অনুভূতির কেন্দ্রবিন্দু তুমি গল্পের লিংক || সুমাইয়া সানজুম ঐশী

অনুভূতির কেন্দ্রবিন্দু তুমি পর্ব ১
সুমাইয়া সানজুম ঐশী

-তোমার মতো ঠ*ক*বাজ, প্রতা*রক মেয়ের দ্বা*রা সবই সম্ভব। শুধুমাত্র আমার আর আমার বাবার টাকার জন্য বিয়েটা করেছো ‘তাই না’তোমার টাকার দরকার আমাকে জানালেই পারতে।যা প্রয়োজন দিয়ে দিতাম। ল*জ্জা করলো না সবটা তোমাকে জানানোর পরও বিয়ের পীড়িতে বসতে!

ছি!এতোটা বে*হায়া,নি*লজ্জ মেয়ে তুমি,নাকি পরিবার থেকে শিক্ষা পাও নি?
আমি আর স*য্য করতে পারলাম না। তাই বা*ধ্য হয়েই বললাম,
-দেখুন, আমি চুপ আছি তারমানে এই না যে আপনি আমার সম্পর্কে উদ্ভট কথাবার্তা বলবেন আর আমি তা স*য্য করবো।আপনি জানেন আঁধার ভাইয়া আমি পরি*স্থিতির স্বী*কার ছিলাম। আপনি আমাকে জানাতে অনেক দেরি করে ফেলেছেন। এতে আমার দো*ষ কোথায়? আ*শ্চর্য!

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আরও কিছু বলতে যাবো তখনই ভাইয়া আমার গায়ে অনেক গুলো টাকা ছু*ড়ে মারলেন তারপর বললেন,
-আর কতো টাকা লাগবে তোমার বলও?নাকি আমার নামের সব সম্পত্তি ও লাগবে? এতো টাকা, এতো সম্পত্তি একসাথে নিশ্চয়ই তোমার বংশের কোনো মানুষ দেখে নি,তাই তো লো*ভে পড়ে আমার সহজ সরল মা বাবাকে তুমি, তোমার পুরো ফেমিলি সহ ফাঁ*সি*য়েছো।

চোখভতি টইটম্বুর পানি নিয়ে বসে আছি,১৮ বছরের এই জীবনে নিজেকে এতোটা ছোট আর অ*সহায় কখনো মনে হয় নি,ইচ্ছে করছে গলা ফা*টিয়ে কা*ন্না করি।
ভাইয়া আমার চোখ এ পানি উপেক্ষা করে আবারও বললেন,
-এসব নাটক করে আমাকে গলাতে পারবা না,আর হ্যাঁ আমার আশেপাশে থাকার চেষ্টা ভুলেও করবে না,তাহলে আমার খা*রাপ রুপ দেখাতে বাধ্য হবো।

এবার আমিও আরেকটু সাহস করে বললাম,
-দেখুন আপনি আমাকে ভুল বুঝছেন,আমি ভেবেছ(কাঁপা কন্ঠে)
কথাগুলো বলার মাঝেই উনার দিকে তাকাতেই আবার চোখ নামিয়ে কথাটা থামিয়ে দিলাম।কারণ তার র*ক্তিম চোখ আর ভ*য়ংকর চাহনিতে ভীষনভাবে ভয় লাগছিলো।উনি রা*গা*ন্বিত ভাবে বেডের দিকে আগানোতে আরও ভ*য় প্রখর হলো আমার।আমি বসা অবস্থায় আরও পিছালাম। আমি কিছু বলবো তার আগেই,
উনি বেডে হাত রেখে আমার দিকে ঝুকে বললেন,

-চু*প একদম চুপপপপ। আর একটা কথা না।সাধু সাজছো, তুমি সাধু ‘মাই ফুট’ তুমি জানো তোমার প্রতি আমার প্রচুর ঘৃ*ণা হচ্ছে এখন। সবটা জানার পরও তুমি,ছি!
৬ মাসের মধ্যেই তোমাকে তোমার পাওনা বুঝিয়ে ডি*ভো*র্স দিয়ে দিবো,এবং এই ৬ মাসে তোমার লাইফ হে*ল করে দিবো আমি,জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ।
একথা বলে সে বেলকনিতে চলে গেছে,

আঁধার বেলকনিতে গিয়ে ফুলের টবে লা*থি দিতে গিয়েও থেমে গেলো,কিভাবে সে দিবে এটাতো তার স্বর্ণলতার প্রিয় ফুল গাছ,তাই তো সে স্বর্ণলতার স্মৃতি বাচিঁয়ে রাখতে লাগিয়েছিলো,
আঁধার বেলকনির ফ্লোরে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল

– কোথায় হা*রিয়ে গেছো তুমি,কেনো আমার রঙিন জীবনটার সব রং নিয়ে গেলে?কেনো?তোমাকে খুজে পাওয়ার কেনো সব রাস্তা অফ?তোমায় কি আমি আর কখনো খুঁ*জে পাবো না?স্বর্ণলতা,
তবে কি তুমি সারাজীবন আমার চেনা অনুভূতি আর অচেনা মানুষ হয়ে রবে!তুমি কি আমার কল্পনায় চিরজীবন থাকবে,বাস্তবে কি তোমার দেখা পাবো না!!

আমি বিছানায় বসে কা*ন্না থামানোর প্রয়াস চালাচ্ছি,কিন্তু অশ্রু গুলো আজ বড্ড অবা*ধ্য তাই তারাও তাদের মতো ঝরছে,
এতোকিছুর মাঝে নিজের পরিচয় দিতেই ভুলে গেছি।আমি ঐশী, কয়েকদিন আগেই এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। সামনে আমার এডমিশন দেওয়ার কথা অথচ,আমি এখন সদ্য বিবাহিত মেয়ে।

প্রতিটা মেয়েরই বিয়ের প্রথম রাত নিয়ে অনেক স্বপ্ন থাকে,আমিও ব্যতিক্রমি নই, কিন্তু আমার ভাগ্য ওই বরাবরের মতোই খা*রাপ তাইতো বিয়ের রাতেই ডি*ভো*র্স এর ডেইট ফিক্সড,অতঃপর অ*শ্রু*সি*ক্ত নয়নে নিজের কথা ভেবেই একটা তা*চ্ছি*ল্য হাসি দিয়ে শুয়ে পরলাম।আর ভাবতে লাগলাম কয়েক মুহূর্তে কিভাবে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেলো।
ফ্ল্যাশব্যাক,

আমার এইচএসসি পরীক্ষার পর থেকে সবাই আমার বিয়ের জন্য একেবারে উঠে পরে লে*গেছে,আমার গায়ের রং শ্যামলা তাই তাদের ধারণা এখন বিয়ে না দিলে আমার জীবনে বিয়ে হবে না,তাই এডমিশন পরীক্ষা প্রিপারেশন নেওয়ার জায়গায় আমাকে পাত্রপক্ষের কাছে দেখানো হচ্ছে।

প্রথম বারের পাত্রপক্ষ আমাকে পছন্দ করলেও যখন তারা জানতে পারল আমি রান্নার কাজকর্ম পারি না,তখন তারা একেবারে বিদায় জানিয়ে চলে গেছে।এরপর থেকে শুরু হলো আম্মুর কথার শোনানোর স্রোত,কথা থেকে বাঁ*চার জন্য কিছুটা টুকটাক কাজ শিখছিলাম তারমধ্যেই রেজোয়ান চৌধুরীর পরিবার থেকে বিয়ের জন্য দেখতে আসলো।তারা নাকি আব্বুর ফ্রেন্ড এর পরিবার। কিন্তু সেদিন পাত্র আই মিন আঁধার রেজোয়ান চৌধুরী অনুপস্থিত ছিলো,মিসেস চৌধুরী সেদিন আমায় তার হাতের বালা পড়িয়ে দিয়ে গেলেন। তারা পরবর্তীতে বিয়ের ডেইট ফিক্সড করে আব্বুকে জানাবেন বলে সেদিনের মতো বিদায় নিলেন।

পরবর্তীতে বিয়ের দিন সকাল বেলায় একটা আন*নোন নাম্বার থেকে কল আসলো,৩য় বারের সময় আমি কলটা রিসিভ করলাম,জানতে পারলাম কলটা আমার রা*গী হবু বরের,আমি সালাম দিয়ে কিছু বলার পূর্বেই তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে বললেন,

-দেখো মিস হোয়াট এভার,আমি তোমাকে বিয়ে করতে ইচ্ছুক নই,বাবার প্রেশারে রাজি হয়েছি।আমি যাকে পছন্দ করি তাকে হা*রিয়ে ফেলেছি।আই থিঙ্ক তুমি আজকে নিজ দায়িত্বে বিয়েটা ভে*ঙে দিবে।বলে কলটা কেটে দিলো।
কথাটা শুনে আমি হত*বাক হলাম।এ পা*গল নাকি! বিয়ে যখন করবি না নিজের বাবা,মারে বল,আমারে কেন বলতেসোস?তাও আবার বিয়ের দিনে!সব আয়োজন করা শেষ ,এখন যদি আব্বু বিষয়টা জানেন তাহলে আবার অসুস্থ হয়ে পড়বেন,কি করবো কিছুই মাথায় আসছিলো না,অতঃপর সি*দ্ধান্ত নিলাম বিয়েটা আমি ভাং*তে যাবো কেনো?যার দরকার সে ভা*ঙুক।

কবুল বলার মুহূর্তে ভাবলাম হি*ট*লারটা আইমিন আঁধার ভাইয়া বিয়েটা ভেঙে দিবে কিন্তু সে তা করে নি।তারপর আমাকে বিদায়ের মাধ্যমে বিয়ের কাজটাও শেষ হলো।
হি*ট*লারের রুমে বসে তার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।পরবর্তী অংশ তো আপনারা জানলেন।

আযানের ধ্বনি শুনে বাস্তবে ফিরে আসলাম।উঠে ফজরের নামাজ পড়ে নিলাম।এরপর ভাবলাম একটু ঘুমানো উচিত।যেই ভাবা সেই কাজ। বিছানায় ঘুমিয়ে পড়লাম।ঘন্টা তিনেক পর তীব্র শব্দে ঘুমটা ভে*ঙে গেলো।চরম বির*ক্তি নিয়ে কলটা রিসিভ করে মোবাইলটা কানে ধরলাম।সাথে সাথেই চাচাতো বোন লিমার কন্ঠ পেলাম। বিরক্তি নিয়েই বললাম,
-দিলি তো আমার ঘুমটা ন*ষ্ট করে,দ্বিতীয় বার যেনো কল না আসে।

এ কথা বলেই কলটা কে*টে দিলাম। মাথাটা সত্যিই ব্য*থা করতেছে, অপর দিকে ফিরে আবার ঘুমালাম।
ঘন্টা খানিক পর আবারও আমার ফোন বেজে উঠল।রিসিভ করে কানে তুলতেই আম্মুর ক*র্ক*শ ধ্বনি শুনতে পেলাম,
-ঐশী,এটা তোর আবার কোন ধরনের বে*য়াদবি। সকাল ১০টা বাজে তুই এখনো পড়ে ঘুমাচ্ছিস! মান*সম্মান খাবি আমার?বিয়ের পরে শ্বশুর বাড়িতে কেউ এতো বেলা অব্দি ঘুমায়,সারাজীবন এইসব নিয়ে আমাকে জ্বালাইছোস, বাড়ির মানুষের কথা শুনাইছোস,শান্তি হয় নাই তোর!

একে তো কালা, কোনোরকমে বিদায় করছি,এখন আবার ফেরত আসতে চাস?এই তুই ম*রতে পারোস না! ম*রলে চিন্তা মুক্ত হইতাম,তোর মতো রঙহীন মেয়ের ম*ইরেরে..রে
আর শুনলাম না, কলটা নিজে থেকেই কে*টে দিলাম।যদিও এইসব কথা শুনতে শুনতে আমি অ*ভ্যস্ত কিন্তু তারপরও চোখ দিয়ে পানি ফেলছি। আমি ঘুমাতে ঘুমাতে ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমি এখন শ্বশুর বাড়িতে আছি।দ্রুত বিছানা ছাড়লাম।গয়না রাতেই খুলে বিছানায় রেখেছিলাম। তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে দরজা খুলতেই দেখলাম আমার থেকেও একটু বড় একটা মেয়ে আমার কাছে এসেই বলল,

-কিগো ভাবী, ঘুম কেমন হলো আমাদের বাসায়? কোনো অসুবিধা হয়নি তো তোমার?
আমি নিচু স্বরে জবাব দিলাম,
-না
সে আমায় বলল তার নাম আলো।সে আমার বরের ছোট বোন এবার অনার্স ২য় বর্ষ এ পড়ছে। আমায় বলল,
-তোমাকে তো মনে হচ্ছে অনেক ছোট! সবাইকে বলাবলি করতে শুনলাম তুমি নাকি এবার এসএসসি পরীক্ষা দিবা?তাহলে তো আমাদের বাসায় থেকে পরীক্ষা দিতে হবে তোমায়।
-আপু আমি এইবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছি

আলো আপু আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,তুমি আমার দুই বছরের জুনিয়র,কিন্তু তোমাকে দেখতে পুরা নাইন /টেনের স্টুডেন্ট এর মতো মনে হচ্ছে!পুরাই বাচ্চা তুমি!একদম কিউট পাটকাঠির মতো!আমি তোমাকে নাম ধরে ডাকবো,তোমার মতো বাচ্চা ফেইসের মেয়েকে ভাবী ডাকে একদম মানাবে না।
বুঝলাম না ‘কিউট পাটকাঠি ‘ বলে আমার প্রশংসা করলো নাকি ইনডিরেক্টলি আমাকে শুকনা বলল।
-নিচে যাবে?চলো তোমায় রান্নাঘরে আম্মুর কাছে দিয়ে আসি।

আমিও তাই তার পিছু পিছু নিচে নেমে রান্নাঘরটার দিকে গিয়ে দেখলাম, মিসেস রেজোয়ান কি কি রান্না করতে হবে তার মেনু বলে দিচ্ছে দুইজন মহিলাকে। আপুটা আমাকে দেখিয়ে বলল,
-দেখো তোমার বউকে নিয়ে এলাম
আমি মিসেস রেজোয়ানকে সালাম দিলাম। তিনি উত্তর দিয়ে বললেন

-মা ,তোমার চোখ মুখ এমন শু*কনো মনে হচ্ছে কেনো?বাড়ির কথা মনে পড়ছে,নাকি ধ্রুব কিছু বলেছে তোমায়?
-ধ্রুব নামের কাউকে চিনি বলে মনে পড়ছে না তাই জিজ্ঞেস করলাম,আন্টি ধ্রুব কে!
আমার প্রশ্ন শুনে আলো আপু সহ রান্নাঘরের সবার হাসিররোল পরে গেছে। মনে হচ্ছে আমি উপস্থিত সবাইকে জোকস শুনাচ্ছি, আমার অসহায় মুখ দেখে আপু হাসি থামিয়ে বললেন,

-তুমি বিয়ে করলে কিন্তু তোমার বরের নাম এখনো ঠিক মতো জানোনা দেখি ‘আধার রেজোয়ান চৌধুরী ধ্রুব ‘তোমার বরের নাম। অ*তিক্ষুদ্র তাই না, ভাবীজান?
-হ্যাঁ,অনেক ছোট! আরো দশ বারোটা শব্দ অ্যাড করা উচিত ছিলো তাহলে একটা সারাংশ হয়ে যেতো (মনে মনে বললাম)
এবার আন্টি আপুকে থামিয়ে বললেন
-আম্মু বললো,ধ্রুব কিছু বলেছে তোমায়?

-না না আন্টি, ভাইয়া কিছু বলে নি(মিথ্যা বললাম) । আমাররর তো.আম্মুরর কথা মনে পড়ছে(কাপা স্বরে)
আন্টি এবার আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন,
-কেনো রে, আমি কি তোর পর কেউ হই, এইটা তোর আরেকটা বাড়ি আমিও তোর মার মতোই।আমার কাছে আসতেই মার কথা মনে পড়ছে!নাকি আমাকে নিজের মা ভাবতে ক*ষ্ট হচ্ছে?
-না আন্টি তেমনটা না (কান্না করতে করতে বললাম কারণ আম্মু কখনো আমায় এভাবে আদর করে কথা বলেনি)
-না তেমনটা নয় আন্টি।আসল,লে,

-তেমনটাই,মা হিসেবে মানতে পারোনি এখনো তাইতো বার বার আন্টি ডাকছো।
আন্টি যে আমার শাশুড়ী হয় ভুলেই গিয়েছিলাম,নিজের কাজের জন্য নিজেরই লজ্জা লাগছে এখন তাই নিচু স্বরে বললাম,
স*রি,মা।
আমার কথায় তিনি মুচকি হাসলেন এবং বললেন,

-ঐশী,,মা কষ্ট করে এই কফির মগটা ধ্রুব কে দিয়ে এসে নাস্তা করে নেও,আর ওকেও ব্রেকফাস্ট করতে নামতে বলবে।
আমি আচ্ছা বলে কফির মগটা নিয়ে তার রুমে গেলাম কিন্তু সে নেই রুমে মেবি বারান্দায় আছে। বেশিদূর যেতে হয়নি উনি রুম আর বারান্দার মাঝ বরাবর দরজার সাথে হেলান দিয়ে ফ্লোরে ঘুমিয়ে আছেন।তাকে এ অবস্থায় দেখে আমার ভীষণ খা*রা*প লাগলো,,, হয়তো আমি তার রুমে ছিলাম তাই সে এখানে ঘুমিয়েছে।

কিন্তু তাকে ডাকতে ভীষণ ভ*য় লাগছিলো আমার। গায়ে হাত দিয়ে দেখি শরীর অনেক ঠান্ডা হয়ে আছে তাই ভ*য়কে উপে*ক্ষা করে ডাকলাম। ঘুম হয়তো অনেক হালকা তাই এক ডাকেই চোখ খুললেন। আমি উঠে দাড়ালাম। উনি কিছুক্ষন ভ্রু কুচকে আমার দিকে তাকিয়ে থেকেই ঝট করে উঠে দাড়ালেন।উনার চোখে মুখে রা*গ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।

অনুভূতির কেন্দ্রবিন্দু তুমি পর্ব ২