You are mine part 12 || bangla sad love story

You are mine part 12
Poly Anan

রাসেলের সাথে কথা শেষ করে ঈশান পেছনে ঘুরে তাকাতে খেয়াল করে ঈশা, বিছানার সামনে রাখা টি টেবিলের উপরে থাকা পানির গ্লাসটা নিতে নিজের সাথে নিজের যুদ্ধ করছে। কিছুতেই দুই হাত আকড়ে পানির গ্লাসটা ছুতে পারছেনা।ঈশান তাড়াতাড়ি ঈশার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।ঈশার অবস্থা দেখে ঈশানের চোখ ছল ছল করে উঠে।
রাগের মাথায় ঈশান এতো বড় বাজে একটা কাজ করবে সে কিছুতেই ভাবেনি।ঈশান পানির গ্লাসটা নিয়ে ঈশার মুখের সামনে ধরে ঈশা তার মুখ সরিয়ে নেয়।
ঈশা আবারো তার মুখ সরিয়ে নেয়।অতিরিক্ত ব্যাথায় তার চোখ বার বার বন্ধ হয়ে আসছে।
“ঈশু প্লিজ পানি টা মুখে নাও।

ঈশা আবারো তার মুখ সরিয়ে নেয়।ঈশান ঈশাকে বলতে যাবে তার আগেই ঈশা চোখ বন্ধ করে নেয়।ঈশান ঈশার গালে হাত রেখে বার বার ডাকতে থাকে কিন্তু ঈশার তেমন কোন রেসপন্স নেই। সে একবার চোখ খুলছে আরেক বার বন্ধ করে নিচ্ছে।শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে তার এইসব দেখে ঈশানের মাথা আরো খারাপ হয়ে যায়।ঈশান পকেট থেকে ফোন বের করে রাসেল কে কল করার উদ্দেশ্য। এমন সময় রাসেল তাদের ডাক্তার বন্ধু সাদিক কে নিয়ে রুমে ডুকে
সাদিক তাদের বন্ধু। কলেজ লাইফ থেকে রাসেল, ঈশান আর সাদিক একসাথে। যদিও রাসেল হচ্ছে ঈশানের সবচেয়ে কাছের এবং কলিজার বন্ধু।সাদিককে দেখে ঈশান চোখের জল আড়াল করে তার সামনে দাঁড়ায়। রাসেল বেডের পাশটা এগিয়ে এসে ঈশার দিকে এক পলক তাকিয়ে শিউরে উঠে।

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

” are you made ishan. তুই কি করেছিস তোর ধারণা আছে?
“আম সরি রে। আমি কি করেছি! কেন করেছি কিচ্ছু আমার মাথায় ডুকছেনা।আমি এতো কিছু যানতে চাইনা আমার ঈশাকে ঠিক করে দে প্লিজ ।সাদিক বেডের পাশে এগিয়ে এসে ঈশার মাথার কাছে চেয়ার টেনে বসে।তার চোখের চশমাটা খুলে পাশের টেবিলটাতে রাখে। সাদিক ঈশানের দিকে একপলক তাকিয়ে বলে,
” কিরে ঈশান তোর ছোট বেলার রাগ তেজ কিছুই এখনো কমেনি দেখছি!তোর ভালোবাসা কি আমি সত্যি বুঝিনা যাকে ভালোবাসিস তাকে কলিজা কেটে ভালোবাসিস আর যার উপর রাগ উঠে তাকে অর্ধ মরা করে ছাড়িস!(দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে)
ঈশান মাথাটা নিচ করে ঈশার পায়ের কাছে বসে।
রাসেল সিলিং এর দিকে তাকিয়ে বলে,
“ঠিক বলেছিস সাদিক। মনে আছে আমাকে কলেজে এক ছেলে শুধু ধমক দিয়েছিল এই ধমকটাই ঈশান সহ্য করতে পারেনি।ক্লাস শেষে ছেলেটাকে একদম চোখে মুখে কাপড় পেচিয়ে চিলেকৌঠার ঘরে নিয়ে সেই মারা মারে…..।

ঈশান এমন এক মানব যার কাছে ভালোবাসার মানুষ গুলোর মূল্য সবার আগে। আর সেই ভালোবাসার মানুষ গুলো যদি কোন কারনে কষ্ট পায় তবে সে নিজেই দগ্ধ হয়ে যায়। আর সে রেগে গেলে হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। তাই তখন আমি পাশে থেকে ঠান্ডা করা লাগে।
কিন্তু আজ আমি ছিলাম না।আর যানতামো না ঈশান এমন একটা কাজ করবে। আফটার অল আমি যানি আমার ঈশান অতিকষ্ট,অতিরিক্ত রাগ ছাড়া তার ভালোবাসার মানুষের সাথে এমন করেনা।কারন সে কিছু পারুক আর না পারুক ভালোবাসতে যানে।বন্ধু পরিবার প্রতিবেশী সবাইকে সমান ভাবে সে ভালোবাসতে যানে।আমি আমার প্রতি ঈশানের ভালোবাসা বুঝি তাই এখনো পড়ে আছি তার দার প্রান্তে। আই সোয়্যার ভাবী যদি একবার ঈশানের ভালোবাসা বুঝতো তবে কিছুতেই এমন কাজ করতো না।উলটে তার ঈশানকে ছেড়ে যাওয়ার কথা মনে পড়লেই দম বন্ধ হয়ে যেতো।!
সাদিক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ঈশানের দিকে তাকায়।

” কিরে ঈশান তুই যে ভাবীর উপর নিজের অজান্তেই এতো অত্যাচার করলি এখন ভাবী যদি সুস্থ হয়ে তোর কাছে না থাকতে চায়।
ঈশান মাথা তুলে চকিতে ঈশানের দিকে তাকায়।সাদিক ঈশানের দিকে তাকিয়ে ঘাবড়ে যায়।ঈশানের চোখ একদম লাল হয়ে আছে, নাকটা ফুলে তাকিয়ে আছে তার দিকে।
“আমি এতকিছু যানতে চাইনা।আমি ঈশাকে সুস্থ চাই আবারো আমার উপর রেগে যাবে সেই মূহুর্ত দেখতে চাই, ঈশা আমার দিকে আড় চোখে আমার অজান্তে দেখবে আর আমি মিটিমিটি হেসে না জানার ভাব করে থাকবো সেই মূহুর্ত ফিরে পেতে চাই।সবশেষে আমি আমার ঈশাকেই চাই।
ঈশান কথা গুলো বলে পুল সাইডে চলে যায়।
সাদিক রাসেলের দিকে তাকিয়ে বলে,
” হুহ ভালোবাসার মানুষটাকে অন্যকারো সাথে দেখলে হিংসা হবে এটাই স্বাভাবিক। সে যে করেই হোক তার ভালোবাসার মানুষকে নিজের কাছে রাখবে দরকার হলে হিংস্র হয়ে। বাই দা ওয়ে আমরা হয়তো ভাবীর বাইরের যন্ত্রনা দেখছি কিন্তু ঈশান……! তার যে ভেতরটা পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে তার খবর কে রাখে।বেচারা আর কত সহ্য করবে সে ও তো চায় একটি স্বভাবিক লাইফ লিড করতে।একটা কথা বলি রাসেল?

“হুম বল!
” তোর মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ঈশান কেন ঈশাকে ছেড়ে দিচ্ছে না জোর করে ভালোবাসা পাওয়ার কি মানে।তার ভালোবাসার মানুষের কাছে তাকে যেতে দিক!আসলে কি যানিস আমার মনে হয় ঈশা লিমনকে সত্যি ভালোবাসে না।তুই ভাব কোন ভাবেই লিমন ভাবিকে ভালোবাসেনা! না ভাবি লিমন কে।তাই ঈশান ঈশাকে ছাড়তে চাইছে না।তবে আমি একটা কথা বুঝে ফেলেছি, ঈশানের যত রোগ অসুখ হোক না কেন? সেটার ওষুধ কিন্তু ভাবী।এই কথা টা আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট সিওর।
“তা যা বলেছিস!আচ্ছা ট্রিটমেন্ট শুরু কর।
সাদিক তার মতো করে ট্রিটমেন্ট শুরু করে।এদিকে ঈশা নিজের চোখ খোলার মতো শক্তি না পেলেও এতক্ষন বলা তিনজনের কথপকথন সবটাই শুনে।নিজের মনে নিজেই আজ প্রশ্ন করছে সে কি সত্যি লিমন কে ভালো বাসে।
সাদিকের কাজ শেষ হলে, ঈশানের সাথে পুল সাইডে দেখা করতে যায়।তার পেছনে রাসেল।সাদিককে দেখা মাত্রই ঈশান সাদিকের পা চেপে ধরে।সাদিক আর রাসেল দুইজনেই হতবম্ভ হয়ে ঈশানের দিকে তাকিয়ে আছে।

” তোর কি লাগবে সাদিক তুই শুধু বল।তুই যা চাইবি আমি তা এনে হাজির করবো যাস্ট একবার বল।তুই শুধু আমার ঈশাটাকে সুস্থ করে দে প্লিজ।আমি আর নিতে পারছিনা।অনুশোচনার আগুন আমাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে।আমি কি করবো বল ঈশা আমার অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। আচ্ছা যা তোরা ভেবে নিচ্ছিস তো ঈশা যদি আমার কাছে থাকে তবে ওকে আমি মেরে ফেলবো।আচ্ছা যা ঈশাকে আমি ছেড়ে দেবো আই সোয়্যার ঈশাকে আমি ছেড়ে দেবো সে যদি আমার কাছে থাকতে না চায় হ্যা আমার কষ্ট হবে হোক তার পরেও ঈশা সুস্থ থাকুক।
“আরে পা ছাড় এতো পাগলামি করছিস কেন।ঈশার এমন কিচ্ছু হয়নি যে সে মরে যাবে।তোর ঈশা তোর কাছেই ফিরবে মনে রাখিস।তোর ভালোবাসা কখনো মিথ্যা হবে না।কিরে রাসেল একটু আগে কি বলেছি মনে আছে এই পাগল টার ওষুধ হলো ঈশা। যে ঈশান কারো সাথে মাথা নত করতো না সে আজ আমার পা ছুয়েছে।পাগল প্রেমিক রে তুই সত্যি ভালোবাসা মানুষকে পাগল বানিয়ে ছাড়ে। যদিও আমি এখনো কাউকে ভালোবাসিনি তবে যদিও বাসি তোর মতো হয় তো পারবোনা।আচ্ছা আমি আসি প্রতিদিন সকালে একবার করে দেখে যাবো ভাবীকে ওষুধ লিখে দিয়েছি আনিয়ে নিস।

ঈশা রুম থেকে সবটা শুনতে পায়।নিজের ভেতরেই আজ অনুশোচনা হচ্ছে।ঈশানের মতো ভালোবাসার মানুষ পেয়ে সে দূরে ঠেলে দিতে চাইছে।দু চোখ বেয়ে তার নেত্রবারী গালছুয়ে যায়।
রাসেল আর সাদিক কে আসতে দেখে আবারো চোখ বন্ধ করে নেয় সে।
ঈশান গুটি গুটি পা ফেলে ঈশার পাশে মেঝেতে হাটু মুড়ে বসে।ঈশার চোখে জল দেখে হাত দিয়ে মুছে দেয়।
” খুব কষ্ট হচ্ছে তোমার তাই না।তাই কাদছো।আমাকে মাফ করে দাও আর তোমার গায়ে হাত তুলবোনা।কি করেছি কেন করেছি নিজেও যানিনা।তুমি আমাকে আসলেই পাগল বানিয়ে ছাড়িয়েছো ঈশা।(চোখের পানি মুছে)
ঈশান ঈশার হাতের উলটা পিট আগলে এনে একটি চুমু খায়।
“তোমাকে আমি স্বাধীন করে দেবো ঈশা। তুমি তোমার মতো করে নিজের জিবন সাজিয়ে নিয়ো।তবে ঈশা যানো আমি তোমায় সত্যি ভালোবাসি। তুমি চলে গেলে আমার কি হবে আমি কি করবো নিজেও যানিনা।কিন্তু কাল যা করেছি তার মূল্য দিতে তোমাকে আমার ছেড়ে জেতেই হবে।
ঈশান আবারো ডুকরে কেঁদে উঠে। রাসেল আসার পায়ের শব্দ পেয়ে। চোখের পানি মুছে আগের মতো গম্ভীর হয়ে যায়।

” রাসেল তুই ঈশার কাছে থাক!আমার কাজ আছে আমি একটু বের হবো।সিকিউরিটিকে বলা আছে টাইমের খাওয়ার ওষুধ টাইমে দিয়ে যাবে।
“আ..আমি (হকচকিয়ে)
” হ্যা তুই। তুই ঈশার ভাইয়ের মতো বোন হিসেবে সেবা কর আমি আমার কাজ সেড়ে শীঘ্রই ফিরে আসবো!আর বাড়িতে ফোন করে আমি যানিয়ে দিয়েছি আমরা কক্সবাজার আছি।ঈশুকে টাইম টু টাইম ওষুধ দিস।তাকে সুস্থ হতে হবে তাড়াতাড়ি তাকে ফিরে যেতে হবে আগের জীবনে।
শেষ কথাটা বেশ শক্ত ভাবে বলেই বেরিয়ে যায় ঈশান।এতক্ষণ ঈশানের সব কথাই শুনছিল ঈশা।তার বুকের ভেতর হৃদযন্ত্রটার শব্দ আজ বেড়ে গেছে, ঈশান তাকে ছেড়ে যাবে একথা মনে পড়তেই ঈশানের বুকে মাথা রেখে আবারো কাদঁতে ইচ্ছে হচ্ছে!ঈশা চোখ মেলে রাসেলের দিকে তাকিয়ে ফুফিয়ে কেদে উঠে!
রাসেল ঈশার পাশটায় বসে বলে,
“হাত ব্যাথা করছে তোমার! কাদছো কেন?
ঈশা দুই পাশে মাথা নাড়িয়ে বুঝাচ্ছে তার ব্যাথা করছে। আবারো ঠোঁট কামড়ে ডুকরে কেদে উঠে ঈশা। রাসেল টিস্যু প্যাপার নিয়ে ঈশার দুচোখ মুছে দেয়।

“এই বোকা মেয়ে কাদছো কেন? কষ্ট হচ্ছে কেন বলো! বলো আমায় আমাকে হাসিনের মতো বড় ভাই ভাবতে পারো!
” আয়ায়ায়া আমার কেন কান্না পাচ্ছে আমি যানিনা!
“ঈশান কি কিছু বলেছে তোমায়!
ঈশা কাদতে থাকে…..।
” যদি বলি বলেনি! কিন্তু ঘুমন্ত ভাবা ঈশাকে অনেক কথাই বলেছে!
রাসেল মুচকি হেসে গলা ঝাকরে বলে,
“একটা কথা বলি ঈশা…তুমি এখনো ছোট তোমার যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে এখনো তুমি প্রথমে ছুটে যাও হাসিন তারপর তোমার ফুফু আর সর্বশেষ বাবা কাছে কি তাই তো?
ঈশা উপরে নিচে মাথা ঝাকায় মানে কথাটি সত্য।
” আচ্ছা ঈশা তুমি লিমনকে কি সত্যি ভালোবাসো!
“যানিনা আমি।
” একটা কথা বলি, এখন শুধু তুমি তোমায় নিয়ে ভাববে…মানে আমি কথা গুলো শুধু তোমাকে ঘিরে বলছি বুঝেছো?
“হুম!
” তুমি যখন কাউকে ভালোবাসবে সেই ভালোবাসার মানুষকে কারো সাথেই সহ্য হবেনা।তুমি শুধু চাইবে তাকে ঘিরেই যেন তোমার পুরো পৃথিবী হয়।কাউকে যখন ভালোবাসবে সেই ভালোবাসার মানুষটা যদি একটা পোষা বিড়ালের প্রতিও ভালোবাসা দেখায় তখন তুমি হিংসার আগুনে জ্বলে যাবে।তুমি শুধু চাইবে তুমি আর সে অন্য কোন হস্তক্ষেপ তোমার সহ্য হবেনা। কি তাই তো?

“হুম (দৃঢ় গলায়)
” তাহলে ঈশান যখন তোমায় ভালোবাসে তখন ঈশান কিভাবে চাইবে তোমার দের মাঝে লিমন আসবে।সে তো তাও তুমি বলতেই পাগল।
আচ্ছা এবার সব বাদ কাদঁছো কেন বলো?
“আমি যানি না।ঈশান যখন আমাকে ছেড়ে যাবে বলে চোখের পানি ছেড়ে দেয় তখন থেকেই আমার চিৎকার দিয়ে কান্না আসছে। আমার সবকিছু ফাকা ফাকা লাগছে(ফুপিয়ে)
” আচ্ছা ঈশা ঈশান তোমায় কোন দিক দিয়ে বারন করেছে বলো,,সে কি বলেছে তোমার পরিবারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে নাকি বলেছে পড়ালেখা বন্ধ করতে?নাকি তোমাকে শারীরিক নির্যাতন করেছিল? বলো উওর দাও!

You are mine part 11

ঈশার মনের মাঝেও ঠিক একই প্রশ্ন সে কেন শুধু শুধু পাগলামি গুলো করতে গেলো!
” একটা কথা বলি ঈশা….যা ইচ্ছে তাই করেছো এতো দিন। এবার না হয় নিজেকে গুছিয়ে নাও।তোমাকে আমি এক মাস সময় দিলাম। এই এক মাস তুমি ঈশানের সাথে থাকবে….তুমি তার ভালাবাসা অনুভব করতে চাইবে। যদি একমাস পর তোমার মনে হয় ঈশানের সাথে তোমার যায় না। ঈশান সবচে খারাপ তাহলে আমি দাঁড়িয়ে থেকে দুজনের ডির্ভোস দিবো । কথা দিচ্ছি আমি আমার কথার নড় চড় করবো না।তুমি শুধু পাগলটার ভালোবাসা বুঝতে শেখো তবেই হবে।
“হুম।
সকাল পেরিয়ে সন্ধ্যা হতে চললো এখনো পর্যন্ত ঈশানের কোন খবর নেই।রাসেল কয়েক বার ফোন দিয়েছে কিন্তু ফোনের ওপাশ থেকে কেউ রিসিভ করে নি।ঈশা এখন কিছুটা সুস্থ উঠে বসতে পারে।চাতক পাখির মতো মন শুধু ঈশানকে খুজে যাচ্ছে। হুট করেই রাসেলের ফোনে একটি কল আসে।

” হ্যা বল!
“রাসেল ভাই,ঈশান ভাই দুপুরে গোডাউনে এসেছিল।গোডাউনের কোনার রুমটা ডুকার আগে সবাইকে নির্দেশ করে কেউ যেন তাকে বিরক্ত না করে।যে করবে তাকে জানে মেরে দেবে। সাথে বেশ কয়েকটি মদের বোতল ছিল।এখন সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত কিন্তু ভাইয়ের কোন খবর নেই। আমার ভীষন ভয় লাগছে ভাইয়ের কি হয়েছে বলতো,সকালে দেখলাম দুইজন গাডকে অর্ধ মরা করে ছেড়েছে।তার চোখ মুখ লাল।দেখে মনে হয়েছে প্রচুর কেদেছে!আগে তো ভাইকে এমন দেখিনি!আমার বিষয়টা ভালো লাগছেনা।
” ও গড তুই আমাকে এখন বলছিস।আগে বলিস নি কেন ডাফার!
“সরি ভাই আমাদের আপনাকে জানাতে বারণ করেছিল।আপনি জলদি আসুন!
“আমি এখন আসতে পারবোনা তার আমানত আমার কাছে(ঈশার দিকে আড় চোখে চেয়ে) তোরা সবাই মিলে ওর বাংলো বাড়িতে নিয়ে আয়।
” ওকে.
রাসেল কল কাটতেই ঈশা আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন করে,
“কি হয়েছে!
” যা হওয়ার কথা ছিল তাই। পাগলটা পাগলামি শুরু করে দিয়েছে!
বেশ কিছুক্ষণ পর ঈশানকে নিয়ে ঘরে ডুকে দুইজন গাড, ঈশানের দিকে তাকিয়ে হতবম্ভ হয়ে যায় রাসেল আর ঈশা!

You are mine part 13