You are mine part 14 || bangla romantic golpo

You are mine part 14
Poly Anan
ঈশার  হাত ধরে ঘরে ডুকতেই কিছু কথা ভেসে আসে ঈশানের কানে।নিজের রাগ নিয়ন্ত্রন করে ঘরের ভেতর ডুকে।ঈশান চুপ চাপ ঈশার হাত ধরে এক কোনায় গিয়ে দাঁড়ায়।ঈশানের মা তাদের দেখে এগিয়ে আসতে নিলে ঈশান হাত দিয়ে ইশারা করে না আসতে, আর চুপ থাকতে বলে।
এদিকে ঈশানের জেঠিমা লিপি এক মনে বকেই যাচ্ছে ঈশাকে উদ্দেশ্য করে ঈশানের মা কে।কথার মাঝে মাঝে কিছু অকথ্য ভাষা তিনি ব্যবহার করছেন যার কারনে ঈশানের মেজাজ পুরোপুরি পুরি বিগড়ে যায়।
“কিরে আমি বলেছিলাম মাহমুদা এই মেয়ে ভালো না, এইসব রাস্তার মেয়ে।নিলোতো নিলো তোর ছেলেটাকে হাত করে নিলো। আর ফিরে পাবিনা তোর সরল সোজা ছেলেটাকে।এই মেয়ে ভালোনা তার চালচলন দেখেই  আমি বুঝে ফেলেছি কিন্তু তোর ছেলেতো বুঝেনা সে তো ওই মেয়ের রুপে পাগল।তাই বলি কি ওই মেয়েকে যে কোরে হোক ঈশানের চোখে শত্রু তৈরি কর! দরকার পড়লে আমি তোকে সাহায্য করবো।কেন যে এইসব মেনে নিচ্ছিস তুই!আমি হলে আগেই ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতাম।
” হ্যা মা ঠিক তুমি কেন এখনো জেঠিমা কে সহ্য করছো আমি হলে আগেই সুসম্মানে  চলে যেতে বলতাম না হলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতা।(রেগে)
ঈশানের কথা পেছনে ঘাড় ঘুরে তাকায় লিপি। ঈশানকে দেখেই সে যেন ৪৪০ ভোল্টের শক খায়। দুই তিনটা ঢোক গিলে মাহমুদার দিকে তাকায়।
“কি হলো আপনার কথা থেমে গেছে কেনো? বলুন বলুন আমি শুনতে  চাই আপনি ঠিক আর কি কি বলবেন?(এগিয়ে এসে)
মাহমুদা ঈশানের পাশে এসে দাঁড়িয়ে বলে,
” ঈশান তুই এইসব কানে নিচ্ছিস কেন?যা বাইরে থেকে এসেছিস ফ্রেশ হয়ে নে। একসাথে খাবো?!
“মা একদম জেঠিমাকে বাচাতে কথা ঘুরাবেনা। উনি এইসব বলে গেলো আর তুমি শুনে নিলে কিভেবে?
মাহমুদা ঈশান কে চুপ থাকতে ঈশারা করে। কিন্তু ঈশান আরো রেগে লিপির সামনে দাঁড়ায়..
” এই আপনার সমস্যা কি এই বাড়িতে এখনো পড়ে আছেন কেন।বুঝলাম আপনি বউ দেখতে এসেছেন বউ দেখতে অন্যরা ও এসেছে তারা তিন ৩/৪ ঘন্টা পর আবার চলে গেছে আর আপনি দুই সাপ্তাহ এখানে পরে আছেন। কি বউ দেখা হয় নি আপনার।ঈশা এদিকে আসো(ঈশাকে উদ্দেশ্য করে)
ঈশা গুটি গুটি পা ফেলে ঈশানের সামনে দাঁড়ায় ঈশান এখন কি করতে চাইছে তার ঠিক মাথায় ডুকছেনা।ঈশাকে আস্তে হাটতে দেখে ঈশান ধমকে বলে,
“জোরে হাটা যায় না পায়ের চার্জ কি শেষ নাকি!
ঈশা এবার দ্রুত ঈশানের পেছনে দাঁড়ায়। ঈশান আবার তাকে টেনে লিপির সামনে দাড় করায়!!
” দেখুন আমার বউয়ের চোখ টানা টানা তার উপরের পাপড়ি গুলো বেশ বড়।চোখে কাজল দিলে তো আর কথাই নেই আমি খুন হয়ে যাই সেই চোখের দিকে তাকিয়ে.. (লিপিকে উদ্দেশ্য করে ঈশার চোখ দেখিয়ে)
নাক দেখুন একটুও বোচা না। নাকটা দেখলেই ইচ্ছে করে টেনে দিতে যদিও টেনে দি টমেটোর মতো নাকটা লাল হয়ে যায়।আর নাকের নোজ পিনটা দেখছেন আমি নিজে পছন্দ করে কিনে দিয়েছি।নোজ পিনটা তার নাকে একদম মায়াবী ভাবেই আছে।
ঠোঁটটা দেখুন.! ঠোঁটের সম্পর্ক কিছুই বলার নেই বর্ননা করেও শেষ হবে না..তার ঠোটেঁর পাশের তিলের দিকে তাকালে আমি দিনে হাজার বার খুন হই।
ঈশানের এইসব বর্ননায় ঈশা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় সে এইসব কি বলছে কি করছে কিছুই তার মাথাউ বোধগাম্য হচ্ছে না।তবে মনে মনে বেশ লজ্জা পাচ্ছে।
“আমার বউয়ের থূতনিটা দেখুন!থূনির মাঝে ওই গর্তটা একদম ভাল্লাগে আমার। যদি এর মাঝে একটি তিল থাকতো পুরো জমে যেতো।
চুল দেখুন কোমর সমান।সিল্কি চুল এইসব কিন্তু পার্লারে গিয়ে করেনি ওর চুল নেচেরাল।
তার হাইট দেখুন একদম বুক বরাবর আমার কাছে এটাই পারফেক্ট হাইট। সে সহজেই আমার হার্ড বিট শুনতে পায়!
আপনার আর কি দেখা আছে! বলুন! উওর দিন একদম বর্নণা করে দিয়েছি।
লিপি চুপচাপ ঈশানের দিকে তাকিয়ে থাকে আর মনে মনে হাজারটা গালি দেয়।
” আপনি এমন করছেন কেনো ঈশাকে নিয়ে আপনার সমস্যাটা কোথায়? উওর দিন!(চিৎকার দিয়ে)
“তোদের এই পিরিতি কতদিন থাকে আমিও দেখে নিবো..!
লিপি রেগে কথাটি বলেই নিজের রুমে গিয়ে দরজা আটকে দেয় আর কাকে যেন ফোন করে!
এদিকে ঈশানের রাগ অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে।ঈশা ঈশানের রাগ থামানোর কথা কিন্তু ঈশানের রাগ সম্পর্কে আগেই তার যথেষ্ট ভালো ধারণা হয়ে গেছে তাই ভয়ে চুপ চাপ মাহমুদার পেছনে গিয়ে দাড়ায়। এদিকে ঈশান ভাঙ্গার মতো কিছুনা পেয়ে দোড়ে গিয়ে ডাইনিং টেবিলের সামনে গিয়ে কাচেঁর জগটি ছুড়ে মেঝেতে ফেলে।
মাহমুদা ঈশাকে তার পেছনে লুকিয়ে থাকতে দেখে বলে,
” বোকা মেয়ে হাজবেন্ডের রাগ উঠলে স্ত্রী ঠান্ডা করে আর তুই পালাচ্ছিস কেন?
“না মা আমি পারবো না।আপনার ছেলে রেগে গেলে আর জ্ঞান বুদ্ধি হারিয়ে ফেলে কখন আবার আমাকেই তুলে আছাড় মারে!
” আরে পাগলটা এবার সব ভেঙ্গে ফেলবে তাড়াতাড়ি যা তুই পারবি রাগ থামাতে!
“যাবো?(ভয়ে ঢোক গিলে)
” আরে যা!
ঈশা ঈশানের সামনে দাঁড়িয়ে বলে,
“চলুন ঘরে যাবো এখানে ভাল্লাগছেনা (ঠোঁট উলটে)
” ঈশা আমার সামনে থেকে সরে যাও। আমার মাথা কিন্তু খুব গরম কখন তোমায় আবার নিজের অজান্তে আঘাত করে দেবো নিজেও যানিনা।
ঈশা ঈশানে ডান হাতটা টেনে উপরে নিতে থাকে আর বলে,
“চলুন তো দুপুর হয়ে গেছে ফ্রেশ হয়ে আমরা কিছু খাবো!  তারপর আমাকে ঘুরতে নিতে হবে!
” এই তোমার এখন আবার ঘুরতে জেতে হবে এই কয়েক দিন কি কম ঘুরেছো?
ঈশা ঈশানকে রুমে এনে দরজা বন্ধ করে দেয়।
“না আমাকে আজকেও ঘুরতে নিতে হবে মানি না!
” আমি নেবো না আমার অনেক কাজ আছে!
ঈশা এবার ঠোঁট ফুলিয়ে কান্নার ভাব করে,
“আমাকে কোথাও কেন নিতে চাননা ওওওও অন্য গালফ্রেন্ডারা দেখে নেবে তাই বুঝি?
” ঈশা তুমি আমার রাগ কমানোর পরির্বতে বাড়িয়ে দিচ্ছো!(রেগে)
“আচ্ছা থাক এবার রাগ একদম কমে যাবে!
ঈশা টুপ করে ঈশানের হাতে একটি চুমু খায়।
“একটাতে রাগ কমেনা আরো লাগবে।
ঈশা এবার বাম হাতের উলটা পিঠে আরেকটি চুমু দেয়!
” এই একটায় হবে না আরো লাগবে।
ঈশা এবার রেগে ঈশানের চুল টেনে বলে,
“আরো দিলে বলবি এই কয়টায় হবে না হাজার টা লাগবে যা ভাগ তুই! (দাতে দাত চেপে)
“এই তুমি আমায় তুই তুকারি করছো কেন?(ভ্রু কুচকে)
” তুই বলার অধিকার আমার আছে!
“ও আচ্ছা তাই নাকি কে দিয়েছে এই অধিকার আপনাকে..?
” আমার সবটা যখন তোমাকে নিয়ে, তখন এই তুই তুমি আপনি সবাটাই আমার কাছে এক।কারন মানুষটাই আমার সম্মোধনে কি এসে যায়।
ঈশার কথা ঈশান ঈশাকে বুকে টেনে নেয়। মাথায় আলতো করে চুমু খেয়ে বলে,
“আমার পাগলি বউটা!
…..
পড়ন্ত বিকেলের ফুসকার স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে নিশি আর তার কাজিন৷ অনেক দিন হয়ে গেছে বন্ধুদের সাথে আর ফুসকা আড্ডা হয় না।লিমন তাহা ঈশা, নিশি প্রতিদিন ভার্সিটি শেষে ফুসকা ঝাল মুড়ি আড্ডায় মেতে থাকতো, কখনো বা লেকের পাড়ে পিৎজা ভাগাভাগির দিন গুলো মনে পড়তেই খা খা করে উঠে বুকের মাঝে। এখন সব হারিয়ে গেছে সব। হারানো টা, তবে থেকেই শুরু হয় যেদিন থেকে ঈশার জীবনে ঈশানের হস্তক্ষেপ শুরু।একে একে লিমন ঈশা দূরে সরে যায়। তারপর তাহা আরিফকে মেনে নেয়। তারপর থেকেই নিশি একা ভার্সিটিতে ও তেমন আসা যাওয়া করেনা।কিন্তু আজ যখন সমবয়সী কাজিন বায়না ধরলো ফুসকা খেতে যাবে তখন অতীত মনে পড়তেই বুক চিড়ে বেরিয়ে এলো দীর্ঘ শ্বাস।
লেকের দিকটায় আজ তেমন লোকজন নেই।শুক্রবার দিনটায় সবচে বেশি মানুষজন দেখা যায়।হুট করেই নিশির চোখে পড়ে রাসেলকে।ফোনে কার সাথে কথা বলতে বলতে লেকের দিকটা চক্কর দিচ্ছে।মোবাইল কান থেকে নামাতেই তার পাশে এসে দাঁড়ায় নিশি।
” হেই মি.রাসেল কেমন আছেন?
“হুম ভালো। কিছু বলবেন?
” ঈশার কি অবস্থা তার সাথে তো আমার একদম যোগাযোগ বন্ধ, জিজুর নাম্বার টাও নেই।
“হুম ভালো আছে। আমি বলবো ভাবিকে আপনার সাথে যোগাযোগ করে নিতে।
” আপনি কি খুব বিজি এখন?
“কেন?
” তাহলে চলুন ফুসকা খাই!(হাসিমুখে)
“সরি আপনি খান আমার ইচ্ছে নেই।
” আরে এমন করছেন কেন কেউ কোন জিনিস আবদার করলে ফেলতে নেই আপনি যানেন না!
“আমার ডিকশনারিতে কারো আবদার ইচ্ছে পূরনের শব্দ নেই।আমি আমার।(গম্ভীর কন্ঠে)
” ওহ আচ্ছা বুঝেছি আপনার মনে ওয়ালেট টা বাড়িতে রেখে এসেছেন ভুলে তাই বিল পে করার ভয়ে বড় বড় ডায়ালগ দিচ্ছেন!?(আড় চোখে তাকিয়ে)
“হোয়াট,কি বললেন আপনি?আমার সাথে কি আছে আপনি যানেন, আমি যাথে যে টাকা নিয়ে ঘুরি আপনার হাজার টা ফুসকা বিলের দায়িত্ব আমি নিতে পারবো!(রেগে)
” তো নিয়ে নেন না বারন করেছে কে তাতে তো আমার সুবধাই হবে?।
রাসেল বিড়বিড় করে কি যেনো বলে তারপর নিশির মুখের দিকে তাকিয়ে হুট করেই আবার গলার স্বর নামিয়ে নেয়।যার মুখে হাজার টা মায়ার ছাপ তার সাথে কখনো শক্ত কথা মুখে আসেনা।
” আচ্ছা চলুন আপনারা খাবেন আমি নাহয় একটু সেয়ার নেবো আপনাদের কাছ থেকে!(মুচকি হেসে)
“সিওর.. চলুন।(খুশি হয়ে)
ফুসকা স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বিভোর, রাসেল আর নিশি। এদিকে অনেক্ষন থেকে বিষয়টি লক্ষ্য করছে ঈশান আর ঈশা। তারাও আজ লেকের পাড়ে ফুসকা খেতে এসেছে।কিন্তু রাসেল আর নিশিকে এইভাবে দেখবে কল্পনাও করেনি তারা।ঈশান এর মাঝেই তাদের কিছু ছবি তুলে নেয়।
” চলো ঈশু ওদের হাতে নাতে ধরি শালা লুকিয়ে প্রেম করছে আর আমাদের কে বলছে না এটা তো মেনে নিতে পারিনা।
ঈশান আর ঈশা দুজনে এগিয়ে যায়।তারা দুজনে এখনো কথা মাঝেই আছে। রাসেল নিশির দিকে তাকিয়ে কিছু একটা বলে ঈশান পেছন থেকে বলে,
“তারপর!
রাসেল কথাতে এতোই বিভোর তারপর শব্দটা কে বলেছে তার মাথায় ডুকে নি।নিশি ঈশানের দিকে তাকালে ঈশান চুপ থাকতে ঈশারা করে।
” এদিক দিয়ে আসলে অনেক দিন যাওয়া হয় না তাই একটু হাটতে বের হয়েছিলাম(রাসেল)
“তারপর (ঈশান)
” তারপর আর কি আ……!
কথাটা শেষ করার আগেই ঈশানকে দেখে পুরো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় রাসেল।
“কিরে তোরা!
” কেন আশা করিস নি বুঝি।
” না তা ঠিক না!
“তবে কি(ভ্রু কুচকে)
” দূর।
ঈশা দৌড়ে নিশিকে জড়িয়ে ধরে কত দিন পর তাদের দেখা দুজনের চোখ ছল ছল করে উঠে।
আড্ডা মাস্তি শেষে…..ঈশা নিশি আর তার কাজিন একা সামনের দিকটায় হেটে যাচ্ছে। রাসেল আর ঈশান তাদের পেছনে।ঈশান রাসেলকে ছবি গুলো দেখি বলে,
“এই ছবি আজ আন্টির কাছে যাবে।
” না ভাই প্লিজ এমনটা করিস না।মা আজ কয়েকদিন বিয়ের জন্য চাপাচাপি করছে আমি বারন করেছি তবুও বলছে আমার নাকি কোন মেয়ের সাথে সম্পক আছে! তুই তো যানিস আমার কোন সম্পর্ক নেই
“হ্যা আছে তো আমি যানি!
” ঈশান কি বলছিস এইসব পাগল হয়ে গেছিস।
“কেন নিশিকে তোর ভালোলাগেনা।
” লাগে কিন্তু বউ হিসেবে কখনোই না।
“রাসেল নিজের জীবনকে একবার সুযোগ দে। সাজিয়ে নে না সবটা।যাকে ভালোবাসতি তার বিয়ে হয়ে গেছে।আমরা চেয়েছিলাম ওকে আনতে তুই আনতে দিলি না এখন এইসব কেন?

You are mine part 13

” কিন্তু…
“কোন কিন্তু নয় বিয়ের জন্য প্রস্তুত হ।
রাতের মৃদু মন্দা বাতাস উপভোগ করতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে ঈশা…ঈশান পেছন থেকে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে।
” এখানে এতো রাতে দাড়িয়ে কি করছো!
“দেখছো না কি করছি!
,” আচ্ছা একটা কথা বলতো নিশি আর রাসেল দুজনকে এক করে দি কি বলো?
” আমারো তাই মনে হয়।!
“তাহলে চলো এবারের  মিশন রাসেলের বিয়ে!
দীর্ঘ চল্লিশ মিনিটের মতো জ্যামে আটকে আছে রাসেল। তার দৈর্য্যর বাধ যেনো এবার ভেঙ্গে যাচ্ছে।রাসেলের বাবা একের পর এক ফোন দিয়েই যাচ্ছে সে কোথায় আসছে না কেন! তার মা ও ফোন করে দুই চারটা কথা শুনিয়ে দিচ্ছে তাদের বোঝাতে সে সক্ষম হচ্ছে না সে জ্যামে আটকে গেছে।প্রায় একঘন্টা আগেই রাসেলের বাবা রাসেলকে একটা ঠিকানা মেসেজ করে দেয় যাওয়ার জন্য। যাওয়ার আগে যেনো ভালো পোশাক পরে আসে।তার এইসব গুন্ডার বেশে থাকাটা একদম পছন্দ করেন না তিনি।রাসেল  এখনো বোঝেনা তার বাবা কেন সবসময় এই কথা বলে ধমকি দেন।শাট আর জিন্সের মাঝে গুন্ডামির কি আছে। ছোট থেকেই সে বাবা কে ভীষন ভয় পায়। তাই বাবার কথা রাখতে বাড়ি থেকে পাঞ্জাবি পরে একদম ভদ্র বেশে সেই ঠিকানায় যাওয়ার উদ্দেশ্য বের হয়।কিন্তু সেই জ্যামে আটকে আছে দীর্ঘ চল্লিশ মিনিট।।
কিছুক্ষণ পর রাসেল সেই ঠিকানায় পৌছে যায়।বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তার বাবাকে ফোন করতেই তিনি বলেন সে যেনো বাড়ির ভেতরে ডুকে।রাসেল বিড়বড় করতে করতে বাড়ির ভেতরে বসার  ঘরের সামনে  যা দেখে তার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না।

You are mine part 15