আমার আছে জল পর্ব ১০

আমার আছে জল পর্ব ১০
মাহিমা রেহমান

প্রায় দেড়মাস পর চোখের সামনে নিজের প্রাক্তন স্বামীকে দেখে থমকে গেল শিথি। নিঃশ্বাস হয়ে উঠল ভারী।চারপাশের সবকিছু কেমন গোলগোল করে ঘুরতে লালগ শিথির কাছে।নিজের কদম জোড়া কিছুটা পিছিয়ে নিল সে।বেইমান!এই বেইমানটা এখানে কি করছে?যায় মুখ দেখবে না বলে সে চট্টগাম নিজ শহর সব ত্যাগ করে ঢাকা পাড়ি দিয়েছে। অজ এতগুলো দিন পরে আবার সেই অনাকাঙ্ক্ষিত মুখটি দৃষ্টিপাত করতে হবে তা কোনোদিন ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি শিথি।

ঘনঘন নিশ্বাস ত্যাগ করে নিজেকে ঠিকঠাক করল শিথি।এগিয়ে গেল সম্মুখে,, যেখানে নুসাইব তাহসিনের সহিত আলোচনায় মত্ত।আকস্মাৎ তাহসিনের ফোন কল আসতে সে অনুমতি নিয়ে কিছুটা সাইডে গিয়ে কথা বলতে আরম্ভ করল।
নুসাইব নিজের পাশে করো উপস্থিতি টের পেয়ে ঘাড় বাঁকিয়ে তাকাল।নিজের আঁখি জোড়া দিয়ে শিথির পা থেকে মাথা পর্যন্ত পর্যবেক্ষক করল নির্মিমেষ।সহসা কিছুটা ঝুঁকে মৃদু স্বরে শিথির উদ্দেশ্যে বলে উঠল,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

-“নিজের ওড়নাটাকে গায়ের সাথে ভালোভাবে জড়িয়ে নিন মিস.।অলরেডি আমার অনেক কিছু দেখা হয়ে গেছে।আমি চাইছি না আর কেউ তা দেখুক।”
চমকে উঠল শিথি।এই লোকের মুখে কি কিছু আটকায় না নাকি?কেমন লজ্জাহীন লোক?মুখে যা আসে তাই বলে দিতেই হবে তার।নুসাইবকে বকতে মশগুল শিথি।সত্বর নুসাইব শিথিকে ওয়াশরুম দেখিয়ে বলে উঠল,
-“ঐদিকটায় ওয়াশরুম।যদি আর কাউকে নিজের প্রতি অ্যাট্রাকটিভ করতে না চান,, তাহলে ঝটপট গিয়ে নিজেকে ঠিকঠাক করে নিয়ে আসুন।”

রাগে গা জ্বলে উঠল শিথির।সে কেনো কাউকে নিজের প্রতি অ্যাট্রাকটিভ করতে চাইছে? শিথি আর কথা না বাড়িয়ে চলে গেল।ঠিক সেই মুহূর্তে ফিরে এলো তাহসিন।নুসাইবের উদ্দেশ্যে বলে উঠে,
-“তাহলে চলুন আমরা এবার কোথাও একটা বসি।”
নুসাইব সায় জানাল।বলে উঠল,
-“সিউর চলুন।”

নিজেকে ঠিকঠাক করে বেরিয়ে এলো শিথি।দুর থেকে দেখতে পেল তাহসিন নুসাইব একে-আপরের সাথে কিছু একটা নিয়ে আলোচনায় মত্ত।ঘন ঘন নিশ্বাস ত্যাগ করল শিথি। নিজেকে ঠিকঠাক করে সামনের দিকে এগিয়ে গেল।
আলোচলায় মশগুল নুসাইব আকস্মাৎ নিজের খুব সান্নিধ্যে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে মাথা তুলে তাকাল। শিথিকে দেখতে পেয়ে পা থেকে মাথা পর্যন্ত পুনরায় নির্নিমেষ চোখ বুলিয়ে নিল শিথির। অসস্তিতে পড়ে গেল শিথি।নুসাইব শিথির উদ্দেশ্যে বলে উঠল,

-“আমার পাশে এসে বসুন।”
শিথি নিঃশব্দে গিয়ে নুসাইবের পাশে বসে পড়ল।
নুসাইব-শিথির কথার মাঝে পুরোটা সময় শিথির দিকে একধ্যেনে তাকিয়ে রইল তাহসিন।আঁখি পল্লব না ফেলে একদৃষ্টে তাকিয়ে রইল কেবল।সহসা করো ডাক কর্ণপাত হতেই হচকিযে উঠল তাহসিন।ফিরে তাকাল নুসাইবের দিকে।নুসাইব শিথিকে দেখিয়ে তাহসিনের উদ্দেশ্যে বলে উঠল,

-“মিট উইথ হার। সি ইজ মায় পার্সোনাল অ্যাসিস্টেন্ট। হুমায়রা শিথি।”
আগের মতই একধ্যেনে শিথির উপর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে হাত বাড়িয়ে দিল হ্যান্ডসেক করার জন্য।বলে উঠল,
-“আমি তাহসিন আহমেদ।”
হাত মেলালো না শিথি।চোখমুখ শক্ত করে বলে উঠল,
-“আমি শিথি।হুমায়রা শিথি।”

নির্নিমেষ শিথির দিকে গভীর ধ্যেনে তাকিয়ে রইল তাহসিন।সহসা পুরুষালি ভরাট কণ্ঠ কর্নগোচর হতেই ঘোর থেকে বেড়িয়ে এলো তাহসিন।নুসাইব তীর্যক দৃষ্টি নিক্ষেপ করল তাহসিনের উপর।গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠল,
-” বারংবার কোথায় হারিয়ে যাচ্ছেন আপনি?আপনি কি মিটিংটা করতে চাইছেন না?তাহলে প্রবলেম নেই।মিটিং ক্যানসেল করা হোক।আমরা আমাদের প্রজেক্টের জন্য নিউ কোনো ইনভেস্টর খুজে নিব খুব শীগ্রই।”
ইতস্তত বোধ করতে করতে তাহসিন বলে উঠল,

-“নো নো তার আর কোনো দরকার নেই।চলুন শুরু করা যাক।”
মিটিংয়ের পুরোটা সময় আড়চোখে শিথিকে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছিল তাহসিন।মিটিং শেষ হতেই সত্বর উঠে দাঁড়াল নুসাইব।তাহসিন পুনরায় হ্যান্ডসেক করে বলে উঠল,
-“আই হোপ কালই আমাদের দেখা হচ্ছে।”

গম্ভীর কণ্ঠে নুসাইব সায় জানাল।তাহসিন শিথির উদ্দেশ্য কিছু বলতে নিবে তার পূর্বেই শিথি নুসাইবকে বলে উঠল,
-“স্যার আই থিঙ্ক এবার আমাদের বের হাওয়া উচিত।অনেকটা লেট হয়ে গেছে আমাদের,, আই মিন আমার।”
কথাটুকু বলে মাথা নিচু করে নিল শিথি।ত্বরান্বিত শিথির উদ্দেশ্যে তাহসিন তাকে বলে উঠে,
-“তাহলে মিস. শিথি চলুন আমি আপনাকে ড্রপ করে দিচ্ছি।”
কঠোর দৃষ্টি নিক্ষেপ করল নুসাইব তাহসিনের পানে। দৃঢ় কণ্ঠে বলে উঠল,

-“তার আর কোনো প্রয়োজন হবে না মি. তাহসিন।আপনি এবার আসতে পারেন।মিস. শিথিকে আমি তার ঠিকানায় খুব জলদিই পৌঁছে দিব।
তাহসিন আর কথা বাড়াল না।আঁখি তুলে পুনরায় শিথির দিকে পলকহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।বেরোনোর সময় আকস্মাৎ হেচট খেতে খেতে নিজেকে সামলে নিল তাহসিন। বিড়বিড় করে বলে উঠল,

-“আমি কি আবারও আমার প্রথম প্রেমের,, প্রেমে হেচট খেলাম?”
নুসাইব তাহসিনকে রাশভারি কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে উঠল,
-“আর ইউ ওকে?”
তাহসিন মাথা নেড়ে সায় জানাল।পুনরায় শিথির দিকে ফিরে তাকাল।শিথি এসেছে পড়ে থেকে একবার ও তার দিকে ফিরে পর্যন্ত তায়ায় নি। রুদ্ধশ্বাস ত্যাগ করল তাহসিন।সে এমন কোনো মহৎ কাজ করে নি,,যায় জন্য শিথি তার দিকে ফিরে তাকাবে।আকস্মাৎ শিথি নুসাইবের উদ্দেশ্যে বলে উঠল,

-“স্যার আমি মেবি আমার পার্সটা ভিতরে রেখে এসেছি।আপনি একটু ওয়েট করুন আমি এখনই পার্সটা নিয়ে চলে আসছি।”
শিথির বলা বাক্যটুকু তাহসিনের কর্ণকুহর পর্যন্ত পৌঁছানোর সাথে সাথে সে অতি সন্তর্পনে নিজের সেলফোনটা পকেটে পুরে নিল।।চিন্তিত ভঙ্গিতে নুসাইবের উদ্দেশ্যে বলে উঠল,
-“আমিও মেবি ফোনটা ভিতরে ফেলে এসেছি।”
ললাট কিঞ্চিৎ কুঁচকে গেল এবার নুসাইবের।
শিথির পিছন পিছন পুনরায় ভিতরে প্রবেশ করল তাহসিন।

পার্স হাতে নিয়ে কেবল বের হবে শিথি।সহসা তার পিছনে এসে দাঁড়ায় তাহসিন।পিছুমুখী হতেই ভকড়ে উঠল শিথি।তাহসিনকে নিজের অতি সান্নিধ্যে দেখে কিছুটা পিছিয়ে গেল সে।তাহসিন কিছু বলতে নিবে তার পূর্বেই তাকে সাইড করে বেরিয়ে যেতে নিল শিথি, কিন্তু তাকে যেতে না দিয়ে উল্টো তার পথ আটকে ধরল তাহসিন।অত্যন্ত মৃদু কণ্ঠে শিথির উদ্দেশ্যে বলে উঠল,

-“কেমন আছো?”
শিথি চোখমুখ শক্ত করে উত্তর দিল,
-“যেমনি থাকি আপনার কি?পথ ছাড়ুন।দেরি হয়ে যাচ্ছে আমার।”
সত্বর তাহসিন বলে উঠল,
-“চল আমি তাহলে তোমাকে পৌঁছে দিচ্ছি।”
শক্ত কণ্ঠে শিথি বলে উঠল,

-” তার আর কোনো প্রয়োজন নেই।তাছাড়া কোনো অপরিচিত লোকের সাথে আমি কোথাও যেতে চাচ্ছি না।”
ব্যথিত হলো তাহসিনের অন্তঃকরণ।আহত কণ্ঠে বলে উঠল,
-“এতোটাই অপরিচিত হয়ে গেছি যে,, অমাকে না জানিয়ে একবারে চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকা চলে এলে?একটাবার কি আমাকে বলা যেত না?একা একজন মেয়ে হয়ে কি করে এমন কাজটা করতে পারলে?একটিবার আমাকে বলতে,,ঢাকায় আমার যে ফ্লাট আছে সেখানে তোমাকে স্যাটেল করে দিতাম।”

গা জ্বলে উঠল শিথির। এতকিছুর পরেও সে তার ফ্ল্যাটে গিয়ে থাকবে?জুতা মেরে গরু দানের মতই লাগল কথাটা।রেগে বিভৎস হয়ে উঠল শিথি। রাগান্বিত কণ্ঠে বলে উঠল,
-“তুমি কি সরবে আমার সামনে থেকে।তোমার চেহারাটা এখন মোটেও দেখতে ইচ্ছে করছে না আমার।”
তাহসিন কিছু বলতে নিবে আকস্মাৎ একটা বলিষ্ঠ হাত শিথির কব্জি ধরে নিজের দিকে টেনে নিল। আঁতকে উঠল শিথি।তার মাথাটা এসে ঠেকল একদম লোকটির প্রস্থস্থ বক্ষে।কাউকে আর কিছু বুঝতে না দিয়ে সহসা শিথিকে টানতে টানতে নিজের সহিত নিয়ে যেতে লাগল নুসাইব।
হকচকিয়ে গেল শিথি।শঙ্কিত কণ্ঠে বারংবার জিজ্ঞেস করতে লাগল,

-“কি হয়েছে স্যার?এভাবে টেনে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে?হাত ছাড়ুন বলছি আমার।”
নুসাইবের এহেন কাণ্ডে অবাক হয়ে একপ্রকার ঘোরের মধ্যে চলে গেছিল তাহসিন।চৈতন্য ফিরতেই সত্বর বাহিরে ছুটে গেল তাহসিন।আশেপাশে কোথাও কাউকে দেখতে না পেয়ে রাগে বীভৎস হয়ে পাশের দেয়ালে কয়েকটা লাথি মারল।বিড়বিড় করে বলে উঠল,
-“সিট!’

চোয়াল শক্ত করে সম্মুখে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ড্রাইভ করছে নুসাইব।তারই পাশে বসে তখন থেকে ছটফট করে চলছে শিথি সে বারংবার একই প্রশ্ন করে যাচ্ছে।তবে এতো প্রশ্নের পরেও রা নেই কেবল নুসাইবের মুখে।শিথি আবারও জিজ্ঞেস করে উঠল,

-“স্যার কথা কেনো বলছেন না?কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে?হোস্টেলে ফিরতে হবে আমাকে।প্লিজ বোঝায় চেষ্টা করুন।”
রঞ্জিত নেত্রজোড়া নিয়ে এবার শিথির দিকে তাকাল নুসাইব। অন্তর-আত্মা কেঁপে উঠল শিথির।খুব ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে নুসাইবকে। ফর্সা হওয়ার দারুণ পুরো মুখ একদম রক্ত বর্ণ ধারণ করেছে। শিথি আর কথা বাড়াল না।চুপচাপ বসে বাহিরের দিকে তাকিয়ে রইল।

গাড়ি এসে থামল হাইওয়ের পাশে।গাড়ি সাইডে পার্ক কর বেরিয়ে এলো নুসাইব।শিথি বেরোলো না।স্থির হয়ে পূর্বের ন্যায় বসে রইল।সহসা তার কর্ণকুহরে গম্ভীর পুরুষালি কণ্ঠস্বরে বলা কিছু কথা পৌঁছল,
-“আপনার বুঝি আমার কোলে উঠার খুব শখ জেগেছে।সেটা আগে বলতেই হতো,,এভাবে ঘাপটি মেরে বসে থেকে বোঝানোর কোনো দরকার ছিল না।”

কথাটুকু বলে শিথির দিকে এগিয়ে আসতে লাগল নুসাইব।চোখমুখ কুঁচকে গাড়ি থেকে বেরিয়ে এলো শিথি।শিথিকে বেরিয়ে আসতে দেখে বাঁকা হাসল নুসাইব।
পকেটে দুহাত গুঁজে আকাশের পানে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে নুসাইব। আকস্মাৎ তার পাশে এসে দাঁড়াল শিথি। ঘাড় বাঁকা করে শিথির দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসল নুসাইব।সেই হাসিটুকু দৃষ্টিতে পড়ল না শিথির।বেশ কিছুসময় অবহিত হওয়ার পর আকস্মিক নুসাইব সোজা গিয়ে গাড়িতে বসে পড়ল। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে নিজেকে এতোটাই ডুবিয়ে ফেলেছিল শিথি যে কখন নুসাইব তার পাশ থেকে হারিয়ে গেছে তা টেরই পেল না শিথি।হঠাৎ পাশে ঘুরল। নুসাইবকে পাশে দেখতে না পেয়ে শঙ্কিত হলো মন।আশেপাশে চোখ বুলাতেই শুনতে পেল,

-“হোস্টেলে ফিরার ইচ্ছে বুঝি আজ আর নেই?আমার সাথে থেকেই আজ রাত পাড় করে দিতে চাইছেন? সেটা মুখে বললেই হয়?এতক্ষন ওইখানে একা দাঁড়িয়ে থেকে কাজ নেই।ওয়েট আমিও আসছি।”

রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে সামনের দিকে এগিয়ে গেল শিথি।এই লোকের খালি ত্যাড়া ত্যাড়া কথা?সে কখন থাকতে চেয়েছে? ক্ষাণিক সময়ে জন্য কেবল হারিয়ে গেছিল প্রকৃতির মাঝে।তাই বলে এই লোকের খোঁচা মার্কা কথা শেষ হবে না কখনো। ফালতু লোক একটা!গাড়ির দরজা খুলে নুসাইবের পাশে পড়ল শিথি। আকস্মাৎ নুসাইব শিথির খুব সান্নিধ্যে চলে এলো। ভরকে গেল শিথি, নুসাইবকে নিজের এতো কাছে দেখে।কিছু বলতে উদ্যত হবে সত্বর নুসাইব ঝুঁকে পড়ল শিথির দিকে। শঙ্কিত হল চিত্ত ভয়ার্ত কণ্ঠে আওড়াতে লাগল,

-“কি করছেন কি স্যার? এতো কাছে কেনো এলেন?”
তড়িৎ সরে এলো নুসাইব।হাফ ছেড়ে বাঁচল শিথি। ঘনঘন নিশ্বাস ত্যাগ করে নিজেকে ঠিক করল। কারের স্টেয়ারিংয়ে হাত রেখে তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে শিথির দিকে তাকিয়ে ব্যঙ্গাত্মক স্বরে নুসাইব বলে উঠল,
-“মিস. শিথি আপনার মাইন্ড খুব ডার্টি।সর্বক্ষণ কেবল আজেবাজে চিন্তায় আপনার মাথায় ঘুরঘুর করে।আমিতো কেবল আপনার সিট বেল্ট লাগিয়ে দিলাম। যা আপনি লাগাতে ভুলে গেছেন।আমি কি করতে গেলাম।আর আপনি কি ভেবে নিলেন? সো সিলি।”

আমার আছে জল পর্ব ৯

এই লোকের সাথে আর কথাই বলতে ইচ্ছে করছে না শিথির।তাই পুনরায় জানালার দিকে মুখ করে বসে আপন চিত্তে নুসাইবকে বকতে লাগল।
ঈষৎ গলা ঝেড়ে নুসাইব শিথির পানে বলে উঠল,
-“আমাকে গালমন্দ করা শেষ হলে এবার আমি কার স্টার্ট দেই কেমন?”
চকিতে নুসাইবের দিকে ফিরে তাকাল শিথি।এই লোক কি করে বুঝলো সে তাকে বকছে?

আমার আছে জল পর্ব ১১