আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ২ || Maishara Jahan

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ২
Maishara Jahan

এই কথা শুনার সাথে সাথে মনে হলো ওনার মুখের হাসি গায়েব হয়ে গেছে। আমার দিকে এক অদ্ভুত মলিন মুখ করে তাকিয়ে আছে। একটা কষ্টের ছাপ দেখা যাচ্ছে, যেটাকে ওনি হাসির মাধ্যমে লুকানোর চেষ্টা করতে থাকে।
তখনি অয়ন এসে ঐ লোকটিকে জরিয়ে ধরে বলতে থাকে,,,,,, প্রহর ভাই তুই এসেছিস, তোর অপেক্ষাতেই ছিলাম।
প্রহর মারুর দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,,, অয়ন আমি কিছু বুঝতে পারছি না মারু এখানে।
অয়ন প্রহরের হাত ধরে উপরে নিয়ে যায়, প্রহর যেতে যেতে মারুর দিকে তাকিয়ে আছে। মারুও তাদের যাওয়া দেখছে। মিসেস রোদেলা মারুর কাঁধে হাত রেখে বলে,,,, ও প্রহর, অয়নের কলিজার বন্ধু, দুজন দুজনকে ছাড়া বেশি দিন থাকতে পারে না। ছোট থেকে এক সাথেই বড়ো হয়েছে।

অয়ন প্রহরকে উপরের রুমে নিয়ে যায়। প্রহর অয়নের সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করে,,,,,, মারু বেঁচে আছে, তাহলে এতো দিন তোর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেনি নি কেনো। আর হঠাৎ করেই তোদের বিয়ে আমি কিছু বুঝতে পারছি না।
অয়ন প্রহরকে শান্ত করার চেষ্টা করে বলে,,,,,, শুনতে হাস্যকর লাগলেও নীর আমাকে এখন আর ভালোবাসে না।
প্রহর,,,,,,,, মারু এমন মেয়ে না, আর তাছাড়া তোকে ভালো না বাসলে এতো দিন তোর সাথে কি টাইম পাস করছে নাকি।
অয়ন,,,,,,,,, এটা আর যাই হোক টাইম পাস ছিলো না।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

প্রহর রাগে ছটফটিয়ে বলে,,,,,, আজ সব কিছুর জবাব দিতে হবে মারুকে, এই দুবছর মরার নাটক করেছে। ওর এই নাটকের কারনে কতো কি হয়েছে তার সব জবাব দিতে হবে ওকে।
অয়ন প্রহরকে থামিয়ে বলে,,,,,,নীরকে জিজ্ঞেস করে কোনো লাভ নেয়, এর কোনো উত্তর নেয় নীরের কাছে।
প্রহর,,,,,,, উওর নেয় মানে।
অয়ন একটা লম্বা নিশ্বাস ফেলে বলে জালানার সামনে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে ,,,,, প্রহর আমাকে ভুলে গেছে, ওর স্মৃতিতে আমি নেয়। নীর তার আগুনকে ভুলে গেছে।

অয়নের চোখের কোনে পানি জমে চিকচিক করছে, প্রহর অয়নের কাঁধে হাত দিয়ে বলে,,,,,, তোর কথার মানে কি।
অয়ন,,,,,,,দুবছর পর আমেরিকার থেকে ফিরে এয়ারপোর্ট থেকে বের হতেই নীরের বাবাকে দেখতে পাই। যদিও ওনি আমাকে চিনেন না। তাও অনেক ইচ্ছে হলো ওনার সাথে কথা বলার। তাই ওনার পিছু নেয়। পরে জানতে পারি আমার জান পাখির বিয়ে, ও বেঁচে আছে। দুবছর আগে হওয়া এক্সিডেন্টে ও মরেনি, মাথায় আঘাত পাওয়ার কারনে ওর মাথা থেকে মুছে যায় অনেক বছেরের স্মৃতি আর সেই স্মৃতিতে থাকা আমি। তাই তার বাবা মা নীরকে নিয়ে ঢাকা চলে আসে।

প্রহর,,,,,,তাহলে তুই মারুকে জোর করে বিয়ে করেছিস।
অয়ন রাগে বলে,,,,,, আমার আর কিছুই করার ছিলো না, এতো বছর পরে নীরকে পেয়ে আবার হাড়াতে পারবো না। আর সবচেয়ে বেশি কষ্ট আমার এ কারনে হচ্ছে যে, যে মনে আমি থাকতাম সেখানে এখন কোনো রিয়ান এর নাম। আমার স্মৃতি মাথা থেকে মুছে গেছে কিন্তু ওর মন থেকে তো আর যায়নি।
প্রহর,,,,,,,,,, এতে মারুর কোনো দোষ নেয়।

অয়ন,,,,,,,, হুম,,, আমার মনে হয় কেও তো একজন আছে যে আমার থেকে নীরকে কেড়ে নিতে চাই।
প্রহর একটু হতভম্ব হয়ে বলে,,,,,,, মানে,, কে।
অয়ন,,,,,,, সেটা তো জানি না,, তবে নীর যখন মরে নি তাহলে ওর মরার খবর আমার কাছে কিভাবে আসলো, ওর মা বাবা তো আমাকে চিনে না,, আর ওর গ্রামে ওর নামে ঐ কবরটা কার ছিলো যেটা আমরা দেখেছি, কেও তো একজন এসব করাচ্ছে, তাকেই বের করতে হবে।

প্রহর,,,,,,,, এমন কিছু হয়ে থাকলে বের তো করতে হবে।
অয়ন,,,,,,,, আচ্ছা তুই ফ্রেশ হয়ে আয়, অনেকটা জার্নি করে এসেছিস।
প্রহর,,,,,হুমম।
মিসেস রোদেলা রান্না ঘরে প্রহরের জন্য নাস্তা রেডি করছে, তার পাশেই নীর দাঁড়িয়ে আছে, মিসেস রোদেলার দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে। মিসেস রোদেলা দেখে মারুকে বলে,,,,,, কিছু বলবে।
মারু,,,,,, আচ্ছা আন্টি আপনার ছেলে একটা মেয়েকে জোর করে বিয়ে করেছে আর আপনারা তার সমর্থন করছেন, আমার এমন ছেলে থাকলে তো পিটিয়ে লাল করে দিতাম। আপনারা কেও কিছু বলেন না কেনো।
মিসেস রোদেলা তার কাজ থামিয়ে বললেন,,,,,, জীবনে এমন অনেক কিছু না চাইলেও মেনে নিতে হয়। আর তুমি এতো সহজে সব মেনে নিলে যে।

মারু কপাল কুঁচকিয়ে বলে,,,, আমি সহজে মেনে নিয়েছি মানে, কতো চিৎকার চেঁচা মিচি করলাম কালকে।
মিসেস রোদেলা মুশকি হেঁসে দিয়ে বলেন,,,,,, আমি হলে আরো অনেক কিছু করতাম। আচ্ছা এসব কথা পড়ে বলা যাবে, তুমি রুমি গিয়ে রেস্ট করো, অয়ন তোমাকে কিচেনে দেখলে রাগারাগি করবে।
আমি বেশি কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ রুমে চলে যায় আর ভাবতে থাকি,,,,,,আসলেই অনেক সহজে মেনে নিলাম কিন্তু কেনো,,, আর একটা সত্যি কথা না মানলেই নয়,, ওনি জোর করে আমাকে বিয়ে করেছে তাও আমার এতোটাও খারাপ লাগেনি না জানি কেনো। রাগ করার চেষ্টা করেও পারছি না।

এই মুহূর্তে অয়ন আসে এসে দেখে নীর গভীর ভাবনায় মগ্ন। অয়ন একটু জোরে জিজ্ঞেস করে,, আমার কথা ভাবছো নাকি।
আর আমিও অনমনে বলে দিয়,, হুমম। একটু পরে হুশ আসলে সাথে সাথে বলি,,, আপনার কথা কেনো ভাববো। আচ্ছা একটা কথা বলেন তো,, আমাকে আপনি কেনো বিয়ে করেছেন।
অয়ন হেঁসে বলে,,,,বিয়ে করতে ইচ্ছে করেছে তাই।
মারু রাগী ভাবে বলে,,,,,,, তাহলে অন্য কাওকে করে নিতেন। মানে এমন কে করে, বিয়ের দিন জোর করে বিয়ে করে নিয়েছেন।
অয়ন,,,,,, কি বলছো কিছুই তো বুঝছি না।

মারু,,,,, কি উল্টো পাল্টা বলছি আমি নিজেও বুঝছি না। আচ্ছা আপনি আমার বিয়ের দিন কি এমন করলেন যে সবাই রাজি হয়ে গেছে আপনার সাথে বিয়ে দিতে, আর সত্যিটা বলবেন। আর আপনি না বলছেন আমার মা বাবার সাথে কথা বলতে পারবো। তাহলে ফোন দেন কল করবো।
অয়ন মারুকে ফোন দেয়, মারু তাড়াতাড়ি কল করে। ওর বাবা ফোন ধরে জিজ্ঞেস করে,, কেমন আছিস।
মারু রাগে বলে,,,কেমন আছি সেটা জানো না,,হঠাৎ আমার স্বামী পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নিলে যে। কিছু দিন আগে তো অনেক জোরাজোরি করছিলে রিয়ানকে বিয়ে করার জন্য।

,,,,, শান্ত হ মা,, এতো রাগ তোর জন্য ভালো না,,, আর অয়ন রিয়ানের থেকে ভালো তাই,,,
মারু,,,,,,, বাবা তোমরা পাগল নাকি আমাকে পাগল ভাবো কিছু বুঝলাম না। কেও হঠাৎ করে কিভাবে এমন বর পাল্টাই। মানে কি, আর তোমরা এতো সহজে রাজি হয়ে গেলে কিভাবে।
বাবা,,,,,,, কি করবো রিয়ান তো বিয়ে করতে আসেনি, ওর মা বাবা কল করে বলে দিয়েছে ওরা নাকি বিয়ে করাতে আসবে না। আর কোনো উপায় ও ছিলো না।

মারু,,,,, মানে রিয়ান এমন করবে আমার সাথে বিশ্বাস হয় না।
মারুর মা তার বাবা থেকে ফোনটা নিয়ে বলে,,,,, শুন মারু মা, যা হয়েছে মেনে নে, এতে সবার ভলো। যতোই হোক বিয়ে তো তোদের হয়ে গেছে। বিয়ে যখন হয়ে গেছে তখন মেনে নে।
মারু রাগে বলে,,,,,, রাখো তোমার মেনে নেওয়া,,, দূরর কথায় বলমু না,, রাখো ফোন।
বলে ফোনটা জোরে বিছানায় আছাড় মারে, অয়ন একবার মোবাইল এর দিকে তাকাচ্ছে একবার মারুর দিকে। মারু কিছুটা শান্ত হয়ে বলে,,, ভালো করেছেন আপনি আমাকে বিয়ে করে, ঐ রিয়ান শয়তান তো আমাকে পাওয়ার যোগ্যতাই রাখে না। ও বিয়ের দিন বিয়ে করতে আসনি।

অয়নের দিকে তাকিয়ে দেখি অয়ন কিছু একটা লুকানোর মতো হাসি দিচ্ছে, মানে চোর ধরা খাওয়ার আগে যেমন দেয় তেমন। আমি কোমরে হাত দিয়ে বলি,, সত্যি সত্যি বলেন কি করেছেন রিয়ান এর সাথে।
অয়ন জোর করে মিথ্যা হাসি দিয়ে বলে,,,, বললাম তো কিছু না। আচ্ছা নীর তুমি থাকো আমাকে একটু বাহিরে যেতে হবে।
মারু,,,,,,, আপনি আমাকে নীর টির করে ডাকবেন না,, আর এটা মানেটা কি হুমম।
অয়ন,,,,,,নীরের অর্থ কি জানো।

মারু ব্রু কুঁচকিয়ে জিজ্ঞেস করে,,,,, না জানি না,, বলেন কি।
অয়ন আলমারি থেকে কোর্টটা বের করে পড়তে পরতে বলে,,,, বাংলাদেশে থেকেও বাংলা ঠিক মতো পারো না দেখছি।
মারু হালাকা রেগে বলে,,, তাহলে আপনিই বলে দিন।
অয়ন কোর্টটা ঠিক করতে করতে বলছে,,,,, এখন তোমার সাথে প্রেম করার ইচ্ছে থাকলেও সময় নেয় পরে একদিন বললো, ওকে এখন আসি।

এই কথা গুলো তাড়াতাড়ি বলে চলে যায়। ঐদিকে অয়নের সব কথা মারুর মাথা উপর দিয়ে গেছে। সে কিছু ক্ষন পরে জোরে বলে,,,,, আপনাকে প্রেম করতে কে বলেছে হুহহ।
এতো ক্ষনে অয়ন নিচে চলে যায়। বেশ অনেক ক্ষন হয়েছে মারু রুমে বসে বসে বোর হয়ে গেছে, বেলকনি দিয়ে বাহিরে তাকানো যায় না, অনেক রোদ বাহিরে। বেলকোনিতে থাকা ফুল গাছ গুলো যেনো পানির জন্য আহাকার করছে, আমি হাটু গেড়ে বসে ফুল গাছগুলোতে পানি দিচ্ছি।

হঠাৎ করেই অদ্ভুত একটা ইচ্ছে হলো মনে,, গাছ গুলোর সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু কি বলবো ভাষা খুজে পাচ্ছি না। খুব আপন কাওকে মিস করছি কিন্তু কাকে সেটাই জানি না। এই ফুলের গ্রান মনের মধ্যে কোনো এক অজানা পুরুষের গায়ের গ্রানের সাথে মিলিয়ে দিচ্ছে। তাকে মনে মনে জরিয়ে ধরার আকাঙ্ক্ষা কিন্তু সে যে লুকন্ত, কোথায় পাবো তাকে।
এসব ভাবতে ভাবতে কেও একজন দরজায় নক করেছে, আমি উঠে গিয়ে আসতে বলি। দরজায় প্রহর দাঁড়িয়ে আছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম,, কিছু বলবেন।

প্রহর শুধু তাকিয়ে আছে, তার চোখ দিয়ে যেনো কিছু বলতে চাচ্ছে, কিন্তু কিছু একটা তাকে আটকে দিচ্ছে। আমি আবারো জিজ্ঞেস করলাম,,,,, কিছু বলবেন।
প্রহর তার চোখ সরিয়ে মুশকি হেঁসে বললো,,, আমি কি ভিতরে আসতে পারি।
আমি আসতে বললাম,, তো প্রহর আমাকে জিজ্ঞেস করলো,, তুমি কেমন আছো।
আমিও একটু বিরক্তি নিয়ে বললাম,,,,,, কেমন থাকার কথা, কালকে একটা মেয়েকে জোর করে বিয়ে করে এনেছে এখন তার বন্ধু জিজ্ঞেস করছে আমি কেমন আছি। আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞেস করি।
প্রহর সোফায় বসে বলে,, করো।

আমিও এক সাইডে সোফায় বসে বললাম,,,, আচ্ছা এই ফেমেলির সবার কি একটু মাথায় প্রবলেম আছে নাকি।
প্রহর হেঁসে বলে কেনো। আমিও রাগি একটা ফেইস বানিয়ে বলি,,,,, আরে হবার এমন অদ্ভুত ব্যবহার আমাকে পাগল করে দিচ্ছে।
প্রহর,,,,,,, হুমম,, তো একটু মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করো দেখো আস্তে আস্তে সব ঠিক মনে হবে।
মারু,,,,,আরে কিভাবে বানিয়ে নিবো, আমি তো এই পরিবার সম্পর্কে কিছুই জানি না।
,,, আরে তাহলে আমি আছি কেনো, আমি বলছি, যদি তোমার শুনার ইচ্ছে থাকে।
,,,,আরে অনেক আছে, বলেন আপনি।

অয়নের বাবা ঢাকার সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ির মধ্যে একজন মিঃরহমান খান। আর অয়নের মা রোদেলা খান। আহানের একটা ভাই আছে যে কালকে দেশে ফিরবে,, তার নাম সায়ন, অয়নের ছোট ভাই, বিজনেস এ তার অনেক নাম।
মারু অনেক আগ্রহের সাথে জিজ্ঞেস করে,,, অয়নের সম্পর্কে কিছু বলবেন না।
প্রহর মুশকি হেঁসে বলে,, ওর সম্পর্কে জানার তোমার অনেক ইচ্ছে দেখা যায়,, আচ্ছা শুনো,,,, অয়ন একজন প্রফেশনালি ডক্টর। ছোট থাকতেই আমাদের তিনজনকে মানে অয়ন, সায়ন আর আমাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয় পড়াশোনার জন্য। পড়াশোনার মাঝখানে আমরা ঘুরার জন্য দেশে ফিরি আর,,,,, পরে প্রহর থেমে যায়, শুধু লম্বা একটা নিশ্বাস ফেলে।
মারু অতি আগ্রহের সাথে জিজ্ঞেস করে,,,,,, আর??

প্রহর মুশকি হেঁসে বলে,,, কিছু না, আবার বিদেশে ফিরে যায়, অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা অপারেশন ছিলো তাই কালকে দেশে ফিরে কালকেই বিয়ে করে ফেলে আর সেই খবর শুনে আমি এখানে।
মারু,,,,,তাও একটা রহস্য থেকে গেলো।
,,,কি
মারু,,,,, আপনার বন্ধু আমাকে কেনো বিয়ে করলো।
,,,এটা তুমি ওর কাছ থেকে জেনে নিয়ো।
,,, আচ্ছা সবার কথা বললেন আপনি কি করেন এটা তো বললেন না।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১

প্রহর মুশকি হেঁসে বলে,,, আমি লিখতে ভালোবাসি, তাই আমি একজন লেখক। আমেরিকায় হালকা পাতলা নাম ডাক আছে আরকি।
,,,,আচ্ছা তাহলে আপনার একটা বইয়ের নাম বলেন তো দেখি।
প্রহর মারুর দিকে তাকিয়ে বলে,,,, Magician
মারু লাফ দিয়ে বলে,,,এই বইটা আমি পড়েছি,, এর অর্থ তো হলো মায়াবিনী তাই না,, ওহহ তাহলে আপনিই সেই ফেমাস রাইটার মিঃ প্রহর দীপ্ত।
,,,,,হুমমম,,তুমি তাহলে আমার বই পড়েছে, এখন মনে হচ্ছে আমি সত্যি কোনো রাইটার।
,,,,,,, অনেক ভালো লিখেন আপনি,,, আচ্ছা আপনি আপনার গল্পে যে মেয়েটার বর্ণনা করেছেন, সে কি বাস্তবে আপনার জীবনে ছিলো বা আছে, নাকি কল্পনায় লিখেছেন।
প্রহর মুশকি হেঁসে বলে,,,,,,

কিছুটা সে বাস্তবে ছিলো,
কিছুটা বা সে কল্পনায়, কিছুটা সে আমার জীবনে ছিলো,
আর পুরোটাই আমার মনের কোনায়।
,,,,, এই জন্য বলে, লেখকের কথা বুঝা বড় মুশকিল। আর আমি ভেবেছিলাম লেখকরা বোরিং হয় কিন্তু আপনি তো উল্টো।
,,, অনেক পরে হলেও তোমার ভালো তো লেগেছে। আচ্ছা এখন আমি আসছি, কিছু ক্ষন পরে হয়তো অয়ন চলে আসবে, তখন এক সাথে লাঞ্চ করা যাবে।
,,,হুমম ঠিক আছে।
প্রহর চলে যায়, মারু বসে বসে ভাবছে,,, লোকটাকে অনেক চিনা চিনা লাগলো,, আর এক মিনিট,, এখন অয়ন বাসায় নেয়, মারু পালানোর এতো বড়ো সুযোগ কোথায় পাবি। কিন্তু পালিয়ে যাবো কোথায়,, আরে দূর আগে বের হয়ে নিয় পড়ে ভাবা যাবে।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ৩