You are mine part 8 || romantic valobashar golpo

You are mine part 8
Poly Anan

“নিজেকে খুব সাহসি ভাবেন তাইনা।হাত – পায়ের কি জঘন্য অবস্থা অথচ আপনি চুপচাপ হাসি মুখে বসে আছেন। আমি এবার কি করি?
চোখের পানি বাম হাতের তালু দিয়ে মুছতে মুছতে কথাটি বলে ঈশা।দরজা খুলে যখন ঈশানের রক্তাক্ত অবস্থা দেখতে পায় তখনি হাত টেনে ধরে বিছানায় বসিয়ে দেয় । তারপর থেকেই তার অস্থিরতা শুরু। ঈশার অস্থিরতা বেশ উপভোগ করছে ঈশান।কেননা এই প্রথম ঈশা নিজে থেকে ঈশানকে স্পর্শ করেছে।
” একটু পা আর হাত কেটেছে তাতেই এই অবস্থা তোমার?
“কি একটু?একটু কেটেছে চোখে কি দেখতে পান নাকি কোথায় একটু কেটেছে কতটা কেটে গেছে আপনার হিসাব আছে।আমি বাবাকে বলছি ডাক্তার নিয়ে আসতে….
ঈশা দরজার দিকে জেতে নিলেই পেছন থেকে ঈশান হাত টেনে ধরে…
” যেওনা প্লিজ, বাবাকে ডাকা দরকার নেই।এইসব চোট পাওয়ার অভ্যস আমার আছে তুমি বরং ফাস্ট এইড বক্সটা নিয়ে এসো একটু পরিষ্কার করে ওষুধ লাগিয়ে দাও। নাহলে থাক আমি নিজেই পারবো তুমি কাভাড থেকে বক্সটা দাও!
ঈশা ফাস্ট এইড বক্স এনে ঈশানের সামনে মঝেতে বসে পরে।

“দেখি পা টা দিন।
” কি?তুমি আমার পা ছোঁবে। নো ওয়ে, কখনো না।
“আর ঢং করতে হবেনা পা টা দিন!
“ঈশা তুমি আমার পা ছুঁবে কেন?প্রয়োজন নেই আমি কাচ বের করে নিচ্ছি।
” আপনি কি আমার কথা শুনবেন? নাকি আমি নিজেই পা টা টেনে আনবো (রেগে)
ঈশা তার পা টা বাড়িয়ে দেয়।ঈশা একে একে সব কাচেঁর টুকরো বের করে নেয়।ঈশার পরনের হুলুদ রঙ্গের শাড়ি। সেই শাড়িটির মাঝে রক্তের ছাপ পরে গেছে।রক্ত দেখলেই তার মাথায় চক্কর দেয় কিন্তু নিজেকে অনেই কষ্টে স্থির রেখে কাজটি সম্পূর্ন করে যায়।
ঈশানকে ওয়েনমেন্ট লাগানোর সময় ঈশার অবস্থা দেখে বেশ হাসি পায় ঈশানের। ব্যথাটা যেন সে নিজে পাচ্ছে অনেক সাবধানে,ফু দিয়ে আসতে আসতে ঈশানের পায়ে এবং হাতের ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছে।এদিকে ঈশান এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ঈশার দিকে।প্রতিদিনের ঈশা আর আজকের এই মূহুর্তের ঈশার মাঝে যেনো হাজারো তফাত। তার চোখে মুখে ভয়ের ছাপ,কান্নার পূর্বাভাস, সব মিলিয়ে ঈশানের জন্য সে চিন্তা করছে এইসব ভেবেই আনন্দে আত্নহারা ঈশান।

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

“ঈশু(আবেগী কণ্ঠে ঈশান)
” হু (কাজ করতে করতে আনমনে)
“একটা গান শুনবে?
” এই মূহুর্তে আপনার মুখে গান বের হচ্ছে? আশ্চর্য পাগল আপনি(রেগে)
“আহ তুমি তোমার কাজ করো আমি গান গাই।
ঈশা আবারো তার কাজে মনোযক দেয় আর ঈশান ঈশার চোখের দিকে তাকিয়ে গান ধরে,
~তার চোখে যেনো দেখলাম আজ দিনটা বড় মেঘলা বুঝি বৃষ্টি নামবে বললো সে আমায়…..
কেন মেঘসরেনা রত্যি কেন গল্প হয় না সত্যি….
আমি মরতে তারি তৈরি দোটানায়……. দোটা—-
গানটি আর শেষ করতে পারেনি ঈশান তার আগেই ঈশা একটি ধমক দিয়ে থামিয়ে দেয় তাকে।
” হয়েছে আর গাইতে হবেনা।কানটা আমার শেষ করে দিলো!
“আচ্ছা আর গাইবো না।কিন্তু ঈশু।
” হু!
“জেঠিমার কথায় তুমি কিছু মনে করোনা প্লিজ। ওই মহিলাকে আমি আগে থেকেই সহ্য করতে পারিনা। আমি যানতাম আসলে যেকোন একটা ঝামেলা পাকাবেই।প্লিজ আমার বউটা এইসব কথা ভুলে যাও। আচ্ছা জেঠিমার হয়ে আমি তোমার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি!

” তার কোন প্র‍য়জোন নেই।
রুম কাপিয়ে হঠাৎ করে বেজে উঠলো ঈশার ফোন।যুগল ভ্রু কুচকে ঈশান বলে,
“এতো রাতে কে ফোন করেছে তোমায়।
ভয়ে ঈশার দম বন্ধ হয়ে আসছে যদি লিমন ফোন করে থাকে তবে তো ঈশান বুঝে ফেলবে বিছানা থেকে ঈশা ফোনটি নিতে গেলেই তার আগে ঈশান খপ করে ফোনটি তুলে নেয়।স্কিনের দিকে তাকালে “baba” লেখাটি ভেসে।
“ঈশু তোমার বাবা ফোন করেছে, কথা বলো আর হ্যা স্পিকারটা যেন অন থাকে.
” কি!বাবা আমি কথা বলবো না আমার ভিষন ভয় করছে।(কান্নার ভঙ্গিতে)
“টেনে একটা চড় দেবো!বাবা কি বলে তা আগে তুমি দেখো যানতে চাও তিনি কি সমাধান চায়?
ঈশা ফোনটি হাতে তুলে নিয়ে কথা বলতে থাকে..
” হ্যালো বাবা!
“খবরদার আমাকে বাবা ডাকবিনা!আমাকে বাবা ডাকার মতো কোন মুখ তুই রাখিস নি।কি করে পারলি এমন একটা সিধান্ত নিতে একটা গুন্ডা ছেলেকে বিয়ে করেছিস।ছিহ ঈশা ছিহ তোকে আমার মেয়ে ভাবতেও ঘৃণা হচ্ছে।
” বাবা(ছলছল চোখে)

“তোকে বলেছিনা আমাকে বাবা ডাকবিনা। আর শুন আমি মরে গেলেও আমাকে দেখতে আসবি না এটাই শেষ কথা আমার তোর সাথে।
ঈশার বাবা মুজাহিদ খান ফোনটা কেটে দেয়।এদিকে ঈশা মেঝেতে বসে বিছানায় মাথা রেখে চাদর খামচে কাদতে থাকে।
” বাবা আমাকে ভুল বুঝো না আমি ইচ্ছে করে কিচ্ছু করি নি।আমাকে দূরে ঠেলে দিওনা বাবা।(কেদে)
ঈশানের আজ খুব খারাপ লাগছে। তার কারনে মেয়েটা সব দিক থেকে হ্যারাসমেন্ট হচ্ছে।ঈশান ঈশার পাশে বসে, কাটা হাত দিয়ে ঈশার মাথাটা নিজের বুকে রাখে।যদিও ঈশা রাখতে চায়না কিন্তু ঈশানের ত্যাড়ামির কাছে সে হার মানে।ঈশা ঈশানের শাট খামছে ধরে কাদতে থাকে।আর ঈশান পরম যত্নে তার প্রেয়সীর মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে থাকে কিছু অজানা কথা।
“ঈশু….?
“…..(কেদেই যাচ্ছে)…
” ঈশু কাদেনা প্লিজ আমার কথাটি একবার শুনো?কি শুনবে তো?
“হুম্মম্ম(কেদে কেদে)
” এইযে তোমার পাগল স্বামীটা এক কথায় সবাই যানে গুন্ডা কিন্তু সত্যটা কয় জনে যানে?কিন্তু তুমি তো আমার বউ আমার সব কথা তোমার যানা অধিকার আছে।

তোমার বর কোন নিরিহ মানুষের প্রাণ নেয় না।তোমার বরের আলাদা একটা গ্যাং আছে ঠিক তবে সেই গ্যাংটা সম্পূর্ণ মাদক বিরধী এবং হাজারো অন্যয়ের প্রতিবাদের একটি দল।যদিও প্রকাশ্য আমরা সবাই গুন্ডা বলে বিবেচিত হা হা হা।কিন্তু যারা যানে তারা এক নামে এই ঈশান শাহরিয়ার কে সম্মান করে।
গত মাসে আমাদের সংস্থা থেকে চারজনকে খুন করা হয়েছে এর কারন কি যানো? কারন এদের মধ্যে তিনজনি ছিল ধর্ষক! আরেক জন ছিল মাদক ব্যবসায়ী তাকে আমরা ভালো হতে পাচঁ মাসের সুযোগ দিয়েছিলাম কিন্তু সে গোপনে তার কাজ চালিয়ে গেছে..তাই আমার দলের লোকরে তাকে হত্যা করে।আর আমারদের কোন খুন, হত্যার প্রমান আমরা রাখিনা…!কেউ বুঝেও না এই মানুষটা আমাদের হাতে খুন। মাদক ব্যবসায়ীর পরিবারে সে একমাত্র উপার্জন কারি ছিল সে তাই আমরা তার পরিবারের ভারণ পোষনের দায়িত্ব নিয়েছি।এরো কম হাজারো ঘটনা অতিতে ঘটে গেছে।
আর ভেবোনা এই পথ থেকে যা রোজগার হয় তা দিয়ে তোমার বর সংসার চালায়!এইসব টাকা গরিবদের মাঝে সমান ভাগে ভাগাভাগি করে দেওয়া হয়।তোমার বর বিদেশে এক্সপোর্ট – ইনপোর্টের ব্যবসা চালায়…!

ঈশা ঈশানের বুক থেকে মাথা তুলে চকিতে তার দিকে তাকায়।
“হুম, যেটা বাবার ব্যবসা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
আমি আমার পরিচয়ে বাচঁতে চাই ঈশা।তাই নিজের দক্ষতার সাথে সবটা সামলে নিচ্ছি।আরেক টা কথা বাংলো বাড়িটার কথা মনে আছে নিশ্চয়ই? ওই বাংলোটা সম্পূর্ণ আমার টাকায় কেনা।এবার যদি মনে হয় তোমার বর গুন্ডা – মাস্তান যা ইচ্ছা ভাবো সমস্যা নেই।তবে এই হাত দিয়ে কখনো কাউকে খুন করিনি!এইসব করার জন্য আমার স্পেশাল টিম আছে।
ঈশা চুপ চাপ ঈশানের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। আমরা বাইরে থেকে মানুষকে যা ভাবি ভেতরের দিকটা কিন্তু তা না।হয়তো আলাদা, অন্যরকমের মিশ্রণে আবেগ অনুভূতি দিয়ে ভাবলে হয়তো সবটা জানা সম্ভব।কিন্তু বাইরে থেকে দেখে নিলেই যে ধুনিয়ার সবচে খারাপ মানুষ তা কিন্তু না। নিজের আবেগ সংযোত রেখে ঈশা বলে,
” দেশে আইন থাকতে আপনি এইসব করে বেড়ান কেন?
“হা হা হা দেশে আইন আছে ঠিকি তবে সুষ্ঠ বিচারের বড্ড অভাব!
” ওও আচ্ছা আপনি বুঝি এসেছেন সেই অভাবটা পূরন করতে?? (ভেঙ্গচি মেরে)
“তুমি যা ইচ্ছা ভাবো মহারানি।

সাত সকালে আরেক নাটক শুরু করেছেন লিপি।ব্যাগ প্যাক গুছিয়ে তৈরি হয়ে নিয়েছেন। তিনি নাকি আর থাকবেনা এই বাড়িতে। যেই বাড়িতে তার সম্মান নেই সেই বাড়িতে আবার কেনো থাকবেন তিনি।
” দেখুন ভাবি কাল কিন্তু আপনি আমাদের নতুন বউকেও কম অপমান করেন নি সেই হিসেবে দুই চারটা কথা শোনার আপনার প্রাপ্য ছিল। ঈশান তো ভুল কিছু বলেনি তাহলে এখন এমন করছেন কেন?(মাহমুদা)
“হ্যা হ্যা কেউ ভুল বলেনি ভুল তো বলেছি আমি। তাই আমি এখন এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছি।লিজা জলদি চল এখানে আর এক মূহুর্তে ও না।
সারা রাত চোখে এক ফোঁটাও ঘুম হয়নি ঈশার। রাত জেগে ভেবে গেছে তার ভবিষ্যৎ কি হবে?ঈশান কি তাকে ছেড়ে দেবে আর লিমন! লিমন তো এখনো তার পথ চেয়ে আছে সে লিমন কে কি করে ঠকাবে।সারা রাত এইসব ভেবেই পার হয়েছে ঈশার। তার থেকে কিছুটা দূত্ব রেখে মাঝখানে কোলবালিশ রেখে শুয়ে আছে ঈশান।ঈশানের দিকে তাকালে ঈশার মুখ থেকে একটাই কথা বেরিয়ে আসে আর তা হলো ” বেচারা”।

প্রথমে বল দিয়ে আঘাত এর পর ফুলদানি দিয়ে মাথায় আঘাত। আর আজ তার জন্য হাতে পায়ে কেটে এক মারাত্মক অবস্থা।ভোরের আলো যখন জানালা ভেদ করে উকিঁ দিচ্ছে তখন ঈশানের মুখের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকে ঈশা।জেগে থাকা কালীন ঈশান কে তার কাছে যতটা হিংস্রলাগে ঘুমন্ত ঈশানকে ঠিক ততটাই মায়াবী লাগে।
সব ভাবনার বিসর্জন দিয়ে যখন ফ্রেশ হয়ে আয়নার সামনে দাঁড়ায় তখন ভেসে আসে লিপির চিৎকার চেচামেচি।নিচে এসে লিপির সামনে দাঁড়িয়ে ঈশা বলে,
“জেঠিমা উনাদের কথায় আপনি কিছু মনে করবেন না প্লিজ। যা হয়েছে আমার জন্য হয়েছে আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি প্লিজ এই ভাবে বাড়ি ছেড়ে যাবেন না।
” উহুহ!এসেছে জুতো মেরে গরু দান করতে!কাল তোমার জন্য আমাকে যে অপমানটাই হতে হয়েছে তা কি আমি ভুলে যাবো? কখনো না!

“বললাম তো সব দোষ আমার। আপনি আমার যা শাস্তি দিবেন আমি মা…….
কথাটা শেষ করতে পারলো না ঈশা তার আগেই পেছন থেকে ঈশানের হুংকার শুনে থমকে যায় সে।
” তোর এতো বড় সাহস আমাকে না বলে নিচে এসেছিস আবার ক্ষমা চাইছিস। কিসের ক্ষমা হ্যা কিসের? আর কি শাস্তি দেবে তোকে কি শাস্তি?
ঈশান ঈশার দিকে আগুন দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তাকিয়ে আছে।ঈশা সাথে সাথে নামিয়ে নেয়।
“আমি তো ঠিক বলেছি আমার জন্যই অশান্তি(অস্পষ্ট স্বরে)
” আবার তুমি কথা বলছো?(ধমক দিয়ে)
লিপি মুখ বাকিয়ে বলে,

“হয়েছে হয়েছে আমাকে নিয়ে আর তোদের অশান্তি করতে হবে না, আমি বরং চলেই যাই!
ঈশা এবার ঈশানের দিকে না তাকিয়ে লিপির রাস্তা আটকে দেয়।
” আপনি যদি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যান জেঠিমা তবে কিন্তু আমি উলটা পালটা কিছু করে বসবো।
ঈশান ত্যাড়ে ঈশার সামনে আসতে নিলেই মাহমুদা তাকে বাধাঁ দিয়ে অন্যদিকটায় নিয়ে যায়।
“দেখ ঈশান ঈশা ঠিক বলেছে। যত যাই হোক ভাবী আমাদের বড়। এই ভাবে অপমানিত হয়ে ভাবী চলে গেলে আমাদেরি অসম্মান।আর তুই ঈশার সাথে এতো বাযে ব্যবহার করছিস কেন?
” মা ও আমার মাথাটাই গরম করে দিয়েছে। ঘুম থেকে উঠে আমি ওকে বিছানায়, ওয়াশরুম, বারান্দায় কোথাও পাইনি। কয়েকবার ডেকেছিলামো। তুমি যানো মা আমি কতটা ভয় পেয়ে গেছিলাম। কিন্তু মহারানীতো নিচে এসে মেলোড্রামা করছে।

“হয়েছে আর ঝগড়া করিস না। বাচ্চা মানুষ বুঝিয়ে কথা বললে বুঝে যাবে।
” জীবনেও না মা। ওর ঘাড়ের রগ একটা বাকা।সহযে কোন কথা মানতে চায় না।
“হ্যা তোর মতো।
..
” প্লিজ জেঠিমা এই ভাবে যাবেন না। আর কিছু দিন থেকে যান।
“হ্যা ভাবী মেয়েটা এতো করে বলছে থেকে যান।আর ঈশানের কথা কিছু মনে করবেন না ওর একটু মাথা গরম থাকে তা তো যানেনি(মাহমুদা)
” বেশ এতো করে যখন বলছো তবে থেকেই যাই।
“ঈশা সস্তির নিশ্বাস ফেলে উপরে চলে যায়
..
ঈশা ঈশানের দরজার বাইরে দাড়িয়ে আছে। ভয়ে কিছুতেই রুমের ভেতরে ডুকতে পারছেনা। যদি তাকে আবার বকে,ধমক দেয়,ডুকবে কি ডুকবেনা তার ভাবনার মাঝেই ঈশান টেনে তাকে রুমের ভেতরে ডুকায় আর ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দেয়।
“আমার উপর আজ কাল কথা বলতেও শিখে গেছো দেখছি(ঈশার দিকে এগোতে এগোতে)
” ক…কই ক..কি বলেছি আমি.. অ.অন্যায়ের কিচ্ছু বলিনি(পেছাতে পেছাতে)
“আজ কাল ন্যায় অন্যায় তোমার কাছ থেকে শিখতে হবে আমার(ঈশাকে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে দুইহাতের বেষ্টনীতে আটকে দেয়।)

You are mine part 7

” আ..আপনি এতো অসভ্যতা করছেন কেন?(চোখ খিচে)
“কই আমি কি করলাম!
” দূরে সরুন দূরে সরুন বলছি।
” সরবো না কি করবে?
” না সরলে কি করতে হবে আমার ভালো করেই যানা আছে(দাতে দাত চেপে)
ঈশা ঈশানকে ধাক্কা দিতে থাকে কিন্তু আফসোস সে একচুল ও নড়ে না।শেষ পর্যায়ে না পেরে ঈশানের বুকে কিল ঘুসি মারতে থাকে কিন্তু তাতেও ঈশান নড়েনা।
“ওহ আমার বউটা৷ কি পারলে না তো যানতাম পারবেনা।আমার কাছে তুমি প্রতিবারি গো হারা হেরে যাও!

ঈশানের কথায় মেজাজ পুরোপুরি গরম হয়ে যায় ঈশার। সে ঈশানের হাতের গোড়ালির নিচের দিকটায়। জোরে একটি কামড় বসায় কিন্তু তাতেও নড়েনা ঈশান সে চুপ চাপ ঈশার দিকে তাকিয়ে আছে। শেষ পর্যায়ে ঈশা হয়রান হয়ে কাদো কাদো চোখ নিয়ে ঈশানের দিকে তাকায়।
” ছেড়ে দিন প্লিজ আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে?(ছল ছল চোখে)
“ওকে দিলাম।কিন্তু তুমি যে আমাকে তোমার ভালোবাসার চিহ্ন লাগিয়ে দিলে আমি শাটের হাতা ভাজ করলে লোকে কি বলবে?(বাকা হেসে)
” কই আমি কি করলাম?
“এইযে আমার হাতে তোমার কামড়ের চিহ্ন বসে গেছে। মানে কি যানো লাভ বাইট(কানে ফিস ফিস করে)
” ছিহহহ আপনি তাহলে আমাকে ইচ্ছে করে রাগিয়েছেন।
“ইয়েস,মাই সুইটি ওয়াইফ।
ঈশা রেগে ঈশানকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয়। ঈশান আবার পেছন থেকে হাত টেনে তার সামনে ঈশাকে দাড় করায়।

” রাগ করেছো চলো তোমার রাগ ভাঙ্গাই!যাও রেডি হয়ে নাও আমরা একটা জায়গায় যাবো।
“কোথায়(ভ্রু কুচকে)
” সারপ্রাইজ….!!
“আমি যাবো না। মানে যাবো না(রেগে)
” ঈশু আমার মাথা কিন্তু এবার গরম হচ্ছে(ধমক দিয়ে)
“তাতে আমার কি (ভাব নিয়ে)
” সব তো তোমারি আমার মাথা গরম হলে আমি কিন্তু উলটা পালটা কিছু করে বসবো তখন আমাকে সামলাবে কি করে আমি ও দেখে নেবো(রেগে)
“যাচ্ছি যাচ্ছি। এতো হুমকি দিতে হয় নাকি(ভয় পেয়ে)
” দিতে হয় কারন তোমার ঘাড়ের রগ একটা তো বাকা তাই।(আড় চোখে তাকিয়ে)

You are mine part 9