আমার আছে জল পর্ব ৬

আমার আছে জল পর্ব ৬
মাহিমা রেহমান

অফিস থেকে সবে মাত্র ফিরেছে তাহসিন। বড্ড ক্লান্ত লাগছে তার।আজকে অফিসে কাজের প্রেশারটা একটু বেশিই ছিল।তার বেশ কাঁধ আর মাথা ব্যাথা করছে।অফিস থেকে ফেরার পর প্রায় তার এহেন মাথা আর কাঁধ ব্যথা করতো।তখনই শিথি নবরত্ন তেল দিয়ে তার মাথা মালিশ করে দিত।সাথে কাঁধ ও মালিশ করে দিত ব্যথা কমায় জন্য।এতে বেশ উপকারই হতো।গলাটাও বেশ শুকিয়ে গেছে তাহসিনের।সহসা তাহসিন শিথিকে ডেকে উঠল,

-“শিথি কোথায় তু…..”
চমকে উঠল তাহসিন।আজ রিমির সাথে বিয়ে হয়েছে আজ প্রায় পঁচিশ দিন হতে চললো।কিন্তু সে প্রায় শিথিকে ডেকে উঠে।এই নিয়ে অবশ্য বেশ ঝগড়া হয়েছে তার আর রিমির মধ্যিখানে।সে তার এই অভ্যাস কোনোভাবেই পরিবর্তন করতেই পারছে না। অনেক চেষ্টা করছে।তবে মাঝে মাঝে হয়েই যায়।এতদিন একটা মানুষটা কাছে ছিল।হয়তো তাই। রুদ্ধশ্বাস ছাড়ল তাহসিন।পুনরায় হাঁক ছাড়ল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-“রিমি কোথায় তুমি?বেশ তৃষ্ণা পেয়েছে।একগ্লাস পানি নিয়ে আসোতো জলদি।”
কথাটা বলে তাহসিন গায়ের স্যুট-টাই খুলে বিছানার কার্নিশে মাথা এলিয়ে দিল।চোখ বন্ধ করে ঘনঘন নিশ্বাস নিল।আজকাল তেমন ভালো যায়না তাহসিনের। সব দিকে কেমন বিষাদের ছায়া ঘিরে থাকে।

বেশ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর যখন রিমি এলো না তখন পুনরায় রিমিকে ডেকে উঠল তাহসিন।কিঞ্চিৎ বিরক্ত মুখভঙ্গি করে ব্যালকনি থেকে রুমে প্রবেশ করল রিমি। ঝাঁঝালো কণ্ঠে তাহসিনের উদ্দেশ্যে বলে উঠল,
-“কি সমস্যা তাহসিন?এমন ষাঁড়ের মত চেঁচাচ্ছো কেনো?”
অবাক হলো তাহসিন।ব্যালকনি ছিল এতক্ষন রিমি?তার এতো হাঁক-ডাকের পরে ও এলো না।এলো তো এলো,, এতো বিরক্ত? কিঞ্চিত ললাট কুঁচকে রিমিকে বলে উঠল,

-” তোমাকে যে আমি সেই কখন এক গ্লাস পানি আনতে বলেছি? তা কি শোননি তুমি?”
রিমি ঈষৎ নিজের মুখ বাঁকিয়ে বলে উঠল,
-“হ্যা শুনতে পেয়েছি।কিন্তু যখন দেখছো আমি আসছি না, তখন একজন স্টাফকে কেনো বলোনি পানি দিয়ে যেতে?তোমাকে কি এখন পানিটা ও আমাকে এনে খাওয়াতে হবে? আজব!,তাছাড়া আমি খুব বিজি ছিলাম।”

চমকে উঠল তাহসিন। সামান্য একগ্লাস পানি চাওয়ায় তার সাথে এহেন ব্যবহার করছে রিমি?অথচ অফিস থেকে ফেরার সাথে সাথে শিথি তার জন্য ঠান্ডা ঠান্ডা জুস নিয়ে হাজির হতো।কিয়ৎ কাল বাদ তার জন্য গরম গরম কফি এনে তার মাথা মালিশ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ত। আর এই মেয়েকে একগ্লাস পানির কথা বলায় এই অবস্থা?যদিও এতদিন সে নিজেরটা নিজেই করে নিত।কিন্তু আজকে কিছুটা ক্লান্তির কারণে রিমিকে বলেছিল।এতেই এই অবস্থা?আর যদি তাকে মালিশ করবার কথা বলা হয় তখন সে কি করবে?তাহসিন কিছুটা রেগে রিমিকে বলে উঠল,

-“তা কি এমন মহাকার্য করতে ব্যস্ত ছিলে তুমি?”
-“কি আবার? আমার ফ্রেন্ডদের সাথে কথা বলছিলাম।”
আর কিছু বলল না তাহসান।কারণ সে জানে,,এখন কথা বাড়ালেই কথা বাড়বে।তাই একটা টিশার্ট আর ট্রাউজার নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল ফ্রেশ হতে।ফ্রেশ হয়ে মায়ের রুমের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ল।এখন কেবল মায়ের কাছে গেলেই শান্তি পাবে। যতক্ষণ রুমে থাকবে,, ততক্ষন রিমি কেবল তাকে অশান্তিই দিয়ে যাবে। খুবতো বলেছিল সেদিন শিথিকে,,,রিমির কাছে গেলে সে শারীরিক-মানসিক সকল শান্তি খুঁজে পায়! এখন হাড়ে-হাড়ে বুঝতে পারছে কেমন শান্তি? শিথিকে আজকাল তাহসিনের বড্ড মনে পড়ে।
অবশ্য সে ভুলতেই বা পেরেছিল কবে?সব জায়গায় সে কেবল শিথিকেই দেখতে পায়।এমনকি যখন রিমির সহিত অন্তরঙ্গ হতে যায়,,,তখন সে রিমির মধ্যে শিথিকেই খুঁজে বেড়ায়।কতবার তো রিমিকে ‘শিথি’ বলে সম্বোধন করেছে।হিসাব ছাড়া।অবশ্য এ’নিয়ে ও কম ঝগড়া হয়নি তাদের মাঝে। এই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে রিমি রেগে থাকলে দামী দামী গিফট দিয়ে তার রাগ ভাঙ্গতে হতো।

অপরদিকে কিছু গোলাপ ফুল আর আইসক্রিম-চকলেট শিথির সামনে রাখলেই সকল রাগ গায়েব হয়ে যেত তার।কথাগুলো ভেবেই স্মিত হাসলো তাহসিন। রুদ্ধশ্বাস ত্যাগ করে সামনের দিকে এগিয়ে গেল সে।

সবকিছু বিস্মৃতি করে শিথি প্রাণপণে ছুটতে লাগল। আকস্মাৎ শিথি তার সম্মুখে একটি গাড়ি দেখতে পেল, যা এদিকেই আসছে। সহসা শিথি গাড়িটার সন্মুখে গিয়ে দুহাত আগলে দাড়িয়ে পড়ল। ত্বরান্বিত গাড়িটি ব্রেক কষল। শিথি হাপাতে হাপাতে গাড়ির সম্মুখে গিয়ে উইন্ডোতে নক করল।ড্রাইভার উইন্ডো খুলে দিতেই সে শঙ্কিত কণ্ঠে আওড়াতে লাগল,

-“আমাকে একটু সাহায্য করুন, দয়া করে।আমার পিছনে একঝাঁক গুন্ডা লেগেছে।প্লিজ আমাকে একটু সাহায্য করুন।”(হাত জোড় করে)
ড্রাইভার সায় জানিয়ে পিছন ঘুরে করো সহিত কিয়ৎ কাল আলাপ-আলোচনা করে শিথির উদ্দেশ্যে বলে উঠল,

-“ম্যাডাম আমি ডোর লক খলে দিয়েছি আপনি গিয়ে তাড়াতাড়ি পিছনে বসে পড়ুন।”
কাল বিলম্ব না করে শিথি হাপরে গিয়ে পিছনের সিটে বসে সত্বর ডোর লাগিয়ে দিয়ে হাপাতে লাগল। সন্তর্পনে নিজের দেহখানা এলিয়ে দিল সিটে।সে যতই সাহসিকতা দেখাক?দিন শেষে সে’তো একটা মেয়েই। শিথি ও খুব ভয় পেয়েছিল।সেই ভয়ের রেশ এখনো তার চিত্ত কার্নিশে বিরাজ করছে।

অকস্মাৎ শিথির মনে হলো কেউ তার দিকে খুব গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।সত্বর ডান পাশে ফিরল সে।আর সহসা চমকে উঠল শিথি।সেই ছেলেটা? কি যেনো নাম? ভাবনায় বিভোর শিথি গভীর দৃষ্টিতে নুসাইবের দিকে তাকিয়ে রইল।এই লোকের দিকে একবার দৃষ্টিপাত করলেই বেশ বেসামাল হয়ে পড়ে আঁখি জোড়া।

আকস্মিক নুসাইব শিথির অভিমুখে ঝুঁকে নিজের ওষ্ঠকে বৃত্তাকার করে শিথির মুখের ঊর্ধ্বভাগে ফুঁ দিয়ে উঠল।ঈষৎ কেঁপে উঠল শিথি। ত্বরিত নিজ নয়ন জোড়া সামলে নিল সে। সংবিৎ শক্তি ফিরতেই আকস্মাৎ মৃদু চিৎকার করে অবাকান্বিত কন্ঠে বলে উঠল শিথি,
-“আপনি!”

এক ভ্রু কিঞ্চিৎ নীচত্ব করে শিথির পানে তাকিয়ে বলে উঠল নুসাইব,
-” তাহলে আপনি নিশ্চয়ই এখানে আপনার বয়ফ্রেন্ডকে আশা করেছিলেন?”
শিথি অকপট জবাব দিল,
-“আমার কোনো বয়ফ্রেন্ড নেই।”

কথাটা বলেই শিথি মুখ ঘুরিয়ে নিল।পূনরায় নুসাইবের করা প্রশ্নে শ্রবণপথ ঝাঁ ঝাঁ করে উঠল।নুসাইব জিজ্ঞেস করে উঠল,
-“তাহলে নিশ্চয়ই হাসবেন্ড?”
শিথি এবার নিজের আঁখি জোড়া বন্ধ করে নিল। ঘনঘন নিশ্বাস ত্যাগ করে নিজেকে শান্ত করল। কাঠখোট্টা কণ্ঠে বলে উঠল,

-“আমার কোনো হাসবেন্ড ও নেই।”
শব্দগুলো নুসাইবের কর্ণকুহর অবধি পৌঁছানোর সাথে সাথে সে অপরপাশে মুখ ঘুরিয়ে বসে আপন চিত্তে সিটি বাজানো শুরু করল।রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে শিথির।এই লোকের এতো ঢং তার মোটেও সহ্য হয় না।আকস্মিক নুসাইব শিথির উদ্দেশ্যে বলে উঠল,

-“তা আপনি এখন কোথায় যেতে চাচ্ছেন ম্যাডাম? আই মিন ড্রাইভারকে কোন দিক গাড়ি ঘোরাতে বলব?”
শিথি ইতস্তত স্বরে বলে উঠল,
-“একচুয়ালি আপাদত হোস্টেলে ফিরতে চাই।কারণ এখন আমি কোথাও নামতে চাচ্ছি না।আবার কখন কোন বিপদ হা/না দেয়!তাছাড়া লোকগুলো যে আমার পিছন ছেড়েছে তারও কোনো ভরসা পাচ্ছিনা।

আসলে আমি তেমন সাহস ও পাচ্ছি না(মাথা নত করে)তাই প্লিজ আমাকে কাইন্ডলি একটু কষ্ট করে হোস্টেলের সামনে নামিয়ে দিয়ে আসুন।”
অদ্ভুত হাসলো নুসাইব।শিথির মুখপানে ঈষৎ ঝুঁকে বলে উঠল,
-“গুন্ডাদের থেকে বাঁচতে,,একজন চরিত্রহীন পুরুষের কাছে সাহায্য চাইতে এলেন?”
অদ্ভুত সেই চাহনি।অদ্ভুত সেই ওষ্ঠ কার্নিশ হাসি। অসস্তিতে পড়ে গেল শিথি।আমতা আমতা করে কিছু বলতে নিবে সহসা নুহাইব বলে উঠল,

-“ঠিকানা দিন হোস্টেলের।”
শিথি আর কিছু বলতে পারল না। ঠিকানা দিয়ে জানালার দিকে মুখ করে বসে রইল।

শান্তি নিকেতন হোস্টেলের সমীপে গাড়ি এসে থামতেই নেমে পড়ল শিথি।যেতে নিয়ে পূনরায় ফিরে এলো।নিজ মনে আওড়াতে লাগল,
-“একটা ধন্যবাদ তো দেয়াই যায়।”
কারের অভিমুখে এসে যেই গ্লাসে টোকা দিতে যাবে, সহসা ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দিল।চোয়াল ঝুলে গেল শিথির।লোকটা ইচ্ছে করেই এমনটা করল তা বেশ ভালোই বুঝতে পেরেছে শিথি।নুসাইবকে বকতে বকতে শিথি হোস্টেলের ভেতর চলে গেল।

-“কি বলছিস কি?তুই আর টিউশনিটা করবি না?কিন্তু কেনো?কত কষ্ট করে এই দুইটা টিউশনি জোগাড় করেছিলাম জানিস?”
বিস্মিত কণ্ঠে শিথিকে জিজ্ঞেস করে উঠল লামিয়া। রুদ্ধশ্বাস ত্যাগ করে সকল ঘটনা খুলে বলল শিথি।চমকে উঠল লামিয়া ঋতু দুজন।দুজনই উদ্বিগ্ন কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে উঠল,

-“তুই ঠিক আছিস তো?”
উপর নিচ মাথা নেড়ে সায় জানাল শিথি।দুজন সস্তির শ্বাস ত্যাগ করে পুনরায় জিজ্ঞেস করে উঠল,
-“কিন্তু তুই হোস্টেলে ফিরলি করে?”
শিথি ইতস্তত বোধ করতে করতে বলে উঠল,

-“ঐযে আছে না,,ওই ছেলেটা!,যায় সাথে আমাদের দেখা হলো প্রায় কয়েকদিন প্লে-বয় টাইপ উনি।”
লামিয়া ভ্রু কিঞ্চিৎ উচুঁ করে ভাবনায় বিভোর হলো।আকস্মাৎ অবাক নয়নে তাকিয়ে বলে উঠল,

-“আরে!আজও উনি?কি ব্যাপার বলতো?(শিথিকে মৃদু ধাক্কা দিয়ে)তোরই খালি ওনার সাথে দেখা হচ্ছে!সামথিং সামথিং(সুর টেনে)।”
শিথি নির্নিমেষ তাকিয়ে বলে উঠল,
-“যা ভাবছিস তেমন কিছুই না।তোদের মত আমি এহেন রঙিন চশমা লাগিয়ে ঘুরিনা চোখে।বাস্তবতা এতটা ও সুন্দর না।”
কথাগুলো বলে শিথি ফ্রেশ হতে চলে গেল।

ফজরের নামাজ পড়ে প্রাতঃভ্রমণে বের হয় ওরা তিনজন।বেশকিছুক্ষন হেঁটে লামিয়া একটা চায়ের দোকানের বেঞ্চে গিয়ে বসে পড়ল।কারণ তারা ফেরার পথে প্রায়ই এখানে বসে চা খায়।ঋতু চায়ের দোকানির উদ্দেশ্যে বলে উঠল,

-“মামা কড়া লিক্যার দিয়ে তিনকাপ দুধ চা দিন।”
কথাটা শেষ করে ঋতু আজকের পত্রিকা পড়বার উদ্দেশ্যে তা হাতে তুলে নিল। শিথির উদ্দেশ্যে বলে উঠল,

-” বুঝেছিস শিথি তুই তো আর টিউশনি করবি না। তাই দেখি তোর জন্য কোন চাকরি খুঁজে পাই নাকি?দেখি পত্রিকায় ভালো কোনো চাকরির বিজ্ঞাপন পাই কিনা?”
শিথি ললাট কুঁচকে বলে উঠল,
-“টিউশনি করবো না কখন বললাম?শানকে অবশ্যই পড়বো।কেবল সামনের টিউশনিটা ছেড়েছি।কালকের কাহিনী’তো সব শুনলি। এতো রিস্ক নিয়ে পড়ানো যায় নাকি?”
ঋতু একই ভঙ্গিমায় বলে উঠল,

-“কর কর! যত মন চায় তত টিউশনি কর।কিন্তু চাকরি পেলে আরো ভালো হবে বুঝলি।”
অকস্মাৎ ঋতু মৃদু চেঁচিয়ে উঠল।লামিয়া আর শিথি ওর দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকাল।ঋতু ফিচলে হেসে উৎসাহিত কণ্ঠে বলে উঠল,
-” চৌধুরী ইন্ডাস্ট্রি লি. কোম্পানির পি.এ নিয়োগ দিচ্ছেন তারা।তুই চাইলে ট্রাই করে দেখতে পারিস।”

শিথি ভাবহীন ভঙ্গিতে কপোলে হাত রেখে বলে উঠল,
-“আমার কি আর সেই কপাল? এতো হায়ার এডুকেশনাল পারসোনদের মাঝে আমাকে কেউ পাত্তাই দিবে না।”
লামিয়া ও সায় মিলালো।ঋতু আগের মতোই বলে উঠল,

-“রাখ তোর পাত্তার গুষ্ঠি কিলাই!তুই একবার গিয়ে তো দেখবি নাকি? সো তুই কাল যাচ্ছিস ব্যাস।”

বাগানে বসে আকলিমা বেগম চা পান করছেন। সহসা তার পাশে এসে বসে পড়ল তাহসিন।আকলিমা বেগম নির্নিমেষ ছেলের মুখপানে তাকিয়ে বলে উঠল,
-“গত পনেরো দিন তো তোমরা হানিমুন করেই কাটিয়ে দিলে। আর তোমার বউকে তো মনে হয়না এই কদিনে সকালে উঠলে দেখেছি একবারও।”

তাহসিন ঈষৎ লজ্জা পেল। আসলেই তারা বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই বিশাল লম্বা একটা ট্রিপ দিয়েছিল।বাড়িতে ফিরেছে আজ এক সপ্তাহ।নিজেদেরকে নিয়ে তারা এতটাই ব্যস্ত ছিল যে,,তার মা যে বাসায় একা ছিল সেই কথা মাথাই ছিল না।
আকলিমা বেগম পুনরায় বলে উঠল,

-“তা তোমার বউ নামাজ-কালাম করে তো? নাকি কেবল খায়-দায় আর ঘুমায়? শিথি কিন্তু পুরো সংসার সামলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতো।
আকস্মাৎ তাহসিনের চিত্তে কেমন অচেনা এক ব্যথা অনুভব হলো।তাইতো! শিথিতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতো।এমন কি তাকেও সকাল বেলা ঘুম থেকে টেনে তুলে দুজন একসাথে নামাজ পড়তো। শিথির দেখা-দেখি তারও পুরো বেলার নামাজ আদায় হয়ে যেত।

আমার আছে জল পর্ব ৫

কিন্তু শিথি যাওয়ার পর থেকে আজ অবধি সে এক ওয়াক্তের নামাজ আদায় করেছে কিনা সন্দেহ?এমন কি সে তো আজ সকালে উঠেছে কেবল জিম করতে।হঠাৎ তাহসিনের চোখ দুটো কেমন জ্বলে উঠল।

আমার আছে জল পর্ব ৭