You are mine part 13 || romantic valobashar golpo

You are mine part 13
Poly Anan

“কিরে ঈশান তুই এইসব করে কি মজা পাস বলতো।নিজের হাত কেটে এই কি অবস্থা করেছিস তুই!আরে হাত দেখা হাত সরিয়ে নিচ্ছিস কেন?
ঈশান ড্রিংস করে এদিক সেদিক টাল সামলাতে না পেরে পরে যাচ্ছে রাসেল তাকে টেনে সোজা করে দাড় করায় কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না।রাসেল ঈশানের মুখ থেকে সিগারেট টা নিয়ে তাকে সোফায় বসিয়ে দেয়।শাটের হাতাটা উপর দিকে তুললে খেয়াল করে ঈশানের হাতে রক্তে ঝরছে। কিছু জায়গায় রক্ত শুকিয়ে গেছে। সিগারেটের আগুন দিয়ে হাতে কিছু যেন লেখা।সব কিছু দেখে পুরোপুরি মেজাজ বিগড়ে যায় রাসেলের। সে ঈশানের শাটের কলার টেনে বলে,

” তুই নিজেকে কি ভাবিস হ্যা কি!পাগল প্রেমিক নাকি মহান প্রেমিক? কিরে উওর দিচ্ছিস না কেন?
ঈশান পিট পিট চোখ খুলে রাসেলের দিকে তাকায় আবার হেসে দেয়।
“কাল তুই ভাবীর সাথে এতো জঘন্য আচরন করলি তাও আমি তোর সাপোর্টে কথা বলেছি।কারন আমি যানতাম তুই তখন সজ্ঞানে ছিলি না। কিন্তু এবার কি করলি তুই?এবার তো ঠিকি ছিলি তাহলে নিজের হাতে এইসব কেন?আমার কথার উওর কোথায় কথা বলছিস না কেন তুই?(কলার ঝাকিয়ে)
” হাত কেটেছিস কি দিয়ে বল!এই তুই ড্রিংসের বোতল ভেঙ্গে হাত কেটেছিস!
রাসেলের কথা শুনে ঈশান মিটি মিটি হাসতে থাকে। আবার হু হু করে কেদেঁ দেয়।

“আমি কি করবো বল আমায়।আমি নিজেকে নিজে কিছুতেই ক্ষমা করতে পারছিনা পৃথিবীর সবচাইতে বড় কষ্ট কি যানিস নিজের কাছে নিজে অপরাধী থাকা, তখন তোর কাছে নিজের অস্তিত্বটাকে অপরাধী লাগবে ঘৃণা লাগবে,নিজের মুখ আয়নায় দেখতে পর্যন্ত লজ্জা লাগবে।তারপর নিজের সাথে নিজে যখন পেরে উঠবিনা তখনি আত্নহত্যার পথ বেছে নিবি।আমি মরতেও গেছিলাম হা হা হা! রিভেলবারটা যখন মাথায় ঠেকালাম তখন চোখ বন্ধ করতেই মায়ের মুখটা ভেসে উঠলো হাত নামিয়ে নিলাম। কিছুক্ষন পর আবার মাথায় ঠেকালাম তখন কি ভেসে উঠলো যানিস! সাদা শাড়ি পরা আমার ঈশার মুখটা (ঢোক গিলে)
ঈশানের কথাটা শুনেই চোখ খিচে বন্ধ করে নেয় রাসেল। আর এদিকে বিছানায় বসে ঈশানের দিকে তাকিয়ে অনবরত চোখের জল ফেলছে ঈশা।

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

” ঈশার সাদা শাড়ি পরা মুখ! মুখটা ছিল মলিন। আমি তখনি রিভালবারটা ছুড়ে ফেলেদি, একজন স্বামীর জন্য হয়তো সবচেয়ে কষ্টের ভাবনা তার স্ত্রীর পরনে সাদা শাড়ি। সমাজ তখন তাকে অপয়া বলবে হাজার টা গালি,অপবাদ তাকে সহ্য করতে হবে।আমি সবটা ভেবে সেই পথ থেকে বেরিয়ে এসেছি.(মাথা ঝাকাতে ঝাকাতে)
ঈশান এখন সজ্ঞানে নেই অতিমাত্রার ড্রিংস করে সে বেশামাল হয়ে গেছে।মুখের কথা গুলো বার বার অস্পষ্ট হয়ে আসছে তবুও সম্পূর্ণ কথাটি শেষ করে রাসেলের হাত চেপে ধরে….
“বিশ্বাস কর তোরা আমার ঈশাকে আমি ইচ্ছে করে আঘাত দি নি।কেন যে কি থেকে কি হয়ে গেলো আমি বুঝতে পারছিনা।ঈশা তো আমায় ক্ষমা করবেনা তাইনা।
রাসেল মাথা ঘুরিয়ে ঈশার দিকে তাকিয়। ঈশাযে বিছানার উপর গুটিয়ে বসে আছে তা লক্ষ্য করেনি ঈশান।
“তবে যানিস কি আমিও নিজেকে শাস্তি দিয়েছি দেখ আমিও আমার হাত আগুনে পুড়িয়েছি, বোতল ভেঙ্গে ঈশার নাম লিখেছি।
রাসেল রেগে ঈশানকে ধাক্কা দিয়ে সোফায় বসিয়ে দেয় আর ফাস্ট এইড বক্স এনে ব্যান্ডেজ করতে থাকে…..

” পাগল হয়ে গেছিস তুই পাগল। কি করেছিস তোর একবারে শিক্ষা হয় না তোর আরো গন্ডোগোল লাগবে।মনে রাখিস আর যদি তোকে আমি এইরকম করতে দেখেছি তবে আমি নিজেই তোকে ছেড়ে চলে যাবো(ব্যান্ডেজ করতে করতে)
ঈশান চোখ বন্ধ করে নেয়।রাসেল ঈশার দিকে তাকিয়ে বলে,
“ভাবী আপনি আজকের রাতটা একা থাকুন কোন প্রয়োজন হলে আমাকে ডাকলেই আমি চলে আসবো। ঈশানকে নিয়ে পাশের রুমে যাচ্ছি।আপনার রেস্ট প্রয়োজন রেস্ট নিন।আরেকটা কথা, এই ভিডিও টি দেখুন আশা করি সব ক্লিয়ার হয়ে যাবেন(মোবাইল এগিয়ে দিয়ে)
ঈশা ভিডিওটা প্লে করে যেনো আকাশ থেকে পড়ে। লিমন নাইট ক্লাবে ড্রিংস করে মেয়েদের সাথে বাজে ভাবে নাচ করছে।একের পর এক আসতে থাকে বাজে সিন। এইসব দেখে ঈশা মোবাইল বন্ধ করে ছুড়ে ফেলে দেয় । তার মাথা ধরে আসছে সে না যেনে একটা অন্ধকার জগৎতে পাড়ি জমাতো প্রস্তুতি নিয়েছিল।

এভাবে কেটে যায় আরো এক সাপ্তাহ। বদলে গেছে ঈশান আর ঈশার সম্পর্ক। ঈশান এখন আর ঈশা ঈশা বলে পাগলামি করেনা।ঈশার দিকে চোখ তুলেও তাকায় না।প্রয়োজন ছাড়া কোন কথা বলে না।কিন্তু ঈশা চাতক পাখির মতো ঈশানের দিকে তাকিয়ে থাকে।এই এক সাপ্তাহ সম্পূর্ণ ঈশান ঈশার যত্নে বিভোর ছিল।এখন ঈশা একদম সুস্থ।দুই হাতে লেখা ঈশান নামটি ঈশার হাতে বেশ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
ঈশান মাঝে মাঝেই আড়ালে গিয়ে কাদে।নিজের ভুলের জন্য সে সত্যি অনুতপ্ত।কেন এমনটা করলো, এতটা আঘাত দেওয়া ঈশাকে কিছুতেই উচিত হয়নি।
ঈশান ঈশার পাশে দাড়িয়ে আছে ওষুধ হাতে।
” ঈশা ওষুধটা নাও।
সে চুপ চাপ ওষুধটা মুখে পুরে নেয়।
“তুমি এখন কোথায় যাবে ঈশা?
” মানে(অবাক হয়ে)

“আমি ভেবে দেখেছি ঈশা, তুমি তো আমায় ভালোবাসো না! শুধু আমার কাছে থেকে কষ্ট ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছো না।কথাটি আমার আগেই ভাবা উচিত ছিল! কিন্তু আমি তোমার সাথে এতবড় একটা জঘন্য আচরন করে ফেলেছি তার হয়তো ক্ষমা নেই! কিন্তু বিশ্বাস করো আমি ইচ্ছে করে তোমার সাথে কিচ্ছু করিনি।যেখানে তোমাকে দুই চারটা কটু কথা বলা হলে তুমি কষ্ট পাবে ভেবে, এই ঈশান শাহরিয়ারের মাথা গরম হয়ে যায়। আর সেখানে কিনা আমি তোমার উপরে এতো অত্যাচার করলাম।তাই সবটা বুঝে শুনে সিধান্ত নিয়েছি তোমাকে তোমার বাবার বাড়ি নাহলে ফুফুর বাড়িতে রেখে আসবো। তুমি না হয় তোমার মতো করে কাউকে বেছে নিও! তবে কি ওই লিমনকে বিয়ে করোনা প্লিজ! আর হ্যা আমি সময় মতো ডির্ভোসের কাগজ পা………

কথাটি শেষ করতে পারলোনা ঈশান।তার আগেই ঈশা নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে ঈশানের গালে চড় লাগায়।ঈশান মাথা তুলে ঈশার দিকে একপলক তাকায়।তার মাথায় ঝিম ধরে গেছে।একটু আগের ঘটনা টা কি সত্যি ছিল নাকি ভ্রম! ঈশার চোখ ছল ছল করছে তবে রাগে পুরো মুখ লাল হয়ে গেছে।
ঈশা ধাক্কা দিয়ে ঈশানকে বিছানায় ফেলে দেয়।হঠাৎ টাল সামলাতে না পেরে ঈশান ধপ করে বিছানায় পরে যায়।আর তার উপর ঈশা চড়ে বসে।ঈশান আক্কেগুড়ুম হয়ে ঈশার দিকে তাকিয়ে আছে।ঈশা ঈশানের গালে আরেকটি চড় লাগায়। তার কলার টেনে ধরে বলে,
“ওই কি মনে করেছিস হ্যা আমাকে তোর হাতের পুতুল তুই যেভাবে বলবি আমি ঠিক সেই ভাবেই চলবো কখনো না নেভার।এই ঈশার না এখন কি ইচ্ছে করছে যানিস তোকে খুন করতে। কি করা যায় বলতো!উফফফ রাগ থামছেনা আমার।

ঈশা ইশানের হাত টেনে ধরে কামড় বসায়। সে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রন করছে।
এদিকে ঈশান বেক্কেলের মতো ঈশার দিকে তাকিয়ে আছে। এমন একটা পরিস্থিতির শিকার যে তাকে হতে হবে সে কিছুতেই কল্পনা করেনি।
ঈশা ঈশানের দিকে আদেশ সুরে বলে,
” আমাকে তুই ছেড়ে যাবি তাই না? তোর শাস্তি হলো আমাকে তোর কাছে রাখবি আমি চলে জেতে চাইলেও তুই ধরে রাখবি।প্রয়োজনে আবার মারবি, কাটবি যা ইচ্ছা করবি তবুও তুই আমাকে তোর কাছে রাখবি!.
“ঈশা কি বলছো তুমি এইসব আমি তোমাকে মুক্ত…..
ঈশা আরেকটি চড় লাগায় ঈশানের গালে!
” মুক্ত কিসের হ্যা কিসের মুক্ত আমি মুক্ত হতে চাইনা। আমি তোর খাচাঁয় থেকে তোর আকাশ দেখতে চাই। আমি তোর কাছে থেকে তোর মাঝে বিলিন হতে চাই।বল আমাকে আর কখনো ছাড়বি(কলার ঝাকিয়ে)

“না না না মরে গেলেও না আমার ঈশাকে আমি আমার বুক পকেটে লুকিয়ে রাখবো।আড়াল করে রাখবো এই দুনিয়ায় মাঝে।
ঈশা ঈশানের উপর থেকে নেমে যায়।তারপর ঈশানের বুকে মাথা রেখে ডুকরে কেদেঁ উঠে।নাকের পানি চোখের পানি সব ঈশানের শাটে মুছতে শুরু করে।ঈশার ফ্যাচফ্যাচ কান্না দেখে বেশ হাসি পাচ্ছে ঈশানের,
” বোকা মেয়ে এইভাবে কেউ কাদে! কান্না থামাও বলছি?
” আরো কিছুক্ষণ কান্না করি তোমার বুকে? তোমার কি বিরক্ত লাগছে?(মাথা তুলে)
“তুমি আমার বুকে মাথা রেখেছো তাতে সমস্যা নেই কিন্তু তোমার কান্না আমায় পীড়া দিচ্ছে!
” হয়েছে হয়েছে আর ঢং করতে হবেনা। দেখি হাত দেখাও কি লিখেছো !
ঈশা হাত টেনে দেখে ঈশানের হাতে Isha ❤️IShan লেখা।
“লাভ কি হলো বলতো? নিযে কষ্ট পেলে আমাকেও কষ্ট দিলে?
” এই কষ্টের মাঝে ভালোবাসা লুকিয়ে আছে ঈশু(ঈশাকে বুকের সাথে চেপে ধরে)
“আচ্ছা বাড়ির সবাই যানে আমরা কোথায়?

” মা, জেঠিমা যানে আমরা কক্সবাজার, কিন্তু বাবা জানে বাংলোতে আছি।
“কিহহহহ! বাবা প্রশ্ন করেনি বাংলোতে কেন আমরা!
” আমি আগেই বলেছি জেঠিমার কারনে আমার ওই বাড়িতে থাকতে অসুবিধা হচ্ছে।রাগ কন্ট্রোল করতে পারছিনা তার ব্যবহারে তাই কয়েকদিন নিজেকে আলাদা সময় দিচ্ছি।
“ওহ বুঝেছি।চলোনা ঘুরতে যাবো!
” কোথায় যাবে?
“তুমি যেখানে নিয়ে যাবে!
” ঈশু তুমি কি সব ভুলে গেছো(ভ্রু কুচকে)
“কেন? কি মনে থাকবে?
” তোমার এক্সামের আর বেশি দিন নেই কিন্তু। যদি দেখি ফেল করেছো। একদম সিলিং সাথে ঝুলিয়ে রাখবো বলে দিলাম(ধমক দিয়ে)
“আনরোমান্টিক লোক, রোমান্টিক সময় এসেছে পড়ালেখার খবর নিয়ে দূর ছাই ভাল্লাগেনা!
“আগে পড়া তারপর বাকি সব ওকে(ধমক দিয়ে)
“ঈশা রেগে ঈশানের দিকে বালিশ ছুরে মারে। ঈশান বালিশ ক্যাচ করে ধরে নেয়। ঈশা এবার ঈশানের কলার টেনে ধরে বলে,

” এই ঈশান শাহরিয়ার আমাকে যে আঘাত দিয়েছো সব আঘাত আদর করে পুষিয়ে দেবে!(চোখ রাঙিয়ে)
” মিসেস ঈশান শাহরিয়ার কথা দিচ্ছি সব পুষিয়ে দেবো।শুধু কি আমি আদর যত্ন করলে হবে আমাকেও তো করতে হবে!
“কি আদর যত্ন করতে হবে বলুন মশাই।
ঈশান ঈশাকে টেনে তার বুকের মাঝে গুটিয়ে চোখ বন্ধ করে নেয়।
” আপদত আমি দীর্ঘ আট মাস পর একটু শান্তির ঘুম দেবো। আপনি চুপচাপ আমার বুকের মাঝে ঘুমিয়ে থাকুন।
“আট মাস…!আট মাস কেন? বিয়ে হয়েছে একমাসো হলোনা আপনি আট মাস কোথায় পেলেন।
” বোকা মেয়ে তোমার পেছনে ঘুরেছি সাত মাস আর একমাস বিয়ে সব মিলিয়ে আট মাস।
“ওহহহ বুঝেছি।
” হ্যা আপনি সব বুঝেছেন। আর খবরদার আমার ঘুমের মাঝে সরলতার সুযোগ নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকবেন না কিন্তু তাহলে আরো এক ধাপ প্রেমে পড়ে যাবেন।অবশ্য তাতে আমারি লাভ(চোখ মেরে)
“তাকাবো না যা ভাগ (রেগে গিয়ে দূরে সরে যায়)
ঈশান মুচকি হেসে ঈশাকে বুকের সাথে আরো কাছে টেনে নেয় তারপর দুই হাতের মাঝে বন্ধী করে রাখে । ঈশাও চুপ চাপ ঈশানের বুকে ঘুমিয়ে পরে।
….

You are mine part 12

” কিরে লিমন আজ ২০ টা মেয়ে সাপ্লাই দেওয়ার কথা ছিল তাহলে ১৭ টা মেয়ে গেলো কেন?(ইমন)
“আরে কি করবো ভাই মেয়ে তো পাই না। যা পেয়েছি একমাসে তা দিয়ে দিয়েছি ডেট টা অভার হয়ে যাচ্ছে।
” তোর দুই বন্ধবী নিশি আর তাহাকে ও দিয়ে দিতে পারতি! তাহলে এতোটা ঝামেলার শিকার হতে হতো না।
“আহ ভাই আগেই বলেছি আমার ফ্রেন্ড গুলার দিকে খবরদার নজর দিস না।
“দুবাইয়ের লোকটা আমার সাথে আজকের ও যোগাযোগ করেছে(আড় চোখে তাকিয়ে)
“এখন আমি কি করবো পাখিটা তো খাচায় আসতেই চাইছেনা।
” যে কোরেই হোক এতো মোটা অংকের টাকার অফার কিছুতেই আমাদের মিস করা চলবেনা।তুই যে কোরেই হোক ব্যবস্থক কর!
“উনার সাথে তোর কথা হয়েছে?
“হুম। হয়েছে তাদের অবস্থা সম্পর্কে কিছুই যানেন না তিনি।কাল বেশ কয়েক বার কল করেছি বাট রিসিভ করেন নি তাই…….
” তুই ওই বাড়িতে গিয়েছিলি?(ভ্রু কুচকে)
লিমন কথা শেষ না করতেই প্রশ্নটি ছুড়ে দেয় ইমন।
“হ্যা ভাই গিয়েছিলাম।
লিমনের কথা শুনেই মদের গ্লাসটি ছুড়ে ফেলে দেয় ইমন।
” তোকে কে বলেছে ওই বাড়িতে যেতে হ্যা। তুই যানিস তুই কার বাড়িতে ডুকেছিস একটা শকুনের বাড়িতে তার দৃষ্টি প্রচন্ড প্রখর সহজেই ধরা পরে যেতে পারি আমরা (রেগে)
“আরে ব্রো রেগে যাচ্ছো কেন?ওই বাড়িতে আমি আরো সাম্প্রতিক দুইবার যাতায়াত করেছি এই সহ তিনবার ধরা পড়বো না আমরা।
” যদি পরে যাই।
“আরে দূর এতো সোজা না।বাইদা ওয়ে আমাদের প্লান মোতাবেক কাজ করতে হবে!আমি এখন আসছি কাজ আছে আমার।
কথাটি বলেই লিমন চলে যায়। এদিকে ইমন ভাবতে থাকে কি করা যায়।

….
বাংলোতে আরো দুইদিন কাটিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দেয় ঈশান আর ঈশা।দুজনের মাঝেই এখন বন্ধুত্ব সম্পর্ক।ঈশা আর ঈশানের মাঝে সব ঠিক হয়ে গেছে এইসব শুনে রাসেল,সাদিক, নিশি, তাহা বেশ খুশি। ঈশান আর ঈশা বাড়িতে ডুকেই যা দেখে তাতে পুরো পুরি মেজাজ বিগড়ে যায় ঈশানের।

You are mine part 14