অনিমন্ত্রিত প্রেমনদী সিজন ২ পর্ব ২২

অনিমন্ত্রিত প্রেমনদী সিজন ২ পর্ব ২২
জিন্নাত চৌধুরী হাবিবা

ভেজা রাস্তা। ভর দুপুরেও সাঁঝের ছোঁয়া। পুঞ্জ পুঞ্জ কালো মেঘ, খোলা আকাশের নিচে পিচঢালা রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছে সুহা। মনটা ভার ভার লাগছে। কিছুতেই কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারছে না। নিজের উপরই আস্থা রাখতে পারছে না সে। মনে হচ্ছে একটু পরই তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে। একটা সিদ্ধান্তে স্থির হতে না পারার যন্ত্রণা বোধহয় বিচ্ছেদের যন্ত্রণা থেকেও বেশি পীড়াদায়ক। দুপুরে সবাই ভাতঘুম দিয়েছে। আধাঘন্টা পূর্বে তুমুল বর্ষণে রাস্তাঘাট ভিজে একাকার। গাছপালা সতেজ হয়ে উঠেছে। এখন আবার বৃষ্টি নামবে বলে! তবুও সুহা একা একা বের হলো। আশেপাশে মানুষজন দেখা যাচ্ছে না। অবনিদের বাসা থেকে একটু দূরে একটা বেঞ্চিতে বসে পড়লো সে।

পুরুনো স্মৃতি ঘাঁটতে গিয়ে উপলব্ধি করলো স্মৃতিতেও ধূলো জমে। মাঝেমাঝে সেই ধূলো সরিয়ে আমরা নাড়াচাড়া করি। প্রথমদিকে কষ্ট হলেও এখন কদাচিৎ অনিকের কথা মনে পড়ে। তবে কষ্ট হয় না। কেবল একটা আফসোসের দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে পড়ে! একটা ভুল প্রেম জীবনটা কীভাবে এলোমেলো করে দিল। মানুষ বরাবরই ভুল মানুষের প্রেমে পড়ে। কয়েকমাস পূর্বেই অনিকের সাথে বিনা আয়োজনে দেখা। সাথে তার স্ত্রী আর দু-মাসের বাচ্চা ছিল।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

স্বাভাবিকভাবেই কথোপকথন হয় তাদের। অনিক স্ত্রীর সাথে বন্ধু বলে সুহাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। হঠাৎ করেই সুহা ভাবলো অনিক সবকিছু পিছু ফেলে এগিয়ে গিয়েছে। তবে সে কেন পিছুটান থেকে বের হতে পারছে না? সুযোগ তার হাতের মুঠোয় এসে ধরা দেওয়ার পরও সে কেন তা পায়ে ঠেলে দেবে? জীবনকে একটা সুযোগ দেওয়া উচিত। বিকট শব্দে বজ্রপাত হলো। কিঞ্চিৎ কেঁপে উঠলো সুহা।

পরপরই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমে ভিজিয়ে দিল তাকে। আকাশের দিকে তাকিয়ে চোখের পাতা বুজে নিলো। চোখের পাতা ছুঁয়ে টপটপ করে বৃষ্টির পানি কপোল বেয়ে পড়লো। সাথে দুই ফোঁটা নোনাজলের মিশ্রণ ছিলো কী না তার পার্থক্য করা গেল না। ভেজা শরীর নিয়েই বাসায় ফিরলো সুহা। সবাই এখনো ঘুমিয়ে। চুপচাপ জামাকাপড় পরিবর্তন করে এক কাপ চা বানিয়ে বারান্দায় বসলো। অবনি ঘুম থেকে উঠে সোজা বারান্দায় এসে সুহার পাশে দাঁড়ালো।

“তোর চুল ভেজা কেন? জামাও পরিবর্তন করেছিস। বৃষ্টিতে ভিজিছিস?”
চায়ের কাপে চুমুক বসিয়ে ছোট্ট করে জবাব দিলো সুহা,
“হুম।”
অবনি মুখ ভার করে বলল,
“একাই ভিজলি? আমাকে সঙ্গে নিলে কী হতো?”

সুহা একমনে বৃষ্টি দেখতে দেখতে বলল, “তুই তো ঘুমাচ্ছিলি। আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অবনি।”
অবনি ছন্নছাড়া গলায় বলল, “কী এমন সিদ্ধান্ত?”
“আমি ইবতেসামকে বিয়ে করবো।”
“কী!” বিস্ময়ে চেঁচিয়ে উঠলো অবনি। তার মুখ এখনো হা হয়ে আছে। সুহা মলিন হাসলো। অবনি নিজেকে ধাতস্থ করে সুহাকে জড়িয়ে ধরে বাচ্চাদের মতো বলল

“তোকে এত্তো এত্তো গুলো ভালোবাসা। এবার অন্তত নিজের কথা ভেবেছিস। আমি বলছিনা তুই ইবতেসামকেই বিয়ে কর। আমি চাই তুই মুভ অন কর। আর মানুষটা হোক তোর পছন্দের।”
সুহা মেয়েটার একটুকরো খুশিকে জয়ী করে নিজেও নরম হাতে জড়িয়ে গালে গাল মিশিয়ে দিল।

রামি ফ্লাইং এর জন্য প্রস্তুত হয়ে বের হওয়ার পূর্বে অরুর ছবি দেখে শব্দহীন হাসলো। অরু আহ্লাদী মেয়ে। অন্যদের চোখে অরু ন্যাকা হলেও তার এই ন্যাকামী গুলোই রামির ভালোলাগে। শান্ত স্বভাবটা তাকে মানায় না। একটু লা*ফা*লা*ফি করবে, মিছেমিছি সবার সাথে ঝ*গ*ড়া করবে। রামি মাঝেমধ্যেই ন্যাকারানী বলে ক্ষে*পা*তো অরুকে। অথচ এই স্বভাবটাকেই রামি মনে মনে ভীষণ পছন্দ করে। এক সপ্তাহের বেশি সময় পর্যন্ত অরুর সাথে কথা হয় না। কিন্তু রোজ নিয়ম করে সবার কাছ থেকে খবর নেওয়া হয়।

ফোন সুইচড অফ করে বেরিয়ে পড়লো ফ্লাইং এর উদেশ্যে। সাদা ইউনিফর্মে রাজপুত্রের চেয়ে কম লাগছে না রামিকে। যার দৃষ্টি যত সুন্দর তার চোখে তত বেশি মুগ্ধতা।
অরু ইদানীং চঞ্চলতা প্রকাশ করে না। নিজেকে লুকিয়ে রাখে যেন। পরিবারের মানুষের সাথে অযথা কথা বলা মেয়েটাও অল্প কথায় জবাব দিয়ে চুপ করে যায়। সবাই দেখছে অরু নিজেকে এখন আগের তুলনায় বেশিই পড়াশোনায় ডুবিয়ে রাখে। কিন্তু ঘরের ভেতরের কাহিনী কারোরই জানা নেই। অরু রাত জাগে, চোখের নিচে কালসিটে দা*গ।

অথচ সে পড়ায় মন বসাতে পারে না। পড়ার টেবিলে বসে রামির কথা ভাবে। ভাবতে ভাবতে একসময় পড়ার টেবিলেই ঘুমিয়ে পড়ে। ভোরের আলো চোখে পড়তেই আবার ঘুম ভেঙে যায়। চুল হাত খোঁপা করতে গিয়ে অরুর মনে হলো এতদিন সে প্রেমে মজেছিল। এবার ভালোবাসার ভ*য়*ঙ্ক*র বেড়াজালে আটকে গিয়েছে। রামির প্রতি তার মায়া জন্মে গিয়েছে ভীষণভাবে। কিন্তু নিজের জড়তাকে পাশ কাটিয়ে ফোন করতে পারছে না। রামির উপরও অভিমান জমলো। এতগুলো দিন হলো, অথচ একটা কল পর্যন্ত করলো না। রামির রা*গ করাটা স্বাভাবিক জেনেও অরুর অভিমান হলো।

চট করে ফোন হাতে নিয়ে সকল জড়তা, অভিমান ভুলে রামিকে ফোন লাগালো। সুইচড অফ বলছে। হতাশ হয়ে ফোন রেখে দিল অরু। ডিউটি থাকাকালীন রামিকে ফোনে পাওয়া যায় না। তার বিশ্রামের সময়টুকুই সে সবার সাথে কথা বলার কাজে লাগায়। অরু কিছুক্ষণ পায়চারি করে বের হলো ঘর থেকে। মিঠুও তখন বের হলো। অরুকে দেখে বলল,

“কীরে ঘষেটি বেগম।”
অরু রা*গ করলো না। স্বাভাবিকভাবেই জবাব দিলো,
“কী?”
মিঠু অবাক হয়ে বলল,
“এতটা ভালো হয়ে গেলি কবে থেকে? ইদানীং দেখছি কিছু বললেও রাগিস না।”
“এমনিই।”

মিঠু তুখোড় দৃষ্টি নিক্ষেপ করে সন্দিহান গলায় বলল,
“এমনি? না-কি রামির সাথে কিছু হয়েছে?”
অরু বিরক্ত গলায় বলল,
“কী হবে?”
“সেটা তো তুই জানিস।”
“কিছু হয়নি। বের হওয়ার সময় আমাকে নামিয়ে দিও। ক্লাস আছে আমার।”
মিঠু মাথা নেড়ে বলল,
“ঠিক আছে। তৈরি হয়ে নিস।”

অরু নিজের কাজে চলে গেল। মিঠু পকেটে হাত গুঁজে মুঠোফোন বের করলো। রামিকে কল করে ফোন সুইচড অফ পেয়ে বুঝলো সে ডিউটিতে আছে। অরুকে এতটা শান্ত দেখে ভালোলাগছে না। ছোটো থেকেই পাকামো করে পুরো বাড়ি মাতিয়ে রাখতো। সেই ধারা অব্যহত রেখে এখন ধপ করে সব বন্ধ করে দিলে ভালো না লাগাটাই স্বাভাবিক।

সন্ধ্যার পূর্বে বাসায় ফিরলো অরু। ফোন চেক করলো রামি কল ব্যাক করেছে কি-না দেখার জন্য। এবারও হতাশ হলো সে। আর কল দেবে না সে। অনেকদিন পর মায়ের ঘরে ঢুকলো। আলমারি থেকে মায়ের পুরোনো দিনের একটা শাড়ি বের করে হাত বুলিয়ে দেখলো। ওটা হাতে নিয়ে নিজের ঘরে ফিরে জমকালো সাজ সাজলো। নিজে নিজেই পোজ দিয়ে অনেকগুলো ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করলো। নিজেকে হাসিখুশি রাখবে। কোন রামি-টামিকে পাত্তা দেবে না সে। যত ন*ষ্টে*র গোড়া ওই রামি। তার জীবন ভাজা ভাজা করে ছেড়েছে।

যাকে জ্বালানোর জন্য এই ভর সন্ধ্যায় সাজসজ্জা, অরু জানতেও পারলো না সে ফ্লাইং করে ক্লান্ত শরীরে ঘুমাচ্ছে।
রামি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ফোন হাতে নিলো। অনেকের সাথে সাথে মিঠু আর অরুর কল দেখা গেল। আগে মিঠুকে কল ব্যাক করলো।
“কী ব্যাপার জমিদার সাহেব আমাকে স্মরণ করেছে!”
“জমিদার উদারমনা বলেই তোর মতো ছ্যা*চ*ড়া*র খোঁজখবর নেয়। তা আমার টুকটুকির মন ভার কেন? তাকে কী বলেছিস?”

অরুর মন ভার শুনে রামি সুর টে*নে বলল,
“ওওওও, এটাই তাহলে জমিদারের আমাকে স্মরণ করার আসল কারণ। তা আপনার বোনের মন ভার কেন তা আপনি কাছে থেকে জানেন না, তবে আমি কীভাবে জানি?”
“তোকে কী এখন স্কুলে ভর্তি করিয়ে স্বরবর্ণ শেখাতে হবে? কী বলেছিস অরুকে? ও কখনোই এতটা চুপচাপ থাকে না। আমি এমনিতেই বাসায় থাকি না। যেটুকু সময় থাকি, সেই সময়টাতেও ওঁকে মন খা*রা*প করে থাকতে দেখি। এমনি এমনি তো এমন পরিবর্তন হয়নি অরু। তোদের মধ্যে যা-ই হয়ে থাকুক আমি জানতে চাই না। শুধু বলবো সবটা ঠিক করে নে। আমার বোনকে এভাবে দেখতে আমার ভালোলাগে না।”

রামি বিড়বিড় করে বলল,
“শা*লা এমন ডা*কা*তে*র কবলে পড়লাম, বোন জ্বালিয়ে মা*র*ছে আর ভাই গলায় ছু*রি ধরে আছে। একটু এদিক-ওদিক করলেই টা*ন মে*রে উপরে পাঠিয়ে দেবে।”
“কিছু বললি?”
মিঠুর প্রশ্নের প্রত্যুত্তরে মেকি হেসে জবাব দিলো রামি,
“না না, কী বলবো? তুই ফোন রাখ, আমি অরুকে কল দিচ্ছি।”
“ঠিক আছে।”

মিঠুর কল কে*টে অরুকে কল দিয়ে পেল না রামি। ফোন তুলছে না। ফেসবুকে লগইন করে স্ক্রোল করতে গিয়েই অরুর শাড়ি পরা ছবি সামনে পড়লো। সময় দেখে নিলো। এক ঘন্টা আগের পোস্ট। কে বলবে এই মেয়ে মন ভার করে আছে? দিব্যি শাড়ি পরে নেচে-কুঁদে বেড়াচ্ছে। ফোঁস করে নিঃশ্বাস ছেড়ে অরুকে আবার কল দিলো। এবার অরু ফোন তুললো। তবে কথা বললো না।
রামি গমগমে স্বরে বলল,

“কথা না বললে ফোন তুলেছিস কেন?”
সাথে সাথেই খট করে লাইন কে*টে গেল। রামি কান থেকে ফোন নামিয়ে ভুরু উঁচিয়ে কটমট চোখে তাকিয়ে রইলো ফোনের দিকে। পরপরই আবার কল দিল। এবারেও অরু ফোন তুলে কথা বলছে না। রামি ধমকের সুরে বলল,
“কথা বলছিস না কেন? খবরদার ফোন কাটবি না!”
অরু ত্যাড়া স্বরে জবাব দিলো,

“আমি কী সবার হাতের পুতুল? যে যেভাবে বলবে আমিও সেভাবেই হাত-পা নাচাবো। কল দিয়েছো কেন?”
“তুই কল দিয়েছিস সকালে।”
“ওওও, সেজন্যই কল ব্যাক করেছো। নিজ থেকে তো করতে না।”
রামি মান অভিমান বাড়তে দিলো না। কন্ঠ খাদে নামিয়ে নিলো। কোমল স্বরে বলল,
“মিস ইউ ঝগড়ুটে বউ।”
অরু চুপ করে গেল। তার অভিমান কমেনি, বরং একটুখানি বেড়েছে। অযথাই কেমন কান্না পাচ্ছে তার। রামি নরম গলায় ডাকলো।

“অরু।”
অরু কান্না চাপিয়ে রাখতে গিয়ে ঝাঁঝালো স্বরে বলল,
“কে ম*রে*ছে?”
“আমার হৃদয়। সেদিন আমার ছোট্ট হৃদয়টা এক ঝগড়ুটে না*রী* দৃষ্টির কবলে পড়ে খু*ন হয়েছে।”
“একদম আবেগ দেখাতে যাবে না। তোমার দুই টাকার আবেগে আমি সর্দি মুছি।”
রামি শান্ত গলায় বলল,“আচ্ছা।”
অরু রেগে বলল,

“আচ্ছা? শুধু আচ্ছা? আর কিছু না?”
“ভালোবাসা।”
অরু চুপ করে গেল। রামি মলিন হেসে বলল,
“চুপ করে গেলি কেন? আমি কি একপাক্ষিক ভুল করছি? তাহলে বল, আমি ভুল শুধরে নেব।”
অরুর কাছ থেকে ঝটপট জবাব এলো,

“বাড়ি আসবে কবে?”
“এটা আমার প্রশ্নের জবাব নয়। তাছাড়া আমার বাড়ি ফেরা না ফেরা আমার হাতে নেই।”
“অনুমতি পেয়েও আসবে না? বলে দিলাম পরে আর সুযোগ পাবে না।”
রামি ঠোঁটের কোণ প্রশস্ত করে হাসলো। বলল,
“ অনুমতি যখন পেয়েছি, তখন শীঘ্রই বাড়ি ফিরবো আমি।”

সুহার সাথে আজ অনেকদিন পর সামনাসামনি দেখা হলো। অবনির মা জানিয়েছেন সুহা বিয়ে করতে রাজি হয়েছে। মিঠু বেশ অবাক হলো এত সহজে সুহাকে রাজি হতে দেখে। তাই আজ সামনাসামনি কথা বলার জন্য রেস্টুরেন্টে ডাকলো। মিঠুর বুক করা টেবিলের উপর একটা সিগারেটের প্যাকেট। এসেই সুহার চোখ পড়লো ওটায়। মিঠু পায়ের উপর পা তুলে আয়েশ করেই বসেছে। চোখে সানগ্লাস। সুহা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলো। মিঠুর মতো সি*গা*রে*ট*খো*র*কে সে কিছুতেই বিয়ে করবে না। কিছু না বলে যেভাবে এসেছে, ঠিক সেভাবে ফেরত যেতে নিচ্ছিল। মিঠুর গম্ভীর স্বরে থামতে হলো তাকে।

“কোথায় যাচ্ছেন?”
“তার কৈফিয়ত কি আপনাকে দিতে হবে?”
“ডেকেছি আমি আপনাকে। কথা না শুনে কোথাও যেতে পারবেন না।”
সুহা সিগারেটের প্যাকেটের দিকে ঘৃ*ণি*ত নজরে তাকিয়ে বলল,
“কোন সি*গা*রে*ট*খো*রে*র কথা শোনার আগ্রহ আমার নেই।”
মিঠু চোখ ঘুরিয়ে সিগারেটের প্যাকেটে দৃষ্টি ফেললো। ঠোঁট টিপে হেসে বেসামাল গলায় বলল,

“সিগারেট সামান্য ঠোঁট পোড়ায়। আপনি তো আমার গোটা হৃদয় পুড়িয়েছেন। তবে কার শা*স্তি বেশি হওয়া উচিত?”
সুহা কঠিন গলায় বলল,
“আপনার শা*স্তি মাথা পেতে নেওয়ার জন্য আমি বসে নেই।”
মিঠু চোখের চাহনি তীক্ষ্ণ করলো। গা ছাড়া ভাব নিয়ে বলল,

অনিমন্ত্রিত প্রেমনদী সিজন ২ পর্ব ২১

“কিন্তু আমি শা*স্তি দেব। সেটা আপাতত তোলা থাকুক। সময়ে সঠিকভাবে সবটা প্রয়োগ করবো।”
মিঠুর ঠোঁটের কোণের হাসি দেখে শরীর জ্বলে উঠছে সুহার। কোন কথা না বলেই ধুপধাপ পা ফেলে বেরিয়ে গেল। মিঠু হাসলো। সিগারেটের প্যাকেটটা রিয়াজের। সুহাকে আসতে দেখেই সে উঠে গিয়েছে। ভুলবশত তার প্যাকেটটা এখানেই রেখে গিয়েছে।

অনিমন্ত্রিত প্রেমনদী সিজন ২ পর্ব ২৩