You are mine part 10 || sopner valobasha

You are mine part 10
Poly Anan

“কিরে লিমন তুই কখন আসবি আমি অপেক্ষা করছি তোর জন্য?আর শুন ভার্সিটি ডুকার সময় একটু আড়ালে ডুকিস তোকে যেন কেউ না দেখে!
” ঈশা(পেছন থেকে কেউ গম্ভীর কন্ঠে)
ঈশা দ্রুত পেছনে তাকালেই তাহা আর নিশিকে খেয়াল করে। তাদের দিকে একপলক তাকিয়ে আবার লিমনের দিকে মন দেয়।
“তাহলে তুই আসিস।আর আমার নাম্বারে ভুলেও কল করিস না প্লিজ….
নিশি আর তাহা নিরাকে দেখে যতটা খুশি হয়েছিল তার কাজে ঠিক ততটাই ক্ষুব্ধ হয়েছে।
” কিরে তোরা কখন এলি(দুজন কে জড়িয়ে ধরে ঈশা)
“কিরে ঈশু তোর ঈশান ভাইয়ার সাথে বিয়ে হয়েছে তবে তুই লিমনকে এতো আশা দিচ্ছিস কেন?(বিরক্ত হয়ে নিশি)

ঈশা উওর দেওয়ার আগেই পাশ থেকে রিতু মেয়েটা একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দেয়।
” কিরে সবাই বলাবলি করছিল ঈশা সাথে নাকি ঈশানের বিয়ে হয়েছে?কথাটা কি সত্যি?ঈশা তুই কত লাকিরে! আমাদের কত মেয়ের সপ্ন ছিল অন্তত একদিন হলেও ঈশানের সাথে প্রেম করা আর তুই কিনা হাজবেন্ড হিসেবে পেয়ে গেলি!ইসসস তোর মতো ভাগ্য যদি আমার হতো। ঈশান কে যত দেখি তত ফিদা হয়ে যাই কি আছে যেন তার মাঝে। একটু কেয়ার একটু ভালোবাসা উফফফ আর ভাবতেই পারছিনা(লজ্জার ভঙ্গিতে)
রিতুর মুখে ঈশানের এতো প্রশংসা শুনে বেশ রেগে যায় ঈশা তবে ওটা রাগ নাকি হিংসা ব্যবপারটা সে নিজেও বুঝতে পারছেনা।তবে এতোকিছু সে বুঝতে চায় না।সে শুধু যানে ঈশানের প্রশ্নংসা অন্যকোন মেয়ে করতে পারবেনা। কেন পারবে?তারা কেন করবে তার প্রশ্নংসা।অন্যর হাজবেন্ডের দিকে তাকাতে কি এইসব মেয়ের লজ্জা করছেনা।

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

“রিতু এখন কথা বলতে ভাল্লাগছেনা।তুই যা প্লিজ।
রিতু ভেংচি কেটে চলে গেলে নিশি আর তাহার দিকে মনোযক দেয় সে।
” দেখ নিশি আমি যানি আমার বিয়ে হয়েছে তাতে কি!আমি ঈশানকে ভালোবাসি না আর ঈশানকে আমার সারাজিবনের জন্য চাই ও না।আমি শুধু যানি আমি লিমনকে ভালোবাসি!
তাহা এবার চারিদিকে চোখ বুলিয়ে বলে,
“হুহ, এমন কোন সিধান্ত নিস না যেন পরবর্তিতে পস্তাতে হয়।একটা কথা বলবো তোর মতো আমিও আরিফকে দূরে দূরে রেখেছিলাম।তুই তো যানিস আরিফ আমার পিছনে কেমন ঘুরতো।কিন্তু কখনো পাত্তা দিলাম না।কেন দিলাম না আশা করি যানিস, সে ভার্সিটর সবচেয়ে অবাধ্য ছেলে।কারো বারণ শুনে না, নিজের খেয়াল খুশি মতো চলে,স্যারদের পর্যন্ত সম্মান দিতে যানেনা।তুই যখন হুট করেই ভার্সিটিতে আসা বন্ধ করে দিস।এবং কি আমাদের সাথে যোগাযোগ পর্যন্ত করিস নি সেই দিন আরিফা আমার কাছে আবারো আসে।মনে মনে ভাবলাম তাকে একটা সুযোগ দেওয়া যায়। কিন্তু কখনো ভাবিনী সেই অবাধ্য ছেলে আমার সব কথা বাধ্য হয়ে শুনবে আর এতোটা ভালোবাসবে।আমি নিজেকে এখন সত্যি লাকি মনে করি কেননা আরিফের মতো কেউ আমার জীবন সঙ্গী।

ঈশান ভাইয়াও তোকে ভালোবাসে তার ভালোবাসায় কোন খাদ নেই।আশা করি আমার কথা গুলো ভেবে দেখবি। আমরা লাইব্রেরিতে গেলাম।
নিশি আর তাহা লাইব্রেরির উদ্দেশ্য চলে যায়। কিন্তু ভাবনার জগতে পরে ঈশা। হুট করেই ঈশার চোখের সামনে ভেসে উঠে উঠে তার চিরচেনা অপেক্ষারত মুখটা।
” লিমন!
“ঈশা(হেসে)
” কেমন আছিস লিমন?
” তুই যানিস এই কয়দিন আমার কাছে সব কিছু জাহান্নাম লেগেছে।তোকে একপলক দেখার তৃষ্ণা আমার মাঝে সব চৌচির করে দিয়েছে তুই কবে ফিরে আসবি বল!
“আসবো খুব শীঘ্রই ফিরে আসবো!তুই এখন যা তোকে আর আমাকে কেউ দেখে ফেললে কেলেংকারি হয়ে যাবে।
এভাবে আরো কিছুক্ষন কথা হয় দুজনের মাঝে।
” ভালো থাকিস নিজের যত্ন নিস।
“তুই ও।
লিমন ঈশার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যেন একটি বিশ্বজয়ের হাসি হেসে যায়।

ভার্সিটি থেকে ফেরার সময় ঈশা বেশ ভয়ে ছিল যদি ঈশান যেনে যায়। সে লিমনের সাথে দেখা করেছে তবে তো তার আর রক্ষে নেই।কি হবে!কিন্তু না ঈশানের কাছে সম্পূর্ণ বিষয়টি অজানায় রয়ে যায়।সময় এগিয়ে যাচ্ছে সময়ের মতো কিন্তু দুটো মানুষের কাছে সময় যেন থমকে আছে।কেউ চায় এই অন্ধ ভালোবাসা থেকে মুক্তি কিন্তু কেউ চায় এই অন্ধ ভালোবাসার গভীর থেকে আরো গভীরে হারিয়ে যেতে। আসলেই কি সেই অন্ধ ভালোবাসার গভীরে হারানো সম্ভব নাকি দুইদিনের মায়া ছেড়ে নিজের ইচ্ছায় পাড়ি জমাবে অন্যর হাত ধরে।
ঈশার সাথে এই কয়েকদিন বেশ ভাব হয়েছে লিজার।ঈশান যখন বাড়িতে থাকেনা তখন লিজা আর ঈশা দুজনে নানান গল্পে মেতে থাকে। কিন্তু আজ লিজা ফোন হাতে নিয়ে ঈশার রুমে ডুকেছে এর কারন সে নাকি ঈশাকে একটা ভিডিও দেখাবে….

“যানো ভাবী ওইদিন ঈশান ভাইয়া তোমার জন্য মায়ের সাথে ফাইট করেছে।আমি তো বেশ খুশি হয়েছি মা এমনিতেও পচাঁ বাবাকে সারাদিন বকে।আর ঝগড়া লেগেই থাকে তাদের মাঝে।
ঈশা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে ভাবতে থাকে। স্বামী – স্ত্রীর এই মনমালিন্য ঝগড়া একটি সন্তারের উপর কতটা প্রভাব বিস্তার করে।যদি একটি সুস্থ পরিবার চায় তবে দুজনেরি প্রয়োজন, কিছু ত্যাগ, কিছু বির্সজন আর কিছুটা সময় পরিবারের সদস্য গুলোর সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়া তবেই ভালোবাসা বৃদ্ধিপায় সবার মাঝে।কিন্তু লিপিকে দেখে তা অবশ্য মনে হয় না।ফলে সুখ শান্তি হয়তো ওই পরিবারটার ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
” কি হলো কি ভাবছো তুমি!
“না কিছু না।
” ঠিক আছে তবে এই ভিডিও টা দেখো!
“এটা বাবার কিসের ভিডিও লিজা?
” সেইদিন যখন তুমি ডাইনিং টেবিল থেকে উঠে এসেছিলে তার পেছনেই ভাইয়া আমাকে বলে আমি যেন রুমে চলে যাই কিন্তু আমি রুমে যাই ঠিক তবে….
“তবে কি লিজা?

” তবে দরজার পাশে আড়ালে দাঁড়িয়ে সম্পর্ন বিষয়টা ভিডিও করি।আমি যানি আমার ঈশান ভাইয়া কোন অন্যায় করেনা সে যা করবে যুক্তিসঙ্গত, এবং নির্ভুল।নাও ভিডিও টা দেখো।
ঈশা হাত বাড়িয়ে ফোনটা নেয়।পুরো ভিডিওটা দেখে সে পুরো থ হয়ে গেছে।এতটা ঝগড়া হয়েছে সেদিন।ঈশান জেঠিমাকে মুখের উপর ত্রত জবাব দিয়েছে! কাচের সব কিছু ভেঙ্গে আবার রাগ দেখিয়ে সেই কাচেঁর উপর হেটে এসেছে। এতো কিছু হলো অথচ আমি ভেবেই নিয়েছিলাম আমি চলে আসাতে হয়তো রেগে কিছু ভেঙ্গেছে আর তাই হাতে পায়ের এই অবস্থা কিন্তু তিনি যে আমার বিরুদ্ধের সবার জন্য এককথায় যুদ্ধ ঘোষনা করে দিলেন তা তো যানলাম না।
“কিগো ভাবি কি ভাবছো?
” হুম …. না কিছু না!
এমন সময় ঘরে ডুকে ঈশান।পকেট থেকে চকলেট বের করে লিজার দিকে ছুড়ে মেরে বলে,
“নে পুচকি তোর চকলেট।
” থ্যাংকিউ ভাইয়া।নাও ভাবি তুমিও খাও।
“না না তুমি খাও লিজা।
” আরে নাও, আচ্ছা তোমরা কথা বলো আমি এখন আসি!
লিজা চলে যেতেই ঈশান ঈশাকে বিছানা থেকে টেনে নিচে নামায়।

“আরে এমন করছেন কেন!(বিরক্ত হয়ে)
” চলো না যাই!
“কোথায়?
” ছাদে।আজ চাঁদ উঠেছে চলো না ঈশু।
“পাগল হয়েছেন আপনি এখন রাত বারোটার উপরে বাজে।
” বাজুক চলো!
“না যাবো না।
” ওকে(ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)
ঈশান ঘুরে ঈশার পেছনে দাঁড়ায় সে হয়তো ভাবে ঈশান ঘুমতে বিছানায় যাচ্ছে কিন্তু না সে হঠাৎ করেই তাকে কোলে তুলে নেয়।
“আরে কি করছেন নামান নামা ন বলছি!কেউ দেখে ফেলবে!
” হিসসস চুপ। এখন সবাই ঘুমে। একদম তিরিং বিরিং করবেনা বলে দিলাম।
ঈশান ঈশাকে কোলে তুলে ছাদ পর্যন্ত নিয়ে আসে। আজ পূর্ণিমা।চাদেঁর আলোয় চারিদিকটা মুখরিত হয়ে আছে।গাছের ফুল গুলোতেও আলো ছুয়ে যাচ্ছে।অন্ধকারের মাঝেও একচিলতে আলো যেনো জীবনের আরো একচিলতে সুখ বাড়িয়ে দিল।
ঈশা ঈশানের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে
“ছাদে বাগানের দিকটায় কিছু নিয়নবাতি জ্বালানো থাকতো তবে এখন নেই কেন?
” আজ পূর্ণিমার আলোতে নাহয় মূখরিত থাক সব কিছু।
ঈশান আর ঈশা দুজনে ছাদে রাখা একটি বেঞ্চিতে বসে পরে।ঈশান ঈশার মাথাটা নিজের কাধেঁর সাথে রাখে কিন্তু ঈশা মাথা উঠাতে নিলেও ঈশানের ধমকের সাথে সবটা মেনে নেয়।গুমুট পরিবেশের চারিদিকটায় যেন ঈশা অন্য জগৎতে হারিয়ে গেছে!

“ঈশু একটা কথা বলি?
” হুম
“তোমার কাছে ভালোবাসা মানে কি?
” দুজন দুজনকে বোঝা আর একজন আরেক জনকে একটু স্বাধীনতা দেওয়া।
“তোমার এখন মনে হচ্ছে আমি তোমার স্বাধীনতা টা কেড়ে নিয়েছি কি তাই তো? সব কিছু তোমার উপর জোর করে চাপিয়ে দিচ্ছি।এবার আমি বলি একতরফা যদি ভালোবাসা হয় তবে জোর শব্দটা আসবেই সম্পর্কের মাঝে।তোমাকে বোঝালেও তুমি বুঝতেনা।আমি যা বারন করতাম তুমি সবসময় তার উলটা টা করে গেছো।ঠিক তখনি আমি খারাপ বনে যাই রাগ লাগে ভিষন। আজকে দেখো তোমাকে জোর করে ছাদে নিয়ে এলাম আর তুমি এতো সুন্দর একটি রাতের সাক্ষি হয়ে থাকলে। দিন দিন আমি তোমার উপর কোন বিষয়ে জোর করা,সারাদিন ফোনে তোমার খবর নেওয়া, নিজের হাতে তুলে খাইয়ে দেওয়া এই প্রতিটি অভ্যাস আমি কমিয়ে দেব তখন দেখবে তোমার কেমন লাগে।তখন বলবে আমি আগের মতো ঈশানের খাচাঁয় বন্ধী থাকতে চাই।তখন আর স্বাধীনতার কথা ভাববেনা।যদি সবটা মেনে নিয়ে ভালোবাসার পথে আসো তবে দেখবে সাধীনতা এমনি পেয়ে যাবে।আর আমি তোমাকে কোন দিক দিয়ে পরাধীন করে রেখেছি বলবে! তোমার পরিবারের কাছে যেতে চাইলে যাও কিন্তু তারা তো মেনে নিচ্ছে না আমি চাই তারা মেনেনিক।(দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে)

ঈশার প্রতিটি কথা কলিজায় যেন লাগে কি বলছে ঈশান এগুলো। সত্যি যদি এমনটা হয় ঈশান তাকে আগের মতো কেয়ার করা কমিয়ে দেয়।ভাবতেই আমার গা শিউরে উঠছে আর বাস্তবে হলে তো দম বন্ধ হয়ে মরে।যাবো। আমি যানি ঈশান আমার দিকে প্রাশ্ন বদ্ধ চোখ নিয়ে তাকিয়ে থাকবে এর উওর আমার কাছে নেই।অবশ্য আমার কি আমি তো চাই সে আমাকে ছেড়ে দিক।
ঈশা চোখ দুটো বন্ধ করে ঘুমের ভাব নিয়ে থাকে। যেন সে ঘুমিয়ে গেছে।ঈশানের কোন কথাই সে শুনেনি।ঈশান ঈশার দিকে তাকাতেই খেয়াল করে
ঈশা ঘুমিয়ে গেছে ঈশান সাবধানে তাকে কোলে তুলে নিচে নামিয়ে আনে আর আস্তে করে বিছানায় শুইয়ে দেয়।
ঈশান ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে ফিরতে ফিরতে রাত প্রায় ২টা ১৯ বেজে গেছে।এমন সময় তার ফোনে রাসেল কল করে।ঈশার দিকে একপলক তাকিয়ে ফোনের সামনে আসে,

“রাসেল এতো রাতে কেন কল দিলো?
ঈশান বারান্দায় গিয়ে কলটি রিসিভ করে।
” কিরে তুই এতো রাতে?
“ঈশান গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে!
“” হ্যা বল!।
“আজ ভোরের সময় লিমন আর ভাবী পালিয়ে যাওয়ার কথা আছে। তারা নাকি এখান থেকে ভারতে গিয়ে নামবে।তাদের প্লেনের টিকেট সহ সব কিছু তৈরি করে দিয়েছে ইমন এখন শুধু ভাবী বাড়ি থেকে বের হওয়ার অপেক্ষা!(একনিশ্বাসে)
” খবর কার থেকে পেয়েছিস?(গম্ভীর কন্ঠে)
“ইমনের দলের একজন সদস্যাকে এডভান্স ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আমাদের দলে রাখা হয়েছে।তুই প্লিজ ভাবীর দিকটা খেয়াল রাখ। আমি তোর বাড়ির নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিচ্ছি!গাড অলরেডি ত্রিশ জন ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে তোর বাড়ির পাশে আরো কিছু পাঠিয়ে দেবো তুই চিন্তা করিস না।
” আমার একটা কথা যানার ছিল?(ভ্রু কুচকে ঈশান)
“হুম বল!
” ঈশার সাথে লিমনের ঠিক কথা হয়েছে কি করে?
“ভার্সিটিতে নাকি সকালে ভাবী কোন মেয়ের ফোন থেকে কথা বলে,তখন ঠিক বেশি কিছু বলতে পারেনি কারন তাহা আর নিশি তখন চলে আসে। তারাও ভাবীকে বুঝায় যেন লিমনের সাথে যোগাযোগ না রাখে।এইটুকু বিষয় আমি যেনেছি নিশির কাছ থেকে।
কিন্তু পরবর্তীতে লিমন নাকি ভাবির সাথে ক্লাসেই দেখা করে আর সবটা সিধান্ত নেয়।এইটা ওই দলের একজন বলেছে

” ঈশার ডিপার্টমেন্টের আশে পাশে ক্লাসের বাইরে যাদের থাকার কথা ছিল তাদের কাল সকালে আমি উপস্থিত চাই!
“ওকে।
ঈশানের রাগে শরীর কাপঁছে কিন্তু তাকে এখন মাথা ঠান্ডা থাকতে হবে।খুব সূক্ষ কৌশলে কাজ করতে হবে।ঈশান একবার ঈশার পাশে বসে। না সে জেগে নেই বেঘোরে ঘুমোচ্ছে।সে বালিশের পাশ থেকে ঈশার মোবাইলটা তুলে নেয়।মোবাইলের স্কিনে এলাম চিহ্নটি দেখে, এলাম অপশনে ডুকে। ৩টা ৫০ মিনিটের এলাম দেওয়া তাও সাউন্ডটা একদম কম করে দেওয়া।হয়তো সে ভেবে রেখেছে ঈশানেরো ঘুম ভাঙ্গতে পারে তাই সাউন্ড কমিয়ে দিয়েছে।
” নাহ আমার হাতে এখন বেশি সময় নেই যা জোগাড় করার এখনি করতে হবে।ঈশা তোমার জীবনে আজ এমন ভোর আসবে। যে ভোর তুমি কখনো ভুলবেনা।
ঈশান দেওয়াল ঘড়ির দিকে আরেকবার তাকায় এখন বাজে ২টা ৩৪ মানে তার কাছে আরো একঘন্টা সময় আছে?

You are mine part 9

বাইরে থেকে দরজা লক করে ঈশান স্টোর রুমে যায়। এবং দুইজন গাডের হাতে আরো কিছু প্রয়োজনিয় জিনিস পত্র আনায় এবং সেগুলো গাড়ির পেছনে রাখে।সে আবারো রুমে ফিরে এসে দরজাটা লক করে দেয়। ঈশানের রুমটা সাউন্ড প্রুভ হওয়ায় ভেতরে যদি যুদ্ধও হয়ে যায় বাইরে থেকে কেউ টের পাবেনা।।ঈশান রুমে এসে নিজের শাট টাকে একবার শরীর থেকে আলগা করে দিলো রুমে এসি থাকা সর্তেও সে ঘেমে একাকার।প্রচন্ড রাগে মাথার ভেতরের সব যেন টগবগ করছে যেকোন সময় নাক আর কান দিয়ে সেইসব গলিতো পর্দাথ চালান হবে।ঈশান ঘডিতে আরেকবার টাইমটা দেখে নিলো এখন বাজে ৩টা,৩২।না বেশি সময় নেই সে দ্রুত দুইটা কোলবালিস, তার সাইডে দিয়ে কাথাঁ দিয়ে ঢেকে দেয়। যেনো দেখে মনে হচ্ছে ঈশান ঘুমিয়ে আছে।

দরজার পাশটায় দুটো সোফা সেট ঈশানের রুমে সাজিয়ে রাখা। ঈশান ডিম লাইট টা অফ করে সেই সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে পরে।কাটায় কাটায় তিনটা পঞ্চাশে বেজে উঠে এলাম।
অতিদ্রুত ঈশার ঘুম ভেঙ্গে যায় এলামটা অফ করে ঘাড় ঘুরিয়ে বিছানায় একবার পরখ করে নেয় তার দেখা মতে ঈশান কাথাঁ মুড়িয়ে শুয়ে আছে।সে গুটি গুটি পা ফেলে দরজার সামনে এগিয়ে আসে।যখনি দরজা খুলবে তখনি পাশ থেকে শুনতে পায় এই অপ্রত্যাশিত কণ্ঠ।
“কি বউ পালিয়ে যাচ্ছো।
মূহুর্তেই রুমের লাইট জ্বলে উঠে ঈশানকে দেখতে পেয়ে ঈশা জোরে একটি চিৎকার দেয়।ঈশা সপ্নেও ভাবেনি ঈশান টের পেয়ে যাবে আর সে এই ভাবে ধরা পরবে।তখনি ঈশান রুমাল নিয়ে ঈশার মুখ বেধেঁ দেয়।মোটা দড়ি দিয়ে হাত বেধেঁ দেয়।ঈশান তার পকেটে ঈশার ফোন আর তার ফোন পুরে ঈশাকে কোলে তুলে সাবধানে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় কেউ টের ও পেলোনা।ঈশান ঈশাকে গাড়িতে বসিয়ে দরজা লক করে দেয়, নিজে ড্রাইভিং সিটে বসে, ঈশার দিকে তাকিয়ে দাতে দাত চেপে বলে,

” পালনোর শাস্তি তোমার প্রাপ্য জান। আজ কি হবে আমি ঠিক নিজেও যানিনা।চলো আমার শাস্তির রাজ্য ঈশান শাহরিয়ারের ভালোবাসার রাজ্য যতটা বিষাক্ত তার শাস্তির রাজ্য ঠিক তার থেকেও বিষাক্ত?।(বাকা হেসে)
ঈশা ভয়ে ঢোক গিলে ভাবতে থাকে তবে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তাকে???

You are mine part 11