলাম আগের বারের মতো এবারও লোকটা কল ঢোকার সাথে সাথেই রিসিভ করে নিলো।আর বললো,
—- আপনি ঠিকানা অনুযায়ী পৌঁছে গেছেন?
—- হ্যাঁ! কিন্তু এখানে তো কাউকেই দেখতে পাচ্ছি না।
—– আপনার সামনে একটা গোডাউন আছে দেখতে পেয়েছেন?
—- হ্যাঁ!কিন্তু নীর কোথায়?
—- সামনে যে গোডাউন আছে ওখানেই আপনার স্বামী নীর আছে।আসলে ওনার খুব আঘাত লেগেছে তো তাই আমরা কয়েকজন মিলে গোডাউনের ভিতরে নিয়ে এসেছি।আপনি এখানে আসলেই ওনাকে হসপিটালে নিয়ে যাবো।আপনি প্লীজ তাড়াতাড়ি আসুন!
লোকটার কথাগুলো আমার কেমন যেন সন্দেহ জনক লাগলো। কিন্তু এখন এসব নিয়ে ভাবার মানসিকতায় আমি একদম নেই।আমার এখন শুধু একটাই চিন্তা নীর ঠিক আছে তো! তাই আর কিছু না ভাবতে পেরে দ্রুত পায়ে গোডাউনে দিয়ে হাঁটা ধরলাম।

পুরো গোডাউনটার ভিতরে প্রবেশ করতে নীরকে দেখতে পেলাম।নীরকে সুস্থ অবস্থা চোখের সামনে খুশিতে আত্মহারা হয়ে কোনো দিকে না তাকিয়ে নীরের ছুটতে লাগলাম।তবে দুপা ফেলার পর আর এক পাও এগোতে পারলাম না।কারণ এখানে শুধু নীরই না এখানে কালো পোষাক পরিহীত আরো অনেক লোক দাঁড়িয়ে আছে ।একটা লোক চেয়ারে বসা লোকটার অবস্থা খুব খারাপ। পুরো শরীর রক্তাক্য অবস্থায় আর অনেক গুলো আঘাতের চিহ্ন। আর নীর সেই লোকটার থেকে একটু দুরে অন্য দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।এখন ওর পরনে সকালের পরা সেই নীল পাঞ্জাবি টা আর নেই। তার পরিবর্তে এখন ওর পরনে একটা সাদা শার্ট গলায় টাই পরা।তার উপর কালো ব্লেজার কালো কোর্ট। কালো পেন্ট আর কাঁধে আরো একটা কালো কোর্ট । এক হাত পেন্টের পকেটে ঢুকানো আর আরেক হাত দিয়ে একটা সিগারেট মুখে নিয়ে ধোঁয়া ছাড়তে।পুরোই গ্যাংস্টারদের মতো লাগছে।

এ আমি কোন নীরকে দেখছি নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছি না।এক ধ্যানে ওর দিকে তাকিয়ে আছি।একটু পরেই আধ খাওয়া সিগারেট টা নিচে ফেলে পা দিয়ে পিসে ফেললো।তারপর লোকটার দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পিছনের দিকে হাত উঁচু করতেই পিছন থেকে কালো পোশাক পরিহিত দুইজন লোক ওর দুই হাতে দুইটা গান ধরিয়ে দিলো।নীর গান দুটো হাতে পাওয়ার পর তড়িৎ গতিতে গান দুটো ঘুরিয়ে লোকটার দিকে তাক করে পরপর কয়েকটা গুলি করলো।আমি এই দৃশ্য দেখে কানে দুই হাত চেপে চোখ বন্ধ করে জোরে একটা চিৎকার দিলাম,

—- নায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া!!!
তারপর সবকিছু দেখতে পেলাম না সব কিছু আস্তে আস্তে ঝাপসা হয়ে আসছিলো।একসময় শরীরের ভর ছেরে দিয়ে জ্ঞান হারাই।

নীর লোকটাকে গুলি করতেই একটা চিৎকার শুনতে পায়। চিৎকারের উৎস অনুযায়ী ওইদিকে তাকাতেই তূবাকে আবিষ্কার করে।তূবাকে দেখেই চমকে যায়।এতোক্ষণে তূবা আস্তে আস্তে জ্ঞান হারাতে দেখে দৌড়ে গিয়ে তূবাকে ধরে ফেলে।আর পাঁজা কোলে নিয়ে নেয়।তূবা কি করে এখানে আসলো? আর কেনই বা আসলো?এসব ভেবেই কপালে দৃঢ় ভাজ ফেললো নীর।তারপর তূবার ভয়ার্ত চেহারা টা দেখে আর কিছু না ভেবেই ভিতরে ঢুকে একটা রুমের দিকে পা বাড়ালো।আর যাওয়ার আগে কালো পোশাক পরিহিত গার্ড গুলোকে ইশারা করে ওই লোকটাকে সরিয়ে দিতে বললো।গার্ড গুলো এতোক্ষণ চরম বিস্ময় নিয়ে এখানে ঘটে যাওয়া ঘটানা গুলো দেখছে।ওরাও ভাবতে পারবে নি তূবা এখানে আসতে পারে।

রুমে এনেই তূবাকে বিছানায় শুইয়ে দিলো নীর।ওর মুখের দিকে কিছুক্ষন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।যেই সত্যি টা তূবার থেকে লুকিয়ে রাখতে এতো নাটক করলো আজ সেই সত্যির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে তার প্রিয়তমা। সব কিছু না জেনেই ভুল বুঝবে ভুল বুঝবে নাতো তাকে!এই নিয়ে ভিষণ চিন্তায় মগ্ন হয়ে গেলো নীর।কিন্তু এখন তো আর সত্যি টা না বলে উপায় নেই।ভেবেই একটা দীর্ঘ শ্বাস সারলো নীর।তারপর তূবার জ্ঞান ফেরানোর জন্য লেগে পরলো।পাশ থেকে পানি ভরা গ্লাস নিয়ে একটু পানি হাতে নিয়ে কয়েক ঝাপটা পানি তূবার চোখে মুখে ছিটালো।কিন্তু তাতেও তূবার জ্ঞান ফিরছে না।এবার বেশ ভয় পেয়ে গেলো নীর।কি করবে ভেবেই পাচ্ছে না।তূবার মুখে এক হাত দিয়ে ব্যস্ত গলায় ওকে ডাকতে লাগলো,

—- তূবা চোখ খোল প্লীজ!আমি তোকে সব বলে দিবো তুই শুধু একবার চোখ খোল!বিশ্বাস কর আমি আর তোর থেকে কখনো কোনো কথা লুকাবো না।তুই চোখটা খোল না প্লীজ!সবার মতো তুই আমাকে একলা করে চলে যাস না প্লীজ!নাহ্ তোর কিচ্ছু হবে না!কিচ্ছু না!
কথা গুলো বলে তূবাকে ছেড়ে চটজলদি উঠে দাঁড়িয়ে ফোন বের করে ওর এক বিশস্ত ডক্টর কে ফোন দিলো।ডক্টর কে ফোন করার পাঁচ মিনিট পরই ডক্টর চলে আসলো।ডক্টর এসেই তূবাকে চেক-আপ করতে লাগলো।কিছুক্ষণ চেকআপ করে তার ডাক্তারি কালো ব্যাগ টা থেকে একটা ইনজেকশন বের করে তূবার হাতে ফুস করলো।নীর পাশেই ভয়ার্ত চেহারা নিয়ে দাড়িয়ে আছে। ডক্টরের ইনজেকশন দেওয়া শেষ হলেই ডক্টর উঠে দাড়িয়ে নীরের অবস্থা দেখে মুচকি হাসি দিয়ে বললো,

—- এতো ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই নীর!একটু বেশি ভয় পেয়েছিলো তাই তাই জ্ঞান ফিরছিলো না।আর মেয়েটা বেশ অনেকক্ষণ পর্যন্ত কিছু একটা নিয়ে আতংকের মধ্যে ছিলো।তারপর আবার এতোটা ভয় পেয়েছিলো তাই একটু সমস্যা হয়েছে।চিন্তার কোনো কারণ নেই।একটু রেস্টের প্রয়োজন আছে।তাই একটা ঘুমের ইনজেকশন দিয়েছি কয়েক ঘন্টার ঘুমাবে।
ডক্টরের কথায় কিছুটা শান্ত হলো নীর।জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে স্রেফ মাথা নেরে বললো,
—- ওকে ডক্টর আংকেল।
ডক্টর আবারও একটা মুচকি হাসি দিয়ে তারপর চলে গেলো।ডক্টর চলে যাওয়ার পর নীর তূবার পাশে গিয়ে বসলো।তূূবার হাতটা নিজের বুকের মধ্যে নিয়ে নিয়ে নিজেও চোখ বুঝে নিলো।তবে নীর খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে তূবা এখানে আসার পিছনে শত্রুদের হাত আছে।সেসব নিয়ে পরে ভাববে এখন শুধু ওর একটাই ভাবনা তূবাকে বোঝাতে হবে!

এদিকে তূবা ওইভাবে একলা চলে যাওয়াতে রিমি বেশ ঘাবড়ে গেলো। তাই তাড়াতাড়ি তূর্য কে ফোন করলো।একবার রিং হয়ে কেটে গেলে আবারও ফোন করলো। এবার সাথে সাথেই রিসিভ করলো তূর্য। আর বললো,

—- সরি একটা কাজের ভিতর ছিলাম তাই আগের বার রিসিভ করতে পারিনি।কিন্তু তুমি এই সময় হঠাৎ ফোন দিলে এখন তোমাদের অনুষ্ঠানে থাকার কথা!
রিমি হাঁপাতে হাঁপাতে বললো,
—- আরে শোনে এখানে কি হয়েছে!
তারপর রিমি তূর্যকে সব বললো।তূর্য সব শুনে চরম বিস্ময় নিয়ে বললো,
—- হোয়াট!! কি বলছো এসব?
—- আমি ওকে অনেক বার আটকানোর চেষ্টা করেছি।ওর সাথে আমিও যেতে চেয়েছিলাম।ইভেন পর ওর পিছন পিছনও গিয়েছি কিন্তু আমার আগেই ও চলে গেলো তাই আর ধরতে পারিনি।তুমি প্লীজ তাড়াতাড়ি দেখো ও কোথায় গেলো।আর নীর ভাইয়ার কি সত্যি কোনো এক্সিডেন্টে হয়েছি কিনা!আমার মনে হচ্ছে কেউ তূবাকে মিথ্যে বলে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে।তুমি প্লীজ তাড়াতাড়ি ওকে খোঁজো!
—- হুম আমি দেখছি!
কথাটা বলেই তড়িৎ গতিতে ফোনটা কেটে দিলো তূর্য।তারপর আবার কাকে একটা ফোন করলো।আর সাথে সাথেই বেরিয়ে পরলো।

প্রেমের সাতকাহন পর্ব ১৪

আমি আস্তে আস্তে চোখ খুলে একহাত মাথা ধরে উঠে বসে নিজে একটা অচেনা রুমের মধ্যে আবিষ্কার করলাম।আর আমার পাশেই নীর আমার একটা হাত ওর বুকের মধ্যে নিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে আছে।নীরকে দেখে প্রথমে খুশি হলেও পরক্ষণেই একটু আগের ঘটনা মনে পরতেই নিজের হাতটা নীরের থেকে তড়িৎ গতিতে সরিয়ে নিয়ে বিছানা থেকে উঠে দাড়ালাম।এখনো মাথাটা জিম জিম করছে।তাই দুই হাত দিয়ে মাথাটা একটু ধরলাম।
নীরের থেকে হাতটা এভাবে সরিয়ে নেওয়াতে নীরও চোখ খুলে ফেললো।চোখ খুলে আমাকে এভাবে দেখে ঘাবড়ে গেলো তাড়াতাড়ি নিজেও উঠে আমাকে ধরতে গেলে আমি ওর থেকে অনেক টা দুরে সরে গেলাম।আর কড়া গলায় বললাম,

—- খবরদার নীর চৌধুরী আমাকে আপনার ওই নোংরা হাতে স্পর্শ করবেন না।
—- তূবা আমার সাথে এইভাবে কথা বলছিস কেন?
বিস্ময় নিয়ে আমার পানে তাকিয়ে বললো নীর।বিনিময়ে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললাম,
—- এখনো এই নাটক চালিয়ে যাচ্ছেন নীর চৌধুরী!কিন্তু এখন আর আপনার এই নাটকের কোনো প্রয়োজন নেই। আমি সব জেনে গেছি।সেদিন রাতুলের কথা গুলো আমি বিশ্বাস করিনি।কিন্তু আমার জানা ছিলোনা সেদিনের রাতুলের বলা প্রত্যেক টা কথাই সত্যি ছিলো!আপনি একদম ভালো মানুষ না।ভালো মানুষের আড়ালের আপনার এই ভয়ংকর নোংরা রুপ না দেখলে তো বিশ্বাসই করতে পারতা না।আপনি কতোটা খারাপ। আমাকে আপনার মিথ্যে জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেছেন শুধুমাত্র আমার বাবার সম্পত্তির জন্য।তারথেকেও বড়ো কথা আপনার বাবাই আমার মায়ের খুনী। খুন করেছে আপনার বাবা আমার মাকে!
কথাগুলো বলেই আমি কাঁদতে লাগলাম।আর সাথে সাথেই আমার মুখে একটা চড় পরলো।

প্রেমের সাতকাহন পর্ব ১৬