সত্যি ভালোবাসো পর্ব ২৫ || Fatema Khan

সত্যি ভালোবাসো পর্ব ২৫
Fatema Khan

সবগুলো ক্লাস শেষ করে রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছে তাহিয়া।অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর একটা রিক্সাও পেলো না।হঠাৎ তার চোখ গেলো দূরে গাছের দিকে।
তাহিয়াঃওটা আরিশ না,সে এখানে কি করছে?হয়তো আমার সাথে কথা বলতে আসছে।কিন্তু আমি কোনমতেই তাকে ক্ষমা করবো না।আমার ভাইকে গুলি করা।আচ্ছা তাহলে কি আরিশ ভাইয়াকে এতোদিন আটকে রেখেছিলো।কারো সাথে ফোনে কথা বলছে কিন্তু একবারও এদিকে তাকাচ্ছে না।তাহলে কি অন্য কাজে আসছে।যা ইচ্ছা করুক আমার কি।
(তখনই একটা গাড়ি আসলো আর আরিশ গাড়িতে করে চলে গেলো।আরিশ চোখের আড়াল হয়েছে বেশ অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে।একটা রিক্সাও নেই।এমন সময় আমার পিছন দিক থেকে কে যেনো আমার মুখে কিছু একটা চেপে ধরলো।তারপর আর আমার কিছু মনে নেই।)

রেজোয়ানঃহ্যালো,কাজ হয়েছে
মাস্কপরা ব্যাক্তিঃহয়ে গেছে।আপনি অপেক্ষা করুন আমি আসছি তাকে নিয়ে।
রেজোয়ানঃআমার এতোবছরের প্রতিশোধ পূর্ণ হতে যাচ্ছে।
মাস্কপরা ব্যাক্তিঃআমারও।আজ সবকিছুর বদলা নিবো আমি।
রেজোয়ানঃতারাতাড়ি এসো সবকিছু খুব জলদি করতে হবে।
মাস্কপরা ব্যাক্তিঃরাখছি আমি তাহিয়া কে নিয়ে আসছি।

আফসানাঃহ্যালো তূর্য (কান্না করতে করতে)
তূর্যঃহ্যা মা বলো
আফসানাঃতাহিয়া এখনো বাসায় ফিরে নি বাবা
তূর্যঃকি বলছো মা ও তো বললো একলা চলে যেতে পারবে।আচ্ছা তুমি কান্না করো না আমি দেখছি।কোথায় গেলো

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

নীলিমাঃআরিশ তুই কোথায়
আরিশঃকেনো কি হয়েছে বলো
নীলিমাঃতাহিয়াকে পাওয়া যাচ্ছে না।
আরিশঃঅহ আচ্ছা
নীলিমাঃতুই এমন স্বাভাবিক কি করে।তোর একটু চিন্তা হচ্ছে না।
আরিশঃমানে হ্যা কোথায় গেছে কে জানে।
নীলিমাঃতো ওকে খুঁজে বের কর
আরিশঃ হুম দেখছি(কল কেটে দিলো)

আরিশঃসব ঠিক মত হচ্ছে তুমি কোথায়
…………
আরিশঃআমিও আসছি।
………..

অন্ধকার একটা রুমে রাখা হয়েছে আমাকে।জ্ঞান ফিরার পর নিজেকে এই অন্ধকার রুমে আবিষ্কার করি।বুঝতে পারছি যে আমার হাত পা একটা চেয়ারের সাথে বাধা।মুখও কাপড় দিয়ে বাধা।কোথায় আছি বুঝতে পারছি না।অনেক ভয় করছে কি হতে চলছে আমার সাথে।গলা শুকিয়ে আসছে এই মূহুর্তে একটু পানি পান করতে ইচ্ছে করছে কিন্তু তারও উপায় নেই।হঠাৎ দরজা খোলার আওয়াজে ওইদিকে তাকালে চোখে আলো পরার সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেললাম।আস্তে আস্তে চোখ খুললাম।বুঝতে পারছি একটা পুরুষ অবয়ব আমার দিকে এগিয়ে আসছে,লোকটিকে আমার বড্ড চেনা লাগছিলো কোথাও দেখেছি মনে হয়।লোকটা রুমের লাইট জ্বালালে আমি তাকে দেখে পুরো অবাক
রেজোয়ানঃকি হলো তাহিয়া খুব অবাক হচ্ছো
বুঝি।আমিই তোমাকে এখানে এনেছি।দাড়াও তোমার মুখের বাধনটা খুলে দেই(আমার মুখের বাধন খুলতে খুলতে)
তাহিয়াঃআপনি আমাকে এখানে কেনো এনেছেন আর এভাবে বেধে রেখেছেন কেনো
রেজোয়ানঃকেনো তোমার বাবা মানে ওই বিশ্বাসঘাতক আরমান কিছু বলে নি তোমাদের আমাকে নিয়ে
তাহিয়াঃ হুম কিন্তু আমাকে কেনো তুলে এনেছেন
রেজোয়ানঃ কেনো বলতো,অহ হ্যা তুমি তো জানোই আমি কিসের কাজ করি
তাহিয়াঃআপনি আরিশদের বিজনেস পার্টনার
ছিলেন

রেজোয়ানঃওইটা তো আছেই যেটার জন্য তোমার বাবা আমার জীবন শেষ করে দিলো সেটার কথা বলছি
তাহিয়াঃনারী পাচারকারী চক্রের সাথে জড়িত আপনি
রেজোয়ানঃকিন্তু এখন আর জড়িত নই নারীপাচার চক্রের লিডার আমি।আর কাল তোমাকে দুবাই নিয়ে পাচার করে দিবো
তাহিয়াঃমানে কি এসবের আমাকে ছাড়ুন,আমি বাসায় যাবো
রেজোয়ানঃতা বললে তো হচ্ছে না ২০বছরের প্রতিশোধের আগুন নিভানোর সময় হয়েছে আর তা আমার হাতের মুঠোয় তুমি বলছো যেতে দিতে।
তাহিয়াঃআপনি জানেন না আপনার কি হাল করবে আরিশ,তাহসিন ভাইয়া আর তূর্য ভাইয়া।যখন জানতে পারবে আপনি নিজেও ধারণা করতে পারবেন না কি হবে আপনার।
রেজোয়ানঃকেউ জানলে তো।
তাহিয়াঃএতোক্ষণে সবাই আমাকে পাগলের মত খুজতেছে।পেয়েও যাবে দেখে নিবেন।
রেজোয়ানঃতাই নাকি।
তাহিয়াঃ হুম আমাকে আজ রাতের মধেই নিয়ে যাবে।
রেজোয়ানঃআচ্ছা দেখা যাবে।

আরিশ সিড়ি দিয়ে নিজের রুমে যাবার পথে নীলিমা তার পথ আটকে ধরে বলে-
নীলিমাঃকি হয়েছে আরিশ তুই এমন হয়ে গেছিস কেনো
আরিশঃকেমন মা আমি তো ঠিক আছি।
নীলিমাঃমেয়েটাকে সারাদিন পাওয়া যাচ্ছে না আর তুই কিনা বাসায় চলে এলি আর তোকে দেখে মনে হচ্ছে কিছুই হয়নি
আরিশঃআমি খুজতেছি মা।
নীলিমাঃতাহলে মেয়েটা কই
আরিশঃ আমার খুব টায়ার্ড লাগছে আমি রুমে যাচ্ছি খাবার পাঠিয়ে দিও আমি খেয়ে ঘুমাবো(বলেই চলে গেলো উপরে)
নীলিমাঃসবাই মেয়েটার জন্য পাগল প্রায় আর এ কিনা ঘুমাতে গেলো।

রেজোয়ানঃতুমি কোথায়?
মাস্কপরা ব্যাক্তিঃআমি একটু বাসায় আসছি কেনো কোনো ঝামেলা করে নি তো?
রেজোয়ানঃআরে না ভাবলাম তোমার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই তাই আর কি
মাস্কপরা ব্যাক্তিঃআমি রাতে আসবো,এখন আমার এখানে থাকতে হবে।
রেজোয়ানঃঠিক আছে রাখছি তাহলে।আর তারাতাড়ি এসো কিন্তু।
মাস্কপরা ব্যাক্তিঃ হুম

রাত ২ঃ০০ টা,,,
তাহিয়া চেয়ারে বাধা অবস্থায় ঘুমিয়ে রয়েছে।হঠাৎ রেজোয়ানের কন্ঠে তাহিয়ার ঘুম ভেঙে যায়।
রেজোয়ানঃআরে মামনি ঘুমিয়ে ছিলে নাকি।
তাহিয়াঃকি চাই
রেজোয়ানঃআমার আবার কি চাই,সব পেয়ে গেছি বাকিটা কাল দুবাই গেলেই পেয়ে যাবো।তোমাকে কিছু দেখানোর আছে।যে তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছে তাকে দেখতে চাও না।
তাহিয়াঃকে সে?
রেজোয়ানঃতাকে দেখতে প্রস্তুত তো।অনেক বড় সারপ্রাইজ কিন্তু এটা তোমার জন্য।
তাহিয়াঃআর কি সারপ্রাইজ বাকি আছে(তাচ্ছিল্যের একটা হাসি দিয়ে)
রেজোয়ানঃআচ্ছা দেখো তাহলে,কই রুমের ভিতরে এসো।
(একটা ছায়া ধিরে ধিরে আমার কাছে আসতে থাকলো।সারাদিন কিছু না খাওয়ার ফলে দূূর্বল লাগছে তাই আবছা দেখতে পাচ্ছি।সামনে আসতেই আমি অবাক।এটা তো মাস্কপরা ব্যাক্তি।লোকটাকে কেমন চেনা চেনা লাগছে।কে হতে পারে)
মাস্কপরা ব্যাক্তিঃআমাকে চেনার চেষ্টা করা হচ্ছে বুঝি।
তার কন্ঠস্বরকে চিনতে আমার একমুহূর্তও সময় লাগে নি।সাথে সাথে বলে উঠলাম-
তাহিয়াঃতুমি

সামনে থাকা মানুষটির কন্ঠ শুনে যেনো আমি পাথর হয়ে গেছি।আমি ঠিক শুনতে পেয়েছি নাকি কোনো ভুল হচ্ছে আমার।না না ভুল হবে কেনো সে তো সামনে দাড়িয়ে আছে শুধু মুখোশ খোলার অপেক্ষা।কিভাবে ভালোবাসায় মানুষগুলো মুখোশ পরে থাকে।যাদের আমরা এতো ভালোবাসি তারাই পিছন দিক থেকে ছুরি মারে।
“কি হলো এখনো চেনা যায়নি বুঝি আমাকে”
তাহিয়াঃতূর্য ভাইয়া তুমি
তূর্যঃফাইনালি চিনতে পারলি আমাকে।
তাহিয়াঃকেনো এমন করছো ভাইয়া
তূর্যঃতোরা আমার সবকিছু শেষ করে দিয়ে এখন বলছিস এমন করছি কেনো?
রেজোয়ানঃআহা এতো হাইপার হচ্ছো কেনো এই বেচারি তো কিছু জানেই না।আগে সবটা বলো তারপর তো বুঝবে
তাহিয়াঃকি সত্যি যা আমি জানি না।আমার মনে হয় ভাইয়া এই লোকটা তোমায় ভুল বুঝিয়েছে
তূর্যঃএই লোকটা আছে বলেই আজ আমি আমার প্রতিশোধ নিতে পারবো।
তাহিয়াঃকিসের প্রতিশোধ ভাইয়া
তূর্যঃতাহলে শোন তোর বাবা আর মা কি করেছে আমার মার সাথে
তাহিয়াঃমানে কি ভাইয়া আমরা এক মা বাবার সন্তান তাহলে কোন ধরনের কথা বলছো তুমি আমার মাথায় কিছুই আসছে না।

তূর্যঃআমার তখন সাত বছর তনিমার ছয় কি সাত মাস হবে তখন।আমরা একদিন ঘুরতে গেছিলাম তখন একটা গাড়ি এসে মাকে চাপা দিয়ে যায়।মার স্পট ডেড হয়।আমি তখন ভালো করে কিছুই বুঝি না।আস্তে আস্তে দিন যেতে থাকে আমাদের।বাবা একদিন ওই মহিলা মানে তোর মাকে বিয়ে করে আনে।আমাকে খুব আদর করতো আমিও তাকে মায়ের মতোই দেখতাম।তারপর একবছরের মধ্যে তুই আমাদের মাঝে আসলি।সব ভালোই যাচ্ছিলো।
তাহিয়াঃমানে তুমি আমার আপন ভাইয়া না।
তূর্যঃআপন না হলেও তনিমা থেকে তোকে বেশি আদর করতাম আমি।কিন্তু একদিন আমার সামনে সব সত্যি চলে আসে।
তাহিয়াঃকি সত্যি?

তূর্যঃআমি তখন অনেকটা বুঝি।সিক্স সেভেনে পড়ি হয়তো।একদিন স্কুল থেকে ফিরার পথে রেজোয়ান হোসেনের সাথে আমার দেখা হয়।তিনি আমাকে যা বললেন তা শোনার পর নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারি নি আমি।কিন্তু সব চিন্তা করে দেখলাম রেজোয়ান হোসেন সত্যি কথা বলছে।
তাহিয়াঃকি এমন কথা যে এই জঘন্য লোকটা বলেছে আর তুমি বিশ্বাস করে নিয়েছো

তূর্যঃআমার মাকে আরমান রহমান আর তার কলেজ লাইফের প্রেমিকা আফসানা রহমান প্ল্যান করে মেরে ফেলেছে।আর রেজোয়ান হোসেনের কথা সত্যি ছিলো কারণ এর আগেও মা বেঁচে থাকতে আমি শুনেছি তারা একসাথে পড়তো আর আমাদের বাসায়ও কয়েকবার এসেছে।আমার মাকে মেরে ফেলেছে তারা কি করে তাদের ছেড়ে দেই।তখন রেজোয়ান হোসেন আমাকে বুদ্ধি দেয় যে সবকিছু যেভাবে চলছে সেভাবেই যেনো চলে।আর তুই বড় হলে তোকে ওনার হাতে তুলে দিতে তাহলে ওনার প্রতিশোধও পূর্ণ হবে আর আমারও।কিন্তু আমি তোকে নারীপাচার চক্রের হাতে দিতে চাইনি খুব ভালোবাসি তোকে তাই মেরে ফেলার চেষ্টা করেছি কিন্তু প্রতিবার ব্যার্থ হই।আজ আমার কাজ শেষ কাল তুই চলে যাবি সবাই সারাজীবন কষ্ট পাবে তোর কথা ভেবে।(চোখের পানি মুছতে মুছতে)

তাহিয়াঃআর তুমি
তূর্যঃআমি,আমি তো খুব খুশি থাকবো
তাহিয়াঃবারবার গলা ধরে আসছে কেনো,কষ্ট হচ্ছে তাইনা।নিজের বোনকে এভাবে দেখে।শুধু জেদের বশে পরে এমন করছো তুমি।
তূর্যঃকোন কষ্ট হচ্ছে না আজ আমার আনন্দের দিন
তাহিয়াঃতাহলে আনন্দ কই?এই লোকটা তোমাকে ভুল বুঝিয়েছে আমাদের উপর এর রাগের কারণে তোমাকে হাতিয়ার বানিয়েছে।
রেজোয়ানঃতূর্য তুমি যাও।কাল আমাকে যেতে হবে।তাই এখন তুমি বাসায় ফিরে যাও কাল সকালে আসতে হবে।
তূর্যঃঠিক আছে।ওকে কিছু খাবিয়ে দিবেন সকাল থেকে কিছুই খায়নি।(যাবার আগে একবার তাহিয়ার দিকে তাকিয়ে চলে গেলো)

রেজোয়ানঃএই নাও খেয়ে নাও।(হাতের বাধন খুলতে খুলতে)
তাহিয়াঃভালোই প্ল্যান করেছেন এক ঢিলেই সব পাখি একসাথে তাইনা
রেজোয়ানঃতোমাকে আমি বোকা ভাবতাম,কিন্তু তুমি তূর্য থেকে অনেক বুদ্ধিমতি।কি করে ধরে ফেললে সব আমার প্ল্যান।একটা কথা জানো
তাহিয়াঃকিহ
রেজোয়ানঃআরমানের প্রথম স্ত্রী মানে তূর্যের মাকে আমিই মেরেছি।আস্তে আস্তে সবাই কে মারার প্ল্যান তৈরি করলাম।কিন্তু না পরে ভাবলাম মেরে ফেললে আর প্রতিশোধ পূর্ণ হবে কমনে।তাই ভাবলাম বাচিয়ে রেখে প্রতিদিন মারবো।তূর্য তো বোনের শোকেই মরে যাবে,মেয়ের পরিনতি আর ছেলের জীবনের কথা ভেবে আরমানও শেষ হয়ে যাবে।(বলেই উচ্চস্বরে ঘর কাপিয়ে হেসে উঠলো)
(পালাতে হবে না হলে সবার ভুল বুঝাবুঝি র‍য়ে যাবে)

সত্যি ভালোবাসো পর্ব ২৪

রেজোয়ানঃখেয়ে নাও তারাতাড়ি।আর একটা কথা জানো ওই আরিশ বড্ড চালাক।ঠিক সবকিছু ধরে ফেলেছে।তূর্যকেও আটকে রেখেছিলো দুইদিন।তূর্য পালানোর চেষ্টা করলে ওদের মাঝে মারামারি হয় একপর্যায়ে ভুলে গুলি গিয়ে পরে তূর্যের উপর।আর আমার কাজ আরও সহজ করে দাও তুমি ওইখানে গিয়ে।আরিশকে ভুল বুঝে তূর্যের সাথে চলে এসে।এখন তূর্যকে ফাসিয়ে আমি চলে যাবো দুবাই।তোমার মা বাবা তো এমনিতেই শেষ হয়ে যাবে।মেয়ে পাচার হয়ে যাবে,একমাত্র ছেলে জেলে থাকবে।আমার প্রতিশোধ পূর্ণ হবে।মাঝখানে তূর্য জানতেই পারবে না আসলে সবকিছুর পিছনে আমিই ছিলাম।
তাহিয়াঃছিঃআপনি এতো নিকৃষ্ট একজন মানুষ।
রেজোয়ানঃএতো হাইপার হয়ে যেও না।খেয়ে ঘুমিয়ে পরো সকালে তূর্য আসলেই বের হতে হবে।
(আমার খাওয়া শেষ হলে আমার হাত আবার বেধে রেজোয়ান রুম থেকে চলে যায়)

সকালে রুমের দরজা খোলার খটখট শব্দে ঘুম থেকে উঠে পরি।সামনে ভাইয়াকে দেখি।বুঝতে পারি যাবার সময় হয়ে গেছে।ভাইয়া কি একটুও বুঝতে পারবে না যে সে ভুল করছে।ভাইয়া আমার হাত পায়ের বাধন খুলছে আর আমার দাগ পরে যাওয়া স্থানে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
তাহিয়াঃভাইয়া খুব কষ্ট হচ্ছে তাইনা।তবু্ও কেনো বুঝতে পারিস না যেটা করছো তুমি সেটা ভুল।
(ভাইয়া কোনো কথ বললো না।তাই আমিও চুপ হয়ে গেলাম।)
রেজোয়ানঃহয়েছে তূর্য,হলে তারাতাড়ি চলো
তূর্যঃ হুম হয়ে গেছে চলুন।

আমরা তিনজন একটা গাড়ির সামনে দাড়াই।আরও একটি গাড়ি আছে।সাথে তিন চারজন ভাড়াটে গুন্ডা হয়তো।আমাকে একটা গাড়িতে উঠানো হলো।সামনে তূর্য ভাইয়া আর ড্রাইভার,পিছনে আমি আর রেজোয়ান হোসেন।গাড়ি যাচ্ছে এয়ারপোর্টের দিকে।আমার চোখের পানি যেনো আজ সব বাধ ভেঙে পরছে।অঝোর ধারায় বইছে।তখনই রেজোয়ান হোসেন বলে উঠলো—

সত্যি ভালোবাসো পর্ব ২৬