আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ২০ || Maishara Jahan

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ২০
Maishara Jahan

অয়ন ও আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে, আমি ভাবছি এখন কি আমি আমার অতীতের বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করবো, না না এটা সঠিক সময় না জিজ্ঞেস করার।
সকালে সায়নের চিৎকার শুনে আমরা সবাই নিচে দৌড়ে যায়।

গিয়ে দেখি কফির কাপ নিচে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে, আর সায়ন পাগলের মতো কাজের মহিলার উপর চিল্লাচ্ছে। মহিলাটা ভয়ে চুপসে গেছে। অয়ন সায়নকে ঠান্ডা করার চেষ্টা করে বলে,,,, সায়ন কি হয়েছে এতো রাগছিস কেনো।
সায়ন রাগে জোরে বলে,,,,, তো কি করবো, এক কাপ কফির ঠিক করে বানাতে পারে না এরা। তাহলে কিসের জন্য টাকা নেয়।
অয়ন সায়নকে ধমকে বলে,,,,, সায়ন,, কি ভাবে কথা বলছো, এভাবে কেও কথা বলে।
সায়ন রাগে বলে,,,তুমিও আমার উপরে রাগ দেখাচ্ছো, ভালোই দোষ করলো কে আর বকা খাচ্ছে কে। দূরর থাকবো না আমি এখানে।
বলে রাগে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সবাই তার পিছনে পিছনে তাকে ডাকতে ডাকতে যায় কিন্তু সায়ন
গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়।

সবাই সায়ন সায়ন বলে ডাকে কিন্তু সায়ন শুনে না। অয়ন অভাক হয়ে বলে,,,, হঠাৎ সায়নের কি হলো,ও তো এমন না।
প্রহর,,,,, হয়তো কোনো কারনে অনেক রেগে আছে।
আমি বলবো কি বলবো না, চিন্তা করে অবশেষে বলেই দিয়,,,আসলে অয়ন তোমাকে কিছু বলা হয়নি।
অয়ন,,,,,কি।
,,,,,সায়ন বেশ কিছু দিন ধরে এমন করছে,ও বলছে হঠাৎ এমনি নাকি ওর রাগ উঠছে, মাথা ব্যাথা করে, কাল তো মাথা ঘুরেও পড়ে গেছিলো মেভি। আলো এসেছিলো, ও বলেছিলো স্ট্রোং মেডিসিনের কারনে নাকি এমন হয়েছে।
,,,,তুমি এসব আমাকে আজ বলছো।
,,,, সায়ন আমাকে বলতে না করেছিলো।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

,,,,তাই বলে তুমি আমাকে বলবে না। আর এমন কি মেডিসিন দিয়েছে যার কারনে এতো প্রবলেম হবে। চলো তো সায়নের রুমে দেখি।
প্রহর,,,,তোরা যা, আমি বের হচ্ছি স্নেহা অনেক বিপদে আছে মনে হয়, ও কল দিছিলো আমি আসছি, কোনো প্রবলেম হলে বলিস।
অয়ন,,,,হুমম ঠিক আছে, তুই যা।
অয়ন আর আমি সায়নের রুমে যায়।সেখানে গিয়ে অয়নের মেডিসিন খুঁজতে থাকে। সায়নের আলমারিতে একটা ছবির ফ্রেম দেখে, ছবির দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি ছবিটা দেখে বললাম,,সায়নের গার্লফ্রেন্ড দিয়া,,দেখতে সুন্দর না।

,,হুমম,,বলে হঠাৎ আমার দিকে তাকিয়ে বলে, তুমি কিভাবে জানলে এটা সায়নের গার্লফ্রেন্ড, আর ওর নাম দিয়া।
,,,,সায়ন আমাকে বলেছে দিয়ার সম্পর্কে।
,,,,ওহহহ,,এখনো ভুলেনি দিয়াকে তাহলে।
,,,ভুলবে কেনো, সায়ন তো প্রতিদিন দিয়ার সাথে কথা বলে।
এটা শুনে অয়ন কিছু না বুঝার মতো আমার দিকে তাকিয়ে বলে,,,,মানেহহ প্রতিদিন কথা বলে তাও দিয়ার সাথে।
,,,,হুমম আমি অনেক বার দেখেছি দিয়ার সাথে কথা বলতে। যানো সায়ন দিয়াকে গান শুনিয়ে রাগ ভাঙায়।
,,,,,দিয়া এখানে কিভাবে থাকবে,, তুমি দেখেছো ওকে, সায়নের সাথে কথা বলতে।

আমি সায়নের মেডিসিন খুজতে খুজতে বলি,,,আরে আমি কিভাবে দেখবো, সায়ন তো ফোনে কথা বলে দিয়ার সাথে।
অয়ন চিন্তার জগতে হারিয়ে যায়, আমি মেডিসিনের বক্সটা বের করে অয়নের হাতে রাখি। অয়ন বক্সটা খুলে মেডিসিন গুলো চেক করে হয়রান হয়ে বলে,,,,এই সব মেডিসিন কে দিয়ে সায়নকে।
,,,কেনো আলো দিয়েছে।
,,,,কিন্তু কেনো।
,,,,আরে সায়ন আঘাত পেয়েছে তাই।

,,,,,, আঘাতের জন্য এই মেডিসিন,, আমার ভাইকে কি পাগল করতে চাই নাকি, এসব ঔষধ কোনো সুস্থ মানুষ খেলে পাগল হয়ে যাবে, আলোর সাহস কি করে হলো আমার ভাইকে এসব ঔষধ দেওয়ার জন্য। এখনি ফোন করছি আমি আলোকে।
অয়ন অনেক বার কল করার পরেও আলোকে ফোনে না পেয়ে, সায়নকে কল করে কিন্তু সায়ন তার ফোন রুমে রেখে চলে গেছে।অয়ন রাগে আলোর বাসায় ফোন করে যানতে পারে, আলো বাসায় নেয়।
আমি অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করি,,, কি হয়েছে।
অয়ন রাগে বলে,,,,,, কাওকেই ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। আমাকে এখনি যেতে হবে সায়নকে খুঁজার জন্য, এই আলোকে তো আমি পরে দেখে নিবো।
অয়ন ও গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। মাঝখান দিয়ে আমি কিছু না বুঝে বসে আছি।

প্রহর যায় স্নেহার বাড়িতে, বেল বাঝানোর সাথে সাথে দরজা খুলে আমাকে টান দিয়ে ভিতরে নিয়ে যায়। তার মা বাবা মুখে হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি ও হেঁসে তাদের হ্যালো বলি।
স্নেহার মা আমাকে বসতে বলে। আমিও বসি, স্নেহার মা বাবা আমার সামনের সোফাতে বসে, আর স্নেহা তাদের পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। ওর মা বাবা কেমন অদ্ভুত ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
হঠাৎ স্নেহার মা বলে উঠে,,, আমার তো ছেলে অনেক পছন্দ হয়েছে। আমার মেয়ের পছন্দ আছে বলতে হবে। প্রথমে আমি ভেবেছি লেখক যেহেতু কেমন না কেমন হবে, কিন্তু তুমি তো অনেক হেন্সাম।
স্নেহা ,,,,,, একদম কোনো মডেলের মতো দেখা যায় তাই না মা।
মা,,,,,হুমম।

ওদের কথার কিছু আগা মাথা বুঝতে না পেরে আমি কফিতে একটা চুমুক দিতেই স্নেহার মা বলে উঠে,,, তোদের বিয়েতে আমার কোনো আপত্তি নেয়।
এটা শুনে কফিটা আমার গলা দিয়ে আর নামলো না মনে হয়, বেরিয়ে আসলো, আমি কাশতে থাকি, স্নেহা এসে আমার পিঠে হাত বুলাতে থাকে, আমি হাত উঠিয়ে ইশারা করি যে,,হয়েছে আর লাগবে না।
আমি অভাক হয়ে জিজ্ঞেস করি,,,,বিয়ে মানে, কার বিয়ে।
মিসেস্ খান,,,,, তোমাদের বিয়ে, তোমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসো তো বিয়ে তো করবে নাকি।

আমি স্নেহার দিকে তাকায়, স্নেহা একটা ইনোসেন্ট হাসি দিয়ে, আমার কানে কানে বলে,,,পিল্জ আমার জন্য একটু আমার বিএফ এর এক্টিং করুন,না হলে মা বাবা আমার বিয়ে অন্য জায়গায় করিয়ে দিবে, পিল্জ পিল্জ।
মিঃ খান একটু কঠোর কন্ঠে বলে,,,, লেখক হলে কেনো, এতো সব অপশন থাকতে।
আমি ধীর গলায় বললাম,,,,, কারন এটা করতে আমার ভালো লাগে, লেখা শুধু আমার পেশা না, এটা আমার শখ, স্বপ্ন, ভালোলাগা তাই।
ওর বাবা একটু মুখ বেকিয়ে বললো,,,,এতে আর কতো টাকা পাওয়া যায়। একটা বিজনেস করলে আজ কতো টাকার মালিক হতে তুমে যানো।

আমি মুচকি হেঁসে বলি,,,আংকেল সব কিছু টাকা দিয়ে মাপা যায় না, আর টাকা অর্জন করার কথা আসলে বলবো আমি কোনো বিজনেস ম্যান এর থেকে কম রোজগার করি না। আর কে বললো এতে টাকা নেয়।
মিঃখান অহংকার কন্ঠে বললো,,,, এমন বড়ো বাড়ি আছে।
আমি মুচকি হেঁসে চারদিকে তাকিয়ে বলি,, এর থেকে বড় তো আমার ফার্ম হাউজ। আমেরিকায় গেলে আমার বাসায় অবশ্যই আসবেন।
মিঃখান চায়ের কাপটা নিতে নিতে বলে, আই লাইক ইউর এটেটিউড। একদম বাবার মতো হয়েছো। বাট বিয়ে আরো এক বছর পরে করতে চাও কেনো,কোনো সমস্যা।

আমি স্নেহার দিকে তাকায়,, স্নেহা তার বাবাকে বলে,,,, বাবা আমার আমার আর্টস কোর্স শেষ করতে আরো এক বছর আছে তো তাই। ও চাই আমি কোর্সটা শেষ করেই ওকে বিয়ে করি।
মিঃখান,,,,,হুমম।
প্রহর,,,,, আচ্ছা আংকেল আমার একটা জরুরি কাজ আসে তাই যেতে হবে।
মিসেস্ খান ,,,,,,,,,, ওনার কথায় রাগ করো না, ওনি এমনি, আরেকটু বসে যাও।
,,, না আন্টি, আজ আর বসতে পারবো না, আমি অন্য দিন আসবো। আর আংকেলকে তো আমার সরি বলা উচিত একটু বেশি রুডলি কথা বলে ফেলেছি, আসলে আই লাভ মাই পেশন।তাই এটা নিয়ে কেও কথা বললে, বুঝতেই পারছেন৷ সরি আংকেল।
মিঃখান,,,,,ইটস ওকে। আজকাল সরল সোজা থাকলে টিকে থাকা যায় না।
,,,,হুমম,,,তাহলে আজ আমি আসি।
স্নেহা,, আমি প্রহরকে গেইট পর্যন্ত দিয়ে আসি।

প্রহর যায় পিছনে পিছনে স্নেহা ও যায়,প্রহর গাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ায়, স্নেহা প্রহরের দিকে তাকিয়ে ইনোসেন্ট হাসি দিতে থাকে।
প্রহর একটু রাগী ভাবে বলে,,,, কি হচ্ছে এসব, বলবে পিল্জ।
,,,আসলে বাবা মা কিছুতেই রাজি হচ্ছিলো না, তাই আমি বলেছি যে, আমার বয় ফ্রেন্ড আছে। তখন ওরা আমার বয় ফ্রেন্ডের কথা জিজ্ঞেস করছিলো, কিন্তু আমার তো কোনো বয়ফ্রেন্ড নেয় তাই,
,,,,তাই আপনি আমার নাম বলে দিলেন তাই তো।
,,,,হুমম,,এক বছরেরি তো ব্যাপার, তাছাড়া আপনি তো এখানে সারা জীবন থাকবেন না, তখন মা বাবাকে কিছু একটা বলে দিবো। আর আপনি তো বলেছেন বিয়ে ভাঙার জন্য যা খুশি করো, আমি তোমার পাশে আছি।
,,,,,তোমার জন্য আমি আমার কতো ইমপোর্টেন্স কাজ ফেলে এসেছি, বাই চললাম আমি।
,,,,ঠিক আছে, ধন্যবাদ আমাকে সাহায্য করার জন্য।

প্রহর গাড়ি করে চলে যায়। অপর দিকে মারুর কাছে একটা কল যায়৷ কল যেতেই মারু বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে যায়। মারু ফোনের অপর পাশে যে আছে তাকে বলে,,,, আমি এখনি আসছি, ডোন্ট ওয়ারি, কিছু হবে না।
বলে মারু বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ে।
বেশ অনেক ক্ষন ধরে অয়ন সায়নকে খুঁজে কিন্তু পাই না, আলোকে মেডিকেলে খুঁজেও পাই না। তাই বাসায় চলে আসে। বাসায় এসে নীর নীর বলে ডাকছে কেও সারা দিচ্ছে না। অয়ন পুরো বাসা খুঁজে কাওকে পাই না।

বাসার লোকজনকে জিজ্ঞেস করলে বলে মারু নাকি তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেছে। অয়ন মারুর মা বাবাকে ফোন করে কিন্তু তারাও কিছু জানে না। অয়ন রাগে বলে,,,,, সায়নকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না,নীর আমার ফোন ধরছেনা। হচ্ছেটা কি আজকে।
অয়ন প্রহরকে ফোন করে বলে সব কিছু, প্রহর আসছি বলে ফোন রেখে দেয়। বেশ কিছু ক্ষন পরে প্রহর এসে দেখে অয়ন কাদের যেনো ফোনে বলছে নীর আর সায়ন কে খোঁজার কথা।
প্রহর অয়নের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে, মারুকে পাওয়া গেছে।
,,,না এখনো পাওয়া যায়নি। যানি না কোথাই চলে গেছে। সায়নকেও পাওয়া যাচ্ছে না।
,,,,, সায়নের কি হলো।
,,,,,আলো সায়নকে উল্টো পাল্টা মেডেসিন দিয়েছে, না জানি সায়ন এখন কোন অবস্থায় আছে।তুই এতো লেইট করে আসলি কেনো।
,,,,জেম ছিলো। এখন ওদের খুঁজার ব্যবস্থা করতে হবে, আচ্ছা মারুর সাথে যাওয়ার জন্য না কতোগুলো বডিগার্ড রেখেছিলি, তাদের কি হলো।

,,,,তাদের ও পাওয়া যাচ্ছে না।
,,,,ওরা মারুকে কিটনাপ করেনি তো।
,,,,,,, কিন্তু ওরা আমার অনেক বিশ্বাসস্থ লোক ছিলো, টাকার কারনে পাল্টে গেলো। আমার তো এসব কিছু একটা প্লেন লাগছে।
,,,,,মানে।
,,,,মানে,কালকে আমার রুমে ফাইল পাওয়া, সায়নকে পাগলের মেডিসিন দেওয়া, আজকে সায়ন আর নীরের কিটনাপ হওয়া সব কিছু একটা প্লেন ছিলো মনে হচ্ছে। কিন্তু এটা করেছে কে।
,,,,, সায়নকে কিটনাপ করার কি দরকার হতে পারে।
,,,,সায়নের শত্রুও কম নেয়।
,,,আচ্ছা, মারুকে ঐছেলেটা কিটনাপ করেনি তো, কি যেনো নাম, মারুর বেস্ট ফ্রেন্ড হয় যে ঐ ছেলেটা।
,,,,কে রিয়ান।
,,হ্যাঁ

,,,,,,রিয়ানকে আমি ছাড়বো না,, চল রিয়ান কোথায় আছে বের করতে হবে।
অয়ন আর প্রহর রিয়ান এর বাসায় যায়, অয়ন গিয়েই রিয়ানের কর্লার ধরে রাগে বলে,,,, বল কোথায় নীর,,নীরকে কিটনাপ করে কোথায় রেখেছিস বল এখনি, না হলে তোর জান নিয়ে নিবো।

রিয়ান অয়নকে ধাক্কা দিয়ে বলে,,,, কে নীর,, আর তোর সাহস কি করে হলো আমার বাসায় এসে আমাকে হুমকি দেওয়ার৷
অয়ন রিয়ানকে ঘুষি মেরে ফেলে দেয়। প্রহর অয়নকে ধরে, অয়ন রাগে বলে,,,,মারুর কথা বলছি আমি,, বল মারু কোথায়।
রিয়ান উঠে বলে,,,, মারু কিটনাপ হয়ে গেছে মানে, আমি এখনি পুলিশকে ফোন করবো, নিশ্চয়ই এর পিছনে তোর হাত আছে, একে তো তুই মারুকে জোর করে বিয়ে করেছিস,আবার তার খেয়াল ও রাখিসনি। পুলিশে তো আমি তোকে দিবো।
অয়ন মারতে যায় কিন্তু প্রহর ধরে রাখে,, অয়ন রাগে বলে,,,,নাটক করছিস তুই আমার সামনে তাই না, সত্যি কিভাবে বের করতে হয় সেটা আমি দেখাচ্ছি তোকে,,ছাড় প্রহর আমাকে।

প্রহর৷ ,,,, এরকম করলে মারুকে পাওয়া যাবে না, আগে পুরো বাড়িটা খুঁজে দেখি।
অয়ন আর প্রহর পুরো বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুজেঁ দেখে। কিন্তু কাওকে পায় না, সব জায়গায় খুঁজে নিচে আসে। রিয়ান বলে,,,, দেখেছো ভালো করে, আরে কিটনাপ করার হলে তো আমি এই অয়নকে করতাম, আমার আপমানের জবাব দিতাম।
অয়নের রিয়ানের কথার দিকে কোনো খেয়াল নেয়, অয়নের অবস্থা খারাপ, অয়নের চোখে পানি। অয়নের অবস্থা দেখে রিয়ান বলে,,,, এখানে এভাবে বসে থাকলে কিছু পাওয়া যাবে না। চলো গিয়ে আগে মারুকে খুঁজি।
প্রহর,,,,রিয়ান ঠিক বলেছে, চল তাড়াতাড়ি।

অয়ন আর প্রহর যেতে থাকে রিয়ান ও তাদের সাথে সাথে যায়। অয়ন আর প্রহর রিয়ানের দিকে তাকায়,রিয়ান বলে,,,, মারু আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হয় তাই আমিও যাবো তোমাদের সাথে, তিন জন খুঁজলে তাড়াতাড়ি হবে, তাছাড়া আমার তোমাদের ওপর বিশ্বাস নেয়।
অয়ন রাগে তাকায় রিয়ানের দিকে, রিয়ান গাড়িতে বসে বলে,,,চলো চলো লেইট হয়ে যাবে।
প্রহর,,,,, আর দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না, চল।
তিন জনে পুলিশ স্টেশনে যায়,অয়ন সেখানে পুলিশের সাথে রাগারাগি লাগিয়ে দিয়েছে। কারন পুলিশ ২৪ ঘন্টার আগে মিছিং রিপোর্ট লিখবে না। বলে দিয়েছে।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১৯

অয়ন সেখানে চিল্লাচ্ছে, প্রহর চর রিয়ান অয়নকে ধরে পুলিশ স্টেশনের বাহিরে নিয়ে আসে।
অয়ন রাগে বলে,,,, ছাড় আমাকে পুলিশের কাজ আমি ওকে শিখাচ্ছি। ২৪ ঘন্টা বলছে না, অয়ন খান চাইলে ২৪ সেকেন্ডের মধ্যে ওর চাকরি খেয়ে ফেলতে পারি।অয়ন খানকে চিনে না।
প্রহর রাগে বলে,,, সব জায়গায় এসে এমন রাগারাগি করলে মারুকে আর সায়নকে কিভাবে পাবি। একটু শান্ত হয়ে থাকতে পারিস না।
রিয়ান রাগে বলে,,,, আরে ঠিকি আছে। শালারা টাকা ছাড়া কিছু বুঝে না, এদের মুখের উপর টাকা ছুঁড়ে মারলে এরা সব কিছু করতে পারে। শালা ঘুষ খাওয়ার দল।এদের পুলিশের চাকরি দিছে কে আগে এটা আমাকে বলো, শালাদের ভুঁড়ি দেখছেন, চোরের পিছনে ছাড়ো শালারা একা দৌড়ালেও লাস্ট আসবে।

প্রহর,,,,, এখানে একজনকে সামলাতে পারছি না, তুমি পিল্জ শুরু করো না এখন।
অয়ন,,,কতো টাকা লাগবে ওদের, আমি দিচ্ছি চল।
প্রহর,,,,তুই গিয়ে ওদের কলার ধরে কথা বলবি আর ওরা তোর কাজ করবে তাই না।
এমন সময় অয়নের কাছে ফোন আসে যে দুটো লাশ পাওয়া গেছে। তিনজনে যায় গিয়ে দেখে এটা মারুর সাথে থাকা বডিগার্ড। এদের লাশ দেখে সবাই ভয় পেয়ে যায়,মারুর কিছু করলো নাকি এটা ভেবে।
রিয়ান,,,,,, যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে, এখানে বিষয়টা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
অয়নের লোকরা অয়নকে ফোন করে যানায় আলোকে নাকি পাওয়া গেছে, তারা আলোকে বন্ধী করে রেখেছে।এটা শুনে তিনজন সেখানে যায়।

মারুর হাত পা বাঁধা অবস্থায় নিচে পড়ে আছে। একটা পুরোনো বাড়িতে। মুখে টেপ লাগানো। মারু চোখ খুলে, রুমে অন্ধকার জালানা দিয়ে হালকা আলো আসছে। কোন জায়গা এটা কিছুই বুঝতে পারছে না। হাত পা ছাড়ানোর চেষ্টা করছে।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ২১