You are mine part 11 || valobashar golpo new bangla

You are mine part 11
Poly Anan

ভোরের আলো ফুটতে আর হয়তো বেশি দেরি নেই। ফজরের আযান ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে।ঈশানের গাড়িটি তার বাংলোর সামনে দাঁড়ায়।সাথে ঈশাকেও বাংলোতে নিয়ে যায়।বাংলোর চারিপাশে বেশ কয়েকজন সিকিউরিটি গাডকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।ঈশান একজন সিকিউরিটির দিকে লক্ষ্য করে বলে,যেন গাড়ির পেছনে থাকা জিনিস পত্র গুলো তার বেড রুমে দিয়ে যায়।
সিকিউরিটিরা তার কথা মতো সব কাজ শেষ করে।এদিকে গাড়ির পেছনে থাকা, শেকল, দড়ি,কিছু কয়লা,কয়েকটি লোহার শিক নিয়ে ঈশানের বেড রুমে রাখছে।ঈশান একজন সিকিউরিটির দিকে তাকিয়ে বলে,

“যাও আমার বেডরুমের পাশে যে ছোট সুইমিংপুলটা আছে তার পাশে কয়লা গুলো জ্বালিয়ে দাও আর হ্যা উপরে শিক গুলো দিয়ে দেবে।
” ওকে বস(মাথা নেড়ে)
ভয়ে ঈশার দম বন্ধ হয়ে আসছে তার বুঝতে আর বাকি নেই ঈশান কি চাইছে।সে আবারো লাফাতে থাকে সাথে গোঙ্গরাতে থাকে।নিজেকে ছাড়ানোর জন্য অপ্রাণ চেষ্টা করে যায় কিন্তু ঈশানের সাথে সে কিছুতেই পারেনা।
সিকিউরিটির কাজ শেষ হলে ঈশান সদর দরজাটা বন্ধ করে দেয়।ঈশা ছুটে সিড়ি দিয়ে উপরে উঠে যায় তার উদ্দেশ্য সে একটি রুমে ডুকে দরজা লাগিয়ে দেবে।কিন্তু বেশি দূর আর যেতে পারেনা তার আগেই পেছন থেকে ঈশান চুলের মুঠি ধরে বেড রুমে নিয়ে যায়।ঈশাকে খাটের সাথে শেকল দিয়ে দুইহাত বেধে দেয়।মুখের মধ্যে আরো শক্ত করে টেপ আটকে দেয়। রুমের এসিটা ফুল স্প্রিটে দিয়ে ঈশার সামনে থাকা একটি সোফায় বসে পরে।

“আমি যানতাম তুমি ভালো কথার মেয়ে না।তাই বলে এতটা অবাধ্য, অবুঝ,নিচে নামবে,ছিহহহহ।নিযে বিবাহিত হওয়া সত্যেও অন্যছেলের সাথে পালিয়ে যাস। সমাজে মুখ দেখাতে পারতি? লিমনকে বাদ দিলাম তোর তার উপর সার্থ আছে আমার উপর রাগ আছে তাই সে তোকে এমন হাতে পায়ে ধরে চাইছে কিন্তু তুই কি করে পারলি এমন একটা সিধান্ত নিতে।তুই কি ভাবিস লিমনকে তুই খুব ভালোবাসিস।একদম বর্তমান যুগে কি যেন বলে?ও হে রিয়েল লাভ!তুই লিমনকে রিয়েল লাভ করিস। হা হা হা আসলে কি যানিস আমার উপরে থাকা জেদ মেটাতে নিজে জিততে তুই এই সিধান্ত নিয়েছিস।লিমনকে তো তুই ভালোইবাসিস না।
ঈশা ঈশানের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। যে ঈশান তাকে হাজারো অপমান থেকে বাচিঁয়েছে। বুকে টেনে নিয়েছে আজ সেই ঈশান নিজেই তাকে তুই তুকারি করে অকথ্য ভাষায় অপমান করছে।সত্যি ভালোবাসার মানুষের দেওয়া আঘাত সবচেয়ে বড় আঘাত।
“এই তোরা দুইজনে বলিস না আমি তোদের দুজনের মাঝে এসে ঝগড়া করছি?আমি তোদের মাঝে আসিনি, হ্যা আমি তোদের মাঝে আসিনি(চিৎকার করে)

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

সেটা তোরা দুজনেই ভালো করেই যানিস।মনে আছে আমাদের প্রথম দেখা। তোর আর আমার যখন প্রথম স্পর্শ তুই নিজেই আমার হাতে হাত রেখেছিলি তখন লিমনের দৃষ্টি তুই লক্ষ্য না করলেও আমি করি।তখনি আমি বুঝে যাই লিমন তোর প্রতি উইক।এর পর সারা ভার্সিটি জুড়ে তোর আর লিমনের খবর নিতে থাকি।এবং কি নিশি আর তাহার কাছেও অন্যরা জানতে পারে তুই লিমনকে যাস্ট বন্ধু ভাবিস এর থেকে বেশি কিছু না।
তারপর এই ঈশান শাহরিয়ার তোর পেছনে পরে। বার বার প্রতি মূহুর্তে সে বলতে থাকে এই পাগলটা তোকে ভালোবাসে।কিন্তু তুই তো তুই পাত্তা দিলিনা।তুই নিজেকে সেভ করতে একবার লিমনের সাথে প্রেমের খেলায় মেতে উঠলি তখনো তোকে আমি ওয়ার্নিং দিয়েছিলাম শুনিসনি তাই তোকে তুলে নিয়ে গেছিলাম রেজিস্ট্রি করতে।

কিন্তু তোর ভাগ্য ভালো তুই পালিয়ে গেলি।আবার ফিরে এলি আমার জীবনে আবার দেখা আবার সেই ছোয়াঁ কিন্তু তখনো তোকে একমাস সুযোগ দিলাম তুই মানলিনা।নাচতে নাচতে বিয়ে করতে চলে গেলি।আবার আমার হাতে ধরা পরলি আর বিয়ে করে নিয়ে এলাম।
ফাইনালি এখন কি করলি?ঘরে স্বামী রেখে পর পুরুষের সাথে ছিহহহহহ।আমার ভালোবাসা তোর কাছে এতই সস্তা। আরে বোকা ধূনিয়া জুড়ে এমন হাজারো ভালোবাসা দেখেছি,৪,৫ বছর চুটিয়ে প্রেম করে কিন্তু বিয়ের সময় বাবা মা অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়।হয়তো একমাস দুইমাস তার পুরোনো প্রেমিকের কথা খুব বেশি মনে পরে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেই বাবা মা বিয়ে দেওয়া স্বামীটাই আপন হয়ে উঠে।তখন তারাই আবার বলে,আলহামদুলিল্লাহ আগে যাকে ভালোবাসতাম আল্লাহ আমার জন্য তার থেকেও বেশি ভালোবাসা পাওয়ার মতো মানুষ আমার জীবনে পাঠিয়ে দিয়েছে।আমি আমার বর্তমান জীবন নিয়ে সুখী।

এবার বল লিমনের সাথে কি এমন প্রেম ছিল তোর যে পালিয়ে যেতে চাইলি।লিমন আর ইমনের যখন সত্যটা যানবি তখন তোর মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়বে ।?বুঝলিনা বুঝলিনা তুই হিরে খুজতে গিয়ে কোহিনুর হারিয়ে ফেলছিস।
তবে যানিস কি এই ঈশান শাহরিয়ারে ডিকশিনারিতে ক্ষমা শব্দটা নেই। তাই তুই আমার শত ভালোবাসার মানুষ হয়েও তোকে ক্ষমা করতে পারলাম না So welcome to my kingdom of punishment.?
ঈশানের কথা শুনে ঈশার ছটফট আরো বেড়ে যায় নিজেকে বাচাঁতে চারিদিকে পা ছুড়তে থাকে।
পুল সাইড থেকে গরম লোহা এনে ঈশার সামনে বসে। আর তা দেখে ঈশার হেচঁকি উঠে যায়
“মেরি জান ভয় পেয়ো না। যাস্ট একটু সহ্য করো।ঈশান ঈশার হাত টেনে গর লোহা চেপে ধরে।যন্ত্রনায় ঈশার গলা ফাটিয়ে চিৎকার আসছে কিন্তু মুখ দিয়ে গোঙ্গানো ছাড়া সে কিছুই করতে পারছেনা।
” আমাকে ভোলার জন্য এতো তাল বাহানা তাই না এবার দেখি আমায় ভুলে যাস কি করে।
ঈশান আরেকটি গরম লোহা এনে ঈশার হাতে নিজের নাম লেখা শুরু করে।লেখার মাঝ পথেই ঈশা পা ছোড়াছুড়ি করে তাই আরেকটি মোটা দড়ি এনে ঈশার পা বেধে দেয়।এবার Ishan নাম লেখাটি শেষ করে সে। একে একে দুই হাতেই ঈশান তার নাম ঈশার হাতে লেখে দেয়।

“কিরে এবার পালাবিনা বলেছিলি! নে দুই হাতেই নাম লেখে দিলাম।তুই যে আমার অধিকার এই ঈশান শাহরিয়ারের অধিকার তার সিল আমি দিয়ে দিলাম।এবার যার কাছেই যাবি সে তোর হাত দেখে বলে দেবে” ঈশান”।
পোড়ার যন্ত্রনায় ঈশার চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে।নিশ্বাস টেনে আনতে বড্ড কষ্ট হচ্ছে। এতোটা অসহ্য যন্ত্রনা তার জীবনে আগে কখনো আসেনি। হুট করেই ঈশা ফোনে মেসেজ টোন বেযে উঠে।এতে ঈশা আরো ভয় পেয়ে যায়।যদি লিমন মেসেজ দেয় তবে ষাড়ের মুখের সামনে লাল কাপড় পড়ার মতো অবস্থা হবে।ঈশান এমনিতেই হিংস্র হয়ে আছে তার উপর যদি লিমনের মেসেজ দেখে তবে আজ আর ঈশার বেচেঁ ফেরা আশা থাকবেনা।
ঈশান পকেট থেকে ফোন বের করে দেখে আননোন নাম্বার থেকে লিমন মেসেজ দিয়েছে!
“কি রে ঈশা।চলে আয় না আমার কাছে।ওর সাথে থেকে তুই সুখ পাবিনা।ও একটা পাগল সাইকো।তুই আমার কাছে চলে আয় আমরা আবার সব কিছু নতুন করে শুরু করবো এখনো সময় আছে ঈশা! I am wating for you!

ধুপ করেই ঈশানের মাথাটা আরো দশ গুন গরম হয়ে যায়।বর্তমানে সে হিতাহিত জ্ঞানে নেই।যা করচ্ছে রাগ ক্ষোভ এক করে।
” কি? কি বলেছে সে তোর জন্য অপেক্ষা করছে তাই না। তুই পা দিয়ে হেটে হেটে আমার কলিজায় ছুরি বসিয়ে যাবি। তোর এই পা আমি রাখবো না।
ঈশানের কথা শুনে ঈশা আরো ভয় পেয়ে যায়।মনে মনে হাজার বার আল্লাহকে ডাকতে থাকে।ঈশার গরম লোহা এনে ঈশার দুই পায়ের তালুতে চেপে ধরে।দম ফাটিয়ে চিৎকার দিতে ইচ্ছে করছে তার।হাত পায়ের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে যৌতুকের দায়ে তাকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।ঈশান এবার ধারালো একটা ব্লেট নিয়ে ঈশার সামনে বসে,
“তোর তো হাত পা পুড়ছে কিন্তু আমার যে এই কলিজা ছিড়ে যাচ্ছে তা কে দেখবে।আমার যে হৃদয়ের মাঝ থেকে রক্ত ঝরছে তা দেখবে কে।তুই তো দেখবি না। তুই তো আবার চলে যাবি আমি যানি।কিন্তু তোকে আমি ছাড়ছিনা। হ্যা আমি তোকে ছাড়বো না।

চিৎকার দিয়ে কথাটি বলেই ঈশান কেঁদে দেয়।কেন কাদছে সে যানেনা। রাগের মাথায় কাদছে নাকি , ঈশার অবস্থায় কাদছে সে নিজেও যানে।
” তুই তো আমায় ভালোবাসিস না তাইনা।
ঈশাকে ফোপাতেঁ দেখে সে আরো হিংস্র হয়ে যায়।
“এইই একদম কাদবিনা। তোর চোখের পানি আমি সহ্য করতে পারিনা তুই যানিস তবে কাদছিস কেন?ওও লিমনের জন্য বুঝি?
ঈশান রেগে কথাটি বলেই ঈশার হাতে ব্লেট দিয়ে এক পোঁচ দেয়।সাথে সাথে গল গল করে রক্ত হাত থেকে বেরোতে শুরু করে।ঈশান দারালো ব্লেট দিয়ে ঈশার হাতে আবারো ” ঈশান “নামটা লিখে দেয়।।ঈশার জামা রক্তে টই টুম্বুর হয়ে আছে।আর কোন অত্যাচারি ঈশার সহ্য করার ক্ষমতা নেই মুহূর্তেই সেই ধপ করে ঈশানের কোলে সেন্সলেস হয়ে যায়।
ঈশার হাতের পায়ের বাধন খুলে দিয়ে ফাস্ট এইড বক্স এনে,হাতে পায়ের ক্ষততে মলম লাগিয়ে দেয়।হাতের রক্ত পড়া বন্ধ করে ব্যান্ডেজ করে দেয়।

ঈশার মাথাটা নিজের কোলে রেখে আবারো কাদঁতে শুরু করে।একদিকে মায়া অন্যদিকে জেদ কোনটাই আজ সামলাতে পারছে না ঈশান।হুট করেই ঈশার ফোনে লিমন কল করে।ঈশান চুপ চাপ ফোনটি রিসিভ করে।লিমন সাথে সাথে বলতে শুরু করে,
” ঈশা তুই আসবিনা? শুধু শুধু ওই ছেলেটার কাছে কেন পড়ে আছিস?আমি তোকে ভালোবাসি ঈশা।একবার বুঝে দেখ আমি তোর!আমরা দুজনে আবার ঘর বাধবো এক সাথে প্লিজ তুই চলে আয়।
ঈশানের কান আর কোন কথা যেন নিতে পারছেনা।সে দেয়ালের সাথে ফোনটা ছুড়ে ফেলে দেয়।ঈশার হাতে করা ব্যান্ডেল টেনে খুলে দেয়।রাগের মাথায় সে কি করছে সে নিজেও যানেনা।
“লাগবেনা তোর ব্যান্ডেজ।মায়া দেখিয়ে তোকে আবার যত্ন করলাম।কিন্তু তুই যদি তারাতারি সুস্থ হয়ে যাস এতে আমারি লস। আবার আমায় ছেড়ে চলে যাবি, না তা তো আমি হতে দেবো না।তুই আমার।তুই আমারি থাকবি।You are mine baby…

একে একে সময় কেটে যাচ্ছে সকালের আলো ছড়িয়ে গেছে চারিদিক মিষ্টি সূর্যের তাপ ঈশানের জানালার গ্লাস ভেদ করে ঈশার মুখে পরছে। আলোতে ঈশার মুখে অন্যরকম আভা ছড়িয়ে আছে কি মায়া মুখ জুড়ে।ঈশান ঈশার দিকে এক ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।ঈশার মাথাটা বুকে নিয়ে আবারো কান্না শুরু করে দেয়।
” এমন টা কেন করলি ঈশু।তোকে কাল রাতেও আকাশের ওই চাঁদকে সাক্ষি রেখে আমার ভালোবাসার কথা বুঝিয়েছি কিন্তু তুই বুঝলি না। এমন সময় ঈশানের ফোনটা বেজে উঠে ঈশার কপালে ভালোবাসার পরশ এক আবার আলতো করে বিছানায় রেখে পুলের সামনে গিয়ে ফোন রিসিভ করে!
“হ্যা রাসেল বল!
” তুই পাগল হয়ে গেছিস ঈশান।Are You crazy!
“কেন তুই যানিস না আমি পাগল।হ্যা আমি পাগল এবার কি হয়েছে বল?
” তুই ভাবীর সাথে কাল কি করেছিস সত্যি করে বল,
“আমার বউয়ের সাথে আমি যা ইচ্ছা করি তুই এর মধ্যে নাক গলাচ্ছিস কেন?

You are mine part 10

” দেখ ঈশান আমি খবর অলরেডি পেয়ে গেছি তুই বাংলোতে ভাবিকে নিয়ে গেছিস।কিন্তু যাওয়ার সময় এইসব কি নিয়ে গেসিস আমার মাথায় ধরছেনা ঈশান!তুই কি ভাবীকে মেরেছিস আইমিন শেকল কয়লা, লোহা,।তুই ভাবীর হাত পা পুড়িয়ে দিয়েছিস নাকি মুখ!(উত্তেজিত হয়ে)
“যা ইচ্ছে করেছি এবারের মতো পালানোর শাস্তি পেয়ে গেছে।আশা করি।
” ঈশান সোজা কথা বল তুই ঠিক কি করেছিস?
“গরম লোহা দিয়ে পুড়িয়ে আমার নাম লিখছি।ব্লেট দিয়ে আমার নাম লিখে দিয়েছি।পায়ের তালুতে পুড়িয়ে দিয়েছি।(ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)
” ওমাই গড!ঈশান তুই পাগল হয়ে গেছিস।তুই পুরো পুরি পাগল হয়ে গেছিস!তুই কি করেছিস তোর ধারনা আছে। উফফফ আল্লাহ এই ছেলেকে নিয়ে আমি কই যাবো।ভাবী কি করছে?
“সেন্স লেস হয়ে গেছে!আমার খুব কষ্ট হচ্ছেরে রাসেল আমি যা করেছি রাগের মাথায় করেছি কিন্তু এই মূহুর্তে আমি বাস্তবতায় ফিরে এসেছি।প্রয়োজনে দুই চারটা চড় দিয়ে বুঝাতাম কিন্তু এই কি করলাম আমি।আমার সামনে জলজ্যান্ত মেয়েটা নিস্তেজ হয়ে গেছে।আমার কলিজা যেন ছাই হয়ে যাচ্ছে তুই কিছু কর প্লিজ আমি আর নিতে পারছিনা(ডুকরে উঠে)

“আমি ডাক্তার নিয়ে আসছি! তুই ওয়েট কর। আরেকটা কথা প্র‍য়জনে লিমনকে শাস্তি দেবো তুই ভাবীর গায়ে হাত তুললি কেন?
” রাসেল আগে ঘরকে শাসন করো তারপর পরকে।আমার ঘরের যদি ঠিক নেই আমি অন্য কার, কি শাসন করবো?বাই দা ওয়ে বাড়ির আবহাওয়া আর বাইরের আবহাওয়া মিলে যাচ্ছে।আমার কিছু ইনফরমেশন লাগবে লিমনের গায়ে হাত তুললে ইমনেরর দল হামলা করবে এতে আমার ইনফরমেশন পেতে নাকানি চুবানি খেতে হবে।তাই সবটা গুছিয়ে নিচ্ছি।
“কি বলছিস তুই আমি কিছু বুঝতে পারছিনা?
” তোকে বুঝতে হবেনা!তুই তোর কাজ কর!
“হুম।তোকে আরেকটা কথা যানানো হয় নি?
” কি?

“ঈশার বাবা ভোরেই বিডিতে ফিরেছে। ঈশার সাথে দেখা করতে চাইছে হাসিন যানিয়েছে।
” হা হা হা হা শুনেছে মেয়ের জামাই বড় বিজনেস মেন তাই এখন মেনে নিতে চাইছে!বাই দা ওয়ে তুই বল তার মেয়ে জামাইর সাথে স্পেশাল হানিমুনে গেছে।কেউ যেন ডিস্টার্ব না করে।
ঈশান রুমে ডুকে আর তখনি লক্ষ্য করে……!

You are mine part 12