অনিমন্ত্রিত প্রেমনদী পর্ব ৬

অনিমন্ত্রিত প্রেমনদী পর্ব ৬
জিন্নাত চৌধুরী হাবিবা

জানালার পর্দা দুহাতে মেলে দিতেই কয়েক টুকরো নরম আলো হুড়মুড়িয়ে রঙিন কার্পেট দখল করে নিলো। ভাঙা ভাঙা রোদ পড়লো তরীর উজ্জ্বল চেহারায়। চোখজোড়া আবেশে নিভে গেল। আজ বৃষ্টির কোন চিহ্ন নেই। ঝলমল করা রোদ উঠেছে আকাশে।

দুহাত উঁচু করে অবাধ্য চুলগুলো হাতখোঁপায় আটকে নিয়ে পিছু ফিরে একনজর তাকিয়ে দেখলো তরী। ছোট্ট অরু ঘুমিয়ে আছে উপুড় হয়ে। মুখের অর্ধভাগ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। কুচকুচে কালো পাপড়ি স্থির হয়ে আছে।
গোলাপি রঙের নরম ঠোঁটজোড়া ঈষৎ ফুলিয়ে রেখে ঘুমাচ্ছে। সারারাত তরীর উপর হাত-পা তুলেই সে ঘুমাবে। অরুকে দেখলেই তরীর বড্ড মায়া মায়া লাগে। জড়িয়ে আদর করতে ইচ্ছে হয়। এমন একটা পরীর মতো বোন আল্লাহ তাকে দিয়েছে ভেবে মনে মনে শুকরিয়া জ্ঞাপন করে। এগিয়ে এলো তরী। অরুর কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে আদর করে ডাকলো।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

-“অরু! টিয়াপাখি উঠবে না?”
নড়েচড়ে পাশ ফিরে শুলো অরু। তার এখন ওঠার কোন ইচ্ছে নেই। আরেকটু আরাম করে ঘুমাবে বলে তরীর বালিশ আঁকড়ে ধরলো।
তরী মিটিমিটি হেসে পায়ের তালুতে সুড়সুড়ি দিতেই লাফ দিয়ে উঠলো অরু। তার ভীষণ সুড়সুড়ি। গাল ফুলিয়ে টুকটুক করে তাকিয়ে থাকলো। ঘাড়ের দু-পাশে দুটো লম্বা বিনুনি উঁকি দিচ্ছে। হাই তুলে আড়মোড়া ভাঙলো।

ক্ষীণ সময় পর ঘুমের রেশ হালকা কে*টে যেতেই চোখ বুজে হাসলো অরু। অতঃপর তরীর উপর ঝাপিয়ে পড়ে সুড়সুড়ি দিতে লাগলো। সংকুচিত হলো তরী। হাসতে হাসতে খাটের এককোণে গিয়ে পড়লো। অরুর খিলখিল হাসিতে মেতে উঠলো পুরো বাড়ি। দু-বোনের সকাল হলো আনন্দে। অরুকে ব্রাশ করিয়ে খাবার টেবিলে নিয়ে গেল তরী। সে বাবা মায়ের সাথে আগেই নাস্তা সেরে নিয়েছে। অরু নজর বুলিয়ে দেখলো কোথাও মিঠু নেই। সে এখনো ঘুমাচ্ছে? তার ঘুম ভেঙে গিয়েছে ভাইয়া কোন সাহসে এতক্ষণ ঘুমাবে?

তরীকে টা*ন*তে টা*ন*তে নিয়ে গেল মিঠুর ঘরে।
খাটের একপাশে ছোটো ছোটো পা দুটো গুটিয়ে বসলো। চেঁচিয়েও কোন লাভ হলোনা। উঠলো না মিঠু। তাকে সুড়সুড়ি দিয়েও লাভ নেই। দুষ্ট অরু মিঠুর কানের কাছে মুখ নিয়ে চেঁচিয়ে উঠলো,
-“ইয়াক তোমার মুখ দিয়ে লালা পড়ছে, ভাইয়া। আমার বমি আসছে। মুখ থেকে কতটা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।”

মিঠুর ঘুম হালকা হয়ে এসেছে। অবচেতন মনে ঠোঁটের পাশে হাত ঘুরিয়ে ঠোঁট মুছে নিলো। অল্পস্বল্প চোখ মেলে হাত সামনে এনে দেখলো সত্যি কি তার মুখ থেকে লালা গড়াচ্ছে?
তা দেখে তরী মুখ চেপে হাসলেও অরু খিলখিল করে হেসে উঠলো। পেটে হাত চেপে বলল,
-“বোকা বানিয়েছি তোমায়।”

মিঠু রে*গে গেল। ঝট করে উঠে বসে দুহাতে অরুর গলা চে*পে ধরলো।
-“অরুর বাচ্চা, আজ তোকে মে*রে পঁচা ডোবায় ফে*লে আসবো।”
হাসি থামছেই না অরুর। মিঠু আলতো হাতে ধরেছে বিধায় একটুও ব্যথা পাচ্ছেনা সে। উল্টো বলল,
-“বোকা মিঠু! বোকা মিঠু! আমি অরু, অরুর কি বাচ্চা আছে?”
মিঠুও হেসে ফেললো। অরুকে ঝাপটে ধরে বলল,

-“বলেছিলিনা আমার মুখে দুর্গন্ধ, লালা গড়াচ্ছে? এখন এই দুর্গন্ধ মুখেই তোর গালে চুমু দেবো।”
মিঠু দেরি না করে পরপর দুটো চুমু দিয়েও ফেললো। অরুর চোখে বেয়ে জল গড়াতে দেরি হলোনা। ফ্যাচফ্যাচ করে কেঁদে ফেললো। বর্ষার মতো জলে টইটম্বুর চোখ। তার পরীর মতো গাল দুটো নির্ঘাত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কেঁদে বুক ভাসালো সে। মিঠু তাকে ছেড়ে দিতেই খাট থেকে নেমে গেল। গাল ঘষতে ঘষতে দরজা পর্যন্ত গিয়ে থামলো। মিঠু করুণ গলায় বলল,
-“চালাক অরু আমায় বোকা বানালো!”

কান্না চোখেই খিলখিল করে হেসে ফেললো অরু৷ শান্ত ঘরটি ঝুমঝুম করে উঠলো তার হাসির শব্দে। আচমকা অরুকে এভাবে হাসতে দেখে তরী, মিঠু দুজনেই হেসে ফেললো। অরু ভীষণ দুষ্ট। নাটক করতে বেশ পারদর্শী।
মুহূর্তেই মিঠুকে বি*প*দে ফে*লে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তার একমাত্র অ*স্ত্র চোখের পানি। বাবার সামনে দু-ফোঁটা জরিয়েছে তো মিঠুর কপালে দুঃখ নামে।

শুক্রবার সপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় কমবেশি সবাই বাড়িতে উপস্থিত। পুরো সপ্তাহের সবগুলো জামাকাপড় জমে আছে। মাকে রান্নাঘরে দেখে তরী খুঁজে খুঁজে সবার জামাকাপড় নিলো কাঁচতে। সবচেয়ে বেশি ময়লা কাপড় পাওয়া গেল মিঠুর ঘরে। নোং*রা*ভা*বে থাকতে সে এক্সপার্ট।

জামাকাপড় শুকাতে দিয়ে একবার রামিকে দেখে আসবে। আকস্মিক জ্বরের কবলে পড়ে ছেলেটা একেবারে শান্ত হয়ে গিয়েছে। সারাদিনই চোখমুখ মলিন থাকে। দুর্বল শরীর নিয়ে বেশিক্ষণ হাঁটাচলা করতে পারেনা। একটু পরপরই বিছানায় গা এলিয়ে দেয়। এখন আর তাদের ঘরেও আসেনা। আগে তার আড্ডা ছিল মিঠুর ঘরে, এখন মিঠুর আড্ডা রামির ঘরে।
জামাকাপড়ের বালতি নিয়ে ছাদে উঠলো তরী। ঘেমে-নেয়ে একাকার শরীর। কপালের পাশ ঘেঁষে একফোঁটা নোনাপানি গড়িয়ে পড়ে গলার হাড় স্পর্শ করলো। কোমরে শক্ত করে ওড়না বাঁধা। লম্বা দঁড়ির এক পাশ থেকে জামাকাপড় মেলে দেওয়া শুরু করলো।

মাহমুদ মাত্রই ছাদে এলো। তার হাতেও এক বালতি কাপড়। মায়ের কাছ থেকে ধোয়া জামাকাপড়ের বালতি নিয়ে ছাদে এলো। ছুটির দিনে যতটুকু পারে মাকে সাহায্য করার চেষ্টা করে। তার বড় ভাই তো রান্নাও করতে জানে। ছুটির দিনে মাকে রান্নায় সাহায্য করতো। ছাদের সবগুলো দঁড়ি তরী একাই জামাকাপড় দিয়ে দখল করে নিলো।
মাহমুদ নির্ঝঞ্ঝাট, নিপাট ভদ্রলোক। ভদ্রলোকেদের আবার ঝ*গ*ড়া করার বিষেশ দো*ষ থাকেনা। গলা ঝেড়ে পেলব কন্ঠে শুধালো,

-“একপাশে আমাকে জায়গা দেওয়া যাবে?”
চমকে পেছনে তাকালো তরী। নির্জন ছাদে খানিকটা ভ*য় পেয়ে মাহমুদকে দেখেই প্রলম্বিত শ্বাস ছাড়লো। মানুষটা তাকে যখন-তখন চমকে দেয়। কখন পেছনে এসে দাঁড়ালো সে বুঝতেই পারলোনা। একটুতো শব্দ করে আসা উচিত। এতটা নিঃশব্দে চলাফেরা উচিত নয়। একদম উচিত নয়। মাহমুদের প্রশ্ন ঠিকঠাক বুঝতে না পেরে উল্টো প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকালো তরী।
মাহমুদ হাতে থাকা বালতি উঁচু করে দেখালো। তরী তড়িঘড়ি করে একটা দঁড়ি খালি করে দিলো।
মাহমুদ একটা একটা করে জামাকাপড় ঝেড়ে মেলে দিতে লাগলো।

-“তরী না?”
খালি বালতি হাতে ফিরতে গিয়েও থেমে গেল তরী। শব্দের উৎস ভেসে এলো পাশের ছাদ থেকে। তরী সরাসরি পাশের ছাদে তাকালো।
-“এমন ভ্যাবড়ার মতো তাকিয়ে আছো কেন? আমাকে চিনতে পারোনি? না-কি এখনো আগের মতো কথা বলতে জড়তা কাজ করে!”

তরী লোকটিকে চেনে। চিনবেনা কেন? দু-তিন বছরে কি কারো চেহারা ভুলে যাওয়া যায়? উনি পাশের বিল্ডিং এর জুনাইদ ভাইয়া। ভালো ছেলে ছিলেন। বা*জে ছেলেপেলের সাথে মিশে খা*রা*প হয়ে যাচ্ছিলেন বিধায় বাবা-মা বিদেশ পাঠিয়ে দিয়েছেন। এখন হয়তো ছুটিতে বাড়ি এসেছেন। ভ্যাবড়া বলায় অপমানিত বোধ করলো তরী। তাকে কোন দিক থেকে ভ্যাবড়া মনে হয়? আড় চোখে তাকিয়ে দেখলো মাহমুদ তার দিকে তাকিয়ে নেই। আপন মনে কাপড় মেলে দিচ্ছে। মুখে দেখা যাচ্ছে না। তরী ধরে নিলো তার অপমানে লোকটি মুখ লুকিয়ে হাসছে। গলা ধরে এলো তার। অপমান নিতে না পেরে রে*গে গেল তরী। কঠিন গলায় বলল,

-“একদম আমাকে ভ্যাবড়া বলবেন না জুনাইদ ভাইয়া। বি*শ্রী লাগে শুনতে, ছিঃ!”
জুনাইদ হো হো করে হেসে উঠলো। ব্যঙ্গ করে বলল,
-“কী আশ্চর্য তরী তুমি কাঁদছো না! ছোটবেলায় তো ছিঁচকাঁদুনে ছিলে। একটু কিছু বলতেই ফ্যাচফ্যাচ করে কেঁদে ফেলতে।”

এবার প্রচন্ড বিরক্ত দেখালো তরীকে। জুনাইদের কথার জবাব দিলোনা। মানুষের ছোটোবেলা আর বড়োবেলা কি এক নাকি? জুনাইদ তরীর পেছনে দাঁড়ানো মাহমুদকে ইঙ্গিত করে বলল,
-“তোমার পেছনে উনি কে, তরী?”
তরী একপলক তাকালো নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকা মাহমুদের দিকে। অতঃপর কন্ঠস্বর খাটো করে জবাব দিলো,
-“ভাড়াটিয়া।”

জুনাইদ হাত উঁচিয়ে হাই, হ্যালো করলো। মাহমুদ ও জবাব দিলো। জুনাইদ নেমে যেতেই মাহমুদ মিটিমিটি হেসে বলল,
-“আপনি ছিঁচকাঁদুনে ছিলেন, তরী? কিভাবে কাঁদতেন? একটু দেখাবেন?”
তরীর রা*গের চাপে জড়তা একটু একটু করে চাপা পড়লো। যথেষ্ট শান্ত থাকার চেষ্টা করলো। রাগ চেপে বলল,
-“আমি মোটেও ছিঁছকাঁদুনে ছিলাম না! আপনি না বুঝেই বলছেন।”
মাহমুদ বুকে হাত গুঁজে সটান হয়ে দাঁড়ালো। রগঢ় করে বলল,

-“তো বুঝিয়ে দিন না, তরী।”
তরী অবাক হয়ে জানতে চাইলো,
-“কী বুঝিয়ে দেবো?”
-“ওই যে, যা বোঝানোর কথা।”

মাহমুদ মিটিমিটি হাসছে। তরী বুঝতে পারলো লোকটি তার সাথে মজা করছে। চাপা পড়া লজ্জা আবারও সুড়সুড় করে তরীকে ঝাপটে ধরলো। চোখের দৃষ্টি এলোমেলো হলো। খানিকটা বিষন্ন দেখালো তাকে। ভাগ্যকে আবারও দো*ষা*রো*প করলো। তাকেই কেন এমন অস্বস্তিতে পড়তে হয় বারবার। ভাগ্য উল্টো তাকে বিদ্রুপ করে বলল, “আমাকে দো*ষা*রো*প কেন করছো? দো*ষ*টা তোমার। আসলে ওসব তোমার লজ্জাটজ্জা কিছুই নয়, তুমি এটেনশন সিকার।”
তরী হতাশ হলো। কেউ তাকে বুঝতে চায়না। লজ্জা পেয়ে কিভাবে অন্যের মনযোগ আকর্ষণ করা যায় ভেবে পেলোনা সে। প্রথমদিনই একটা বিব্রতকর কান্ড ঘটিয়ে সে কিভাবে স্বাভাবিক থাকবে? আশ্চর্য!

-“ধুর।”
বলেই দ্রুত পায়ে নেমে গেলো তরী। মাহমুদ নিঃশব্দে হাসছে। তার এখন একটু একটু ভালো লাগছে।
অরু ছোটো ছোটো পায়ে কদম ফেলে ছাদে উঠলো। ফুলগুলো ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখছে। মাহমুদ এখনো নামেনি। অরুকে দেখে কাছে ডাকলো। অরু তাকে পাত্তা দিলোনা। মুখ ভেংচি কেটে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করলো।
মাহমুদ ছাদের রেলিঙ এ ঠেস দিয়ে দাঁড়ালো। সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলল,

-“তোমার জন্য একটা গুড নিউজ আছে অরু। শুনলে তুমি চমকে যেতে পারো!”
এবার বোধহয় মাহমুদ একটুখানি পাত্তা পেলো। উৎসুক হয়ে তাকালো অরু। মাহমুদ রগঢ় করে বলল,
-“তোমাকে বিয়ে দেবো ঠিক করেছি। একজন বুড়ো লোক তোমায় দেখে ভীষণ পছন্দ করেছে।”
অরু রে*গে গেল।

-“আমি বুড়ো লোককে কেন বিয়ে করবো? আমি বিয়ে করবো রাজপুত্রকে, ওইযে ঘোড়ার গাড়ি চড়ে আসে তেমন!”
মাহমুদ বলল,
-“এই বুড়ো লোকটিও রাজপুত্র। ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে তোমায় নিতে আসবে।”
অরু আরেকটু রাগলো। গাল ফুলিয়ে বলল,
-“আমি কোন বুড়োটুড়ো বিয়ে করবো না।”
-“কিন্তু আমি তো তোমায় জোর করেই বিয়ে দেবো। লোকটা কিন্তু পান খায়। লাল লাল দাঁত থাকবে তার।”
অরু কেঁদে ফেললো।

-“আমি বুড়ো বিয়ে করবোনা।”
মাহমুদ এগিয়ে গেল। অরুর চোখ মুছে দিয়ে বলল,
-“আচ্ছা বিয়ে দেবোনা বুড়ো লোকের সাথে। কিন্তু একটা শর্ত আছে। আমার সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে।”
মাহমুদের সামান্য শর্তে অরু রাজি হয়ে গেলো। সবটা ঠিকঠাকই ছিলো। বেশ ভাব জমালো মাহমুদের সাথে। কিন্তু যাওয়ার সময় দরজার সিটকিনি আটকে দিলো। জোরালো গলায় বলল,

-“এবার তোমায় একা একা ভূতে খাবে। তখন আমায় আর বুড়ো লোকের সাথে বিয়ে দিতে পারবেনা।”
ছোট্ট অরুর দূরন্তপনায় স্তব্ধ হলো মাহমুদ। দরজায় অনবরত আ*ঘা*ত করার পরও কেউ এলোনা। অনিচ্ছাকৃত বসে বসে রৌদ্রস্নান করলো। একঘন্টা পর মিঠুকে নিচে দেখে ডেকে এনে দরজা খুললো।

অনিমন্ত্রিত প্রেমনদী পর্ব ৫

আয়েশা আন্টি মায়ের সাথে গল্প করছেন। তরী চা নিয়ে এসে তাদের সাথে যোগ দিলো। প্রথমদিকে ভালোলাগলেও পরক্ষণে বোরিং লাগলো সাংসারিক আলাপ-আলোচনা। তরী ফোনে মুখ গুঁজে দিলো। ফেসবুক স্ক্রল করছিল। হুট করেই চোখের পলক পড়া থেমে গেল। একটা আইডি থেকে রিকোয়েস্ট এসেছে। সাধারণ কোন আইডি নয়। সনামধন্য কলেজ টিচার মাহমুদুল হাসানের আইডি থেকে। তরী কৌতুহলবশত আইডি ঘুরে ঘুরে দেখলো। ফেইক আইডি মনে হচ্ছে না। ভেবেচিন্তে রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করলো। পরপরই মেসেন্জারের টুংটাং শব্দে আরো এক ধাপ চমকালো।
❝মা কি আপনাদের ঘরে আছেন?❞

অনিমন্ত্রিত প্রেমনদী পর্ব ৭