অর্ধাঙ্গিনী শেষ পর্ব 

অর্ধাঙ্গিনী শেষ পর্ব 
Mousumi Akter

প্রিয় পূর্ণতা,
আমার আদর স্নেহ আর ভালবাসা নিও মা। প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি তোমার কাছে। ক্ষমার অযোগ্য কাজ করেছি তোমার কাছে। বিনা দোষে, বিনা অপরাধে তোমার কাছ থেকে প্রভাতকে আলাদা করেছি আমি। আমার জন্যই জীবন থেকে অনেক গুলো সোনালি সময় নষ্ট হলো তোমার। সারা পৃথিবী যা জানে জানুক শুধু তুমি জেনে রাখো তোমার স্বামী কোনো খু’ নী নয়। সে কাউকে খু’ন করেনি। একজন সৎ,আদর্শবান পুরুষের অর্ধাঙ্গিনী তুমি। ওয়াসেল, ওয়াজেদ, আর ফায়েকের খু’ন আমিই করেছিলাম। আমি চাইলেই অনেক আগেই কলা-কৌশলের সাহায্যে ওয়াসেলকে অন্তত মারতে পারতাম। খাবারে বি’ষ মিশিয়ে হলেও মারতে পারতাম।

কিন্তু আমার প্রভাত তখন আমার পেটে। ওকে জন্ম দিতে আমার দশ মাস সময় লেগে গেলো। আর তখন আমাকে চোখে চোখে রাখা হত। আমার অত শক্তি ছিলোনা। কিছু করতে গেলেও ধরা খেয়ে যেতাম। আমার স্বামী সলেমান এর একমাত্র অংশ ছিলো প্রভাত। আমি সলেমান কে কথা দিয়েছিলাম। আমি তার সন্তানকে যেভাবে হোক মানুষের মত মানুষ করব। আমি তখন ওয়াসেলকে মারতে গেলে মারতে তো পারতামই না বরং নিজে মা’রা যেতাম। তারপর আমার প্রভাতের কি হত? কে ওকে দেখতো।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আমার প্রভাতকে কে জানাতো ওর বাবা কে ছিলো? একবুক যন্ত্রণা নিয়ে আমি ধর্ষিত হয়েছি দিনের পর দিন ওয়াসেলের কাছে। বিছানার চাঁদর খামছে ধরে সহ্য করেছি শারিরীক সম্পর্ক। ওর আর আমার বিয়ে হয়ত কাগজ -কলমের বৈধতা দিয়েছিলো কিন্তু আমার মনের বৈধতা দিতে পারেনি। আমি মনে প্রাণে স্বামী হিসাবে একজনকে মেনেছি, একজনকে ভালবেসেছি৷ সলেমান ছাড়া আমার জীবনে আর কারো অস্তিত্ব ছিলোনা। পুষ্পর জন্ম আমি দিতে চাইনি। ওয়াসেল আরোও একটি সন্তান চেয়েছিলো। এক প্রকার জোর করেই পুষ্পের জন্ম। ভেবেছিলাম ওর জন্ম দিবো কিন্তু ওর মুখ দেখব না।

কিন্তু পেটে আসতেই প্রভাতের মত মায়া কাজ করতে শুরু করল। ওর জন্মের পর ওর মুখ দেখে ভুলে গেলাম ও শুধু ওয়াসেল নয় বরং আমার ও সন্তান। ওই পরিবারটা একদিকে খারাপ নয়। সবদিকে খারাপ। ওরা বাড়ির বউকে পায়ের ধুলো মনে করে। অর্ধাঙ্গী মানে ওদের কাছে পায়ের জু’তা’র নিচে পিষে ফেলা কিছু। ওই একই পরিবারে বড় হয়ে আমার প্রভাত কিন্তু আলাদা হয়েছে। ওরা অর্ধাঙ্গীদের সম্মান দিতে জানেনা, আমার প্রভাত এর কাছে অর্ধাঙ্গি মানে রানি করে রাখার মত। আমার প্রভাত স্বামী হিসাবে যেমন উত্তম, সন্তান হিসাবেও উত্তম। সেদিন রাতে ওর বাবার ছবি নিয়ে আমি কাঁদছিলাম। প্রভাত সে কান্না দেখে ফেলে। ছবিটার দিকে নিষ্পলক তাকিয়ে থেকে জিজ্ঞেস করল, ‘ কে আম্মু?’

আমি ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে এই ভয়ানক সত্য আর লুকাতে পারিনি। জীবনের সেই কালরাতের ঘটনা খুলে বললাম। আমার অমন কঠিন শক্ত ছেলেকে সে রাতে যে ভয়াবহ কাঁন্নায় ভেঙে পড়তে দেখেছি তা আগে দেখিনি। প্রভাত তখন-ই ওয়াসেলের কাছে ছুটে যায়৷ সাথে আমিও যাই। প্রভাত ওয়াসেলের কলার ধরে জিজ্ঞেস করে, কেন আমার আম্মুর জীবনটা নষ্ট করলে ওয়াসেল চৌধুরী? ওয়াসেল সব সময় প্রভাতের প্রতি ভীষণ দূর্বল। ছেলের চোখে চোখ রাখতে পারেনি সে। তখন আমি বলি, ‘ প্রভাত তোমার ছেলে নয়, সলেমান এর ছেলে। আমি দু’মাসের পেটে নিয়েই তোমাকে বিয়ে করেছিলাম।’

ওয়াসেলের অসহায় মুখটা আমাকে ভীষণ আনন্দ দিয়েছিলো। সেই আনন্দ এত বেশী ছিলো যা কল্পনাও কেউ করতে পারবে না। ওয়াসেল বুঝেছিলো সন্তান হারানোর যন্ত্রনা। ওইদিন রাতেই আমি ঘুমের ঘরে ওয়াজেদ কে মা’রি। আর ওয়াসেলকেও মা’রি। ওদের মা’রা’র পর পর ই প্রভাত বুঝে যায় খু’ন টা আমিই করেছি। প্রভাত আমাকে হন্য হয়ে খুঁজতে থাকে। পরে আমি ওকে বলি নদীর ঘাটে এসো। প্রভাত সেখানে গিয়ে দেখে আমি ফায়েক কেও মেরে ফেলেছি জঙ্গলে নিয়ে। ফায়েক আমার পুষ্পকেও মে’রে ফেলত পরে। আমার খোলা চুল, হাতে তলোয়ার এসব দেখে প্রভাতের চোখ দু’টোও কপালে ওঠে। সে আমার হাত থেকে ছুরি নিয়ে বলে,

‘ জন্মের আগে বাবাকে হারিয়েছি, কিন্তু আম্মু তোমাকে আমি হারাতে পারব না। তোমার এই সমস্ত খু’ নে’র দায় আমি নিবো। আমি চাইনা সমাজ তোমাকে খু’নে’র দায়ে কলঙ্কিনী ভাবুন। কেউ খু’নে’র মত কলঙ্ক দিক। আমাক্র জন্ম দিতে গিয়েই তো তোমার এত কষ্ট হয়েছে আম্মু। আমিই দায়ী। তুমি আমার জন্য একজন যোদ্ধা মা। সে যোদ্ধা মায়ের জন্য আজ এতটুকু আমি করতে চাই। ‘

মা হিসাবে আমি কখনোই চাইনি আমার ক’লি’ জার টুকরো সন্তানকে আমার করা অপরাধের শাস্তি দিতে। কিন্তু প্রভাত আমাকে হুমকি দেয়, আমি যদি তার কথা মেনে না নিই, ওই একই ছু’রি দিয়ে নিজেকে শেষ করে দিবে। ছেলেকে আমি বুঝাতে পারিনি। সেদিন পুলিশকে খানিকটা ভুল জবানবন্দি দিয়েছিলো প্রভাত। এই পৃথিবীর কেউ হয়ত জানবে না এই সত্য। তবে প্রভাতের অর্ধাঙ্গী হিসাবে তুমি জেনে রাখো, ‘ তুমি কোনো খু’ নি’র স্ত্রী নও।’ আমি হয়ত এই পৃথিবীতে থাকব না বেশীদিন। চিঠিটা কবে পড়বে তাও জানিনা। ক্ষমা করো আমাকে মা। আমিও তোমার মত এমন হাসি- খুশী ছিলাম।

খুব আদুরে ছিলাম সলেমান এর কাছে। ভীষণ ভালো অর্ধাঙ্গিনী হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা আর পারলাম কই। কিন্তু তুমি যেন তা পারো। আমার ছেলের উত্তম অর্ধাঙ্গিনী হইও তুমি। দিন শেষে একটা মেয়ের সুখের নীড় তার স্বামীর বুক, একটা মেয়ের শক্তি তার স্বামী, স্বামী বড় অমূল্য সম্পদ মা, যে সম্পদ আমৃত্যু তোমাকে আগলে রাখবে। স্বামীই একমাত্র পুরুষ যে কীনা কারণ ছাড়াই তার স্ত্রীকে ভীষণ ভালবাসে, সারাজীবন তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়, সারাজীবন পরিশ্রম করে শুধু স্ত্রী সন্তানের ভরণপোশনের জন্য। আমরা শুধু মেয়েদের ত্যাগের কথা বলি পুরুষদের কথা বলিনা। একটা পুরুষ -এর জীবনে ত্যাগের কোনো শেষ নেই। ওরা পরিশ্রম করে, নিজের টাকায় শাড়ি, চুড়ি, গহনা কিনে স্ত্রীকে দেয়। স্ত্রী সেটা পরলেই ওরা খুশী হয়। এ কি কম ত্যাগ। পুরুষের ভালবাসা ভয়ংকর সুন্দর। সঠিক পুরুষের ভালবাসা পেলে তবেই তা বোঝা যায়। আমার প্রভাতকে ভালো রেখো মা।
———-মেরী

পাঁচ বছর পূর্ণ হতে আর একমাস আছে। মেরী মারা গিয়েছে প্রভাত জেলে যাওয়ার এক বছর পরেই। জমেলাও আর বেঁচে নেই। এই চিঠি পূর্ণতা আজ প্রভাতের আলমারিতে পেয়েছে। প্রভাত আর একমাস পরেই ছাড়া পাবে তাই পূর্ণতা আজ প্রভাতের আলমারি গোছাচ্ছে। প্রভাতের ছিলো ৫ টা আলমারি। বিভিন্ন দরকারি কাগজ, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য একেকটা আলমারি ব্যবহার করত। মেরি তাকে বলেছিলো, ‘ প্রভাতের কোনো একটা আলমারিতে সে একটা জিনিস রাখবে।’ মেরির মৃত্যু, প্রভাতের জেল সব মিলিয়ে পূর্ণতা এতদিন উন্মাদের মত ছিলো। কোনো কিছুই আর দেখা হয়নি। চিঠিটা পড়ে পূর্ণতা বুকের সাথে চেপে ধরে মৃদু হাসল। মেরির মুখটা চোখের সামনে ভেষে উঠতেই বলল, ‘ তোমার মত অর্ধাঙ্গী হওয়া সহজ কথা নয় চাচী। তুমি নারী হিসাবে সেরা।’

তখন-ই ছুটতে ছুটতে প্র‍য়াস এসে পূর্ণতাকে জড়িয়ে ধরে ধরে বলল, ‘ মামি আমি কোলে উঠব।’ পূর্ণতা চিঠিটা ভাজ করে আবার রেখে দিয়ে রাজন আর পুষ্পর ছেলে প্র‍য়াস কে কোলে নিয়ে বলল, ‘ তাই তুমি কোলে উঠবা?’
প্র‍য়াস পূর্ণকে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘ হ্যাঁ। ‘

পূর্ণতা প্রয়াসকে কোলে নিয়ে বাইরে এলো। বাইরে রাজন কৃষ্ণকে খাবার খাওয়াচ্ছে। কৃষ্ণ এখন একজন সম্পূর্ণ পা’গ’ল। এতদিন পা’গ’লা গারদে রেখেও কোনো কাজ হয়নি। কৃষ্ণকে একমাত্র রাজন ছাড়া কেউ কথা শোনাতে পারেনা। আজ পুষ্প আর রাজন ভালো আছে,, প্রভাত ও পূর্ণকে পাবে। শুধু কৃষ্ণ ভালবেসে পা-গ-ল হয়ে গেলো।
রাজন পূর্ণকে বলল, ‘ ভাবি আমরা আরেকবার আপনাদের বাসরঘর সাজাতে চাই।’

পূর্ণ লজ্জা পেয়ে বলল, ‘ এসব আজে-বাজে কথা কেন হচ্ছে? বুড়ো বয়সে এসব কি কথা।’
রাজন মৃদু হেসে বলল, ‘ আপনার বয়স এখনো ত্রিশ হয়নি।’
পূর্ণতা, পুষ্প, রাজন সবাই প্রভাতের করা নতুন বাড়িতে এসেছে এখন। প্রভাত বাড়ির নেম প্লেট করেছিলো পূর্ণতার নামে। ভালবেসে এই ডুপ্লেক্স বাড়িটা করেছিলো। আজ সবাই আছে শুধু প্রভাত নেই। কিন্তু পূর্ণতা বাড়ির নেমপ্লেটটা খুলে মেরির নামে করেছে। এই বাড়িটা আজ মেরির নামে। সে বয়সে আনন্দ -উল্লাস করার কথা সেই বয়সে স্বামী ছাড়া পূর্ণতা ভয়াবহ কষ্টের সময় কাটিয়েছে। প্রভাত একটা বন্দি জীবনে থেকেছে বলে পূর্ণতাও প্রভাতকে দেখতে যাওয়া ছাড়া কখনো ঘর থেকে বের হয়নি। প্রতিদিন কয়েক’শ বার করে দিন গুনেছে। এতটুকু বয়সে পূর্ণতার ধৈর্য্য, অপেক্ষা, যন্ত্রণা কোনটায় একজন উত্তম স্ত্রীর চেয়ে কম কিছু নয়। দেখতে দেখতে আজ ৫ বছর পূর্ণ হলো।

জেলখানার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। প্রভাত বেরিয়ে আসতেই প্রয়াসকে কোলে তুলে নিলো। সবার সাথে কথা বলছে তার অগোচরে বারবার পূর্ণতার দিকে তাকাচ্ছে। প্রভাত যে দুষ্টু ছিলো তার কিছুই পরিবর্তন হয়নি।
রাজন প্রভাতকে বলল,
‘ ভাইয়া আপনাদের জন্য বাসর ঘর সাজিয়েছি নতুন করে।’
প্রভাত পূর্ণ’র দিকে তাকিয়ে বলল,
‘ আমি এখন বেরিয়ে এসছি, আমার বারো মাসই বাসর হবে।’
পুষ্প লজ্জায় অন্যদিকে তাকালো। পূর্ণ বলল, ‘ মানুষের মাঝে কিসব বাজে কথা।’

গাড়িতে করে ওরা বাড়িতে ফিরল। বাড়ির সামনে আসতেই প্রভাতের চোখ দু’টো ছলছল করে ওঠল। বাড়ির সামনে লেখা মেরি ভিলা। প্রভাত ভীষণ কষ্ট মনে চেপে পূর্ণর দিকে তাকালো। পূর্ণ’র প্রতি তার সম্মান ভালবাসা আরোও বেড়ে গেলো। পূর্ণ আর পুষ্প মিলে আজ অনেক রান্না করেছে। ওরা সবাই মিলে আজ একসাথে খাবার খেলো। অনেকদিন পর যেন আবারও খাপছাড়া পরিবারটা গুছিয়ে এলো। বিকাল গড়িয়ে, তখন সন্ধ্যা। পূর্ণতা ঘরে গেলো। প্রভাত ও ঘরে গেলো। প্রভাত গোসল করে সেভ করে সেই আগের ন্যায়, টি-শার্ট আর থ্রি-কোয়ার্টার পরল।রাজন আর পুষ্প দু’জনে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ল।

পূর্ণতা ঘরে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। আজ কতদিন পর তার প্রিয়তম স্বামীকে এত কাছে থেকে দেখছে। প্রভাত পূর্ণতার কাছে গিয়ে পূর্ণতার চোখের পানি মুছে দিয়ে খুব শক্তকরে জড়িয়ে ধরল। দু’জনের চোখই অশ্রুসিক্ত। এ যেন ভালবাসার এক মহা-মিলন। এত ঝ’ড়,এত অশান্তি সব পার করে দু’টো হৃদয় আবার মিলিত হলো। প্রভাত পূর্ণতার কপালে, মাথায় অসংখ্য চুমু খেয়ে বলল,

‘ আমার পূর্ণ, আমার শূন্য হৃদয়টা আজ পূর্ণ হলো। তুমি ছাড়া হৃদয়ে কত হাহাকার জমা হয়েছে সে তুমি জানোনা। তুমি ছাড়া প্রতিটা নির্ঘুম রাত জানে কি ভয়াবহ যন্ত্রণায় কেটেছে আমার। ইচ্ছে হচ্ছে হৃদয়ের অনেক গভীরে তোমার লুকিয়ে রাখি। আর যেন না হারাও।’
পূর্ণতাও প্রভাতকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল,
‘ আপনাকে আমি ভালবাসি, আমার চেয়েও বেশী ভালবাসি। এর বেশী আর কিছু আমি বলতে পারছিনা।’
প্রভাত চোখের পানি মুছে বলল, ‘ আমার ছোট্ট পূর্ণ আজ কত বড় হয়ে গিয়েছো। কত ছোট রেখে গিয়েছিলাম।যাকে ছুঁতে চাইলেই রেগে যেত। সে আজ আমার বুকে কাঁন্নাকাটি করছে। আমার পিপাসিত হৃদয়টা আজ শীতল হলো পূর্ণ।

পূর্ণ শুধু কেঁদেই যাচ্ছে। প্রভাত পূর্ণকে কোলে তুলে নিলো।বিছানায় সুয়ে দিয়ে পাশে প্রভাত ও সুয়ে পড়ল। দু’জনে গল্প করতে করতে প্রভাত আবারও পূর্ণ’র দিকে ঘুরল। পূর্ণকে বুকের সাথে মিশিয়ে ধরে ওর চোখে, মুখে আদর দিতে দিতে বলল, ‘ তোমাকে শত সন্তানের জননী না বানিয়ে আমি আর এ ঘর থেকে বের হচ্ছিনা।’

অর্ধাঙ্গিনী পর্ব ৪৬

পূর্ণ প্রভাতের বুকে মাথা গুজে, খুব শক্তভাবে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘ আমিও চাই আপনি শত সন্তানের বাবা হন।’
প্রেম ভালবাসার নতুন ছন্দে মেতে উঠল দু’জন। আজ ভালবাসার ধরা দিলো ওদের কাছে। ভালবাসার মহা মিলিনে নতুন সুর ফিরে এলো প্রভাত-পূর্ণতার জীবনে। দীর্ঘদিন পর প্রিয় মানুষকে কাছে পাওয়ার আনন্দ বড্ড ভয়াবহ হয়। প্রভাত আজ সব সীমা ছাড়িয়ে গভীর প্রেমে লিপ্ত হলো। পূর্ণতাও হারিয়ে গেলো সেই গভীর ভালবাসায়। প্রকৃতিও যেন গুন গুন গান গাইছে ওদের ভালবাসায়।

সমাপ্ত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here