শেহজাদী পর্ব ৩১ || Arishan Nur || রোমান্টিক গল্প

শেহজাদী পর্ব ৩১
Arishan Nur

— মেয়েদের রাত করে ছাদে দাঁড়িয়ে থাকতে নেই। জীন এসে ভর করে। মিস মিরা আপনার বাসায় আমি আজ রাত থাকছি জন্য আপনার সমস্যা হচ্ছে? সমস্যা হওয়ায় নিরব প্রতিবাদ করার জন্য এভাবে ছাদে দাঁড়িয়ে আছেন কিনা?
কথাগুলো দুষ্ট হেসে বলে ইমান। সে দ্বিতীয়বারের মতো ফিরে এসেছে ছাদে মিরাকে দেখতে। কি করছে, এখনো কাঁদছে কিনা এসব দেখতেই ফিরে আসা ছাদে। এসেই চোখ পড়লো মিরা ছাদের রেলিঙের ধারে ঘাপটি মেরে দাঁড়িয়ে আছে।

মিরা মাত্র কান্না থামিয়েছে। নিজেকে সামলাতে খানিকক্ষণ সময় নিলো। আর এখনিই এই ব্যাটা পুনরায় উড়ে এসে জুড়ে বসে তার কাটা গায়ে নুনের ছিঁটা দিচ্ছে৷ হুহ! মিরা নাক টানলো। কান্না করলেই তার সর্দি লেগে যায়। মানুষের মাথা ব্যথা করে কান্না করলে, অথচ তার সর্দি লাগে৷ কি আজব কাণ্ড!

সে গালে লেগে থাকা চোখের পানি মুছে পেছন ফিরলো। ইমান একটা ট্রাউজার আর গেঞ্জি পড়ে দাঁড়িয়ে আছে। এবারো তার মুখের সামনেই দাঁড়ানো সে। মিরার এবার কেমন যেন অনুভূতি হলো। বেদনাদায়ক অনুভূতি! সে চোখ ঘুরিয়ে নিয়ে উল্টো জবাবে বলে, মেহমান আসলে আমি খুশি হই।
ইমান বলে উঠে, ও আচ্ছা! তাই নাকি? আগে যখন আসতাম তখন তো মুখ কালো করে থাকতে।
মিরা ভ্রু কুচকে চিন্তিত ভঙ্গিতে বলে, না তো! আমি কোনদিনই কেউ আসলে মুখ কালো করি না৷

— আমি আর কেউ এক হলাম নাকি?
ইমানের সহজ-সরল কথাটাতেও মিরা ভারী বিচলিত হলো। তার কেমন যেন লাগতে লাগলো। আগে মুখ কালো কি মিছিমিছি করত? ব্যাটা পুরা এক অধ্যায়ের অংক হোমওয়ার্ক দিয়ে যেত। একগাদা পড়া তো আছেই সাথে ফ্রি! আর না পারলে এক্সট্রা সময় পড়াত! উফ! এতো প্যারা দিত ব্যাটা! এমন বাঁশ ফ্রিতে দিলে তোমাকে বুঝি লাল গালিজায় আপ্যায়ন করা হবে৷

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

সে সামনের দিকে পা বাড়ানোর জন্য বাক নিয়ে ডান দিকে মুখ করলো। সঙ্গে সঙ্গে ইমান তার এক হাত ধরে টেনে নিজের দিকে মুখ করিয়ে, অন্য হাতটা দিয়ে মিরার কোমল কোমড় চেপে ধরে একেবারে নিজের বুকের সঙ্গে মিশিয়ে নেয়৷

মিরার শরীরে যেন বিদ্যুৎ শিহরণ বয়ে গেল। সে দাঁতে দাঁত চেপে ধরে। চোখে-মুখে রাজ্যের বিষ্ময় তার!
মিরা বরাবরই ইমানের থেকে বেশ খানিকটা শর্ট। মেয়েটা তার ঘাড়ে গিয়েও ঠেকে কিনা সন্দেহ! হয় মিরা বেশি শর্ট নাহলে ইমান বেশি লম্বা! আজকে যখন ইমান তাকে টেনে নিজের এনে বুকের মধ্যে ঠাঁয় দেয়, মিরা সোজাসুজি তার বুকে গিয়ে মাথা এলিয়ে দেয়।

তার মনে হচ্ছিল, এই প্রশস্ত বুকটা তার মাপেই বানানো হয়েছে। মিরার এতে ভারী লজ্জা লাগতে শুরু করলো। সে লজ্জায় এতোটাই মিইয়ে গেছে যে ইমানের বুক থেকে নিজের মাথা সরাতেও লজ্জা লাগছে আবার বুকে মাথা দিয়ে রাখতেও লজ্জায় মরে যাই যাই অবস্থা! কিন্তু মনের কোথায়, কোন এক কোণে, প্রশান্তি বিরাজ করছে। এই প্রশস্ত, চওড়া বুকটাতে মাথা রেখে সারাজীবন কাঁদিলেও জীবন ধন্য হইতে বাধ্য!

ইমান আরেকটু শক্ত করে চেপে ধরে তার কোমড়। মিরাকে নিজের সঙ্গে একেবারে মিশে নিয়ে দাঁড়িয়ে রইল মিনিট এক। এই এক মিনিটেই যেন সে এতোদিনের না দেখার তৃষ্ণা মিটিয়ে নিচ্ছে। সে বিড়বিড় করে বলে, দেখো না! তোমাকে জব্দ করতে এসে নিজেই বারংবার জব্দ হচ্ছি! সেবার তোমাকে পড়াতে এসে নিজেই প্রেমের খালে পড়ে গেলাম!

সে বাঁধন আলগা করে দিয়ে বলে, কানী তোমার চশমা নেই কেন? কানী মানুষের উচিত চোখে একটা চশমা রাখা আর গলায় আরেকটা ঝুলিয়ে রাখা৷
মিরা সঙ্গে সঙ্গে সরে এসে দাড়ালো এবং স্তম্ভিত দৃষ্টিতে ইমানের দিকে তাকিয়ে বলে, আই হেইট ইউ! আপনি খুব খুব খারাপ একটা লোক! ভেবেছিলাম আপনি ভালো।
ইমান হতবিহ্বল হয়ে বলে, আমি আবার কি করেছি? আমার মত ইনোসেন্ট, টাকা মার খাওয়া পাবলিক কি করলো আবার?

মিরা চোখ লাল করে বলে, আপনি একটা বদলোক! কিভাবে আমাকে টান মেরে নিজের সঙ্গে একেবারে চেপে ধরলেন। ভালো ছেলেরা এসব করে বুঝি?
ইমান চুল গুলো ব্রাশ করা শুরু করলো। মিরার কথা – বার্তা তার মধ্যে প্রভাব ফেললো না তেমন।
সে গমগমে সুরে বলে, সাধেই কি কানি ডাকি? এই যে কানা বগির ছানা, চোখ দিয়ে দেখো! কাঁচের টুকরো পড়ে আছে ওপাশে। ওদিক দিয়ে হেঁটে লেগে পায়ে কাঁচ ঢুকে গেলে এখন তোমাকে হাসপাতালে এডমিন করানোর লাগত৷ মানুষের ভালো এইজন্যই করতে নেই। আমি যদি লেখক হতাম, সবাইকে নির্দেশ দিতাম, প্রিয় ভাই ও বোনেরা আপনারা কেউ কোনদিন কারো ভালো চাবেন না!

মিরা ডান দিকে তাকিয়ে দেখে সত্যি সত্যি ছয়-সাত টুকরো কাঁচের খণ্ড পড়ে আছে৷ মিরা ঢোক গিলে সিদ্ধান্ত নিল, কালকেই সে চোখে লেন্সে লাগাবে৷ অপারেশন করে চোখে লেন্স লাগাবে! কিন্তু সে আবার কাটাকাটি, রক্ত আর অপারেশন দারুন ভয় পায়!
ইমান আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে, তোমাকে স্পর্শ করার ইচ্ছা আমার নাই। অযথা আমার মতো অসহায় অবলা ছেলেকে মিথ্যা ফাসাবে না৷
মিরা চোখ গোল গোল করে বলে, অবলা কে? হু? আপনি অবলা হলে সত্যকারের অবলা লোকেরা অজ্ঞান হয়ে যাবে!

ইমান বাকা হেসে বলে, আমি অবলা নাতো কি? তের লাখ টাকা মার যাচ্ছে আমার, ব্যবসায় লস খেয়ে খেয়ে পথের ফকির হওয়া বাকি, আবার বৌও পালাইছে! আমার উচিত কচু গাছে ফাঁসি দেওয়া। কিন্তু ঢাকা শহরে কচু গাছ মাইক্রোস্কোপ দিয়েই ঁখুজে পাওয়া যায় না। কাজেই পরিকল্পনা স্থগিত
মিরা চুপসে গেল।বেচারা তো আসলেই অসহায়! মিরার খুব ইচ্ছা করছে তার গাল ছুইয়ে দিয়ে একটু আদর করে দিতে৷ এটা ভাবতেই তার গাল টমেটোর মতো লাল হয়ে গেল৷ ইশ সে কি পরিমাণের বেহায়া হয়ে যাচ্ছে!

ইমান খুকখুক করে কেশে বলে, ভাবনায় কি বাসর চলছে? গাল লাল হয়েছে কেন?
মিরা একবার চোখ তুলে তার দিকে তাকালো। সে তারই দিকে তাকিয়ে আছে৷ মিরা চোখ নামিয়ে নিল। ছেলেটা তার দিকে কেন তাকিয়ে আছে?
ইমান বলে, ভালো কথা! সোনালী আপু ডাকে তোমাকে৷

— কেন?
— হাডুডু খেলব আমরা তাই!
মিরা হতভম্ব হয়ে গেল। সোনালী আপু প্রেগন্যান্ট এই অবস্থায় কিভাবে হাডুডু খেলে তারা!
সে চেচিয়ে উঠে বলে, আপনাদের কি কমন সেন্স নেই? আপুর প্রেগন্যান্সির লাস্ট স্টেজ চলছে আর কিনা হাডুডু খেলবেন! অশিক্ষিত কোথাকার!
ইমান মিটমিটিয়ে হেসে উত্তর দিলো, বিয়ের রাতে যদি তোমার হ্যাসবেন্ড বলে, মিরা আসো ফুটবল খেলি, তুমি তো মেবি বল সহ তার কাছে যাবে! মাই গড! ভাবা যায় এসব!

মিরার চোখ বড় বড় হয়ে গেল। সে এক মুহূর্ত দেরি না করে নিচে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়, যাওয়ার আগে ইমানকে হাল্কা করে ধাক্কা দেয়। এই ধাক্কাটা আজেবাজে কথা বলার শাস্তি তার! ছিঃ এসব কথা কেউ সরাসরি বলে। তার ভীষণ শরম লাগে এসব শুনলে!

সোনালী আপা আর সাদ সোফায় বসে আছে৷ ইতিমধ্যেই দুইজনের বেশ ভাব হয়ে গেছে। আসলে সাদ একটানা বেশিক্ষণ চুপ থাকতে পারেনা। কথা না বললে তার চলেই না। অপরপক্ষের সোনালী গল্পবাজ জন্য বিখ্যাত!
সোনালী আপু পান চিবুচ্ছে আর সাদকে উদ্দেশ্য করে বলছে, বুঝতে ইরা আর মিরা দুইবোনের স্বভাব আলাদা। মিরা হাসি-খুশি, প্রাণবন্ত আর খানিকটা বোকা। এদিকে আমাদের ইরার মুখে বোম মারলেও কথা বলে না কিন্তু বুদ্ধিমতী৷ চাচীর সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। তুমি নাকি ইরাকে বিয়ে করার জন্য মরিয়া হয়ে যাচ্ছো!

সাদ লাজুক হেসে বলে, হ্যাঁ আপু! কিন্তু ও তো রাজী না। নিশ্চয়ই ওর লাইফে কেউ আছে৷
— আরে না৷ ওর লাইফে কেউ নেই। মেয়েটা খানিকটা জেদী।মায়ের উপর জেদ ধরে বিয়ে করতে চাচ্ছে না এই যা!
— ওকে কি আমার ব্যাপারে কিছু জানান নি?
— না। ও শুধু জানে প্রস্তাব এসেছে। এই পর্যন্তই। ছেলে কে, কি করে কিচ্ছু শুনবে না মহারাণী। তার না মানে নো! এন ও নো!
সাদ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলে, আপু ও যেন না জানে আমিই প্রস্তাব পাঠিয়েছি। নাহলে লাস্ট হোপটাও পানিতে যাবে৷
— লাস্ট হোপ কি তোমার ?
— দেখি পটানোর চেষ্টা করে দেখি৷

সোনালী আপু পান খেয়ে ঠোঁট লাল করে বলে, মনে হয় না, ইরা পটবে। ও যে কেমন পুরুষ চায়, কে জানে৷ তবে চেষ্টা করে দেখো! মেয়ে মানুষ পটে যাবে আর তুমি তো হ্যান্ডসাম ছেলে!
সাদ মনে মনে বলে উঠে, ইরাবতী আমি যেমন তোমার প্রেমসাগরে হাবুডুবু খাচ্ছি, ঠিক তেমনি করে তোমাকেও একদিন আমার মনের ভেতরের খাঁচায় আটকে ফেললো! জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ্!
তখনই ইমান আর মিরা আসল। সাদ মিরার সঙ্গে কুশল বিনিময় করল।
সোনালী আপু হঠাৎ বলে উঠে, খুব বোর হচ্ছি। চল না আগের মতো লুডু খেলি৷

ইমান আর সাদ সঙ্গে সঙ্গে রাজী হলো। কিন্তু বেঁকে বসলো মিরা। সে খেলবে না। না খেলার পেছনে কারণ ও আছে। সে কোন দিনই জিততে পারেনা। আর পারবে কিভাবে? সোনালী আপু আর ইমান সবসময়ই এক জোট হয়ে খেলে। তার গুটি ঘর থেকে নামা মাত্র কেঁটে দেয়!
যাইহোক মিরাকে জোড়াজুড়ি করে রাজী করিয়ে খেলা শুরু করা হলো। এরমধ্যেই একবার ইরা ড্রয়িংরুমে এসেছিল। কেউ তাকে দেখতে না পেলেও সাদের চোখ তাকে ধরে ফেলে। মেয়েটা নিশ্চয়ই কান্না করছিল। চোখ-মুখ ফোল আর নাকের ডগা লাল হয়ে আছে। আহারে বড্ড মায়া লাগছে সাদের মেয়েটার জন্য!

সুন্দরী মেয়েদের কাঁদলে আরো সুন্দর লাগে! কথাটি মনে মনে বলে সাদ খেলায় মন দেয়৷
প্রথম দানে কারোরই ছক্কা উঠলো না। সেকেন্ড রাউন্ডে মিরার একটা ছয় উঠে । সে খুশিতে লাফাতে থাকে৷ এভাবে ক্রমান্বয়ে খেলা জমে উঠে। মাঝামাঝি অবস্থায় আছে খেলা। ইতিমধ্যেই সোনালী আপা আর ইমান টিম আপ করে ফেলেছে। তারা নিজের গুটি খায় না। খালি মিরার গুটির দিকে তাদের ঈগল চোখ!

ইমানের তিনটাই কাঁচা গুটি৷ কিন্তু মিরার একটা গুটিই অবশিষ্ট আছে যেটা ঘরে ঢুকবে।আর বাকি তিনটাই উঠে গেছে। মিরাকে তার গুটি ঘরে ঢুকাতে হলে ইমানের ঘরের ভেতর দিয়ে যেতে হবে৷
ইমান নিজের দুইটা কাচা গুটিই রেখে দিয়েছে নিজের ঘরের স্ট্যান্ডে৷
মিরা সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আসলো ইমানের ঘরে। না এসেও উপায় নেই। একটাই গুটি আছে তার। বাঘের সামন দিয়েই যেতে হবে। অন্য কোন গুটি নেই যে দান বলদে দিবে। এই গুটিটাই ইমানের ঘর অতিক্রম করে নিজের ঘরে নিয়ে যেতে হবে তাকে।

সোনালী আপু জোর গলায় বলে, ইমান মিরার গুটি খেতেই হবে। নাহলে কিন্তু ও জিতে যাবে৷
মিরা দুইজনের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট উলটে বলে, তোমরা আমার সাথে এমন কেন করো? জিততে দাও না আমাকে! আমি একবার জিতলে কি হবে তোমাদের?
ইমান বলে, ওকে খাওয়ার জন্যই বসে আছি৷ এরপর মিরার দান এলো। সে গুটির দান দিলো।একেবারে ইমানের দুইটা গুটির মুখের সামনে গুটি দিতে হলো তাকে। এইজন্য তার মুখটা কালো হয়ে এলো। আর বুঝি জেতা হবে না!

তারপর সাদ এবং পরে ইমানের দান আসলো। ইমানের আসল দুই। দুই দিয়ে সে মিরার গুটিকেও খেতে পারবে, আবার সাদের গুটিকেও খেতে পারবে৷
সে কোনকিছুরই পরোয়া না করে মিরার গুটি খেয়ে তার দিকে তাকিয়ে বলে, মিরা তোমাকে খেয়ে নিয়েছি!ইউ আর সো টেস্টি এস হেল এস ক্রিম! এবার জিতে দেখাও!
মিরা তার দিকে তাকালেই সে চোখ টিপ মারে। এতে মিরার রাগ উঠে যায়। রাগে তার নাক দিয়ে ধোয়া বেরুতে লাগে। সে রেগে গিয়ে লুডুর বোর্ড ছিঁড়ে ফেলে৷
ইমান স্তম্ভিত হয়ে যায় তার এহেন কাণ্ডে! এরপর বিকট আওয়াজ তুলে বলে, ইউ!গুটিবাজ মহিলা! কেন লুডুর বোর্ড ছিঁড়ে ফেললা!

— ভালো করছি৷ আমি না জিতলে খেলা হবে না।
কথা শেষ না করতেই ইমান তার চুল ধরে টান দিলো। মিরাও কম না! সেও ইমানের চুল ধরে টানাটানি শুরু করে দিলো। তারও ভীষণ রাগ লাগছে! খেলার মধ্যে কেন পক্ষপাতিত্ব করবে! তার উপর তাকে টেস্টি ক্রিম কেন বলা হবে? সে কি কেক?
চুলাচুলি এক পর্যায়ে হাতাহাতি তে রুপান্তর হয়। সাদ আর সোনালী হতভম্ব হয়ে বসে আছে। দুইজনের কারোরই তাদের থামানোর মতো মাথা কাজ করছে না।

শেহজাদী পর্ব ৩০

ইমান-মিরা দুইজনই হাতাহাতি করতে গিয়ে ঠাস করে মেঝেতে পড়ে গেল। প্রথমে পড়লো ইমান এবং পরবর্তীতে তার বুকের উপর হুমড়ি খেয়ে মিরা ধপাস করে পড়ে যায়৷
আসলে,ইমানের পা টেবিলের পায়ার সঙ্গে লেগে সে ঠাস করে ব্যালেন্স সামলাতে না পেরে পরে যায়, সঙ্গে মিরাকেও ইচ্ছা করে হ্যাচকা টান মারে। সে কেন একা পড়লে? পড়লে তার শেহজাদীকে নিয়েই পড়বে। হুহ! লুডুতে জিততে দিলো না! কি তেজ মেয়ের! বোর্ড ছিঁড়ে ফেলে৷

ইমান তাকে হ্যাচকা টান মারে বিধায় মিরা গিয়ে ঠিক তার মুখ বরাবর হুমড়ি খেয়ে পড়ে।দুইজন মেঝেতে পড়ে যাওয়ার ফলে বিকট আওয়াজ হয়। এই ফাঁকে ইমান টুস করে মিরার ঠোঁটে চুমু খায়৷

শেহজাদী পর্ব ৩২