আমার গল্পে তুমি পর্ব ১৬+১৭+১৮

আমার গল্পে তুমি পর্ব ১৬+১৭+১৮
সুমাইয়া সুলতানা সুমী

মাথাটা বেথ্যায় ছিঁড়ে যাচ্ছে তবুও আস্তে করে চোখটা খুললাম দেখলাম আমি আমার নিজের রুমে কপালের উপর হাত দিয়ে দেখি ভিজা একটা কাপড়ের টুকরো অনেক কষ্টে উঠে বসলাম পাশে তাকিয়ে দেখি আর্দ্র চেয়ারে বসে ফোন দেখছে,, আমি হালকা কাশি দিতেই ওনি ফোন রেখে আমার দিকে তাকালো,,, এই মেয়ে তুমি নিজেকে কি মনে করো হ্যাঁ তুমি অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকবে আর আমি সব কাজ ফেলে তোমার সেবা করবো?? ভুলে যেওনা আমরা এখানে কাজ করতে এসেছি বেড়াতে আসিনি সো এর পর থেকে এমন করবে না যদি করো তাহলে তোমাকে রেখেই চলে যাবো যত্তসব, কথাগুলো বলে আর্দ্র গটগট করে রুমে থেকে বেরিয়ে গেলো ,।

কি হলো এটা ওনি আমাকে এতোগুলো কথা শুনালো কেনো কি করেছি আমি, হ্যাঁ কালকে বৃষ্টি তে ভিজতে ভিজতে হোটেল থেকে একটু দূরে চলে গিছিলাম পরে রাস্তা চিনতে পারছিলাম না তারপর মাথাটা কেমন বেথ্যা করছিলো আর তো কিছু মনে নেই।,,, ইয়নার ভাবনার মাঝেই হোটেলের একজন স্টাপ খাবার নিয়ে আসলো।
ম্যাম খাবারটা খেয়ে নিন স্যার পাঠিয়েছে।
আচ্ছা আপনি কি বলতে পারবেন যে আমি এখানে কীভাবে আসলাম আমি তো বাইরে ছিলাম।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আসোলে ম্যাম অতিরিক্ত বৃষ্টি তে ভেজার জন্য জ্ঞান হারিয়ে হোটেল থেকে একটু দূরে পরেছিলেন তখন আমাদের হোটেলের একজন দেখতে পেয়ে আমরা স্যারকে বলি তারপর স্যারই আপনাকে কোলে নিয়ে হোটেলে নিয়ে আসে আর রাতে আপনার অনেক জ্বর হয়েছিলো স্যার ডাক্তার নিয়ে আসলে ডাক্তার আপনাকে দেখে চলে যাওয়ার পর স্যারই আপনার মাথায় জলপট্টি দিয়েছিলো আর এখন আপনি একদম সুস্থ, যাই বলেন ম্যাম স্যার কিন্তু অনেক ভালো আর কেয়ারিং।
কিহ মিস্টার আর্দ্র আমাকে কোলে করে নিয়ে এসেছিলো?? আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না,, আসোলে লোকটার বাইরে টা অনেক শক্ত অনেক কঠোর আর ইগোতে ভরা কিন্তু মনটা ভালো হুমম এর জন্য ওনাকে একটা ধন্যবাদ দেওয়াই যেতে পারে।

আআআআআআআআ,, এভাবে রুমের মধ্যে কেউ শুধু টাওয়াল পড়ে ঘুরে বেড়ায় ছিঃ আপনার একটু লজ্জা নেই।
ইউ?? তুমি এখানে কি করছো আর এটা আমার রুম আমি এখানে যেভাবে ইচ্ছে থাকবো তাতে তোমার কি?? আর তুমি যাও এখান থেকে তোমার জন্য কাল সারারাত ঘুমাতে পারিনি এখন আমি একটু রেস্ট নেবো দেন দশটার দিকে বেড়োতে হবে।
আমি অসুস্থ তবুও আমাকে দিয়ে কাজ করাবে হার্টলেস একটা ,,, আচ্ছা শুনুন আমি এখানে আপনাকে ধন্যবাদ দিতে এসেছিলাম।
কিসের জন্য??

কালকে আমার এতো কেয়ার নেওয়ার জন্য কালকে আপনি না থাকলে,,,,
হয়েছে তোমার বলা শেষ ?? তাহলে শোনো আমি তোমার কেয়ার করেছি আমার সুবিধার জন্য কেননা তুমি যদি আজকে অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকতে তাহলে আমাকেও তোমায় দেখার জন্য সব কাজ ফেলে বসে থাকতে হতো আর ওদিকে আমার কোম্পানির লস হতো,, এই জন্য আমি তোমার কেয়ার করেছি এতে অন্যকিছু ভাবার দরকার নেই,, এখন যাও গিয়ে একটু রেস্ট নিয়ে নাও একটু পর আমার সাথে বেড়োতে হবে।
তারমানে ওনি ওনার নিজের সার্থের জন্য এমনটা করেছেন, কি খরাপ লোক ,,, যাও বা ধন্যবাদ দিতে চেয়েছিলাম সেটাও দেবো না ,,, আমি আসছি।

কেমন লোক হৃদয় বলতে কিছুই নেই ভিতরে বাইরে ইগোতে ভরা ,, সেদিনকার মতো সব কাজ শেরে আমরা সন্ধ্যার দিকে হোটেলে ফিরলাম, কালকেও থাকার কথা ছিলো কিন্তু কাজ শেষ হয়ে গেছে তাই আমরা কালকেই চলে যাবো ,, সারা দিন এতো কাজ করেছি সারাক্ষণ ওনার পিছু পিছু থাকতে হয়েছে,, বাড়ি গিয়ে আবার পড়তে হবে সামনের মাস থেকে আবার আমার ফাইনাল ইয়ারের পরিক্ষা, ক্লান্ত শরীলটাকে বিছানয় এলিয়ে দিলাম এখন একটা লম্বা ঘুম দিতে হবে।

আর্দ্র হোটেলে এসে রুমে আসার সময় দেখল একদল ছেলেমেয়ে গিটার নিয়ে গান গাইতে গাইতে রুমে যাচ্ছিলো আর্দ্রর পাশের রুমেই,, আর্দ্র ওদের কাছে গিয়ে বলল একটু সময়ের জন্য গিটার টা দিতে যদিও আর্দ্রর বাড়িতে গিটার আছে আজকে ওদের দেখে বাজাতে মন চাচ্ছে তাই চাইলো গিটারটা নিয়ে ব্যলকণিতে গিয়ে মেঝেতে বসে গিটারে সুর তুললো গান গাইলো না শুধু গিটার বাজাচ্ছে,, গানের সুর শুধু ,, ইয়ানা কেবলি চোখটা বন্ধ করেছিলো তখনি গিটারের সুর শুনে উঠে বসল ,, এতো সুন্দর করে কে গিটার বাজাচ্ছে ,, এক পা দু পা করে বেলকনিতে গেলো ইয়ানা তারপর পাশে তাকিয়ে দেখলো আর্দ্র চোখ বন্ধ করে একমনে গিটার বাজাচ্ছে মাঝে মাঝে চোখ খুলছে।

এনি এতো সুন্দর করে গিটার ও বাজাতে পারে?? ওনার মতো হৃদয়হীন মানুষের মধ্যে ও এতো সুন্দর সূর আছে ভাবা যায় ,,, ইয়ানা ও চোখ বন্ধ করে আর্দ্রর গিটারের সূর অনুভব করতে লাগল ,, হয়ত এখান থেকেই এদের ভালোবাসার সূচনা হবে।
সকালে ইয়ানা ব্যাগে সব কিছু ভরে বেডের উপর ফোনটা নিয়ে ব্যাগটা কাধে ঝুলিয়ে নিচে গেলো খেতে কেননা আর্দ্র বলেছে যে আজকে সকাল সকাল বেরোতে হবে তাই একে বারে রেডি হয়ে নিচে নেমেছি,, আর্দ্র স্যার তো বলেছিলো বাস ছাড়বে নয়টায় এখন কেবল আটটা বাজে হাতে এখনো ঘন্টা খানিক মতো সময় আছে তাই ইয়ানা খেয়ে হোটেলের একজন স্টাফ কে বলল ওকে যেনো বাজারটা চিনিয়ে দেয় ও কিছু কেনাকাটা করবে, তো সেই অনুযায়ী হোটেলের লোকটা ইয়ানাকে সবকিছু বলে দিলো ইয়ানা সেই মোতাবেক হালকা কিছু শপিং করতে চলে গেলো।

এই মেয়েটা কে নিয়ে কি করবো আমি সাড়ে আটটার বেশি বেজে গেছে ওনার কোনো পাত্তাই নেই মন চাচ্ছে ওকে রেখেই চলে যায় ,, কোথায় গেছে কে জানে।
স্যার আপনাদের তো আজকে যাওয়ার কথা ছিলো তাহলে আপনি এখনো দাঁড়িয়ে আছেন কেনো?? কাউকে খুঁজছেন??
হুমম কালকে যে মেয়েটা অঙ্গান অবস্থায় পড়ে ছিলো মানে আমার সাথে যেই মেয়েটা এসেছে ওকে দেখেছেন কোথাও??
হ্যাঁ দেখেছি তো ওনি একটু আগে ওই বাজারের দিকে গেছে।

,, হোয়াট?? বাজারে গেছে?? ওকে তো ,,, আর্দ্র রেগে গজগজ করতে করতে হোটেল থেকে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ইয়ানাকে ফোন করল কিন্তু ইয়ানা ফোন ধরল না, , ধরবে কিভাবে ওর ফোন তো ও সাইলেন্ট করে ব্যাগে রেখেছে ,, আর্দ্র রেগে আগুন হয়ে একের পর এক ইয়ানাকে ফোন করেই যাচ্ছে ,, এদিকে ইয়ানা মনের সুখে শপিং করছে তারপর ওর মনে পড়ল নয়টার সময় তো ওদের বাস তড়িঘড়ি করে ব্যাগ থেকে ফোনটা বার করে দেখল নয়টা দশবাজে আর আর্দ্র গুনে গুনে ওকে দশবার কল দিয়েছে ,, এইরে আজকে তো আমার অবস্থা খারাপ ওনি যে রাগী, আচ্ছা ওনি আবার আমাকে রেখে চলে যায়নি তো?? তাহলে তো আমি শেষ, ইয়ানা আর্দ্র কে ফোন করতে গেলে ওর ফোনটা বেজে উঠল আর্দ্র কল দিয়েছে ইয়ানা ভয়ে ভয়ে ফোনটা রিসিভ করে কানে রাখতেই আর্দ্র বলল,, পাঁচ মিনিটের মধ্যে বাস স্টপে আসো নয়ত আমি চলে যাবো তোমাকে রেখেই।

আরে কিন্তু,, যাহ কেটে দিলো এখন আমি এতো ব্যাগ নিয়ে যাবো কীভাবে?? ইয়েস আইডিয়া ,,, ইয়ানা সব গুলি শপিং ব্যাগ ভাজ করে ওর ব্যাগের ভেতর ঢুকায়ে দৌড় দিলো,,, দৌড়ে বাস স্টপে এসে হাঁপাতে লাগলো তারপর ফোনটা বার করে দেখল অলরেডি সাড়ে নয়টা বাজে আর আর্দ্র ওর পাশেই দাঁড়িয়ে আছে ইয়ানা একটা শুকনো ঢোক গিলে বলল,,, বাস কি চলে গেছে?? ব্যাস আর্দ্রর রাগ বাড়ানোর জন্য ইয়ানার এই একটি কথাই যথেষ্ট ছিলো আর্দ্র রেগে বোম হয়ে দাঁত কিড়মিড় করে বলল,,,

তো?? তোমার জন্য কি এখনো বসে থাকবে?? এই তোমার কোনো কমনসেন্স নাই?? তোমাকে আমি কালকে কত বার করে বললাম যে আজকে সকাল নয়টায় বাস তবুও তুমি সেই লেট করলে আসোলে তোমাকে রেখে আমার চলে যাওয়াই ভালো ছিলো।
ইয়ানা চুপ করে মাথা নিচু করে আছে তারপর আস্তে করে বলল,, এতো রাগ করার কি আছে পরের বাসে গেলেই তো হয়।
হুমম তোমার জন্য এখানে ঢাকাগামী বাস অনেক গুলি রাখা হয়েছে যাও যাও উঠে পড়ো,, যত্তসব,, আর্দ্র ইয়ানাকে বকা শেষে পকেটে হাত দিয়ে দেখল ওর মানিব্যাগ নেই,,, ওহ শিট।

কি হয়েছে??
আমার ওয়ালেট মনে হয় চুরি হয়ে গেছে??
কিহ?? তাহলে এখন যাবো কীভাবে?? নিজের ওয়ালেট সামলে রাখতে পারে না আবার আমাকে জ্ঞান দেয়।
কিছু বললে??
না,, বলছি কি এখন তাহলে কি করবো আমরা ঢাকা ফিরবো কীভাবে??
কেনো তোমার কাছে টাকা নেই?? তোমার টাকা দিয়ে ফিরবো তারপর আমি ওখানে গিয়ে দিয়ে দেবো।
,, আসোলে আমি তো ওতোটাকা আনিনি আসার সময় তো আপনিই টাকা দিয়ে দিলেন যেহেতু অফিস থেকে এসেছি তাই সব খরচ আপনার এই জন্য আমি টাকা আনিনি শুধু এক হাজার টাকা এনেছিলাম।

,,, হবে একহাজার টাকাতেই হবে দাও।
,, টাকা নেই তো,, ভয়ে ভয়ে বলল ইয়ানা।
,, নেই মানে কি করেছো??
,, ইয়ে মানে শপিং করে সব টাকা ফুরাই গেছে এখন ব্যাগে একশো টাকার একটা নোট আছে দেবো??
,, নাহ ওটা তুমি চিবায়ে চিবায়ে খাও ইডিয়ট,, রাগে কড়মড় করে বলল আর্দ্র।

এই যে মিস্টার আর্দ্র আর কত এভাবে হাঁটবো আমার তো পা বেথ্যা করছে ,, আরে এই মিস্টার কথা কানে যাচ্ছে না আমি এতোক্ষণ ধরে বকবক করছি , এতো বড়লোক হয়ে লাভ কি যদি পায়েই হাঁটতে হয়। ইয়ানার একটা কথাও যেনো আর্দ্রর কানে যাচ্ছে না , আর্দ্র তো একমনে নিজের ট্রলি ব্যাগটা ডান হাত দিয়ে ধরে বাম হাতে নিজের কোটটা রেখে হেঁটে যাচ্ছে ,, এদিকে ইয়ানা আর্দ্রর সাথে হেঁটে না পেরে রিতীমত দৌড়াচ্ছে কেননা আর্দ্র অনেক জোরে হাঁটছে ,, আর্দ্র হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ করেই থেমে গেলো আর ইয়ানা দৌড়ে এসে আর্দ্র বুকের সাথে ধাক্কা খেলো কেননা ও বুঝতেই পারিনি আর্দ্র রাস্তার মাঝে এভাবে থেমে পরবে।

তুমি কি সব সময় উৎ পেতে থাকো যে কখন আমার সাথে ধাক্কা খাবে?? আর হ্যাঁ এখন যদি আর একটা কথাও বলো তো তোমাকে রেখেই আমি চলে যাবো।
সরি মিস্টার আর্দ্র আমি আর হাঁটতে পারবো না আমার পা বেথ্যা করছে এই যে এই গাছটার উপর বসলাম আমি আর এক পা ও নড়ছি না।
ওকে তাহলে তুমি বসে থাকো এখন তো দুপুর একটু পর বিকেল হবে তারপর সন্ধা দেন রাত তখন বুঝবে মজা আর এটা তো পাহাড়ি অঞ্চল রাতের বেলা কি হতে পারে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছো ,, ওকে তুমি থাকো আমি গেলাম।

আর্দ্রর কথা শুনে ইয়ানা একটা শুকনো ঢোক গিলে বলল ,, আরে আমি তো এমনি বলছিলাম আমার কোনো পা টা বেথ্যা করছে না চলুন আজকে হেঁটেই বাড়ি চলে যাবো ,,, কি হলো এমন করে তাকিয়ে আছেন কেনো??
হেঁটে যেতে কমপক্ষে দশ থেকে এগারো দিন লাগবে তুৃমি তাহলে তাই করো ওকে ,, এখন থেকে তুমি তোমার রাস্তায় আমি আমার রাস্তায় তাছাড়া তোমার সাথে আর বেশিক্ষণ থাকলে আমি পাগল হয়ে যাবো এতো বকবক কেউ কি করে করতে পারে ,, কথা গুলো বলে আর্দ্র চলে গেলো।

কেমন মানুষ রে বাবা এভাবে একটা মেয়েকে কেউ একা রেখে যায়?? হার্টলেস একটা , তাও আবার অজানা অচেনা একটা জায়গায় ধ্যাত , , ইয়ানা বসা থেকে উঠে আবার দৌড় দিলো কেননা আর্দ্র হেঁটে অনেকটা দূরে চলে গেছে ,, ভাগ্যক্রমে আর্দ্র ফোনটা হাতে থাকায় নিতে পারিনি আর্দ্র অনিককে ফোন করে বলে দিয়েছে অনিক গাড়ি নিয়ে বেরিয়েও পরেছে কিন্তু মাঝ পথে এসে গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ার আস্তে এতো দেরি হচ্ছে ,, দেখতে দেখতে সকাল গড়িয়ে দুপুর , আবার দুপুর গড়িয়ে রাত হয়ে গেলো অনিকের আসার কোনো খোঁজই নেই ,, ইয়ানার কাছে থাকা সেই একশো টাকা দিয়ে দুজনে হালকা কিছু খেয়ে নিয়েছে।

মিস্টার আর্দ্র এখন তো রাত হয়ে গেলো অনিক ভাইয়ার তো কোনো খোঁজ নেই , আপনি আমায় যাই বলেন না কেনো আমি আর হাঁটতে পারবো না আমি শেষ অনেকটা হেঁটেছি আমার এই বাইশ বছরে এতোটা কখনোই হাঁটিনি ,, এটা বলে ইয়ানা রাস্তায় বসে পড়ল আর্দ্রও কিছু বলল না কেননা হেঁটে ওর অবস্থা ও খারাপ আর্দ্র চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকল কিছু একটা করতে হবে কেননা এভাবে রাতের বলা অচেনা জায়গায় রাস্তায় বসে থাকা যাবে না যেকোনো সময় বিপদ হতে পারে ও একা থাকলে সম্যসা ছিলো না কিন্তু সাথে ইয়ানা রয়েছে ,, এসব ভাবতেই আর্দ্র সামনে তাকিয়ে দেখলো পাঁচ ছয় টা ছেলে ওদের দিকেই আসছে হাতে আবার কিসের বস্ক হয়ত মদ হবে জঙ্গলে বসে খাওয়ার জন্য যাচ্ছে , আর্দ্র ইয়ানার হাত ধরে টেনে সাইডে চলে গেলো।

আরে আরে আপনি এভাবে আমায় টেনে এখানে আনলেন কেনো??
, সামনে তাকিয়ে দেখো।
, ইয়ানা সামনে তাকিয়ে দেখলো পাঁচ ছয়টা ছেলে মিলে ওরা যেখানে ছিলো সেখানে গোল হয়ে বসে বাক্স থেকে বতল মতো কিছু একটা বার করছে ,, আপনি ওদের দেখে ভয় পেয়ে আমায় এখানে আনলেন?? মিস্টার আর্দ্র আপনার এই বডি দিয়ে কি হবে যদি মারামারিই না করতে পারেন।

,, ওহ রিয়েলি?? শোনো ভালো করে তাকিয়ে দেখো ওরা ছয় জন আর আমি যদি এখানে একা থাকতাম তাহলে ওরা আমায় কিছু বললে আমি ওদের সাথে লড়তে পারতাম কিন্তু আমার সাথে তুমি ও আছো, ধরো আমি ওদের সাথে মারামারি করছি আর সেই ফাঁকে দুজন তোমায় নিয়ে জঙ্গলে নিয়ে গেলো , নিতেই পারে কেননা ওরা ছয় জন আর আমি একা কয় জন কে সামলাবো ,, তারপর তোমায় জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ,, নিশ্চয়ই বুঝতে পারছো এরপর কি হবে,,, তো কি বলো যাবো??
আর্দ্রর কথা শুনে ইয়ানা ভয় পেয়ে আস্তে করে আর্দ্র ডান হাত ধরে বলল,, থাক আপনার মারামারি করা লাগবে না কেননা মারামারি করা খুবি খারাপ এতে শরীলের অনেক ক্ষতি হয়।

এবার লাইনে এসেছো ,, এরপর আর্দ্র ইয়ানাকে নিয়ে আস্তে করে ওই ছেলেদের পিছন দিয়ে চলে গেলো কিছুদূর যাওয়ার পরেই ওদের সামনে একটা গাড়ি থামল গাড়ির সামনে আলো থাকায় আর্দ্র দেখতে পেলো না কে ,, পরে গাড়ি থেকে অনিক নেমে ওদের সামনে এসে বলল,, তোরা ঠিক আছিস তো?? আসলে গাড়ি নষ্ট হয়ে গিছিলো তাই আসতে এতো দেরি হলো উঠ গাড়িতে।
আর্দ্র আর কথা বাড়ালোনা কেননা ভীষণ ক্লান্ত লাগছে ,, ইয়ানা তো গাড়িতে ওঠে সিটে গা এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে এখন শান্তি লাগছে। ওরা বাড়ি যেতে যেতে রাত প্রায় দুইটা বেজে গেলো ইয়ানা তো বাড়ি গিয়েই সটান করে শুয়ে পড়ল আর মাকে বলল সব কথা সকালে হবে এখন ভীষণ ক্লান্ত । আর্দ্র ইয়ানাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়েই নিজে বাড়ি ফিরে রুমে যেতে গেলে অন্তরা বলল , লিজা এসেছে এতোক্ষণ তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলো পরে ঘুম আসছিলো বলে রুমে চলে গেছে।

ওর সাথে সকালে কথা বলল ভাবি এখন আমি ভীষণ ক্লান্ত অনক ঘুম পাচ্ছে , এই বলে আর্দ্র হেলেদুলে রুমে চলে গেলো। কি হলো তুমি আবার এখানে দাঁড়িয়ে কি এতো ভাবছো?? আর তুমি এখনো ঘুমাওনি কেনো জানো না এসময় রাতজাগা ঠিক নয়।
জানো তো অনিক আমার না আর্দ্রর জন্য অনেক চিন্তা হচ্ছে ।
কেনো??
কেনো তুমি জানো না?? লিজা কতটা পাগল আর্দ্রর জন্য সেই ছোট্ট বেলা থেকে কিন্তু আর্দ্র তো লিজাকে বন্ধুই ভাবে লিজা তো আর্দ্রর জন্য খুন করতেও দ্বিধাবোধ করবে না।
হুম আমিও তো জানি তবে এককাজ করলে কেমন হয় বলতো??
কি কাজ??
যদি লিজার সাথে আর্দ্রর বিয়ে দিয়ে দিই তাহলেই তো হয়ে যায়।

তুমি কি পাগল হয়ে গেছো অনিক ,, আর্দ্র বিয়ে করবে?? আর লিজাকে আমার তেমন একটা ভালো লাগে না কেমন সব পোশাক পরে তবে আমার ইয়ানা কে ভীষণ ভালো লাগে আচ্ছা ইয়ানাকে যদি আর্দ্রর বউ করে আনি তাহলে??
ক্ষপেছো তুমি?? দাখোনি ওদের সম্পর্ক কেমন সাপে নেউল আর লিজা বিদেশি তাই ওমন পোশাক পড়ে।
এই তুমি লিজার হয়ে এতো কথা বলছো কেনো?? থাকো তুমি তোমার লিজাকে নিয়ে আমি গেলাম।
আরে রাগ করো কেনো এই অন্তরা শোনো ,,, কিন্তু কে শোনো কার কথা অন্তরা রেগে লাল হয়ে রুমে চলে গেছে, বেচারা অনিক আর কি করবে ও অন্তরার পিছনে পিছনে রুমে চলে গেলো এখন আবার তার বউ এর রাগ ভাঙ্গাতে হবে।

ইয়ানা সকালে ঘুম থেকেই উঠেই তড়িঘড়ি করে রেডি হয়ে খেতে বসে গেছে কেননা কালকে রাতে দেরি করে ঘুমানোর জন্য আজকে সকালে উঠতে দেরি হয়ে গেছে, আজকে আবার অফিসে অনেক কাজ একেতে দুইদিন মতো অফিসে ছিলো না তারপর আবার বিকেলের দিকে অফিসে ছোটখাটো একটা অনুষ্ঠান আছে , কেননা এতো বড় একটা ডিল হলো তাতে তো স্টাফদের একটা ট্রিট দিতেই হবে। ইয়ানা খাওয়া শেষ করে মায়ের থেকে বিদায় নিয়ে অফিসের উদ্দেশ্য চলে গেলো।
ওহ এতো চকলেট খেতে হয় না ডার্লিং দাঁতে পোকা হবে , তখন তোমায় দেখতে অনেক পঁচা লাগবে।

,, ওফ লিজা পিজ্জা তোমাকে কতবার বলেছি আমার নাম পরশ ডার্লিং নয় বুঝেছো??
,, ওহ রিয়েলি ইউ নটি বয়, তোমার চাচ্চু কোথায়??
, কেনো জানো না চাচ্চু এখন তার রুমে রেডি হচ্ছে।
ওকে তুমি থাকো তাহলে আমি দেখে আসছি, লিজা সিঁড়ি বেঁয়ে উপরে উঠে আর্দ্র রুমে চলে গেলো গিয়ে দেখলো আর্দ্র খালি গায়ে গা মুছছে তারপর শার্ট গায়ে দিয়ে উপরে কোর্টটা পড়ে নিলো, , ওদিকে লিজা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে এক ধ্যানে আর্দ্রর দিকে তাকিয়ে আছে যেনো চোখ দিয়েই আর্দ্রর জিম করা বডিতে হাত বুলিয়ে যাচ্ছে ,, তারপর বাঁকা হেসে রুমের মধ্যে প্রবেশ করল।
তা আর্দ্র স্যার বুঝি রেডি হচ্ছে?? অফিসে যাবি?? কারো গলার আওয়াজ শুনে আর্দ্র পিছনে তাকালো দেখলো লিজা ,, আরে লিজা যে তা কেমন আছিস?

ভালো আর থাকবো কীভাবে আসার পর থেকে তো তোকে পাচ্ছিই না এখন যাও বা পেলাম তাও আবার তুই অফিসে যাচ্ছিস চল আমিও যাবো তোর সাথে।
তুই কি করতে যাবি আর আমি তো অফিসে যাচ্ছি , আচ্ছা তুই তো আমার অফিস চিনিসই বিকেলে অফিসে একটা ছোট খাটো অনুষ্ঠান আছে তুই বরং বিকেলে যাস , ওকে।
ওকে।
ঠিক আছে তাহলে থাক আমি যায়।
ইস কবে যে তোকে নিজের করে পাবো সেই ছোট্ট থেকে অপেক্ষা করে আছি, , কবে যে তোর বুকে মাথা রাখব আর তুই তোর ওই শক্ত পোক্ত হাত দিয়ে আমায় শক্ত করে জরিয়ে ধরে রাখবি লিজা চোখ বন্ধ করে অনুভব করছে যে আর্দ্র ওকে শক্ত করে বুকের সাথে চেপে ধরে আছে,, উফফ স্বপ্নেই কেমন সারা শরীল শিহরিত হয়ে যাচ্ছে , না জানি বাস্তবে সেই মহুর্তটা কতটা সুখকর হবে।

মোটা মোটা অনেক গুলি ফাইল নিয়ে ইয়ানা স্টোর রুম থেকে আর্দ্রর কেবিনে যাচ্ছে , ফাইল গুলোর জন্য ভালো করে দেখতেই পাচ্ছে না একেবারে চোখের উপর পর্যন্ত তাও আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখনি কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে সবগুলি ফাইল নিচে পরে গেলো , ইয়ানা রেগে কিছু বলতে যাবে তখনি দেখলো সামনে আর্দ্র দাঁড়িয়ে আছে, হয়ে গেলো এখন শুরু হবে ওনার জ্ঞান দেওয়া, দেখে চলতে পারো না ইডিয়ট এতোগুলো ফাইল নিয়ে এভাবে যাচ্ছো কেনো ব্লা ব্লা ইয়ানা বসে বসে ফাইল তুলছিলো আর এগুলো ভাবছিলো কিন্তু আর্দ্র ইয়ানাকে অবাক করে দিয়ে নিজেও নিচে বসে ফাইল গুলো উঠিয়ে ইয়ানাকে সাহায্য করলো, ইয়ানা তো অবাক চোখে আর্দ্রর দিকে তাকিয়ে আছে ।

এভাবে তাকিয়ে না থেকে ফাইল গুলো নিয়ে যলদি রুমে আসো।
আমি কি স্বপ্ন দেখলাম মিষ্টার আর্দ্র আমায় কিছুই বলল না? আবার এতো মিষ্টি সুরে কথা বলল কি জানি মাঝে মাঝে যে ওনার কি হয়।
ইয়ানা ফাইল গুলো নিয়ে আর্দ্রর কেবিনে গেলো তারপর আর্দ্র কে সব কিছু বুঝিয়ে দিয়ে কেবিন থেকে বেরিয়ে এসে হল রুমে গেলো যেখানে বিকেলে মিটিং মানে অনুষ্ঠানটা হবে , অনেক বড় হল রুম সারি সারি চেয়ার দেওয়া দুপাশে আর মাঝখানে ইয়া বড় একটা টেবিল আর প্রতিটা চেয়ারের সামনে একটা করে পানির বতল রাখা ইয়ানার হল রুমে এসে দেখলো সবকিছু সুন্দর করে সাজানো কিন্তু আর্দ্র নামের ওখানে ডি জায়গায় বি লিখা।

হায় হায় এরা দেখি বড় আকারে ভুল করেছে এটা যদি এখন মিষ্টার আর্দ্র দেখতো তাহলে তো হয়ে যেতো,, ইয়ানা একটা চেয়ায়ে উঠে বি লেখা বেলুনটা সরায়ে ডি দিয়ে দিলো কিন্তু যেই নামতে যাবে ওমনি চেয়ারটা নড়ে উঠলো আর ইয়ানা পরে যেতে গেলো,,, আআআআআ এবার আমি শেষ কিন্তু না ইয়ানা নিচে পরার আগেই একটা শক্ত হাত ওর কমর জরিয়ে ধরে কোলে নিয়ে নিলো, ইয়ানা যখন বুঝলো যে ও নিচে পড়েনি কেউ ওকে ধরেছে তখন আস্তে করে চোখ খুলে দেখলো যে কে ওকে ধরেছে চোখ খুলে দেখলো আর কেউ নয় বরং আর্দ্র ওকে ধরে রেখেছে ইয়ানা অবাক চোখে আর্দ্রর দিকে তাকিয়ে আছে তখনি পিছন থেকে কেউ আর্দ্র নাম ধরে ডাকলো।

আর্দ্র এখানে কি হচ্ছে এসব ,, লিজা রেগে চিৎকার করে বলল।
আর্দ্র ইয়ানাকে নিচে নামিয়ে দিয়ে পিছন ফিরে বলল,,আরে লিজা তুই?? এতো তারাতারি চলে আসলি যে।
ওহ এই তাহলে পরশের সেই লিজা পিজ্জা।
কেনো এসে কি ভুল করলাম?? আর তুই এখানে কি করছিলি??

আমি দেখতে এসেছিলাম হলরুম সাজানো কতদূর আর এসে দেখি ইয়ানা পরে যাচ্ছে তাই ওকে ধরলাম,, আর লিজা তুই ভালো করেই জানিস আমি কাওকে কৈফত দিই না তুই আমার অফিসে প্রথম আসলি তাই তোর যেনো কোনো অসম্মান না হয় তাই বললাম এরপর থেকে আমার সাথে এভাবে কথা বলার আগে দশবার ভাববি,, আর্দ্র রেগে বেরিয়ে গেলো,, লিজাও ইয়ানার দিকে রাগী একটা লুক দিয়ে বেরিয়ে গেলো আর পুরোটা সময় ইয়ানা চুপ করে দাড়িয়ে ছিলো কেননা ওর কিছু বলার ছিলোই না।
বিকেলে অনুষ্ঠানটা ভালো ভাবেই মিটে গেলো পুরোটা সময় লিজা আর্দ্রর সাথেই ছিলো,, ইয়ানা অফিস থেকে বেরিয়ে বাসায় চলে গেলো গিয়ে দেখলো সুহাগ এসেছে।

এতোক্ষণে তোর আসার সময় হলো সেই কথন থেকে তোর জন্য অপেক্ষা করছি জানিস??
কেনো আমার সাথে আবার আপনার কি দরকার?
তোকে ওতোকিছু বুঝতে হবে না এখন ফ্রেশ হয়ে তৈরি হয়ে নে তোকে নিয়ে ঘুরতে যাবো।
,, সরি ভাইয়া আমি যেতে পারবো না আপনি তো জানেনই আমার এখন একটা টিউশনি আছে এমনিতেই তিন দিন পড়াতে যায়নি আজকে যেতেই হবে আমরা না হয় অন্য একদিন যাবো।
,, ওকে মহারানি তুই যেটা বলবি, তাহলে তুই তৈরি হয়ে নে আমি বরং তোকে যাওয়ার সময় নামিয়ে দিয়ে আসবো।
ওকে।

কিউটিপাই তুমি এসেছো জানো এ কয়দিন তোমায় অনেক মিস করেছি।
,, ওহ তাই ওলে বাবা তাহলে এখন চলে পড়তে বসতে হবে তো।
,, হুম পড়তে তো বসবোই তার আগে চলো তোমায় একটা জিনিস দেখায়।
কি??
আগে আসো তো তাহলেই বুঝতে পারবা ,,, পরশ ইয়ানার হাত ধরে টেনে উপরে চলে গেলো তারপর লিজার রুমের সামনে নিয়ে গিয়ে বলল দাখো৷, ইয়ানা ভিতরে তাকিয়ে দেখে লিজা মুখে প্যাক লাগিয়ে চোখে শশা দিয়ে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে চেয়ারে বসে আছে।
দেখেছো কেমন দেখাচ্ছে আমার তো অনেক হাসি পাচ্ছে।

,,এভাবে বলতে হয় না সোনা ওনি তোমার বড় না?? আর ওনিতো রুপচর্চা করছে এখন চলো আমরা পড়তে বসি।
,,, ওকে চলো।
ইয়ানা পরশকে নিয়ে পরশের রুমে চলে গেলো তারপর পরানো শুরু করলো পরানো শেষে ইয়ানা নিচে নেমে দেখলো লিজা সোফায় বসে আছে তাই ইয়ানা অন্তরার থেকে বিদায় নিয়ে যেই যাবে তখনি লিজা ইয়ানা কে ডাক দিলো।। এই শোনো??
জি বলেন?

তোমাকে তো আমি অফিসে দেখেছিলাম তাহলে তুমি এখানে কি করছো??
আসলে আমি তো চাম্প মানে পরশকে পড়াই তাই আর কি।
ওহ ভালো ,, আমাকে এক গ্লাস পানি দাও তো।

আমার গল্পে তুমি পর্ব ১৩+১৪+১৫

ইয়ানা ভদ্রতার খাতিরে লিজাকে পানি দিলো আর তৃষ্ণার্থকে পানি পান করানো সোওয়াব এর কাজ তাই ইয়ানা লিজা কে পানি দিয়ে গ্লাসটা রেখে যেতে যাবে তখন লিজা বলল,, শোনো আমি হাতে নেল পলিশ লাগিয়েছি এখনো শুকায়নি তুমি এই ব্যাগটা আমার রুমে দিয়ে আসো তো। ,, আমার আর্দ্রর পাশে দেখেছি তোমায় ,, এতো সহজে তো তোমায় ছাড়বো না ,, মনে মনে বলল লিজা
ইয়ানা এতোক্ষণ চুপ থাকলেও এবার ও বুঝতে পেরেছে লিজা মেয়েটা ওকে জ্বালানোর জন্য এমন করছে তাই ও দু হাত বুকে গুজে দাঁড়িয়ে থাকলো।

কি হলো কথা কানে যানে যাচ্ছে না?? কি বললাম তোমায়??
ম্যাম আপনি ভুলে যাচ্ছেন আমি পরশের টিচার এই বাড়ির কাজে লোক নয়, আর কাজের লোক হলেও আমি আপনার কাজ করতাম না কেননা নিজের কাজ নিজে করাই ভালো।
এই শোনো তোমাকে আমায় জ্ঞান দিতে হবে না তোমাকে যেটা বললাম সেটা করো আর তাছাড়া তুমি তো টাকার জন্যই কাজ করো এই কাজের জন্যও না হয় আমি তোমায় কিছু টাকা দেবো।
এতোক্ষণ আমি আপনার সাথে ভালো ব্যবহার করেছি বলে আপনি কিন্তু আপনার সিমানা অতিক্রম করছেন ম্যাম,, আমি আবারো বলছি আমি পরশের টিচার।

তো?? আমি যখন তোমাকে বলেছি তুমি এই ব্যাগটা আমার রুমে দিয়ে আসবে, তখন তোমাকে দিয়ে আসতেই হবে।
যদি না দিই তো???
এখানে কি হচ্ছে ,, পিছন থেকে আর্দ্র বলল।

(সবাই বলছো আর্দ্রর সাথে ইয়ানার প্রেম করায়ে দাও আচ্ছা ভালোবাসা কি খুবি সস্তা?? যাকে তাকে দেখে যখন তখন কেউ কাউকে ভালোবাসে না যদি তাই হতো তাহলে আর্দ্র লিজাকে এতোদিন ভালোবেসে ফেলতো ভালোবাসা হলো মন থেকে হয় আর সেটা সময় হলেই হবে)

আমার গল্পে তুমি পর্ব ১৯+২০+২১