অনুভূতির কেন্দ্রবিন্দু তুমি পর্ব ৩৭

অনুভূতির কেন্দ্রবিন্দু তুমি পর্ব ৩৭
সুমাইয়া সানজুম ঐশী

ভিডিওটা প্লে করতেই দেখলাম একটা বা*জে দৃশ্য। একটা পুরুষ আর একটা মেয়ের ঘ*নিষ্ঠ কিছু মুহূর্ত। চোখ মুখ কুচকে এলো আমার।ফোনটা আঁধারের সামনে ধরে বললাম,
_ছি,কিসব আজেবা*জে জিনিস দেখাচ্ছেন!এগুলো দেখে আমি কি করবো! ছি!ছি!কিসব বা*জে জিনিসপত্র আপনার ফোনে!!আমার চোখটাই নাপা*ক করে দিয়েছেন।
আমার নাক মুখ কুচকাতে দেখে আঁধার বলল,

_ঐশী, আমি জাস্ট একটা কুয়েশ্চন করবো, মন আর মস্তিষ্ক দুটো ব্যবহার করেই উত্তর দেবে। কিছু মুহুর্তের জন্য মনে করো,এই ভিডিও যেই পুরুষটা আছে সেটা তোমার বর।
আমার মুখের বিস্ময়কর রুপ দেখে সে বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

_আমি কিন্তু বলি নি যে এখানের পুরুষ টা সত্যিকারের আমি। আমি জাস্ট মনে করতে বলেছি।ধরো এই ভিডিও ফুটেজ টা তোমার কাছে তোমার আর তোমার বরের বিয়ের দিন বিয়ের সকল কার্যাবলী শেষে পাঠানো হয়েছে। তুমি দেখছো তোমার সদ্য বিবাহিত বর কিভাবে অন্য নারীর সঙ্গে ঘনি*ষ্ঠতায় মক্ত রয়েছে।এসব দেখার পরওও কি তুমি সেই রাতে তোমার বরের সাথে বাসর করবে??বলো?এতকিছু জানার পর ওও কিছু বলবে না তোমার বরকে??

ভিডিও দেখেই আমার গা ঘি*ন ঘি*ন করে উঠেছে। তার উপর আবার উনার এরকম প্রশ্নে গা গুলা*চ্ছে।কিভাবে নিজের বরকে এ অবস্থায় দেখার পর আবার এর সাথে সংসার করবো।আমি তো একে জুতা পে*টা করবো।আবার বাসর!তীক্ষ্ণ মেজাজ নিয়েই বললাম,

_ছি!আমি তো জুতা পে*টা করবো। তাকে সাথে সাথেই তালা*ক দিয়ে দিবো।জে*লের ভাত খাইয়ে ছাড়বো আমি।তার মুখ আর ইহজন্মেও দর্শন করবো না। আবার বাসর!
__কি বলেছো তা মনে রেখো কিন্তু! পরে আবার উল্টে যেওনা।
এ কথা বলে আঁধার পুনরায় ফোনটা আমার সামনে বরাবর ধরে বললেন,

_ এবার ভিডিওটা কত তারিখে সেন্ড করা হয়েছে আর এখানে যেই মেয়েটা আছে তার চেহারাটা কষ্ট করে দেখো।
মেয়েটির চেহেরা খেয়াল করতেই সেই চেহারায় নিজেকে দেখে আমি চমকই উঠলাম। এটা কীভাবে সম্ভব! আমি এই অবস্থায় একটা পুরুষের সাথে কিভাবে কি!যেখানে আমি আজ পর্যন্ত কোনো রিলেশন ই করিনি সেখানে এগুলো কি!আমি অবিশ্বাসের সাথে বললাম,

_এখানে মেয়েটার চেহারা তো পুরো আমার চেহারার মতো। এটা আআমি না। বিশ্বাস করুন।এখানে আমি! এটা কীভাবে সম্ভব! আর এটা তো আপনাকে আরোও প্রায় তিন মাস আগে পাঠিয়েছে! কিন্তু এরকম একটা বিশ্রী ভিডিও আমি! বিশ্বাস করুন আঁধার, এখানে মেয়েটার চেহারা আমার মতো হলেও আমি এটা নই।
নিজেকে এরকম বাজে ভাবে দেখে একপ্রকার কান্না করতে করতেই বললাম।

আমার কথা শুনে আঁধার কিছুই বলে নি।ফোন টা তার কাছে নিয়ে কিছুক্ষণ ঘেটে তারপর আবারও আমার সামনে ধরলেন। অন্য আরেকটা নাম্বার থেকে সেইম দিন আরোও একটা ভিডিও ফুটেজ পাঠান রয়েছে। এখানে আমার ভিডিও। এটা অন্য আরেকটা ছেলের সাথে ক্লাবে ডান্স করছি।সাথে অনেক মেসেজ।যেখানে লেখা আছে আমি নাকি আঁধার কে টাকার জন্য বিয়ে করছি।আমি এসব প্রতারণা মূলক কাজ আরও অনেকের সাথে করেছি।আরও অনেক বাজে মন্তব্য!
আমি এসব দেখে রীতিমতো কাপছি।
ভিডিও টি অফ করে এবার আঁধার আমার দিকে তাকিয়ে বলল,

__এগুলো আমাকে বিয়ের দিন রাতে পাঠানো হয়েছিল। এমনিতেই আমার বিয়েতে মত ছিলো না সেটা তো তুমি জানতেই। তোমাকে তো আমি কল দিয়ে জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি।
আঁধার এর শেষের কথাটায় কেনো যেন আমার হৃদয়ে অদৃশ্য রক্তক্ষরণ সৃষ্টি করেছে।আসলে স্বামীর মুখ অন্য কে ভালোবাসার কথা শুনা যেকোনো স্ত্রীর জন্য বেদনাদায়ক।আমি নিরুপায় ছিলাম নয়তো কখনোই জানার পর ও তাকে বিয়ে করতাম না।
আঁধার কিছুক্ষন থেমে পুনরায় বলা শুরু করলো,

__বাবার উপর কথা বলার স্পর্ধা কারোই নেই। তাই আমি তোমাকে বলেছিলাম বিয়ে ভেঙে দেওয়ার কথা। এরপর ও আমাদের বিয়েটা হয়েছিল। তারপর আবার এইসব ভিডিও,মেসেজ । কিছুতেই মানতে পারছিলাম না।কোনোভাবেই তোমাকে নিজের স্ত্রী হিসেবে মানতে পারছিলাম না।আর যাই হোক কোনো চরিত্র খারাপ মেয়ের সাথে তো জীবন পরিচালনা করা যাবে না।তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তোমায় ডিভোর্স দিয়ে দিবো। তাই তোমাকে সেদিন রাতেই জানিয়ে দেই।
তবে তোমার সাথে অনেক রুডলি কথা বলেছিলাম এই জন্য আমি দুঃখিত। সেদিন আমার বিচ্ছুদল ফ্রেন্ড গুলো আমার অজান্তেই এলকোহল সার্ভ করেছিলো। I was drank that time.নয়তো ওরকম ব্যবহার করার কোনো উদ্দেশ্যই আমার ছিলো না।

আর পরেরদিন সকালে বারান্দায় তোমাকে নিজের সামনে কফি হাতে দাড়িয়ে থাকতে দেখে মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল আমার।যেখানে আমার বারান্দায় সবার প্রবেশ নিষিদ্ধ সেখানে তোমাকে দেখে নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারিনি। তাই মগটা ফেলে দিয়েছিলাম।কিন্তু দূর্ঘটনাবসত হাতের ধাক্কায় কিছু অংশ তোমার হাতেও পড়েছিল।
পরবর্তী তে মনে হয়েছিলো তোমার সাথে অন্যায় করছি।তোমার ব্যক্তিগত জীবন। সেখানে তুমি যা ইচ্ছে করতে পারো। এমনিতেই তো ডিভোর্স হয়েই যাবে। তুমি হয়তো নেতিবাচক ভাবে চলছো তাতে আমার কি!
তবে আমি সকালের দূর্ঘটনার জন্য তোমাকে সরি বলার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু তুমি আমাকে পুরোপুরি ভাবে ইগনোর করেছো।

এবার তুমি বলো আমার জায়গায় তুমি থাকলে কি করতে?আমি চরিত্রহীন যেনেও সব কিছু মেনে নিয়ে আমার সাথে সংসার করতে?
তার সব কথা শুনে মনে হলো এসব এর পেছনে কেঊ আছে।কিন্তু এই ভিডিও গুলো!এসব চিন্তার মাঝেই আমি বললাম,
__কিন্তু এগুলো তো আমার ছিল না। এখানে আমি কিভাবে!!
আমার কথার মাঝেই আঁধার বললো,

_ ভিডিওগুলো এডিট করা। প্রথম দিন আমিও বিশ্বাস করিনি।কিন্তু রিসিপশনের দিন রাতে তোমার রুমে কিছু একটা দেখার কারণে কারণে আমার সন্দেহ হয় যার প্রমাণ পেতে একমাস দেরি হয়ে ছিল। এছাড়াও আরাফের বার্থডে পার্টির দিনও কিছু ছবি তোমার আর নিশান এর অন্য আরেকটা নাম্বার থেকে আমার কাছে এসেছিলো। সেদিন ছবি গুলো দেখে মনে হয়েছিল আমার এগুলো ঐ ভিডিও পাঠানো ব্যক্তি পাঠিয়েছে।রাগ লাগছিলো সেই ব্যক্তি কে খুঁজে বের করে খুন করতে ইচ্ছে করছিলো। তোমাকে দেখলাম পার্টিতে নিশানের সাথে হাসাহাসি করছিলে।

তার উপর আবার নিশান তোমাকে স্পর্শ করতে দেখে মাথায় রক্ত চড়ে গিয়েছে। সহ্য করতে পারিনি নিশান এর সাথে তোমাকে। এরপর ও নিজের রাগ কন্ট্রোল করে জাস্ট তোমাকে বকেছি।কিন্তু তুমি শেষ কথাটা কি বলেছিলে!তুমি অন্য ছেলের সাথে!! এটা নিতে পারিনি আমি তাই গায়ে হাত তুলতে বাধ্য হয়েছি।যেখানে তোমার গায়ে একটা মশাকে সহ্য হয় না আমার সেখানে তোমার সাথে অন্য ছেলে!! এই ব্যাপার এ কোনো ছাড় দিতে পারবো না আমি।এরকম কথা আর মুখে আনতে শুনলে মুখে আগুন জ্বালিয়ে দিবো আমি।
তার কথায় এবার আমি কনফিউজড! তাই বললাম,

__আপনি তো অন্য কাউকে ভালোবাসতেন আমায় না,তাছাড়া আমার সাথে সংসার করতেও ইচ্ছুক ছিলেন না তাহলে কেনো আমি খারাপ জেনেও ইনফরমেশন গুলো ফেইক তার প্রমাণ খুজতে গেলেন কেনো?আপনি চাইলে এখনো আমাকে ডিভোর্স দিয়ে আপনার সেই ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করতে পারেন।কিন্তু আপনি আমাকে কেন একটু আগে ভালোবাসি বললেন? আপনি তাকে কেমন ভালোবাসতেন যে আমায় পেয়ে তাকে ভুলে গেছেন?
আমার প্রশ্নে সে মুচকি হেসে আমার কোমড় জড়িয়ে তার কাছে টেনে নিলেন। তার বাহুডোর এ আবদ্ধ করে বললেন,

__আমি তাকে তো ভুলিনি। তুমি তো তাকে তোমার মাঝে নিত্যনতুন করে সাজিয়ে তুলেছো।তোমার প্রতিটি কদম তার উপস্থিতি আমার সামনে তুলে ধরেছে। না চাইতেও সেই পুরনো অনুভূতি জাগিয়ে তুলেছে।তোমার ছায়াতে আমি তার পূর্ণ রুপ খুঁজে পেয়েছি। সে যদি আমার অবিছিন্ন অনুভূতি হয় তবে সে #অনুভূতির_কেন্দ্রবিন্দু_তুমি। তোমার মাঝের তুমিটাকে ভুলি কি করে বলো তো?তুমি তো সেই পুরনো অনুভূতি। তোমাকে ভুলে যাওয়া অসম্ভব। ভালোবাসি তোমায়, আজীবন বাসবো।
আমি স্তব্ধ। তার থেকে সরতে গেলে সে বাহুবন্ধনী জোরালো করে বললো,

__আমি তোমাকে ভুলি নি,আমার হারিয়ে যাওয়া অনুভূতি। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি সত্যিই জানতাম না তুমিই আমার হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা। আর ছেড়ে যেওনা। তোমাকে ভুলে থাকা অসম্ভব। আমি কীভাবে আমার হৃদয়ের স্পন্দন ছাড়া থাকবো বলো।এক বার হারিয়ে জীবিত লাশ হয়ে ছিলাম। আর আর হারাতে চাই না।ভীষণ ভালোবাসস,,,
আর শুনতে পেলাম না তার আগেই লুটিয়ে পড়লাম তার গায়ে।

আঁধার আমার জোর করেই গোবরের আইসক্রিম খাওয়ানোর চেষ্টা করছিলো,
__প্লিজ আঁধার বিশ্বাস করুন আমি আর জীবনেও পালানোর চিন্তা করবো না। তাও এই বিচ্ছিরি জিনিস আমাকে দিয়েন না।আমার ভুল হইছে আর পালাবো না। তাও এটা সরান সামনে থেকে। প্লিজ
__না,প্রাণপাখি আমি আর বিশ্বাস করতে পারবো না।দোষ যখন করেছো তখন শাস্তি তো পেতেই হবে তোমায়
এ কথা বলেই গন্ধযুক্ত গোবরের সেই বিচ্ছিরি জিনিস জোর করেই আমার মুখে দিয়ে দিলেন
_ওয়াক থু!ছি!!থু থু!

জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছি।নিজেকে বিছানায় দেখে বুঝলাম স্বপ্ন দেখছিলাম। বাবা এরকম ভয়ানক স্বপ্নও মানুষ দেখে।ছি!কি বিদঘুটে!!! পাশে তাকাতেই আমার আত্মা কেপে উঠলো।আঁধার আমার দিকে হতবিহ্বল হয়ে তাকিয়ে আছে।তার টিশার্ট ভর্তি থুথু।আমি তার দিকে তাকাতেই তিনি বলে উঠলো,

_ঘুমের মধ্যে থুথুর বৃষ্টি ঝড়াচ্ছো কেনো তুমি? আর গোবর কোথায় পেয়েছো?
তার প্রশ্নের উত্তর এ আমি কি বলবো! ।এরকম সাংঘাতিক একটা কাজ কীভাবে করলাম আমি! এবার তো এইলোক আমাকে সত্যি সত্যিই গোবরের আস্তানায় ফালাই আসবে!উনার দিকে আর না তাকিয়ে দ্রুত ওয়াশরুমে গিয়ে দরজা আটকে দিলাম।
ওয়াশরুম থেকে বেশ কিছুক্ষন পর বের হলাম। রুমে বেরিয়ে যা দেখলাম তাতে আমি হতবাক। যেই মানুষকে আলো আপু দেখতে পারে না তাকে সাথে করেই সে সোফায় হাসতে হাসতে রীতিমতো গড়াগড়ি খাচ্ছে।আঁধার কে দেখতে পেলাম না আমি।

_আলো আর নিদ্রা আপু তোমরা দুজন একসাথে! তাও আবার এখানে?
আমার প্রশ্নে আলো আপু আমার কাছে এসে আমার মুখ টেনে দিয়ে বললো,
_কি! সকাল সকাল কেমন দিলাম সারপ্রাইজ, পাটকাঠি?আমাদের কে একসাথে দেখে অবাক হচ্ছো তাই না?আসলে নিদ্রা আপু কালই চলে যাবে তাই তোমার সাথে দেখা করতে এসেছে।
নিদ্রা আপু এরপর অনেক সময় আমাদের সাথে কাটিয়ে বিদায় নিলেন। যাওয়ার সময় বলে গেলেন,

_তোমাকে তোমার অজান্তে আমি ভীষণ জালিয়েছি ঐশী।তবে আমার আর আলোর উদ্দেশ্য কিন্তু খারাপ ছিলো না। মাঝখানে তুমি বারোটা বাজিয়েছো।তাই আমাদের পরিকল্পনা পুরোটাই পানিতে গেলো। আলো তোমাকে আমার নামে যা যা বলেছে পুরোটা কিন্তু সাজানো।তোমার বর কিন্তু আমার বেস্টফ্রেন্ড হলেও সে আমাকে আলোর মতো বোনের চোখেই দেখে। আলো তোমাকে একটু মিথ্যে বাড়িয়ে বলেছে।আচ্ছা আমি আসি। ফোনে পরে আলাপ করবো। মন্দিরে পুজো দিতে যাবো।মানত রয়েছে। ফাইজ নিচে অপেক্ষা করছে।bye girls.take care.
নিদ্রা আপু যেতেই আমি আলো আপুর দিকে রাগী ফেইসে তাকিয়ে বললাম,

_নিদ্রা আপু সনাতন ধর্মাবলম্বী তুমি একথাও লুকিয়েছো?তুমি আর কথা বলবা আমার সাথে যাও বের হও রুম থেকে। তোমরা ভাইবোন দুটোই হিটলার। তুমি না সেদিন বলেছিলে,নিদ্রা আপুকে তুমি দেখতে পারি না,নিদ্রা আপু নাকি আমার সতীন!তোমার ভাইয়ের আগের প্রেমিকা! বাটপার মহিলা!তোমার এতগুলো মিথ্যার কারণে আমি নিদ্রা আপুকে কতটা খারাপ ভেবেছিলাম?তুমি,,,,তো,,,,ধুর ভাই যাও তোমার সাথে কোনো কথা নাই আমার।
আলো আপু আমার কাছে এসে গাল টেনে দিতেই আমি তার দিকে গরম দৃষ্টিতে তাকালাম

অনুভূতির কেন্দ্রবিন্দু তুমি পর্ব ৩৬

_দেখ এইভাবে তাকাইস না,জানটুস।আমি তো তোর ভালোর জন্যই মিথ্যা বলছি।আমি তো ভাবছি তুই নিদ্রা আপুর উপর জেলাসি ফিল করে আঁধার ভাইয়ের সাথে দূরত্ব মিটিয়ে ফেলবি।তাই তো নিদ্রা আপুর সহায়তা নিয়েছিলাম। কিন্তু তোদের মাঝে গন্ডগোল বাড়বে এটা কে জানতো!

অনুভূতির কেন্দ্রবিন্দু তুমি পর্ব ৩৮