অনিমন্ত্রিত প্রেমনদী সিজন ২ পর্ব ৩২

অনিমন্ত্রিত প্রেমনদী সিজন ২ পর্ব ৩২
জিন্নাত চৌধুরী হাবিবা

সুহার মামার বলার ভঙ্গি দেখে তরীর বাবা শান্ত গলায় বললেন,“রাজনীতি কি খারাপ কিছু?”
সুহার মামা বুদ্ধিমান মানুষ। তিনি ভেতরে ভেতরে দমে গেলেন। এসব ব্যাপারে তর্কে জড়ানো মানেই সারাজীবনের মতো একটা শ*ত্রু*তা*য় নিজেকে বেঁধে ফেলা। তিনি বললেন,“সব কিছুতেই খা*রা*প ভালো আছে। এ পেশায় ঝুঁকি বেশি। আল্লাহ না করুক, ধরুন আপনার ছেলের দুদিন পর কিছু হয়ে গেল, তখন আমাদের মেয়ের কী হবে?”

“জন্ম-মৃত্যু আল্লাহর হাতে। এই মুহূর্তে আমি যে এখান থেকে উঠে বাসায় যেতে পারবো, তার কী নিশ্চয়তা আছে?”
মিঠু বুক টানটান করে বসে আছে৷ তার কোন কথাই বলা লাগছে না। বাবার জবাব শুনেই বোঝা যাচ্ছে তিনি কোমর বেঁধে নেমেছেন। কিছুতেই আজ উনাকে কুপোকাত করা যাবে না। মিঠুর ঠোঁট সামান্য প্রসারিত হয়ে সাথে সাথেই মিলিয়ে গেল। সুহার মামা গলা ঝেড়ে বললেন,“আমরা এখনই মেয়ে বিয়ে দিতে চাই না।”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

তরীর বাবা দমে গেলেন না। প্রশ্ন ছুড়লেন,“কখন বিয়ে দিতে চান?”
“সময় হলেই বিয়ে দেব।”
“আপনি বলছেন এখনো সময় হয়নি! আচ্ছা তবে বিয়ের কথা পাকা করে রাখুন। সময় হলেই আমরা বউ বাসায় নিয়ে যাবো।”

খালেকুজ্জামান নাকের ডগা থেকে চশমা খানিক ঠেলে দিলেন। রয়েসয়ে বললেন,“দেখুন, আমরা আপনাদের মেয়ে দিয়ে নিজেদের মেয়ের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না৷ দয়া করে এবার আপনারা আসতে পারেন।”
ভেতর ঘরে এতক্ষণে সুহার জানা হয়ে গিয়েছে মিঠু তার পরিবার নিয়ে এসেছে। উত্তেজনায় হাত-পা কাঁপছে তার। স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। ভয়ে এই ঠান্ডার মাঝেও তার কান দিয়ে গরম ধোঁয়া বের হচ্ছে।

হাত দিয়ে কিছু আঁকড়ে ধরতে গিয়েও বল পাচ্ছে না। লম্বা হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো সুহা। মনটা বড্ডো হাসফাস করছে। বসার ঘরে কী হচ্ছে জানতে ইচ্ছে করলেও শরীরটা টে*নে দরজা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার মতো শক্তি নেই। অবসন্ন মন নিয়ে পড়ে রইলো বিছানার উপর।

মিঠু এতক্ষণ চুপচাপ ছিলো। গলা ঝেড়ে তার শান্ত, দরাজ কন্ঠে বলল,“মূল সমস্যা কি আমার রাজনীতি করা নিয়ে?”
খালেকুজ্জামান চোখ তুলে সামনে বসে থাকা তাগড়া যুবকের দিকে তাকালেন। দু’দুটো পরিণত পুরুষের মধ্য থেকে ঠাওর করতে পারলেন না কোনটা পাত্র। এবার নিশ্চিত হয়ে পাত্র চিনে নিলেন। পরপর তিনিও গম্ভীর স্বরে জবাব দিলেন,“আমি স্পষ্ট করে বলেই দিয়েছি।”

মিঠু দাড়িতে হাত বুলিয়ে সামনে বসা মধ্যবয়সী খালেকুজ্জামানের দিকে তাকালো। চোখজোড়া একেবারে স্বচ্ছ। শান্ত গলায় বলল,“তুলে নিয়ে যাব।”
খালেকুজ্জামান যেন এতক্ষণ এই ভয়টাই পাচ্ছিলেন। শান্ত গলায় হুমকি। ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতি করা লোক উনার পছন্দ নয়। সব কিছুতেই এরা মা*রা*রা*রি, কা*টা*কা*টি, ঝামেলা টেনে নিয়ে আসে।
বাবা মিঠুকে ধমকে উঠলেন।

“এটা কেমন কথা মিঠু? আমরা কথা বলছি এখানে।”
মিঠু বাবার দিকে তাকালো। এই সামান্য ধমকে তার বিশেষ কিছু এসে গেল না। মৃদু হেসে বলল,“আমি তো ইচ্ছের বিরুদ্ধে বলিনি, সুহার মত নিয়ে তবেই বের করে নিয়ে যাবো।”

রামি পাশ থেকে মিঠুর ঘাড়ে হাত রাখলো। সুহার মামার এবার সন্দেহ গাঢ় হলো। নিশ্চয়ই এই ছেলের সাথে সুহার সম্পর্ক আছে। নয়তো ও বাসায় আসার কদিনের মাথাতেই কেন এভাবে প্রস্তাব আসতে হলো! তাছাড়া ছেলের কথা শুনেও তেমনটাই মনে হচ্ছে। এখনো সুহার উপর সম্পূর্ণ রাগ নির্মূল হয়নি, তার মাঝেই এমন কিছু আন্দাজ করে মাথায় রক্ত চড়ে গেল খালেকুজ্জামানের। প্রশ্ন করলেন,“সুহা তোমাকে চেনে?”

“হ্যাঁ চেনে।”
মিঠুর জবাবে খালেকুজ্জামান চোখমুখ শক্ত করে ভেতর ঘরে চলে গেলেন। সুহার নাম ধরে উচ্চস্বরে কয়েকবার ডাকলেন। মামার ডাক শুনে হৃৎপিণ্ড লাফিয়ে উঠলো সুহার। তড়িঘড়ি করে উঠে এলো। মামা দরজায় দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলেন,“যে ছেলেটা বাসায় এসেছে, তাকে তুমি চেন? সত্যিটা বলবে।”
সুহা কেঁপে উঠলো মামার হুঙ্কারে। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে মাথানিচু করে নিলো। মামা ফের হুঙ্কার ছাড়লেন,“কী হলো? প্রশ্নের জবাব দাও। চেন ছেলেটাকে?”

সুহা সাহস করে উপরনিচ মাথা নেড়ে বুঝিয়ে দিল সে মিঠুকে চেনে। ব্যস এতটুকু শুনেই মামা চুপ করে গেলেন। তেজী গলা ধীরে অস্বাভাবিক ঠান্ডা হয়ে গেল। নিচু গলায় বললেন,“যেভাবে বাসায় এসেছো, ঠিক সেভাবেই বেরিয়ে যাবে তুমি। আমি আর তোমার সম্বন্ধে কিছুই জানি না। এতদিন পরিবার লাগেনি, এখন বিয়ের সময় এসে পরিবার খুঁজে নিয়েছো। আমারই ভুল ছিল, তোমাকে সুযোগ না দিয়ে সেদিনই বের করে দিলে ভালো হতো।”

মামার ক্ষেপে যাওয়া স্বাভাবিক। সুহার কাজকর্ম উনার সম্মানে লেগেছে। প্রথমত সে প্রথম ভুলের ক্ষমা এখনো পায়নি, দ্বিতীয়ত উনার সব কথা শুনবে কথা দিয়েও ভেতরে ভেতরে এতদূর পর্যন্ত চলে গিয়েছে। সুহার নিরাপত্তার কথা ভেবেই সম্বন্ধটি নাকচ করতে চেয়েছিলেন তিনি। সুহার মামি দৌড়ে এলেন। স্বামীর পিঠে হাত বুলিয়ে বললেন,“দোহাই লাগে আপনার, এভাবে উত্তেজিত হবেন না! ঠান্ডামাথায় ভাবুন, তারপর সিদ্ধান্ত নিন।”

স্ত্রীর উপর খ্যাঁক করে উঠলেন খালেকুজ্জামান। বললেন,“তুমি চুপ থাকো। সব জায়গায় মুখ চলে তোমার।”
মামি চুপ করলেন না। সুহাকে জিজ্ঞেস করলেন,“ছেলেটা যে আজ বাসায় আসবে তুই জানতি?”
সুহা ত্রস্ত ভঙ্গিতে মাথা নেড়ে বলল,“না মামি, আমি জানতাম না।”
“ছেলেটাকে পছন্দ করিস?”

এবার সুহা চুপ করে গেল। তার নিরবতা থেকেই যা বোঝার বুঝে গেলেন মামি। তিনি খালেকুজ্জামানের দিকে তাকিয়ে নরম স্বরে বললেন,“ওঁ যেহেতু রাজি আছে, আপনার এখানে অমত করার কারণ দেখছি না। ছেলের পেশা নিয়ে যেখানে সুহার কোন সমস্যা নেই সেখানে আমরা বাঁধা হয়ে দাঁড়াবো কেন?”
মামা কপট রাগ দেখিয়ে বললেন,“সেজন্যই তো বলেছি বাড়ি থেকে চলে গিয়ে যা ইচ্ছে করুক।”
মামি বললেন,“বাড়ি থেকে যাবে কেন? পরিবার জানিয়ে সে তো কোন ভুল করেনি। আপনি আর রাগ করে থাকবেন না। ওখানে মেহমান বসে আছে। গিয়ে কথা বলুন।”

“তুমি গিয়ে কথা বলো। আমি পারবো না।”
সুহা চুপ করে রইলো। চোখজোড়া তটস্থ। মামা ঘরে চলে গেলেন। মামি দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। এবার উনার নিজেরও কিছুটা অভিমান জন্মালো সুহার উপর। ছেলেটার ব্যাপারে অন্তত উনাকে জানাতে পারতো। অভিমান চেপে রেখে সুহাকে বললেন,“তুই ঘরে যা, চিন্তা করিস না। সব ঠিকঠাক হবে।”

মামির চোখের দিকে তাকাতে পারলো না সুহা। ঝরঝর করে কেঁদে ফেললো। অপরাধী গলায় বলল,
“আমায় ক্ষমা করো মামি। সেদিন বাসায় ফেরার উদ্দেশ্য ছিল এই ব্যাপারে তোমাদের জানানো। কিন্তু বাসায় থাকার সুযোগ আর তোমাদের ভালোবাসা পাওয়ার লো*ভে আমি কথাটা ভুলেই বসলাম।”
“আমি তোর মামাকে বোঝাবো।”

এই বলে মামি বসার ঘরে এসে দাঁড়ালেন। বললেন,“আমরা আপনাদের পরে জানাচ্ছি। আপাতত আমাদের বাসার পরিস্থিতি ঠান্ডা হওয়ার সুযোগ দিন।”
ভদ্রমহিলার নম্র গলা শুনে তরীর বাবা আর কথা বাড়ালেন না। মিঠুও আর ঝামেলা করলো না। চুপচাপ উঠে পড়লো।
সন্ধ্যার পর এ নিয়ে সুহার মামি স্বামীকে অনেকক্ষণ বুঝিয়ে বিয়েতে রাজি করাতে সক্ষম হলেন। শেষে খালেকুজ্জামান ভেবে দেখলেন সুহা এতদিন পর বাড়ি আসায় মানুষ আড়ালে নানান কটূক্তি করছে। বিয়েটা দিতে পারলে হয়তো তাদের মুখ বন্ধ করা যাবে। মামি সুহাকে ডেকে নিয়ে খবর খানা দিলেন।

রাত খুব বেশি হয়নি। ঘড়ির কাঁটা সবে ১১ এর ঘর পেরিয়েছে। মুঠোফোন বেজে উঠলো সুহার। সাথে সাথেই ফোন তুললো না। ইচ্ছে করেই দেরি করলো। কয়েকবার রিং হওয়ার পর ফোন কানে চাপলো। ওপাশ থেকে চাপা রাগি স্বর শোনা গেল।
“ফোন ধরেন নি কেন এতক্ষণ? না-কি মামা-মামি পেয়ে আমাকে দেওয়া কথা ভুলে বসলেন?”
সুহার ঠোঁটে চাপা হাসি। কোন জবাব দিলো না। তার নিশ্চুপ থাকা মিঠুকে আরো রাগিয়ে দিল।

“আমার কাছ থেকে নিজেকে একবিন্দু দূরে সরানোর চেষ্টা করে দেখুন, আমি সব লণ্ডভণ্ড করে দেব সুহা।”
সুহা হাসি চেপে নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলো। শক্ত গলায় বলল,“কী করবেন আপনি?”
“বিয়ে করবো, বাকিটা তো সেদিন বললামই। আবার শুনতে চান?”
সুহা বিব্রত হলো। কোনভাবে আওড়ালো,“অ*ভ*দ্র লোক!”

মিঠু বলল,“আপনার কাছে হাজারবার অভদ্র হতে রাজি আছি, শুধু একবার হ্যাঁ বলে দেখুন।”
“দেখুন্, আমি মামার কথার অবাধ্য হতে পারবো না।”
মেজাজ চড়ে গেল মিঠুর।
“মামার কথার অবাধ্য হতে পারবেন না, তবে আমায় বিয়ে করবেন কথা দিয়েছিলেন কেন? আপনি কী ভেবেছেন, আপনার মামা আমাকে বাঁধা দিতে পারবে? উনার সামনে দিয়ে আপনাকে তুলে নিয়ে আসবো। আমি চাই সব সুষ্ঠুভাবে হোক। নয়তো আপনার মামার কথার পরোয়া আমি করতাম না।”

আর রাগানো ঠিক হবে না ভেবে সুহা মিইয়ে যাওয়া স্বরে বলল,“মামা কাল আপনার বাবাকে আসতে বলেছেন।”
মিঠু থেমে গেল। কিয়দংশ সময় নিরব থেকে অধর প্রসারিত হলো। তীর্যক হেসে বলল,“বাহ্! মামা শশুরের বুদ্ধি হয়েছে দেখছি। তবে আর দেরি কীসের?”
সুহার সাড়া না পেয়ে মিঠু কোমল স্বরে ডাকলো,“মাদকতা!”
চোখ খিঁছে বন্ধ করে নিলো সুহা। মিঠু বলে গেল,

“শুনছেন মাদকতা? কেন এত নে*শা ধরালেন? এর শা*স্তি স্বরূপ সারাজীবন আমার দায়িত্ব নিতে হবে। আমার বুকের খাঁচায় বন্দী দশা বরন করে নিতে হবে আপনাকে।”
সুহা মৃদুস্বরে বলল,“আমি দায়িত্ব নিতে জানি না।”
“আমি শিখিয়ে দেব। কথা দিচ্ছি আমার প্রশস্ত বুক হবে আপনার স্বস্তির জায়গা।”
সুহা মনে মনে আওড়ালো “আমার বিশ্বাস টুকু আপনাকে দিলাম, যত্নে রাখবেন।

অরুর ভীষণ মন খা*রা*প। সবকিছুর মাঝে সে মনে রেখেছে রামির চলে যাওয়ার কথা। আর মাত্র একদিন। তারপরই রামি আবার ফিরে যাবে। অরুর দৃষ্টি নিবদ্ধ একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা রামির উপর। সে কানে ফোন চেপে কারো সাথে জরুরী আলাপে ব্যস্ত। অরু ধীর পায়ে এগিয়ে গেল। দু’হাতে পেছন থেকে রামিকে জড়িয়ে ধরে পিঠে মাথা ঠেকিয়ে রাখলো। কান থেকে ফোন সরালো না রামি। কথা বলার মাঝেই অরুর হাত ছাড়িয়ে দিয়ে তাকে সামনে টেনে আনলো। বুকের সাথে আগলে ধরতেই অরু বুকে মাথা মিশিয়ে দিল। অরুর পিঠে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে রামি। অরু জড়োসড়ো হয়ে বুকে মিশে রইলো। কথা শেষ করে ফোন পকেটে পুরে নিলো রামি। নরম স্বরে অরুকে বলল,“ঠান্ডা লাগছে?”

অরু দু-পাশে মাথা নাড়িয়ে না জানালো। অরুর মাথায় চিবুক ঠেকিয়ে রামি আদুরে স্বরে বলল,“কী হয়েছে?”
অরু কাতর স্বরে বলল,“কাল না গেলে হয় না?”
রামি হাসলো। বলল,“ক’দিনেরই তো ব্যাপার। আবার তো চলে আসবো।”
অরু মাথা তুলে তাকালো। তার চোখে স্পষ্ট পানি চিকচিক করছে। ঢোক গিলে বলল,“ক’দিন? কতগুলো দিন তোমার হিসেব আছে?”

রামি হেসে বলল,“তুই তো আমায় সহ্যই করতে পারিস না। তাহলে আমি থাকবো কেন?”
অরু ছলছল চোখে তাকিয়ে রইলো। রামি তপ্ত শ্বাস ছেড়ে দু-হাতে অরুর মুখ আঁজলা করে তুললো। ললাটে উষ্ণ ওষ্ঠ জোড়া চেপে ধরে রাখলো অনেকক্ষণ। অতঃপর চোখের পাতায় ঠোঁট ছোঁয়ালো। অরু দু-হাতে আঁকড়ে ধরলো রামির গলা।
রামি বলল,“মন খা*রা*প করে থাকবি না। তোকে এমন দেখতে আমার ভালোলাগে না। আচ্ছা বলতো এবার গেলে তোর জন্য কী কী নিয়ে আসবো?”

অনিমন্ত্রিত প্রেমনদী সিজন ২ পর্ব ৩১

“আমার তুমি হলেই চলবে।”
রামি নিঃশব্দে হেসে বলল,“আমি তো তোরই আছি। আমি ছাড়া আর কী লাগবে?”
“তোমাকেই লাগবে।”
রামি অতিষ্ঠ ভঙ্গিতে মাথা নেড়ে বলল,“তোকে দেখছি পকেটে পুরে নিয়ে যেতে হবে।”
অরু মোহাবিষ্ট কন্ঠে বলল,“নিয়ে যাও না।”

অনিমন্ত্রিত প্রেমনদী সিজন ২ পর্ব ৩৩