আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১৫ || Maishara Jahan

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১৫
Maishara Jahan

প্রহর,,,,,, হুমম সেম টাইম,, পরে কি হয়েছিলো মনে আছে।
অয়ন,,,,, হুমম,,থাকবে না কেনো,ঐ দিনটা আমি কোনো দিন ভুলবো না।
প্রহর মৃদু হেঁসে বলে,,,, আমিও ভুলবো না। আচ্ছা যা, গিয়ে ঘুমা,রাত অনেক হয়েছে।
,,,, হুমম তুই ও ঘুমা,, কতোটা যার্নি করে এসেছিস।
,,,,, হুমমম।

প্রহর আর অয়ন উঠে দুজনকে গুড নাইট জানিয়ে চলে যায়। দুজনে গিয়ে শুয়ে পড়ে, চোখে ঘুম না আসলেও পুরোনো স্মৃতি মনে করে মুখে ঠিকি এক ঝলক হাসি আছে।
সকালে আমি চোখ খুলতেই সব মনে পড়ে যায় আর আমি চিৎকার দিয়ে উঠে বসি, আমি এখনো ঐ কল্পনায় আছি, উঠে চোখ বন্ধ করে চিৎকার করতে থাকি।
অয়ন তাড়াতাড়ি উঠে, নীর নীর বলে বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়। আমি চিৎকার করেই যাচ্ছি। অয়ন দুহাত দিয়ে ঝাঁকি দিয়ে জোরে বলে,,, নীররর চোখ খুলে দেখো আমি তোমার সাথেই আছি।

জোরে জোরে ঝাঁকি দেওয়ায় আমি ধরফরিয়ে চোখ খুলি, সামনে অয়নকে বসা দেখে, আমি অয়ন বলে কান্না করে দিয়ে তাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরি। অয়ন ও আমাকে জরিয়ে ধরে শান্ত করার চেষ্টা করে। আমি হিচকি তুলে তুলে কান্না করতে থাকি। অয়ন আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বুলিয়ে বলতে থাকে,,,,, নীর চুপ করো, তোমার কিছু হবে না, আমি আছি তো, ডোন্ট ওয়ায়ি সব ঠিক আছে।
আমি একটু ঠান্ডা হতেই প্রহর তাড়াহুড়ো করে এসে জিজ্ঞেস করতে থাকে,,,,, কি হয়েছে, কি হয়ছে। মারু এমন কান্না করছে কেনো।
আমি অয়নকে ছেড়ে নাক টানতে টানতে বললাম,,,,, প্রহর আপনি এখানে, আমি কি দেশে ফিরে এসেছি।
প্রহর একটু এগিয়ে এসে বলে,,,,, জ্বি না মেম, আমিই এখানে এসেছি, এখন আপনি কেনো কান্না করছেন সেটা বলেন।
আমি কাঁদতে কাঁদতে বললাম,,,,,, আমাকে সমুদ্রে ফেলে দিয়েছে, আমি তো সাঁতার ও পারি না, বাঁচবো কিভাবে৷
অয়ন আমার দুই বাহুতে ধরে বলে,,,, তোমার কিছু হবে না, তুমি ঠিক আছো, আশেপাশে তাকিয়ে দেখো, এটা সমুদ্র না এটা রিসোর্ট এর রুম।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আমি ভালো করে আশেপাশে তাকিয়ে দেখি। দেখে একটু সস্থির নিশ্বাস নেয়। অয়ন আমার চোখের পানি মুছে দিয়ে বলে,, আর কিছু হবে না তোমার,আমরা আছি তোহ,,,
আমি প্রহরের দিকে তাকিয়ে বললাম,,,,,আপনি হঠাৎ করে কিভাবে আসলেন, নাকি আমি অনেক দিন ধরে অজ্ঞান হয়ে ছিলাম, আল্লাহ আমার কিছু মনে নেয়।
প্রহর,,,,,, কুল কুল,,, অয়ন মারুকে সব বল না হলে এই মেয়ে ভাবতে ভাবতেই পাগল হয়ে যাবে।
অয়ন আমাকে সব বলে,, আমি প্রহরের দিকে তাকিয়ে তাকে ধন্যবাদ জানায়৷ প্রহর আমার দিকে উষ্ণ ভাবে তাকিয়ে বলে,,,,, ধন্যবাদ জানানোর কি আছে, আমি কি পর নাকি যে আমাকে তোমার ধন্যবাদ জানানো লাগবে৷ নাকি আমাকে পর ভাবো কোনটা৷
আমি তাড়াহুড়ো করেই বললাম,,,, আরে না, পর কেনো ভাববো। আপনার কারনেই তো আজ আমি এখানে সুস্থ, আল্লাহ যদি আপনাকে না পাঠাতো তাহলে।

প্রহর মুশকি হেঁসে বলে,,,,, আমি না আসলেও অয়ন তোমাকে ঠিক বাঁচিয়ে নিতো। আচ্ছা অনেক হয়েছে কথা এবার ফ্রেশ হয়ে সবাই খেতে চলে এসো।
অয়ন,,,, হুমম,,তুই ও ফ্রেশ হয়ে আয়।
প্রহর চলে যাওয়ার পরেই অয়ন আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে। সাথে সাথে আমিও অয়নের বুকে শক্ত করে জরিয়ে থাকি। অয়ন কষ্টে ভরা কন্ঠে বলে,,,, ভালোবাসি তোমায় অনেক বেশি, জানি না কে আমার থেকে বার বার তোমাকে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে, কি তার কারন হতে পারে। তাকে আমি ছাড়বো না। তার সাহস কি করে হয় এই অয়নের বুক থেকে তার নীরকে কেঁড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
মারু,,,,আসলেও কার এতো সাহস বুঝছি না,, আমি তার কিই বা ক্ষতি করেছি।
অয়ন মুশকি হেঁসে বলে,,, তার মানে মেনে নিয়েছো যে তুমি আমার নীর।
আমি অয়নের বুক থেকে সরে গিয়ে বললাম,,, জ্বী না,, কে বলেছে আমি মেনে নিয়েছি।
,,, তোমার কথায় বুঝা গেলো।

আমি খাটের উপরেই উঠে দাঁড়িয়ে বলি, জ্বি না,, বলে চলে যেতে নেয় আর পরে চাদরে পা বেঝে অয়নের কোলেই পড়ে যায়, অয়ন ও ধরে ফেলে। আমার দিকে মুখ এগিয়ে বলে,,আমার কাছে আসার এতো শখ তাহলে বললেই পারো, এভাবে পরে যাওয়ার নাটক করার কি দরকার ছিলে।
,,,, আমি নাটক করিনি বুঝলেন, সত্যি পরে গেছি, ছাড়েন আমাকে।
,,,,,, তাহলে এতো জায়গা থাকতে আমার কাছেই কেনো এসে পড়লা। সাইডেও তো পড়তে পারতা।
,,,,, আচ্ছা আগের বার যখন পড়তে নিবো তখন জায়গা দেখে পড়বো, ঠিক আছে ছাড়েন আমাকে এবার।
,,,,,হুমমম,,বাট ইচ্ছে তো করছে না।
,,,,, তো কি ইচ্ছে করছে আপনার।

অয়ন হঠাৎ করেই তার মুখটা আমার কাছে এনে বলে,,, কি ইচ্ছে করছে বলবো নাকি করে দেখাবো।
আমিও তার দিকে তাকিয়ে আস্তে করে বলি,,,, মানে।
,,,,মানে হলো,,, বলে অয়ন আমার ঠোঁট জোরার দিকেই এগুচ্ছে।
ওনার গরম নিশ্বাস আমার মুখমন্ডলে পড়ায় আমি মনহোশ হয়ে আমার চোখ বন্ধ করে দিয়। মনে মনে ওনার ঠোঁটে স্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্খা। কিন্তু অনেক ক্ষন ধরে কোনো স্পর্শ না পেয়ে চোখ খুলে তাকিয়ে দেখি অয়ন বেকা হাসি দিয়ে তাকিয়ে আছে।
মনে মনে একটু রাগ হলো, অয়নকে ছাড়িয়ে উঠে দাঁড়ায়৷ অয়ন দুষ্টু হাসি দিয়ে বলে,,,,, কি চুমু দেয়নি বলে আমার বউটা রাগ করেছে নাকি।

আমি একটু মুখ বেকিয়ে বললাম,,,,,, রাগ কেনো করবো অদ্ভুত, আপনি দিলে আমি রাগ করতাম।
,,,, আচ্ছা সিউর।
,,আপনার সিউর আপনার কাছে রাখেন। ,, বলে ওয়াশ রুমে যাচ্ছি। অয়ন উঠে দাঁড়িয়ে বলে,,,, আরে একা একা যেওনা আবার মাথা ঘুরে পড়ে গেলে তখন, চলো এক সাথে গোসল করতে যায়,এতে পানি আর টাইম দুটোই বাচবে।
আমি চুপচাপ জোরে দরজা বন্ধ করে দিয়। অয়ন দাঁড়িয়ে হাসতে থাকে। ওয়াশ রুমে গিয়ে নিজের চেহারা দেখে কান্না করতে ইচ্ছে করছে, কেমন মরা মানুষের মতো দেখা যায়। মানুষ বিয়ের পরে সুন্দর হয়ে যায় আর আমি কালো হচ্ছি।

গোসল করে বের হয়ে দেখে অয়ন নেয়, মনে হয় অন্য ওয়াশ রুমে গেছে, আমি চুল মুছতে মুছতে বারান্দায় যায়, সেখানে গোলাপ ফুল দিয়ে, আই লাভ ইউ নীর লেখা চোখে পড়তেই ঠোঁটে হাসি চলে আসে। নিশ্চয়ই কালকে সারপ্রাইজ দিবে ভেবেছিলো। সেখানে একটা নীল চিরকুটে লিখা,,পিল্জ নীর তুমি আমার আর আমার হয়েই থেকো। অনেক বেশি থেকেও বেশি ভালোবাসি।
চিরকুটটা নিয়ে আমি আমার বেগে রেখে দিয়। আর বিছানায় শুয়ে নিজের অজান্তেই হাসছি,ভালোবাসায় জরিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে। বিছানায় গড়াগড়ি করছি, এমন সময় অয়ন এসে বলে

,এমন ভাবে মোচরা মোচরি করবেন না, মনের ভিতরে তুফান উঠে।
আমি তাড়াতাড়ি উঠে বসি। কেনো জানি না, অয়নকে দেখে আমার লজ্জা লাগছে, ঠোঁট থেকে হাসি যাচ্ছেই না। অয়ন আমার পাশে বসে বলে,,,,, কি হয়েছে, ঠিক আছো তো, এমন ভাবে কেনো দেখছো।
আমি মাথা নাড়িয়ে বললাম,, কিছু না।

অয়ন তার চেহেরা আমার আরেকটু কাছে এনে বললো,, কিছু তো হয়েছে, তাড়াতাড়ি বলো কি।
আমি অয়নের চোখের দিকে তাকিয়ে আছি, নিজেকে আর সামলে রাখতে না পেরে, অয়নের কর্লার ধরে সোজা ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে দেয়। অয়ন বরাবরই চমকে যায়। অয়ন কিছু বুঝে উঠার আগেই ওনাকে ছেড়ে দৌড় দিয়, সোজা রুমের বাহিরে।
অয়ন তাশকি খেয়ে বসে আছে। আমি সোজা প্রহরের সাথে ধাক্কা খেতে খেতে বেঁচে যায়। প্রহর হঠাৎ করেই দাঁড়িয়ে বলে,,, আরে আস্তে আস্তে, এখনি পড়ে যেতে,, এভাবে দৌড় কেনো দিচ্ছো। পিছনে ভুত পড়েছে নাকি।

পিছনে অয়ন ও দৌড়ে আসে, সে প্রহরকে দেখে ব্রেক লাগায়৷ প্রহর একবার আমার দিকে তাকায় একবার অয়নের দিকে। প্রহর একটু অসস্থি বোধ করে জিজ্ঞেস করে,,,,, কি হয়েছে। তোরা এভাবে লাফালাফি করছিস কেনো।
অয়ন,,,,, আরে ভাই আজ তো মেজিক হয়ে গেছে, দাড়া এক মিনিট দেখে নিয় সূর্য আজ কোন দিক থেকে উঠেছে৷
প্রহর,,,,, কেনো আজ এমন কি হয়েছে।
অয়ন আমার দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হাসি দিয়ে প্রহরের দিকে তাকায়, অয়ন কিছু বলার আগেই আমি তাড়াতাড়ি বলি,,, আরে আমার বাহিরে যেতে ইচ্ছে করছিলো, অয়ন যেতে দিচ্ছিলো না, তাই দৌড়ে বাহিরে যেতে চেয়েছিলাম।
প্রহর,,,,,,, ওহহ আচ্ছা,, তাহলে এক কাজ করো নাস্তা করে নাও, তিনজনে এক সাথে বের হবো।

অয়ন,,,,, বাট, আজকে তো আমরা চলে যাবো।
মারু,,,,,,, চলে যাবো মানে, এতো তাড়াতাড়ি কেনো।
অয়ন,,,,, এখানে থাকা বেশি ঠিক হবে না তোমার জন্য।
প্রহর,,,,,,অয়ন ঠিক কথা বলেছে,এখানে থাকা বিপদ জনক তোমার জন্য।
আমি মন খারাপ করে বলি,,,, ওও
অয়ন হেঁসে আমার কাঁধে হাত রেখে বলে,,,, এই জামেলাটা শেষ হোক, আমরা আবার আসবো এখানে, দরকার হলে সবাইকে নিয়ে আসবো, ঠিক আছে।

,,,প্রমিজ।
প্রহর,,,,, আরে অয়ন না নিয়ে আসলেও আমি নিয়ে আসবো, এবার খুশি।
আমি খুশি হয়ে বললাম,,,, হুমম,,তাহলে আমাদের ফ্লাইট কখন।
,,,, ১ টা ২০ এ
,,,,,এ্যা এখনো কিছু গোছানো হয়নি।
অয়ন,,,,আরে হয়ে যাবে,, এখন মাত্র ৭ টা বাঝে, আমি সাহায্য করছি তোমাকে, গোছিয়ে আমরা কিছু ক্ষন ঘুরে ইয়ার পোর্টে চলে যাবো, ওকে।
,,,হুমম,,ঠিক আছে,,আমি তাড়াতাড়ি যায় গোছাতে হবে, তুমিও চলো।
,,,ঠিক আছে।

প্রহর কফি খেতে থাকে, আর আমরা গল্প করতে করতে সব গুছিয়ে ফেলি, পরে নাস্তা করে, বেরিয়ে যায়। দুজনেই থ্রি কোর্টার প্যান্ট আর শার্ট পড়ে, বডি দেখানের জন্য দুটে বোতাম খুলাও রেখেছে আবার। আমি তো লোং টপ পরেছি।
তিনজনে আমরা অনেক মজা করছি, সমুদ্রের কিনারে দৌড়াচ্ছি, সমুদ্রের ভিতরের যাওয়ার সাহস কেনো জানি পাচ্ছি না, মনে ভিতরে একটা ভয় ডুকে গেছে হয়তো।
অয়ন আমার এই ভয় দেখে আমাকে কোলে উঠিয়ে নেয়, হাটু পর্যন্ত পানিতে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দিবো ছেড়ে দিবো করছে। ঢেউ আসছে বড়ো বড়। আমিও না না করছি। পিছন থেকে প্রহর এসে দুজনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পানি খাওয়ার আগেই উঠে পড়ি।
অয়ন,,,,,, শালা,, দাঁড়া তুই।

অয়ন প্রহরকে দৌড়াচ্ছে, দুজন দুজনকে আকড়ে ধরে আছে, কেও কাওকে ফেলতে পারছে না, তখন আমি গিয়ে ধাক্কা দিয় কিন্তু পরে না, দুজন আমার দিকে যেভাবে তাকায়, তখন আমি তাদের আরো জোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দৌড় দিয়৷
দুজনে ধরতে এলে শুধু একটু বালু ঢিলা দিছিলাম, আর সেটা দুজনের প্রায় মুখে লাগে। এটুকুর জন্য দুজন মিলে আমাকে অর্ধেক বালিতে পুতে রেখেছে। কতো কষ্ট করে উঠে আসি।
এভাবেই মজা করে আমরা সাওয়ার নিয়ে এয়ারপোর্টে আসি, বলতে গেলে দৌড়ে আসি, লেইট হয়ে গেছিলো।
আমরা এখন ফ্লাইটে। আর আমি অয়নকে ধরে ঘুম,,ফ্লাইটে উঠলেই আমার ঘুম ধরে।

আলো সায়নকে চেকাপ করতে আসে, চেকাপ করে বলে,,,, হুমম, আপনি আগের থেকে ভালো আছেন, তবে আপনাকে কিছু টেস্ট করাতে হবে।
,,,, কিন্তু কেনো,,আমি তো ঠিকি আছি, তাছাড়া আজ অয়ন ভাইয়া চলে আসছে, ভাইয়া দেখে নিবে।
এই কথা শুনে আলো চিন্তিত হয়ে ভাবে,, (তাহলে এই টেস্ট গুলো তো করানো যাবে না, আমাকে অন্য কিছু ভাবতে হবে) আচ্ছা সায়ন আপনি আমার সাথে ঘুরতে যাবেন।
,,,,, কোন খুশিতে।
,,,,,, আরে এমনি,, আমরা ডেটিং এ যাবো না, শুধু একটু ঘুরতে যাবো, আজ তো পারবেন না কাল যাবো ওকে।
,,,, নো,, দেখেন আমার গার্লফ্রেন্ড আছে ওকে।
এই কথা শুনে আলো কিছুটা মন খারাপ করে,কিন্তু মুখে হাসি নিয়ে বলে,,,, তোহহ কি হয়ছে, আমি কি আপনার সাথে প্রেম করতে যাবো নাকি।

,,,তোমার কথা শুনে তো এমনি লাগে।
,,,, আরে নাহহ,,আমার বন্ধু বানাতে অনেক ভালো লাগে, সো আমরা ফ্রেন্ড তো হতেই পারি। নাকি তোমার গার্লফ্রেন্ড আবার না করবে। এমন নাকি তোমার গার্লফ্রেন্ড।
,,,, আরে না আমার গার্লফ্রেন্ড অনেক ভালো। ওর মতো ভালো কেও হতেই পারে না।
,,,,,ওর মতো ভালো আরেকজন আছে তো।
,,,,,কে।
,,,,,আমি।

বলে দুজনে হেঁসে দেয়। আলো সায়নের বেন্ডেজ করে দিতে দিতে বলে,,, আচ্ছা তোমরা ঠিক কতো ক্ষন কথা বলো।
,,,,, অনেক ক্ষন,, যখনি সময় পায়।
,,,,এতো কি কথা বলো।
সায়ন ব্রু কুঁচকিয়ে আলোর দিকে তাকায়। আলো হেসে বলে,,, আমি কোনো দিন প্রেম করি নাই তো, তাই জানি না, তাই জানতে ইচ্ছে করছে, বলো না।
,,, কি আর কথা হবে, আমি সারা দিন কি কি করছি এই গুলাই, কিন্তু এখন জানি আমার গার্লফ্রেন্ড কেমন হয়ে যাচ্ছে।
,,,,, কেনো।
,,,,বেশি কথায় বলে না, শুধু আমিই বলি, দিয়াও বলে কিন্তু আগের মতো এতো বেশি না।
,,,এমনটা কতো দিন ধরে মনে হচ্ছে।
,,,,কিছু দিন ধরে।
আলে হেঁসে দিয়ে বলে,,,,প্রতি দিন এতো কথা বললে কথা তো শেষ হয়েই যাবে, এক কাজ করবে অনেক ক্ষন পর পর কথা বলবে তাহলেই অনেক কথা বের হবে।
,,,,,হুমম,,বাট কথা না বলে থাকতে পারি না।
,,,, ট্রাই করলেই পারবে।
,,, হুমম চেষ্টা করবো।

দুজনে প্রায় অনেক ক্ষন কথা বলে। তারপর যাওয়ার সময় আলো হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে,,,, তার মানে আমরা ফ্রেন্ড আজ থেকে।
সায়ন কিছু একটা ভেবে, হাত মিলিয়ে বলে,,, ঠিক আছে।
আলো হেঁসে দিয়ে বলে,,,, তাহলে আমরা কালকে ঘুরতে যাবো, ওকে।
সায়ন হেঁসে বলে,,,, ডান।
আলো চলে যায়,সায়ন শুয়ে রেস্ট করতে থাকে। অয়ন মারু প্রহর রাত ৮ টাই এসে নামে। অয়ন মারুকে ঘুম থেকে জাগায়।
তিনজনে গাড়িতে আসতে থাকে, অয়ন বলে,,,, এতো কে ঘুমায়।
আমি হামি নিতে নিতে বলি,,, আমি ঘুমায়।
প্রহর হাসতে থাকে। এতে হাসার কি হলো আমি সেটাই বুঝতে পারছি না।
তিনজনে বাড়িতে ফিরতেই সায়ন দৌড়ে এসে দুজনকে জরিয়ে ধরে।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১৪

প্রহর,,,,, এখন ঠিক আছিস তো।
অয়ন,,,, কেনো ওর কি হয়েছে।
সায়ন,,,, তেমন কিছু না, একটু জ্বর এসেছিলো।
,,,জ্বর মানে এখন কেমন আছিস।
,,,কুল ভাই, এখন ঠিক আছি, ভাবী কেমন আছো, প্রহর ভাইয়া সব কিছু বলেছে আমাকে। ঠিক আছো তো।
মারু,,,,, আমি একদম ঠিক আছি।।
সায়ন,,,ঐ গুন্ডাদের ও পুলিশে দিয়ে দিয়েছো নাকি।
অয়ন,,,, না মেরে ফেলেছি।
সায়ন লাফ দিয়ে হাই ফাইফ দিয়ে বলে,,, একদম ঠিক করেছো।
আমি আর প্রহর অভাক হয়ে বলি,,,,,মেরে ফেলেছো মানে কি।

অয়ন,,, ওরা নাকি আসল কিলারের নাম জানে না, চর তারা নীরকে মেরে ফেলতে চেষ্টা করেছে, কিভাবে ছারি।
প্রহর,,,, তাই বলে মেরে ফেলবি।
অয়ন,,,ওদের বেঁচে থাকার অধিকার নেয়,ওরা এমন অনেক মার্ডার করেছে, বেঁচে থাকলে আরো করতো, তাই মনে হয়না আমি কোনো পাপ করেছি।
সায়ন,,,, ঠিক করেছো ভাইয়া,,, আমার বউকে কেও মারতে এলে তো আমি ওদের নিজ হাতে মারতাম,,ঠিক করেছো।
অয়ন,,,, হুমম,,তুই রেস্ট কর, আমরা ফ্রেশ হয়ে আসি।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১৬