আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ২২ || Maishara Jahan

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ২২
Maishara Jahan

এটা শুনে অয়ন প্রহর রিয়ান আটকাতে যায় কিন্তু বডিগার্ডদের জন্য পারে না, তাই তারা তিনজন মারামারি লাগিয়ে দেয়। সায়ন এসব দেখে হেঁসে বন্ধুক তার মাথায় ধরে বলে,,,আমি আসছি দিয়া। আর কেও আমাদের আলাদা করতে পারবে না। আসছি আমি তোমার কাছে।
বলে সায়ন বন্ধুক চালাতে নেয় আলো এসে ধরে ফেলে, সায়ন বন্ধুক ধরে রাগে বলে,,,,ছাড়ো আলো, চলে যাও এখান থেকে।
আলোও সায়নের হাত থেকে বন্ধুক নেওয়ার চেষ্টা করতে করতে বলে,,,,,সায়ন পিল্জ বন্ধুকটা ফেলে দাও,পাগলামো করো না।
সায়ন চিৎকার করে বলে,,,,, লিভ মি।

বলে আলোকে ধাক্কা দেয়, আলো নিচে পড়ে যায়, আলোর মাথা চেয়ারের এক কোনায় লেগে ফেটে রক্ত গড়িয়ে পড়তে থাকে।সায়ন আবার তার মাথায় বন্ধুক ধরতে গেলে অয়ন এসে সায়নের হাত থেকে বন্ধুকটা নিয়ে ফেলে দেয়।
সায়ন পাগলের মতো ছটফট করতে থাকে বন্ধুক নেওয়ার জন্য অয়ন সায়নের পিছনের দিক থেকে দুহাত শক্ত করে ধরে। পড়ে প্রহর আর অয়ন মিলে সায়নকে ধরে গাড়িতে বসায়, সায়ন শুধু যাওয়ার জন্য অনেক ছটফট আর চিৎকার করছে। মারু গাড়ি চালায়।
ওরা সোজা হসপিটালে যায়, গিয়ে সায়নকে জোর করে এনে ঘুমানোর ইনজেকশন দেয়। একটু পরেই সায়নের চোখে প্রচুর ঘুম নেমে আসে। সে শান্তা হয়ে যায়। তাকে বেডে শুয়িয়ে দেয়।

তারপর সায়ন শান্ত হয়ে বসে। কি করবে সবাই সেটাই ভাবছে। আমি আলোর দিকে তাকিয়ে বললাম,,,আলো তোমার কপাল অনেকটা কেটে গেছে বেন্ডেজ করে নাও।
অয়ন আলোর দিকে তাকিয়ে বলে,,,, আম সরি আলো, এতো জামেলার মধ্যে আমি খেয়ালি করিনি তোমার কপাল এতোটা কেটে গেছে, দাঁড়াও আমি বেন্ডেজ করে দিচ্ছি।
আলো মুচকি হেঁসে বলে,,,, ইটস ওকে স্যার, আমি নিজেই করছি।
বলে আয়নায় দেখে নিজের কপালের বেন্ডেজ নিজেই করে নেয় আলো। অয়ন আলোর সামনে এসে বলে,,,, সরি আলো, তুমি আমার ভাইয়ের সাহায্য করতে গেছিলে আর আমি তোমাকে ভুল বুঝে মিস বিহেভ করেছি।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আলো,,,,পিল্জ স্যার আমাকে সরি বলবেন না, দোষ আমারো ছিলো, আগেই যদি আমি সব বলে দিতাম তাহলে এতো কিছু হতোই না।
প্রহর,,,, এতো কিছু হতোই না যদি তুই সায়নকে সব সত্যিটা বলে দিতি।
অয়ন,,,,,, সত্যিটা বললে হয়তো এতো দিনে আরো বড় কিছু হয়ে যেতো।
রিয়ান সামনে এসে বলে,,,দূররর এতো কিছু একদিনে হজম হচ্ছে না, আরো বাকি আছে নাকি।
আমি দাঁড়িয়ে অভাক হয়ে বললাম,,,,তুই এখানে কি করিস।
রিয়ান আমার দিকে মুখ বাকিয়ে বললো,,,, তোরে বাঁচাতে এসেছি আর তুই এতো ক্ষনে আমাকে খেয়াল করলি।
আমি ইনোসেন্ট একটা হাসি দিয়ে বললাম,,,,, সরি খেয়াল করি নি।
রিয়ান,,,,,,তা করবি কেনো, এখন তো আমাকে ভুলেই গেছিস।

,,,আরে দূররর তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড তোকে ভুলবো কিভাবে। সবাই একদিকে তুই আরেক দিকে।
রিয়ান আমার নাক টেনে বলে,,,,তুই তো আগের মতোই আছিস,সুইট।
আমিও একটু হেঁসে আমার পাশে তাকিয়ে দেখি অয়ন আর প্রহর আমার দিকে কেমন করে যেনো তাকিয়ে আছে। আমিও আমার মুখ থেকে হাসিটা গায়েব করে ওদের দিকে ইনোসেন্ট একটা ফেইস করে তাকায়।
রিয়ান ওদের দিকে না তাকিয়ে আমাকে বলছে,, তুই ঠিক আছিস তো, তোর কোনো জায়গা লাগেনি তো।
আমি বিনয়ে সাথে বললাম,,,,,, না আমি ঠিক আছে,,, তুই ঠিক আছিস তো।
রিয়ান মুখটা একটু মলিন করে পিঠের দিকে ধরে বলে,,,, নারে, কোন শালায় পিছন থেকে ঘুষি দিছে, তোহ একটু ব্যাথা পেয়েছি।
আমি চিন্তিত হয়ে বললাম,,,,কই দেখি।

অয়ন আমার সামনে এসে আমার হাত ধরে টেনে অন্য সাইডে নিয়ে গিয়ে আমি কোথাও ব্যাথা পেয়েছি নাকি ভালো করে দেখতে থাকে।
আমি দুহাত দিয়ে অয়নের গালে ধরে আমার সামনে রেখে বলি,, আমার কিছু হয়নি আমি একদম ঠিক আছি।
অয়ন আমার পেটে হাত দিয়ে চিন্তিত হয়ে বলে,,,,, আমাদের বেবি ঠিক আছে তোহ।
,,,,,একদম ঠিক আছে,আমাদের বেবি তার বাবার মতো স্ট্রোং
অয়ন ব্রু কুঁচকিয়ে বলে,,,,,, তুমি মা হতে যাচ্ছো, এতো বড় সুখির সংবাদটা আমাকে বলোনি কেনো।
,,,,আরে কালকেই আমি যেনেছি, আর কাল এমন সিচুয়েশন ছিলো যে বলতে পারিনি।
,,,,,আজ আমাদের বেবির কারনে তুমিও বেঁচে গেছো আর আমার ভাইটাও।

আলো অয়নকে ডাক দেয়, অয়ন সেখানে যায়। আলো অয়নকে বলছে সায়নকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনতে কি কি করা লাগবে। প্রহর আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে আমাকে কংগ্রাচুলেশনস জানায়।
রিয়ান মাঝখানে এসে বলে,,,, ভাই তুমি মারুকে কংগ্রাচুলেশনস কেনো বলছো।
প্রহর বিরক্তি নিয়ে বলে,,,কারন মারু প্রেগন্যান্ট ইউ ইডিয়ট।
রিয়ান বড় করে একটা হাসি দিয়ে আমার সাথে হেন সেখ করে বলে,,,, কংগ্রাচুলেশনস,, কংগ্রাচুলেশনস, আম সো হেপি ফর ইউ।
রিয়ান হেন সেখ করেই যাচ্ছে, প্রহর হাতটা ছুটিয়ে বলে,,, হয়েছে, মারু বুঝে গেছে।
আবার প্রহর রিয়ানের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,তুমি এতো খুশি কেনো হচ্ছো।

রিয়ান হাসতে হাসতে বলে,,,,, কেনো হবো না, আমার বেস্ট ফ্রেন্ড মা হতে যাচ্ছে। কিছু দিন পরে তার একটা ছোট টুনটুনি হবে।
আমি ওর কথা থামিয়ে দিয়ে বলি,,,,, টুনটুনি কেনো টুনটুন ও তো হতে পারে।
প্রহর আর রিয়ান আমার দিকে তাকিয়ে বলে,,,টুনটুন।
,,,,ইয়ে মানে ছেলে,, ছেলেও তো হতে পারে।
প্রহর,,,,হুমম হতেই পারে কিন্তু তোমার মেয়ে হবে।
,,,,,কিভাবে বুঝলেন যে আমার মেয়েই হবে, ছেলেও তো হতে পারে।
প্রহর,,,,বুঝা যায়, বুঝা যায়,আর আমাদের সবার মেয়ে লাগবে।
,,,,কিন্তু আমার ছেলে লাগবে।

অয়ন এসে বলে কি হয়েছে। আমি অয়নকে বলি,, দেখো না ওরা সবাই মেয়ে মেয়ে করছে আরে ছেলেও তো হতে পারে।
অয়ন,,,,আরে দূরর এটা নিয়ে কেও ঝগড়া করে, ছোট বাচ্চা নাকি তোরা। আচ্ছা যাই হোক আমার মেয়েই হবে চিন্তা করিস না।
মারু,,,,এ্যাঁ মানে কি।
অয়ন,,,,মানে আমার মেয়ে লাগবে, ফাইনাল এটা নিয়ে কেও আর কোনো কথা বলবে না।
মারু,,,,এক্সকিউজ মি,, ছেলে হবে না মেয়ে হবে সেটা আল্লাহ ডিসাইড করবে, আপনারা না,,।
অয়ন,,,হুমম তো আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবো।
আলো,,,,, আরে ফাস্ট বেবি, যাই হোক না কেনো খুশি থাকো, আল্লাহ যেনো ভালোভাবে বেবিটাকে পৃথিবীতে আনে।
মারু,,,,,হুমম।

অয়ন,,,, তুমি সকাল থেকে কিছু খাওনি,প্রহর তুই মারুকে নিয়ে যা বাসায়, আমি কিছু ক্ষন পরে আসবো।
প্রহর,,,, হুমম ঠিক আছে।
আমি প্রহর বাসায় চলে আসি, আর রিয়ান তার বাসায় চলে যায়। আমি সিরি দিয়ে উঠছি প্রহর আমার পিছনে ধরার মতো করে সাবধানে সাবধানে করে করে যাচ্ছে। আমি দাঁড়িয়ে প্রহরের দিকে তাকিয়ে বলি,,,,, আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না সিরি বেয়ে উঠতে, আমার এখনো ছয় সাত মাস হয়নি সো আমার কোনো প্রবলেম হবে না প্রহর।
প্রহর মুচকি হেঁসে বললো,,,, অনেক দিন পর তোমার মুখে আমার নামটা শুনে ভালো লাগলো।
আমি আর কিছু না বলে সিরি দিয়ে উপড়ে উঠে যায়।আমি আমার রুমের সামনে দাঁড়িয়ে আবার পিছনে ফিরে প্রহরকে বলি,,,,, আচ্ছা একটা কথা বলার ছিলো।
,,,হুমম বলো কি বলবে।

আমি একটু দ্বিধা বোধ করে বলি,,,,, এটা তো আমি যেনে গেছি যে, আমার অতীতে অয়ন আর প্রহর নামে দুইজন ছিলো। কিন্তু আরেকটা কথা জানার ইচ্ছে আছে, যদিও একথার এখন কোনো গুরুত্ব নেয়, তাও আমার জানতে ইচ্ছে করছে।
,,,,কি কথা।
আমি একটু থমকে গিয়ে বললাম,,,,, আমি এটা জিজ্ঞেস করবো না যে আপনি আমাকে ভালোবাসতেন কিনা, আমি এটা জানতে চায় আমি কাকে ভালোবাসতাম।
প্রহর মুচকি হেঁসে বলে,,,,, কি মনে হয়।

,,, আমার কি মনে হয় সে বড় কথা না, আমি সত্যিটা জানতে চায়, আমি কি আপনাকে ভালোবাতাম।
এবার প্রহর একটু শব্দ করে হেঁসে বলে,,, যদি তুমি আমাকে ভালোবাসতে তাহলে অয়নের জায়গায় আজ আমি থাকতাম।
আমি নিশ্চিন্ত হয় বললাম,,, আমার আর কিছু জানার নেয়, ধন্যবাদ প্রহর।
বলে আমি আমার রুমে চলে যায়, প্রহর দীর্ঘ একটা নিঃস্বাস ফেলে তার রুমে চলে যায়। আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে আসি, এসে দেখি মা আমার জন্য কতো কিছু করে রেখেছে।আমাকে বসিয়ে খেতে বলছে।
আমি একটু নরম গলায় বললাম,,,, মা আগে অয়ন আসুক তারপর সবাই মিলে খায়।
প্রহর হালকা রেগে বলে,,,কোনো বাহানা চলবে না, এখনি খাও অয়ন আসলে পরে না হয় আবার খেয়ো। সকাল থেকে কিছু খাওনি সো এখন তাড়াতাড়ি খাও, আমাদের পরীটা না খেয়ে আছে।

৷,,,,,, হেহহহ মানে কি।
,,,,মানে কিছু না,,, আপনি চুপচাপ খেতে বসেন।
আমি খেতে বসি,খাওয়ার কিছু ক্ষন পরেই দেয় এক দৌড়, আমার দৌড় দেখে সবাই আমার পিছনে পিছনে দৌড়ে আসে, আমি ওয়াশ রুমে গিয়ে সোজা বমি করতে থাকি। প্রহর বাহিরে থেকে কি হয়েছে কি হয়েছে বলতে থাকে।
আমি বমি করে বের হতেই প্রহর একদমে বলতে থাকে,,,কি হয়েছে, বেশি খারাপ লাগছে, চলো হসপিটালে যায়।
আমি প্রহরকে থামিয়ে দিয়ে বলি,,,,, আরে কিছু হয়নি,, এই সময় এমন একটু হয়,, এই জন্য ডক্টর এর কাছে যাওয়া লাগে নাকি।
প্রহর আমার দিকে রাগী একটা লুক দিয়ে বলে,,,তুমি কি আর কখনো মা হয়েছে।

,,,,না
,,,,,তাহলে তুমি জানলে কি করে যে এটা স্বাভাবিক, চলো এক্ষুনি চলো।
প্রহর আমাকে নিয়ে যেতে লাগে তখনি অয়ন এসে পড়ে, অয়ন আমাদের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,কি হয়েছে।
প্রহর অয়নকে এমন ভাবে সব কিছু বলে যেনো আমার কি না কি হয়ে গেছে।
অয়ন আমার পার্লস চেক করে বলে,,,, আরে সমস্যা নেয়, এই সময় এমন হয়।
প্রহর,,,,,, তুই কেমনে যানোস হুমম।
অয়ন প্রহরের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,আরে আমি একটা ডক্টর ভাই।
প্রহর,,,, সো হোয়াট তুই তো আর গাইনি ডক্টর না, তুই তো হার্ট সার্জানার, আর এখানে কারো হার্টের প্রবলেম নেয়।
অয়ন,,,,,আরে তো কি হয়েছে, ডক্টর তো আমি নাকি।

মারু,,,,,আরে প্রহর, এই সময় এমন একটু হয় গো, এটা টেনশনের কোনো কারন নেয়।
অয়ন,,,,,একটু আরাম করলেই ঠিক হয়ে যাবে।
প্রহর,,,,,, মারু যা খেলো সবি তো বমি করে ফেলে দিলো, এখন আবার খাও।
একথা শুনে আমি তাড়াতাড়ি হেঁটে চলে যায় আমার রুমে। প্রহর আর অয়ন অভাক হয়ে আমার যাওয়া দেখছে। প্রহর উপরে তাকিয়ে বলে,,,,এখন কি মারু এখান থেকে পালালো।
অয়ন,,,,,মনে তো তাই হলো। আচ্ছা আমি যাচ্ছি উপরে আমি সুযোগে ওরে খায়িয়ে দিবো, ঠিক আছে।
,,,,হুমম।
অয়ন উপরে যেতে নেয়, তখনি অয়নের বাবা এসে, বলতে থাকে,, অয়ন অয়ন আমার ছেলের কি হয়েছে, কি শুনছি এসব, সায়ন এখন কোথায়।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ২১

এটা শুনে অয়ন দাঁড়িয়ে যায়, রাগে ওর ঘাড়ের একটা রগ বেড়িয়ে যায়।অয়নের মা চিন্তিত হয়ে বলে,,,কি হয়েছে আমার ছেলের, অয়ন কি হয়েছে ওর।
অয়ন রাগে চিৎকার করে বলে,,,, পাগল হয়ে গেছে তোমার ছেলে মা, সে এখন নিজের জান নিতে চায়।
বাবা,,,,মানে কিন্তু কেনো।

অয়ন,,,,জানেন না কেনো হুমম,, আপনি যে অনেক বছর আগে যে কর্ম করেছেন সেটার শাস্তি এখনো ভোগ করছে আমার ভাই। ঐ একটা কারনে সায়নের মেন্টাল কন্ডিশন অনেক খারাপ হয়ে গেছে। ওর নজরে দিয়া এখনো বেঁচে আছে,কথা বলে ওর সাথে। আর তার মৃত্যুর জন্য সে আমাকে ঘৃণা করে, তাই আমার জীবন থেকে নীরকে সরিয়ে দিতে চায়। এখন সেটা না পেরে নিজের জীবন নিয়ে নিতে চায়। এখন বলো কি করবো। আপনিই বা কি করবেন।গিয়ে ওর অবস্থাটা একবার দেখে আসেন। এর থেকে বেশি কিছু বলার নেয় আমার।
অয়নের বাবা চুপচাপ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে,তার মা কান্না করছে, প্রহর তার মাকে গিয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছে। অয়ন রাগে উপরে উঠে আসে, এসে দেখে আমি দাঁড়িয়ে সব দেখছি, অয়ন আমার দিকে তাকিয়ে আবার ভিতরে চলে যায়।আমিও অয়নের সাথে ভিতরে যায়।অয়ন সোজা ওয়াশ রুমে ঢুকে যায়।

আলো সায়নের মাথার কাছে বসে সায়নের দিকে তাকিয়ে আছে। ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। কিছু একটা বলতে যাচ্ছে কিন্তু সায়নের ঘুমন্ত অবস্থায় ও বলতে পারছে না।
হঠাৎ করেই সায়ন আস্তে আস্তে তার চোখ খুলে, আলো কিছুটা ভয়ে তাকিয়ে আছে। সায়ন হঠাৎ করেই উঠে বসে, আলো কিছুটা চমকে যায়।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ২৩