অতঃপর প্রেমের আগমন সিজন ২ পর্ব ৭

অতঃপর প্রেমের আগমন সিজন ২ পর্ব ৭
ইরিন নাজ

গাড়িতে বসে আড়চোখে বারবার আয়ানা কে পর্যবেক্ষণ করে চলেছে আদ্রিশ। আয়ানার উদাস দৃষ্টি জানালার বাইরে। মুখ টা মলিন হয়ে আছে তার। আয়ানার মলিন মুখশ্রীর দিকে তাকিয়ে ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেললো আদ্রিশ। সে জানে এভাবে হুট করে চলে আসা তাদের ঠিক হয় নি। কিন্তু কি করতো সে!

ওখানে থাকলে আবারও সারার মুখোমুখি হতে হতো। আর সারা কে দেখলেই রা’গ হতো তার। রা’গের মাথায় উল্টোপাল্টা কিছু করে বসলে একটা ঝা’মে’লা বেঁধে যেতো। যা মোটেও চায় নি আদ্রিশ। তাই তো দ্রুত ওখান থেকে চলে যাচ্ছে। আদ্রিশ এটাও চায় না যে আয়ানা এই ব্যাপারে কিছু জানুক। এমনিতেও মেয়ে টা ওই ব’দ মেয়ের জন্য অনেক ক’ষ্ট পেয়েছে। ওই ফা’ল’তু মেয়ের জন্য আয়ানা আবারও ক’ষ্ট পাক সেটা মোটেও চায় না সে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আদ্রিশের ভাবনার মাঝেই গাড়ি এসে তাদের বাড়ির সামনে থামলো। নেমে পড়লো সবাই। আয়ানা মন ম’রা হয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই আনিকা কোথা থেকে দৌড়ে এসে তাকে ঝাপ্টে ধরলো। অভিমানী কণ্ঠে বলে উঠলো,
— “আমি তোমাকে ভীষণ মিস করেছি আয়ানা পাখি। তুমি কিভাবে পারলে আমাকে একা রেখে ওখানে গিয়ে থাকতে, হু? তুমি জানো না আমার তোমাকে ছাড়া একা একা ভালো লাগে না?”

— “আমিও তোমাদের সব্বাই কে ভীষণ মিস করেছি। কিন্তু কি করবো বলো, ওখানে গেলে আবার আম্মু কে ছেড়ে আসতে ইচ্ছে করে না।”
আলতো হেসে বলে উঠলো আয়ানা। সে জানে এই মেয়ে টা তাকে বড্ড ভালোবাসে। আয়ানা মাঝে মাঝে ভুলেই যায় আনিকা তারচেয়ে বয়সে বড়। বাড়িতে থাকলে তারা সারাক্ষন একসাথেই থাকে। আড্ডা দেয়, মাঝে মাঝে একসাথে পড়াশোনা করে। আনিকা মেয়ে টা তার ননদ কম বান্ধুবী বেশি। ভাগ্য করে এমন একটা পরিবার পেয়েছে সে যেখানে সবাই তাকে এতো টা ভালোবাসে। কেউ তাকে পর মনে করে না।

আনিকা, আয়ানার কথার মাঝে এগিয়ে আসলেন অনু বেগম এবং প্রীতি। কুশল বিনিময় করতে লাগলেন। আদ্রিশ অনু বেগম কে বলে উপরে নিজের রুমে চলে গেলো। অলরেডি ৮.৪৫ বাজে। ১০ টার মধ্যে তাকে হাসপাতালে উপস্থিত হতে হবে। হাতে সময় খুব কম। দ্রুত সব গুছিয়ে রেডি হয়ে বের হতে হবে তাকে।

বাড়ির সবার নাস্তা করা হয়ে গেছে। এই বাড়িতে ৯ টার মধ্যেই সবার নাস্তা করা হয়ে যায়। এরপর সবাই যে যার গন্তব্যে চলে যায়। সবার যেহেতু নাস্তা করা হয়ে গিয়েছে আর আদ্রিশের ও সময় কম তাই খাবার রুমেই নিয়ে এসেছে আয়ানা। কিন্তু রুমে ঢুকে আদ্রিশ কে কোথাও দেখতে পেলো না সে। ওয়াশরুম থেকে পানি পড়ার শব্দ আসছে। হয়তো শাওয়ার নিচ্ছে আদ্রিশ।

তাই ধীর পায়ে বেলকনিতে চলে আসলো আয়ানা। এই বেলকনি টা তার বড্ড প্রিয়। অনেক অনেক ফুল গাছ রয়েছে আদ্রিশের বেলকনিতে। সে নিয়মিত এই গাছগুলোতে পানি দেয়। তার ভালো লাগে গাছগুলোর যত্ন নিতে।
বেলকনিতে প্রবেশ করতেই ফুরফুরে বাতাস এসে উড়িয়ে দিলো আয়ানার ওড়না, বাতাসের সাথে ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণ ভেসে এসে নাকে ঠেকলো। চোখ বন্ধ করে জোরে শ্বাস টানলো আয়ানা। ভীষণ শান্তি লাগছে এখন তার। মন খারাপ ভাব অনেকটা কমেছে।

কিছু সময় বেলকনিতে থেকে রুমে আসলো আয়ানা। রুমে ঢুকতেই আরেক দফা লজ্জায় লাল হলো সে। পা থেমে গেলো তার। ওখানেই কাচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। আদ্রিশ গলায় তোয়ালে ঝুলিয়ে উদাম শরীরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পরনে শুধুমাত্র প্যান্ট তার। চুল দিয়ে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি পড়ছে। ব্যস্ত হয়ে কিছু ফাইল এক জায়গায় করছে সে। তারপর ফাইল গুলো টেবিল থেকে নিয়ে বেডে রাখলো আদ্রিশ। বসে বসে মনোযোগ সহকারে উল্টেপাল্টে দেখতে লাগলো।

চোরা চোখে বারংবার আদ্রিশ কে দেখে যাচ্ছে আয়ানা। নিজের বেহায়া দৃষ্টি কিছুতেই আদ্রিশের উপর থেকে সরাতে পারছে না সে। আয়ানার মনে হচ্ছে দিনদিন নির্লজ্জ, বেহায়া হচ্ছে সে। আর তার নির্লজ্জ হওয়ার একমাত্র কারণ সামনে বসে থাকা এই শ্যামপুরুষ, তার ডাক্তার সাহেব। লোকটা তাকে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করে। একবার তাকালে চোখ সরাতে ইচ্ছে করে না, পলক ফেলতে ইচ্ছে করে না তার। লোকটার সংস্পর্শে থাকলে যেনো নির্লজ্জ, বেহায়া হয়ে যায় সে।

হুট করে আদ্রিশের চোখ পড়লো আয়ানার দিকে। মেয়ে টা তাকে এতো মনোযোগ সহকারে লুকিয়ে চুরিয়ে দেখছে ভেবে হাসলো সে। আদ্রিশের হঠাৎ তাকানোয় এবং এভাবে হাসায় থতমত খেলো আয়ানা। দ্রুত দৃষ্টি ঘুরিয়ে এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো। ধরা পড়ে গেছে ভেবে লজ্জায় কোথাও লুকিয়ে যেতে ইচ্ছে করলো আয়ানার। আয়ানার দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভেবে ঠোঁট বাকিয়ে হাসলো আদ্রিশ।

হুট করে মুখের উপর কিছু পড়ায় চমকালো আয়ানা। মুখের উপর থেকে জিনিস টা সরিয়ে চোখের সামনে এনে দেখলো তোয়ালে। চোখ বড় বড় করে একবার আদ্রিশ আর একবার তোয়ালে দেখতে লাগলো সে।
— “দেখছো যে তোমার হাসব্যান্ড ব্যস্ত, এতোটাই ব্যস্ত যে চুলটাও মুছতে পারে নি। ওখানে চুপচাপ দাঁড়িয়ে না থেকে তোমার কি উচিত নয় তাকে সাহায্য করা?”

গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠলো আদ্রিশ। আদ্রিশ কি বোঝাতে চাইছে বুঝতে পারলো আয়ানা। সে ভাবলো আসলেই তার আদ্রিশ কে সাহায্য করা উচিত। সবকিছু সামনে এগিয়ে দেয়া উচিত। ধীর পায়ে তোয়ালে হাতে আদ্রিশের নিকট এগিয়ে গেলো সে। আলতো হাতে সুন্দর করে চুল মুছে দিতে লাগলো। আদ্রিশের কাছাকাছি অবস্থান করলে তার হৃদয় অস্বাভাবিক হারে স্পন্দিত হয়। এখনো হচ্ছে, তবে ভালো ও লাগছে তার আদ্রিশের কাছাকাছি থাকতে।

চুল মুছা শেষ হলে আদ্রিশের শার্ট, ঘড়ি এবং প্রয়োজনীয় সবকিছু নিয়ে এসে বিছানায় রাখলো আয়ানা। এর আগে আদ্রিশের জিনিস পত্র তেমন একটা স্পর্শ করে নি সে। আদ্রিশ মাইন্ড করতে পারে ভেবেই কখনো আদ্রিশের জিনিসে হাত লাগানো হয় নি তার। আজ যেহেতু আদ্রিশ অনুমতি দিয়েই দিলো সেহেতু এখন থেকে নিয়মিত ই সব গুছিয়ে সামনে এগিয়ে দিবে বলে ঠিক করলো আয়ানা।

আদ্রিশ ফাইল পত্র গুছিয়ে একটা ব্যাগের মধ্যে ভরে নিলো। তারপর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে গায়ে শার্ট জড়াতে লাগলো। আদ্রিশ কে রেডি হতে দেখে আয়ানা আমতা আমতা করে বলে উঠলো,
— “নাস্তা করবেন না?”
— “উম, সময় নেই একেবারে। তবে কেউ যদি আমি রেডি হতে হতে খাইয়ে দেয় তবে খেতে পারি। নইলে না খেয়েই থাকতে হবে।”

আড়চোখে তাকিয়ে বলে উঠলো আদ্রিশ। আদ্রিশ কি করতে বলছে বুঝতে পেরে লজ্জা পেলো আয়ানা। তবে এখন লজ্জা নিয়ে বসে থাকলে আদ্রিশ কে না খেয়ে থাকতে হবে ভেবে খাবারের প্লেট হাতে তুলে নিলো সে। রুটি ছিঁড়ে আদ্রিশের মুখের সামনে ধরলো। টপ করে খাবার মুখের মধ্যে পুরে নিলো আদ্রিশ। প্রথম বার বউয়ের হাতে খাওয়ার সুযোগ কিছুতেই মিস করতে চায় না সে। ইচ্ছে করে আয়ানার আঙুলে ঠোঁট ছোঁয়ালো আদ্রিশ। কেঁপে উঠে দ্রুত হাত সরিয়ে নিলো আয়ানা। আয়ানার মুখের অবস্থা দেখে মিটিমিটি হাসলো আদ্রিশ। আয়ানা পুনরায় খাবার মুখের সামনে ধরতেই আবারও একই কাজ করলো সে। বারংবার একই কাজ করে করে আয়ানা কে লজ্জা দিতে লাগলো। তার ভালো লাগছে মিষ্টি বউয়ের লজ্জাবতী রূপ টা দেখতে। কি অপরূপ ই না লাগে যখন মেয়ে টা লজ্জা পায়! অবশ্য তার মিষ্টি বউটাকে তো সব রূপেই অপরূপ লাগে।

আদ্রিশের রেডি হতে হতে তাকে সবটাই খাইয়ে দিলো আয়ানা। প্লেট রেখে এক পাশে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো। আয়ানা কে ওভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আয়ানার কাছে এগিয়ে গেলো আদ্রিশ। নরম কণ্ঠে ডেকে উঠলো,

— “আয়ানা….”
— “হু…”
— “মন খারাপ?”
— “উহু…”
— “মন খারাপ করো না। আমরা শীঘ্রই আবার আম্মুর সাথে দেখা করতে যাবো। আর নাহলে আম্মু কে এখানে ডেকে নিবো। ঠিক আছে?”

ঝলমলে হাসলো আয়ানা। মাথা ঝাকিয়ে হ্যা বোঝালো। যা অল্প একটু মন খারাপ ছিলো তাও আদ্রিশের কথায় দূর হয়েছে তার। লোকটা তাকে বড্ড বোঝে ভেবে মন টা আনন্দ, ভালো লাগায় ভরে উঠলো আয়ানার।
— “নাস্তা করে নিও কেমন?”
আদ্রিশের কথায় ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসলো আয়ানা। লাজুক হেসে ছোট করে জবাব দিলো,
— “হু।”
এরপর হঠাৎ এক অভাবনীয় কাজ করে বসলো আদ্রিশ। আয়ানার গালে হাত ছুঁয়িয়ে টুপ করে কপালে গাঢ় চুম্বন এঁকে দিলো সে।
— “সেকেন্ড কিস…”

ফিসফিসিয়ে বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো আদ্রিশ। আদ্রিশ অনেক আস্তে বললেও কাছাকাছি থাকায় কথা টা কানে গেলো আয়ানার। থমকে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে রইলো সে। আয়ানার মনে হচ্ছে সে একটা ঘোরের মাঝে আছে। কিছুক্ষন আগে এখানে যা হয়েছে তা আসলে হয় ই নি এমনটাই মনে হচ্ছে তার। কিছু সময় পর ঘোর থেকে বেরিয়ে আসলো আয়ানা। ধীর পায়ে আয়নার সামনে এসে দাঁড়ালো সে। কপালে আদ্রিশের চুম্বন করা স্থানে আলতো করে আঙ্গুল ছোঁয়ালো। মুহূর্তেই লজ্জায় লাল হয়ে উঠলো সে।

আয়নায় নিজের প্রতিবিম্ব দেখে দুই হাতে মুখ ঢেকে লাজুক হাসলো। আদ্রিশ আজ তাকে স্পর্শ করেছে, সজ্ঞানে স্পর্শ করেছে। আদ্রিশের ব্যবহারে পরিবর্তন এসেছে তা স্পষ্ট টের পাচ্ছে আয়ানা। হয়তো তাকে সম্পূর্ণরূপে মেনে নিয়েছে আদ্রিশ। আদ্রিশের এই পরিবর্তিত ব্যবহার হজম করতে কষ্ট হচ্ছে আয়ানার, আবার ভালোও লাগছে। কিন্তু একটা প্রশ্ন জাগছে আয়ানার মনে।

সেকেন্ড কিস কেনো বললো আদ্রিশ! তার জানামতে আজই প্রথম তাকে কিস করেছে আদ্রিশ। অনেকক্ষণ ভেবেও কিছু মনে করতে পারলো না আয়ানা। সে ঠিক করলো কোনো একদিন আদ্রিশকেই জিজ্ঞাসা করবে ফার্স্ট কিস কখন করেছিলো। পুনরায় নিজের কপালে আঙুল স্পর্শ করে লাজুক হাসলো আয়ানা। মন জুড়ে যেনো অনুভূতিরা রঙিন প্রজাপতি হয়ে উড়ে বেড়াতে লাগলো। এ কেমন অনুভূতি জানা নেই আয়ানার। জানতেও চায় না সে। শুধু অনুভব করে যেতে চায়। ভালো লাগছে তার এই নতুন অনুভূতির সাথে পরিচিত হতে, অনুভব করতে।

পা টিপে টিপে অনু বেগমের রুমের সামনে এসে ভেতরে উঁকি দিলো আয়ানা। হালকা করে দরজায় বারি দিলো সে। মনোযোগ সহকারে কোনো একটা বই পড়ছিলেন অনু বেগম। আয়ানা কে দেখে এক গাল হাসলেন উনি। বলে উঠলেন,
— “ভেতরে এসো, বাইরে দাঁড়িয়ে আছো কেনো? তোমাকে না বলেছি আমার রুমে ঢুকতে কোনো অনুমতি নেয়া লাগবে না! যখন ইচ্ছে হবে চলে আসবে। মায়ের রুমে ঢুকতে অনুমতি নেয়া লাগে বুঝি!”

আয়ানা ভেতরে ঢুকে অনু বেগমের গলা জড়িয়ে ধরলো। বলে উঠলো,
— “সরি আম্মু। নক না করে ঢুকতে আমার যেনো কেমন কেমন লাগে।”
আয়ানা এভাবে বলায় হাসলেন অনু বেগম। বললেন,
— “আচ্ছা, আচ্ছা হয়েছে। এখন এখানে বসো দেখি। আমি আসছি দুই মিনিট…”
আয়ানা কে বসিয়ে রুমের বাইরে গেলেন অনু বেগম। কিছুক্ষন পর এক বাটি আচার হাতে ফিরলেন উনি। আয়ানার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন,

— “কেমন হয়েছে খেয়ে বলো তো দেখি?”
আয়ানা উৎফুল্ল মনে একটুখানি মুখে দিলো। অনেক সুস্বাদু হয়েছে আচার।
— “অনেক টেস্টি হয়েছে আম্মু…”
আয়ানা আঙুল চেটে খেয়ে বলে উঠলো। বলেই পুনরায় টেস্ট নিয়ে খেতে লাগলো সে। হাসলেন অনু বেগম। হুট করে খাওয়া থামিয়ে দিলো আয়ানা। অনু বেগম বলে উঠলেন,
— “কি হলো থামলে কেনো? খাও…”

আয়ানা ছলছল চোখে তাকালো অনু বেগমের দিকে। সে মূলত এখানে এসেছে নিজের ব্যাপারে সবকিছু অনু বেগম কে জানাতে। আদ্রিশ কে তো জানিয়েই দিয়েছে। এখন অনু বেগম কে সব টা জানিয়ে দিতে পারলে হালকা হতে পারবে সে। আয়ানা কিছুক্ষন থম মে’রে থেকে বলে উঠলো,
— “আমি যে মীরা আপুর আপন বোন নই তা কি জানো আম্মু? আমাদের বাবা যে আলাদা…”
আয়ানার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে অনু বেগম বলে উঠলেন,

— “হুম জানি। কিন্তু কিভাবে জানি সেটা আজ তোমাকে বলবো না। পরে কোনো একদিন বলবো।”
চমকালো আয়ানা। অনু বেগম সব টা জানে ভেবে অবাক হচ্ছে সে। তবুও এ নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন করলো না আয়ানা। অনু বেগম যখন বলেছেন উনি পরে বলবেন তাহলে পরেই বলবেন।
— “তোমার মতো মিষ্টি একটা মেয়ে কে যে ছেলের বউ করে পার্মানেন্টলি আমার বাড়িতে নিয়ে আসতে পেরেছি এটা তো আমার ভাগ্য।”

অতঃপর প্রেমের আগমন সিজন ২ পর্ব ৬

বলে উঠলেন অনু বেগম। অনু বেগমের হাত জড়িয়ে ধরলো আয়ানা। হাতের পিঠে চুমু খেয়ে বললো,
— “এমন একটা পরিবার যে আমি পেয়েছি এর জন্য প্রতি মুহূর্তে রবের নিকট শুকরিয়া আদায় করি আমি।”
এখন অনেক হালকা লাগছে আয়ানার। আদ্রিশ, অনু বেগম সত্যি টা জেনেও তাকে একসেপ্ট করে নিয়েছে এরচেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না।

অতঃপর প্রেমের আগমন সিজন ২ পর্ব ৮