আসক্তি পর্ব ১৭

আসক্তি পর্ব ১৭
লেখায়ঃআফিয়া আজাদ নিঝুম

দেশ থেকে করোনা মহামারি চলে গেছে।সব স্কুল কলেজ খুলে দেয়া হয়েছে।প্রতিটা এলাকায় মহামারি বিদায়ের ঘোষনা দেয়া হচ্ছে। খুব জাঁকজমক পরিবেশ চারিদিকে।সবকিছু আবার আগের মতো হয়ে গেছে।প্রতিটা মানুষ যেন আজ প্রাণ ভরে শ্বাস গ্রহনের সুযোগ পাচ্ছে।

আজ পাখির মাস্টার্স লাইফের প্রথম ক্লাস।সকাল বেলা উঠেই রাখিকে ফোন করে কলেজে আসতে বলে।এলাকা থেকেও অনেক বান্ধবী কারমাইকেলে ভর্তি হয়েছে তারাও আসবে বলে জানিয়েছে।পাখির মন আজ বেশ প্রফুল্ল। একে তো স্বপ্নের কলেজে আজ প্রথম দিন তারউপর শ্বশুর বাড়ি থেকে কলেজ করা, এ যেন আলাদা এক অনুভুতি।
সবাই ডায়নিং এ নাস্তা করছে। আজও শানের ছুটি কিন্তু চেম্বার খোলা রয়েছে।পাখি রেডি হয়েই খেতে বসেছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“ছোট বউ মা”
“জ্বি মা বলুন!”
“শুনলাম আজ কলেজে যাচ্ছো?”
“হ্যা মা কলেজ তো খুলেছে। আর এখন তো পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে।তাই যাই দেখি কি অবস্থা কলেজের”
“শানের তো ছুটি চলছে ও তোমায় রেখে আসবে”-সিদ্ধ ডিমের এক অংশ কামড়ে নিতে নিতে বললেন আহমেদ সাহেব।
“আমার পক্ষে পসিবল না। ও রিক্সা করে যাবে “-শানের কথায় সবাই অবাক হয়ে যায়।মুখে থমথমে ভাব সবার।শুধু সামিহা ব্যতিত।মুখে মুচকি হাসির রেখা স্পষ্ট।

পাখি বুঝতে পারে শান ইদানিং একরোখা আচরন করছে।হয়ত এখনো মন খারাপ। তাই ফট করেই বলে ফেলে,”আমি এ শহরে নতুন, কোন রিক্সা ফিক্সায় যাবো না।আমায় দিয়ে আসতে হবে”
পাখি ভালো করেই জানে মায়ের মুখের উপর শান না করতে পারবে না।শান বাম ভ্রু টা উুচিয়ে কিছুক্ষন ভেবে বলে,”আমার ইম্পোর্ট্যান্ট কাজ আছে এখুনি বের হতে হবে।রাফি দিয়ে আসবে ওকে”

“আমি জানি এখনো আপনার রাগ কমেনি। কিন্তু তাই বলে এভাবে এভোয়েড করবেন আমায়!-শানের দিকে চেয়ে অবাক চোখে ভাবতে থাকে পাখি।মন টা অনেক খারাপ হয়ে যায়।কোথায় ভেবেছিলো প্রথম দিন নিজের বরের সাথে কলেজ যাবে তা আর হলো না।
এদিকে শান পাখির দিকে চেয়ে ফোনে কারো সাথে কথা বলতে বলতে বেরিয়ে যায়।
“সাময়িক একটু কষ্টের বিনিময়ে যদি দীর্ঘস্থায়ী সুখ মেলে আমি তোমার জন্যে এমন হাজারও কষ্ট সইতে পারব জান পাখি”-ভাবতে ভাবতে শান গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট করে।

পাখি বাড়ির গাড়িতে করে কলেজে আসে।এসেই পরিচিত সকল বান্ধবীদের সাথে কুশল বিনিময় করে। এরপর রাখির সাথে অফিস কক্ষের সামনে বাঁধাই করা বেঞ্চটাতে বসে ক্লাস রুটিন চেইক করছে।১১ টার সময় একটা ক্লাস আছে ওদের।সময়ও হয়েছে ক্লাসের।যে যার যার ডিপার্টমেন্টে চলে যাচ্ছে।পাখি আর রাখিও তাদের একাউন্টিং ডিপার্টমেন্টের দিকে এগিয়ে যায়।তেমন সময় নিয়ে ক্লাস চললো না হয়ত প্রথম দিন তাই।

এরপর আবারও পাখিরা এসে মাঠের একপাশে বসে।
তাদের পাশেই কয়েকজন মেয়ে বেশ হৈহুল্লর করে বলছে,”জানিস কলেজে কে এসছে?ডাক্তার শান এসেছে রে। হাজারও মেয়ের ক্রাশ ডাক্তার শান আমাদের কলেজে এসেছে”
পাশে বসেই পাখি সবটা শুনছে। তবে অস্পষ্ট লাগছে।ভালো করে শোনার জন্যে মনোযোগ স্থীর করে।তারা আবারও শানের কথাই বলছে।

মেয়েগুলো আবারও বলছে, “দেখ দেখ এইদিকেই আসছে”
পাখি এবার মাথা তুলে তাকায়। সিল্কি চুল গুলো সুন্দর করে সেট করা,চোখে কালো গোগলস,গায়ে জড়ানো ফুল স্লিভসের হালকা আকাশি রঙ্গের শার্ট, কালো প্যান্ট, কালো রঙ্গের একজোড়া জুতা।প্রত্যেকটা জিনিসই মনে হচ্ছে তার শরীর পেয়ে হেসে উঠছে।সৌন্দর্যের উদাহরন এই মূহূর্ত ডাক্তার শানকেই মনে হচ্ছে।

মাঠে অবস্থানরত প্রত্যেকটা মানুষের দৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু রয়েছে শান।মেয়েরা যেন চোখ দিয়েই গিলে খাচ্ছে।পাখি সবার দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিচ্ছে আর রাগে শরীর জ্বলে পুরে যাচ্ছে পাখির।
“এই মানুষকে এতো সাজতে হবে কেন বুঝি না আমি।একটা ছেলে মানুষ হয়েও কতো সাজগোজ তার।আর দেখো বেয়াদপ মেয়ে গুলো কেমনে দেখছে”-
“কিরে তোর বর কলেজে কেন?তোকে কি এখানেও চোখে হারাচ্ছে নাকি”- হঠাৎ পাশে থাকা বান্ধবীদের কথায় ভাবনার জগৎ থেকে বের হয় সে।

“দেখ দেখ, কতো ড্যাশিং তার লুক!হায় মরে গেলাম রে, কি লুক রে বাবা!
“এতো দেখিস না বোইন ওয় বিবাহিত।শুনলাম বিয়ে করেছে।”
“তো কি হয়েছে,বিবাহিত বলে কি নজর দেয়া যাবে না, নাকি”
এদের কথা শুনে পাখির এবার গা পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে,”কেন এসছে কলেজে?সকালে যখন বললাম কলেজের কথা তখন আসলো না উল্টো বাড়ির গাড়িতে পাঠালো। আবার কি এমন দরকার পরলো যে কলেজে আসতে হবে”

ভাবতে ভাবতেই শান ওদেরকে ক্রস করে চলে যায়।হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে পাখি।
পাশে থাকা বান্ধবী রা সমস্বরে বলে উঠলো”তোর বর তোর সাথে কথাও বললো না এ কেমন কথা রে ভাই”
রাখি পরিবেশ সামাল দিতে বলে, “আরে নিশ্চই কোন কাজ আছে তাই দেখা করলো না।দিনশেষে তো ঠিকই একই ঘরে থাকবে তাই না! ”
“তবুও ব্যপার টা কেমন যেন লাগল”
বান্ধবীদের কথাগুলো পাখির মনে বেশ দাগ কাঁটলো ‘”সত্যিই তো এমন কি কাজ আছে যে কলেজে আসলো অথচ আমায় পাশ কেটে চলে গেলো!”

কিছুক্ষন পর শান আবার অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে চলে আসে।আবারও যেন সবাই হা করে চেয়ে আছে তার দিকে।
পাখি এবার শানের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।সবাই পাখির দিকে চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছে।শান আশেপাশে চোখ বুলিয়ে নিয়ে আস্তে করে বলে,”কি ব্যপার, কিছু বলবা? ”
পাখির কান দিয়ে রাগে গরম ধোঁয়া বের হচ্ছে,কিছু বলতে পারছে না।কোন উত্তর না পেয়ে শান ওকে পাশে রেখেই গেইটের দিকে চলে যায়।
সবাই পাখির অকস্মাৎ আচরনে হো হো করে হেসে ওঠে।
“এই মেয়ে ওর সামনে ওভাবে দাঁড়িয়ে লাভ নেই।ও কোন মেয়েকে পাত্তা দেয় না।এখন তো আবার বিয়েও করেছে।”

“কি ম্যাডাম বোরখা টোরখা পরে এভাবে অন্য ছেলের পিছে সিরিয়াল নেয়া হচ্ছে, হাউ ফানি!-সবাই পাখিকে নানান কটু কথা শোনাচ্ছে।এবার আর চোখের পানি বাঁধ মানছে না।দৌড়ে গেইটের কাছে চলে আসে বাড়ি যাবার উদ্দেশ্যে।শানের ব্যবহারে রাখিও বেশ অবাক হয়ে যায়।
“বেশিই হয়ে গেলো নাকি! খুব কি হার্ট করে ফেললাম ওকে।ভাবতেও পারছি না আমি কোনদিকে আগাবো কি করবো”-ড্রাইভিং সিটে বসে শান ভাবতে লাগে।পাখি হহন্তদন্ত হয়ে বাহিরে বাহির হয়ে রিক্সা খুঁজছে।শান বুঝতে পারে নিকাবের আড়ালে সে কাঁদছে। গাড়ি থেকে নেমে পাখির হাত ধরে নিজের গাড়ির কাছে আসে।পাখি দ্রুত হাত টা ঝটকা মেরে সরে যায়।

“জুতো মেরে গুরুদান আমার লাগবে না।মাঝরাস্তায় নো সিন ক্রিয়েট”-বলেই পাখি একটা রিক্সা দাঁড় করায়। শান ইশারা করে রিক্সাকে চলে যেতেই বলেই পাখিকে দ্রুত কোলে করে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে গাড়ি স্টার্ট করে।সারা রাস্তা কেঁদেছে পাখি।
বাড়ি এসে দৌড়ে নিজের রুমে চলে যায়।বিছানায় ধপ করে শুয়ে বেশ শব্দ করেই কান্না করে দেয়।
শান এগিয়ে এসে পাখির সামনে দাঁড়িয়ে বলে”পাখি লিসেন টু মি,ডোন্ট ক্রাই প্লিজ।লেট মি ক্লিয়ার ড্যাম ইট!”

পাখি কান্না জড়িত কন্ঠে কাটকাট স্বরে জবাব দেয়, “আমার কিচ্ছু শোনার বাকি নেই।আমি সকলের ক্রাশ বয় ডাক্তার শানের কাছে সিরিয়াল নেয়ার জন্যে সামনে গেছিলাম,আমি বোরখা পরে এসব করি। তাই না?”
বলতে বলতে পাখি আবারও কেঁদে দেয়।
“কি মনে হয় আমাকে রাস্তার মেয়ে?এভাবে নীরব অপমানের মানে কি? আমার বান্ধবীরা কি ভাবলো?”-পাখি একের পর এক বলেই চলেছে আর অঝোড় ধারায় চোখে বৃষ্টি হচ্ছিলো। এক পর্যায়ে হেচকি উঠে যায়।

শান বুঝতে পারে ঠিক কতোটা হার্ট হলে মানুষ এমন রিএ্যাক্ট করে।তাই সে ধীরেধীরে পাখির কাছে আগায়।
“এক পা ও আগাবেন না বলে দিচ্ছি।পিছান, পিছান বলছি।নইলে, নইলে আমি মাইর শুরু করবো”
“আমার কথাটা তো শুনবা প্লিজ”
“কোন কথা নাই আপনার সাথে।অনেক হার্ট করেছেন। আমি কখনো ভুলব না”-শেষের কথাটা বলতে বলতে পাখি পূনরায় কেঁদে ফেলে।এই সুযোগে শান দ্রুত এগিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে নিজের বুকে মিলিয়ে নেয়।
“সরি, সরি আমার ভুল হয়ে গেছে।একটা কাজে গেছিলাম আমি।এই ঘটনার রিপিট আর কখনো হবে না।তবু এভাবে কেঁদো না”

পাখি নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বলে,”আই ডোন্ট নিড ইওর সরি।গো টু দ্যা হেল ইউ এন্ড ইওর সো কল্ড সরি”
শান পাখিকে শান্তনা দেবার কোন উপায় না পেয়ে একটা আজগুবি কাজ করে বসে।চট করে পাখির ঠোঁটে এলোপাথাড়ি কিস করা শুরু করে।
কিছুক্ষন পর ঘরের পরিবেশ পুরো সুনসান হয়ে যায়।
পাখি বসে বসে চোখের জল ফেলছে নীরবে। পাশেই শান হাঁটু ভেঙ্গে বসে আছে।
“প্লিজ স্টপ ক্রাইয়িং।ওকে পাখি লিসেন,কি শাস্তি দিবা বলো, বলো!আমি সবটাই মাথা পেতে নিবো”
পাখি এবার চোখ মুখ মুছে শানের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,”কাল কলেজ গেইট থেকে আমাদের ঐ বসার জায়গা পর্যন্ত পুরোটা সময় আমার হাত ধরে হেঁটে যেতে হবে।এবং সবার সামনে আমায় পরিচয় করাতে হবে”

পাখির এক রোখা কথায় শান মুচকি হেসে ভাবতে থাকে,”মেয়েরা কতো অদ্ভুত রকম হয়”
“হাসছেন কিসের জন্যে বদলোক? আমি কি জোক বলেছি?”
“ওকে ডান, কাল তোমার কথা অনুযায়ী সব হবে”
“থ্যাংক ইউ নীরা। তোমার ট্রিকস না শুনলে হয়ত পাখির চোখে মুখে এই অধিকারবোধটা পেতাম না। যেটা এখন আমার খুব ভালো লাগছে”-শান আনমনে ভাবতে থাকে।
পাখি মুখে ভেংচি কেটে বলে, “ফালতু লোক”এরপর পাশ কেটে চলে যায়।শান সেদিকে চেয়ে প্রশান্তির হাসি ঠোঁটে এলিয়ে দেয়।

পরদিন কলেজ গেইটে এসে থামে শানের গাড়ি।শান বের হয়ে পাখির সিটের দরজা খুলে পাখির হাত ধরে বের করে।সবাই অবাক হয়ে চেয়ে আছে তাদের দিকে।
এরপর শান পাখিকে একহাতে জড়িয়ে নিয়ে হাঁটতে থাকে।
পাখি শানের হাত ছাড়াতে ছাড়াতে বলে,”হাত ধরতে বলেছি জড়িয়ে ধরতে না।সবাই কি ভাবছে?”
পাখির কথায় কান না দিয়ে ওকে আরোও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।কলেজ ভর্তি স্টুডেন্ট আশেপাশের লোক সবাই ওদেরকে হা করে দেখছে।এক সময় গতকালকের জায়গায় এসে দাঁড়ায় ওরা।পাখির সকল বান্ধবীরাও সেখানে সাথে কালকের অনেক ছেলেমেয়েও।

এক প্রকার গভীর অধিকারবোধ থেকে শানের বাম হাত টা জড়িয়ে ধরে পাখি সবার উদ্দেশ্যে বলে,”আমি তাকে লাইন মারছি না অলরেডি তার ঘরনি হয়েছি।আর বোরখা পরে এসব করি না বউ বলেই এসব করছি”
সবাই থ হয়ে যায়। আশেপাশে সবাই ফিসফিস জুড়ে দেয়।শান প্রথম থেকেই পাখির দিকে দেখে মিটিমিটি হাসছে।

“লেট মি ক্লিয়ার গাইজ,তোমরা যাকে কাল কটাক্ষ করেছো সে আর কেউ না মাই ওয়াইফ”-পাখিকে একহাতে জড়িয়ে নিয়ে সবার উদ্দেশ্যে বলে শান।
কিছু কিছু মেয়ে যেন রাগে ফুসতে থাকে।
অনেকেই বলছে,”শানের বউ এই কলেজে পড়ে জানতাম না তো”
এরপর পাখিকে সাথে নিয়ে প্রিন্সিপালের কক্ষে প্রবেশ করে।শানের মায়ের চাচাত ভাই হয় প্রিন্সিপাল স্যার।
সালাম জানিয়ে পাখির সাথে পরিচয় করায়।

আসক্তি পর্ব ১৬

“ওহহ আচ্ছা, তাহলে কাল বউ মা’র জন্যে কলেজে এসেছিলা।আমি তো ছিলাম না সেসময়”
“হ্যা মামা, ও আপনার বউ মা। আপনার কলেজেই ভর্তি নিয়েছে। ওর ব্যপারেই কথা বলতে এসছিলাম”-বলতে বলতেই শান পাখির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।পাখি যেন আসমান থেকে পড়ে যায়।
“উনি কাল আমার জন্যেই এসেছিলেন তাহলে!”

গাড়ি চলছে গন্তব্যের দিকে।হঠাৎ পাখির মনে হলো রংপুর মেডিকেল দেখা হয় নি। তাই সে আমতা আমতা করে বায়না ধরে মেডিকেলে যাবে।
“বলছিলাম যে, আমি মেডিকেলে যাবো”
পাখির কথায় শান দ্রুত ব্রেক কষে বলে,”হোয়াট!!!!মেডিকেল কেন?কি হয়েছে তোমার?সব তো ঠিকাছে তাহলে মেডিকেল কেন??”
“আরে থামুন,কিচ্ছু হয় নি আমার।এমনিই দেখতে যাবো।কখনো যাইনি কিনা!”
“ওহহহ আই সি”-শান শান্ত হয়ে আবার গাড়ি স্টার্ট করে।

আসক্তি পর্ব ১৮