আসক্তি পর্ব ১৪

আসক্তি পর্ব ১৪
লেখায়ঃআফিয়া আজাদ নিঝুম

শান পাখির দিকে ঝুকে এসে অনেকটাই কাছে চলে আসে।এতোটাই কাছে যেন দূরত্ব বলতে এ বিশ্বে কোন শব্দ নেই!
হঠাৎ খেয়াল করে দেখে পাখি ধীরেধীরে চোখে বুজে ফেলছে।আতঙ্কিত হয়ে যায় শান।
“হে পাখি লিসেন, ওপেন ইওর আইস পাখি!

প্লিজ কিপ ইউর আইস ওপেন”-বলতে বলতেই পাখির দুগালে হালকা ট্যাপ করছে। কিন্তু পাখির আর চোখ খোলার নাম নেই।শানের বুঝতে বাকি থাকেনা যে পাখির জ্ঞান নেই এখন।
দ্রুত কোলে উঠিয়ে দরজা খুলে নিচে নেমে আসে।শানকে ওভাবে আসতে দেখে পাখির ভাই,ভাবি,বাবা মা সবাই বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“কি হয়েছে শান, পাখির কি হয়েছে?”-উদ্বিগ্ন চোখে প্রশ্ন করে পাখির ভাই।
……”(শান চুপ)
“বাবা ওকে কোথায় নিচ্ছো, কিছু তো বলো”
“আমাদের দূঃচিন্তা হচ্ছে বাবা, বলো না কোথায় নিচ্ছো”
এবার শান আর চুপ থাকতে পারে নি।রাগে বিষ্ফোরিত চোখ সবার দিকে চোখ বুলিয়ে চোয়াল শক্ত করে ফেলে।

“আপনাদের কারোরই সামান্য আইডিয়া আছে ওর জ্বর কতো ডিগ্রীতে ঠেকেছে?”-কাটকাট গলায় প্রশ্ন করে শান।
শানের কথা কেউ মানতে পারছে না।
“জ্বর কিভাবে এলো ওর তাও এতো পরিমানে”
সবাইকে চুপ থাকতে দেখে আবার বলে, “এই মেয়েটার প্রতি কোন খেয়াল রেখেছেন মা,কেন ঘরে একা একা শুয়ে ছিলো ও?”এতো অনিহা কেন এর প্রতি?আজ মনে হচ্ছে পাখির মাঝে যে একঘেয়েমি বা একাকিত্বের তৈরী হয়েছিলো তা আপনাদের জন্যেই।আপনারাই ওর সঠিক যত্ন নেন নি।”-বলেই শান সদর দরজা খুলে বাহিরে আসতে নিলে শানের মা বলে ওঠে,”বাবা আমি যাই বাবা।ও মনে হয় বৃষ্টিতে ভিজেছে দুপুর বেলা

আমি ভেবেছি ও ওর রুমে আছে।তাই আমি খুঁজতেও….”
“হোয়াট!!!আপনি তো আমায় একটু জানাতে পারতেন মা!”হোয়াটেভার, আপনাদের কারোরই যাওয়ার দরকার নাই।আই’ম এনাফ ফর হার”
শেষের কথাটা শান বিশ্বাসের সাথে বলেই সেই রাতেই রংপুর মেডিকেলে এডমিট করিয়ে দেয়।
এদিকে মেয়ের এমন অবস্থার কথা শুনে আর শানের ব্যবহারে ধপ করে সোফায় বসে পরে বিলাপ শুরু করেন পাখির মা।বার বার মেয়ের কাছে সিটকে যেতে চাচ্ছিলেন তিনি।
“রাশিদা,শান্ত হও।সত্যিই তোমার মেয়ের জন্যে তোমার জামাই’ই যথেষ্ঠ”-খুশির রেখা ঠোঁটে এলিয়ে স্ত্রীকে শান্ত করছিলো পাখির বাবা।
“আমারা কাল যেকোন সময় যাবো।”

পাখির শরীর অনেক বেশিই দূর্বল।উঠারও সামর্থ্য তার নেই।ইনজেকশন পুশ করে তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে।শানের রাউন্ড থাকায় পাখির কেবিনে সর্বদা থাকার জন্যে নার্স সেট করে দেন।
“এখানে থাকো।আর যে সময়ই ম্যামের ঘুম ভাঙ্গবে কোন প্রকার দেরি না করে ডিরেক্ট আমায় ইনফোর্ম করবা,ওকে?”
“ওকে স্যার?”
নার্সকে নির্দেশনা দিয়ে শান চলে যায়।
ঘন্টা দুয়েক পর পাখির ঘুম ভেঙ্গে যায়।ডান হাত টা নাড়াতে পারছে না।ব্যথা করছে।তাকিয়ে দেখে স্যালাইন চলছে।নার্স পাশে সোফায় পত্রিকা পড়ছে।

“ম্যাম কি করছেন, উঠবেন না প্লিজ!স্যার বাড়োন করেছেন উঠতে?”
“আমি এখন একটু সুস্থ্য আছি।কোন সমস্যা হবে না”
বলতে বলতে পাখি উঠার চেষ্টা করে। নার্স এসে তাকে থামিয়ে দিয়ে সাইডে রাখা টুল টা টেনে বসে।বয়স্ক নার্স হওয়ায় পাখিও আর কথার অবাধ্য হয় নি।
“আমি একটু পাশ ফিরবো,বসবো।শরীর টা কেমন করছে।”
“স্যালাইনটা শেষের পথে, একবারেই উঠুন ম্যাম।জিদ করবেন না”
পাখি আর কথা বাড়ায় নি।

“আপনি অনেক লাকি ম্যাম।আমাদের শান স্যারের মতো একজন মানুষকে পেয়েছেন।”
পাখির কোন প্রতিক্রিয়া না পেয়ে নার্স আবার বলতে থাকে
“কাল আপনাকে কোলে নিয়ে কিভাবে মেডিকেলে আসলেন।উনার মুখে স্পষ্ট দূঃচিন্তার ছাপ ছিলো।এএতো এতো কাঁটাছিড়া করেন অথচ আপনার হাতে ইনজেকশন পুশ করতে আমায় ডেকেছিলেন।সারাটা রাত আপনার পাশে এই টুলে বসেছিলেন।কতো করে বলেছি স্যার আপনার সকাল বেলা ডিউটি আছে একটু ঘুমান।শুনলোই না। আপনার বাম হাতটা হাতে নিয়ে পলকহীন চেয়ে ছিলো আপনার দিকে। কখন ঘুম ভেঙ্গে যায়!”

নার্সের কথা শুনে পাখির চোখ কপালে।
“উনি আপনাকে খুব ভালো……”
“আপনাকে বলেছিলাম ওর ঘুম কাটলে আমাকে ডাকবেন!”
“সরি স্যার আসলে…..”
“আচ্ছা আপনি এখন যান। আমি আছি”

বলেই শান পাখির পাশে এসে দাঁড়ায়।এপ্রোন পরা এভাবে শানকে প্রথম দেখছে পাখি।শুভ্র শরীরে শুভ্র এপ্রোনের আলিঙ্গন যেন সৌন্দর্যের মাত্রাকে বাড়িয়ে তুলছে প্রতি মূূহূর্তে।নার্সের কথাগুলোও মাথায় ঘুরছে
“হসপিটালে এভাবে দেখার কিছু নাই।বাড়ি গিয়ে দেখিও”-বলতে বলতেই শান ওর কপালে হাত রেখে জ্বর অনুমান করার চেষ্টা করছিলো।এরপর থার্মোমিটারে মেপে আশ্বস্ত হয় যে জ্বর টা কমেছে।
শানের কথায় পাখি হকচকিয়ে ওঠে।বলার মতো কোন কথা পায় না।

“স্যালাইন শেষের পথে, বেশি নাড়াচাড়া করো না। আর….”
“সার্জন সাহেব!”-পাখির কথায় শানের কথা বন্ধ হয়ে যায়।
“আমার কিছু কথা ছিলো আপনার সাথে”
“এই মূহূর্তে তোমার কোন কথা শোনার ইচ্ছে নেই আমার।বাড়ি গিয়ে তুমি না বললেও আমি শুনব, কেন তুমি বৃষ্টিতে ভিজেছো অতোক্ষন।সো অপেক্ষা শুধু রিলিজের”-রাগি চোখে তাকিয়ে কথাগুলো বলে চলে যেতেই পাখি বাম হাতে শানের হাত টা ধরে ফেলে,

“আপনি চাইলেই আমায় ছেড়ে দিতে পারেন।এমন সুন্দর ড্যাশিং ডাক্তারের মেয়ের অভাব হবে না।আর তার জন্যে আপনার অপেক্ষাও করতে হবে না।নিজেকে উজাড় করে দিবে আপনাকে।সুখের সংসার হবে আপনাদের।আমি তো কোনটাই পারছি না।তারউপর ক’দিন পর পর হসপিটালাইজড হচ্ছি না হলে আপনাকে বিরম্বনায় ফেলছি।বলি কি, আমায় ডিভোর্স করে নতুন সংসার শুরু করুন।আমি অনেক খুশি হবো।”-শেষের কথা বলতে গিয়ে একটু আটকে যায় পাখি।

শানের শরীর যেন হিম হয়ে আসে।চট করে পাখির হাতটা আরেক হাতে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যেতে যেতে বলে,”হয়ত সেটাই এবার করতে হবে”
পাখি নির্বাক হয়ে চেয়ে দেখছে শানের দিকে।
“আমি বললাম বলে এভাবে বলতে হবে।একটু তো ভিন্ন কথা বলতে পারতো।নার্স যা বললো তা ভুল, এই লোক কখনোই আমায় ভালোবাসে না। খাটাশ ব্যাডা “-মনে মনে বলতেই চোখের কোণ বেয়ে জল গড়িয়ে পরে।
শান দরজার আড়াল থেকে দেখে ফেলে পাখিকে।

জ্বরটা কমে গেছে একদদম তাই শান পাখিকে বাড়ি আনার জন্যে রিলিজ করে দেয়।
“আমার দুইটা পা আছে। আর আমি এখন পুরোপুরিই সুস্থ্য। হেঁটেই গাড়ি অবধি যেতে পারব”-শান পাখিকে কোলে করে নিতে চেয়েছিলো। আর পাকি অভিমান ভারাক্রান্ত কন্ঠে কাটকাট হয়ে জবাব দেয়।
পাখির মাঝে যে অভিমান জেগেছে ঐ কথায়, তা শান গুরুত্বের কাতারে রাখছে না।পাখির কথার তোয়াক্কা না করেই দ্রুত কোলে তুলে নিয়ে বাহিরে গাড়ির দিকে হাঁটা দেয়। সকাল বেলা হওয়ায় তেসন বাহিরের মানুষ নেই বললেই চলে। যা আছে সব হসপিটালের লোকজন।সবার নজর তাদের দিকে।পাখি সেসবে যেন লজ্জায় মরে যাচ্ছে।গায়ে মাথায় শক্ত করে কাপর টেনে লজ্জায় কুকড়ে যাচ্ছে।এদিকে শান হনহন করে হেঁটে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে নিজে ড্রাইভিং সিটে বসে।

“বউ মা’র কি হয়েছে শান?আর কখন আসলো ও?”-হন্তদন্ত হয়ে শাশুরি মা এগিয়ে এসে জিজ্ঞেসা করতেই পাখি কাচুমাচু শুরু করে আর শান ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে নির্লিপ্ত চাহনীতে চেয় আছে পাখির দিকে।তবু নামানোর নাম নেই।
কারোর সাথে টু শব্দটি না করে হনহন করে সিঁড়ি দিয়ে নিজের রুমে চলে যায়।পাখি ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছে শানের রাগ উঠেছে।

“কি হলো, তখনকার কথার কোন উত্তর নেই যে!কি করবেন সেটা বলেন সে অনুযায়ী তো আমায় ব্যাগ প্যাক করতে হবে”-পাখির কথায় শান এবার রেগে যায় ভীষণ।এসে পাখির দু বাহু চিপে ধরে।ব্যথায় কুকড়ে যায় পাখি।অভিমান কষ্টের দুফোটা জল গাল বেয়ে ঝড়ে পরে।শানের রাগ নিমিশেই মিলিয়ে যায়।একহাতে কোমড় জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে নেয়।আরেক হাতে কানের পিঠে চুল গুজে দেয়।এরপর শক্ত করে নিজের বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে পাখিকে।

“আপনি খুব খারাপ, খুব পচাঁ।ছাড়ুন আমায় ছোঁবেন না আমায়”-বলতে বলতেই কেঁদে ফেলে পাখি।শান আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।কেঁদে কেঁদে শানের বুকটা অনেকটা ভিজিয়ে দেয়।
পাখিকে বুকে জড়িয়ে রাখতেই চোখ যায় টেবিলের উপর রাখা ঔষধের দিকে।যেটা নীরা দিয়েছিলো।
“পনের দিন পর নীরা ডেকেছিলো আজ তো মাস হতে চললো, শীটটট।কি করে ভুলে গেলাম!”-ভাবতে ভাবতেই পাখিকে বুক থেকে সরিয়ে খাটে বসায়।

“রেস্ট করো, নিচে যাবার দরকার নাই।সুমি এসে খাবার দিয়ে যাবে”
“আমার ভালো লাগে না একা একা”-বলতেই পাখির গলা ভারী হয়ে আসে।
খুব মায়া লাগলো শানের।কেমন যেন বুকটা কেঁপে উঠলো।
“আমি দুপুরের পরই চলে আসবো”-বলেই পাখির কপালে গালে চোখে অজস্র চুমু এঁকে দ্রুত ঘর থেকে বের হয়।

“আরে শান যে।কাম কাম!প্লিট সিট।তোমার ওয়াইফ কোথায় নিয়ে আসলে না আজ”
“ওকে নিয়ে আসি নি।পনেরো দিন পার হয়েছে। এখন যা বলার আমাকেই বলো”
“ইম্প্রুভমেন্ট কি রকম”
শান নীরার দিকে একবার চেয়ে বলে ওঠে, “ভালো ”
“আচ্ছা, ও কি এখন তোমায় আশে পাশে সহ্য করতে পারে?”
“পারে”

শানের কথা শুনে নীরার কেমন যেন মনে হলো।কিছু একটা ভেবে থতমত খেয়ে তাৎক্ষণিক জবাব দেয়
“তাহলে এখন যেটা করতে হবে তা হলো ওকে তোমার এভোয়েড করতে হবে”
“ভণিতা না করে বুঝিয়ে বলো”
“মানে ওর সাথে সামান্য একটু দূরত্ব মেইনটেইন করতে হবে তোমায় প্লাস ওকে জেলাস ফিল করাতে হবে”
“আর ইউ ক্রেজি? স্টুপিড! ”

“আরে এটা করতে হবে তো।ট্রাই করে দেখো আরো ইম্প্রুভ হবে সবটা।
“যাকে দূরে রেখে আমিই থাকতে পারি না তাকে কি করে দূরে রাখব।আর এভোয়েডে ও অনেক কষ্ট পাবে।এতোদিনে বুঝেছি ও খুব নরম মনের মেয়ে।এটা আমার দ্বারা পসিবল না”
“হেই শান,এটা করাটা জরুরী?”-মুখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বলে নীরা।
“এটা আদৌ পসিবল না।আমি ওকে হার্ট করতে পারবো না।যা ইম্প্রুভ হয়েছে হয়েছে বাকিটা উপরওয়ালার হাতে।আমি মাসের পর মাস ওর জন্যে অপেক্ষা করতে রাজি আছি।”

“এতো ভালোবেসেছো?এতোটাই গভীর”-টেবিলে রাখা শানের হাতের উপর হাত রেখে বলে ওঠে নীরা।
হাতের দিকে এক পলক চেয়ে দ্রুত হাত সরিয়ে নেয় শান।
“এক সময় এর থেকেও গভীরভাবে ভালোবাসতাম কাউকে কিন্তু সেটার মূল্যায়ন পাই নি।অপাত্রে দান করেছিলাম তো তাই।যার অন্তর আমাতে পূর্ণ ছিলো না।বহুগামি ছিলো সে।কখনো তার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি নি।আর আমার বউকে সামান্য কয়টা গাছ উপহার দিয়েই তার চোখের কোণে কৃতজ্ঞতার ছলছলে জল দেখেছি।”-বলতে বলতেই শান উঠে দাঁড়ায়।

“দাড়াও শান”
…..(নিশ্চুপ সে)
“পাখি আমার পেশেন্ট।ওর কোন খারাপ আমার কাম্য নয়।এই ওয়েটা তোমার অবলম্বন করতে হবে।একটু দূরত্ব রাখতে হবে।ট্রাস্ট মি,সবটা দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।”
“সত্যিই যদি পাখির ভালো চাইতে তবে ওর রোগের কথাটা লিক করতে না।সো এসব বুলি আওড়ানো বন্ধ করো।”-বলেই নীরার ভিজিট টেবিলের উপর ছুড়ে ফেলে শান কেবিন থেকে বের হয়ে যায়।
“আমি নিজেই তো ওকে ছেড়ে থাকতে পারি না তাহলে কি করে কি করবো”-ভাবতে ভাবতেই গাড়ির কাছে চলে আসে।

আসক্তি পর্ব ১৩

হঠাৎ ফোনে কারো কল আসায় চমকে তাকায় ফোনের স্ক্রীনের দিকে।
“ইয়াহ স্যার, ওকে নো প্রবলেম।ওকে আই’ল কাম। ডোন্ট ওয়ারি স্যার “-বলেই কলটা কেটে দেয়।
সমস্ত কাজ সেড়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যায়।রুমে ঢুকে দেখে পাখি ঘুমিয়ে আছে।গায়ে পাতলা চাদরটা টেনর পাখির কপালের দিকে হাত রেখে জ্বর অনুমানের চেষ্টা করে।শঙ্কাজনক অবস্থা না বুঝতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।কপালে কয়েকটা চুমু এঁকে দিয়ে অপরপাশে শুয়ে পরে।

“পাখি রেডি হও”
“কোথায় যাবো ”
“লালমনিরহাট ?”
পাখির ভিতর যেন দুমরে মুচরে যাচ্ছে,
“লোকটা কি সত্যিই আমায় ছেড়ে দেবে?”-ভাবতেই কান্না চলে আসে। তবুও মুখে কোন কথা না বলে দ্রুত রেডি হয়ে নেয়।

পুরো রাস্তা কেউ কারোর সাথে কোন কথা বলে নি।পাখি শুধু বাহিরর চেয়ে ছিলো আর বার বার চোখের জল লুকাবার বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছিলো।একটা সময় গাড়ি এসে থামে পাখিদের গেইটের সামনে।পাখিকে নামিয়ে দিয়ে শান দ্রুত গাড়ি টেনে চলে আসে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে।
এদিকে পাখি আর নিজের মাঝে নেই।পৃথিবীটা যেন এলোমেলো হয়ে গেলো।তার একটা কথাতেই লোকটা এভাবে রেখে যেতে পারলো…..

আসক্তি পর্ব ১৫