You are mine part 9 || premer kotha

You are mine part 9
Poly Anan

“ভাইয়া দারুন খবর আছে।ঈশা আর ঈশান একসাথে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে একটু আগে?(অস্থির হয়ে লিমন)
” তাতে আমাদের কি লাভ(শান্ত কন্ঠে ইমন)
“কি বলছো ভাইয়া তুমি চলো আমরা ঈশান কে মেরে ঈশাকে তুলে আনি।তাহলে আমার সপ্ন পূরন হবে সাথে তোমারো!
” আহ লিমন তুই আমার সব প্লান ভেস্তে দিবি কি হচ্ছে দেখে যা।তোর থেকেও আমার ঈশাকে প্রয়োজন বেশি। তোর তো ঈশাকে সর্বোচ্চ এক সাপ্তাহ লাগবে কিন্তু আমার ঈশাকে দিয়ে সবচে বেশি সার্থ উদ্ধার হবে। তাই সবটা সামাল দিতে দৈর্য্য ধর। দৈর্য্যর ফল অতি মিষ্টি।
“উফফ আর কত ঈশা আর ঈশানকে দেখলেই মাথায় আগুন লেগে যায়। I swear I want Isha, for one night if needed.
” চিন্তা করিস না তোর চাওয়া তুই পেয়ে যাবি!

পিচ ঢালা রাস্তা পার করে সাই সাই করে গাড়ি ছুটে চলছে। ঈশা ঈশানকে এই সহ ছয়বারের উপর জিজ্ঞেস করেছে কোথায় যাচ্ছে তারা প্রতিবারি ঈশান সারপ্রাইজ বলে কথা ঘুরিয়ে নিয়েছে।
“আমার কিন্তু এবার সত্যি বিরক্ত লাগছে আপনি বলবেন আমারা কোথায় যাচ্ছি?
” উফফ তখন থেকে আমার মাথা খেয়ে দিচ্ছো তাহলে সত্যিটা বলেই দি…
“হ্যা আমিও যানতে চাই(আগ্রহ নিয়ে ঈশা)
” আমি তোমাকে নিয়ে যাচ্ছি একটা ডেরায়।সেখানে আজ তোমায় বেধেঁ রাখা হবে এবং রাত ১ টায় তোমাকে বিদেশে পাচার করে দেওয়া হবে।
ঈশা ড্যাবড্যাব করে ঈশানের দিকে তাকিয়ে আছে। সত্যি কি তাকে বেচে দেবে!
“ক..কিহ সত্যি আমাকে……
” হ্যা সত্যি আমি গুন্ডা,মাস্তান এর থেকে বেশি আমার কাছে আর কিচ্ছু আশা করোনা(সিরিয়াস ভংগিতে)
“আপনি মজা করছেন তাই না(ঠোট উলটে)
” না একদম মজা না আমি সিরিয়াস।
ঈশা এবার সত্যি ভয় পেয়ে যায় সে মুখে হাত দিয়ে ডুকরে কেদে উঠে। ঈশানের ঈশার কান্না দেখে বেশ হাসি পাচ্ছে কতটা বোকা এই মেয়ে।
“দেখো ঈশা কেদে লাভ নেই। আমি তোমার কান্নার দিকে তাকিয়ে থাকবো না তোমাকে বেচেঁ আবার অন্যকোন মেয়েকে পটাতে হবে তারপর বিয়ে। তারপর আবার বিক্রি।
ঈশা কেদেই যাচ্ছে ভয়ে তার গলা শুকিয়ে কাঠ।কিছুক্ষন পর ঈশান একটি বাড়ির সামনে গাড়ি দার করায় ঈশান গাড়ি থেকে নেমে ঈশা কে ও নামতে বলে কিন্তু ঈশা মাথা দিয়ে বার বার বারন করে যাচ্ছে।

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

” ঈশু নামবে নাকি টেনে নামাবো।
“নামলেই আপনি বেচেঁ দেবেন।আমি নামবো না।
” ঈশু এবার কিন্তু আমার মাথা গরম হচ্ছে।
ঈশান ঈশার হাত ধরতে নিলেই ঈশানকে ধাক্কা দিয়ে ঈশা ছুটে গেইটের দিকে দৌড় লাগায়।ঈশার হঠাৎ কান্ডে ঈশান ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায় ।ঈশা কিছুদূর গিয়েই আবার থমকে দাঁড়িয়ে যায়।
একি তার জায়গাটা চেনা চেনা লাগছে!ঈশা পেছনো ঘুরে আরেকবার সম্পূর্ণ পরিবেশটা পরখ করে নেয়।
“ওমা এটাতো ফুফুর বাড়ি।
ঈশার ভাবনার মাঝেই ঈশান খপ করেই তার হাতটা ধরে নেয়।
” অনেক জ্বালিয়েছো ঈশা একবার বাড়িতে যাই সব শোধ তুলবো আমি!
“আপনি আমায় ফুফুর বাড়িতে আনলেন কেন?
” কেনো বেচেঁ দিতে।চলো ভেতরে যাই।
ঈশা ঈশানের হাত টেনে ধরতেই, ঈশা থমকে যায়।
“আমায় তারা মেনে নিবেনা(মন খারাপ করে)
” একবার তো চেষ্টা করা যায় ঈশু(ভরসা দিয়ে)
বাড়ির বেলডোরের শব্দে দরজা খুলতে এগিয়ে আছে হাসিন। কিন্তু দরজা খুলে এমন একটি মূহুর্ত দেখবে সে কিছুতেই ভাবেনি।ঈশা আর ঈশান দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
ঈশা হাসিন ভাইয়া বলে দৌড়ে এগিয়ে আসতে নিলেই হাসিন সরে যায়।
“এখানে কেন এসেছিস ঈশা?
” ভাইয়া….!

“তোর আর কেউ নেই ঈশা সব মরে গেছে। আসলে তুই তো কাউকে আপনি ভাবিস না।
হাসিনের চিৎকার শুনে এগিয়ে আসে তার ফুফু।
” ফুফু(ছলছল চোখে)
ঈশার ফুফু ঈশাকে টেনে ঘরে ডুকায়। পরম আবেশে জড়িয়ে ধরে।তার চোখের জল ছল ছল করছে মেয়েটা কি করে পারলো এমন একটা ভুল সিধান্ত নিতে সেকি যানেনা তাকে ছাড়া প্রত্যাকটা মানুষের অনুভূতি শূন্য।
ঈশার ফুফু আতিয়া তাকে জড়িয়ে ধরতে নিলেই হাসিনের কথা শুনে থমকে যায়।
” মা তুমি কি ভুলে গেছো মামাকে দেওয়ার কথাটা।
মূহুর্তেই আতিয়া থমকে যায়। তিনি ঈশার বাবাকে কথা দিয়েছেন কিছুতেই ঈশার সাথে যোগাযোগ রাখবে না।যদি তা না করে তবে তার একমাত্র ভাইয়ের মরা মুখ তাকে দেখতে হবে।
“ঈশা তুই এই বাড়ি ছেড়ে চলে যা আমরা তোর কেউ না(কঠোর হয়ে)
” ফুফু এইভাবে বলছো কেন!
“তো কিভাবে বলবো।
এবার মুখ খোলে ঈশান,
” দেখুন যা হয়েছে সবটাই এক্সিডেন্ট আপনি ঈশাকে মেনে নিন।আমাকে একটু হলেও বিশ্বাস করতে পারেন। আপনাদের মেয়ের অমর্যাদা আমি করবো না!

“বিশ্বাস! হু তোমাকে।তোমার মতো একটা গুন্ডা মাস্তানকে আবার বিশ্বাস।ঈশা(ঈশাকে উদ্দেশ্য করে)আর কখনো এই বাড়িতে আসবিনা।তোর বাবার সাথে সাথে তোর ফুফু ও মরে গেসে।
আতিয়া তার রুমে গিয়ে দরজা আটকে দেয়।ঈশা সেই দিকে যেতে নিলেই হাসিন রাস্তা আটকে বলে,
” এদিকে কোথায় যাচ্ছেন আপনি বের হোন বের হোন!নিম্ন আয়ের একটা চাকরি জিবি ছেলেকে বিয়ে করতি কিচ্ছু বলতাম না কিন্তু একটা রাস্তার কুত্তাকে বিয়ে না করলেও পারতি!
হাসিনের শেষ কথায় মাথার রক্ত টগবগ করে উঠে ঈশানের।কপালের নীল রগটা ফুলে দপ দপ করছে।তার রাগ এতো টা চড়ে গেছে যে সারা শরীর ঘেমে একাকার।ঈশান রাগ দেখিয়ে দেয়ালে একটা পাঞ্চ করে।সাদা ব্যান্ডেজ মোড়ানো হাতটায় আবারো গড়িয়ে রক্ত পরতে শুরু করে।ঈশানের এমন কান্ডে হাসিন আর ঈশা শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।
ঈশান তার হাতের ওয়াচ টা খুলে কাচের ডাইনিং টেবিলের উপর শব্দ করে রাখে।পড়নের ব্লেজার টা খুলে চেয়ারের উপর রাখে।কপালের সামনে আসা অবাধ্য চুলগুলোকে পেছনে ঠেলে সামনে নিতে থাকে।হাসিনের দিকে শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,

“আপনার মাকে ডাকুন!
ঈশানের দৃষ্টি শান্ত হলেও চোখের মনিতে যেন আগুন ঝরছে।ঈশানের দৃষ্টিতে কিছু টা ভয় পেয়ে যায়। হাসিনের কোন রেস্পন্স না পেয়ে এবার ঈশান ধমকে বলে,
” আমি বলেছি আপনার মাকে এখানে উপস্থিত করতে,, কথাটা কি কানে যায় না আপনার।
হাসিন কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। তাই তার মাকে ডেকে আনে।
ঈশান এবার সবার দিকে একনজর তাকিয়ে বলে,
“হাসিন ভাই আপনি চাকরি করেন নিশ্চই IS গ্রুপে.কি তাই তো?
” হ..হ্যা। তুই যানলি কি করে)
“ওয়েট বলছি সব উওর পাবে।তোমার সাথে যারা কাজ করে তাদের বেতন কত?
” ২০-২৫ হাজার…..
“কিন্তু তোমার?
“সব মিলিয়ে ৩০ -৩৫ হাজারে পরে….
” আচ্ছা কিন্তু এই কয়েক হাজার টাকা তোমায় বাড়তি কেন দেওয়া হচ্ছে?
“হয়তো আমার কাজে তারা খুশি তাই!
” তোমার কাজে খুশি হওয়ার মতো কিছু তো তুমি করনা উলটে অফিসের অর্ধেক সময় গার্লফ্রেন্ডের সাথে ফোনে কথা বলো?(ভ্রু নাচিয়ে)
“ত..তোকে এইসব মিথ্যা কে বলেছে.

” চুপ একদম চুপ। এই ঈশান শাহরিয়ার মিথ্যা বলেনা…সেটা তুই ভালো করেই যানিস।উপ্সসসস সরি তুমি তো আমার বড় তবে হাসিন ভাই।
আতিয়া আর ঈশা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে কোন কথাই মাথায় ডুকছেনা তার।
“এবার আসি আসল কথায় (শাটের হাতা ভাজ করতে করতে)
” IS গ্রুপের বস কে কখনো নিজ চোখে দেখেছো?
“ন..নাহ।
” তিনি সবটা মেনেজার রফিকের সাহায্য করে কি তাই তো?
“হুম..
” তুমি সেখানে চাকরি করো ৫ মাস হতে চললো রাইট?
“হুম।
” আমার প্রশ্ন Is কোম্পানির মালিককে কি তোমার রাস্তার কুত্তা মনে হয়?
“একদমি না কাকে কি বলছিস ভেবে কথা বলিস তিনি একজন সম্মানীয় ব্যাক্তি।দেশ বিদেশে তার অনেক সুনাম।
” ওহ রিয়্যালি!তাহলে আমাকে রাস্তার কুত্তা বললি কেন?(চিৎকার দিয়ে)
“তার সাথে তোর অনেক তফাত সে একজন…….
ওয়েট তার সাথে তোর সম্পর্ক কি?(ভ্রু কুচকে)
ঈশান হাসিনের কথা শুনে উচ্চ শব্দে হাসতে
থাকে….।তার কাছে আজকের বিষয়টা যেন বেশ মজাই লেগেছে।

” সেই Is গ্রুপের মালিকের নাম যানিস? (ভ্রু কুচকে ঈশান)
“কেন নয় IS গ্রুপের মালিক ঈশান শাহরিয়া…..
আর বলতে পারলোনা হাসিন মুহূর্তেই তার মাথাটা পুরো ফাকা ফাকা লাগছে তবে IS গ্রুপের মালিক এই ঈশান!কিন্তু কি করে?
” হুম তুই ঠিক ভাবছিস। আমি সেই ঈশান শাহরিয়ার যে তোর অফিসের বস।আসলে আমার অফিসে এতো হাই লেভেলের চাকরি করার কোন অধিকারি তোর ছিল না।কিন্তু সেই দিন ইন্টারভিউ এর সব ফাইল আমি যখন দেখছিলাম তখন তোর ফাইলটা আমার সামনে পরে এবং তোকে এই পোস্টা দেওয়ার জন্য আদেশ করা হয়।বাকি দিন গুলো সব ঠিক ঠাকি চলছিল।আমার নির্দেশে তোর মাইনে থেকে তোকে আরেকটু বেশি সেলারি দেওয়া হয়।কিন্তু মেনেজার আমাকে অনেক বার তোর নামে নালিশ করেছে তুই তেমন কাজে মনোজক দেস না অর্ধেক সময় ফোনে কথা বলিস।।আর আমাদের অর্ধেক কাজ জমা হয়ে থাকে। তোর জন্য আরেক জন এমপ্লয়ি বাড়ানো হয়।কাজ গুলো যেন তাড়াতাড়ি শেষ করা যায়।কিন্তু তোকে তবুও কাজ থেকে বের করিনি।আমি তখনো যানতাম না তুই ঈশার ভাই। বন্ধু হিসেবে তোকে সব থেকে সুযোগ সুবিধা দিয়ে এসেছিলাম আমি। আর আজ তুই আমাকে রাস্তার কুত্তা বলিস?(চিৎকার দিয়ে)

ঈশা আর আতিয়া তাকিয়ে আছে ঈশানের দিকে।তার।কপাল জুড়ে ঘাম ঝরছে। রাগ যেনো তার এখনো কমেনি কিছু যদি ভাঙ্গতে পারতো তবেই হয়তো তার রাগ কমে যেত।হাসিন মাথা নিচু করে মেঝের দিকে তাকিয়ে আছে।
“আরেকটা কথা তুই আমার থেকেও বড় কিন্তু সম্মান অর্জনের দিক থেকে আমি তোর আগে।তুই তো খবর ও রাখিস না।তোর গফ কি শুধু তোর নাকি পুরা ঢাকা শহরের।বর্তমানে একসাথে ৩টা ছেলের সাথে তার এফেয়ার।আর তোর কথা কি বলবো দামি গিফট সাপ্তাহে দামি রেস্টুরেন্টে খাওয়ানো সবটাই তোর পকেট লুট করে নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমাকে রাস্তার কুত্তা বলিস তাই না এই কুত্তাটা তোর মতো ড্যাং ড্যাং করে এতো মেয়ের পেছনে ঘুরেনি।
নিজের সম্মান স্টেটাস অর্জন করছে তারপর শুধু একটি মেয়ের পেছনে ঘুরেছে আর সে হলো তোর বোন।কিন্তু আফসোস কি যানিস তোর বোনটা আমাকে পাত্তায় দিলোনা।এইযে বিয়ের পরেও একই অবস্থা পাত্তা দেয়না।

আমি ঈশান শাহরিয়ার তোর বাড়ির মতো দশটা বাড়ি আমি একদিনে কিনতে পারি(চিৎকার দিয়ে)
আর তুই কিনা আমার বউকে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছিস।(ঈশাকে টেনে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে)আর শুন ঈশার সাথে কথা বলতে এখন থেকে নূন্যতম সম্মান দিয়ে কথা বলবি কারন সে মিসেস ঈশান শাহরিয়া।তোর অফিসের বসের বউ।মেডাম ও বলতে পারিস।
ঈশা মাথাটা তুলে ঈশানের দিকে তাকিয়ে আছে।ঈশানের ঘামে ভিজে যাওয়া শাটের সাথে সে লেপ্টে আছে।তার নাকে আসছে অন্যরকম ঘ্রাণ মনের যানান দিচ্ছে হাজারো অনুভূতির।
” গেলাম তোর বাড়ি থেকে। তোর মামাকে বলিস উপ্সস সরি আমার শশুড়কে বলিস তার মেয়েকে যেন ক্ষমা করে দেয় সম্পূর্ন দোষটা আমার কেননা আমি তাকে জোর করে বিয়ে করেছি আর আজ সবার কাছ থেকে এতো দূরত্ব আমার কারনেই।

ঈশার হাত ধরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ঈশান।রাগে এখনো তার শরীর থরথর করে কাপছে।
একটি নদীর পাড়ে শান্ত হাওয়ায় গা ভাসিয়ে দিচ্ছে ঈশান। তার পাশে বেঞ্চিতে বসে ফ্যাচফ্যাচ করে কেদেই যাচ্ছে ঈশা। ঈশান প্রায় দশ মিনিট থেকে তার কান্না থামাতে উঠে পড়ে লেগেছে কিন্তু কান্না থামানোর নামি নিচ্ছেনা।হুট করেই এমন একটি কথা ঈশান বললো যে ঈশার কান্না উধাও।
“ঈশা আমি সিধান্ত নিয়েছি বাবা হবো।তবে তোমার বাবা নানাভাই হবে নাটক সিনেমার মতো সবাই তখন নাতি বা নাতনির উছিলায় আমাদের মেনে নেবে।
ঈশা লাফিয়ে বেঞ্চি থেকে নেমে যায়।অবাক হয়ে ঈশানের দিকে তাকিয়ে থাকে।
” কি হলো লাফালাফি করছো কেন?
“আপনি কি বলছেন এইসব মাথা খারাপ?
” না আমার মাথা ঠিকি আছে।
“না আপনার মাথা ঠিক নেই পাগল হয়ে গেছেন আপনি?(দাতে দাত চেপে)
” হ্যা পাগল তো হয়েছি তোমার জন্য!
“উফফ অসহ্য!

” সহ্য।কি! আমাকে বাবা হওয়ার সুযোগ করে দেবে না ঈশা(ঠোঁট উলটে)
“পাগল আপনি কি বলেন এইসব?(আড় চোখে তাকিয়ে)
” ওওঅঅঅঅঅঅ আমি বুঝেছি তোমার লজ্জা লাগছে লজ্জা পেতে হবেনা।নাকি বাচ্চা হলে তোমার আদরের ভাগ কমে যাবে তাই তুমি বাচ্চা চাও না(ভ্রু কুচকে)
“দেখুন আমার এখন মজা করতে ভাল্লাগছেনা।
নদীর ঢেউয়ের দিকে তাকিয়ে আছে দুজনেই। দুজনের মনে চলছে হয়তো ভিন্ন রকম ভাবনা।
” ঈশু তোমার এক্সামের দেরি আর কিন্তু বেশি নেই।কাল থেকে তোমার কলেজ যাওয়া প্র‍য়োজন!
ঈশা চকিতে তাকায় ঈশানের দিকে সে ভেবেই নিয়েছিল তাকে হয়তো আর পড়তে দেওয়া হবেনা।
“আমি আমার পড়া লেখা চালিয়ে যাবো?
” অবশ্যই চালিয়ে যাবে।আমি দুনিয়া চষে বেড়ালেও পড়া লেখা আমার ঠিক ছিল।এককথায় স্কুল,কলেজ ভার্সিটি লাইফে আমি ছিলাম অলরাউন্ডার।সেই ঈশান শাহরিয়ারের বউ যদি ফেল্টুস হয় তাহলে আমি মেনে নেবো না।

“তাহলে সত্যি কাল ভার্সিটিতে যাবো?(খুশেতে গদগদ হয়ে)
” হ্যা অবশ্যই যাবে।তবে ভেবোনা তুমি উড়ন্ত পাখি বেসে আবারো উড়ে বেড়াবে। তোমার জন্য আলাদা আমার স্পাই টিম আছে।তারা আগে যেমন তোমার উপর নজর রাখতো এখনো রাখবে।ভার্সিটির কোথায় কোন কোনায় তারা আছে তুমি বুঝতেও পারবেনা।হয়তো তুমি ক্লাস করছো তোমার দুই তিন হাত পেছনেই তারা বসে আছে এমনো হতে পারে?।(বাকা হেসে)
তাই সাবধান এমন কিছু করবেনা যাতে আমি আরো খারাপ বনে যাই।
বেচারি ঈশা মনের মাঝে উড়ন্ত সব আশা। আকাশের তারার মতো খসে গেল!
পরের দিন সকালে ঈশা ভার্সিটি যাওয়ার জন্য দুজনে একসাথে তৈরি হয়।ঈশা নরমাল লং রাউন জামার সাথে তার লম্বা চুল উচু করে জুটি করে ছেড়ে দেয়।তারপর উপর দিয়ে উড়নাটা সুন্দর করে মাথায় দিয়ে সবটা কমপ্লিট করে। কিন্তু ঈশান যখনি তার এই সাজ দেখে তখনি চিৎকার দিয়ে ছুড়ে দেয় আরেকটি বাণী।

You are mine part 8

“বাইরে যেতে হলে এখন থেকে হিজাব করে যাবে..(গম্ভীর কন্ঠে)
” আমার কাছে কোন হিজাব নেই আর আমি কখনো হিজাব পড়িও না। তাই বাধতেও পারিনা।
“যানতাম এমন টা হবে তাই শাড়ির সাথে সাথে হিজাব বাধাও শিখে নিয়েছি।
” এএএএএ(চোখ উলটে)
“হ্যা.(কাভাড থেকে হিজাব নামাতে নামাতে)
” আমি পড়বোনা!
“যদি হিজাব না বাধো তবে বাড়ি থেকেও বের হতে পারবেনা এটাই আমার শেষ কথা(রেগে)
ঈশা মুখ ফুলিয়ে বাধ্য মেয়ের মতো ঈশানের সামনে দাঁড়ায় আর নিজের হাতে সুন্দর করে হিজাব পড়িয়ে দেয়।
” বেশি করে সেপ্টেপিন দিয়ে দিলাম খুলে যাবেনা আর আশা করি।প্রথম প্রথম আনেজি ফিল লাগবে বাট পরে ঠিক হয়ে যাবে।
“হ্যা হ্যা বুঝেছি?(মুখ ভেঙ্গচে)
” কিন্তু আমি তো বুঝিনা!
“কি বুঝেন না।
” হিজাবে তোমায় আরো সুন্দর লাগছে এবার আমি কি করি ছেলেদের নজর সহজেই পড়ে যাবে তোমার উপর ওহ গড আমি এবার কি করি(মনে মনে)
“কি হলো কথা বলছেন না কেন?
” না কিছু না চলো!
“হুমা।

ঈশা আর ঈশান সবার থেকে বিদায় নিয়ে বের হতে গেলেই লিপি বেগম তাদের উদেশ্য করে দুই চারটা কটু কথা শুনিয়ে দেয়।
” উহহ বিয়ের পরেও মেয়েদের পড়ানো ঠিক না এতে ঠ্যাং বেড়ে যায়।দুইদিন পর দেখো গলায় ছুরি দিয়ে সব হাতিয়ে নেবে।
ঈশান পেছনে ঘুরে একবার তাকালে ঈশা তাকে চোখ ইশারায় চুপ থাকতে বলে,
“দেখবো দেখবো এই পিরিতি কয় দিন থাকে আরে সব ছুটে যাবে সময় হোক।
ঈশা ঈশান দুজনেই ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।ঈশা বাইকে বসে ঈশাকে তার পেছনে বসার জন্য ইশারা করে এতে ঈশা বেশ রেগে যায়।
” একি আপনি বাইক নিয়েছেন কেন?কার কোথায়!
“আজ বাইক দিয়েই যাবো তোমার সমস্যা!
” আলবাদ সমস্যা আপনি যে এইসব ইচ্ছা করেই করছেন তা আমি যানি।
“যানলে ভালো। এবার উঠো!
” ঈশা উঠে পড়ে কিন্তু ঈশানের কাধেঁ হাত রাখে না।
“আমাকে ধরে বসো না হলে পরে যাবে!
” পড়বো না আপনি চালান।

ঈশান স্পিট বাড়িয়ে দিলেই ঈশা ঈশানকে জাপটে ধরে।ঈশান মনে মনে বলে,
“আর কত দিন দূরে থাকবে আমি ও দেখবো।
ভার্সিটি গেইটের সামনে নেমে যায় দুইজন।ঈশান গেটের ভেতরে ডুকতেই একে একে সবাই সালাম দিতে থাকে সবার সাথে বেশ ভালোই সম্পর্ক ঈশানের তা বুঝা যাচ্ছে….
ঈশান ঈশাকে ক্লাসের সামনে দিয়ে, বিদায় নিয়ে চলে যায়।ঈশা দ্রুত ক্লাসে ঢুকে তার পরিচিত এক ফ্রেন্ড রিতুর কাছ থেকে ফোন নিয়ে লিমনকে ফোন করে। লিমনের সাথে কথা বলার মাঝ পথেই পেছন থেকে কেউ তাকে বেশ গম্ভীর কন্ঠে ডেকে উঠে,,
” ঈশা….(গম্ভীর কন্ঠে)

You are mine part 10