অপ্রিয় আশালতা পর্ব ১৩

অপ্রিয় আশালতা পর্ব ১৩
আফিয়া অন্ত্রীশা

চিরকুটটা পড়ে পুরো শরীর অ*ব*শ হয়ে আসে আশালতার। প্রতিবারের ন্যায় এবার আর কাব্য কে নিয়ে বিরক্তিবোধ তার অন্তরে ছেয়ে যাচ্ছে না। হিম শীতল এক অজানা অনুভূতি এসে মস্তিষ্কে বাড়ি খাচ্ছে। “মিস. আশালতা আপনি কি জানেন?

আপনি ঠিক কতটা প্রিয় আমার?” চিরকুটে লেখা এই শেষ লাইনটা আশালতার কানে ঝংকার তুলে বাজছে। গভীর ভাবনার অতলে হারিয়ে যায় সে। ঠিক সেই সময়েই ভাবনার বিচ্ছে*দ ঘটে হাফসা বেগমের ডাকে। হাফসা বেগমের কোলে আশালতার ছোট্ট ছেলে আদিব করুণ সুরে কান্না করছে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-আশা তুই ইদানীং কোন ধ্যানে থাকিস রে? শরীর ঠিক আছে তোর? এমন অদ্ভুত লাগছে কেন তোকে? ছেলেটা সেই কখন থেকে কাদছে আর আমি তোকে সেই কখন থেকে ডেকেই চলেছি কিন্তু কোনো পাত্তাই নেই! (হাফসা বেগম)
মায়ের কথায় থতমত খেয়ে যায় আশা। তরতর করে বলে ওঠে,

-না মা ঠিক আছি। শুধু একটু মাথাটা ঝিম ধরে আছে বলে কিছুক্ষণ চোখ বুজে ছিলাম তাই কেন যেন কোন আওয়াজও এসে কানে পৌছায়নি।
মেয়ের দিকে সন্দেহপ্রবণ দৃষ্টি স্থাপন করে আদিবকে আশার কোলে দিয়ে দ্রুত চলে ছুটে যান বাইরে দড়িতে নাড়া নাতির ভেজা কাঁথাগুলো উল্টিয়ে দেওয়ার জন্য। রোদের যায় যায় অবস্থা যে বিকালের আগমনী বার্তা নিয়ে এসেছে।

হাফসা বেগম শোয়ার ঘর হতে প্রস্থান নিতেই আশালতা হাফ ছেড়ে বাচে। মায়ের কাছে যে সে ভিষণ রকম লজ্জায় পড়ে যেত। এতক্ষণে সে ছেলেকে খাইয়ে শান্ত করে ঘুমও পাড়িয়ে দিয়েছে। ঘুমন্ত ছেলের ছোট কপালটার এক পাশে কাজল দিয়ে বড় একটা টিপ একে দেয় আশালতা।

ছেলের নিষ্পাপ মুখখানায় যেন তরতর করে সৌন্দর্য আরও কয়েক গুণ বেড়ে গেল। বালিশের পাশ থেকে পাউডারটা নিয়ে কিছুটা হাতে ঢেলে নিয়ে ছেলের কপালের কালো টিপের ওপর দিতে নিতেই বাহির থেকে হাফসা বেগমের চিৎকার ভেসে আসে। হাতের পাউডার ঝেড়ে ফেলে দিয়ে আশালতা তার দুশ্চিন্তায় নিশপিশ করা মন নিয়ে বাইরে ছুটে যায়। হাফসা বেগম ঠিক প্রবেশ দরজার সামনেই বুকে হাত দিয়ে অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। আশালতা এমন দৃশ্য দেখে “মা” বলে এক গগণ বিদারী এক চিৎকার দিয়ে ওঠে।

হসপিটালের এক শুনশান কেবিনের মধ্যে ছোট ছেলেটাকে কোলে নিয়ে হাফসা বেগমের বেড ঘেষে থাকা চেয়ারটায় বসে আছে আশালতা। চোখে তার একরাশ ক্লান্তি। ছেলেকে বুকের মাঝে আগলে নিয়ে বারবার ঝিমিয়ে চলেছে অঝোর ক্লান্তিতে। পাশে বেডে শুয়ে থাকা হাফসা বেগমকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। বুকের ব্য*থা যে এতই তীব্র আকারে বেড়েছিল যে কিছুতেই তাকে শান্ত করা যাচ্ছিল না।

এর মাঝেই দরজা কিঞ্চিত শব্দ করে খুলে কেবিনের মাঝে প্রবেশ করে নিলুফা। হাতের পাউরুটি আর কলা গুলো আধো আধো খোলা চোখে চেয়ে থাকা আশালতার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে ওঠে,
-নে এগুলো খা তো। অর্ধদিনের মাঝেই চোখ-মুখ শুকিয়ে কেমন পান্ডু*র ন্যায় হয়ে গেছে। চাচীর জন্য চিন্তা করিস না। ডাক্তার বলেছে ঠিক হয়ে যাবে। তারা চাচীকে দুই তিনদিন এখানে রেখেই ভালো চিকিৎসা দিতে চাচ্ছেন। বেশ কিছু টাকা হয়তো খরচ হবে।

“বেশ কিছু টাকা হয়তো খরচ হবে।“ বাক্যটা কর্ণগোচর হতেই শিউরে ওঠে আশা। কোথায় পাবে সে অত টাকা? হাতে তার মাত্র আট হাজার টাকা রয়েছে। গলির বাসিন্দাদের বাচ্চা-কাচ্চাকে পড়িয়ে এই মাসে একটা টাকাও নেয়নি আশা। বলে দিয়েছে এর পরের মাস হতে নেবে।

আজকে টিউশন থেকে পেয়েছে পাচ হাজার আর ফ্যাক্টরি থেকে যা পেয়েছিল তা থেকে বাড়ি ভাড়া আর ধার-দেনা সব চু*কিয়ে হাতে আছে তিন হাজার। এই মোট আট হাজার টাকা দিয়ে কি সে মায়ের চিকিৎসা করাতে পারবে? পারলেও পরবর্তীতে কিভাবে সে তার মায়ের ঔষুধ কিনবে আর সারা মাসের সংসার খরচ বহন করবে? কিছু মুহূর্তের জন্য থমকে যায় আশা।

-“আবার দুশ্চিন্তা করছিস তুই আশা? আমি আছিতো। টাকা পয়সা যদি দরকার হয় আমি জোগাড় করে দেব। তুই এবার একটু শান্ত হ। কোলে থাকা তোর ছেলেটার দিকে তাকা। এভাবে ভেঙ্গে পড়লে চলবে? এগুলো খেয়ে নে তো এখন।“ আশালতার মাথায় হাত বুলিয়ে কথাগুলো বলে ওঠে নিলুফা।

আশালতার বুকের ভেতর প্রশান্তিতে ফুলে-ফেপে ওঠে। বি*পদের সময়ে এমন বন্ধ ক’জনই বা ভাগ্য করে পায়? ছেলেকে পাশের বেডটায় আস্তে করে শুইয়ে দিয়ে আশালতা নিলুফার উদ্দেশ্যে বলে ওঠে,
-নিলু তুই একটু থাক আমি মায়ের ঔষুধ গুলো কিনে নিয়ে আসি। আদিব উঠলে আস্তে একটু কোলে নিয়ে দোল দিস আবার ঘুমিয়ে যাবে।

আশার কথার তালে মাথা নাড়িয়ে “আচ্ছা” সূচক ইঙ্গিত দেয় নিলুফা। কেবিন থেকে একটু বের হওয়ার জন্য যে মেয়েটা মিথ্যা বলছে তা বেশ করে বুঝেছে সে। কেননা ঘন্টা দুয়েক আগেই যে সে সব ঔষুধই কিনে এনেছিল। দুশ্চিন্তায় দুশ্চিন্তায় মেয়েটা তাও ভুলে বসেছে। হয়তো এখন কোনো নিরিবিলি পরিবেশে গিয়ে কিছুক্ষণ কান্না করে আগামীকাল আরও শক্ত হওয়ার জন্য নিজেকে ধাতস্থ করে নেবে!

ঘড়ির কাটা রাত নয়টা চার মিনিটে গিয়ে পৌছেছে মাত্র। হসপিটাল থেকে বের হয়ে পাঁচ মিনিট হাটলেই একটা শুনশান পার্ক বাধে। ভেতরে টুকটাক দোলনা আর স্লাইডারের ব্যবস্থা থাকলেও প্রাপ্তবয়স্করা মূলত এখানে নিজেকে একটু প্রশান্তি দিতেই আসে বা কেউ ডায়াবেটিস এর রোগী হলে হাটতেই এসে থাকে এখানে।

আজ পার্কটা বেশ জনমানবহীন। আশালতা চুপচাপ গিয়ে একটা বেঞ্চিতে বসে পড়ে। কিছু দূরেই একটা দশ কিংবা এগারো বছরের একটা ছেলে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করছে। আশালতার ছোটবেলা হতেই হাওয়াই মিঠাই খুব পছন্দ। যেখানেই পেতো ছুট লাগাতো হাওয়াই মিঠাই কেনার জন্য। কিন্তু আজ আর সেই ইচ্ছা মনে এলোনা। আজ কেন ? গত কয়েকমাস ধরেই আর ইচ্ছা হয় না অতিরিক্ত টাকা খরচ করে নিজের বাহুল্য ইচ্ছা পূরণ করতে।

আচমকা কেউ দুই দুটো হাওয়াই মিঠাই আশালতার দিকে এগিয়ে দিল। আশালতা চোখ পাকিয়ে পাশ ফিরতেই ভ*য়া*নক রকম অবাক হয়ে যায়। পাশেই হাসি হাসি মুখ করে কাব্য দাঁড়িয়ে আছে। লাইজু বেগমের কানে হাফসা বেগমের অবস্থার কথা পৌছাতেই তিনি কাব্যকে নিয়ে হসপিটালে চলে আসেন।

আশালতাকে না পেয়ে কাব্য নিলুফাকে তার খবর জিজ্ঞাসা করতেই আশালতার মনের অবস্থা খুলে বলে আর সে কোথায় যেতে পারে তাও বলে দেয়। কাব্য মিছে বাহানা দেখিয়ে হসপিটাল থেকে বেরিয়ে সোজা পার্কের দিকেই চলে আসে আশালতার খোজে।
আশালতার মনে কৌতুহল জাগে, এই ছেলে তার বি*পদের দিনে অথবা মন খারাপের দিনে কিভাবে হুট করেই হাজির হয়ে যায়?

-কি হলো নিবেন না? শুনেছি মেয়েদের নাকি হাওয়াই মিঠাই খুব পছন্দ। আশা করি আপনার ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়! (কাব্য)
মৃদু হাসে আশালতা। রম্যের সুরে বলে ওঠে,

-শত মানুষের অপ্রিয় মানুষটার আবার পছন্দ বা ইচ্ছা বলতে কিছু থাকে নাকি! রাত দিন পরিশ্রম করে কোনো মতে সংসার চালানো মানুষটাও কোনো পছন্দ বা ইচ্ছা থাকে নাকি? সব ইচ্ছা আর পছন্দের সমাধি নির্মিত হয়ে যায় টাকার অভাবে,অবহেলার কারণে,শত মানুষের ঘৃ*ণার কারণে, অসহায়ত্বের কারণে।
ঢোক গিলে পুনরায় বলে ওঠে,”ভালোবাসার মানুষের দেয়া দম বন্ধকর য*ন্ত্র*ণার কারণে।“
কাব্যের মুখের হাসি নিমিষে গায়েব হয়ে যায়। গম্ভির কন্ঠে কাব্য আশালতাকে শুধায়,

-আপনি কেন নিজেকে সবার অপ্রিয় বলে দাবি করেন মিস. আশালতা?
-আশালতা যেখানেই পা রাখে সেখানে নাকি ধ্বংস নেমে আসে। সকল কিছুর অনিষ্ট করে দেয়ার মূলে থাকে আশালতা। এই আশালতা নিজেই তা মানে। তবে কেন সে সকলের অপ্রিয় হবেনা বলুন তো? (আশালতা)

প্রশ্নাত্মক দৃষ্টিতে হা করে আশালতার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে কাব্য। তার এমন ভাব জানান দিচ্ছে সে আশালতার কথার আগামাথা কিছুই বোঝে নি।
মুচকি হাসে আশালতা।

-আমার ছোট ভাবির একটা ফুটফুটে মেয়ে হয়েছিল। সেবার আমি এসএসসি দেব। একদিন ভাবি দুপুরের রান্না করার সময় আমাকে আমার ছোট ভাইজিটাকে দেখতে বলে ভাতের মাড় ফালাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। আমি ওকে আমার পাশে বসিয়ে খেলতে দিয়েছিলাম পুতুল দিয়ে। চারদিন পরেই টেস্ট পরীক্ষা থাকায় মিনিট তিনেকের জন্য বইয়ে মুখ গু*জেছিলাম। ফাকে একবার পাশে তাকাতেই দেখি মেয়েটা নেই।

আশপাশে তাকিয়ে কোথাও পেলাম না। ভাবিকে বলতেই ভাবি রান্নাঘর হতে ছুটে বেরিয়ে এলো। ভাবি আর আমি মিলে সারাবাড়ি খুজে না পেয়ে যখন বাড়ির পুকুর পাড়ের দিকে গেলাম তখন বেশ দেরিই হয়ে গিয়েছিল। আমাদের ছোট্ট পরিটা পুকুরের পানিতে নিস্তেজ হয়ে পদ্ম ফুলের কলির মতো ভাসছিল।

বড় ভাবি সারা গ্রামে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলো ছোট ভাইর মেয়ের খু*নি হিসেবে। পুরো গ্রাম আমাকে দ্বায়ী করল পরিটার মৃ*ত্যুর জন্য। অথচ তারপর দিয়ে ছোট ভাবি সব সময় আমাকে বুঝিয়ে এসেছে আমার দোষ নেই। ভাগ্যে ছিল এটা। বাচ্চাটার হায়াতই ছিল এই পর্যন্ত।

চোখের পলকে সব হয়ে শেষ হয়ে গেল। আসলেই আমি সব ন*ষ্টের মূল। আমার জন্যই আজ আমার ভাবি নিঃসন্তান। ভাবি আর মা হতে পারল না। পুরো গ্রামের কাছে আমি হয়ে উঠলাম অ*পয়া,অপ্রিয়। কারো বাচ্চাকে আমার ধারে কাছে আসতে দিতো না। আসলে আমি এসবেরই যোগ্য। সাদের পুরো পরিবার সবসময় বলতো আমার কারণেই তাদের বাড়ির সব সুখ অতলে হারিয়ে গেছে। আসলেই আমি সকলের অপ্রিয় হওয়ার যোগ্য। (আশালতা)

-কোনো মানুষই এসব ইচ্ছাপূর্বক করেনা। আর আপনার মতো এমন একটা মেয়েকে পেয়েও আপনার শশুড়বাড়ির লোকেরা কদর করতে পারেনি। আপনি তাদের সুখ ন*ষ্ট করেননি। তারা আপনাকে অপছন্দ করতো বিধায় নিজেরা মানিয়ে নিতে পারেনি আর নিজেদের সুখ নিজেরাই হারিয়েছে। নিজেকে কেন দোষারোগ করেন?

বাচ্চাটাকে কি আপনি ধা*ক্কা দিয়ে ফেলেছিলেন? নাকি নিজে থেকেই পুকুর পাড়ে যেতে তাকে আদেশ দিয়েছিলেন? বাচ্চাটাকে তো আপনিও কম ভালোবাসতেন না। তার হায়াতই ছিল অতটুকু। তবুও একটু সাবধান থাকতে হবে আমাদের এটা সত্যি। তবে খু*নি তকমা লাগিয়ে দেয়া তো নিছক বো*কামি।

যেখানে সেই স্থানে উপস্থিত বাচ্চার মা নিজেই আপনাকে ফুল সাপোর্ট দিয়েছে সেখানে অন্য মানুষ ঠিক কোন ইনটেনশন নিয়ে ওমনটা বলেছিল আমি সত্যিই অবাক। বাচ্চাটার জন্য সবসময় দোয়া করবেন। আশালতা আপনিও তখন ছোটই ছিলেন তাই আঘা*তটাও চরমভাবেই লেগেছিল বুঝি আমি।

মানুষের সুযোগ বুঝে ঘা মা*রা কথা আর তকমায় নিজেকে দোষী ভাবা বন্ধ করুন। নিজেকে আরও শক্ত করুন মিস আশালতা। আপনার কেন একটু চোখে বাধছে না যে হাজারটা মানুষের কাছে আপনি অপ্রিয় হলেও আমার কাছে আপনি ঠিক কতটা প্রিয় আর গুরুত্বপূর্ণ!
কাব্যের কথার মাঝে বিচ্ছে*দ ঘটায় পাশের এক চায়ের দোকানদার।

-ভাইজান আপনার চা দুইটা রেডি।
কাব্য দ্রুত পায়ে উঠে যায়। আশালতা সেই মুহূর্তে বিরবির করে গেয়ে ওঠে,
-ও, এই জ্বা*লা যে এমন জ্বা*লা
যায়না মুখে বলা
বুঝতে গেলে সোনার অঙ্গ (তোমার)
পু*ড়ে হবে কালা।
চলার গতি থামিয়ে দেয় কাব্য। আশালতার কথার পিঠে বলে ওঠে,

-তোমাকে জানতে হলে,বুঝতে হলে আর পেতে হলে এই কাব্য শতবার নিজের অঙ্গ আর মন পো*ড়াতে রাজি মায়াবতী। কেন তোমাকে এত চাই তার কারণ আমি নিজেও জানিনা। কিন্তু আমি তোমাকে চাই ,প্রচন্ড ভাবে চাই।
আশালতা আবছা আবছাভাবে কাব্যের কথা শুনতে পারে। কিন্তু আশালতা কোনো হেলদোল না দেখিয়ে গম্ভিরভাবে পুনরায় সামনে দৃষ্টি স্থাপন করে।

কিছু কাগজ ফটোকপি করার দরকার পড়ায় সাদ তার অফিস হতে নিজেই বেরিয়ে পড়ে ফটকপি করতে দেয়ার জন্য। রাস্তার ওপারে দোকান হওয়ায় একবার আশেপাশে চোখে বুলিয়ে রাস্তা পার হতে নেয় সাদ। ওমনি ভোঁ করে এসে এক বিরাট ট্রাক এসে সাদকে ছিটকিয়ে ছয় হাত দূরে ফেলে দেয়।

অপ্রিয় আশালতা পর্ব ১২

সারা রাস্তা র*ক্তে মা*খা*মা*খি হয়ে গেছে ততোক্ষণে। রাস্তার এক জায়গায় সাদের ছি*ন্ন হওয়া ডান পা আর এক জায়গায় র*ক্তা*ক্ত সাদ অচেতন হয়ে পড়ে আছে। আশপাশ হতে আস্তে আস্তে সকলে ছুটে আসে সাদের দিকে। ট্রাক আর দাড়ায়না। প্রাণ বাচিয়ে দ্রুত গতিতে অদৃশ্য হয়ে যায়।

অপ্রিয় আশালতা পর্ব ১৪