Psycho is back গল্পের লিংক || apis indica

Psycho is back part 1+2
apis indica

বসে বসে চোখ বড় বড় করে টিভি দেখছি আর চিপস খাচ্ছি।।টাইটানিক মুভির কিস করার সিন দেখাচ্ছে।।তখনি কারও আসার শব্দে সাথে সাথে টিভি ওফ করে দি।।নানুমা আসচ্ছে।।
—বুড়ি কি করিস।।এই নে হালুয়া খা।।
আমার মুখের রং পাল্টে গেছে আর মনে মনে ভাবচ্ছি,,,
—নানু মা আর আসার সময় পাই নাই।।
এক চামুচ মুখে নিলাম।। আকুপাকু করছি কখন নানু মা যাবে আর দেখব।।যদি শেষ হয়ে যায়।।তখনই নানু বলল,,
—কিরে বুড়ি কেমন হলো বললি না।।
—ভাল হয়েছে।।
—এভাবে কেন বলছিস।। তার মানে ভাল হয়নি??
এবার আদুরী গলায় নানু মাকে জড়িয়ে বলে উঠি নারে আমার ইয়াং লেডী অনেক মজা হইসে।।
—সত্যি বলে মাথা আর থুতনিতে হাত বুলিয়ে চুমু খায়।।
চলে যায় নানু মা।।
সাথে সাথে টিভি ওন করি।। কিন্তু সিনটি শেষ।।মন খারাপ হলো খু।।টিভি ওফ করে বসে রইলাম।।মন খারাপ করে।। তখনি ফোন আসলো বান্ধবী লিজার।।

—হে বল।।
—মুখ ভার কেন? দেখেছিল??
—দেখবো সেই মুহুর্তে নানু মার আগমন।।পাইলাম আর কই??
—আহ কি মিস টা না করলি।।তোর নানু আর আসার সময় পাইলো না।।
—হুম থাক বাদ দে।।যখন প্রেম করমু তখন চুটিয়ে চুমু খাবো আমার বয়ফ্রেন্ডকে।।হি হি।।
ওই পাশ থেকে কুহুর কথায় লুটু পুটু খাচ্ছে লিজা।।
—এখনো তো একটাকেউ জুটাতে পারলি না আর চুমু।।বলে আবার হাসতে লাগে।।
রাগে রেখে দিলাম ফোন।।আজ পর্যন্ত চুমু কেমনে খায় তাই জানতে পারলাম না।।বালিশে মিখ গুঁজে শুয়ে পরে।।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

সকাল বেলা,,
—এই বুড়ি উঠতাড়াতড়ি।। আর কত ঘুমাবি।। আমাদের যেতে হবে তো?? নানুমা ঘুম থেকে ডেকে তুলছে আর রুমের মাঝে ঘুড়ে ঘুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাপড়, বই,বালিশ তুলছে আর বলছে,,
—বুঝি না বুড়ি প্রতিদিন তুই কি এম যুদ্ধ করিস।। রুমের ১২ টা বাজিয়ে রাখিস কেন যে তুই।। হালকা ধাক্কাতে ধা্ক্কতে,,
–বলি কি এবার তোর বিয়ে দিয়ে দেই।।আরমসে বরের ঘরে ঘুমাস।।
বিয়ের কথা শুনে লাফ মেরে উঠে বসি আর খুশিতে গদ গদ করে বলি,,
—সত্যি ইয়াং লেডী।।
নানু মাথায় গাট্টা মেরে বলে,,
—উমম।।দেখ ছেমড়ির শখ কত! বিয়ের কথা শুনেই লাফিয়ে উঠে।।
মন খারাপের ভান করে বলতে লাগে,,
—এমন করলা যাও কথা নাই তোমার সাথে হুহ।।
বলে ওয়াশরুমের দিক পা বাড়ায়।।তখনি নানু মা এসে পিছন দিক বালিস দিয়ে বাড়ি মেরে বলতে লাগে,,
—যা তাড়াতড়ি নটাংকি।। আমাদের দেড়ি হচ্ছে।।
চোখ ছোট ছোট করে বলি,

—কই যামু??
—কই আবার! ঢাকা।। তোর মামা গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।।
কিছুটা ভাবার ভঙ্গি করে বলতে লাগি,,
—নামু মা তারা তো দেশে নাই তাইলে আমরা কেন যামু???
—ওহো তকে বলতে ভুলে গেছি।।তোর ছোট মামারা কাল দেশে ফিরেছে।।আর আমাকে কল করে বলছে আমরা যেন তাদের এখানে চলে যাই সকাল সকাল।।
—ওহো আচ্ছা।। বুঝচ্চি।।মামার বাড়ি মধুর হাড়ি খাইতে যামু হি হি।।
চট করে রেডি হতে চলে গেলাম।
রেডিয়ে বের হতেই ফোনটা হাতে নিলাম।যেহেতু খুব সুন্দর লাগছে তাই কত গুলো সেলফি তুলে নিলাম।।তার পর দেখতে লাগলাম।।
—বাহ আমাকে তো খুব সুন্দর লাগচ্ছে,,এই ড্রেসে তো টিক টক করি নি।।তার পর টিকটক অ্যাপস এ ডুকে।।নিউ কোন সং টা ভাইরাল হচ্ছে দেখেতে লালো।।পেয়েও গেলাম।।
“সুন মেরি শেহজাদে
মেহু তেরা শাহজাদা ”
টিক টক করেতেই এডিট করে আপলোড করে দিলাম।।তখনি নানুর ডাক।।তাড়াতাড়ি ব্যাগ পএ নিলাম যা নানুমা গুছিয়ে রেখে গেছে।।নিয়ে দৌড়ে গাড়ির কাছে গেলাম।।
তারপর নানুমা পুরো বাড়ি তালা দিয়ে,,পাশের ফ্লাটের আন্টিকে বলতে চলে গেলেন বাসা দেখার জন্য।।আমি গাড়ির সামনে দাড়িয়ে থাকতে এফবিতে পিক আফ দিতে লাগলাম।।
খুব ভাল লাগছে।।আমার জম্মের আগেই নাকি তারা চলে গেছিলেন।।ফোনে কথা হয়েছে অনেক কখনো দেখা হয়নি আজ দেখবো তাদের ভাবতেই অনেক ভাল লাগা কাজ করছে।।
নানুমা আর আসতে এত দেড়ি হচ্ছে কেন বুঝতে পারছি না।।বোরিং লাগছে।।ফোন টা অন করে টিকটকে ডুকলাম।।।
ওমা আমার নিউ ভিডিও তে এতো লাইকস।। পুরো 2k ক্রস করেছে কিযে খুশিলাগচ্ছে।।সঙ্গে সঙ্গে ssনিলাম একটা আর মাই ডেতে দিয়ে দিলাম।।এখন আমার ফ্রেন্ডস রা দেখবে আর লুচির মতো ফুলবে।।মনের আন্নদে হাসতে লাগলাম।।তখনি নানুমা পিছন থেকে বলতে লাগে,

—কি রে বুড়ি? একা একা হাসচ্ছিস কেন পাগল টাগল হলি নাকি রে?
—না গো নানু মা।।আজ একটু খুশি লাগছে তাই।।
—আচ্ছা চল চল! অনেক দেড়ি হচ্ছে বউ মা অল রেডি ২ বার কল করেছে।।
—হুম চল।।
গাড়িতে উঠে বসলাম।।গাড়ি চলছে আপন গতিতে।।বাহিরের বাতাসে মন টাও ভাল গাছে।।ময়মেনসিংহ থেকে ঢাকা মোহাম্মদপুর যেতে প্রায় ৩ ঘন্টা লাগবে।।ভেবেই অস্থির লাগছে।।তারপর ভাল গাছে।।আমি কখন ঢাকা যাই নি।।ময়মেনসিংহ পুড়োটা টই টই ঘুরে বেড়িয়েছি।।ভার্সিটিতে আর পার্ক এগুলায় যেতে যেতে ফেড আপ হয়েগেছি।।ওহো,,,,! আমি তো আপনাদের পরিচয় দিতে ভুলে গিয়েছি।।আমি কায়নাত কুহু।।এই কলেজের গণ্ডি পার করেছি।।এখনো রেজাল্ট হয়নি।।১০/১৫ দিনে হয়তো দিয়ে দিবে।।আর আমার পাশে বসে এই ইয়াং লেডী হচ্ছে আমার নানু মা।।উনি আমার হাসি খুশির সাথী।।মা মারা যাওয়ার পর বাবা আমাকে আর রাখেনি তকর কাছে।।নতুন বিয়ে করে পাড়ি জমায় তার নতুন ঠিকানায়।।যেখানে আমি নামতে কেউ নেই।।মাঝে কষ্ট লাগে খুব না বাবার আদর পেলাম না মার।।নানু মার কাছে শুনি,,মেয়ারা বিয়ের পর জামাই নাকি অনেক আদর করে।।তাই আমার বিয়ের খুব সখ।।কিন্তু জামাইতো দূর থাক একটা বয়ফ্রেন্ড জুটাতে পারলাম না।।হুহ।।।

দীর্ঘ চার ঘন্টার জার্নি করার পর এসে পৌছালাম একটি বাংলোর সামনে।।বাংলো দেখে আমি পুরাই ক্রাশ।। ক্রাশ খাওয়া টা অবশ্য আমার অভ্যেস।। যেখানে সেখানে খেয়ে ফেলি।।
বাড়ির ভিতরে ডুকতেই এক মধ্য বয়সি আন্টি দৌড়ে আসলো।।পরনে তার কুর্তি আর জিন্স।। গলায় স্কার্ফ পেচানো।। দেখতে ইয়ং ইয়ং লাগে।। উনি এসেই নানুমাকে সালাম করতে লাগলেন।।নানুমা বলতে লাগেন,,
—বেঁচে থাক মা।।ফয়েজ কই??
—মা উনি একটু বাহিরে গেছেন।।
উনার চোখ আমার উপর পরতেই একটা মুচকি হাসি দিলাম।।উনিও একটি মিষ্ট হাসি দিয়ে আমার থুতনিতে ধরে বলতে লাগেন,,
—মা এটা আমাদের কুহু না।।মাশাল্লাহ অনেক আর সুন্দর হয়ে গেছে।।
আমিও মিষ্টি হেসে বলতে লাগলাম,,
—আন্টি আপনিও অনেক সুন্দর।।
—থ্যাঙ্কস আম্মু।। আমার গাল ধরে স্নেহের সহিত বললেন।।আমার অনেক মায়া লাগছে।।না চাইতেও আমুর কথা মনে পরে গেল।।টুপ করে জল গড়িয়ে পরলো।।তখনি আন্টি বলতে লাগে,,
—কি হয়েছে আম্মু কাঁদচ্ছো কেন??
—আম্মুর কথা মনে পড়ে গেছিল।।চোখ মুছতে মুছতে বললাম।।
তখনি আন্টি আমার কপালে চুমু দিয়ে বলতে লাগেন,,
—তাহলে আমাকে মা ডেকো কেমন??
আমিও মিস্টি হসে উওর দিলাম,,
—আন্টি মা।।
আন্টি মাও হেসে দিলেন।।

হল রুমে বসে আছি।।আন্টি আমার বয়সি একটি মেয়েকে ডেকে বলছে হালকা খাবার দিতে।।আমারও ক্ষিদে পেয়েছে খুব।।মেয়েটি খাবার দিয়ে চলে গেল।।আর আন্টি আমার পাশে বসে তার হাত দিয়ে খাওয়াতে লাগলো।।আজ খুব ভাল লাগচ্ছে।।আজ যেন মনে হচ্ছে আমি সত্যিই মা পেয়েছি।।আন্টি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে খাইয়ে দিচাছে।।আর আমার চোখের পানি মুছে দিচ্ছেন।।ওই দিকে নানু মা নামাজ আদায় করতে চলে গেছেন।।আন্ট আমাকে খাইয়া প্লেট নিয়ে কিচেনের দিক গেলেন।।
তখনি উপর থেকে একটি ফুলদানি ঠাস করে আমার পায়ের সামনে এসে পড়ে,,আর আমি ২ কদম পিছিয়ে যাই।।আন্টি দৌড়ে কিচন থেকে।।আমার সামনে ফুলদানি দেখে আমাকে বলতে লাগে ভয় পেয়না কুহু আমি আসচ্চি বলে আন্টি সিড়ি দিয়ে উপরে চলে গেলেন।।তখনি উপর থেকে কারো গর্জনের আওয়াজ আসলো।। সেই ব্যক্তিটি চিল্লিয়ে বলতে লাগলো,,
—-How dare you mess with me. I’ll see you?
এবার তোমাকে আমার সামনে ফেলে তোমার ঘাড়ে আর মাথা থাকবেনা।।
তখনি আন্টি বলতে লাগে,,
—-ইউসুফ কি হচ্ছে এসব?? তুমি এমন কেন করছো? বাসায় তোমার দাদু আর তোমার বোন আসচ্ছে! কি ভাববে তারা?
ইউসুফ অপরাধী সুরে বলতে লাগে,,
—আম সরি মম।। রাগ মাথায় চোরে বসেছিল।। তাই কন্ট্রোল করতে পারিনি।।
আন্টি বলতে লাগেন,,
—-নেক্সট টাইম খেয়াল রেখো।। নিচের মেয়েটা ভয় পেয়ে গেছে।। আরেকটি বলে ওর শরীরে লাগতো।।
ইউসুফ বিরক্তি নিয়ে বলে উঠে,,
—-সরি বলেছি তো মম।।আর কি চাউ পায় ধরি?? তাহলে তাই করি??
—-তুমি দিন দিন কেম বেয়াদবি শিক্ষে যাচ্ছো ইউসুফ।।কন্ট্রোল লেস হয়ে যাচ্ছো।।সামালাও নিজেকে।।আর ফ্রেস হয়ে নিচে আসো।।
—হুম আসচ্ছি।।

উনি হচ্ছে মিস্টার সাইকো।।যিনি সোজা জিনিস বুঝে কম।।তার ফুরো নাম হচ্ছে আল_সিনান_ইউসুফ।। বলতে গেল জাতির ক্রাশ।।উঁচু ৬ ফিট।।জিম অলা বডি।। মার মতো দেখতে সুন্দর।।আর সুদর্শন।। এক কথায় চোখ ফিরানোর মতো না।।মাইয়া মানুষ গুলান হেতিরে দেখলে হুমরি খাইয়া পড়ে।।উনি খুব রাগী তার খিরা মানুষ।।আগে আগে আরো অনেক কিছু জানবেন।।একদিনে কি সব কমু নাকি ?।।
—-কি করছিস ছাদে তুই?
—-হাওয়া খাচ্ছি!হালকা হেসে বললাম।।
—-কেন ঘরে ফ্যান নেই হওয়া খাওয়ার জন্য??নাকি নষ্ট হয়েগেছে??দাঁত কিড়মিড় করে বলে উঠলো ইউসুফ।।
—-আছে তো ভাইয়া আমি ঠান্ডা হাওয়া খাওয়ার জন্য আসচ্ছি।।আমতা আমতা করে বলতে লাগলাম।।
এবার উনি দাঁতে দাঁত চেপে বলতে লাগেন,,
—-ঘরে কি এসি নষ্ট হয়ে গেছে??
এবার ভয় লাগতে লাগলো আমার,আসচ্ছি পর থেকে আমার পিছে লেগে আছে।।আমি ভয়ে ভয়ে বললাম,,
—-আছে তো ভাইয়া।।আমি প্রাকৃতিক হওয়া খাইতে আসচ্ছিলাম আর কি।।এদিক ওদিক তাকিয়ে বলতে লাগলাম।।কারণ এই খাটাশ বেটা আমার দিক অগ্নিদৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছে।।এদিকে রিতিমতো আমার কাপাকাপি শুরু হয়ে গেছে।।
আমার কথা শুনে রাগী কন্ঠে উনি বললেন,,

—-দাঁড়া খাওয়াচ্ছি তোর হাওয়া!! বলে এদিক ওদিক কিজানি খুঁজতে লাগলেন!
আমি উঁকি দিয়ে দেখতেই আমার চোখ কপালে উনি লাঠি হাতে নিয়ে আসচ্ছেন।।আমি আর এক মুহুর্ত সময় নষ্ট না করে দৌড়ে রুমে চলে গেলাম।। দরজা লাগিয়ে দিলাম।। আল্লাহ বাঁচাইছে নাহলে আমার কপালে শনি ছিল।। বুঝি না এই বেটার কটা তার ছিড়া মাথার আল্লাহ গো আল্লাহ।।সেদিন প্রথম তাকে দেখার পর আমি ক্রাশের উর ক্রাশ খাইছিলাম।।কথায় বলে না ক্রাশ মানে বাশ শেই অবস্থা।।সেদিন যখন আমি নিচে বসে ছিলাম।। তখন আন্টিমা আসেন আর বলেন,,
—আম্মু কিছু মনে করো না ইউসুফ রাগ কন্টোল করতে পারে না।। তাই এটা ওটা ছুড়াছুড়ি করে।।
আমি হেসে মাথা নাড়ালাম।।
তখনি নানু মা চলে আসলেন।।আমরা নানা রকমের কথা বলছি।।তখনি একটি ছেলে এসে নানুমা সালাম করে কথা বলতে লাগে।।
ছেলেটিকে দেখে এক দফা ক্রাশ খেয়ে বসি।।তিনি নানুমার সাথে কথা বলে যাচ্ছেন আর আমি এদিকে তাকে গিলে খাচ্ছি।।সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করছিল উনার ঠোঁটের উপর লাল তিল।। তার সাথে উনার চোখ কি বলবো,,বিড়ালের চোখের মনির মতো উনার চোখের মনি।।আমি পুরা ফিদা হয়ে যাচ্ছি।।তখনি তার সাথে আমার চোখাচোখি হয়ে যায়।।আর উনি হেসে দেন।।আর আমাকে উদ্দেশ করে বলতে লাগেন,,
—-দাদু এইটা কুহু না?
—-হে রে দাদু ভাই।।এবার ইন্টার দিল।।
—-বাহ ভালই বড় হয়ে গেছিস।।এখনতো বিয়ে দিতে হবে তোকে।।রহস্যময় হাসি দিয়ে।।
আমি উনার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম।।এইটা কেমন কথা।।উনি আমাকে আজ প্রথম দেখলেন।।আর ভাল মন্দ না জিগাসা করে সোজা আমার বিয়ের কথা নিয়ে বসলেন।।এই লোকের নির্ঘাত সমস্যা আছে মাথায়।। আমি কিছু বললাম না মাথা নত করে রাখলাম।।
তার সাথে কথা বলার মুড নাই হুহ।।
এদিকে ইউসুফ যখন নিচে নামছিল।।তখনি একটি পিচ্চি মেয়েকে দেখে চোখ আটকে যায় সেখানে।বুকের বাপাশে ধক ধক শব্দ করতে লাগলো।।নিজেকে সামলে নিচে এসে তার দাদুর সাথে কথা বলতে লাগে।। আর আড়চোখে বার বার মেয়েটিকে দেখতে লাগে।।মেয়েটি যে তার দিকেই তাকিয়ে আছে বুঝতেই পারছে।।
সেদিনের মতো দিনটি শেষ হয়ে যায়।।
সকালে,,?

—-ঠাসস ঠাসস ঠাসস
বাহিরে গুলির আওয়াজে ধড়ফড়িয়ে উঠে বসি।।
ছোট থেকেই জোরে কোন আওয়াজ হলে আমি সহ্য করতে পারিনা।। দৌড়ে নিচে গিয়ে দেখি।।ইউসুফ ভাইয়া হওয়ায় ফায়ারিং করছেন।।আর তার সামনে কতো গুলো কালো পোশাক পরিহিত লোক দাড়িয়ে আছে।।তাদের মাঝে কিছু লেডিস ও আছে।।সব কটাকে বিদেশি মনে হচ্ছে।।আমি সেদিকে যেতে নিতেই আন্টি মা এসে আমাকে বাঁধা দেন আর বলতে লাগেন,,
—-আম্মু ওদিক যাস না ভাইয়া কাজ করছে।।
আমি কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম,,,
—-আন্টিমা ভাইয়া গুলি কেন করছেন??
আন্টি কিছু না বলে বলতে লাগেন,,
—-যাও আম্মু রেডি হয়ে নেও।।আমরা আজ ঘুড়তে যাবো।।
আমি বুঝতে পারলাম আন্টিমা আমাকে বলতে ইচ্ছুক না।।তাই আর কিছু জিগাসা করলাম না।।

রেডি হয়ে বসে আছি।।
আন্টি মার আর্জেন্ট কাজ পরে যাওয়া তিনি বাহিরে চলে গেলেন।।আর বলে গেলেন ভাইয়া নিয়ে যাবে।।ভাইয়া রেডি হচ্ছেন তাই বসে আছি।।নানুমাও নাকি যাবেন না।।বাট আমার ঘুড়ার খুব শখ।।ভাইয়াও নিচে নেমে আসেন।।তাকে দেখে আজকেউ আবার ক্রাশ খাইলাম।।এতো পুরাই কিউটের ডিব্বা।।ডিব্বা বললে ভুল হবে পুরাই ক্রাশের বালতি।।হিহি।।ব্লেক শার্ট ব্লু জিন্স আর চোখে সান গ্লাস।।চুল গুলো পাভ করে উপরে তোলা।।সব মিলিয়ে কিলার লুকিং।।আমি হা করে তাকিয়ে আছি।। আর উনি আমার সামনে এসে বলতে লাগলেন,,
—-হা করে আছিস কেন? চল।।
কথাটা শুনে অন্য দিকে তাকালাম।।লোকটি এমন কেন বুঝি না।।২ দিনের পরিচয় এমন করে কথা বলে যেন সে আমার কত জম্মের পরিচিত।।
বেড়িয়ে পরলাম ঘুরতে আজ তিনি আমাকে অনেক জায়গায় ঘুড়ালেন।।ঘুড়া শেষে একটি রেস্টুরেন্টে খেতে আসলাম।। উনি আমাকে বসতে বলে ওয়াশরুমে গেলেন।।আমি এদিকে সেলফি তুলছি।।২ দিন জাবৎ ফেসবুকে পিক আপলোড করি না।। তাই পিক তুলছি।।তখনি পরিচত একটি কন্ঠ শুনে সামনে তাকাই।।

—-কিরে কড়কড়ি??তুই এখানে?
আমি সামনে তাকিয়ে দেখি এহসান ভাইয়া,,
—-ভাইয়া তুমি এখানে! বলে ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরলাম।।
—-হুম এখানে আমরা ফার্মগেট শিফট করেছি আজ ১ মাস হলো।।তুই একা নাকি?
—-না ভাইয়া আমি ইউসুফ ভাইয়ার সাথে আসচ্চি।।
—-ওহো! তখনি ভাইয়ার ফোন বেজে উঠে,
—আচ্ছা থাক তাহলে পরে কল করবো কাজ পরেগেছে যেতে হচ্ছে।।ওকে বায়।।বলে আবার আমাকে হালকা জড়িয়ে ধরে চলে গেলেন।।
তখনি আসে ইউসুফ ভাইয়া আসেন আমার হাত ধরে টানতে টানতে রেস্টুরেন্ট থেকে নিচে নেমে আসলেন।।আমি তাকে জিগাসা করেই যাচ্ছি,,
—-কি হইছে ভাইয়া।। এমন করছেন কেন?? হাত ছাড়ুন!হাতে ব্যাথা পাচ্ছি।।
কিন্তু উনি যেন কোনো কথা কানে নিচ্ছেন না আমার।।আমাকে ধাক্কাদিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দিলেন।।আর নিজেও পাশে বসে ড্রাইভ করতে লাগলেন।।তাও ফুল স্পিডে গাড়ি চালাতে লাগলেন।। এদিকে ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে।।কি হচ্ছে উনি এমন কেন করছেন কিছু বুঝতে পারছি না।।আর জিগাসা করলেও কিছু বলছে না।।

Psycho is back part 3+4