আজকে শহর তোমার আমার শেষ পর্ব 

আজকে শহর তোমার আমার শেষ পর্ব 
জিন্নাত চৌধুরি হাবিবা

সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করেনা।সময় তার নিজস্ব গতিতে চলে।মাঝখানে কেটে গেছে কতগুলো মাস।এই কয়েক মাসে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে।রুপ্সিতা এখন অনার্স ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্ট।রিতা এখন বাবা মায়ের সাথেই থাকে।শোভনকে হাসপাতালে ভর্তি করার দুদিন পরেই পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়।সেখানে পুলিশের থার্ড ডিগ্রি পড়ার পর শোভনের অবস্থা খুব একটা ভালো না।সানি এখন স্কুলে পড়ে।
মোটামুটি সবার জীবনেই একটা পরিবর্তন চলে এসেছে।

রিতার লেবার পেইন উঠেছে।ওকে নিয়ে রুপ্সিতার বাবা মা হাসপাতালে ছোটাছুটি করছেন।রিতাকে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হবে কিছুক্ষণ পর।রিতা চাপা আর্তনাদ করে ওর মাকে কাছে ডেকে বলল,মা একবার রুপাকে কল করোনা।আমার মনে হয় আমি আর বাঁচবোনা।যদি আর না ফিরতে পারি?শেষবারের মতো ওর কাছে ক্ষমা চাইবো।একটাবার কথা বলবো মা।
রুপ্সিতার মা চোখের পানি মুছে রুপ্সিতার ফোনে কল দিলেন।
কয়েকবার রিং হয়ে কল কেটে গেছে রিসিভ হচ্ছে না।রুপ্সিতার মা মুখটা ফ্যাকাশে করে ফেললেন।

এদিকে একজন নার্স এসে বলে গেছে আর পাঁচমিনিট পরেই রিতাকে ওটিতে নিয়ে যাবে।এই পাঁচমিনিট যার যতো কথা আছে সেরে নিতে।
আলিফ আর রুপ্সিতা রাতের খাবার খেয়ে ঘরে আসে।বিছানা ঝেড়ে নিয়ে রুপ্সিতা ফোন হাতে নিতেই দেখে মায়ের নাম্বার থেকে অনেকগুলো কল এসেছে।রুপ্সিতার ইচ্ছে করছে কল ব্যাক করতে কিন্তু মনের ভেতরের চাপা ক্ষোভটার কারণে দিতে পারছেনা।
খানিক পরে আবারো রুপ্সিতার ফোন বেজে উঠতে রুপ্সিতা কল রিসিভ করে নিয়ে কানে ধরে চুপ করে থাকে।
রুপ্সিতার মা কান্নারত কন্ঠে বলেন,রিতার পেইন উঠেছে ওকে নিয়ে আমরা হাসপাতালে এসেছি।মেয়েটা শেষবারের মতো তোর সাথে কথা বলতে চেয়েছিলো কিন্তু তুই ফোন তুলিসনি।একটু আগেই রিতাকে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।জানিনা মেয়েটা আমার বুকে আবার ফিরে আসবে কি-না?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

রুপ্সিতা থমকে গেছে ওর মায়ের কথা শুনে।ফোন কানে রেখেই স্থির দাঁড়িয়ে রইলো।
ওর মায়ের বাকি কথাগুলো ওর কানে যাচ্ছেনা।রুপ্সিতাকে চুপ থাকতে দেখে ওর মা নিরাশ হয়ে কল কেটে দিলেন।
আলিফ রুপ্সিতাকে ঝাঁকি দিয়ে বলল,এরকম দাঁড়িয়ে আছো কেনো?কার কল ছিলো?
রুপ্সিতা আগের মতোই দাঁড়িয়ে রইলো কোনো নড়চড় নেই।আলিফ দু-তিনবার ডাক দিলো।
রুপ্সি!রুপ্সি!এই রুপ্সি!
আলিফের বার কয়েক ডাকে রুপ্সিতার হুস ফিরতেই সে বলে উঠে,হুহ!
আলিফ চিন্তিত হয়ে বলে,কি হয়েছে তোমার?তুমি ঠিক আছোতো?
রুপ্সিতা বলল,আমি ঠিক আছি কিন্তু আপু ঠিক নেই।
আলিফ ভ্রু কুচকে বলল,মানে?
রুপ্সিতা জিহ্বা দিয়ে শুকনো ঠোঁট জোড়া ভিজিয়ে বলল,আপুর পেইন উঠেছে।এখন হসপিটালে আছে একটু আগে নাকি ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আমার সাথে নাকি কথা বলতে চেয়েছিলো।আচ্ছা আমি কি খুব বেশি রুড হয়ে গেছি সবার সাথে?রুপ্সিতার গলা ধরে আসছে খানিকটা ফুঁপিয়ে উঠে কথাগুলো বলছে।চোখে পানির রেশ দেখা দিয়েছে।
আলিফ রুপ্সিতার দুগালে হাত দিয়ে নিজের দিকে ফিরিয়ে বলল,তুমি যা করেছো তা তোমার জায়গা থেকে ঠিক আছে।আবার একটা বিষয় দেখো ওরা ভুল করে কিন্তু অনুতপ্ত হয়ে তোমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে।এখন তুমি যদি মন থেকে ওদেরকে ক্ষমা করতে না পারো তাহলে এখানে তোমার দোষ নেই।এটা সম্পূর্ণ মনে ব্যাপার এখানে মানুষের নিজের নিয়ন্ত্রণ চলে না।
রুপ্সিতা ধরা গলায় বলল,এখন আমি কি করবো?কি করা উচিত আমার?

আলিফ রুপ্সিতার মনের অবস্থা বুঝতে পেরে বলল,হাসপাতালে যাবে তোমার আপুকে দেখতে?রুপ্সিতা নিষ্পলক চোখে তাকিয়ে আছে আলিফের দিকে।এই মানুষটা কিভাবে ওর মনের সব কথা বুঝে যায়?
রুপ্সিতাকে তাকিয়ে থাকতে দেখে আলিফ নিজের ফোন আর ওয়ালেট নিয়ে একহাতে রুপ্সিতার হাত ধরে বেরিয়ে আসে।বাসার কাউকে বলে আসেনি পরে কল দিয়ে জানিয়ে দিবে।

রুপ্সিতার বাবা মা ওটির সামনে পায়চারি করছেন।রিতার শশুর শাশুড়ীকে খবর দেওয়া হয়েছে।উনারা এখন উনাদের ছোট ছেলের সাথে থাকেন।সে এতদিন দেশের বাইরে ছিলো এখন বাবা মাকে নিয়ে দেশেই থাকে।তারাও এসে গেছেন।আলিফ রুপ্সিতার হাত ধরে হাসপাতালের করিডোর দিয়ে হেটে চলেছে।রিসিপশনের থেকে রিতার নাম বলে সব জেনে নিয়েছে।
রুপ্সিতা ওর বাবা মাকে দেখতেই দৌঁড়ে গিয়ে রিতার কথা জিজ্ঞেস করলো।ওর বাবা মায়ের মুখে হাজার দুশ্চিন্তার মাঝেও হাসি ফুটে উঠে রুপ্সিতাকে দেখে।রুপ্সিতার মা বলল,আধাঘন্টা হয়ে গেছে এখনো কোনো খবর পাচ্ছিনা।
রুপ্সিতা চিন্তিত মুখে ওটির দিকে তাকিয়ে আছে।আলিফ একহাতে রুপ্সিতাকে আগলে রেখেছে।
একজন নার্স তোয়ালে পেঁছিয়ে একটা বাবুকে নিয়ে আসতেই সবাই এগিয়ে যায়।রুপ্সিতা সামনে যেতেই বাবুটাকে ওর কোলে দিয়ে নার্স বলে।কংগ্রাচুলেশনস!আপনাদের ছেলেবাবু হয়েছে।সবাই খুশি হয়ে বলল,আলহামদুলিল্লাহ।রুপ্সিতা বাবুটাকে কোলে নিয়ে বলল,পেশেন্টের কি অবস্থা?

নার্স হাসিমুখে জবাব দিলেন,পেশেন্ট একদম ঠিক আছে।কিছুক্ষণ পরেই কেবিনে শিফট করা হবে।রুপ্সিতা সহ সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।
রুপ্সিতা বাবুটাকে আদর করে দিয়ে একে একে সবাই কোলে নেয়।রুপ্সিতা আবারো বাবুটাকে কোলে নিয়ে হাটতে থাকে।আলিফ দূরে দাঁড়িয়ে রুপ্সিতার কান্ড দেখে মুচকি হাসছে।
রিতার জ্ঞান ফিরতেই নার্স সবাইকে খবর দেয়।সবাই কেবিনে গিয়ে রিতার সাথে দেখা করে।সবার শেষে রুপ্সিতা বাবুকে নিয়ে কেবিনে প্রবেশ করতেই রিতা অবাক হয়ে যায়।ও ভেবেছে হয়তো আর রুপ্সিতার দেখা পাবেনা কিন্তু এখন রুপ্সিতাকে দেখে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,তুই এসেছিস?
রুপ্সিতা বাবুর দিকে তাকিয়ে ওর কপালে চুমু খেয়ে বলল,হুম আমি এসেছি।আর আমার এই বাবাটার জন্য তোমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছি।তবে তোমাদের সাথে আগের মতো নরমাল হতে আমার সময় লাগবে।
সবার বুকের উপর থেকে যেন একটা পাথরের বোঝা নেমে গেছে।রিতার চোখে অশ্রু ঠোঁটে তৃপ্ত হাসি।
আলিফ বাসায় ফোন করে জানিয়ে দিয়েছে ওরা হাসপাতালে আছে।রিতার ছেলে হয়েছে আর ওরা আজকে রুপ্সিতার বাবার বাসায় থাকবে।রুপ্সিতা আলিফকে বলেছে আজ ও বাবুর সাথেই থাকবে বাবুকে ছেড়ে আজকে যাবেনা।

ইদানীং রুপ্সিতার শরীরটা ভালো যাচ্ছেনা।রান্নাঘরে দুপুরের খাবার পর যে বাসন বেরিয়েছে সেগুলো পরিষ্কার করতে গিয়ে রুপ্সিতা এমন এক ইচ্ছে হলো।বোতল ভরা ভিমের গ্রান শুঁকে এখন রুপ্সিতার ইচ্ছে করছে সেগুলো ঢকঢক করে গিলে খেতে।কিন্তু ভেতরটা ঝলসে যাবে ভেবে নিজের অদম্য ইচ্ছাটাকে জোর করে দমন করলো।
রুপ্সিতার শাশুড়ীর কাছে রুপ্সিতার হাব ভাবে মনে হচ্ছে ও প্রেগন্যান্ট।কিন্তু উনি আগাম কোন কিছুই ধারণা করতে চাইছেন না।কেননা উনি যতবারই ভেবেছেন রুপ্সিতা প্রেগন্যান্ট ততবারই ডাক্তার ভিন্ন কথা বলে উনার ধারণাকে ভুল প্রমান করেছেন।
আলিফ ও ইদানীং রুপ্সিতার মাঝে পরিবর্তন লক্ষ্য করছে।রুপ্সিতাকে ডাক্তারের কাছে যেতে বললেই ও বলে আমার কিছু হয়নি আমি ঠিক আছি।আজকে রুপ্সিতার শাশুড়ী এক প্রকার জোর করেই আলিফের সাথে রুপ্সিতাকে ডাক্তারের কাছে পাঠিয়েছেন।
ডাক্তার কতগুলো টেষ্ট দিয়েছেন সেগুলো করিয়ে আলিফ আর রুপ্সিতা বসে আছে রিপোর্টের জন্য।রুপ্সিতা বিরক্ত হয়ে বারবার আলিফের দিকে তাকাচ্ছে।রিপোর্ট আসতে দুই ঘন্টা সময় লাগবে।রুপ্সিতা বলেছে কালকে এসে রিপোর্ট নেওয়া যাবে কিন্তু আলিফ কোনোমতেই রিপোর্ট ছাড়া আজ বাসায় যাবেনা।

দুই ঘন্টাপর আলিফ রিপোর্ট হাতে নিয়ে রুপ্সিতার হাত ধরে বেরিয়ে আসে হাসপাতাল থেকে।চারিদিকে সন্ধ্যা নেমেছে অনেক আগেই।
আলিফ রুপ্সিতাকে নিয়ে রাস্তার পাশ ধরে হেঁটে চলেছে।রুপ্সিতা ভ্রু কুচকে বলল,গাড়ি নিবেন না?আর রিপোর্ট দেখে ডাক্তার কি বলেছে?
আলিফ হুট করে রুপ্সিতাকে জড়িয়ে ধরে ওর ঘাড়ে নাক ঘষে।টুপ করে চোখ থেকে দুফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়তেই রুপ্সিতার পিলে চমকে উঠে।হন্তদন্ত হয়ে আলিফকে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে আপনার?আপনি কাঁদছেন কেনো?
আলিফ নাক টেনে বলল,কাঁদতে দাও না।
রুপ্সিতা কটাক্ষ করে বলল,আগে বলুন কেন কাঁদছেন?
আলিফ বলল,জানিনা খুশিতে হঠাৎ করেই চোখে পানি চলে এসেছে।
রুপ্সিতা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছে।কিসের খুশির খবরের কথা বলছেন আপনি?
আলিফ নাক টেনে বলল,তুমি এখনো বুঝতে পারছোনা?আমি কিসের কথা বলছি।
রুপ্সিতা দুপাশে মাথা নাড়িয়ে না জানলো।
আলিফ ঠোঁট চেপে ধরে তারপর হেসে দিয়ে বলল,তুমি মা হতে যাচ্ছো আর আমি বাবা।
বাবা হওয়ার অনুভূতিটা মনে হয় জীবনের শ্রেষ্ঠ অনুভূতি।
রুপ্সিতা আলিফের দিকে তাকিয়ে আছে।ওর দৃষ্টি এটাই জানতে চাচ্ছে আলিফ একটু আগে যেটা বলল সেটা সত্যি কিনা?
আলিফ চোখের ইশারায় হ্যাঁ জানাতেই রুপ্সিতার ডানহাত আপনা আপনি পেটের উপর চলে গেছে।বিড়বিড় করে বলছে এখানে আমাদের বাবু আছে।

দুজনে বাসায় ফিরতেই সবাই জিজ্ঞেস করলো ডাক্তার কি বলেছে।রুপ্সিতা আলিফের দিকে একনজর তাকিয়ে লজ্জা মিশ্রিত হাসি দিয়ে উপরে উঠে যায়।এবার সবাই আলিফকে চেপে ধরে জিজ্ঞেস করলো,ডাক্তার কি বলেছে আর রুপ্সিতাই বা উপরে চলে গেলো কেন?
আলিফ সবাইকে খুশির সংবাদ দিতেই বাড়িতে খুশির আমেজ সৃষ্টি হলো।আলিফের মা একগাল হাসি নিয়ে আলিফের কপালে চুমু খেলেন।অবশেষে উনার ধারণা সত্যি হলো।আলিফের বাবা মিষ্টি আনতে চলে গেছেন।আরিফ এখনো বাসায় ফেরেনি।
সানি বলল,আম্মু আমাদের বাসায় কি একটা বাবু আসবে?

আজকে শহর তোমার আমার পর্ব ১৬+১৭+১৮+১৯

ইরিন মুচকি হেসে বলল,হুম বাবা আমাদের বাসায় একটা বাবু আসবে।সানি চোখ পিটপিট করে বলল,তাহলে আমি বাবুর সাথে খেলবো ঠিকাছে?আলিফের মা সানিকে কোলে নিয়ে বললেন,শুধু তুমি না আমিও খেলবো দাদুভাই।
আলিফের বাবা মিষ্টি আনতে গিয়ে রুপ্সিতার বাবাকে ফোন করে খুশির খবরটা জানিয়ে দিলেন।তারা কাল সকালেই আসবে।
আলিফ রুমে ঢুকে দেখলো রুপ্সিতা চোখ বন্ধ করে পেটে হাত দিয়ে বসে আছে।মুখে লেগে আছে মুচকি হাসির রেশ।আলিফ ফ্রেশ হয়ে এসে রুপ্সিতার পাশে বসে।রুপ্সিতা আগেই ফ্রেশ হয়ে নিয়েছে।আলিফ রুপ্সিতার কপালে চুমু এঁকে বলল,তুমি আমাকে কি অনুভূতির সাথে পরিচয় করিয়েছো তুমি নিজেও জানোনা।আমার মনে হচ্ছে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ।রুপ্সিতা আলিফের বুকে মাথা রেখে ওর টিশার্টে আঁকিবুঁকি করছে।

আলিফ অত্যন্ত ক্ষীণ স্বরে ডাক দিলো।
রুপ্সি!
যেন কন্ঠে মধু মেখে রেখেছে।রুপ্সিতাও ক্ষীণ স্বরে জবাব দেয় হুমম।
আলিফ মুখে হাসি রেখে বলল,চলো আজ তোমাকে আমার শহরে নিয়ে যাই।যেখানে থাকবে শুধু ভালোবাসা।আজকের এই শহর তোমার আর আমার হবে।
রুপ্সিতা আলিফের বুক থেকে মাথা তুলে বলল,এই শহরে মায়া ও আছে।
আলিফ রুপ্সিতার ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে চুপ করিয়ে বলল,হুসস!আমি সেসব মনে করতে চাইনা।এই শহরে তুমি আর আমি ছাড়া অন্যকোনো তৃতীয় ব্যক্তির স্থান নেই।কারণ আজকে শহর তোমার আমার।

সমাপ্ত

(লেখাঃ জিন্নাত চৌধুরি হাবিবা) এই লেখিকার আরও লেখা গল্প পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন এবং এই গল্পের সিজন ২ পড়তে চাইলেও এখানে ক্লিক করুন

1 COMMENT

  1. Bah khub khub khub khub khub khub khub sundor hoeache Khub Khub Khub Khub Khub Khub Khub Khub Khub Khub valo legeche golpo ta khub sundor hoeache

Comments are closed.