আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১৪ || Maishara Jahan

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১৪
Maishara Jahan

মারুকে অনেক ধরে নিয়ে যায় সমুদ্রের দিকে, মারুর মুখ বেধে নিয়ে যায়। একটা একটা বোর্ডে করে মারুকে সমুদ্রের কিছুটা গভীরে নিয়ে যায়,মারু ছুটোছুটি করছে কিন্তু কোনো লাব হচ্ছে না, মনে মনে শুধু অয়নকে ডাকছে। সমুদ্রে নিয়ে গিয়ে মারুকে পানিতে ফেলে দেয়।

মারুর মুখ বাঁধা তাই কিছু বলতে পারছে না, হাত পা ছুটোছুটি করছে। এক পর্যায় শরীর নিস্তব্ধ হয়ে যেতে থাকে, দম বন্ধ হয়ে যেতে থাকে, হাত পা আর নড়ছে না। মারু ডুবে যেতে থাকে, ঠিক সে সময় একজন অন্য বোর্ড থেকে লাফ দিয়ে মারুকে ধরে।
লোকটি মারুকে নিয়ে উপরে উঠে কিন্তু বেশি কিছু দেখা যাচ্ছে না। ঠিক ঐ সময় অয়ন আরেকটা বোর্ড নিয়ে এসে আলো জ্বালিয়ে এদিক সেদিকে খুঁজতে থাকে, তখন অয়নের চোখে তাদের দুজনকে পরে।
অয়ন দুজনকে উঠায়। লোকটির অবস্থাও ভালো না। অয়ন মারুকে কোলে নিয়ে নীর নীর করছে। পাশে থাকা লোকটিও জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে আর কাশছে।

অয়ন লোকটির দিকে তাকিয়ে অভাক হয়ে বলে,,,,,, প্রহর তুই। তুই এখানে কিভাবে আসলি।
প্রহর,,,,,,, এই বিষয় নিয়ে পড়ে কথা হবে আগে মারুকে দেখ।
অয়ন মারুকে নিচে শুয়িয়ে ওর পালস চেক করে, মারুর নিশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে। অয়ন বার বার বুকে চাপ দিয়ে সিপিআর দিচ্ছে। একটু পর মারুর শ্বাস চালু হয় কিন্তু জ্ঞান এখনো ফিরে নি। বোর্ডটা তাড়াতাড়ি পাড়ে নিয়ে যেতে চাই কিন্তু পারে না।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

ঐ গুন্ডারা ওদের বোর্ডে উঠে আসে। প্রহর ধরে মারা শুরু করে, অয়ন ও মারুকে এক পাশে রেখে মারা শুরু করে। দুজনে ইচ্ছে মতো মারতে থাকে। সাথে অয়ন এর বডিগার্ডরাও আছে, তারাও মারছে। প্রহর আর অয়ন তাদের সমুদ্রের ফেলে দিয়ে বোর্ড নিয়ে চলে যায়।
পাড়ে এসে বডিগার্ডদের বলে যায় যে তারা যদি বেঁচে পাড়ে ফিরে আসে তাহলে তাদের ধরে আনতে। বলে অয়ন পাশে থাকা হসপিটালে নিয়ে যায়। অয়ন তার পরিচয় দিয়ে ডক্টরদের সাথে চিকিৎসা করতে থাকে।
একটু পর অয়ন বেরিয়ে আসে, প্রহর দৌড়ে আসে। এসে বলে,,, মারু কেমন আছে।
অয়ন একটা সস্থির নিশ্বাস ফেলে বলে,,,,, নীর এখন ঠিক আছে। ও এখন ঘুমের মধ্যে আছে, ডোন্ট ওয়ারি কালকের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।

অয়ন প্রহরকে ভালোভাবে খেয়াল করে বলে,,,, তুই এখনো ভিজা অবস্থায় কেনো আছি, পরে তুই আবার অসুস্থ হয়ে যাবি। চল আমরা রিসোর্ট এ ফিরে যায়, তুি এখানে কি করিস সেটাও তো শুনতে হবে নাকি।
প্রহর নিশ্চুপ হয়ে শুধু হুম বলে। অয়ন মারুকে গাড়িতে বসায়, তারা রিসোর্ট এ ফিরে যায়। প্রহর গাড়ি থেকে বের হয়, সাথে অয়নও বের হয়ে মারুকে কোলে করে ভিতরে যেতে থাকে। প্রহর ও অয়নের পিছনে পিছনে যেতে থাকে। খুব সুন্দর করে সাজানো রিসোর্টটা, চারপাশে ছোট ছোট লাইট আর ফুল দিয়ে সাজানো। অয়ন তাদের বেড রুমে যায় গিয়ে মারুকে শুয়িয়ে দেয়।

প্রহর ও যায় ভিতরে। পুরো রুম ফুল দিয়ে সাজানো, বিছানায় ফ্লোরে লালা পোলাপের পাপড়ি বিছানো। নিচে ফ্লোরপ আবার লাল লাভ সেভ বেলুন রাখা।এগুলো দেখে প্রহর একবর অয়ন আর মারুর দিকে তাকায়,অয়ন অনেক যত্নে মারুর চুল গুলো সরিয়ে দিচ্ছে।
সে চোখ ফিরিয়ে বারান্দায় যায়,বারান্দায় নিচে লাল গোলাপ আর ছোট লাইট দিয়ে সাজানো, আই লাভ ইউ নীর লেখা।
প্রহরের মুখে না কষ্ট, না রাগ, না খুশি দেখা যাচ্ছে, একদম সাধারণ হয়েই দাঁড়িয়ে আছে। এমন কিছু না হলে হয়তো আজ মারু আর অয়নের জন্য এই রাতটা স্পেশাল হতো। অয়ন প্রহরকে ডাক দেয়। প্রহর ভিতরে যায়, গিয়ে বলে,, হুমম বল।

অয়ন ওর শার্ট প্যান্ট বের করে প্রহরকে দিয়ে বলে,,,, তুই অন্য রুমে গিয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে নে, আমি নীরেরটা পাল্টে দিচ্ছি। প্রহর কিছু বলতে গিয়েও বললো না, সে চুপচাপ বেরিয়ে যায় রুম থেকে। অয়ন দরজা বন্ধ করে দেয়। প্রহর কিছু ক্ষন দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে চলে যায়৷
অয়ন মারুর ড্রেস নিয়ে এসে, মারুর পাশে বসে বলে,,,, জানো আজ এই সব কিছু আমি তোমার জন্য করেছি, ভেবেছিলাম আজ আমার মনের কথাটা তোমাকে অন্য ভাবে বলবো, ঠিক কতো বছর ধরে তোমাকে ভালোবাসি সেটা বলবো।
কিন্তু এটা হয়তো উপর আল্লাহ ও চায় না। তাই তো ওনি আমাকে বার বার তোমাকে হাড়ানোর যন্ত্রণা দেয়। ওনাকেই বা কি করে দোষ দিবো, ওনিই তো আবার তোমাকে আমার বুকে ফিরিয়ে দেয়।

অয়ন মারুর ড্রেস চেঞ্জ করে দেয়। মারুর কপালে একটা গভীর চুমু দেয়। দিয়ে বের হয়ে আসে। অন্য রুমে প্রহরকে খুঁজে কিন্তু পায় না। তাই বাহিরে খুঁজতে যায়, গিয়ে দেখে প্রহর বসে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে আছে। অয়ন ও প্রহরের সাথে গিয়ে বসে, প্রহরের কাঁধে হাত রাখে। প্রহর একটু চমকে গিয়ে অয়নের দিকে তাকায়।
অয়ন একটু হেঁসে বলে,,,কিরে চমকে গেলি নাকি।
প্রহর সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,, মনে তো হয়।
,,,, এতো গভীর ভাবে সমুদ্রের দিকে কি দেখছিস।

,,,,,,, বুঝার চেষ্টা করছি সমুদ্রটা এতো অশান্ত তাও এটাকে দেখে সবার মনে প্রশান্তি কেনো নেমে আসে। নাজানি এই অশান্ত সমুদ্রে কতো গভীর রহস্য লুকিয়ে আছে।
,,,,,,,, তুই আর তোর কথা। তোরা লেখকরা সোজা কথা বলতেই পারিস না তাই না।
প্রহর মুশকি হেঁসে বলে,,,,, আমরা বলা থেকে বেশি বুঝাতে বিশ্বাস করি। আর কিছু কথা না জানায় ভালো।
,,,আচ্ছা এখন এটা তো বল তুই এখানে কেনো।
,,,,,, একটা জরুরি মিটিং চলে এসেছিলো এখানে, তাই তাড়াহুড়ো করে আসতে হলো। কাজ শেষে তোদের কথা খুব মনে পড়ছিলো তাই ভাবলাম একবার দেখা করে যায়। তাই তোর লোকেশন বের করে চলে আসি, এসে দেখে কিছু লোক একটা মেয়েকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, ভালো করে দেখায় মারুর মতো লাগলো। আমিও তাদের পিছনে পিছনে বোর্ড নিয়ে যায়। বাকিটা তো জানায় আছে।
,,,,,হুমম,, কালকে তোর সাথে সাথে আমরাও চলে যাবো ভাবছি।

,,,,, কেনো তোরা তো সাত দিন থাকবি বলেছিলি।
,,,,,, হুমম, কিন্তু এখন আমার মন মানছে না, এখানে থাকতে। মনে হচ্ছে আমার অজান্তে কিছু তো হচ্ছে।
অয়ন কিছুটা নিস্তব্ধ হয়ে শান্ত গলায় বলে,,,, এখনো ভালোবাসিস নীরকে তাই না।
প্রহর মুশকি হেঁসে বলে,,,,, জানি না।
অয়ন প্রহরের কাঁধে হাত রেখে বলে,,,, তোর চোখ বলে দিচ্ছে, তোর বলা জানি নার মধ্যে ঠিক কতোটুকু ভালোবাসা লুকিয়ে আছে৷ আমি যতোটুকু তোকে চিনি, তোর কিছু লাগলে সেটা যে কোনো ভাবে নিজের করে নিস। তাহলে এবার কি হলো।
প্রহর মুশকি হেঁসে অয়নের দিকে তাকিয়ে বলে,,,, অনেক বছর আগে যদি মারু তোকে না ভালোবেসে আমাকে ভালোবাসতো তাহলে তুই কি করতি, ছিনিয়ে নিতি।

অয়ন হালকা হেঁসে বলে,,,, তোর কি মনে হয়।
,,,জানি পারতি না, একবার আমার জন্য তুই তোর ভালোবাসা কুরবানী দিতে চাইছিলি।
,,,,,, তুই হতে দিলে কই।
,,,,,,কারন ঐ ভালোবাসাটা তোর থেকে বেশি হতে পারিনি কি করবো বল। সব কিছু ছাড়া থাকতে পারবো কিন্তু তোকে ছাড়া কিভাবে থাকবো বল।
অয়ন দুষ্টু হাসি দিয়ে বলে,,,,,ছিঃ প্রহর তুই আমাকে কোন নজরে দেখিস হুমম,, কি কথা বলছে এসব ছিইই
প্রহর ও হেঁসে দিয়ে বলে,,,,, শালা তুই মেয়ে হলি না কেনো, তাহলেই তো তোকে বিয়ে করে নিতাম।
অয়ন প্রহরের দিকে তাকিয়ে বলে,,,, জানিস কোরিয়ান দেশে ছেলে ছেলে বিয়ে করে।
প্রহর অয়নের দিকে শান্ত ভাবে তাকিয়ে বলে,,,,,এটা এই মূহুর্তে বলার মানেটা কি,,, বিয়ে করবি নাকি তুই আমাকে, না ভাই আমি গে না।

বলে দুজনে হাসতে থাকে, পিছনে তাকিয়ে দেখে একজন লোক খাবার নিয়ে, দাঁড়িয়ে তাদের দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে।
প্রহর আর অয়ন ঠিক হয়ে বসে বলে,,,,, কি হয়েছে।
,,,,, স্যার আপনাদের খাবার।
অয়ন,,,,,, হুমম এখানে রাখো।
লোকটি খাবারের ট্রেটা নিচে তাদের পাশে রেখে তাদের দিকে কেমন অদ্ভুত ভাবে তাকায় প্রহর প্রহর একটা চোখ টিপ দেয়, লেকটি তাড়াতাড়ি করে চলে যায়। লোকটি চলে যাওয়ার পর দুজনে লোকটির অবস্থা দেখে হাসতে থাকে।
অয়ন,,,, অনেক হয়েছে হাসি ঠাট্টা, নে এবার খেয়ে নে।
,,,,, হুমম তুই ও খা।

দুজনে হাসি ঠাট্টা করে খেতে থাকে। প্রহর হাসতে হাসতে বলে,,,, মনে আছে অয়ন আমরা যখন পরীক্ষা শেষ করে আমেরিকা থেকে বাংলা দেশে এসে মামার বাড়িতে ময়মনসিংহ বেড়াতে গিয়েছিলাম।
,, হুমম মনে থাকবে না আবার। সেখানে আমরা বিকেল বেলা রাজ বাড়িতে গুড়তে গিয়েছিলাম। আর সেখানে ভুতের পোশাখ পড়ে নীর সবাইকে ভয় দেখাচ্ছিলো।
,,, তুই কিন্তু ভয় পেয়েছিলি অয়ন।
,,,,, আমি ভয় পায়নি জাস্ট চমকে গেছিলাম।
অতীত,,,,,,,

সবাই মারুর ভয়ে পালাতে থাকে। প্রহর সাহস দেখিয়ে বলে,,, চল তো ভিতরে গিয়ে দেখি সবাই এতো কেনো ভয় পাচ্ছে।
অয়ন একটু নার্ভাস হয়ে বলে,,,, দেখছিস না কেমন আওয়াজ আসছে, আর বাংলোটাও কেমন ভূতুড়ে।
,,,,,, ডোন্ট ছে দেট,,যে তুই এসবে বিশ্বাস করিস।
,,,,,আরে কোরান শরীফে জ্বীনে কথা উল্লেখ করা আছে, সেটা বিশ্বাস না করে থাকি কিভাবে। তবে জ্বীন দেখার আমারো অনেক ইচ্ছে।

,,,,,তাহলে চল একটু দেখে আসি।
দুজনে আগে পিছে করে যেতে থাকে। মারু ওদের দেখে হঠাৎ করেই ওদের সামনে এসে ওওওও করতে থাকে।মারুর গা সাদা চাদর দিয়ে ডাকা, চুল গুলো সামনে থাকার কারনে চেহেরা দেখা যায় না। হঠাৎ করে আসায় অয়ন আর প্রহর দুজনেই ভয়ে সিপ্ত হয়ে যায়। দুজনে চিৎকার দেয়নি দেখে মারু দৌড় দেয়,মনে করে ওরা ভয় পায়নি।
মারুর দৌড় দেখে দুজনের সন্দেহ হয়, দুজনেও মারুর পিছনে দৌড় দেয়। অয়ন দৌড়ে মারুর সামনে যায়, প্রহর সাদা চাদর ধরে টান দেওয়ায়, চাদর খুলে প্রহরের হাতে চলে আসে আর মারু গিয়ে অয়নের বুকে পড়ে।

অয়ন শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে যায়, মারু চোখ তুলে অয়নের দিকে তাকায়। দুজনের চোখে চোখ পড়ে, কাজল কালো দুটি চোখের মায়ায় পড়ে যায়, অয়ন। মারু তাড়াতাড়ি করে সরে যায়, নিজের চুলে একটা ঝাকি দিয়ে প্রহরের হাত থেকে চাদরটা নিয়ে মারু দৌড় দেয়।
চাদর নেওয়ার সময় প্রহরের মনও নিয়ে চলে যায়। মারু দৌড়ে যেতে যেতে আবার পিছনের দিকে ফিরে তাকায়। দুজনেই চুপচাপ তাকিয়ে আছে, মারু চলে যায়।
অয়ন সামনের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,দোস্ত এটা জ্বীন ছিলো নাকি পরী নাকি মানুষ।

প্রহর ও সামনের দিকে তাকিয়ে বলে,,,, পরীর খোলস থাকে না কিন্তু এর তো ছিলো তার মানে এটা মানুষ।
,,,,,, আমারো তাই মনে, মানুষ কিন্তু পেত্নী।
,,,,,, তোর কথার মানে আমি বুঝছি না।
,,,,, আমিও না। আচ্ছা চল, এখান থেকে যায়। রাজবাড়ী আমার দেখা আমার হয়ে গেছে।
,,,,,, হুমম আমারো।
দুজনে গ্রামটা ঘুরে দেখতে থাকে, কিন্তু দুজনের মন দুজনের কাছে নেয়। দুজনে গ্রামের পথ দিয়ে হাঁটছে, তাদের পথ আটকে দাঁড়ায় মারু।
প্রহর খুশি হয়ে বলে,,,, আরে আপনি।
অয়ন একটু বেশিই এক্সসাইটেড হয়ে বলে,,,,,,, পেত্নীর কথা ভাবছিলাম আর পেত্নী এসে হাজির।
মারু রাগে বলে,,,,, কি আমি পেত্নী, ওই মিয়া কোন দিক থেকে আমাকে পেত্নী লাগে, নিজেদের দেখছেন কখনো, বিদেশি বিড়ালের মতো লাগে।

অয়ন,,,,,, কি আমাদের বিড়ালের মতো লাগে।
প্রহর অয়নের কাঁধে হাত দিয়ে বলে,,, আরে বিড়াল তো অনেক কিউট হয়, তার মানে আমরা কিউট।
,,,,ওহহ তাহলে ঠিক আছে।
মারু,,,, কচু ঠিক আছে,, ঐ আপনারা কোথা থেকে এসেছেন আর এখানে কি করেন।।
অয়ন,,,, সেটা আপনাকে বলবো কেনো।
,,, আমাকে বলবেন না তো আর কাকে বলবেন,, আমি জানি আপনারা এখানে আমার নামে বিচার দিতে এসেছেন তাই তো।
প্রহর,,,,, না না, আপনি ভুল

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১৩

অয়ন প্রহরকে থামিয়ে দিয়ে বলে,,, ঠিক আমরা আপনার নামে বিচার দিতে এসেছি। আপনি যেটা করেছেন সেটা মেনে নেওয়া যায় না।
মারু,,, আপনাকে কে বলেছে যে এখানে আমার বাসা।
অয়ন একটা বাসা দেখিয়ে বলে,, ঐটাই তো তাই না।
মারু,,,হুমম,,দেখুন, আমরা ট্রুথ এন্ড ডিয়ার খেলছিলাম, আর ডিয়ারে সবাই আমাকে এটা করতে বলেছিলো, আর তাই করতে হয়েছে। আমার বাবাকে বলবেন না পিল্জ তাহলে প্রচুর বকবে আমাকে।
প্রহর,,,,,ডোন্ট ওয়ারি,,আমরা বলবো না।
অয়ন,,,, কিন্তু একটা শর্তে।

,,,, কি শর্ত।
,,,,,,,কালকে আমাদের এই গ্রামটা ঘুরিয়ে দেখাতে হবে।
,,,,,কিহহহ,,চিনি না জানি না, আপনাদের সাথে আমি কেনো যাবো আজব।
,,,ঠিক আছে তাহলে আমি তোমার বাবার কাছে বিচারটা দিয়ে আসি।
অয়ন যেতে নেয়, মারু তাড়াতাড়ি বলে,,, ঠিক, ঠিক আছে।
,,,, কিন্তু আমি তো আপনাদের চিনা না।
,,,,চিনে যাবে,, আমরা কাল এখানেই অপেক্ষা করবো।
বলে দুজনে চলে যায়, মারু মুখ ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।

বর্তমান,,,,
অয়ন আর প্রহর হাসতে থাকে।
অয়ন,,,,, তুই ও কি সেই দিনি প্রেমে পড়েছিলি নাকি।
প্রহর,,,,,, হুমম সেম টাইম,, পরে কি হয়েছিলো মনে আছে।
অয়ন,,,,, হুমম,,থাকবে না কেনো,ঐ দিনটা আমি কোনো দিন ভুলবো না।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১৫