আমার আছে জল পর্ব ৫

আমার আছে জল পর্ব ৫
মাহিমা রেহমান

দেখতে দেখতে শিথির এডমিশনের টেস্ট শেষ হয়ে গেছে।আজ রেজাল্ট দেওয়ার কথা।আজ রেজাল্ট দিয়েছে।তবে ওদের তিনজনের করোই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ হয়নি।কিন্তু ভাগ্যবশত তাদের তিনজনেরই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেছে।এই নিয়ে তাদের তিনজনের আনন্দের শেষ নেই।তাই সেই উপলক্ষে লামিয়া আজ তাদের দুজনকে ট্রিট দিবে বলেছে

।তাই আজ শিথি স্টুডেন্ট দুজনকেই একঘন্টা করে পড়িয়ে চলে এলো।কারণ সন্ধ্যার পরই তারা তিনজন বের হবে।তিনজন আজকে ম্যাচিং করে কালো রংয়ের ড্রেস পড়েছে।লামিয়া আর ঋতু পড়েছে ব্ল্যাক জিন্স, ব্ল্যাক শার্ট।গায়ে জড়িয়েছে শার্ট কটি।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

হালকা মেকআপ করে দুজনেই উচুঁ করে পনিটেল বেধেছে।আর শিথি পড়েছে ব্ল্যাক গাউন,কানে ঝুমকো, মুঠো ভর্তি কালো কাঁচের চুড়ি আর ললাটে ছোট্ট একটা টিপ।ব্যাস সবার সাজ’গোজ শেষে তারা বেরিয়ে পরে।রাস্তায় এসে একটা রিকশা ডেকে নেয়।এরই মাঝে শুরু হয় লামিয়া আর ঋতুর ঝগড়া।তাদের ঝগড়ায় মূল বিষয় হচ্ছে,, কে উপরে বসবে? শিথি দুজনকে থামিয়ে দিয়ে বলে উঠল,

-“তোরা এভাবে ঝগড়া করিস না।আমি উপরে বসছি।”
রিকশা চলতে শুরু করল।তিন রমণী গল্পে মেতে উঠেছে।আকস্মাৎ লামিয়া তাদের দুজনের উদ্দেশ্যে বলে উঠল,
-“আজ তোদের দুজনের জন্য সারপ্রাইজ আছে কিন্তু।”

রিকশা এসে থামলো রেডিসন ব্লু হোটেলের সামনে। এটি একটি ফাইভস্টার হোটেল।ঋতু কিছুটা চমকে উঠল।রিকশা থেকে নেমে রিকশা ভাড়া পরিশোধ করার সময় ঋতু এসে লামিয়ার হাত পাকড়াও করল।ঋতু লামিয়াকে হিসহিসিয়ে বলে উঠল,
-“এই লামিয়া তুই কি জানিস না এটা একটা ফাইভস্টার হোটেল। তাহলে তুই কেন জেনেও এখানে রিকশা রাখতে বললি?”

লামিয়া ঋতুকে অবাক করে দিয়ে বলে উঠল,
-“আর ইয়ার! আমি আজ তোদের রেডিসন-ব্লু তেই ট্রিট দিবো। বিকজ আজকে রেজাল্ট বের হওয়ার খুশিতে বাপি আমাকে ট্রিট হিসেবে বেশ কিছু টাকা দিয়েছে।সেই টাকা দিয়েই আজকে তোদের দুজনকে ট্রিট দিব সাথে নিজেকে ও।আর এটাই ছিল সেই সারপ্রাইজ।এবার ভিতরে চল।”

তিনজন ভিতরে প্রবেশ করল।সাইডের একটা টেবিলে গিয়ে বসে পড়ল।লামিয়া ম্যেনু কার্ড হাতে নিয়ে দুজনের উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করল,
-“কি নিবি তোরা?”
শিথি বলল,
-“তোর যা ইচ্ছা অর্ডার কর।”

ঋতু শিথির সাথে সায় মিলালো।
লামিয়া কন্টিনেন্টাল ফুড অর্ডার করে দিল। সাথে তিনজনের জন্য ড্রিংকস আর জুস অর্ডার দিল।আকস্মাৎ এক ওয়েটার অ-সাবধানতাযর বশে শিথির গায়ে জুস ফেলে দিল।সত্বর গতিতে উঠে দাড়াল সে। জমা ঝাড়তে লাগল।লামিয়া অবাক নয়নে ওয়াটারের উদ্দেশ্যে বলে উঠল,

-” কি করলেন এটা।”
ওয়েটার কিছুটা শঙ্কিত কণ্ঠে বলে উঠল,
-“সরি ম্যাডাম!আমি এখনই জুসটা চেঞ্জ করে আসছি।আর ম্যাডাম ওদিকটায় ওয়াশরুম।আপনি প্লিজ গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসুন।”
শিথি সায় জানিয়ে ওয়াশরুমের দিকে অগ্রসর হলো।লামিয়া শিথিকে থামিয়ে দিয়ে বলে উঠল,

-“আমি কি তোর সাথে আসব?”
শিথি মাথা নেড়ে ‘না’ বুঝিয়ে তাড়াহুড়ো করে ওয়াশরুমের দিকে চলে গেল।ফ্রেশ হয়ে নিজেকে একবার আয়নায় দেখে নিল।নিজেকে ঠিকঠাক করে বেরিয়ে এলো শিথি।আকস্মাৎ তার চোখ জোড়া চলে গেল একদম কর্নারের টেবিলের দিকে।দেখতে পেল একটা ছেলের কোলে একটা মেয়ে ছেলেটির গলা জড়িয়ে ধরে বসে আছে।ছেলেটাকে কেমন চেনা চেনা লাগছে শিথির।তবে চেহারা তেমন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না মেয়েটার কারণে,, কারণ মেয়েটি একদিন ছেলেটার দিকে মুখ করে বসে। তারঐপর নিভু নিভু আলো হওয়ার দারুণ করো চেহারাই স্পষ্ট নয়।তবে সে এতটুকু সিওর ছেলেটাকে সে কোথাও একটা দেখেছে।

শিথি কৌতুহল মনে সেদিকটায় এগিয়ে গেল।টেবিলের অভিমুখে এসে চমকে উঠল সে। এটা’তো সেই ছেলেটা! যার সাথে তার দু’দিন দেখা হলো, ঝগড়া হলো। শিথি এবার বিড়বিড় করে বলে উঠল,

-“ছিঃ! তার মানে আমি এই ছেলের সম্বন্ধে যা ভেবেছিলাম তাই ঠিক।”
অকস্মাৎ মেয়েটি ছেলেটির ওষ্ঠে নিজের ওষ্ঠ স্পর্শ করল।শিথি অবাকের শেষ পর্যায় চলে গেল। দুহাত দিয়ে নিজের মুখ চেপে ধরলো।ত্বরান্বিত পা চালিয়ে লামিয়া আর ঋতুকে ডেকে আনতে চাচ্চিল,,,তাদের স্বপ্নের পুরুষের কার্যকলাপ দেখাতে চেয়েছিল দুজনকে।কিন্তু অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে এই শুকনো জায়গায় পায়ে পা লেগে ধকাস করে নিচে পড়ে গেল শিথি।

কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দে নুসাইব মেয়েটিকে নিজের কাছ থেকে সরিয়ে সত্বর উঠে দাড়ালো,,, পড়ে যাওয়া মেয়েটির সম্মুখে এসে তাকে তোলার জন্য হাত বাড়িয়ে দিতেই মেয়েটি আপনা-আপনি উঠে দাঁড়ালো।

কিছুটা অবাক হলো নুসাইব! যেখানে মেয়েরা তাকে দেখলে আশেপাশে ঘুরঘুর করে।তার স্পর্শ পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে। সেখানে এই মেয়ে তাকে ইগনোর করলো! ঈষৎ রাগ হলো তার।বিষয়টা একদম তার ইগো/তে গিয়ে অ্যাটাক করল। নিভু নিভু আলোতে এখনো মেয়েটির মুখ দেখতে পেলো না সে।সহসা মেয়েটি তার মুখপানে ফিরে তাকাতেই চমকে উঠল নুসাইব।অবাকান্বিত কণ্ঠে বলে উঠল,

-“আরে মিস আপনি এখানে!(কিছুটা ঝুঁকে শিথির শ্রবণ পথের সম্মুখে নিজের ওষ্ঠ এনে)নিশ্চয়ই বয়ফ্রেন্ডের সাথে ডেটে এসেছেন, এম আই রাইট?”
শিথি মুখ ঘুরিয়ে বলে উঠল,
-“সবাইকে নিজের মত চরিত্রহীন ভাবা উচিত না।”
কথাটা বলেই শিথি চলে এলো নিজেদের টেবিলে। শিথিকে দৃষ্টিপাত হতেই লামিয়া বিস্ময় কণ্ঠে বলে উঠল,

-“কিরে শিথি তুই এতক্ষন ওয়াশরুমে কি করছিলি?আমি সবে মাত্র তোকে ডাকতে যেতাম।কই ছিলি এতক্ষন!আর কি করছিলি।”
শিথি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে উঠল,
-“তোদের স্বপ্নের পুরুষের রাস/লীলা দেখছিলাম এতক্ষন।”
লামিয়া আর ঋতু অবাকের শেষ সীমানায় পৌঁছে বলে উঠল,

-কোন স্বপ্নের পুরুষ!আরেওই ছেলেটা?(দুজনের চোয়াল ঝুলে গেল)ওনাকে তুই কই পেলি এখানে?আর রাস/লীলা মানে!”
শিথি প্রগাঢ় শ্বাস ত্যাগ করে তখনকার সকল ঘটনা দুজনকে খুলে বলল।দুজন নিজেদের ঝুলন্ত চোয়াল সামলে বিস্মিত কণ্ঠে বলে উঠল,

-“বাপরে শিথি! তুইতো একদম ঠিক বলেছিলি। পোলা মানুষ দেখতে যত সুন্দর হবে তাদের চরিত্রই ঠিক ততটাই কুৎসিত হবে।”
নাক ছিটকে বলে উঠল লামিয়া।তার সাথে ঋতু ও সায় মিলালো।তারা তিনজন খাবার-দাবার শেষ করে হোস্টেলে উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ল।

চোখের উপর একহাত দিয়ে মাথা এলিয়ে রেখেছে নুসাইব। পুনরায় সেই মেয়েটি আহ্লাদে আটখানা হয়ে নুসাইবের কোল চেপে বসল।আলগোছে নুসাইবের কলোর স্পর্শ করে ন্যাকা কণ্ঠে বলে উঠল,

-“কি হয়েছে বেবি? তোমার কি মাথা ব্যথা করছে?মাথা টিপে দিব আমি।”
অকস্মাৎ নুসাইব লাল চোখে মেয়েটির পানে তাকালো। নুসাইবের এহেন চাহনি দৃষ্টিপাত হতেই অন্তর-আত্মা কেঁপে উঠল মেয়েটির। নুসাইব দৃঢ় কন্ঠে মেয়েটির উদ্দেশ্যে বলে উঠল,

-” চুপচাপ আমার কোল থেকে নেমে,,
এখান থেকে বিদেয় হও।পাঁচ মিনিটের ভিতর জায়গা ত্যাগ করবে।পাঁচ মিনিট পর আমি যদি তোমার মুখ দেখতে পাই!তাহলে এই দুনিয়ার মানুষ আর কোনোদিন তোমার মুখ দর্শন করতে পারবে না।গট ইট!”

কথাগুলো বলে পুনরায় চোখ বন্ধ করে মাথা এলিয়ে দিল সে।মেয়েটি আর এক মুহুর্ত দেরি না করে প্রাণপণ ছুট লাগল।
নিগূঢ় ভাবনায় বিভোর নুসাইব।তার আটাশ বছর জীবনী’তে আজ অবধি প্রত্যা/খ্যান মূলক শব্দটা খুব কমই শুনেছে।বরঞ্চ প্রতিনিয়ত সে কতশত মেয়ের হৃদয় ভঙ্গ করেছে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে,, তার হিসাব অগণিত। অথচ হাঁটুর বয়সী পুঁচকে একটা মেয়ে!কিনা বারংবার তাকে এড়িয়ে যাচ্ছে।তাকে প্রত্যাখ্যান করে চলছে।আজকে কিনা তাকে চরিত্রহীন! বলে গেল।ভাবা যায় এগুলো?বয়স অল্প হলেও কথা ঠিক চটাং-চটাং জানে মেয়েটি।

বয়সে হাঁটুর সমান হলেও কথাগুলো ঠিকই নুসাইবের মাথায় উপর দিয়ে যাচ্ছে। যবে থেকে এই মেয়ের সহিত দেখা মিলেছে তার তবে থেকেই তার জীবনে সকল কিছু কেমন উল্টো-পাল্টা হয়ে যাচ্ছে।নুসাইব তার এই আটাশ বছর জীবনে কম মেয়ের সহিত অন্তরঙ্গ হয়নি।কিন্তু আজকেই কেন তার এহেন অস্থিরতা অনুভব হচ্ছে? ঐ মেয়ে তাকে এই অবস্থায় দেখেছে বলে?

কিন্তু কেনো?তার তো কিছু যায়-আসার কথা নয়।কোনো কালেই সে সমাজের পরোয়া করিনি।না সমাজ নিয়ে সে কখনো ভেবেছে।তাহলে আজ কেন তার অন্তঃকরণে এতো ব্যাকুলতা?কেন আজ এতো বেসামাল হয়ে পড়ল তার বক্ষঃস্থল? ঘনঘন নিশ্বাস ত্যাগ করল নুসাইব।কিয়ৎকাল বসে রইল। সহসা গটগট পায়ে বেরিয়ে এলো হোটেল থেকে।ড্রাইভারকে বাড়ি ফেরার কথা বলে নিজে ড্রাইভিং সিটে বসে কার স্টার্ট দিল অজানার উদ্দেশ্যে।আগে নিজেকে শান্ত করাটা বেশি ইম্পর্টেন্ট মনে হলো নুসাইবের কাছে।

কেটে গেছে এক সপ্তাহ।এই এক সপ্তাহ শিথির জীবন আগেই ছন্দানু’সারের পেরিয়ে গেছে। টিউশনি যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজেকে তৈরি করছে সে।নিজেকে তৈরি করা শেষ হতেই বেরিয়ে পরল সে।

এখন প্রায় আঁধার নেমে আসছে।আজকে দুজনকেই কিছুটা দেরি করে পড়াতে এসেছে সে।যার দারুণ দুজনের পড়া শেষ করতে ও অনেকটা দেরি হয়ে গেছে।শানকে পড়ানো শেষে আরেক স্টুডেন্টকে পড়িয়ে হোস্টেলের পথে ফিরছিল শিথি। সন্ধ্যা হওয়ার সুবাদে লোকজনের আনাগোনা বেশ কম। আঁধারো নেমেছে প্রগাঢ়। খুব বেশি দেরি হয়ে গেছে তার।

আকস্মাৎ শিথি লক্ষ্য করল তার ঠিক কিছুটা সামনে কয়েকটা ছেলে বসে আছে। ঘাবড়ায় সে।চমকে উঠে।ওড়না দিয়ে নিজেকে ঠিকঠাক ঢেকে নিল।শিথি সর্বদা নিজের আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে নিজের ব্যাগে ছুরি আর পেপার স্প্রে রাখে।সন্তর্পনে শিথি ছুরি আর স্প্রেটা বের করে বাঁ হাতের মধ্যিখানে রেখে,, হাত পিছনে লুকিয়ে রাখল।

আতঙ্কিত মনে সামনের দিকে এগিয়ে গেল। ছেলেগুলোর অভিমুখে এলে সহসা একজন শিথির কর পাকড়াও করে ফেলল। পিল চমকে উঠল শিথির। ভয়ার্ত দৃষ্টিতে ছেলেগুলোর মুখপাশে তাকিয়ে শঙ্কিত কণ্ঠে বলে উঠল,

-“কি করছেন কি? হাত ছাড়ুন বলছি আমার। মেয়ে মানুষ দেখলেই গায়ে জ্বালা ধরে?”
ছেলেগুলো শব্দ করে বিভৎস হেসে উঠল।তাদের মধ্যে একজন বলে উঠল,
-“হ্যাঁগো সুন্দরী!তোমার মত এহেন সুন্দরী দেখলে প্রতিদিনই আমাদের গায়ে এহেন জ্বালা ধরে।”

আকস্মাৎ এক ভয়ঙ্কর কাজ করে উঠল শিথি।ছেলেগুলোর মুখে থু/থু ছুঁড়ে মারল। বলে উঠল,
-“তোদের কি বাড়িতে মা বোন নেই? মেয়ে মানুষ একা দেখলেই পুরুষত্ব জেগে উঠে?”
বেশ রেগে গেল ছেলেগুলো।একজন উঠে এসে শিথির চুলের মুঠি চেপে ধরল।তার মধ্যে একজন বলে উঠল,

-“ভাই সবে মাত্র আজকেই জেল থেকে বের হয়েছেন!আজকে এসবে না জড়ালে হয় না?”
ছেলেটির এহেন কথার লোকটি চোখ পাকিয়ে বলে উঠল,
-“কেন’রে তুই কি চাচ্ছিস এই সুন্দর পাখিটাকে ছেড়ে দেই।তুই বুঝি মজা নেস না।”

তাদের এহেন কথাবার্তার মাঝে শিথি পিছনের লোকটার জায়গা বরাবর কনুই মেরে দিল। অকস্মাৎ চিৎকার করে উঠল লোকটি।সত্বর হাত পাকড়াও করা ছেলেটির হাতেও ছুরি চালান করে দিল শিথি।সেও চিৎকার করে হাত ছেড়ে দিল শিথির।সুযোগ বু’ঝে ছুট লাগায় শিথি।প্রাণপণ ছুটে চলল সমীপে।লিডার লোকটি চিৎকার করে বলে উঠল,

আমার আছে জল পর্ব ৪

-“তাড়াতাড়ি ধর শা*লিরে।”
শিথির পিছনে ছেলেগুলো ও ছুট লাগাল।

আমার আছে জল পর্ব ৬